যিশাইয়

“দেখো! যে জোর করে অন্যদের দিয়ে পরিশ্রম করাত,

সে নিজেই কীভাবে শেষ হয়ে গিয়েছে!

 ৫ যিহোবা সেই মন্দ ব্যক্তিদের দণ্ড

এবং সেই শাসকদের লাঠি ভেঙে দিয়েছেন।

 ৬ তিনি সেই ব্যক্তির লাঠি ভেঙে দিয়েছেন, যে প্রচণ্ড রেগে গিয়ে জাতিগুলোকে অনবরত আঘাত করছিল

এবং যে রেগে গিয়ে দেশগুলোকে অবিরত তাড়না করে সেগুলোকে দমন করছিল।

 ৮ এমনকী জুনিপার* গাছগুলো এবং লেবাননের দেবদারু গাছগুলো

তোমার কারণে আনন্দ করে।

তারা বলে, ‘যখন থেকে তোমার পতন হয়েছে,

তখন থেকে কোনো কাঠুরে আমাদের কাছে আসে না।’

তোমার কারণে কবর সেই ব্যক্তিদের জাগিয়ে তোলে, যারা মৃত্যুতে শক্তিহীন অবস্থায় রয়েছে,

সেটা পৃথিবীর সমস্ত অত্যাচারী নেতাকে* জাগিয়ে তোলে।

১০ তারা সবাই তোমাকে বলে,

‘তোমার অবস্থাও কি আমাদের মতো হয়ে গিয়েছে?

১১ তোমার গর্বকে এবং তোমার তারওয়ালা বাদ্যযন্ত্রের শব্দকে

কবরে* নামিয়ে আনা হয়েছে।

তুমি পোকার বিছানায় শুয়ে রয়েছ

আর কেঁচো তোমাকে ঢেকে রেখেছে।’

১২ হে উজ্জ্বল তারা, হে ভোরের ছেলে,

তুমি কীভাবে আকাশ থেকে পড়ে গিয়েছ!

তুমি তো জাতিগুলোকে পরাজিত করতে,

তোমাকে কীভাবে কেটে পৃথিবীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে!

আমি আমার সিংহাসন ঈশ্বরের তারাগুলোর চেয়েও উপরে স্থাপন করব,

আমি উত্তর দিকের অনেক দূরের এলাকায় সাক্ষাৎ করার পর্বতে বসব।

১৪ আমি মেঘের চেয়েও উপরে উঠব,

আমি নিজেকে সর্বমহান ঈশ্বরের মতো করে তুলব।’

১৬ যারা তোমার দিকে তাকাবে, তারা অবাক হয়ে তোমাকে দেখবে,

তারা তোমাকে ভালো করে দেখবে আর বলবে,

‘এ-ই কি সেই ব্যক্তি, যে পৃথিবীকে নাড়াত,

রাজ্যগুলোকে কাঁপিয়ে তুলত,

১৭ যে পৃথিবীকে প্রান্তরে পরিণত করেছিল,

এটার নগরগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল

এবং যে তার বন্দিদের বাড়ি ফিরে যেতে দিত না?’

১৮ জাতিগুলোর অন্য সমস্ত রাজা,

হ্যাঁ, তারা সবাই সম্মানের সঙ্গে নিজের নিজের কবরে* শুয়ে রয়েছেন।

১৯ কিন্তু, তোমাকে কবর দেওয়া হয়নি,

তোমাকে একটা পচা ডালের মতো ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তোমার মৃতদেহ সেই লোকদের মৃতদেহের নীচে রয়েছে,

যাদের তলোয়ার দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে

এবং যাদের পাথর-ভরতি গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

২০ তোমাকে রাজাদের সঙ্গে কবর দেওয়া হবে না

কারণ তুমি নিজের দেশ ধ্বংস করেছ

এবং নিজের লোকদের হত্যা করেছ।

২১ তাদের পূর্বপুরুষদের অপরাধের কারণে

তার ছেলেদের মেরে ফেলার জন্য জায়গা প্রস্তুত করো,

যাতে তারা উঠে পৃথিবী দখল করতে না পারে

এবং নিজেদের নগরগুলো দিয়ে দেশকে ভরিয়ে ফেলতে না পারে।”

“আমি যেমনটা চেয়েছি, তেমনটাই হবে

আর আমি যেমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তেমনই হবে।

২৫ আমি আমার দেশে সেই অশূরীয়কে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেব,

আমি আমার পর্বতগুলোতে তাকে মাড়িয়ে দেব।

তাদের উপর থেকে তার জোয়াল সরিয়ে দেওয়া হবে

এবং তাদের কাঁধ থেকে তার বোঝা সরিয়ে দেওয়া হবে।”

২৬ পুরো পৃথিবীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে

আর সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে এই হাত বাড়ানো হয়েছে।

২৭ কারণ স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,

কে তা বাতিল করতে পারে?

তিনি তাঁর হাত বাড়িয়েছেন,

কে তা ফিরিয়ে নিতে পারে?

২৯ “হে পলেষ্টীয়া, যে তোমাকে আঘাত করত,

তার লাঠি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে আনন্দ কোরো না।

কারণ সেই সাপের বংশ* থেকে এক বিষধর সাপ বের হয়ে আসবে

আর তার বংশধর এমন বিষধর সাপ হবে, যেটা দ্রুত চলে।

৩০ দুঃখী ব্যক্তিদের প্রথমজাত সন্তান খাওয়া-দাওয়া করবে

আর গরিব লোকেরা নিরাপদে শোবে,

কিন্তু আমি তোমার লোকদের* দুর্ভিক্ষের দ্বারা মেরে ফেলব

আর তোমার মধ্যে যারা বেঁচে যাবে, তাদের হত্যা করা হবে।

কারণ উত্তর দিক থেকে একটা সেনাবাহিনী ধোঁয়ার মতো এগিয়ে আসছে

আর সেই সেনাবাহিনীর মধ্যে কেউই পিছিয়ে পড়ে না।”

এই উত্তর দেবে যে, যিহোবা সিয়োনের ভিত্তি স্থাপন করেছেন

এবং তাঁর লোকদের মধ্যে দুঃখী লোকেরা সিয়োনে আশ্রয় নেবে।