ফিলীমন ও ওনীষিম—খ্রীষ্টীয় ভ্রাতৃসমাজে ঐক্যবদ্ধ
পৌলের ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত পত্রগুলির একটি দুইজন ব্যক্তির সূক্ষ্ম সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে। তাদের একজন ছিলেন ফিলীমন এবং অন্যজন ছিলেন ওনীষিম। এই ব্যক্তিরা কারা ছিলেন? কোন্ বিষয়টি পৌলকে তাদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে আগ্রহী করে তুলেছিল?
পত্রটির প্রাপক ফিলীমন, এশিয়া মাইনরের কলসীতে বাস করতেন। সেই একই এলাকার অন্যান্য বহু খ্রীষ্টানদের বৈসাদৃশ্যে, ফিলীমন পৌলের পরিচিত ছিলেন কারণ তিনি এই প্রেরিতের প্রচার কাজের মাধ্যমে সুসমাচার গ্রহণ করেছিলেন। (কলসীয় ১:১; ২:১) পৌল তাকে একজন ‘প্রিয় সহকারী’ হিসাবে জানতেন। ফিলীমন বিশ্বাস ও প্রেমের এক দৃষ্টান্ত ছিলেন। তিনি অতিথিপরায়ণ ও তার সহখ্রীষ্টানদের কাছে সতেজতার এক উৎস ছিলেন। স্পষ্টতই ফিলীমন স্বচ্ছল ছিলেন, কেননা স্থানীয় মণ্ডলীর সভাগুলি অনুষ্ঠিত করার জন্য তার বাড়ি যথেষ্ট বড় ছিল। পৌলের পত্রে উল্লেখিত আরও দুইজন ব্যক্তি আপ্পিয়া এবং আর্খিপ্প তার স্ত্রী ও পুত্র হতে পারেন বলে মনে করা হয়ে থাকে। এছাড়াও ফিলীমনের কমপক্ষে একজন দাস ছিল, যার নাম ওনীষিম।—ফিলীমন ১, ২, ৫, ৭, ১৯খ, ২২.
রোমে এক পলাতক
শাস্ত্র আমাদের বলে না যে কেন ওনীষিম বাড়ি থেকে ১,৪০০ কিলোমিটার দূরে রোমে পৌলের সাথে ছিলেন, যেখানে প্রায় সা.কা. ৬১ সালে ফিলীমনের প্রতি পত্রটি লেখা হয়েছিল। কিন্তু পৌল ফিলীমনকে বলেছিলেন: “যদি [ওনীষিম] তোমার প্রতি কোন অন্যায় করিয়া থাকে, কিম্বা তোমার কিছু ধারে, তবে তাহা আমার বলিয়া গণ্য কর।” (ফিলীমন ১৮) এই কথাগুলি স্পষ্ট করে দেয় যে তার প্রভু, ফিলীমনের সাথে ওনীষিমের কিছু সমস্যা ছিল। পৌল এই দুই ব্যক্তির মধ্যে পুনরায় বন্ধুত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে পত্রটি লিখেছিলেন।
এটি মনে করা হয় যে ওনীষিম রোমে তার যাত্রার ব্যয় বহনের জন্য ফিলীমনের অর্থ চুরি করার পর পলাতক হন। সেখানে তিনি জনবহুল এলাকায় নিজেকে লুকিয়ে রাখতে মনস্থ করেছিলেন।a গ্রীক-রোমীয় জগতে, পলায়নের বিষয়টি কেবল কৃতদাসের মালিকদের জন্যই নয় কিন্তু লোক প্রশাসনের জন্যও একটি বিরাট সমস্যা ছিল। রোম, পলাতক দাসেদের জন্য “এক প্রথাসিদ্ধ আশ্রয়স্থান হিসাবে কুখ্যাত” ছিল।
পৌল কিভাবে ওনীষিমের দেখা পেয়েছিলেন? বাইবেল আমাদের তা বলে না। কিন্তু স্বাধীনতার আমেজ যখন হ্রাস পেয়েছিল, সম্ভবত ওনীষিম উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে তিনি নিজেকে এক চরম অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছেন। রোম নগরে এক বিশেষ পুলিশবাহিনী পলাতক দাসেদের ধরার জন্য অনুসন্ধান করতেন, যাদের অপরাধ প্রাচীন আইনে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলির মধ্যে একটি বলে পরিচিত ছিল। গারহার্ড ফ্রেড্রিকের মতানুসারে, “যে পলাতক দাসেদের ধরা হত তাদের কপালে ছাপ দেওয়া হত। তাদের প্রায়ই নির্যাতন করা হত . . . , সার্কাসের পশুদের মধ্যে নিক্ষেপ করা হত অথবা অন্যান্য দাসেদের তাদের উদাহরণ অনুকরণ করা থেকে বিরত করার জন্য ক্রুশবিদ্ধ করা হত।” ফ্রেড্রিক মনে করেন, সম্ভবত ওনীষিমের চুরি করা টাকা শেষ হয়ে গেলে এবং কোন মাথা গোঁজার স্থান অথবা চাকুরি খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়ে তিনি পৌলের সুরক্ষা চান ও তাকে এই বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে বলেন, যার সম্বন্ধে তিনি ফিলীমনের বাড়িতে শুনেছিলেন।
অন্যেরা মনে করেন, ওনীষিম তার প্রভুর এক বন্ধুর কাছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গিয়েছিলেন, এই আশা করে যে তার প্রভাবে হয়ত তিনি তার প্রভুর সাথে উত্তম সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করতে পারবেন যিনি তার প্রতি কোন যথার্থ কারণেই কিছুটা ক্রোধান্বিত ছিলেন। ঐতিহাসিক উৎসগুলি ইঙ্গিত করে যে “সমস্যাগ্রস্ত দাসেদের জন্য এটি ছিল একটি সাধারণ এবং বহুবিস্তৃত অবলম্বন।” যদি তাই হয়, তাহলে ওনীষিমের চুরি ছিল “পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার চেয়ে বরঞ্চ খুব সম্ভব মধ্যস্থকারী পৌলের কাছে তার যাত্রাটি সহজতর করার জন্য,” পণ্ডিত ব্রায়ান রেপস্কি বলেন।
পৌল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন
পলায়নের কারণ যাই হোক না কেন, স্পষ্টতই ওনীষিম তার ক্রুদ্ধ প্রভুর সাথে পুনরায় বন্ধুত্ব স্থাপন করতে পৌলের সাহায্য অন্বেষণ করেছিলেন। এই বিষয়টি পৌলকে সমস্যায় ফেলেছিল। তার সামনে এক প্রাক্তন অবিশ্বাসী দাস, একজন অপরাধী পলাতক ছিলেন। প্রেরিতের কি তাকে সাহায্য করার জন্য তার খ্রীষ্টীয় বন্ধুকে প্ররোচিত করা উচিত ছিল, যাতে করে সে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য তার বৈধ অধিকারকে প্রয়োগ না করেন? পৌলের কী করার ছিল?
যখন পৌল ফিলীমনের কাছে পত্র লিখেছিলেন তখন এই পলাতক স্পষ্টতই কিছু সময়ের জন্য প্রেরিতের সাথে ছিলেন। ওনীষিম একজন “প্রিয় ভ্রাতা” হয়ে উঠেছিলেন, পৌলের জন্য এটি বলার মত যথেষ্ট সময় অতিবাহিত হয়েছিল। (কলসীয় ৪:৯) “আমি নিজ বৎসের বিষয়ে, বন্ধন-দশায় যাহাকে জন্ম দিয়াছি, সেই ওনীষিমের বিষয়ে তোমাকে বিনতি করিতেছি,” ওনীষিমের সাথে তার নিজ আধ্যাত্মিক সম্পর্কের বিষয়ে পৌল এই কথাগুলি বলেছিলেন। সম্ভাব্য সমস্ত পরিণতির মধ্যে অবশ্যই এটি একটি যেটি সম্বন্ধে ফিলীমন সামান্যই আশা করেছিলেন। প্রেরিত বলেছিলেন, যে দাস পূর্বে “অনুপযোগী” ছিলেন, এখন একজন খ্রীষ্টীয় ভাই হিসাবে ফিরছেন। ওনীষিম এখন “উপকারজনক” বা “উপযোগী” হয়েছিলেন আর এইভাবেই তার নামের অর্থ অনুযায়ী যোগ্যরূপে জীবনযাপন করেছিলেন।—ফিলীমন ১, ১০-১২.
কারারুদ্ধ প্রেরিতের কাছে ওনীষিম খুবই উপযোগী হয়েছিলেন। বস্তুতপক্ষে, পৌল তাকে সেখানে রাখতে পারতেন কিন্তু তা আইনের বিরুদ্ধে যাওয়া ছাড়াও ফিলীমনের অধিকার লঙ্ঘন করা হত। (ফিলীমন ১৩, ১৪) ফিলীমনের গৃহে একত্রিত মণ্ডলীটির উদ্দেশ্যে প্রায় একই সময়ে লিখিত আরেকটি পত্রে পৌল, ওনীষিমকে “বিশ্বস্ত ও প্রিয় ভ্রাতা . . . যিনি তোমাদেরই একজন” বলে উল্লেখ করেছিলেন। এটি ইঙ্গিত করে যে ওনীষিম ইতিমধ্যেই তার নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছিলেন।—কলসীয় ৪:৭-৯.b
পৌল ফিলীমনকে উৎসাহিত করেছিলেন যেন তিনি দয়ার সাথে ওনীষিমকে গ্রহণ করেন কিন্তু তা করতে বা তার দাসকে মুক্তি দিতে প্রেরিত হিসাবে তিনি তার কর্তৃত্বকে ব্যবহার করেননি। তাদের বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক প্রেমের কারণে, পৌল নিশ্চিত ছিলেন যে তিনি যা বলেছিলেন ফিলীমন এমনকি “তদপেক্ষাও অধিক করিবে।” (ফিলীমন ২১) “তদপেক্ষাও অধিক” এর অর্থ হয়ত অস্পষ্ট থেকে যেতে পারে কারণ ওনীষিমের বিষয়ে শুধু ফিলীমনই ন্যায়সম্মত সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কেউ কেউ পৌলের বাক্যগুলিকে পলাতককে ‘তার কাছে ফিরিয়ে পাঠানোর’ এক নীরব অনুরোধ হিসাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন ‘যাতে করে তিনি পৌলকে সাহায্য করে যেতে পারেন যা তিনি ইতিমধ্যে শুরু করেছিলেন।’
ওনীষিমের বিষয়ে পৌলের অনুরোধের প্রতি কি ফিলীমন সম্মত হয়েছিলেন? তিনি যে সম্মত হয়েছিলেন এই বিষয়ে অল্পই সন্দেহ রয়েছে, যদিও এটি হয়ত কলসীর অন্যান্য দাস মালিকদের অসন্তুষ্ট করেছিল যারা হয়ত চেয়েছিলেন যে ওনীষিম যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় যাতে করে তার উদাহরণ অনুকরণ করা থেকে তাদের নিজস্ব দাসেরা বিরত থাকে।
ওনীষিম—এক পরিবর্তিত ব্যক্তি
যাইহোক, ওনীষিম এক নতুন ব্যক্তিত্ব নিয়ে কলসীতে ফিরে এসেছিলেন। তার চিন্তাধারা সুসমাচারের ক্ষমতা দ্বারা রূপান্তরিত হয়েছিল, নিঃসন্দেহে তিনি সেই নগরের খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর একজন বিশ্বস্ত সদস্য হয়েছিলেন। ফিলীমনের শাস্তি থেকে ওনীষিম মুক্তি পেয়েছিলেন কি না শাস্ত্র তা প্রকাশ করেনি। কিন্তু, আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই প্রাক্তন পলাতক একজন স্বাধীন ব্যক্তি হয়েছিলেন। (১ করিন্থীয় ৭:২২ পদের সাথে তুলনা করুন।) অনুরূপ পরিবর্তন বর্তমানেও দেখা যায়। লোকেরা যখন বাইবেলের নীতিগুলি তাদের জীবনে প্রয়োগ করেন, তখন পরিস্থিতি এবং ব্যক্তিত্ব পরিবর্তিত হয়। পূর্বে যাদেরকে সমাজের কাছে অনুপযোগী বলে মনে করা হত, তাদের আদর্শ নাগরিক হতে সাহায্য করা হয়।c
প্রকৃত বিশ্বাস কী এক ভিন্ন পরিবর্তনই না করেছিল! যেখানে পূর্বের ওনীষিম ফিলীমনের কাছে হয়ত “অনুপযোগী” ছিলেন, কিন্তু নতুন ওনীষিম নিঃসন্দেহে তার নাম অনুযায়ী “উপকারী” ব্যক্তি হিসাবে জীবনযাপন করেছিলেন। আর নিশ্চিতরূপে এটি একটি আশীর্বাদ যে ফিলীমন এবং ওনীষিম খ্রীষ্টীয় ভ্রাতৃসমাজে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন।
[পাদটীকাগুলো]
a রোমীয় আইন সারভাস ফিউজিটিভাস-কে (পলাতক দাস) ‘যে ফিরে না আসার অভিপ্রায়ে তার প্রভুকে ত্যাগ করে এমন এক ব্যক্তি’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করে।
b কলসীতে ফিরে যাওয়ার এই যাত্রায়, স্পষ্টত পৌলের তিনটি পত্র ওনীষিম ও তুখিককে দেওয়া হয়েছিল, যা এখন বাইবেলের স্বীকৃত অংশের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ফিলীমনের প্রতি এই পত্রটি ছাড়া অন্যগুলি ছিল ইফিষীয় এবং কলসীয়দের উদ্দেশ্যে লেখা পৌলের পত্র।
c আরও উদাহরণের জন্য দয়া করে সচেতন থাক! (ইংরাজি) জুন ২২, ১৯৯৬, পৃষ্ঠা ১৮-২৩; মার্চ ৮, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ১১-১৩; প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) আগস্ট ১, ১৯৮৯, পৃষ্ঠা ৩০-১; ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৯৭, পৃষ্ঠা ২১-৪ দেখুন।
[৩০ পৃষ্ঠার বাক্স]
রোমীয় আইনের অধীনে দাসেরা
সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে রোমীয় আইন কার্যকারী থাকা অবস্থায়, একজন দাস সম্পূর্ণরূপে তার প্রভুর খেয়াল, বাসনা এবং মানসিক অবস্থার অধীন থাকত। ভাষ্যকার গারহার্ড ফ্রেড্রিকের মতানুসারে “মৌলিকভাবে এবং আইনগতভাবে, একজন দাস এক ব্যক্তি ছিল না কিন্তু বস্তু ছিল যা তার মালিক অবাধে ব্যবহার করতে পারতেন। . . . [তাকে] গৃহপালিত পশু এবং হাতিয়ারের সমপর্যায়ভুক্ত বলে মনে করা হত আর রাষ্ট্রীয় আইন তাকে কোন ধরনের সহানুভূতি দেখাত না।” একজন দাস অবিচার ভোগ করার জন্য কোন বৈধ প্রতিকারের চেষ্টা করতে পারত না। মূলত তাকে কেবল তার প্রভুর আজ্ঞাগুলিই মেনে চলতে হত। হয়ত একজন ক্রুদ্ধ প্রভু যে শাস্তিগুলি ধার্য করতেন তার কোন সীমা থাকত না। এমনকি একটি সামান্য অপরাধের জন্য তিনি তাকে বাঁচিয়ে রাখার বা মৃত্যুদন্ড দেওয়ার ক্ষমতাকে ব্যবহার করতেন।*
যদিও একজন ধনী ব্যক্তি শত শত দাস রাখতে পারতেন, তবুও তুলনামূলকভাবে একটি সাধারণ পরিবারে দুই বা তিনজন দাস থাকত। “গৃহস্থালীর কাজে নিযুক্ত দাসেদের কাজগুলি বিভিন্ন রকমের ছিল,” পণ্ডিত জন বার্কলে বলেন। “যেহেতু আমরা দাসেদের তত্ত্বাবধায়ক, রাঁধুনি, পরিচারক, পরিষ্কারকারী, সংবাদবাহক, শিশু তত্ত্বাবধায়ক, স্তন্যধাত্রী এবং ব্যক্তিগত ভৃত্য হিসাবে দেখতে পাই তাই বলাবাহুল্য যে, একটি বৃহৎ ও সমৃদ্ধশালী গৃহে একজন ব্যক্তি বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিতদের দেখতে পারবেন। . . . বাস্তবিকপক্ষে, একজন গৃহকাজে নিযুক্ত দাসের জীবনাবস্থা অনেকাংশে তার প্রভুর ব্যক্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল ছিল আর তা উভয় প্রকার ফলই আনতে পারত: এক নিষ্ঠুর প্রভুর সান্নিধ্যে থাকার পরিণতি হত এক সীমাহীন মাত্রায় দুর্ভোগ কিন্তু একজন দয়ালু এবং উদার প্রভু জীবনকে সহনীয় ও আশাপ্রদ করে তুলতেন। নিষ্ঠুর আচরণের বিখ্যাত উদাহরণগুলি প্রাচীন সাহিত্যে নথিভুক্ত করা আছে, আবার দাস এবং মালিকদের মধ্যে উষ্ণ অনুভূতির সাক্ষ্যদানকারী প্রচুর প্রমাণও খোদিত রয়েছে।”
*প্রাচীন কালে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে দাসত্ব সম্বন্ধে, ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরাজি) খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৭৭-৯ দেখুন।