ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ১/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • আপনার প্রার্থনা কি “সুগন্ধি ধূপরূপে . . . সাজান”?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার প্রার্থনা কি “সুগন্ধি ধূপরূপে . . . সাজান”?
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করুন
  • যিহোবার প্রশংসা করুন ও তাঁকে ধন্যবাদ দিন
  • নম্রভাবে যিহোবার সাহায্য চান
  • যীশুর কাছ থেকে প্রার্থনা করতে শিখুন
  • আপনার প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করুন
  • প্রার্থনায় ঈশ্বরের নিকটবর্তী হোন
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • প্রার্থনা করার বিশেষ সুযোগকে মূল্যবান হিসেবে দেখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • যেভাবে ‘প্রার্থনা-শ্রবণকারীর’ নিকটবর্তী হওয়া যায়
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রার্থনার মাধ্যমে আপনি ঈশ্বরের নিকটবর্তী হতে পারেন
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ১/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫

আপনার প্রার্থনা কি “সুগন্ধি ধূপরূপে . . . সাজান”?

“আমার প্রার্থনা তোমার সম্মুখে সুগন্ধি ধূপরূপে . . . সাজান হউক।”—গীতসংহিতা ১৪১:২.

১, ২. ধূপ জ্বালানো কী চিত্রিত করত?

যিহোবা ঈশ্বর তাঁর ভাববাদী মোশিকে, ইস্রায়েল জাতির উপাসনা-তাম্বুতে ব্যবহার করার জন্য পবিত্র ধূপ তৈরি করার আদেশ দিয়েছিলেন। ঈশ্বরের বর্ণনা অনুসারে এতে সৌরভযুক্ত চার রকম বস্তু মিশানো হয়েছিল। (যাত্রাপুস্তক ৩০:৩৪-৩৮) ফলে স্বাভাবিকভাবেই এটা সুগন্ধি ছিল।

২ ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে করা নিয়ম চুক্তি অনুযায়ী প্রতিদিন ধূপ জ্বালাতে হতো। (যাত্রাপুস্তক ৩০:৭, ৮) ধূপ ব্যবহার করার কি কোন বিশেষ অর্থ ছিল? হ্যাঁ ছিল, কারণ গীতরচক গেয়েছিলেন: “আমার প্রার্থনা তোমার [যিহোবা ঈশ্বরের] সম্মুখে সুগন্ধি ধূপরূপে, আমার অঞ্জলি-প্রসারণ সান্ধ্য উপহাররূপে সাজান হউক।” (গীতসংহিতা ১৪১:২) প্রকাশিত বাক্যে প্রেরিত যোহন বর্ণনা করেন যে ঈশ্বরের স্বর্গীয় সিংহাসনের চারদিকে কিছু ব্যক্তি সোনার বাটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। অনুপ্রাণিত বিবরণটি জানায়, “সেই ধূপ পবিত্রগণের প্রার্থনাস্বরূপ।” (প্রকাশিত বাক্য ৫:৮) অতএব, সুগন্ধি ধূপ জ্বালানোর বিষয়টা যিহোবার দাসদের সন্তোষজনক প্রার্থনাকে চিত্রিত করত, যা তারা সবসময় করতেন।—১ থিষলনীকীয় ৩:১০; ইব্রীয় ৫:৭.

৩. ‘আমাদের প্রার্থনাকে ঈশ্বরের কাছে সুগন্ধি ধূপরূপে সাজাতে’ কী আমাদের সাহায্য করবে?

৩ আমরা যদি চাই যে ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শুনুন, তবে আমাদের অবশ্যই যীশু খ্রীষ্টের নামে প্রার্থনা করতে হবে। (যোহন ১৬:২৩, ২৪) কিন্তু, আমরা কিভাবে আমাদের প্রার্থনার গুণগত মানকে বাড়াতে পারি? শাস্ত্রের কয়েকটা উদাহরণে মন দিলে সেগুলো আমাদের প্রার্থনাকে যিহোবার কাছে ধূপরূপে সাজাতে সাহায্য করবে।—হিতোপদেশ ১৫:৮.

বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করুন

৪. সন্তোষজনক প্রার্থনার সঙ্গে কিভাবে বিশ্বাস যুক্ত?

৪ সুগন্ধি ধূপের মতো আমাদের প্রার্থনা যদি ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে হয় তবে আমাদের অবশ্যই বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করতে হবে। (ইব্রীয় ১১:৬) খ্রীষ্টান প্রাচীনেরা যখন দেখতে পান যে আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ কোন ব্যক্তি শাস্ত্রীয় সাহায্যের প্রতি সাড়া দেন, তখন তাদের “বিশ্বাসের প্রার্থনা সেই পীড়িত ব্যক্তিকে সুস্থ করিবে।” (যাকোব ৫:১৫) আমরা যদি বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করি তবে তা আমাদের স্বর্গীয় পিতাকে খুশি করে আর যখন আমরা প্রার্থনাপূর্বক ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করি, তিনি একইরকম আনন্দিত হন। গীতরচক এক সুন্দর মনোভাব দেখিয়েছেন যখন তিনি গেয়েছিলেন: “আমি তোমার আজ্ঞা সকলের কাছে অঞ্জলি উঠাইব, সে সকল আমি ভালবাসি, আমি তোমার বিধিকলাপ ধ্যান করিব। উত্তম বিচার ও জ্ঞান আমাকে শিখাও, কেননা আমি তোমার আজ্ঞাসমূহে বিশ্বাস করিয়া আসিতেছি।” (গীতসংহিতা ১১৯:৪৮, ৬৬) আসুন আমরা নম্রভাবে প্রার্থনা করে ‘আমাদের অঞ্জলি উঠাই’ এবং ঈশ্বরের আজ্ঞার সঙ্গে মিল রেখে বিশ্বাস দেখিয়ে চলি।

৫. প্রজ্ঞার অভাব হলে আমাদের কী করা উচিত?

৫ আমাদের হয়তো কোন পরীক্ষাকে মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় প্রজ্ঞার অভাব থাকতে পারে। আমরা হয়ত নিশ্চিত হতে পারছি না যে বাইবেলের কোন একটা বিশেষ ভবিষ্যদ্বাণী এখনই পূর্ণ হচ্ছে। তবে, এই বিষয়টা যাতে আমাদের আধ্যাত্মিক অবস্থাকে নড়বড়ে করে না দেয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আসুন আমরা প্রজ্ঞার জন্য প্রার্থনা করি। (গালাতীয় ৫:৭, ৮; যাকোব ১:৫-৮) আমরা নিশ্চয়ই আশা করতে পারি না যে ঈশ্বর অলৌকিকভাবে আমাদের প্রার্থনার উত্তর দেবেন। আমাদের প্রার্থনা যে আন্তরিক তা দেখানোর জন্য আমাদের সেইসব কাজ করা উচিত যা ঈশ্বর তাঁর লোকেদের কাছ থেকে আশা করেন। তাই আমাদের “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস”-দের দেওয়া প্রকাশনার সাহায্যে শাস্ত্র অধ্যয়ন করা দরকার যা আমাদের বিশ্বাসকে গড়ে তুলবে। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; যিহোশূয়ের পুস্তক ১:৭, ৮) এছাড়াও, আমাদের জ্ঞান বাড়ানোর জন্য ঈশ্বরের লোকেদের সভাগুলোতে নিয়মিত যোগ দেওয়া দরকার।—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫.

৬. (ক) আমাদের দিন ও বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা সম্বন্ধে আমাদের সকলের কী বোঝা উচিত? (খ) প্রার্থনায় যিহোবার নামকে পবিত্র করা ছাড়াও আমাদের কী করা উচিত?

৬ আজকে, কিছু খ্রীষ্টান ব্যক্তিগত স্বার্থ ও চাকরির পিছনে এমনভাবে ছুটছেন, যা দেখায় আমরা যে এখন ‘শেষকালের’ শেষ মুহূর্তে আছি সেই সম্বন্ধে তারা সচেতন নন। (দানিয়েল ১২:৪) উপযুক্তভাবেই খ্রীষ্টান ভাইবোনেরা এইসব ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা করতে পারেন, যেন তারা শাস্ত্রের প্রমাণ থেকে তাদের বিশ্বাসকে আবার সতেজ ও পুনরুজ্জীবিত করতে পারেন। আর শাস্ত্রের প্রমাণ দেখায় যে খ্রীষ্টের উপস্থিতি ১৯১৪ সালে শুরু হয়েছিল আর তখনই যিহোবা তাঁকে স্বর্গীয় রাজা হিসাবে অধিষ্ঠিত করেছেন এবং এখন তিনি তাঁর শত্রুদের মধ্যে শাসন করছেন। (গীতসংহিতা ১১০:১, ২; মথি ২৪:৩) আমাদের সকলের বোঝা উচিত যে ভাববাণী করা এই ঘটনাগুলো যেমন, “মহতী বাবিল” অর্থাৎ মিথ্যা ধর্মের বিনাশ, যিহোবার লোকেদের উপর মাগোগ দেশীয় গোগের নির্মম আক্রমণ এবং হর্‌মাগিদোনের যুদ্ধে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের দ্বারা তাদের উদ্ধার এই ঘটনাগুলো তুলনামূলকভাবে অল্প সময়ের মধ্যে, হঠাৎ করে একটার পর একটা এসে পড়বে। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬; ১৮:১-৫; যিহিষ্কেল ৩৮:১৮-২৩) তাই আসুন আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকার জন্য আমরা ঈশ্বরের সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করি। যিহোবার নামকে পবিত্র করার জন্য, তাঁর রাজ্য আসার জন্য এবং তাঁর ইচ্ছা যেমন স্বর্গে তেমনই পৃথিবীতে পূর্ণ হওয়ার জন্য আমরা সকলে যেন মনে-প্রাণে প্রার্থনা করি। হ্যাঁ, আমরা যেন বিশ্বাস দেখিয়ে চলি ও আমাদের প্রার্থনা যে সত্যই অন্তর থেকে তার প্রমাণ দিই। (মথি ৬:৯, ১০) তাই, যারা যিহোবাকে ভালবাসেন তারা সকলে যেন প্রথমে রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা করেন এবং শেষ আসার আগে যতটা সম্ভব সুসমাচার প্রচারে অংশ নেন।—মথি ৬:৩৩; ২৪:১৪.

যিহোবার প্রশংসা করুন ও তাঁকে ধন্যবাদ দিন

৭. ১ বংশাবলি ২৯:১০-১৩ পদে লিপিবদ্ধ দায়ূদের প্রার্থনার কোন্‌ বিষয়টা আপনার মনে ছাপ ফেলে?

৭ আমাদের ‘প্রার্থনাকে সুগন্ধি ধূপরূপে সাজানোর’ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল অন্তর থেকে ঈশ্বরের প্রশংসা করা ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। রাজা দায়ূদ ও ইস্রায়েলের লোকেরা যিহোবার মন্দির নির্মাণের জন্য দান করার সময় এভাবে প্রার্থনা করেছিলেন। দায়ূদ প্রার্থনা করেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, আমাদের পিতৃপুরুষ ইস্রায়েলের ঈশ্বর, তুমি অনাদিকাল অবধি অনন্তকাল পর্য্যন্ত ধন্য। হে সদাপ্রভু, মহত্ত্ব, পরাক্রম, গৌরব, জয় ও প্রতাপ তোমারই; কেননা স্বর্গে ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে, সকলই তোমার; হে সদাপ্রভু, রাজ্য তোমারই, এবং তুমি সকলের মস্তকরূপে উন্নত। তোমা হইতে ধন ও গৌরব আইসে, এবং তুমি সকলের উপরে কর্ত্তৃত্ব করিতেছ; তোমারই হস্তে বল ও পরাক্রম, এবং তোমারই হস্তে সকলকে মহত্ত্ব ও শক্তি দিবার অধিকার। আর এখন, হে আমাদের ঈশ্বর, আমরা তোমার স্তব করিতেছি, তোমার গৌরবান্বিত নামের প্রশংসা করিতেছি।”—১ বংশাবলি ২৯:১০-১৩.

৮. (ক) গীতসংহিতা ১৪৮ থেকে ১৫০ অধ্যায়ে প্রশংসার কোন্‌ বাক্যগুলো বিশেষ করে আপনার হৃদয়কে স্পর্শ করে? (খ) গীতসংহিতা ২৭:৪ পদে ব্যক্ত অনুভূতির মতো আমরাও যদি একই বিষয় দেখাতে চাই তবে আমরা কী করব?

৮ প্রশংসা ও ধন্যবাদ প্রকাশের জন্য এটা কতই না সুন্দর বাক্য! আমাদের প্রার্থনার ভাষা হয়তো এত সুন্দর নাও হতে পারে কিন্তু সেগুলো এর মতো আন্তরিক হতে পারে। গীতসংহিতা বইটি ধন্যবাদ ও প্রশংসা প্রার্থনায় ভরা। গীতসংহিতা ১৪৮ থেকে ১৫০ অধ্যায়ের মধ্যে প্রশংসা করার জন্য যথাযথ শব্দগুলো রয়েছে। বেশিরভাগ গীতে ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে। দায়ূদ গেয়েছিলেন, “সদাপ্রভুর কাছে আমি একটী বিষয় যাচ্ঞা করিয়াছি, তাহারই অন্বেষণ করিব, যেন জীবনের সমুদয় দিন সদাপ্রভুর গৃহে বাস করি, সদাপ্রভুর সৌন্দর্য্য দেখিবার ও তাঁহার মন্দিরে অনুসন্ধান করিবার জন্য।” (গীতসংহিতা ২৭:৪) আসুন আমরা এই প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে যিহোবার লোকেদের মণ্ডলীর বিভিন্ন কাজে উদ্যোগ ও উৎসাহের সঙ্গে অংশ নিই। (গীতসংহিতা ২৬:১২) এইরকম করলে ও ঈশ্বরের বাক্যের উপর দিন-রাত ধ্যান করলে আমরা যিহোবাকে আমাদের আন্তরিক প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর অনেক কারণ খুঁজে পাব।

নম্রভাবে যিহোবার সাহায্য চান

৯. রাজা আসা কিভাবে প্রার্থনা করেছিলেন এবং এর ফল কী হয়েছিল?

৯ যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমরা যদি তাঁকে মনে-প্রাণে সেবা করি তবে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে তাঁর সাহায্য চেয়ে প্রার্থনা করলে তিনি শুনবেন। (যিশাইয় ৪৩:১০-১২) যিহূদার রাজা, আসার কথা বিবেচনা করুন। তার ৪১ বছর শাসনের (সা.কা.পূ. ৯৭৭-৯৩৭ সাল) প্রথম দশ বছর শান্তি ছিল। এরপর কূশদেশীয় সেরহ দশ লক্ষ সৈন্য নিয়ে যিহূদাকে আক্রমণ করেন। যদিও তাদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল কিন্তু তবুও রাজা আসা তার লোকেদের নিয়ে আক্রমণকারীদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর যুদ্ধ শুরু করার আগে, তিনি সম্পূর্ণ মন-প্রাণ ঢেলে প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি যিহোবার রক্ষা করার ক্ষমতাকে স্বীকার করেছিলেন। সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে রাজা বলেছিলেন: “আমরা তোমার উপরে নির্ভর করি, এবং তোমারই নামে এই জন-সমারোহের বিরুদ্ধে আসিয়াছি। হে সদাপ্রভু, তুমি আমাদের ঈশ্বর, তোমার বিরুদ্ধে মর্ত্ত্য প্রবল না হউক।” যিহোবা যখন তাঁর মহা নামের জন্য যিহূদাকে রক্ষা করেছিলেন তখন সম্পূর্ণ জয় এসেছিল। (২ বংশাবলি ১৪:১-১৫) ঈশ্বর আমাদের কোন পরীক্ষা থেকে রক্ষা করুন আর নাই বা করুন অথবা আমাদের সহ্যশক্তি দেন বা নাই দেন, এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই যে তাঁর সাহায্য চেয়ে আমরা যে অনুরোধ জানাই তা তিনি অবশ্যই শোনেন।

১০. কোন একটা সমস্যা কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা যখন আমরা বুঝে উঠতে পারি না তখন রাজা যিহোশাফটের প্রার্থনা থেকে আমরা কিভাবে উপকার পেতে পারি?

১০ কোন একটা সমস্যাকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হবে তা যদি আমরা নাও জানি, তাবুও আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে সাহায্যের জন্য আমাদের আবেদন যিহোবা শুনবেন। আর এটা যিহূদা রাজ যিহোশাফটের দিনে সত্য হয়েছিল, যিনি সা.কা.পূ. ৯৩৬ সাল থেকে শাসন শুরু করে ২৫ বছর পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। মোয়াব, অম্মোন ও পাহাড়ি সেয়ীর অঞ্চলের যৌথ শক্তি যখন যিহূদাকে আক্রমণ করার হুমকি দিয়েছিল, তখন যিহোশাফট অনুরোধ করেছিলেন: “হে আমাদের ঈশ্বর, তুমি কি উহাদের বিচার করিবে না? আমাদের বিরুদ্ধে ঐ যে বৃহৎ দল আসিতেছে, উহাদের বিরুদ্ধে আমাদের ত নিজের কোন সামর্থ্য নাই; কি করিতে হইবে, তাহাও আমরা জানি না; আমরা কেবল তোমার দিকে চাহিয়া আছি।” যিহোবা সেই নম্র প্রার্থনার উত্তর দিয়েছিলেন, যিহূদার পক্ষ নিয়ে তিনি শত্রু সেনাদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছিলেন ফলে তারা একে অন্যকে হত্যা করেছিল। এই কারণে প্রতিবেশী জাতিগুলো ভয় পেয়েছিল এবং যিহূদায় শান্তি বজায় ছিল। (২ বংশাবলি ২০:১-৩০) তাই কোন সমস্যা মোকাবিলার জন্য আমাদের যদি প্রজ্ঞার অভাব দেখা দেয় তবে যিহোশাফটের মতো আমরাও প্রার্থনা করতে পারি: ‘কি করিতে হইবে তাহা আমরা জানি না; আমরা কেবল যিহোবার দিকে চাহিয়া আছি।’ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় এমন কোন শাস্ত্রীয় বিষয় পবিত্র আত্মা আমাদেরকে মনে করিয়ে দিতে পারে অথবা ঈশ্বর হয়তো আমাদেরকে এমন এক উপায়ে সাহায্য করতে পারেন, যা মানুষ চিন্তাও করতে পারে না।—রোমীয় ৮:২৬, ২৭.

১১. যিরূশালেমের প্রাচীরের বিষয়ে নহিমিয়ের কাজ থেকে প্রার্থনা সম্বন্ধে আমরা কী শিখতে পারি?

১১ ঈশ্বরের সাহায্যের জন্য আমাদের অবিরত প্রার্থনা করতে হতে পারে। যিরূশালেমের প্রাচীর ভেঙে যাওয়ায় ও যিহূদার লোকেদের প্রচণ্ড দুরবস্থা দেখে নহিমিয় দুঃখ করেছিলেন, কেঁদেছিলেন, উপবাস করেছিলেন। (নহিমিয় ১:১-১১) এটা পরিষ্কার যে তাঁর প্রার্থনা সুগন্ধি ধূপের মতোই ঈশ্বরের কাছে পৌঁছেছিল। একদিন নহিমিয়কে মনমরা দেখে পারস্য রাজ অর্তক্ষস্ত জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “তুমি কি ভিক্ষা চাও?” নহিমিয় বর্ণনা করেন, “তাহাতে আমি স্বর্গের ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিলাম।” সেই ছোট ও নীরব প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হয়েছিল কারণ নহিমিয়কে তার মনের ইচ্ছা পূর্ণ করার জন্য যিরূশালেমে গিয়ে এর প্রাচীর আবার নির্মাণ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।—নহিমিয় ২:১-৮.

যীশুর কাছ থেকে প্রার্থনা করতে শিখুন

১২. যীশুর আদর্শ প্রার্থনার মূল বিষয়গুলো কিভাবে আপনি আপনার নিজের ভাষায় বর্ণনা করবেন?

১২ শাস্ত্রে প্রার্থনাগুলোর মধ্যে, বিশেষ করে যীশুর আদর্শ প্রার্থনা থেকে শেখা যায় যে কিভাবে প্রার্থনা করতে হয়। যীশুর এই প্রার্থনা প্রকৃতই সুগন্ধি ধূপের মতো। লূকের সুসমাচার বলে: “[যীশুর] শিষ্যদের মধ্যে এক জন তাঁহাকে কহিলেন, প্রভু, আমাদিগকে প্রার্থনা করিতে শিক্ষা দিউন, যেমন যোহনও আপন শিষ্যদিগকে শিক্ষা দিয়াছিলেন। তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমরা যখন প্রার্থনা কর, তখন বলিও, পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক। তোমার রাজ্য আইসুক। আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রতিদিন আমাদিগকে দেও। আর আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি। আর আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না।” (লূক ১১:১-৪; মথি ৬:৯-১৩) আসুন আমরা এই প্রার্থনা নিয়ে আলোচনা করি, মুখস্থ করার জন্য নয় কিন্তু এটাকে আমরা নমুনা হিসাবে নিই।

১৩. “পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক” শব্দগুলোর অর্থকে আপনি কিভাবে বর্ণনা করবেন?

১৩ “পিতঃ, তোমার নাম পবিত্র বলিয়া মান্য হউক।” যিহোবাকে পিতা বলে ডাকা তাঁর উৎসর্গীকৃত দাসদের জন্য এক বিশেষ সুযোগ। একজন সন্তান যেমন তার যে কোন সমস্যা নিয়ে স্নেহময় বাবার কাছে ছুটে যায়, তেমনই আমাদেরও সম্মান ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ঈশ্বরের কাছে নিয়মিতভাবে প্রার্থনা করার জন্য সময় করে নিতে হবে। (গীতসংহিতা ১০৩:১৩, ১৪) আমাদের এমনভাবে প্রার্থনা করা উচিত যেন তা দেখায় যে আমরা যিহোবার নামকে পবিত্র করতে চাই কারণ ঈশ্বরের নামের উপর যে নিন্দা এসেছে তা থেকে এটাকে মুক্ত দেখার জন্য আমরা আকুলভাবে অপেক্ষা করে আছি। হ্যাঁ, আমরা যিহোবার নামকে পবিত্র হিসাবে আলাদা করতে চাই।—গীতসংহিতা ৫:১১; ৬৩:৩, ৪; ১৪৮:১২, ১৩; যিহিষ্কেল ৩৮:২৩.

১৪. “তোমার রাজ্য আইসুক” বলে প্রার্থনা করার অর্থ কী?

১৪ “তোমার রাজ্য আইসুক।” রাজ্য হল যিহোবার শাসনব্যবস্থা যা স্বর্গীয় মশীহ সরকারের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আর এই রাজ্যের কর্তৃত্ব যীশু ও তাঁর সহযোগী “পবিত্রগণ”-কে দেওয়া হয়েছে। (দানিয়েল ৭:১৩, ১৪, ১৮, ২৭; প্রকাশিত বাক্য ২০:৬) শীঘ্রই এটা পৃথিবীর এমন সব লোকেদের বিরুদ্ধে “আসিবে” এবং তাদের ধ্বংস করবে যারা ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বের বিরোধিতা করেন। (দানিয়েল ২:৪৪) তারপর স্বর্গের মতো পৃথিবীতেও যিহোবার ইচ্ছা পূর্ণ হবে। (মথি ৬:১০) যারা নিখিলবিশ্বের সার্বভৌম প্রভুকে নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা করছেন তাদের জন্য এটা কত আনন্দই না বয়ে আনবে!

১৫. যিহোবার কাছে ‘আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য’ চাওয়া কী বোঝায়?

১৫ “আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য প্রতিদিন আমাদিগকে দেও।” যিহোবার কাছে ‘প্রতিদিনের’ খাদ্য চাওয়া বোঝায় যে আমরা যিহোবার কাছে অনেক কিছুর জন্য অনুরোধ করি না বরং আমরা শুধু আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজন অনুসারে চাই। যদিও যিহোবার উপর আমাদের আস্থা আছে যে তিনি সবসময় আমাদের প্রয়োজনীয় বস্তু যোগাবেন তবুও খাদ্য ও অন্যান্য চাহিদাগুলো মেটানোর জন্য আমরা কাজ করি বা সঠিক ও উপযুক্ত সমস্তকিছু করে থাকি। (২ থিষলনীকীয় ৩:৭-১০) স্বর্গীয় যোগানদাতাকে আমাদের অবশ্যই ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কারণ সবকিছুর পিছনে তাঁর প্রেম, প্রজ্ঞা ও শক্তি রয়েছে।—প্রেরিত ১৪:১৫-১৭.

১৬. কিভাবে আমরা ঈশ্বরের ক্ষমা পেতে পারি?

১৬ “আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি।” আমরা অসিদ্ধ ও পাপী বলে সবসময় যিহোবার সিদ্ধ মানদণ্ড অনুযায়ী চলতে পারি না। তাই, ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমাদের যীশুর মুক্তির মূল্যের ভিত্তিতে প্রার্থনা করা দরকার। কিন্তু, আমরা যদি চাই যে আমাদের পাপের জন্য যে বলিদান দেওয়া হয়েছে তার মূল্যকে “প্রার্থনা-শ্রবণকারী” গ্রহণ করুন, তবে আমাদের অবশ্যই অনুতপ্ত হতে হবে এবং তিনি যে শাসনই আমাদের করুন না কেন, তা স্বেচ্ছায় মেনে নিতে হবে। (গীতসংহিতা ৬৫:২; রোমীয় ৫:৮; ৬:২৩; ইব্রীয় ১২:৪-১১) এছাড়াও আমরা কেবল তখনই ঈশ্বরের কাছ থেকে ক্ষমা আশা করতে পারি যখন আমরা “আপন আপন অপরাধীদিগকে ক্ষমা” করি যারা আমাদের বিরুদ্ধে পাপ করেন।—মথি ৬:১২, ১৪, ১৫.

১৭. “আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না” কথাগুলোর মানে কী?

১৭ “আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না।” বাইবেলের কোন কোন জায়গায় যদিও বলা আছে যে যিহোবা পরীক্ষা করেন, কিন্তু আসলে তিনি কেবল সেগুলো ঘটার অনুমতি দেন। (রূতের বিবরণ ১:২০, ২১) পাপ করার জন্য ঈশ্বর আমাদের প্রলোভিত করেন না। (যাকোব ১:১৩) দিয়াবল, আমাদের অসিদ্ধ মাংস এবং এই জগৎ থেকে পাপ করার প্রলোভন আসে। শয়তানই হল পরীক্ষক যে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করার জন্য প্ররোচিত করার চেষ্টা করে। (মথি ৪:৩; ১ থিষলনীকীয় ৩:৫) যখন আমরা অনুরোধ করি যে “আমাদিগকে পরীক্ষাতে আনিও না,” তখন আমরা ঈশ্বরের কাছে আবেদন করি যাতে যখন আমাদেরকে তাঁর অবাধ্য হওয়ার জন্য প্রলোভন দেখানো হয় তখন তিনি যেন আমাদেরকে অবাধ্য হতে না দেন। তিনি আমাদেরকে পরিচালনা দিতে পারেন যেন আমরা শয়তানের বশ্যতা স্বীকার না করি বা সেই ‘মন্দ ব্যক্তির’ দ্বারা প্রভাবিত না হই।—মথি ৬:১৩; ১ করিন্থীয় ১০:১৩.

আপনার প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করুন

১৮. বিবাহিত ও পারিবারিক জীবনে সুখী হওয়ার জন্য আমরা কিভাবে আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে পারি?

১৮ যীশুর আদর্শ প্রার্থনায় মুখ্য বিষয়গুলো ছিল কিন্তু আমরা যে কোন বিষয়ে প্রার্থনা করতে পারি। যেমন আমরা হয়তো সুখী বিবাহিত জীবনের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। বিয়ের আগে সতীত্ব বজায় রাখার জন্য আমরা হয়তো আত্মসংযম চেয়ে প্রার্থনা করতে পারি। কিন্তু সেইসঙ্গে আসুন আমরা আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করি অর্থাৎ অশ্লীল পত্রিকা ও আমোদপ্রমোদ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখি। এছাড়াও, আসুন আমরা ‘কেবল প্রভুতে বিবাহ’ করার জন্য স্থিরসংকল্প হই। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯; দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৩, ৪) বিয়ের পর সুখী হওয়ার জন্যও আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে হবে আর ঈশ্বরের পরামর্শ কাজে লাগানোর মাধ্যমেই তা সম্ভব। আর আমাদের যদি সন্তান থাকে, তবে তারা যেন যিহোবার একজন বিশ্বস্ত পরিচর্যাকারী হয় শুধু এই প্রার্থনা করাই যথেষ্ট নয়। ঈশ্বরের সত্যকে তাদের হৃদয়ে প্রবেশ করানোর জন্য আমাদের অবশ্যই মনপ্রাণ দিয়ে তাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন ও নিয়মিত খ্রীষ্টীয় সভাতে যোগ দিতে হবে।—দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৫-৯; ৩১:১২; হিতোপদেশ ২২:৬.

১৯. আমরা যদি আমাদের পরিচর্যা সম্বন্ধে প্রার্থনা করে থাকি তাহলে আমাদের কী করা উচিত?

১৯ আমরা কি পরিচর্যায় আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করছি? তাহলে আসুন আমরা এই প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করি ও রাজ্যের প্রচার কাজে যতটা পারি অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ করি। আমরা যদি অন্যদেরকে অনন্ত জীবনের পথে আসতে সাহায্য করার জন্য সুযোগ করে দেওয়ার প্রার্থনা করি তবে, আমাদের অবশ্যই আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানা ভালভাবে লিখে রাখতে হবে এবং আমাদের তালিকায় গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন করার বিষয়টাকেও ঢুকাতে হবে। আমরা যদি পূর্ণ সময়ের প্রচার কাজ করতে চাই তাহলে কী করতে হবে? তাহলে আসুন আমরা আমাদের প্রচারের কাজকে বাড়িয়ে ও পরিচর্যায় অগ্রগামীদের সঙ্গে অংশ নিয়ে আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করি। এইধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দেখাবে যে আমরা আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করছি।

২০. পরের প্রবন্ধে কোন্‌ বিষয় আলোচনা করা হবে?

২০ আমরা যদি যিহোবাকে বিশ্বস্তভাবে সেবা করে থাকি, তাহলে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁর ইচ্ছার সঙ্গে মিল রাখে এমন প্রার্থনার উত্তর তিনি দেবেন। (১ যোহন ৫:১৪, ১৫) বাইবেলের কয়েকটা প্রার্থনা পরীক্ষা করে নিশ্চয়ই আমরা উপকারজনক কিছু বিষয় শিখেছি। আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধ তাদের জন্য অন্যান্য শাস্ত্রীয় নির্দেশনাগুলো আলোচনা করবে, যারা ‘তাদের প্রার্থনাকে যিহোবার কাছে সুগন্ধি ধূপরূপে সাজাতে’ চান।

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ আমাদের কেন বিশ্বাস নিয়ে প্রার্থনা করা উচিত?

◻ আমাদের প্রার্থনায় প্রশংসা ও ধন্যবাদ কোন্‌ ভূমিকা রাখবে?

◻ কেন আমরা নিশ্চিতভাবে প্রার্থনায় যিহোবার সাহায্য আশা করতে পারি?

◻ আদর্শ প্রার্থনার কিছু মূল বিষয় কী?

◻ কিভাবে আমরা আমাদের প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে পারি?

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

রাজা যিহোশাফটের মতো কখনও কখনও আমাদের এইরকম প্রার্থনা করার প্রয়োজন হতে পারে: ‘কি করিতে হইবে তাহা আমরা জানি না; আমরা কেবল যিহোবার দিকে চাহিয়া আছি’

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি যীশুর আদর্শ প্রার্থনার সঙ্গে মিল রেখে প্রার্থনা করেন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার