শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর
এই জগতের দৃশ্যপট পরিবর্তন হচ্ছে।—১ করি. ৭:৩১.
যিহোবা চান যেন আমরা যুক্তিবাদী হই। আমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘লোকেরা আমার ব্যাপারে কী চিন্তা করে? আমি কি একজন যুক্তিবাদী ব্যক্তি? আমি কি মেনে নেওয়ার কিংবা রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি? আমি কি খুব কঠোর অথবা একগুঁয়ে ব্যক্তি? আমি কি অন্যদের জোরাজুরি করি যে, আমি যেটা বলছি, সেটাই সবার শোনা উচিত? না কি আমি অন্যদের কথা শোনার জন্য প্রস্তুত থাকি আর সম্ভব হলে আমি তাদের কথা মেনে নিই?’ আমরা যত বেশি অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাই কিংবা রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকি, তত বেশি আমরা যিহোবা ও যিশুকে অনুকরণ করি। আমাদের সেইসময় রদবদল করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে, যখন আমাদের পরিস্থিতি পালটে যায়। পরিস্থিতি পালটে যাওয়ার কারণে আমাদের সামনে এমন সমস্যাগুলো আসতে পারে, যেগুলোর বিষয়ে আমরা হয়তো কখনো চিন্তাও করিনি। হতে পারে, হঠাৎ করে আমরা অসুস্থ হয়ে পড়ি অথবা আর্থিক এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে আমাদের জীবন রাতারাতি ওলটপালট হয়ে যায়। (উপ. ৯:১১) এ ছাড়া, যিহোবার সংগঠনে আমাদের যে-দায়িত্ব বা কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটাতে হয়তো কোনো পরিবর্তন হয়েছে। আমরা যদি এই চারটে পদক্ষেপ নিই, তা হলে আমাদের জন্য সেই নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়ে যাবে: (১) এটা মেনে নিন যে, পরিস্থিতি পালটে গিয়েছে, (২) সামনের দিকে এগিয়ে চলুন, (৩) ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিন এবং (৪) অন্যদের জন্য কিছু করুন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ২১-২২ অনু. ৭-৮
শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর
তুমি অতিশয় প্রীতি-পাত্র।—দানি. ৯:২৩.
ভাববাদী দানিয়েল যখন কিশোরবয়সি ছিলেন, তখন তাকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে জেরুসালেমে তার ঘর থেকে অনেক দূরে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে, ব্যাবিলনের আধিকারিকেরা যখন তার “বাইরের চেহারা” দেখেছিল আর সেইসঙ্গে দেখেছিল যে, তিনি “নিষ্কলঙ্ক” এবং দেখতে “সুন্দর” আর এক বিশিষ্ট পরিবার থেকে এসেছেন, তখন তাদের দানিয়েলকে খুব ভালো লেগেছিল। (১ শমূ. ১৬:৭) তাই, তারা দানিয়েলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, যাতে তিনি রাজপ্রাসাদে সেবা করতে পারেন। (দানি. ১:৩, ৪, ৬) যিহোবাও দানিয়েলকে ভালোবাসতেন, কারণ যিহোবা দেখেছিলেন, দানিয়েল ভিতর থেকে কেমন, তার হৃদয় কেমন। তিনি দানিয়েলের বিষয়ে বলেছিলেন যে, নোহ এবং ইয়োবের মতো দানিয়েলও একজন ধার্মিক ব্যক্তি। ইয়োব ও নোহ দীর্ঘসময় ধরে অনুগতভাবে যিহোবার সেবা করেছিলেন এবং তাঁর দৃষ্টিতে এক সুনাম অর্জন করেছিলেন। কিন্তু, যিহোবা যখন দানিয়েলের বিষয়ে এই কথা বলেছিলেন, তখন তার বয়স হয়তো মাত্র ১৯ বা ২০ ছিল! (আদি. ৫:৩২; ৬:৯, ১০; ইয়োব ৪২:১৬, ১৭; যিহি. ১৪:১৪) দানিয়েল দীর্ঘসময় বেঁচে ছিলেন আর তার জীবনে অনেক উত্থান-পতন এসেছিল। তবে, যিহোবা কখনো তাকে একা ছেড়ে দেননি। এর পরিবর্তে, তিনি সবসময় তার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে গিয়েছিলেন।—দানি. ১০:১১, ১৯. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২ অনু. ১-২
রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর
সত্যের প্রস্থ, দৈর্ঘ্য, উচ্চতা ও গভীরতা কী, তা পুরোপুরিভাবে বোঝো।—ইফি. ৩:১৮.
আপনি যখন একটা বাড়ি কিনতে চান, তখন সমস্ত কিছু ভালোভাবে দেখার পরই আপনি সেই বাড়িটা কেনার সিদ্ধান্ত নেবেন। বাইবেল পড়া এবং সেটি নিয়ে অধ্যয়ন করার সময়ে আমরা এমনই কিছু করতে পারি। আপনি যদি এটি তাড়াহুড়ো করে পড়েন, তা হলে আপনি শুধুমাত্র এটির অল্প বিষয়ই জানতে পারবেন অর্থাৎ ‘ঈশ্বরের বাক্যের প্রথম বিষয়গুলোই জানতে পারবেন।’ (ইব্রীয় ৫:১২) কিন্তু, আমরা এমনটা করতে চাই না। আমরা সেই বিল্ডিংয়ের ভিতরে প্রবেশ করতে চাই অর্থাৎ সেটার সমস্ত কিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করতে চাই। এমনটা করার জন্য সবচেয়ে প্রথমে আমাদের চিন্তা করতে হবে, আমরা কোন সত্যগুলো বিশ্বাস করি আর আমাদের সেগুলো ভালোভাবে বুঝতে হবে। এরপর, আমাদের এটা জানার চেষ্টা করতে হবে যে, কেন আমরা তা বিশ্বাস করি। এ ছাড়া আমাদের বুঝতে হবে, বাইবেলের আলাদা আলাদা অংশে লেখা বিষয়গুলো কীভাবে একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ঈশ্বরের বাক্যকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য আমাদের এটিতে লেখা সত্যগুলো এবং গভীর বিষয়গুলো জানতে হবে। প্রেরিত পৌল খ্রিস্টান ভাই-বোনদের অনুরোধ করেছিলেন, তারা যেন ঈশ্বরের বাক্য ভালোভাবে অধ্যয়ন করে, যাতে তারা এটির ‘প্রস্থ, দৈর্ঘ্য, উচ্চতা ও গভীরতা কী, তা পুরোপুরিভাবে বুঝতে পারে।’ এমনটা করলে তারা ‘বিশ্বাসের ভিত্তির সঙ্গে সংযুক্ত থাকত’ এবং দৃঢ় হত। (ইফি. ৩:১৪-১৯) আমাদেরও তা-ই করতে হবে। প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ১৮ অনু. ১-৩