ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৩ ৯/১ পৃষ্ঠা ১৯-২২
  • “মণ্ডলীর মধ্যে” যিহোবার প্রশংসা করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “মণ্ডলীর মধ্যে” যিহোবার প্রশংসা করুন
  • ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • জনসাধারণ্যে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করুন
  • উন্নতি করার কিছু প্রস্তাব
  • সভাগুলো যারা পরিচালনা করে তাদের ভূমিকা
  • মন্তব্য করা হল এক বিশেষ সুযোগ
  • সভাগুলোতে একে অন্যকে উৎসাহিত করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৩
  • মণ্ডলীতে যিহোবার প্রশংসা করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৯
  • কীভাবে সভাতে উত্তম মন্তব্য করা যায়?
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০১৬
  • আপনি কি খ্রিস্টীয় সভাগুলোকে গঠনমূলক করে তোলায় অংশ নেন?
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৩ ৯/১ পৃষ্ঠা ১৯-২২

“মণ্ডলীর মধ্যে” যিহোবার প্রশংসা করুন

যিহোবার লোকেদের আধ্যাত্মিকভাবে শক্তিশালী রাখতে খ্রিস্টীয় সভাগুলো হল তাঁরই করা এক আয়োজন। সভাগুলোতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার দ্বারা আমরা যিহোবার আয়োজনগুলোর প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা দেখাই। এ ছাড়া, আমরা “প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে . . . [আমাদের ভাইবোনদের] উদ্দীপিত করিয়া তুলিতে” সক্ষম হই, যা পরস্পরের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন করার এক গুরুত্বপূর্ণ উপায়। (ইব্রীয় ১০:২৪; যোহন ১৩:৩৫) কিন্তু, কীভাবে আমরা সভাগুলোতে আমাদের ভাইবোনদের উদ্দীপিত করতে পারি?

জনসাধারণ্যে নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করুন

রাজা দায়ূদ নিজের সম্বন্ধে লিখেছিলেন: “আমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে তোমার নাম প্রচার করিব; সমাজের [“মণ্ডলীর,” NW] মধ্যে তোমার প্রশংসা করিব। মহাসমাজে [“বড় মণ্ডলীতে,” NW] তোমা হইতে আমার প্রশংসা জন্মে।” “আমি মহাসমাজের [“বড় মণ্ডলীর,” NW] মধ্যে তোমার স্তব করিব, বলবান জাতির মধ্যে তোমার প্রশংসা করিব।” “আমি মহাসমাজে [“বড় মণ্ডলীতে,” NW] ধর্ম্মশীলতার মঙ্গলবার্ত্তা প্রচার করিয়াছি; দেখ, আমার ওষ্ঠাধর রুদ্ধ করি না।”—গীতসংহিতা ২২:২২, ২৫; ৩৫:১৮; ৪০:৯.

প্রেরিত পৌলের দিনে খ্রিস্টানরা যখন উপাসনা করতে সমবেত হতো, তখন তারাও একইভাবে যিহোবার ওপর তাদের বিশ্বাস ও তাঁর গৌরব সম্বন্ধে অভিব্যক্তি প্রকাশ করত। এভাবে তারা পরস্পরকে উৎসাহিত এবং প্রেম ও সৎক্রিয়ায় পরস্পরকে উদ্দীপিত করে তুলত। দায়ূদ ও পৌল উভয়ের দিন থেকে বহু শতাব্দী পর, আমাদের দিনে আমরা সত্যিই ‘[যিহোবার] সেই দিন . . . সন্নিকট হইতে দেখিতেছি।’ (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) শয়তানের বিধিব্যবস্থা ধ্বংসের দিকে টলমল অবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে এবং সমস্যাগুলো কেবল বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। তাই আমাদের অধিক ‘ধৈর্য্যের প্রয়োজন আছে।’ (ইব্রীয় ১০:৩৬) ধৈর্য ধরার জন্য উৎসাহ দিতে আমাদের ভাইবোনেরা ছাড়া আর কারা আছে?

প্রাচীন কালের মতো আজকের দিনে, ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাসীদের “মণ্ডলীর মধ্যে” তাদের বিশ্বাসের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার আয়োজনগুলো করা হয়েছে। সবার জন্য যে-সুযোগটি খোলা রয়েছে তা হল, মণ্ডলীর সভাগুলোতে শ্রোতাদের উদ্দেশে করা প্রশ্নগুলোর উত্তরে বিভিন্ন মন্তব্য করা। এটা যে-ভাল কিছু সম্পাদন করতে পারে, সেটাকে তুচ্ছ করবেন না। উদাহরণ হিসেবে, যে-মন্তব্যগুলো দেখায় যে কীভাবে সমস্যাগুলো কাটিয়ে ওঠা বা এড়ানো যায়, সেগুলো আমাদের ভাইবোনদের বাইবেলের নীতিগুলোকে মেনে চলার জন্য তাদের সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে। যে-মন্তব্যগুলোতে উদ্ধৃত নয় কিন্তু উল্লেখিত রয়েছে এমন শাস্ত্রপদগুলোর যখন ব্যাখ্যা দেওয়া হয় অথবা ব্যক্তিগতভাবে করা গবেষণার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তখন সেগুলো অন্যদেরকে অধ্যয়নের ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে উৎসাহিত করতে পারে।

আমরা যদি সভাগুলোতে মন্তব্য করি, তা হলে তা আমাদের ও অন্যদের উপকৃত করবে, এই বিষয়টি উপলব্ধি করা যিহোবার সাক্ষিদের সবাইকে ভীরুতা অথবা স্বল্পভাষী হওয়াকে কাটিয়ে উঠতে প্রেরণা দেবে। এটা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে, প্রাচীন ও পরিচারক দাসেরা যেন সভাগুলোতে মন্তব্য করে কারণ তাদের কাছ থেকে আশা করা হয় যে, তারা সভায় মন্তব্য দেওয়ায় ও সেইসঙ্গে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে নেতৃত্ব নেবে। কিন্তু, একজন ব্যক্তির যদি খ্রিস্টীয় পরিচর্যার এই নির্দিষ্ট দিকটি তার জন্য কঠিন বলে মনে হয়, তা হলে তিনি কীভাবে উন্নতি করতে পারেন?

উন্নতি করার কিছু প্রস্তাব

স্মরণে রাখবেন যে, যিহোবা এতে জড়িত। জার্মানিতে বসবাসরত একজন খ্রিস্টান বোন ব্যাখ্যা করেন যে, তিনি তার মন্তব্যগুলোকে কোন দৃষ্টিতে দেখেন। “এগুলো হল ঈশ্বরের লোকেদের তাদের বিশ্বাসকে প্রকাশ করতে বাধা দেওয়ার জন্য শয়তানের প্রচেষ্টার পরিপ্রেক্ষিতে আমার ব্যক্তিগত উত্তর।” একজন নতুন বাপ্তাইজিত ভাই যিনি সেই একই মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করেন, তিনি বলেন: “মন্তব্য করার ব্যাপারে আমি বহুবার প্রার্থনা করি।”

ভালভাবে প্রস্তুত হোন। আপনি যদি অধ্যয়নের বিষয়বস্তুটি আগে থেকে না পড়ে থাকেন, তা হলে মন্তব্য করা আপনার জন্য কঠিন হবে এবং আপনার মন্তব্যগুলো অতটা কার্যকারী হবে না। মণ্ডলীর সভাগুলোতে মন্তব্য করার বিষয়ে ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে উপকার লাভ করুন (ইংরেজি) বইয়ের ৭০ পৃষ্ঠায় কিছু প্রস্তাব দেওয়া রয়েছে।a

প্রত্যেকটা সভায় অন্তত একটা মন্তব্য করার লক্ষ্য রাখুন। এর অর্থ বেশ কয়েকটা উত্তর তৈরি করে রাখা কারণ যত বেশি আপনি হাত তুলবেন, যে-ভাই পরিচালনা করছেন, তিনি হয়তো তত বেশি আপনাকে উত্তর দিতে বলতে পারেন। এমনকি আপনি হয়তো তাকে আগে থেকে বলে রাখতে চাইবেন যে, কোন প্রশ্নের উত্তরগুলো আপনি প্রস্তুত করে রেখেছেন। এটা বিশেষ করে সাহায্যকারী যদি আপনি একজন নতুন ব্যক্তি হন। যেহেতু আপনি হয়তো “বড় মণ্ডলীতে” হাত তুলতে একটু ইতস্তত বোধ করেন, তাই এটা জানা যে এই অনুচ্ছেদটি আপনার এবং যিনি সভা পরিচালনা করছেন তিনি আপনার হাতের দিকে লক্ষ রাখবেন, আপনাকে মন্তব্য করার জন্য উৎসাহিত করবে।

শুরুতেই মন্তব্য করুন। একটা কঠিন কাজকে পরে করার জন্য রেখে দেওয়া সেটাকে সহজ করে তোলে না। সভার শুরুতেই মন্তব্য করা সাহায্যকারী হতে পারে। আপনি দেখে অবাক হবেন যে, প্রথমবার মন্তব্য করার বাধাটি অতিক্রম করার পর দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় বার মন্তব্য করা কত সহজ হয়ে ওঠে।

বসার উপযুক্ত জায়গা বেছে নিন। কেউ কেউ কিংডম হলের সামনের দিকে বসলে মন্তব্য করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। সেখানে অন্যমনস্ক করে দেওয়ার মতো খুব কম বাধা থাকে এবং যিনি পরিচালনা করেন তার তাদেরকে না দেখার সম্ভাবনা কম থাকে। আপনি যদি তা চেষ্টা করেন, তা হলে যথেষ্ট জোরে উত্তর দেবেন যাতে সবাই শুনতে পায়, বিশেষ করে যদি মণ্ডলী রোভিং মাইক্রোফোন ব্যবহার না করে।

মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এটা আপনাকে সেই বিষয়গুলো পুনরাবৃত্তি করা এড়িয়ে চলতে সাহায্য করবে, যেগুলো অন্য একজন সবেমাত্র বলেছে। এ ছাড়া, অন্যদের করা মন্তব্য হয়তো আপনাকে এমন একটা শাস্ত্রপদ বা একটা বিষয়ের কথা মনে করিয়ে দিতে পারে, যা এইমাত্র মন্তব্য করা চিন্তাধারার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মাঝে-মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতা হয়তো আলোচনার বিষয়বস্তুকে স্পষ্ট করতে পারে। এই ধরনের মন্তব্যগুলো খুব সাহায্যকারী।

নিজের ভাষায় উত্তর দিতে শিখুন। অধ্যয়নের বিষয়বস্তু থেকে পড়ে মন্তব্য করা হয়তো ইঙ্গিত করবে যে, আপনি সঠিক উত্তরটি পেয়েছেন এবং মন্তব্য দিতে শুরু করার এটি এক ভাল উপায় হতে পারে। কিন্তু নিজের ভাষায় উত্তর দেওয়ায় উন্নতি করা দেখাবে যে, আপনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমাদের প্রকাশনায় দেওয়া কথাগুলোকেই হুবহু উদ্ধৃতি করার কোনো প্রয়োজন নেই। যিহোবার সাক্ষিরা তাদের প্রকাশনাগুলোতে যা বলা আছে শুধু সেগুলো হুবহু বলে না।

বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত মন্তব্য করুন। যে-মন্তব্যগুলো বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয় অথবা যেগুলো মূল আলোচিত চিন্তাধারা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে যায় সেগুলো অনুপযুক্ত। এটার অর্থ হল যে, আপনার মন্তব্যগুলো আলোচনার বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকা উচিত। তা হলেই সেগুলো আলোচিত বিষয়বস্তুকে এক আধ্যাত্মিক গঠনমূলক আলোচনা করে তোলায় অবদান রাখবে।

উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্য রাখুন। যেহেতু মন্তব্য করার এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল অন্যদের উৎসাহ দেওয়া, তাই আমরা সেই বিষয়গুলো বলা এড়িয়ে চলব যেগুলো তাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে। এ ছাড়া, পুরো অনুচ্ছেদের ওপর এতটা বিস্তারিতভাবে মন্তব্য করবেন না যে অন্যদের বলার জন্য কিছুই থাকে না। দীর্ঘ ও জটিল উত্তরগুলো অর্থকে অস্পষ্ট করতে পারে। অল্প কথায় বলা উত্তরগুলো খুব কার্যকারী হতে পারে এবং এগুলো নতুন ব্যক্তিদের অল্প কথায় উত্তর দিতে উৎসাহিত করবে।

সভাগুলো যারা পরিচালনা করে তাদের ভূমিকা

উৎসাহ দানের বিষয়টা যখন আসে, তখন যিনি সভা পরিচালনা করছেন তার এক গুরু দায়িত্ব রয়েছে। তিনি অন্য কিছুতে মগ্ন না থেকে প্রত্যেকটা মন্তব্য মনোযোগ দিয়ে শুনে এবং যিনি মন্তব্য করছেন তার দিকে বিনম্রভাবে তাকিয়ে তিনি সত্যিকারের আগ্রহ দেখান। এটা কত অনুপযুক্তই না হবে, যদি তিনি মনোযোগ দিয়ে না শোনেন আর এর ফলে, সবেমাত্র বলা বিষয়গুলোকে অযথা পুনরাবৃত্তি করেন অথবা সবেমাত্র উত্তর দেওয়া হয়েছে সেই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন!

এ ছাড়া, এটাও নিরুৎসাহজনক হবে যদি পরিচালক সবেমাত্র করা কোনো মন্তব্যকে একটু ঘুরিয়ে অন্য কথায় নিয়মিত পুনরাবৃত্তি করেন, এটা দেখাতে যে মন্তব্যটি যেন কোনোভাবে পূর্ণাঙ্গ ছিল না। অন্যদিকে, এটা কতই না উৎসাহজনক যখন মন্তব্যগুলো এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর ওপর আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অবদান রাখে। ‘কীভাবে আমরা নিজেদের মণ্ডলীতে এটা প্রয়োগ করতে পারি?’ অথবা ‘অনুচ্ছেদের কোন শাস্ত্রপদটি সবেমাত্র মন্তব্য করা বিষয়টিকে সমর্থন করে?’ এই ধরনের প্রশ্নগুলোই ইতিবাচক মন্তব্যগুলো করতে উৎসাহিত করে, যেগুলো এক মূল্যবান অবদান রাখে।

বিশেষ করে নতুন বা লাজুক ব্যক্তিদের অবশ্যই প্রশংসা করা দরকার, যখন তারা কোনো মন্তব্য করে। এটা হয়তো অধ্যয়নের পর ব্যক্তিগতভাবে করা যেতে পারে যাতে সম্ভাব্য কোনো ধরনের অপ্রস্তুত অবস্থা এড়ানো যায় এবং পরিচালককে যখন উপযুক্ত তখন কিছু পরামর্শ দেওয়ার সুযোগ করে দেয়।

সাধারণ কথাবার্তায় একজন ব্যক্তি যিনি অন্যকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নিজেই বেশি কথা বলেন, তিনি ভাববিনিময়ে বাধা সৃষ্টি করেন। তার শ্রোতারা নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করার প্রয়োজন বোধ করে না। তাদের যদি শুনতেই হয়, তা হলে তারা অর্ধহৃদয়ে শুনতে বাধ্য হয়। একই অবস্থা ঘটতে পারে যখন পরিচালক অতিরিক্ত মন্তব্য করার দ্বারা অন্যকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে নিজেই কথা বলেন। কিন্তু যিনি একটি সভা পরিচালনা করছেন, তিনি হয়তো মাঝে-মধ্যে উপস্থিত সকলকে মন্তব্য করার জন্য বলতে এবং আনুষঙ্গিক প্রশ্নগুলো করার দ্বারা বিষয়বস্তুর প্রতি তাদের চিন্তাভাবনাকে উদ্দীপিত করতে পারেন। এই ধরনের প্রশ্নগুলো সংযতভাবে ব্যবহার করা উচিত।

যে-ব্যক্তি প্রথম হাত তুলেছেন তাকেই যে পরিচালক জিজ্ঞেস করবেন এমন নয়। এমনটা করা তাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে, যারা নিজেদের চিন্তাভাবনাকে গুছিয়ে বলার জন্য কিছু সময় নেয়। একটু অপেক্ষা করে তিনি এমন কাউকে জিজ্ঞেস করবেন, যিনি ইতিমধ্যে মন্তব্য করার সুযোগ পাননি। এ ছাড়া, তিনি ছোট বাচ্চাদের সেই প্রশ্নের উত্তরগুলো বলার সুযোগ না দিয়েও বিচক্ষণতা দেখান, যেগুলো এমন বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা তাদের বোধগম্যতার বাইরে।

যদি কোনো ভুল উত্তর দেওয়া হয়, তা হলে কী? যিনি পরিচালনা করছেন, তিনি সেই ব্যক্তিকে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলা এড়িয়ে যাবেন যিনি উত্তরটা দেন। এমনকি মন্তব্যগুলো ভুল হলেও সেগুলোতে প্রায়ই সত্যের কিছু অংশ থাকে। সেই মন্তব্যের মধ্যে যেটা সঠিক সেটাকে কৌশলতার সঙ্গে তুলে নিয়ে, প্রশ্নটাকে একটু ভিন্নভাবে জিজ্ঞেস করে অথবা অতিরিক্ত আরেকটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে পরিচালক অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে না ফেলে বিষয়টিকে ঠিক করতে পারেন।

মন্তব্য করতে উৎসাহ দেওয়ার সময় সভার পরিচালক এই ধরনের সাধারণ প্রশ্নগুলো এড়িয়ে চলে ভাল করবেন যেমন ‘আরও কেউ কি উত্তর দিতে চান?’ এমন প্রশ্ন ‘কারা এখনও মন্তব্য করেনি? এটাই আপনাদের জন্য শেষ সুযোগ!’ হয়তো ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছে কিন্তু এটা একজন ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে কখনোই উৎসাহিত করবে না। অধ্যয়নের শুরুতে মন্তব্য না করার জন্য ভাইবোনদের দোষী বোধ করতে দেওয়া উচিত নয়। বরং, তারা যা কিছু জানে সেটাই ভাগ করে নেওয়ার জন্য তাদের উৎসাহিত করা উচিত কারণ ভাগ করে নেওয়া হল ভালবাসার এক প্রকাশ। এ ছাড়া, পরিচালক একজনকে মন্তব্য করতে বলার পর এইরকম না বললেই ভাল যে, “তারপর আমরা এই ভাই ও তারপর এই বোনের মন্তব্য শুনব।” পরিচালক প্রথমে মন্তব্যটি শুনবেন এবং তারপর নির্ধারণ করবেন যে, আরও কিছু মন্তব্য করার প্রয়োজন রয়েছে কি না।

মন্তব্য করা হল এক বিশেষ সুযোগ

খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে উপস্থিত থাকা হল এক আধ্যাত্মিক অত্যাবশ্যক বিষয়; সেখানে মন্তব্য করা হল এক বিশেষ সুযোগ। যিহোবাকে “মণ্ডলীর মধ্যে” প্রশংসা দেওয়ার এই অসাধারণ উপায়ে আমরা যতখানি অংশ নিচ্ছি, ততখানি আমরা দায়ূদের উদাহরণ অনুকরণ করছি ও পৌলের পরামর্শ গম্ভীরতার সঙ্গে নিচ্ছি। সভাগুলোতে আমাদের মন্তব্য করা প্রমাণ করে যে আমরা আমাদের ভাইবোনদের ভালবাসি এবং আমরা যিহোবার বড় মণ্ডলীর অংশ। যতই ‘আপনারা সেই দিন . . . সন্নিকট হইতে দেখিতেছেন’ আপনারা আর কোথায় থাকতে চান?—ইব্রীয় ১০:২৫.

[পাদটীকা]

a যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

[২০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

শোনা ও মন্তব্য করা দুটোরই খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে এক ভূমিকা রয়েছে

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিনি পরিচালনা করেন তিনি প্রত্যেকটা মন্তব্যের প্রতি প্রকৃত আগ্রহ দেখান

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার