-
আপনি কি ঈশ্বরের প্রতি আপনার সমস্ত কর্তব্য পালন করছেন?১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | নভেম্বর ১৫
-
-
১২. উপদেশক ১২:১১, ১২ পদে শলোমন যা বলেছিলেন তা আপনি কীভাবে নিজের ভাষায় বলবেন?
১২ যদিও শলোমনের সময়ে আজকের মতো মুদ্রণযন্ত্র ছিল না কিন্তু তবুও সেই সময় বইপুস্তকের কোন অভাব ছিল না। এই বইপুস্তককে কোন্ চোখে দেখা ঠিক ছিল? তিনি বলেছিলেন: “জ্ঞানবানদের বাক্য সরল অঙ্কুশস্বরূপ, ও সভাপতিগণের [বাক্য] পোতা গোঁজস্বরূপ, তাহারা একই পালক দ্বারা দত্ত হইয়াছে। আর শেষ কথা এই, হে বৎস, তুমি এই সকল হইতে উপদেশ গ্রহণ কর; বহুপুস্তক রচনার শেষ হয় না, এবং অধ্যয়নের আধিক্যে শরীরের ক্লান্তি হয়।”—উপদেশক ১২:১১, ১২.
-
-
আপনি কি ঈশ্বরের প্রতি আপনার সমস্ত কর্তব্য পালন করছেন?১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | নভেম্বর ১৫
-
-
১৪. (ক) কোন্ ধরনের বই ‘অধিক অধ্যয়ন করা’ উপকারী নয়? (খ) কোন্ ধরনের বইয়ের দিকে আমাদের বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত এবং কেন?
১৪ তাহলে শলোমন বই সম্বন্ধে যা বলেছিলেন তা কেন বলেছিলেন? কারণ যিহোবার বাক্যের সঙ্গে তুলনা করলে এই জগতের অগণিত বইপুস্তক শুধুই মানুষের যুক্তিতর্কে ভরা। এর বেশির ভাগ চিন্তাধারাই শয়তান দিয়াবলের চিন্তাধারাকে প্রকাশ করে। (২ করিন্থীয় ৪:৪) তাই এইরকম জাগতিক বিষয়বস্তু ‘অধিক অধ্যয়ন করে’ খুব কমই উপকার পাওয়া যায়। আসলে, এগুলো নিয়ে অনেক বেশি মেতে থাকলে তা আধ্যাত্মিকভাবেও ক্ষতিকর হতে পারে। শলোমনের মতো, আসুন আমরা ঈশ্বরের বাক্য জীবন সম্বন্ধে যা বলে তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করি। এটা আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করবে এবং যিহোবার আরও কাছে নিয়ে যাবে। অন্য বই বা শিক্ষার উৎসগুলোর দিকে বেশি বেশি মনোযোগ দিলে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারি। বিশেষ করে যখন এই বইগুলো জগতের যুক্তি দিয়ে লেখা হয় যা ঈশ্বরের প্রজ্ঞার বিপরীত, তখন এগুলো অস্বাস্থ্যকর এবং ঈশ্বর ও তাঁর উদ্দেশ্যগুলোর ওপর বিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়। তাই, আসুন আমরা মনে রাখি যে শলোমনের দিনের ও আমাদের দিনের সেই বইগুলোই সবচেয়ে বেশি উপকারী যা “একই পালক” যিহোবা ঈশ্বরের প্রজ্ঞাকে প্রকাশ করে। তিনি আমাদের জন্য পবিত্র শাস্ত্রের ৬৬টা বই দিয়েছেন যেগুলোতে আমাদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। বাইবেল এবং ‘বিশ্বস্ত দাসদের’ দেওয়া সাহায্যকারী বইপত্রিকাগুলো আমাদের “ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান” লাভ করতে সাহায্য করে।—হিতোপদেশ ২:১-৬.
-