ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ৬/১ পৃষ্ঠা ১০-১৪
  • যিহোবাকে শ্রদ্ধা করা–কেন ও কি ভাবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • যিহোবাকে শ্রদ্ধা করা–কেন ও কি ভাবে?
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শ্রদ্ধা দেবার অর্থ কি
  • কেন যিহোবা শ্রদ্ধার যোগ্য
  • কি ভাবে যিহোবাকে শ্রদ্ধা করবেন
  • সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যাদের সমাদর করা উচিত, তাদের সমাদর করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • অন্যদের সম্মান দেখান
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি সহবিশ্বাসীদেরকে সমাদরে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করেন?
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ৬/১ পৃষ্ঠা ১০-১৪

যিহোবাকে শ্রদ্ধা করা–কেন ও কি ভাবে?

“কেননা যাহারা আমাকে শ্রদ্ধা করে আমি তাহাদের শ্রদ্ধা করিব, কিন্তু যাহারা আমাকে তুচ্ছ করে তাহারা তুচ্ছীকৃত হইবে।”—শমূয়েল ২:৩০, NW.

১. কাদের নোবেল পুরষ্কার প্রদান করা হয়, তার মধ্যে কি কি অন্তর্ভুক্ত, এবং অনেকে এই পুরস্কারকে কিরূপে দেখে থাকে?

প্রত্যেক বৎসর স্ক্যান্‌ডিনেইভিয়্যান্‌ প্রতিষ্ঠানগুলি চারটে নোবেল পুরস্কার তাদের দিয়ে থাকেন যারা ‘বিগত বৎসরে মানবজাতির উপকারে সব থেকে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।’ এই পুরস্কারগুলি ছয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। নোবেল পুরস্কারকে অনেকে মনে করে থাকেন সব থেকে উচ্চ সম্মান যা কোন মনুষ্যকে প্রদান করা যেতে পারে।

২. যারা নোবেল পুরস্কার দিয়ে থাকে কাকে তারা উপেক্ষা করে, এবং কেন তিনি বিশেষ শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য?

২ যদিও যোগ্যতাসম্পন্ন মনুষ্যকে সম্মান দেওয়াতে কোন দোষ নেই, কিন্তু যারা এই সম্মান প্রদান করে থাকে তারা কি কখন মানবজাতির সর্বমহান্‌ উপকারদাতাকে শ্রদ্ধা দেবার কথা চিন্তা করেছে? সেই উপকারদাতা হলেন তিনি যিনি মানবজাতির জন্য অগণ্য উপকারসকল বর্ষণ করে আসছেন ৬,০০০ বৎসর পূর্বে প্রথম মানব মানবীকে সৃষ্টি করার সময় থেকে। প্রায়ই যে তাঁকে শ্রদ্ধা করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা দেখা যায় তা আমাদের ইলীহৃর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, যিনি প্রাচীণকালের ইয়োবের বন্ধু ছিলেন, তিনি লক্ষ্য করেন: “কেহ বলে না, ‘আমার নির্ম্মাতা ঈশ্বর কোথায়? যিনি রাত্রিকালে সঙ্গিত প্রদান করেন তিনি কোথায়?’” (ইয়োব ৩৫:১০; NW) আমাদের মহান্‌ উপকারদাতা নিয়মিতভাবে ‘আমাদের মঙ্গল করছেন, আকাশ থেকে আমাদের বৃষ্টি ও ফল উৎপাদনকারী ঋতুগণ দিচ্ছেন, এবং ভক্ষ্য ও আনন্দে আমাদের হৃদয়কে পূর্ণ করছেন।’ (প্রেরিত ১৪:১৬, ১৭; মথি ৫:৪৫) যিহোবা সত্যই “সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর” প্রদানকারী।—যাকোব ১:১৭.

শ্রদ্ধা দেবার অর্থ কি

৩. প্রধান ইব্রীয় ও গ্রীক কথাগুলি কি যা ব্যবহার করা হয়েছে “শ্রদ্ধার” ক্ষেত্রে, এবং তার অর্থগুলি কি কি?

৩ শ্রদ্ধা দেওয়ার প্রধান ইব্রীয় শব্দ হল, কা·বোদ‘, যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে “ভারী।” তাই যে ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা করা হচ্ছে তার দিকে তাকান হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ, প্রভাববিস্তারকারী, অথবা একজন কেউ বড় হিসাবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, এই ইব্রীয় শব্দটি কা·বোদ‘, শাস্ত্রে প্রায়ই অনুবাদ করা হয়েছে, “মহিমা” যা আরও ইঙ্গিত করে যে যাকে শ্রদ্ধা করা হচ্ছে তা কত প্রভাব বিস্তার করে অথবা তা তাকে কত গুরুত্বপূর্ণ দেখায়। আরও একটি ইব্রীয় শব্দ, ইয়াকর‘, শাস্ত্রে অনুবাদকরণে ব্যবহার করা হয়েছে “শ্রদ্ধা” বলে, অনুবাদে “বহুমূল্য” এবং “মূল্যবান বস্তু” হিসাবেও তা অনুবাদ করা হয়েছে। সেইকারণে ইব্রীয় শাস্ত্রে, শ্রদ্ধা ব্যবহার করা হয়েছে মহিমা এবং বহুমূল্য সম্বন্ধযুক্ত কথার সাথে। যে গ্রীক শব্দ থেকে “শ্রদ্ধা” কথা অনুবাদ করা হয়েছে তা হল টি·মি‘, আর এই কথাটিও একই অর্থ বহন করে উচ্চমূল্যসম্পন্ন, মূল্য, বহুমূল্য।

৪, ৫. (ক) একজন ব্যক্তিকে শ্রদ্ধা প্রদান করার অর্থ কি? (খ) কি ঘটনা যা বর্ণনা করা আছে ইষ্টের ৬:১-৯ উদাহরণস্বরূপ দেখায় যে একজনকে শ্রদ্ধা প্রদান করার সাথে কি জড়িত আছে?

৪ তাই একজন অন্যজনকে শ্রদ্ধা দেখাতে পারে তার প্রতি গভীর সম্মান দেখিয়ে এবং উচ্চমূল্য দিয়ে। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেলে বিশ্বস্ত যিহৃদী মর্দখয়ের যে বিবরণ দেওয়া আছে তা বিবেচনা করুন। এক ক্ষেত্রে মর্দখয় পারস্য রাজ অহশ্বেরশের প্রাণনাশের পরিকল্পনা ফাঁস করে দেন। পরে, এক রাত্রে যখন রাজা ঘুমাতে পারছিলেন না, তখন মর্দখয়ের কর্ম্মের প্রতি রাজার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তখন তিনি তার পরিচারকদের জিজ্ঞাসা করেন: “ইহার নিমিত্ত মর্দখয়কে কি সম্মান ও পদবৃদ্ধি করা গিয়াছে?” তারা উত্তর দেয়: “তাহার পক্ষে কিছুই করা যায় নাই।” কত সংযমী! মর্দখয় রাজার জীবন রক্ষা করেছিলেন, তবুও রাজা তার প্রতি উপলব্ধি দেখাতে ব্যর্থ হন।—ইষ্টের ৬:১-৩.

৫ সেইকারণে, এক সুবিধামত সময়, অহশ্বেরশ তার প্রধান মন্ত্রি, হামনকে জিজ্ঞাসা করেন, যার উপর রাজা দারুণ খুশী তাকে সব থেকে ভাল উপায়ে কি করে শ্রদ্ধা দেখান যেতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে হামন তার হৃদয়ে চিন্তা করল: “রাজা আমা ব্যতিরেকে আর কাহার সমাদর করিতে চাহিবেন?” তাই হামন বলেন সেই ব্যক্তিকে যেন “রাজকীয় পরিচ্ছদ” পরান হয় এবং “যে অশ্বে মহারাজ আহোরণ করিয়া থাকেন” তার উপর সে আহোরণ করুক। সে উপসংহারে বলে: “পরে তাহাকে সেই অশ্বারোহণে নগরের চকে লইয়া যাওয়া হউক, আর তার অগ্রে অগ্রে এই কথা ঘোষণা করা হউক, ‘রাজা যাহার সমাদর করিতে চাহেন, তাহার প্রতি এইরূপ ব্যবহার করা যাইবে।’” (ইষ্টের ৬:৪-৯, NW) একজন যাকে এইভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয় তাকে সমস্ত লোক উচ্চমূল্যসম্পন্ন জ্ঞান করবে।

কেন যিহোবা শ্রদ্ধার যোগ্য

৬. (ক) সবার উর্দ্ধে কে আমাদের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য? (খ) কেন যিহোবার ক্ষেত্রে “মহান্‌” এই কথাটি তাকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে?

৬ সমস্ত ইতিহাসে মানুষকে শ্রদ্ধা দেওয়া হয়েছে, বেশীরভাগ সময় সঙ্গত কারণ না থাকা সত্বেও। (প্রেরিত ১২:২১-২৩) তবুও সবার থেকে উপরে কে শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য? কেন, যিহোবা ঈশ্বর, অবশ্যই! তিনি আমাদের শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য কারণ তিনি নিশ্চিতরূপে মহান্‌। প্রায়ই তাঁর ক্ষেত্রে “মহান্‌” শব্দটী প্রয়োগ করা হয়েছে। তিনি হলেন সেই মহান্‌ জন, সেই মহান্‌ নির্ম্মাণকারী, সেই মহান্‌ সৃষ্টিকর্ত্তা, সেই মহান্‌ রাজা, সেই মহান্‌ শিক্ষাদাতা, সেই মহান্‌ প্রভু। (গীতসংহিতা ৪৮:২; উপদেশক ১২:১; যিশাইয় ৩০:২০; ৪২:৫; ৫৪:৫; হোশেয় ১২:১৪) তিনি যিনি মহান্‌ তিনি মহিমাময়, মহীয়ান্‌, উন্নীত, উচ্চ, সুবিখ্যাত, এবং সশ্রদ্ধ ভয়ের উৎপন্নকারী। যিহোবা কিছুর সাথে তুলনার উচ্চে, তাঁর সমকক্ষ কেউ নাই, তিনি সর্বোৎকৃষ্ট। এই ব্যাপারে তিনি নিজে সাক্ষ্য দেন, এই বলে: “তোমরা আমাকে কাহার সদৃশ ও কাহার সমান বলিবে, কিম্বা কাহার সহিত আমার উপমা দিলে আমরা পরস্পর সমান হইব?”—যিশাইয় ৪৬:৫.

৭. কমপক্ষে কতগুলি পথে বলা যেতে পারে যে যিহোবা হলেন অদ্বিতীয়, এবং কেন বলা যেতে পারে যে আধিপত্যের ক্ষেত্রে তিনি অতুলনীয়?

৭ যিহোবা ঈশ্বর কম করে সাতটি পথে অতুলনীয়, যা বিশেষ কারণ দেয় তাকে শ্রদ্ধা করার জন্য। প্রথমে, যিহোবা ঈশ্বর প্রধান শ্রদ্ধার যোগ্য কারণ তিনি অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিহীন। প্রভু যিহোবা হলেন সার্বভৌম কর্ত্তা—তিনি হলেন সর্বোচ্চ। তিনি আমাদের বিচারকর্ত্তা, আইনদাতা, এবং রাজা। স্বর্গে এবং পৃথিবীতে সব লোক তাঁর কাছে উত্তরদায়ী; কিন্তু তিনি কারো কাছে উত্তরদায়ী নন। সেই কারণে সঠিকভাবে তাকে বর্ণনা করা হয়েছে “মহান্‌, বীর্য্যবান্‌ এবং ভয়ঙ্কর।”—দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১৭; যিশাইয় ৩৩:২২; দানিয়েল ৪:৩৫.

৮. কেন বলা যেতে পারে যে যিহোবা প্রতিদ্বন্দ্বিহীন (ক) তাঁর পদের ক্ষেত্রে? (খ) তাঁর অনন্ত অস্তিত্বের ক্ষেত্রে?

৮ দ্বিতীয়, যিহোবা ঈশ্বর সব থেকে মহান্‌ শ্রদ্ধার দাবী রাখেন কারণ তাঁর তুলনাহীন পদের জন্য। তিনি হলেন “উচ্চ ও উন্নত,” সর্বমহান্‌। তিনি তার পার্থিব সব সৃষ্ট প্রাণীর থেকে ধারণাতীত ভাবে উপরে! (যিশাইয় ৪০:১৫; ৫৭:১৫; গীতসংহিতা ৮৩:১৮) তৃতীয়ত, যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দিতে হবে সবার থেকে উচ্চে কারণ তাঁর অনন্ত অস্তিত্ব অভেদ্য। তিনি একা যাঁর কোন আরম্ভ হয়নি, তিনি অনাদি থেকে অনন্ত পর্য্যন্ত আছেন।—গীতসংহিতা ৯০:২; ১ তীমথিয় ১:১৭.

৯. কোন দিক দিয়ে যিহোবা তুলনাহীন (ক) তাঁর মহিমার ক্ষেত্রে? (খ) তাঁর প্রধান গুণগুলির ক্ষেত্রে?

৯ চতুর্থ, যিহোবা ঈশ্বর কেন সব থেকে মহান্‌ শ্রদ্ধার দাবী রাখেন তাঁর ব্যক্তিগত মহিমার মহনীয়তার জন্য। তিনি হলেন “জ্যোতির্গণের সেই পিতা।” তাঁর ব্যক্তিত্ব এমনই উজ্জ্বল যে কোন মনুষ্য তা দেখে বেঁচে থাকতে পারে না। তিনি সত্যই সশ্রদ্ধ ভয় উৎপন্ন করেন। (যাকোব ১:১৭; যাত্রাপুস্তক ৩৩:২২; গীতসংহিতা ২৪:১০) পঞ্চম, আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে মহান্‌ শ্রদ্ধা দেবার জন্য ঋণি কারণ তার অপূর্ব গুণগুলির জন্য। তিনি হলেন সর্বশক্তিমান্‌, শক্তিতে অসীম; তিনি হলেন সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞায় অসীম; ন্যায়বিচারে তিনি সিদ্ধ; এবং তিনি প্রেমের প্রতিমূর্তি।—ইয়োব ৩৭:২৩; হিতোপদেশ ৩:১৯; দানিয়েল ৪:৩৭; ১ যোহন ৪:৮.

১০. কোন ভাবে যিহোবা হলেন অতুলনীয়? (ক) তাঁর সৃষ্টির কাজের জন্য এবং তার অধিকারী হওয়ার জন্য (খ) তাঁর নাম ও খ্যাতির জন্য?

১০ ষষ্ঠ, যিহোবা ঈশ্বর কেন আমাদের সব থেকে মহান্‌ শ্রদ্ধার যোগ্য তা হল তাঁর মহৎ সৃষ্টির কাজের জন্য। স্বর্গ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্ত্তা হিসাবে, তিনি সমস্ত কিছুর মহান্‌ অধিকারী। আমরা পড়ি গীতসংহিতা ৮৯:১১-তে: “আকাশমণ্ডল তোমার, পৃথিবীও তোমার।” সপ্তম, যিহোবা আমাদের ঈশ্বর শ্রদ্ধার যোগ্য অন্য সব কিছুর উপরে কারণ তিনি তুলনাহীন, তাঁর নাম এবং খ্যাতিতে তিনি অতুলনীয়। তিনি একা যিহোবা নাম বহন করেন, যার অর্থ “পরিণতিস্বরূপ ঘটার কারণ।”—আদিপুস্তক ২:৪, ফুটনোট দেখুন, NW.

কি ভাবে যিহোবাকে শ্রদ্ধা করবেন

১১. (ক) কতগুলি কি উপায়ে আমরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা করি? (খ) তাঁর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে আমরা কি করে দেখাতে পারি আমরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা করি?

১১ যিহোবার সকল গুণাবলী দৃষ্টিতে রেখে, আমরা তাঁকে কি ভাবে শ্রদ্ধা করব? যেমন আমরা দেখব, আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা দেখাতে পারি তাঁর প্রতি ভয় এবং ভক্তি দেখিয়ে, তাঁর বাধ্য হয়ে, আমাদের সকল পথে তাঁর সত্যতা স্বীকার করে, দান দিয়ে, তাঁর অনুকরণ করে, এবং তাঁর কাছে আবেদন জানিয়ে। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে পারি তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে, তাঁর উপর আস্থা রেখে যাই হোক না কেন। আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, “তুমি সমস্ত চিত্তে যিহোবাতে বিশ্বাস কর।” তাই আমরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা দেখাই তিনি যা বলেন তা বিশ্বাস করে। যেমন উদাহরণস্বরূপ, তিনি বলে থাকেন: “ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি। ব্যাকুল হইও না [ভয়ে], কারণ আমি তোমার ঈশ্বর। আমি তোমাকে পরাক্রম দিব। আমি তোমার সাহায্য করিব।” (হিতোপদেশ ৩:৫; যিশাইয় ৪১:১০, NW) তাঁর উপর পূর্ণ আস্থা রাখার ব্যাপারে ব্যর্থতা তাঁর প্রতি অশ্রদ্ধা বোঝাবে।

১২. যিহোবাকে শ্রদ্ধা করার ক্ষেত্রে বাধ্যতা ও ভয় কি অংশ রাখে?

১২ একটি খুব সম্বন্ধযুক্ত পথ যার মাধ্যমে আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দেখাই তা হল তাঁর বাধ্য হয়ে। আর বাধ্যতার জন্য আবশ্যক হচ্ছে ঐশিক ভয়, হ্যাঁ, ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করার ভয়। ভয় করা ও বাধ্য হওয়ার মধ্যে যে যোগ আছে তা দেখা যায় যিহোবার বাক্যে অব্রাহামের প্রতি যখন অব্রাহাম বাধ্যতার সাথে চেষ্টা করে তার পুত্র, ইস্‌হাককে বলি দিতে। “এখন আমি বুঝিলাম, তুমি ঈশ্বরকে-ভয় কর,” যিহোবা বলেন। (আদিপুস্তক ২২:১২) যখন পৌল আলোচনা করছিলেন যে ছেলেমেয়েরা তাদের পিতামাতার কাছে কি ধারে, প্রেরিত পৌল এও দেখান যে বাধ্যতা এবং শ্রদ্ধা একত্রে যায়। (ইফিষীয় ৬:১-৩) তাই ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করার দ্বারা, যেগুলি বোঝাস্বরূপ নয়, আমরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা করি। প্রশ্নাতীতভাবে, যিহোবা ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়ার অর্থ হবে তাঁকে অশ্রদ্ধা করা।—১ যোহন ৫:৩.

১৩. ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করা আমাদের পরিচালিত করবে কি মানসিকতা রাখতে আমাদের পরিকল্পনা ও কর্ম্মের ক্ষেত্রে?

১৩ অধিকতর রূপে, আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে তাঁর প্রাপ্য শ্রদ্ধা দিতে পারি তা হল হিতোপদেশ ৩:৬-এর উপদেশে মনোযোগ দিয়ে: “তোমার সমস্ত পথে তাঁহাকে লক্ষ্য কর [হ্যাঁ, তাঁকে স্বীকার কর], তাহাতে তিনি তোমার পথ সকল সরল করিবেন।” (NW) শিষ্য যাকোব আমাদের এই ব্যাপারে সঙ্গতিপূর্ণ ভাল উপদেশ দেন। দৈনন্দিন অগ্রগমনের ক্ষেত্রে নিজের উপর, এবং নিজের কর্মদক্ষতার উপর ভরসা না রেখে, আমাদের বলা উচিত: “যদি যিহোবার ইচ্ছা হয়, আমরা বাঁচিয়া থাকিব এবং এই কাজটি বা ও কাজটি করিব।” (যাকোব ৪:১৫) অনেক বৎসর পূর্বে ইন্টারন্যাশানাল বাইবেল স্টুডেন্টস-দের রীতি ছিল তারা ভবিষ্যতের সম্বন্ধে কোন উক্তি করলে তার সাথে এই সংক্ষিপ্তি যোগ করত ডি.ভি., যা প্রতিক ছিল ডিও ভোলেন্ট, যার অর্থ “যদি ঈশ্বরের ইচ্ছা হয়।”

১৪. (ক) আমাদের প্রচেষ্টার সাথে যোগ রেখে কি মানসিকতা আমাদের নেওয়া দরকার ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দেওয়ার ক্ষেত্রে? (খ) ওয়াচটাওয়ার সমিতির যে সাহিত্যাদিগুলি প্রকাশিত হয় তার প্রকাশনায় কি মানসিকতা লক্ষ্য করা যায়?

১৪ নম্র মনোভাব দেখিয়েও আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করে থাকি, এবং যে কোন সাফল্য আমরা উপভোগ করি তার জন্য ঈশ্বরকে কৃতিত্ব দিই। প্রেরিত পৌল সঠিকভাবে তার পরিচর্য্যা সম্বন্ধে পর্যবেক্ষণ করেন: “আমি রোপণ করিলাম, আপল্লো জল সেচন করিলেন, কিন্তু ঈশ্বর বৃদ্ধি দিতে থাকিলেন; অতএব রোপক কিছু নয়, সেচকও কিছু নয়, বৃদ্ধিদাতা ঈশ্বরই সার।” (১ করিন্থীয় ৩:৬, ৭) সত্যই, পৌল চিন্তিত ছিলেন ঈশ্বরের প্রাপ্য শ্রদ্ধা তাঁর প্রতি আনার জন্য, তার নিজের প্রতি বা অন্য কোন মনুষ্যদের প্রতি নয়। তাই, আজ, ওয়াচটাওয়ার সোসাইটির কোন সাহিত্যে যারা তা লিখেছে তাদের সনাক্ত করা হয় না, আর যারা লেখক তারা কি লিখেছে তা অন্যদের বলা এড়িয়ে চলে। এইভাবে, দৃষ্টি আরোপ করা হয় সংবাদের উপর, যা অঙ্কন করা হয়েছে যিহোবাকে শ্রদ্ধা করার জন্য, কোন মনুষ্যকে নয়।

১৫. কি অভিজ্ঞতা দেখায় যে কিছু ব্যক্তিদের যিহোবার সাক্ষীদের নম্রতা বুঝতে কষ্ট হয়?

১৫ এই নীতি যা মনোযোগ আকর্ষণ করে যিহোবার প্রতি, যা তাঁকে শ্রদ্ধা জানায়, অনেকের কাছে আশ্চর্য্যজনক। কয়েক বৎসর আগে, নিউ ইয়র্ক শহরের সেন্ট্রাল পার্কে যখন জনসাধারণে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সাউণ্ড সিস্টেম ঠিক করা হচ্ছিল, সাক্ষীরা সেই সিস্টেম পরীক্ষার জন্য কিংডম মেলোডিস টেপ বাজাচ্ছিলেন। ভাল-পোশাক পরিহিত এক দম্পতি একজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করে যে সংঙ্গীত কিসের। এই ভেবে যে ওই দম্পতি সাক্ষী, সে উত্তর দেয়: “এটা কিংডম মেলোডি নং. ৪।” “হ্যাঁ, কিন্তু কে এই সংঙ্গীত রচনা করেছে?” তারা জিজ্ঞাসা করে। সাক্ষী উত্তর দেয়: “যে, এর রচয়িতা সে অজ্ঞাত।” সেই দম্পতি উত্তর দেয়: “যে ব্যক্তিরা এইরূপ সংঙ্গীত রচনা করে তা অজ্ঞাত থেকে করে না।” সেই সাক্ষী উত্তর দেয়: “কিন্তু যিহোবার সাক্ষীরা করে।” হ্যাঁ, তারা এইরূপ করে যেন সব গৌরব যিহোবা ঈশ্বরের কাছে যায়!

১৬. কি বিভিন্ন উপায়ে আমরা আমাদের কণ্ঠকে ব্যবহার করতে পারি যাতে তা যিহোবা ঈশ্বরের জন্য শ্রদ্ধা নিয়ে আসে?

১৬ আর একটি পথে যিহোবাকে শ্রদ্ধা করার উপায় হল আমাদের ওষ্ঠকে ব্যবহার করা তাঁর বিষয় সাক্ষ্য দেবার জন্য। যদি আমরা সত্যই চিন্তিত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা আনার জন্য, তাহলে আমরা রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করার ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকব। আমরা তা করতে পারি ঘরে ঘরে প্রচার কাজ করার দ্বারা এবং অন্য যে সকল মাধ্যমগুলি খোলা আছে সেগুলি ব্যবহার করার দ্বারা, আর সাময়িক সাক্ষ্যদানের যে সুযোগগুলি আছে তা যেন উপেক্ষা না করি। (যোহন ৪:৬-২৬; প্রেরিত ৫:৪২; ২০:২০) এছাড়াও, আমাদের কণ্ঠস্বর দিয়ে ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করার আমাদের সুযোগ আছে মণ্ডলীর সভাগুলিতে, উভয়ভাবে উত্তর দিয়ে এবং রাজ্যের যে গানগুলি হয় তাতে হৃদয়ের সাথে গান করে। (ইব্রীয় ২:১২; ১০:২৪, ২৫) আমাদের প্রত্যহ দিনের কথাবার্তায়, আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করতে পারি আমাদের ওষ্ঠের দ্বারা। একটু চেষ্টা করলে, আমরা আমাদের কথাবার্ত্তা আত্মিক উন্নতিকর বিষয় চালিত করতে পারি, আর তা ফলস্বরূপ যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা নিয়ে আসবে।—গীতসংহিতা ১৪৫:২.

১৭. (ক) আমাদের সঠিক আচরণ যিহোবাকে শ্রদ্ধা করার ক্ষেত্রে কি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে? (খ) ভুল আচরণ কি প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসে?

১৭ আমাদের ওষ্ঠ দ্বারা যেমন যিহোবাকে শ্রদ্ধা দেওয়া ভাল, কিন্তু আমাদের আচরণের মাধ্যমেও তাঁকে শ্রদ্ধা দেওয়া প্রয়োজন। যীশু তাদের ভর্ৎসনা করেন যারা, ওষ্ঠে ঈশ্বরের শ্রদ্ধা করে, কিন্তু তাদের অন্তঃকরণ তাঁর থেকে অনেক দূরে থাকে। (মার্ক ৭:৬) ভুল আচরণ অবশ্যই যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি অশ্রদ্ধা নিয়ে আসবে। উদাহরণস্বরূপ, রোমীয় ২:২৩, ২৪, আমরা পড়ি: “তুমি যে ব্যবস্থার শ্লাঘা করিতেছ, তুমি কি ব্যবস্থালঙ্ঘন দ্বারা ঈশ্বরের অনাদর করিতেছ? কেননা ‘তোমাদের হইতে জাতিগণের মধ্যে ঈশ্বরের নাম নিন্দিত হইতেছে।’” সাম্প্রতিক বৎসরগুলিতে অনেক হাজারকে যিহোবার লোকদের মণ্ডলী থেকে সমাজচুত্য করা হয়েছে। সম্ভবত, আরও অধিক সংখ্যাকে সমাজচুত্য করা হয়নি যারা কলঙ্ককর কাজে লিপ্ত হয় কিন্তু সত্যিকারের পশ্চাতাপের মনোভাব প্রদর্শন করে। এই সব লোকেরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা করে তাদের ওষ্ঠের মাধ্যমে, কিন্তু তাদের আচরণের মাধ্যমে তা করতে ব্যর্থ হয়।

১৮. (ক) যারা যিহোবার কাছ থেকে অনেক অনুগ্রহ পেয়েছে যদি তারা যিহোবাকে সঠিক শ্রদ্ধা দেখাতে চায় তাহলে তাদের চিন্তার বিষয় কি হওয়া উচিত? (খ) মালাখির দিনে কিছু যাজকদের অবস্থা কিসের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার উপর নমুনাস্বরূপ?

১৮ যারা পূর্ণ-সময়ের প্রচারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যস্ত আছেন—তা বেথেলে হোক, ভ্রমণ অথবা মিশ্‌ন্‌রি কাজ, অথবা অগ্রগামী—তারা যিহোবার প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবার সুযোগের ক্ষেত্রে এক দারুণ অনুকূল পরিস্থিতিতে আছেন। তাদের দায়িত্ব হল যে কাজ তাদের দেওয়া হয় তা সব থেকে উত্তমরূপে সাধন করা, যাতে তারা ‘ক্ষুদ্রতম এবং প্রচুর বিষয় বিশ্বস্ত হয়।’ (লূক ১৬:১০) কিছু পথে তাদের যে সম্মানযোগ্য স্থান ছিল তা ব্যাখ্যা করা হয়, প্রাচীণ ইস্রায়েলের যাজক ও লেবীয়দের দ্বারা যদিও, তা নমুনাস্বরূপ নয়। যাহাহোক, মালাখির দিনের কিছু যাজকদের অবহেলার জন্য, যিহোবা তাদের বলেন: “আমি যদি পিতা হই, তবে আমার সমাদর কোথায়? আর আমি যদি প্রভু হই, তবে আমার প্রতি ভয় কোথায়?” (মালাখি ১:৬) সেই যাজকেরা ঈশ্বরের নামকে অবজ্ঞা করছিল তাঁকে, অন্ধ, খোঁড়া, এবং অসুস্থ পশু উৎসর্গ করে। যারা আজ সেবা করার বিশেষ সুযোগগুলিতে আছে তারা যদি তাদের সব থেকে ভাল দেবার চেষ্টা না করে, তাহলে তারা সেই একই ভর্ৎসনার যোগ্য যা যিহোবা ঈশ্বর সেই যাজকদের দেন। তারা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিফলকাম হবে।

১৯. (ক) যেমন লক্ষ্য করা যায় হিতোপদেশ ৩:৯, আরও কি ভাবে যিহোবাকে শ্রদ্ধা করা যায়? (খ) যিহোবাকে শ্রদ্ধা দেখানোর আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ কি?

১৯ আর এক উপায় আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দেখাতে পারি তা হল বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজ যা তিনি অনুমোদন করেছেন তার জন্য আর্থিক দান দিয়ে। আমাদের অনুরোধ করা হয়েছে “তুমি যিহোবাকে শ্রদ্ধা কর আপনার ধনে, আর তোমার সমস্ত দ্রব্যের অগ্রিমাংশে।” (হিতোপদেশ ৩:৯) এইরূপ ভাবে দান দিয়ে যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা করা হল একটি সুযোগ যা কেউ যেন উপেক্ষা না করে। আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা জানাতে পারি আমাদের প্রার্থনার মাধ্যমে, প্রশংসা ও ধন্যবাদ দিয়ে। (১ বংশাবলি ২৯:১০-১৩) বাস্তবে, যেহেতু আমরা তাঁর কাছে আসি নম্রতায় ও গভীর শ্রদ্ধায়, আমাদের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনায় আসা হল তাঁকে শ্রদ্ধা দেখান।

২০. (ক) সাধারণত জগতে লোকেরা কাদের শ্রদ্ধা করে থাকে, এবং কিভাবে? (খ) আর কোন আজ্ঞায় কর্ণপাত করে আমরা যিহোবাকে আরও শ্রদ্ধা দেখাতে পারি?

২০ আজ অনেক লোক, বিশেষ করে তরুণ তরুণীরা, যাদের দ্বারা তারা মুগ্ধ তাদের তারা শ্রদ্ধা দেখায় অনুকরণ করে—তাদের মত কথা বলে এবং তাদের মতন চালচলন করে। বেশীরভাগ সময় হয় তারা খেলাধূলার হিরোদের অথবা মনোরঞ্জন জগতের বড় অভিনেতাদের অনুকরণ করে। তুলনামূলক ভাবে, খ্রীষ্টান হিসাবে, আমরা যিহোবা ঈশ্বরকে শ্রদ্ধা দেখাব তাঁকে অনুকরণ করার প্রচেষ্টা করে। প্রেরিত পৌল আমাদের এইরূপ করতে অনুরোধ করেন, তিনি লেখেন: “প্রিয় বৎসদের ন্যায় তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও, আর প্রেমে চল।” (ইফিষীয় ৫:১, ২) হ্যাঁ, যিহোবাকে অনুকরণ করার ক্ষেত্রে প্রাণপণ করে, আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা দেখাই।

২১. (ক) কি আমাদের সুসজ্জিত করবে যিহোবাকে মহিমা ও শ্রদ্ধা দেবার জন্য? (খ) যারা তাঁকে শ্রদ্ধা করে যিহোবা তাদের কি পুরস্কার দিয়ে থাকেন?

২১ সত্যই, অনেক পথ আছে যেগুলির দ্বারা আমরা ঈশ্বরকে মহিমা ও শ্রদ্ধা দিতে পারি এবং আমাদের দেওয়া উচিত। আসুন আমরা ভুলে না যাই যে তাঁর বাক্য নিয়মিত অধ্যয়ন করার দ্বারা এবং তাঁর সাথে আরও ভাল ভাবে পরিচিত হওয়ার দ্বারা, আমরা তাঁকে আরও বেশী শ্রদ্ধা দেখাব। এইরূপ করার পুরস্কার কি? “যারা আমাকে শ্রদ্ধা করে,” যিহোবা বলেন, “আমি তাহাদের শ্রদ্ধা করিব।” (১ শমূয়েল ২:৩০, NW) যিহোবা তাঁর উপাসকদের সম্মানিত করবেন আনন্দে অনন্ত জীবন দিয়ে, হয় স্বর্গে তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের সাথে সহশাসক রূপে, অথবা পরমদেশ পৃথিবীতে থাকতে দিয়ে। (w91 2/1)

আপনার কি মনে আছে?

▫ মনুষ্যেরা সাধারণত কাদের শ্রদ্ধা করে থাকে, এবং কাকে তারা সাধারণত শ্রদ্ধা করতে উপেক্ষা করে?

▫ কাউকে শ্রদ্ধা করার অর্থ কি, আর কোন কোন পথে তা করা যেতে পারে?

▫ যিহোবা ঈশ্বর যে শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য তার কতগুলি মৌলিক কারণ কি?

▫ কতগুলি কি পথে আমরা যিহোবাকে শ্রদ্ধা করতে পারি?

▫ কি কি উপায়ে যিহোবা যারা তাঁকে শ্রদ্ধা করে তাদের পুরস্কৃত করেন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার