আপনি কি আরও পূর্ণরূপে সেবা করতে আকাঙ্ক্ষী?
লোরা বলেন, “আমি যিহোবার প্রতি ক্রোধান্বিত হয়েছিলাম। আমি অবিরতভাবে প্রার্থনা করেছিলাম যেন তিনি আমাদের আর্থিক সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেন, যাতে করে আমি অগ্রগামীর কাজ চালিয়ে যেতে পারি—কিন্তু তা বিফল হয়। পরিশেষে আমাকে অগ্রগামীর কাজ ছাড়তে হয়েছিল। এছাড়াও আমাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আমি তাদের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণ ছিলাম যারা এটি করে চলেছিল।”
এছাড়াও, যিহোবার সাক্ষীদের একটি মণ্ডলীর একজন পরিচারক দাস, মাইকেলের বিষয়টি বিবেচনা করুন। তিনি অধ্যক্ষ পদের জন্য এগিয়ে যাচ্ছিলেন। (১ তীমথিয় ৩:১) যখন কয়েক বছর যাবৎ তার সেই আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ রয়ে যায়, তখন তিনি এতই তিক্ত হয়েছিলেন যে তিনি আর সেই সুযোগের প্রতি বিবেচনা করতে চাননি। তিনি বলেন: “আমি আবারও হতাশার যন্ত্রণা বহন করতে পারিনি।”
আপনারও কি এক অনুরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে? আপনাকেও কি এক প্রিয় ঐশিক সুযোগ ছেড়ে দিতে হয়েছে? উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে কি এক অগ্রগামী, পূর্ণ-সময়ের রাজ্যের ঘোষণাকারী হিসাবে পরিচর্যা বন্ধ করে দিতে হয়েছে? অথবা আপনি কি অন্যদের উপরে অর্পিত মণ্ডলীর বিশেষ কিছু দায়িত্বগুলির জন্য আকাঙ্ক্ষা করেন? এটি এমনও হতে পারে যে আপনি বেথেলে অথবা একজন মিশনারী হিসাবে পরিচর্যা করার জন্য আন্তরিকভাবে আকাঙ্ক্ষী, কিন্তু আপনার পরিস্থিতি তার অনুমতি দেয় না।
হিতোপদেশের পুস্তক স্বীকার করে: “আশাসিদ্ধির বিলম্ব হৃদয়ের পীড়াজনক।” (হিতোপদেশ ১৩:১২) এটি বিশেষভাবে হয়ত তখনই হতে পারে যখন আপনি যে সুযোগগুলি আশা করেছিলেন তা অন্যেরা লাভ করে। যে কেউ এইধরনের হতাশা ভোগ করে তাদের জন্য ঈশ্বরের বাক্য কি অন্তর্দৃষ্টি, সান্ত্বনা এবং আশা প্রদান করে? হ্যাঁ, এটি তা করে। বস্তুতপক্ষে, ৮৪তম গীতটি যিহোবার একজন দাসের অনুভূতিকে প্রকাশ করে যার যিহোবাকে পরিচর্যার ক্ষেত্রে ঠিক একইরকম অপূর্ণ ইচ্ছা থেকে গিয়েছিল।
এক লেবীয়ের উপলব্ধিবোধ
৮৪তম গীতটির সুরকার ছিলেন কোরহের সন্তানগণ, লেবীয়েরা যারা যিহোবার মন্দিরে সেবা করত এবং তাদের পরিচর্য়ার সুযোগগুলিকে খুবই মূল্যবান হিসাবে দেখত। তাদের মধ্যে একজন বিস্ময়ে বলেন: “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, তোমার আবাস কেমন প্রিয়! আমার প্রাণ সদাপ্রভুর প্রাঙ্গণের জন্য আকাঙ্ক্ষা করে, এমন কি, মূর্চ্ছিত হয়, আমার হৃদয় ও আমার মাংস জীবন্ত ঈশ্বরের উদ্দেশে উচ্চধ্বনি করে।”—গীতসংহিতা ৮৪:১, ২.
এই লেবীয়ের যিহোবার মন্দিরে সেবা করার এইরূপ এক আকাঙ্ক্ষা ছিল যে এমনকি যিরূশালেমের পথের পাশে সাধারণ দৃশ্যগুলিও তার কাছে আকর্ষণীয় বলে মনে হয়েছিল। তিনি বলেন, “তাহারা ক্রন্দনের তলভূমি দিয়া গমন করিয়া, তাহা উৎসে পরিণত করে।” (গীতসংহিতা ৮৪:৬) হ্যাঁ, এক স্বাভাবিক শুষ্ক এলাকা তার কাছে এক জলাসিক্ত অঞ্চলের ন্যায় ছিল।
যেহেতু সেই গীতরচক একজন অযাজকীয় লেবীয় ছিলেন, তিনি প্রতি ছয় মাসে শুধুমাত্র এক সপ্তাহের জন্য মন্দিরে সেবা করতে পারতেন। (১ বংশাবলি ২৪:১-১৯; ২ বংশাবলি ২৩:৮; লূক ১:৫, ৮, ৯) আর বাকি সময় তাকে গৃহে, লেবীয় নগরগুলির কোন একটিতে কাটাতে হত। এইজন্য তিনি গেয়েছিলেন: “সত্য, চটকপক্ষী এক কুলায় পাইয়াছে, খঞ্জনপক্ষী নিজ শাবক রাখিবার এক বাসা পাইয়াছে; তোমার বেদিই সেই স্থান, হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, আমার রাজন্, আমার ঈশ্বর।” (গীতসংহিতা ৮৪:৩) সেই লেবীয় কতই না আনন্দিত হতেন যদি তিনি পাখির মত হতেন যাদের মন্দিরে আরও স্থায়ীভাবে বসবাসের স্থান ছিল!
সেই লেবীয়ের পক্ষে এই বিষয়ে তিক্ত হওয়া সহজ ছিল, কারণ তিনি প্রায়ই মন্দিরে সেবা করতে পারতেন না। কিন্তু, তিনি তার সামর্থ অনুসারে সেবা করার ক্ষেত্রে সন্তুষ্ট ছিলেন আর তিনি নিশ্চিতভাবে উপলব্ধি করেছিলেন যে যিহোবার প্রতি সর্বান্তঃকরণের ভক্তি, এই প্রচেষ্টাকে মূল্যযুক্ত করে। কী এই বিশ্বস্ত লেবীয়কে তার পরিচর্যার সুযোগগুলিতে সন্তুষ্ট থাকতে সাহায্য করেছিল?
সন্তুষ্ট থাকতে শিখুন
একজন লেবীয় বলেন, “তোমার প্রাঙ্গণে এক দিনও সহস্র দিন অপেক্ষা উত্তম; বরং আমার ঈশ্বরের গৃহের গোবরাটে দাঁড়াইয়া থাকা আমার বাঞ্ছনীয়, তবু দুষ্টতার তাম্বুতে বাস করা বাঞ্ছনীয় নয়।” (গীতসংহিতা ৮৪:১০) তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে যিহোবার গৃহে এমনকি মাত্র একদিন ব্যয় করাও এক অমূল্য সুযোগ। আর সেই লেবীয় একদিনের চেয়ে আরও অনেক বেশিদিন মন্দিরে সেবা করেছেন। তার সুযোগগুলি সম্বন্ধে তার সন্তুষ্টিই তাকে আনন্দে গাইতে প্রণোদিত করেছিল।
আমাদের সম্বন্ধে কী? আমরা কি আমাদের আশীর্বাদগুলি গণনা করি অথবা যিহোবার পরিচর্যায় ইতিমধ্যেই আমাদের যা আছে তা আমরা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা রাখি? তাঁর প্রতি তাদের ভক্তির দরুন যিহোবা, তাঁর লোকেদের উপর এক ব্যাপক সুযোগ এবং দায়িত্বগুলি অর্পণ করেছেন। এইগুলির অন্তর্ভুক্ত হল তত্ত্বাবধান করা, পালকের কাজ করা, শিক্ষা দেওয়া এবং বিভিন্ন প্রকার পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যার গুরু দায়িত্বগুলি। কিন্তু সেগুলি আরও অন্যান্য মহামূল্যবান বিষয়গুলিকেও জড়িত করে যা যিহোবার উপসনার জন্য করা দরকার।
উদাহরণস্বরূপ, খ্রীষ্টীয় পরিচর্যার বিষয়টি বিবেচনা করুন। প্রেরিত পৌল আমাদের সুসমাচার প্রচার করার সুযোগকে আমাদের এক “ধন মৃন্ময় পাত্রে” থাকার সাথে তুলনা করেন। (২ করিন্থীয় ৪:৭) আপনি কি এইরূপ পরিচর্যাকে এক অমূল্য ধনরূপে দেখেন? যীশু খ্রীষ্ট, যিনি রাজ্যের প্রচার কাজের অগ্রগামী ছিলেন, এই কাজকে সেইভাবে দেখেছিলেন ও এক আদর্শ স্থাপন করেছিলেন। (মথি ৪:১৭) পৌল বলেছিলেন: “আমরা এই পরিচর্য্যা-পদ প্রাপ্ত হওয়ায়, . . . , নিরুৎসাহ হই না।”—২ করিন্থীয় ৪:১.
এছাড়া খ্রীষ্টীয় সভাগুলি একটি পবিত্র ব্যবস্থা যা হালকাভাবে গ্রহণ করা উচিত নয়। আমাদের সভাগুলিতে, আমরা অত্যাবশ্যকীয় নির্দেশ লাভ করি এবং প্রয়োজনীয় সাহচর্য উপভোগ করি। এছাড়া সভাগুলিতে নিয়মিতরূপে মন্তব্য করা এবং অন্যান্যভাবে কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করার দ্বারা আমরা আমাদের বিশ্বাস এবং আশার অভিব্যক্তি জনসাধারণে প্রকাশও করতে পারি। (ইব্রীয় ১০:২৩-২৫) বাস্তবিকই আমাদের সভাগুলি এমন এক ব্যবস্থা যা উপভোগ্য!
পূর্বে উল্লেখিত মাইকেল, এই আশীর্বাগুলিকে মূল্যবান বলে গণ্য এবং সেগুলিকে গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন। কিন্তু একজন প্রাচীন হিসাবে সেবা করতে না পারার হতাশা তাকে এগুলির প্রতি তার উপলব্ধিবোধকে সাময়িকভাবে পিছনে ঠেলে দেয়। সেগুলির উপর পুনরায় আলোকপাত করার দ্বারা, তিনি তার ভারসাম্য ফিরে পেতে এবং যিহোবাতে ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
একটি বিশেষ সুযোগ লাভ না করার কারণে অসন্তুষ্টি বোধ করার চেয়ে বরঞ্চ, যিহোবা আমাদের যেভাবে আশীর্বাদ করছেন সেগুলি পুনরায় পরীক্ষা করলে আমরা ভাল করব, যেমন গীতরচক করেছিলেন।a আমরা যদি অধিক দৃষ্টি দিতে ব্যর্থ হই, আমাদের পুনরায় অবলোকন করার প্ররয়োজন আছে, যিহোবার কাছে এই বিষয়ে যাচ্ঞা করে যে আমাদের সুযোগগুলি এবং যেভাবে তিনি আমাদের আশীর্বাদ করছেন এবং তাঁর প্রশংসায় ব্যবহার করছেন তা দেখার জন্য যেন তিনি আমাদের চক্ষু খুলে দেন।—হিতোপদেশ ১০:২২.
এছাড়াও এটি উপলব্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ যে বিশেষ সুযোগগুলি যেমন অধ্যক্ষ পদ নির্দিষ্ট যোগ্যতাবলি দাবি করে। (১ তীমথিয় ৩:১-৭; তীত ১:৫-৯) সুতরাং কোন ক্ষেত্রে উন্নতির প্রয়োজন আছে কি না তা অনুসন্ধান করে আমাদের নিজেদের পরীক্ষা করা এবং তারপর উন্নতির জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা করার প্রয়োজন আছে।—১ তীমথিয় ৪:১২-১৫.
নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন না
আমরা যদি পরিচর্যার একটি বিশেষ সুযোগ না পাই, আমাদের এই সিদ্ধান্তে আসা উচিত নয় যে যারা তা উপভোগ করছে, তাদের প্রতি যিহোবার প্রেম বেশি অথবা তিনি আমাদের ভাল কিছু থেকে বঞ্চিত করে রাখছেন। নিশ্চিতভাবে আমাদের এইরকম হিংসাপরায়ণ ধারণা পোষণ করা উচিত নয় যে ঐশিক নিযুক্তির পরিবর্তে মানব পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমেই তারা সুযোগগুলি অযোগ্যরূপে লাভ করেছে। এইধরনের চিন্তাধারাগুলি নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হলে তা হয়ত ঈর্ষা, কলহ এমনকি একসাথে সবকিছু ছেড়ে দেওয়ার প্রতি পরিচালিত করতে পারে।—১ করিন্থীয় ৩:৩; যাকোব ৩:১৪-১৬.
শুরুতে উল্লেখিত লোরা, হাল ছেড়ে দেননি। বরঞ্চ তিনি শেষপর্যন্ত তার ক্রোধ ও ঈর্ষার অনুভূতিগুলিকে দমন করেছিলেন। লোরা অবিরতভাবে ঈশ্বরের কাছে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন, অগ্রগামী হিসাবে কাজ করতে না পারায় তার যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তিনি যেন সেটি অতিক্রম করতে পারেন। এছাড়াও তিনি মণ্ডলীর যোগ্য ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য খুঁজেছিলেন এবং ঈশ্বরের প্রেম সম্বন্ধে পুনরায় আশ্বস্তবোধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “যিহোবা আমায় মানসিক শান্তি দিয়েছিলেন। এখন যদিও আমি ও আমার স্বামী অগ্রগামীর কাজ করতে পারি না, কিন্তু আমরা সেই সময়টির জন্য আনন্দ পোষণ করি যখন আমরা এটি করেছিলাম এবং সেই অভিজ্ঞতাগুলি থেকে শক্তি আহরণ করি যেগুলি আমাদের ছিল। এছাড়া আমরা আমাদের বয়োঃপ্রাপ্ত পুত্রের অগ্রগামী কাজের ক্ষেত্রেও সাহায্য করছি।” পরিতৃপ্ত হয়ে লোরা এখন তাদের অগ্রগামী পরিচর্যার কাজে ‘যাহারা আনন্দ করে, তাহাদের সহিত আনন্দ করতে’ পারছেন।—রোমীয় ১২:১৫.
অর্জনীয় লক্ষ্যগুলি স্থাপন করুন
আমাদের বর্তমান পরিচর্যার সুযোগগুলিতে সন্তুষ্ট থাকা ইঙ্গিত করে না যে আমরা অধিকতর ঐশিক লক্ষ্যগুলি স্থাপন করাই বন্ধ করে দেব। স্বর্গীয় পুনরুত্থান সম্পর্কে আলোচনা করার সময়, পৌল “সম্মুখস্থ বিষয়ের চেষ্টায় একাগ্র” থাকার সম্পর্কে বলেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন: “আইস, আমরা যে পর্য্যন্ত পঁহুছিয়াছি, সেই একই ধারায় চলি।” (ফিলিপীয় ৩:১৩-১৬) ঐশিক লক্ষ্যগুলি আমাদের সম্মুখের দিকে অগ্রসর হতে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু, প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি হল এইগুলিকে বাস্তবধর্মী রাখা।
বাস্তববাদী লক্ষ্যগুলি হচ্ছে যুক্তিযুক্ত ও অর্জনীয়। (ফিলিপীয় ৪:৫) এটির অর্থ এই নয় যে একটি লক্ষ্য যা বেশ কিছু বছরের কঠোর পরিশ্রম দাবি করে সেটি অবাস্তব। ধারাবাহিকভাবে কিছু অন্তবর্তী লক্ষ্য বা ধাপগুলি স্থাপন করার দ্বারাই ক্রমাগতভাবে একটি দীর্ঘ-মেয়াদী লক্ষ্যে পৌঁছান যেতে পারে। এইগুলি আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসাবে কাজ করতে পারে। সাফল্যপূর্ণভাবে প্রতিটি ধাপ সম্পূর্ণ করা হতাশার চেয়ে বরঞ্চ এক পরিতৃপ্তি বোধ প্রদান করবে।
এক উত্তম ভারসাম্য
যাইহোক, এটি শনাক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের পরিস্থিতি এবং সীমাবদ্ধতার কারণে, হয়ত কোন কোন সুযোগ লাভ করা সম্ভব হয় না। সেগুলিকে লক্ষ্য হিসাবে স্থাপন করা কেবলমাত্র হতাশা এবং নৈরাশ্যের দিকে পরিচালিত করে। এইধরনের লক্ষ্যগুলি অন্ততপক্ষে, কিছু সময়ের জন্যও স্থগিত রাখা উচিত। আমরা যদি ধার্মিক সন্তুষ্টির জন্য প্রার্থনা করি এবং যিহোবার ইচ্ছা পালন করাকে আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য করি, তাহলে এটি করা কঠিন হবে না। যখন আমরা সুযোগগুলির জন্য এগিয়ে যাই, তখন সেইক্ষেত্রে আমাদের ব্যক্তিগত সফলতার স্বীকৃতি নয়—যিহোবার গৌরবই—গুরুত্বপূর্ণ। (গীতসংহিতা ১৬:৫, ৬; মথি ৬:৩৩) বাইবেল যথাযথভাবে আমাদের বলে: “তোমার কার্য্যের ভার সদাপ্রভুতে অর্পণ কর, তাহাতে তোমার সঙ্কল্প সকল সিদ্ধ হইবে।”—হিতোপদেশ ১৬:৩.
৮৪তম গীতটি বিবেচনা করার সময় আমরা দেখতে পাই যে গীতরচক পরিচর্যার সুযোগগুলির প্রতি ঠিক এইধরনের এক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন আর যিহোবা তাকে প্রচুররূপে আশীর্বাদ করেছিলেন। এছাড়াও, এই গীতটি যিহোবার লোকেদের আজ পর্যন্ত ক্রমাগত উপকার করে আসছে।
যিহোবার উপর প্রার্থনাপূর্বক নির্ভরতার মাধ্যমে, আপনি যেগুলি এখন পরিতৃপ্তির সাথে উপভোগ করছেন, সেগুলির সাথে অতিরিক্ত সুযোগগুলি লাভের আকাঙ্ক্ষা করার ক্ষেত্রে ভারসাম্য রাখতে পারেন। আরও অধিক করার আকাঙ্ক্ষা যেন আপনার এখন যা আছে তার প্রতি উপলব্ধি ও অনন্তকাল যিহোবাকে সেবা করার আনন্দ থেকে আপনাকে কখনই বঞ্চিত না করে। যিহোবাতে আস্থা রাখুন, কারণ তাতে সুখ লাভ হয়, যেমন লেবীয়ের বাক্যগুলিতে দেখানো হয়েছে: “হে বাহিনীগণের সদাপ্রভু, ধন্য সেই ব্যক্তি, যে তোমার উপরে নির্ভর করে।”—গীতসংহিতা ৮৪:১২.
[পাদটীকাগুলো]
a দয়া করে জুন ১৫, ১৯৮৮ সালের প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) সংখ্যাটিতে “আপনি কি পবিত্র বিষয়গুলি উপলব্ধি করেন?” নামক প্রবন্ধটি দেখুন।
[১১ পৃষ্ঠার বাক্স]
Goals We Might Set
[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]
ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলি স্থাপনের সময়, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করাকে প্রথম স্থান দিন