ইয়োব

 ২ “হ্যাঁ হ্যাঁ, সমস্ত প্রজ্ঞা তো তোমরাই পেয়েছ!

তোমরা মারা গেলে তো পৃথিবী থেকে প্রজ্ঞাই হারিয়ে যাবে!

 ৩ কিন্তু, আমারও বুদ্ধি আছে,

আমি কোনো দিক দিয়েই তোমাদের চেয়ে কম নই।

 ৪ আমি আমার সঙ্গীদের কাছে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছি,

আমি ঈশ্বরের কাছে বিনতি করি, যেন তিনি আমার কথা শোনেন।

 ৬ ডাকাতেরা তাদের তাঁবুতে শান্তিতে থাকে

আর যারা ঈশ্বরকে রাগিয়ে তোলে, তারা ততটাই সুরক্ষিত থাকে,

যতটা সেই লোকেরা, যারা তাদের দেবতাদের মূর্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।

 ৯ এদের মধ্যে কে না জানে,

যিহোবাই নিজের হাতে তাকে তৈরি করেছেন?

১০ প্রত্যেক প্রাণীর জীবন

এবং প্রত্যেক মানুষের শ্বাস তাঁরই হাতে রয়েছে।

১১ যেভাবে জিভ খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে,

সেভাবে কানও কি কথা পরীক্ষা করে না?

১৩ ঈশ্বরের কাছে প্রজ্ঞা ও শক্তি রয়েছে,

তাঁর বোঝার ক্ষমতা রয়েছে এবং তিনি তাঁর ইচ্ছা পরিপূর্ণ করবেন।

১৪ তিনি যেটাকে ভেঙে ফেলেন, সেটাকে পুনর্নির্মাণ করা যায় না,

তিনি যেটাকে বন্ধ করে দেন, সেটাকে কোনো মানুষ খুলতে পারে না।

১৫ তিনি যখন জল আটকে রাখেন, তখন সব কিছু শুকিয়ে যায়,

তিনি যখন সেটা ছেড়ে দেন, তখন পৃথিবী ডুবে যায়।

১৭ তিনি পরামর্শদাতাদের খালি পায়ে হাঁটান,*

তিনি বিচারকদের বোকা বানান।

১৮ রাজারা যে-বাঁধন বেঁধেছে, তিনি সেগুলো খুলে দেন

আর তিনি তাদের কোমরে কোমরবন্ধনী* পরান।

১৯ তিনি যাজকদের খালি পায়ে হাঁটান

আর যে-আধিকারিকেরা* শিকড় গেড়ে বসে আছে, তাদের উপড়ে ফেলেন।

২০ তিনি নির্ভরযোগ্য পরামর্শদাতাদের চুপ করিয়ে দেন

আর বয়স্ক ব্যক্তিদের* বিচারবুদ্ধি কেড়ে নেন।

২১ তিনি উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অপমান করান,

শক্তিশালী ব্যক্তিদের দুর্বল করে দেন।*

২২ তিনি গোপন বিষয়গুলো প্রকাশ করে দেন,

গাঢ় অন্ধকারকে আলোতে নিয়ে আসেন।

২৪ তিনি লোকদের নেতাদের কাছ থেকে বোঝার ক্ষমতা কেড়ে নেন

আর তিনি তাদের প্রান্তরে ঘোরান, যেখানে কোনো রাস্তা নেই।

২৫ তারা ঘন অন্ধকারে হাঁতড়ে বেড়ায়,

তিনি তাদের মাতালদের মতো ঘুরে বেড়াতে দেন।