-
কেন ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন?চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
পাঠ ২৫
কেন ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন?
বাইবেল বলে, মানুষের জীবন “অল্পায়ু ও উদ্বেগে পরিপূর্ণ।” (ইয়োব ১৪:১) ঈশ্বর কি আমাদের জন্য এই ধরনের জীবন চান? যদি না চান, তা হলে তিনি কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সৃষ্টি করেছেন? তাঁর উদ্দেশ্য কি কখনো পরিপূর্ণ হবে? বাইবেলে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর রয়েছে, যেগুলো জেনে আপনি খুশি হবেন।
১. যিহোবা আমাদের জন্য কোন ধরনের জীবন চান?
যিহোবা আমাদের জন্য যে-ধরনের জীবন চান, সেটার চেয়ে ভালো জীবন আর হতে পারে না। তিনি প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবাকে সৃষ্টি করার পর তাদের পরমদেশে রেখেছিলেন অর্থাৎ এমন একটা সুন্দর বাগানে রেখেছিলেন, যেটাকে এদন উদ্যান বলা হয়েছে। এরপর, “ঈশ্বর তাহাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিলেন; ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর।” (আদিপুস্তক ১:২৮) যিহোবা চেয়েছিলেন, আদম ও হবার যেন সন্তান হয় এবং তারা পুরো পৃথিবীকে পরমদেশের মতো সুন্দর করে তোলে আর জীবজন্তুর দেখাশোনা করে। তিনি চেয়েছিলেন, মানুষ যেন সবসময় সুস্থ থাকে এবং চিরকাল বেঁচে থেকে জীবন উপভোগ করে।
কিন্তু, যিহোবা শুরুতে যেমন চেয়েছিলেন, মানুষের জীবন আজ তেমন নয়।a তবে, এর অর্থ এই নয় যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য বদলে গিয়েছে। (যিশাইয় ৪৬:১০, ১১) তিনি এখনও চান, যারা তাঁর আজ্ঞার বাধ্য হয়, তারা যেন কোনোরকম কষ্ট ছাড়াই চিরকাল বেঁচে থাকে।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.
২. কীভাবে আজ আমরা প্রকৃত সুখ এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারি?
যিহোবা আমাদের এমনভাবে সৃষ্টি করেছেন যে, আমাদের মধ্যে ‘ঈশ্বরের কাছ থেকে নির্দেশনা লাভ করার জন্য আকাঙ্ক্ষা‘ রয়েছে, অর্থাৎ আমাদের মধ্যে ঈশ্বরকে জানার এবং তাঁকে উপাসনা করার ইচ্ছা রয়েছে। (পড়ুন, মথি ৫:৩-৬.) যিহোবা চান যেন আমরা তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে তুলি, ‘সমস্ত বিষয়ে তাঁর দেখানো পথে চলি, তাঁকে ভালোবাসি’ এবং ‘সমস্ত হৃদয়’ দিয়ে তাঁর সেবা করি। (দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১২; যাকোব ২:২৩) আমরা যখন এগুলো করব, তখন আমাদের জীবনে যত সমস্যাই আসুক না কেন, আমরা প্রকৃত সুখ খুঁজে পাব। যিহোবার উপাসনা করার অর্থাৎ তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করার মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাব।
গভীরভাবে গবেষণা করুন
যিহোবা কত সুন্দর করে এবং প্রেমের সঙ্গে আমাদের জন্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, সেই সম্বন্ধে জানুন আর তাঁর বাক্য থেকে এটাও জানুন যে, কেন তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন।
৩. যিহোবার উদ্দেশ্য হল, মানুষ যেন এক অপূর্ব জীবন উপভোগ করে
ভিডিওটা দেখুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন।
কেন যিহোবা এই পৃথিবী এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন?
উপদেশক ৩:১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
এই শাস্ত্রপদ থেকে আমাদের জন্য যিহোবার যে-উদ্দেশ্য রয়েছে, সেই সম্বন্ধে আপনি কী শিখতে পারেন?
৪. যিহোবার উদ্দেশ্য বদলে যায়নি
গীতসংহিতা ৩৭:১১, ২৯ এবং যিশাইয় ৫৫:১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
কেন আমরা বলতে পারি, যিহোবা যে-উদ্দেশ্য নিয়ে আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তা বদলে যায়নি?
একটা ভাঙাচোরা বাড়িকে আবারও মেরামত করা যেতে পারে, ঠিক একইভাবে, মানুষের অবহেলার কারণে পৃথিবীর যে-ক্ষতি হয়েছে, তা যিহোবা ঠিক করে দেবেন। তিনি এই পৃথিবীকে আবারও সুন্দর করে তুলবেন এবং এখানে ভালো ব্যক্তিদের থাকতে দেবেন
৫. যিহোবার উপাসনা করার মাধ্যমে আমরা জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাই
আমরা যখন জানতে পারব যে, ঈশ্বর আমাদের কোন উদ্দেশ্য নিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমরা প্রকৃত সুখ লাভ করব। ভিডিওটা দেখুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন।
জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জেনে টেরোমি কীভাবে উপকৃত হয়েছিলেন?
উপদেশক ১২:১৩ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
যিহোবা যেহেতু আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন, তাই এখন আমাদের কর্তব্য কী?
কেউ কেউ বলে থাকে: “জন্মালে মরতে হবে।”
এই বিষয়ে আপনি কী বলবেন?
সারাংশ
যিহোবা চান আমরা যেন কোনোরকম দুঃখকষ্ট ছাড়াই চিরকাল ধরে এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকি। আমরা যখন সমস্ত হৃদয় দিয়ে তাঁর উপাসনা করব, তখন আমরা বর্তমানেও প্রকৃত সুখ এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পাব।
পুনরালোচনা
প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবার জন্য যিহোবার কোন উদ্দেশ্য ছিল?
কেন আমরা বলতে পারি, যিহোবার উদ্দেশ্য বদলে যায়নি?
কীভাবে আপনি বর্তমানে প্রকৃত সুখ এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন?
আরও জানুন
এদন উদ্যান যে সত্যিই ছিল, সেই বিষয়ে আসুন কিছু প্রমাণ লক্ষ করি।
“এদন উদ্যান—এটা কি সত্যিই ছিল?” (প্রহরীদুর্গ, জানুয়ারি ১, ২০১১, ইংরেজি)
কেন আমরা বলতে পারি যে, পৃথিবী কখনো ধ্বংস হবে না? আসুন তা জানি।
আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে? তা জানুন।
একজন ব্যক্তির কাছে সমস্ত কিছু থাকা সত্ত্বেও তার মনে হয়েছিল তার জীবনে কোনো কিছুর অভাব রয়েছে। কীভাবে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, তার জীবনে কীসের অভাব রয়েছে, তা ভিডিওতে দেখুন।
a পরের পাঠে আমরা শিখব, যিহোবা যেমন চেয়েছিলেন, কেন আজ আমাদের জীবন তেমন নয়।
-
-
ঈশ্বরের রাজ্য কী?চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
২. যিশুর সঙ্গে কারা রাজত্ব করবে?
যিশু একা রাজত্ব করবেন না। “সমস্ত বংশ ও ভাষা ও বর্ণ ও জাতির মধ্য থেকে” আসা ব্যক্তিরা রাজা হয়ে “পৃথিবীর উপর রাজত্ব করবে।” (প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০) যিশু পৃথিবীতে আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি তাঁর শিষ্য হয়েছে। কিন্তু, তারা প্রত্যেকেই কি তাঁর সঙ্গে স্বর্গে রাজত্ব করবে? না। তাদের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি যিশুর সঙ্গে স্বর্গে রাজত্ব করবে। (পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৪.) আর যিশুর বাকি শিষ্যেরা সেই রাজ্যের প্রজা হয়ে এই পৃথিবীতে জীবনযাপন করবে।—গীতসংহিতা ৩৭:২৯.
-
-
ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে?চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে?
ঈশ্বরের রাজ্য ইতিমধ্যে স্বর্গে শাসন করছে। খুব শীঘ্রই, এটা পৃথিবীর উপরেও শাসন করতে শুরু করবে এবং পৃথিবীর যে-ক্ষতি হয়েছে, তা ঠিক করে দেবে। এই রাজ্যের অধীনে আমরা প্রচুর আশীর্বাদ লাভ করব। আসুন, কিছু আশীর্বাদ সম্বন্ধে জানি, যেগুলোর জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে পারি।
১. ঈশ্বরের রাজ্য কীভাবে পৃথিবীর উপর শান্তি ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসবে?
ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা যিশু, দুষ্ট লোকদের এবং সরকারগুলোকে হর্মাগিদোনের যুদ্ধে ধ্বংস করে দেবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৪, ১৬) সেই সময়, বাইবেলের এই প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ হবে: “আর ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই।” (গীতসংহিতা ৩৭:১০) এভাবে, যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের মাধ্যমে পুরো পৃথিবীর উপর শান্তি ও ন্যায়বিচার নিয়ে আসবেন।—পড়ুন, যিশাইয় ১১:৪.
২. ঈশ্বরের ইচ্ছা যখন পৃথিবীতে পূর্ণ হবে, তখন জীবন কেমন হবে?
ঈশ্বরের রাজ্যে “ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:২৯) কল্পনা করুন, পৃথিবীতে সমস্ত লোক ধার্মিক হবে অর্থাৎ তারা যা সঠিক, তা-ই করবে। প্রত্যেক ব্যক্তি যিহোবাকে এবং একে অন্যকে ভালোবাসবে। কেউ অসুস্থ হবে না এবং মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকবে। সেই জীবন কতই-না সুন্দর হবে!
৩. ঈশ্বরের রাজ্য দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেওয়ার পর কী করবে?
যিশু দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করার পর ১,০০০ বছর ধরে রাজত্ব করবেন। যিশু এবং তাঁর সঙ্গে যারা শাসন করবে অর্থাৎ সেই ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি, সেই সময় মানুষকে নিখুঁত হতে সাহায্য করবে। এই পৃথিবী সেই হাজার বছরের শেষে এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে আর সেখানে প্রত্যেকে আনন্দে থাকবে কারণ তারা যিহোবার আজ্ঞা মেনে চলবে। এরপর, যিশু তাঁর পিতাকে রাজ্য ফিরিয়ে দেবেন। তখন যিহোবার “নাম পবিত্র” হবে, যেমনটা আগে কখনো হয়নি। (মথি ৬:৯, ১০) আর এটা প্রমাণিত হবে যে, যিহোবা হলেন একজন ভালো শাসক এবং তিনি তাঁর প্রজাদের জন্য চিন্তা করেন। যিহোবা এরপর শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতদের ধ্বংস করে দেবেন। তিনি সেই লোকদেরও ধ্বংস করে দেবেন, যারা তাঁর শাসন মানতে চাইবে না। (প্রকাশিত বাক্য ২০:৭-১০) ঈশ্বরের রাজ্যে আমরা যে-সমস্ত চমৎকার আশীর্বাদ উপভোগ করব, সেগুলো চিরকাল ধরে থাকবে।
গভীরভাবে গবেষণা করুন
কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি, ঈশ্বর বাইবেলে যে-প্রতিজ্ঞাগুলো সম্বন্ধে বলেছেন, সেগুলো তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হবে? আসুন তা জানি।
৪. ঈশ্বরের রাজ্য মানব সরকারগুলোকে শেষ করে দেবে
“একজন লোক অন্যদের উপর কর্তৃত্ব করে এবং তার ফলে তাদের ক্ষতি হয়।” (উপদেশক ৮:৯, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) যিহোবা তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে মানব সরকারগুলোকে এবং এদের কারণে আসা সমস্ত দুঃখকষ্ট দূর করে দেবেন।
দানিয়েল ২:৪৪ এবং ২ থিষলনীকীয় ১:৬-৮ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:
যিহোবা এবং তাঁর পুত্র যিশু মানব সরকারগুলোকে আর যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের কী করবেন?
যিহোবা ও যিশু সম্বন্ধে আপনি এই পর্যন্ত অনেক কিছু জেনেছেন। তা মনে রেখে আপনি কেন নিশ্চিত যে, তাঁরা যা করবেন, তা সঠিক হবে?
৫. যিশুর চেয়ে ভালো রাজা আর কেউ হতে পারে না
ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা যিশু, তাঁর প্রজাদের জন্য অনেক ভালো ভালো কাজ করবেন। তিনি পৃথিবীতে থাকার সময় এটার প্রমাণ দিয়েছিলেন। তিনি যা-কিছু করেছিলেন, সেটা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি লোকদের জন্য চিন্তা করেন। আর এখান থেকে এটাও বোঝা যায় যে, ঈশ্বর তাঁকে লোকদের প্রতি ভালো কাজ করার জন্য শক্তি দিয়েছেন। এই বিষয়ে জানার জন্য ভিডিওটা দেখুন।
যিশু পৃথিবীতে যে-কাজগুলো করেছিলেন, সেগুলো থেকে একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিল যে, ঈশ্বরের রাজ্য কী করবে। এখানে কিছু প্রতিজ্ঞার বিষয়ে বলা হয়েছে, যেগুলো ঈশ্বরের রাজ্যে পরিপূর্ণ হবে। এগুলোর মধ্যে কোন প্রতিজ্ঞাটা পরিপূর্ণ হতে দেখার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন? প্রতিজ্ঞাটার পাশে দেওয়া শাস্ত্রপদগুলো পড়ুন।
যিশু পৃথিবীতে থাকার সময় কী করেছিলেন?
যিশু স্বর্গ থেকে কী করবেন?
তিনি প্রাকৃতিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন।— মার্ক ৪:৩৬-৪১.
তিনি প্রকৃতির যে-সমস্ত ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো ঠিক করে দেবেন।—যিশাইয় ৩৫:১, ২.
তিনি অলৌকিকভাবে হাজার হাজার ব্যক্তিকে খাবার খাইয়েছিলেন। —মথি ১৪:১৭-২১.
তিনি পৃথিবী থেকে খাদ্যের অভাব দূর করে দেবেন। —গীতসংহিতা ৭২:১৬.
তিনি অনেক অসুস্থ ব্যক্তিকে সুস্থ করেছিলেন।—লূক ১৮:৩৫-৪৩.
তিনি অসুস্থতা দূর করে দেবেন।—যিশাইয় ৩৩:২৪.
তিনি মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থিত করেছিলেন।—লূক ৮:৪৯-৫৫.
তিনি মৃত্যুকে সরিয়ে দেবেন এবং যারা মারা গিয়েছে, তাদের পুনরুত্থিত করবেন।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.
৬. ঈশ্বরের রাজ্য মানুষের জন্য এক অপূর্ব ভবিষ্যৎ নিয়ে আসবে
ঈশ্বরের রাজ্যে মানুষ সেই জীবন পাবে, যে-জীবন ঈশ্বর সবসময় তাদের জন্য চেয়েছিলেন। এই পৃথিবী এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে এবং মানুষ সেখানে চিরকাল বেঁচে থাকবে। যিহোবা নিজের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য তাঁর পুত্র যিশুর মাধ্যমে কী করছেন, তা জানার জন্য ভিডিওটা দেখুন।
গীতসংহিতা ১৪৫:১৬ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
যিহোবা “সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ” করবেন, এটা জেনে আপনার কেমন লাগছে?
কেউ কেউ বলে থাকে: “যদি সবাই মিলে প্রচেষ্টা করি, তা হলে আমরা নিজেরাই পৃথিবীর সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারব।”
ঈশ্বরের রাজ্য এমন কোন সমস্যাগুলো সমাধান করবে, যেগুলো মানব সরকারের পক্ষে কখনো করা সম্ভব নয়?
সারাংশ
যিহোবা তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে নিজের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করবেন। সেই রাজ্যের অধীনে পুরো পৃথিবী এক সুন্দর পরমদেশে পরিণত হবে আর কেবলমাত্র ভালো লোকেরাই এই পৃথিবীতে থাকবে এবং তারা চিরকাল ধরে যিহোবার উপাসনা করবে।
পুনরালোচনা
ঈশ্বরের রাজ্য কীভাবে যিহোবার নামকে পবিত্র করবে?
কেন আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, ঈশ্বরের রাজ্য বাইবেলে বলা সমস্ত প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করবে?
ঈশ্বরের রাজ্যে কোন প্রতিজ্ঞাটা পরিপূর্ণ হতে দেখার জন্য আপনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে রয়েছেন?
আরও জানুন
হর্মাগিদোন কী? তা জানুন।
যিশুর দ্বারা উল্লেখিত ‘মহাক্লেশের’ সময় কী কী ঘটবে, তা জানুন।—মথি ২৪:২১.
আপনি যেভাবে আপনার পরিবারের সঙ্গে নিজেকে নতুন জগতে কল্পনা করতে পারেন, তা ভিডিওতে দেখুন।
“আমার মনে অনেক প্রশ্ন ছিল, যেগুলো নিয়ে আমি সবসময় চিন্তা করতাম” এই জীবনকাহিনীতে একজন ব্যক্তি সম্বন্ধে জানুন, যিনি তার দেশের সরকার পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি তার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছিলেন।
“বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে” (প্রহরীদুর্গ, জানুয়ারি ১, ২০১২, ইংরেজি)
-