ঈশ্বর কি আপনার কাছে বাস্তব?
আপনার চরম সমস্যার সময়ে আপনি কি নির্দ্বিধায় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেন? যদি আপনি তা করেন, তাহলে আপনি কি উপলব্ধি করেন যে একজন বাস্তব ব্যক্তির সঙ্গে আপনি কথা বলছেন?
যীশু খ্রীষ্ট তাঁর স্বর্গীয় পিতার বিষয়ে উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছিলেন: “যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি সত্যময় [“বাস্তব,” “NW”]।” (যোহন ৭:২৮) হ্যাঁ, যিহোবা ঈশ্বর বাস্তব এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করা, এক অতি ঘনিষ্ঠ মানব বন্ধুর কাছে সাহায্য কিংবা পরামর্শের জন্য যাওয়ার সমান। যদি আমরা চাই যে ঈশ্বর আমাদের প্রার্থনা শুনুন তাহলে গ্রহণযোগ্য প্রার্থনার জন্য যে শাস্ত্রীয় চাহিদাগুলি রয়েছে তা আমাদের অবশ্যই পূরণ করতে হবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ, আমাদের অবশ্যই তাঁর পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে নম্রভাবে “প্রার্থনা-শ্রবণকারী”-র কাছে আসতে হবে।—গীতসংহিতা ৬৫:২; ১৩৮:৬; যোহন ১৪:৬.
কেউ কেউ হয়ত মনে করেন, যেহেতু ঈশ্বর অদৃশ্য তাই তিনি একজন ব্যক্তি নন। তারা ঈশ্বরকে হয়ত অবাস্তব বলে মনে করেন। এমনকি কিছু খ্রীষ্টান, যারা ঈশ্বরের অপূর্ব গুণাবলি সম্বন্ধে জেনেছেন, মাঝে মাঝে তারাও হয়ত ঈশ্বর কতখানি বাস্তব তা উপলব্ধি করাকে কঠিন বলে মনে করতে পারেন। আপনার কি কখনও এমন মনে হয়েছে? যদি হয়, তাহলে যিহোবা ঈশ্বরকে আপনার কাছে বাস্তব করে তুলতে কোন্ বিষয়গুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে?
শাস্ত্র অধ্যয়ন করুন
আপনি কি নিয়মিত পবিত্র শাস্ত্র অধ্যয়ন করেন? আপনি যত বেশি বার এবং বেশি মন দিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করবেন, যিহোবা ঈশ্বর আপনার কাছে ততই বাস্তব হয়ে উঠবেন। এভাবে আপনার বিশ্বাস শক্তিশালী হবে, ফলে আপনি ‘যিনি অদৃশ্য, তাঁহাকে দেখিতে’ পাবেন। (ইব্রীয় ১১:৬, ২৭) অপরদিকে, কদাচিৎ কিংবা মাঝে মাঝে বাইবেল অধ্যয়ন করলে তা আপনার বিশ্বাসের উপর কোন তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
দৃষ্টান্তস্বরূপ: মনে করুন, আপনার চিকিৎসক আপনাকে এক দীর্ঘস্থায়ী চুলকানি সারিয়ে তোলার জন্য দিনে দুবার একটি নির্দিষ্ট মলম লাগাতে বলেছেন। কিন্তু আপনি যদি মাসে কেবল একবার কী দুবার মলম লাগান, তাহলে আপনার চুলকানি কি ভাল হয়ে যাবে? নিশ্চয়ই নয়। একইভাবে, গীতরচক আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের জন্য আমাদের একটি “ব্যবস্থাপত্র” দেন। ঈশ্বরের বাক্য “দিবারাত্র ধ্যান” করুন। (গীতসংহিতা ১:১, ২) উপকার পেয়ে চলতে হলে “ব্যবস্থাপত্র”-টি আমাদের অনুসরণ করা প্রয়োজন অর্থাৎ প্রতিদিন খ্রীষ্টীয় প্রকাশনাগুলির সাহায্যে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করা।—যিহোশূয় ১:৮.
আপনি কি আপনার অধ্যয়নের সময়গুলিকে আরও বিশ্বাস দৃঢ়কারী করে তুলতে চান? একটি পরামর্শ হচ্ছে: পবিত্র শাস্ত্রের নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরাজি) কিংবা ক্রস রেফারেন্স আছে এমন অন্য কোন বাইবেল থেকে একটি অধ্যায় পড়ার পর, একটি আগ্রহজনক পদ বেছে নিন এবং উল্লেখিত প্রাসঙ্গিক শাস্ত্রপদগুলি দেখুন। এটি আপনার অধ্যয়নকে সমৃদ্ধ করে তুলবে আর নিঃসন্দেহে আপনি বাইবেলের অভ্যন্তরীণ সংগতি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। আর ফলস্বরূপ এটি এর গ্রন্থকার যিহোবা ঈশ্বরকে আপনার কাছে আরও বাস্তব করে তুলবে।
এছাড়া, ক্রস রেফারেন্স ব্যবহার করা আপনাকে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং সেগুলির পরিপূর্ণতার সঙ্গে সুপরিচিত করতে পারে। সম্ভবত আপনি বাইবেলের মুখ্য ভবিষ্যদ্বাণীগুলির সঙ্গে পরিচিত আছেন, যেমন বাবিলনীয়দের দ্বারা যিরূশালেমের ধ্বংসের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত ভাববাণীগুলি। এছাড়াও, বাইবেলে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ভবিষ্যদ্বাণী ও সেগুলির পরিপূর্ণতার একটি ধারা রয়েছে। এগুলির কয়েকটি সুপরিচিত নয়।
উদাহরণস্বরূপ, যিরীহো পুনর্নির্মাণের শাস্তি সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীটি পড়ুন এবং তারপর এর পরিপূর্ণতা সম্বন্ধে বিবেচনা করুন। যিহোশূয়ের পুস্তক ৬:২৬ পদ বলে: “সেই সময়ে যিহোশূয় শপথ করিয়া লোকদিগকে কহিলেন, যে কেহ উঠিয়া এই যিরীহো নগর পত্তন করিবে, সে সদাপ্রভুর সাক্ষাতে শাপগ্রস্ত হউক; নগরের ভিত্তিমূল স্থাপনের দণ্ডরূপে সে আপন জ্যেষ্ঠ পুত্ত্রকে, ও নগরদ্বার সকল স্থাপনের দণ্ডরূপে আপন কনিষ্ঠ পুত্ত্রকে দিবে।” এটি প্রায় ৫০০ বছর পরে পরিপূর্ণ হয়েছিল, কারণ ১ রাজাবলি ১৬:৩৪ পদে আমরা পড়ি: “[রাজা আহাবের] সময়ে বৈথেলীয় হীয়েল যিরীহো নগর নির্ম্মাণ করিল; তাহাতে সদাপ্রভু নূনের পুত্ত্র যিহোশূয়ের দ্বারা যে বাক্য বলিয়াছিলেন, তদনুসারে তাহাকে ভিত্তিমূল স্থাপনের দণ্ডস্বরূপ আপন জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র অবীরামকে, এবং কবাট স্থাপনের দণ্ডস্বরূপ আপন কনিষ্ঠ পুত্ত্র সগূবকে দিতে হইল।”a একজন বাস্তব ঈশ্বরই কেবল এইধরনের ভবিষ্যদ্বাণীগুলি অনুপ্রাণিত এবং সেগুলি পরিপূর্ণ করতে পারেন।
বাইবেল পড়ার সময়, আপনি হয়ত একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি কৌতূহলী হতে পারেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, আপনি হয়ত চিন্তা করতে পারেন, একটি ভবিষ্যদ্বাণী এবং এর পরিপূর্ণতার মধ্যে কত বছর অতিবাহিত হয়েছে। কাউকে জিজ্ঞাসা করার পরিবর্তে, আপনি নিজেই তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন না কেন? তালিকা এবং বাইবেল অধ্যয়ন সহায়কগুলি ব্যবহার করার দ্বারা, উত্তরটি খুঁজে পাওয়ার জন্য ততটা অধ্যবসায়ের সঙ্গে অনুসন্ধান করুন যতটা প্রচেষ্টা আপনি একটি গুপ্তধনের মানচিত্রের অর্থোদ্ধার করার জন্য করবেন। (হিতোপদেশ ২:৪, ৫) উত্তরগুলির অনুসন্ধান আপনার বিশ্বাসে এক গভীর প্রভাব ফেলবে এবং আপনার কাছে যিহোবা ঈশ্বরকে আরও বাস্তব করে তুলবে।
নিয়মিত এবং ঐকান্তিকভাবে প্রার্থনা করুন
প্রার্থনা ও বিশ্বাসের গুরুত্বকে উপেক্ষা করবেন না। যীশুর শিষ্যেরা সরাসরি এই অনুরোধটি করেছিলেন: “আমাদের বিশ্বাসের বৃদ্ধি করুন।” (লূক ১৭:৫) যিহোবা যদি আপনার কাছে বাস্তব না হন তাহলে আপনার যে আরও বিশ্বাসের প্রয়োজন রয়েছে তা চেয়ে তাঁর কাছে প্রার্থনা করুন না কেন? আপনার কাছে তাঁকে বাস্তব করে তুলতে তাঁর সাহায্যের জন্য, দৃঢ়বিশ্বাস নিয়ে স্বর্গীয় পিতার কাছে অনুরোধ করুন।
একটি সমস্যা যদি আপনার মনের উপর চেপে বসে, তাহলে আপনার স্বর্গীয় বন্ধুর কাছে নিজেকে অন্তরঙ্গভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজনীয় সময় করে নিন। যীশুর মৃত্যু যখন এগিয়ে আসছিল, তখন তিনি একাগ্রভাবে প্রার্থনা করেছিলেন। তিনি যদিও লোক দেখানো দীর্ঘ প্রার্থনা করার ধর্মীয় অভ্যাসকে নিন্দা করেছিলেন, তবুও তাঁর ১২ জন প্রেরিতকে মনোনয়নের আগে তিনি সারা রাত ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থনা করে কাটিয়েছিলেন। (মার্ক ১২:৩৮-৪০; লূক ৬:১২-১৬) আমরা হান্নার কাছ থেকেও শিখতে পারি, যিনি ভাববাদী শমূয়েলের মা হয়েছিলেন। একটি পুত্র সন্তানের জন্য আকুল আকাঙ্ক্ষায়, তিনি “সদাপ্রভুর সাক্ষাতে দীর্ঘ প্রার্থনা করিলেন।”—১ শমূয়েল ১:১২.
এই সমস্ত বিষয়গুলির মূল শিক্ষাটি কী? আপনি যদি আপনার প্রার্থনার উত্তর পেতে চান, তাহলে আপনাকে আন্তরিকভাবে, ঐকান্তিকভাবে, অবিরত এবং অবশ্যই ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে সংগতি রেখে প্রার্থনা করতে হবে। (লূক ২২:৪৪; রোমীয় ১২:১২; ১ থিষলনীকীয় ৫:১৭; ১ যোহন ৫:১৩-১৫) আর তা আপনার কাছে ঈশ্বরকে বাস্তব করে তুলতে সাহায্য করবে।
সৃষ্টি নিরীক্ষণ করুন
একজন চিত্রকরের ব্যক্তিত্ব তাঁর চিত্রগুলির দ্বারা প্রকাশিত হতে পারে। একইভাবে, নিখিলবিশ্বের নকশাকারী এবং সৃষ্টিকর্তা যিহোবার “অদৃশ্য গুণ” সৃষ্টির মধ্যে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। (রোমীয় ১:২০) আমরা যখন সতর্কতার সঙ্গে যিহোবার হাতের কাজ নিরীক্ষণ করি, তখন আমরা তাঁর ব্যক্তিত্ব আরও ভালভাবে বুঝতে পারি ফলে তিনি আমাদের কাছে অধিকতর বাস্তব হয়ে ওঠেন।
আপনি যদি ঈশ্বরের সৃষ্ট বস্তুগুলি নিবিড়ভাবে নিরীক্ষণ করেন, তাহলে আপনি হয়ত তাঁর গুণাবলির বাস্তবতা সম্বন্ধে গভীরভাবে প্রভাবিত হতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, পাখিদের প্রচরণ ক্ষমতা সম্বন্ধে তথ্য হয়ত যিহোবার প্রজ্ঞার প্রতি আপনার উপলব্ধিবোধকে অনেকখানি বৃদ্ধি করতে পারে। নিখিলবিশ্ব সম্বন্ধে পড়তে গিয়ে, আপনি হয়ত জানতে পারেন যে একটি ছায়াপথ প্রায় ১,০০,০০০ আলোক-বর্ষ প্রশস্ত আর সমগ্র মহাকাশে এইরকম কোটি কোটি ছায়াপথ আছে। এটি কি সৃষ্টিকর্তার সীমাহীন প্রজ্ঞার বাস্তবতা সম্বন্ধে আপনাকে জানায় না?
অবশ্যই, যিহোবার প্রজ্ঞা বাস্তব! কিন্তু আপনার কাছে তা কী অর্থ রাখে? আমরা প্রার্থনার মাধ্যমে তাঁর কাছে যে সমস্যাগুলি উপস্থিত করি তা নিশ্চিতভাবেই তাঁকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করতে পারে না। হ্যাঁ, সৃষ্টি সম্বন্ধে সামান্য জ্ঞানও আপনার কাছে যিহোবাকে আরও বাস্তব করে তুলতে পারে।
যিহোবার সঙ্গে গমনাগমন করুন
যিহোবা কতটা বাস্তব তা কি আপনি ব্যক্তিগতভাবে অভিজ্ঞতা করতে পারেন? হ্যাঁ পারেন, যদি আপনি বিশ্বস্ত কূলপতি নোহের মত হন। তিনি সর্বদা যিহোবার আজ্ঞা পালন করেছিলেন, এতটাই করেছিলেন যার ফলে তার বিষয়ে বলা হয়েছিল: “নোহ ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিতেন।” (আদিপুস্তক ৬:৯) নোহ এমনভাবে জীবনযাপন করতেন যেন যিহোবা তাঁর পাশেই ছিলেন। ঈশ্বর আপনার কাছে ততটা বাস্তব হতে পারেন।
আপনি যদি ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করে থাকেন, তাহলে আপনি শাস্ত্রীয় প্রতিজ্ঞাগুলিতে আস্থা রাখেন এবং সেগুলির সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, আপনি যীশুর বাক্যগুলি বিশ্বাস করেন: “প্রথমে . . . রাজ্য ও [ঈশ্বরের] ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও [বস্তুগত চাহিদাগুলি] তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।” (মথি ৬:২৫-৩৩) এটি সত্য যে, যিহোবা হয়ত সবসময় আপনি যেভাবে আশা করেন সেভাবে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি যোগান না। তবুও, আপনি যখন প্রার্থনা করবেন এবং ঈশ্বরের সাহায্য লাভ করবেন, তখন তিনি আপনার পাশের ব্যক্তির মতই বাস্তব হয়ে উঠবেন।
যিহোবার সঙ্গে এইধরনের এক নিবিড় সম্পর্ক তখনই গড়ে ওঠে যখন একজন অধ্যবসায়ীভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করে চলেন। একজন স্প্যানিস ভাষী সাক্ষী ম্যানওয়ালার কথা বিবেচনা করুন, যিনি প্রচুর পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন। তিনি বলেন: “আমি যখনই সমস্যা ও সংকটাবস্থায় ছিলাম, তখনই হিতোপদেশ ১৮:১০ পদে প্রাপ্ত নীতিটি কাজে লাগিয়েছি। আমি সাহায্যের জন্য যিহোবার কাছে ছুটে গিয়েছি। তিনি সর্বদাই আমার জন্য ‘দৃঢ় দুর্গ’ হয়ে এসেছেন।” ৩৬ বছর যিহোবার উপর নির্ভর করার পর এবং তাঁর সমর্থন অভিজ্ঞতা করার পরই কেবল ম্যানওয়ালা এই কথা বলতে পারেন।
আপনি কি সবেমাত্র যিহোবার উপর আস্থা রাখতে শুরু করেছেন? নিরুৎসাহিত হবেন না, যদি তাঁর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক এখনও ততখানি অন্তরঙ্গ না হয় যতখানি আপনি চান। প্রতিদিন এমন একজন ব্যক্তির মত জীবনযাপন করুন যিনি ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করছেন। আপনার জীবনের পথে তাঁর প্রতি যতই আপনি বিশ্বস্ত হবেন, ততই যিহোবার সঙ্গে আরও অন্তরঙ্গ সম্পর্ক উপভোগ করতে পারবেন।—গীতসংহিতা ২৫:১৪; হিতোপদেশ ৩:২৬, ৩২.
ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন করার আরেকটি উপায় হল, তাঁর পরিচর্যায় ডুবে থাকা। আপনি যখন রাজ্যের প্রচার কাজে রত থাকেন, তখন যিহোবার একজন সহকার্যকারী হন। (১ করিন্থীয় ৩:৯) এইসমস্ত বিষয়ে সতর্ক হওয়া আপনার কাছে ঈশ্বরকে সম্পূর্ণ বাস্তব করে তুলতে সাহায্য করে।
গীতরচক পরামর্শ দেন: “তোমার গতি সদাপ্রভুতে অর্পণ কর, তাঁহাতে নির্ভর কর, তিনিই কার্য্য সাধন করিবেন।” (গীতসংহিতা ৩৭:৫) আপনার যে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তাগুলি রয়েছে তা সবসময় ঈশ্বরের উপর অর্পণ করুন। সাহায্য ও নির্দেশনার জন্য সবসময় তাঁর উপর নির্ভর করুন। আপনি যদি প্রার্থনাপূর্বক যিহোবা ঈশ্বরের উপর নির্ভর করেন এবং সবসময় পূর্ণ নির্ভরতার সঙ্গে তাঁর উপর আস্থা রাখেন, তাহলে আপনি নিরাপদ বোধ করবেন কারণ আপনি জানেন যে তিনি আপনার ভালর জন্য কাজ করতে কখনও ব্যর্থ হবেন না। আপনার ব্যক্তিগত উদ্বেগগুলি নিয়ে যিহোবার কাছে যাওয়ার সময় আপনি কি দৃঢ়বিশ্বাসী? আপনি তা হবেন—যদি ঈশ্বর আপনার কাছে বাস্তব হন।
[পাদটীকাগুলো]
a আরেকটি উদাহরণের জন্য, ১ রাজাবলি ১৩:১-৩ পদের ভাববাণীটি পড়ুন যেখানে বলা আছে যারবিয়ামের যজ্ঞবেদিকে অশুচি করা হবে। এরপর ২ রাজাবলি ২৩:১৬-১৮ পদে লিপিবদ্ধ এর পরিপূর্ণতাটি লক্ষ্য করুন।
[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]
আপনার অধ্যয়নকে এমন করে তুলুন যা আপনার বিশ্বাসকে দৃঢ় করে
[২২ পৃষ্ঠার চিত্র]
নিয়মিত, ঐকান্তিক প্রার্থনা করার জন্য সময় করে নিন
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
সৃষ্টির মধ্যে ঈশ্বরের গুণাবলি যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা নিরীক্ষণ করুন
[Credit Lines]
হামিংবার্ড: U.S. Fish and Wildlife Service, Washington, D.C./Dean Biggins; নক্ষত্ররাজি: চিত্র: Copyright IAC/RGO 1991, Dr. D. Malin et al, Isaac Newton Telescope, Roque de los Muchachos Observatory, La Palma, Canary Islands