ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ২/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১৩
  • আপনার জীবন—এর উদ্দেশ্য কী?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার জীবন—এর উদ্দেশ্য কী?
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • অন্তর্দৃষ্টির এক প্রধান উৎস
  • জীবনচক্রের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী উদ্দেশ্য
  • সুখ্যাতি অর্জনের এখনই সময়
  • “সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য”
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তিনি কি আপনার জন্য এক উত্তম উদাহরণ, নাকি এক সাবধানবাণীমূলক উদাহরণ?
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • শলোমন বিজ্ঞতার সঙ্গে শাসন করেন
    বাইবেল—এই বইয়ে কোন বার্তা রয়েছে?
  • আপনার জীবনকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করুন
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ২/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১৩

আপনার জীবন—এর উদ্দেশ্য কী?

“আমার মন প্রজ্ঞাসহকারে আমাকে পথ প্রদর্শন করিতেছিল . . . শেষে দেখিতে পারিব, . . . মনুষ্য-সন্তানদের সমস্ত জীবনকালে কি কি করা ভাল।”—উপদেশক ২:৩.

১, ২. নিজের সম্পর্কে যুক্তিসঙ্গত আগ্রহ থাকা কেন অন্যায় নয়?

আপনার নিজের প্রতি আপনি আগ্রহী, তাই নয় কি? এটি স্বাভাবিক। তাই আমরা প্রতিদিন খাদ্য গ্রহণ করি, যখন আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি আমরা নিদ্রা যাই এবং আমরা বন্ধুদের ও প্রিয়জনদের সাথে থাকতে পছন্দ করি। কখনও কখনও আমরা খেলাধূলা করি, সাঁতার কাটি অথবা অন্যকিছু করি, যেগুলি আমরা উপভোগ করে থাকি, যা আমাদের নিজেদের প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।

২ এইধরনের আত্ম-আগ্রহ, ঈশ্বর শলোমনকে যা লিখতে পরিচালিত করেছিলেন তার সাথে সঙ্গতি রাখে: “ভোজন পান করা এবং নিজ পরিশ্রমের মধ্যে প্রাণকে সুখভোগ করান ব্যতীত আর মঙ্গল মানুষের হয় না।” অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে, শলোমন আরও বলেছিলেন: “ইহাও আমি দেখিলাম যে, তাহা ঈশ্বরের হস্ত হইতে হয়। আর আমা হইতে কে অধিক ভোজন করিতে কিম্বা অধিক সুখভোগ করিতে পারে?”—উপদেশক ২:২৪, ২৫.

৩. কোন্‌ বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলির উত্তর অধিকাংশ লোকেই উত্তরহীন হিসাবে দেখে থাকে?

৩ তথাপি, আপনি জানেন যে জীবন ভোজন করা, পান করা, নিদ্রা যাওয়া এবং উত্তম কিছু করা থেকেও আরও বেশি কিছু। আমাদের বেদনা, নিরাশা এবং উদ্বেগগুলি রয়েছে। আর আমরা আমাদের জীবনের অর্থ সম্বন্ধে চিন্তা করার পক্ষে অতিরিক্ত ব্যস্ত বলে মনে করি। এটি কি আপনার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য নয়? দ্যা ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল এর প্রাক্তন সম্পাদক ভারমন্ট রয়স্টার আমাদের প্রসারিত জ্ঞান এবং দক্ষতা লক্ষ্য করার পরে লিখেছিলেন: “এখানে এক কৌতূহলজনক বিষয় রয়েছে। মানুষের নিজের বিষয়ে, তার উভয়সংকটের বিষয়ে, এই বিশ্বে তার স্থানের বিষয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকার সময়ে আমরা সময় কখন শুরু হয়েছিল তার চাইতে আর অধিক কিছু জানি না। আমাদের কাছে এখনও এই সমস্ত প্রশ্নগুলি থেকে যায় যে আমরা কারা এবং আমরা কেন আছি এবং আমরা কোথায় যাচ্ছি।”

৪. যে প্রশ্নগুলি আমাদের জড়িত করে আমাদের প্রত্যেকের সেগুলির উত্তর দিতে সমর্থ হতে চাওয়া উচিত কেন?

৪ এই প্রশ্নগুলির উত্তর আপনি কিভাবে দেবেন: আমরা কারা? আমরা কেন এখানে আছি? আর আমরা কোথায় যাচ্ছি? গত জুলাই মাসে, মি. রয়স্টার মারা গেছেন। আপনি কি মনে করেন যে ঐ সময়ের মধ্যে তিনি সন্তোষজনক উত্তরগুলি পেয়েছিলেন? আরও উপযুক্তভাবে বললে, এমন কি কোন পথ আছে যার মাধ্যমে আপনি এই উত্তর পেতে পারেন? আর এটি কিভাবে আপনাকে অধিকতর সুখী ও আরও অর্থপূর্ণ জীবন উপভোগ করতে সাহায্য করতে পারে? আসুন আমরা তা দেখি।

অন্তর্দৃষ্টির এক প্রধান উৎস

৫. জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে প্রশ্নগুলির ক্ষেত্রে যখন আমরা অন্তর্দৃষ্টির অনুসন্ধান করি, আমাদের অবশ্যই ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হবে কেন?

৫ যদি আমরা নিজেরাই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজি, তাহলে আমাদেরও হয়ত খুব সামান্য অথবা কোন সাফল্যই থাকবে না, যেমন অধিকাংশ পুরুষ এবং নারীদের ক্ষেত্রে এটি সত্য হয়েছে, এমনকি তাদের বিস্তর জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও। কিন্তু আমাদের একাকী ছেড়ে দেওয়া হয়নি। আমাদের সৃষ্টিকর্তা সাহায্য সরবরাহ করেছেন। যখন আপনি এবিষয়ে চিন্তা করেন, তিনিই কি অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার চূড়ান্ত উৎস নন, যিনি “অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল” অস্তিত্বে রয়েছেন এবং যাঁর এই বিশ্ব ও ইতিহাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান রয়েছে? (গীতসংহিতা ৯০:১, ২) তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছিলেন এবং সমস্ত মনুষ্য অভিজ্ঞতা অবলোকন করেছেন, সুতরাং তিনিই হলেন একমাত্র যাঁর কাছে আমাদের অন্তর্দৃষ্টির অন্বেষণ করা উচিত, কোন অসিদ্ধ মানুষের কাছে নয়, যাদের জ্ঞান এবং উপলব্ধিবোধ সীমিত।—গীতসংহিতা ১৪:১-৩; রোমীয় ৩:১০-১২.

৬. (ক) কিভাবে সৃষ্টিকর্তা প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করেছেন? (খ) এর সাথে শলোমন কিভাবে জড়িত হয়েছেন?

৬ আমরা আশা করতে পারি না যে সৃষ্টিকর্তা আমাদের কানে কানে জীবনের অর্থ প্রকাশ করবেন, কিন্তু তিনি এক অন্তর্দৃষ্টির উৎস সরবরাহ করেছেন—তাঁর অনুপ্রাণিত বাক্য। (গীতসংহিতা ৩২:৮; ১১১:১০) এই বিষয়ে উপদেশক পুস্তকটি বিশেষভাবে মূল্যবান। ঈশ্বর এর লেখককে অনুপ্রাণিত করেছিলেন, তাই “পূর্ব্বদেশের সমস্ত লোকের জ্ঞান . . . হইতে শলোমনের অধিক জ্ঞান হইল।” (১ রাজাবলি ৩:৬-১২; ৪:৩০-৩৪) “শলোমনের . . . জ্ঞান” এক পরিদর্শনকারী রাণীকে এত প্রভাবিত করেছিল যে তিনি বলেছিলেন এর অর্ধেকও বলা হয়নি এবং যারা তার জ্ঞানের কথা শোনে তারা বাস্তবিকই সুখী হবে।a (১ রাজাবলি ১০:৪-৮) আমরাও ঐশিক প্রজ্ঞা থেকে অন্তর্দৃষ্টি এবং সুখ লাভ করতে পারি যা আমাদের সৃষ্টিকর্তা শলোমনের মাধ্যমে সরবরাহ করেছেন।

৭. (ক) আকাশের নিচে অধিকাংশ কার্যকলাপ সম্বন্ধে শলোমন কী উপসংহার করেছিলেন? (খ) কোন্‌ দৃষ্টান্ত দেখায় শলোমনের মূল্যায়ন বাস্তবধর্মী?

৭ উপদেশক পুস্তকটি ঈশ্বর-দত্ত প্রজ্ঞাকে প্রতিফলিত করে, যা শলোমনের হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করেছিল। এইরকম করার জন্য সময়, সম্পদ এবং অন্তর্দৃষ্টি থাকাতে, শলোমন “আকাশের নিচে কৃত সমস্ত বিষয়ের” পরীক্ষা করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন যে তার অধিকাংশই “অসার ও বায়ুভক্ষণ মাত্র,” যেটি হল এক অনুপ্রাণিত মূল্যায়ন যা আমাদের মনে রাখা উচিত যখন আমরা জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে চিন্তা করি। (উপদেশক ১:১৩, ১৪, ১৬) শলোমন স্পষ্ট এবং বাস্তববাদী ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, উপদেশক ১:১৫, ১৮ পদে কথিত তার বাক্যগুলি সম্বন্ধে চিন্তা করুন। আপনি জানেন যে বহু শতাব্দী ধরে মানুষ বিভিন্ন ধরনের সরকারগুলি নিয়ে পরীক্ষা করেছে, কখনও কখনও সমস্যাগুলির সমাধান এবং লোকেদের জীবনের মান উন্নত করার জন্য আন্তরিকভাবে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু, কোন কিছুই কি প্রকৃতপক্ষে এই অসিদ্ধ বিধিব্যবস্থার “কুটিল” বিষয়গুলির সমাধান করতে পেরেছে? আর আপনি হয়ত লক্ষ্য করেছেন যে এক ব্যক্তির জ্ঞান যতই অধিক হয় সে আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করে যে এক স্বল্প-দৈর্ঘ জীবনকালের মধ্যে, বিষয়গুলি সম্পূর্ণভাবে সংশোধন করা অসম্ভব। এইরূপ সচেতনতা অনেকের কাছে হতাশা নিয়ে আসে, কিন্তু আমাদের কাছে তা অপরিহার্য নয়।

৮. কোন্‌ চক্র দীর্ঘকাল অস্তিত্বে আছে?

৮ বিবেচনা করার আরেকটি বিষয় হল পুনরাবৃত্তি চক্রগুলি যা আমাদের প্রভাবিত করছে, যেমন সূর্যের উদয় ও অস্ত যাওয়া অথবা বায়ু এবং জলের গতিশীলতা। এগুলি মোশি, শলোমন, নেপোলিয়ান এবং আমাদের প্রপিতামহদের দিনেও অস্তিত্বশীল ছিল। আর তা এখনও অবিরত চলছে। ঠিক যেমন, “এক পুরুষ চলিয়া যায়, আর এক পুরুষ আইসে।” (উপদেশক ১:৪-৭) মনুষ্য দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে। প্রাচীন এবং বর্তমান লোকেদের ঐ একই প্রকার কার্যকলাপ, আশা, উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং কার্যসাধনগুলি রয়েছে। এমনকি যদিও মানবজাতির মধ্যে, কিছু ব্যক্তি লক্ষ্যণীয় খ্যাতি অর্জন করেছিল, অথবা সৌন্দর্য বা সক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য ছিল, এখন সেই ব্যক্তিটি কোথায়? সে মারা গেছে এবং সম্ভবত তাকে ভুলে যাওয়া হয়েছে। এটি কোন বিষাদময় বিষয় নয়। অধিকাংশ লোকেরা এমনকি তাদের প্রপিতামহ-প্রপিতামহীর নাম জানে না অথবা বলতেও পারে না কোথায় তারা জন্মগ্রহণ করেছিল এবং কবরপ্রাপ্ত হয়েছিল। আপনি বুঝতে পারছেন যে কেন শলোমন বাস্তবিকভাবে মানবজাতির কর্মভার এবং প্রচেষ্টার মধ্যে অসারতা দেখেছিলেন।—উপদেশক ১:৯-১১.

৯. আমরা মানবজাতির অবস্থা সম্পর্কে বাস্তববাদী অন্তর্দৃষ্টি লাভের মাধ্যমে কিভাবে সাহায্য পেতে পারি?

৯ আমাদের হতাশাগ্রস্ত করার চাইতে বরঞ্চ, মানবজাতির মৌলিক পরিস্থিতির প্রতি এই ঐশিক অন্তর্দৃষ্টির এক ইতিবাচক প্রভাব থাকতে পারে, যা আমাদের পরিচালিত করবে এইরূপ অবাঞ্ছিত লক্ষ্য অথবা অভীষ্টগুলির প্রতি মূল্য আরোপ করাকে এড়িয়ে চলতে যা শীঘ্রই শেষ অথবা বিস্মৃত হয়ে যাবে। এটির উচিত জীবন থেকে আমরা যা পাচ্ছি এবং আমরা যা সম্পাদন করতে চেষ্টা করছি তা মূল্যায়ন করতে আমাদের সাহায্য করা। উদাহরণস্বরূপ কঠোর তপস্বী হওয়ার পরিবর্তে বরঞ্চ, আমরা ভারসাম্যপূর্ণ ভোজন এবং পান করে আনন্দ পেতে পারি। (উপদেশক ২:২৪) আর, আমরা যেমন দেখব, শলোমন খুবই ইতিবাচক এবং আশাবাদী উপসংহারে পৌঁছান। সংক্ষিপ্তরূপে, এটি হল আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে আমাদের সম্পর্ককে, আমাদের গভীরভাবে উপলব্ধি করা উচিত, যিনি এক অনন্তকালীন সুখী, উদ্দেশ্যপূর্ণ ভবিষ্যৎ পেতে আমাদের সাহায্য করতে পারেন। শলোমন জোর দিয়েছিলেন: “আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।”—উপদেশক ১২:১৩.

জীবনচক্রের দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী উদ্দেশ্য

১০. কোন্‌ উপায়ে শলোমন পশু এবং মানুষের মধ্যে তুলনা করেছিলেন?

১০ উপদেশক পুস্তকে প্রতিফলিত ঐশিক প্রজ্ঞা আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য বিবেচনায় আরও অতিরিক্ত সাহায্য করতে পারে। কিভাবে? এইভাবে যে শলোমন বাস্তবিকভাবে অন্যান্য সত্যের উপর আলোকপাত করেন যে সম্পর্কে আমরা হয়ত কদাচিৎ চিন্তা করে থাকি। এর অন্তর্ভুক্ত একটি বিষয় হল মানুষ ও পশুদের মধ্যে সাদৃশ্যগুলি। যীশু তাঁর শিষ্যদের মেষের সঙ্গের তুলনা করেছিলেন যদিও সাধারণতঃ লোকেরা পশুদের সাথে তুলনা করাকে পছন্দ করে না। (যোহন ১০:১১-১৬) তথাপি, শলোমন কিছু অনস্বীকার্য তথ্যাদি উপস্থাপিত করেছিলেন: “ঈশ্বর [মনুষ্যসন্তানদের] পরীক্ষা করেন, আর যেন তাহারা দেখিতে পায় যে, তাহারা নিজেই পশুবৎ। কেননা মনুষ্য-সন্তানদের প্রতি যাহা ঘটে, তাহা পশুর প্রতিও ঘটে, সকলেরই প্রতি একরূপ ঘটনা ঘটে; এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে; . . . পশু হইতে মানুষের কিছু প্রাধান্য নাই, কেননা সকলই অসার। . . . সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।”—উপদেশক ৩:১৮-২০.

১১. (ক) একটি পশুর আদর্শ জীবনচক্রকে কিভাবে বর্ণনা করা যেতে পারে? (খ) এইরূপ একটি বিশ্লেষণ সম্পর্কে আপনি কী মনে করেন?

১১ একটি পশুর কথা চিন্তা করুন যেটিকে দেখে আপনি আনন্দ পান, সম্ভবত এক পাহাড়ি শাফন অথবা একটি খরগোশ। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৪:৭; গীতসংহিতা ১০৪:১৮; হিতোপদেশ ৩০:২৬) অথবা আপনি হয়ত একটি কাঠবিড়ালের কথা ভাবতে পারেন; যারা সারা পৃথিবীতে ৩০০রও বেশি প্রজাতির রয়েছে। এটির জীবনচক্র কী প্রকার? এটি জন্মগ্রহণ করার পর এর মা এটিকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত লালনপালন করে। শীঘ্রই এর পশম হয় এবং এটি বাইরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে পারে। আপনি হয়ত এটিকে খাবার খোঁজা শিক্ষা করার সময় চঞ্চলভাবে ছোটাছুটি করতে দেখতে পাবেন। কিন্তু প্রায়ই এটি খেলছে, এটির যৌবনকে উপভোগ করছে বলে মনে হয়। প্রায় এক বছর বা এইরকম সময় ধরে বেড়ে ওঠার পর, এটি সঙ্গী খোঁজে। তারপর এটি অবশ্যই একটি বাসা অথবা গর্ত তৈরি করে এবং সন্তানসন্ততির যত্ন নেয়। যদি এটি যথেষ্ট রসালো ফল, বাদাম, এবং বীজ খুঁজে পায়, কাঠবিড়াল পরিবার হৃষ্টপুষ্ট হয় এবং তাদের বাসা প্রসারিত করতে সময় পায়। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে, জীবটি বৃদ্ধ হয় এবং দুর্ঘটনা ও রোগপ্রবণ হয়ে পড়ে। প্রায় দশ বছর বয়সে এটি মারা যায়। বিভিন্ন প্রকার কাঠবিড়ালের মধ্যে সামান্য পার্থক্য ব্যতিরেকে এটিই হল এর জীবনচক্র।

১২. (ক) বাস্তবিকভাবেই, অনেক মানুষের জীবনচক্র কেন সাধারণ পশুর মতই? (খ) আমাদের মনের মধ্যে যে পশুটি রয়েছে পরবর্তীকালে দেখলে তার সম্পর্কে আমরা হয়ত কী চিন্তা করতে পারি?

১২ অধিকাংশ লোকেরাই একটি পশুর এইরূপ জীবনচক্রের বিষয়ে আপত্তি করবে না এবং একটি কাঠবিড়ালের জীবনে এক চিন্তাশীল উদ্দেশ্য থাকবে তারা তা কদাচিৎ প্রত্যাশা করে। তথাপি, অনেক মানুষের জীবন এর থেকে খুব বেশি আলাদা নয়, তাই নয় কি? তারা জন্মগ্রহণ করে এবং শিশু হিসাবে প্রতিপালিত হয়। তারা খাদ্যগ্রহণ করে, বড় হয় এবং কিশোররূপে খেলাধূলা করে। শীঘ্রই তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়, সঙ্গী খোঁজে এবং বসবাস করার জন্য একটি স্থান ও খাদ্য সরবরাহের এক উপায় অন্বেষণ করে। যদি তারা সফল হয়, হয়ত তারা হৃষ্টপুষ্টভাবে বৃদ্ধি পায় এবং সন্তানদের লালনপালন করতে তাদের গৃহকে (বাসা) প্রসারিত করে। কিন্তু দশকগুলি দ্রুত অতিক্রান্ত হয় এবং তারা বৃদ্ধ হতে থাকে। যদি আগেই মৃত্যু না হয়, তাহলে তারা হয়ত ‘ক্লেশ ও দুঃখে’ পূর্ণ ৭০ বা ৮০ বছর পর মৃত্যুবরণ করে। (গীতসংহিতা ৯০:৯, ১০, ১২) পরবর্তী সময়ে আপনি যখন একটি কাঠবিড়ালকে (অথবা অন্য কোন জীব যেটি আপনার মনে আছে) দেখবেন হয়ত এই গম্ভীর তথ্যগুলি সম্বন্ধে চিন্তা করবেন।

১৩. কোন্‌ পরিণতি পশু এবং মানুষ উভয়ের ক্ষেত্রে সত্য বলে প্রমাণিত হয়?

১৩ আপনি দেখতে পারেন কেন শলোমন মানুষের সাথে পশুর জীবনকে তুলনা করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “সকল বিষয়েরই সময় আছে, . . . জন্মের কাল ও মরণের কাল।” যার পরবর্তী পরিণাম মৃত্যু যা মানুষ এবং পশু উভয়ের জন্য একইরূপ, “এ যেমন মরে, সে তেমনি মরে।” তিনি আরও বলেছিলেন: “সকলেই ধূলি হইতে উৎপন্ন, এবং সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।”—উপদেশক ৩:১, ২, ১৯, ২০.

১৪. কিভাবে কিছু মানুষ স্বাভাবিক জীবনচক্রকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, কিন্তু তার ফলাফল কী দাঁড়ায়?

১৪ আমাদের এই বাস্তব মূল্যায়নকে নেতিবাচক চিন্তাধারা বলে মনে করার প্রয়োজন নেই। এটি সত্য যে, কেউ কেউ পরিস্থিতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করে, যেমন তাদের পিতামাতার যা ছিল তার চাইতেও তাদের বস্তুগত অবস্থার উন্নতি করতে অতিরিক্ত কাজ করে থাকে। যখন তারা জীবন সম্বন্ধে তাদের বোধশক্তিকে প্রশস্ত করার চেষ্টা করে, তারা হয়ত এক উচ্চমানের জীবন যাপনের ব্যবস্থা করার জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি কিছু বছর অতিবাহিত করে থাকে। অথবা তারা হয়ত এক উত্তম স্বাস্থ্য এবং সামান্য দীর্ঘতর জীবন লাভ করার জন্য ব্যায়াম বা খাদ্য বিধির উপর মনোযোগ দেয়। আর এই প্রচেষ্টাগুলি হয়ত কিছু উপকার আনতে পারে। কিন্তু কে নিশ্চিত হতে পারে যে এইরূপ প্রচেষ্টাগুলি সফল প্রমাণিত হবে? এমনকি যদি তা হয়ও, তবে কত দিনের জন্য?

১৫. অধিকাংশ লোকের জীবন সম্বন্ধে কোন্‌ স্পষ্ট মূল্যায়ন গ্রহণযোগ্য?

১৫ শলোমন জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “যাহাতে অসারতা বাড়ে, এমন অনেক কথা আছে, তাহাতে মানুষের কি উৎকর্ষ? বস্তুতঃ জীবনকালে মনুষ্যের মঙ্গল কি, তাহা কে জানে? তাহার অসার জীবনকাল ত সে ছায়ার ন্যায় যাপন করে; আর মনুষ্যের পরে . . . কি ঘটিবে, তাহা তাহাকে কে জানাইতে পারে?” (উপদেশক ৬:১১, ১২) যেহেতু মৃত্যু একজন ব্যক্তির প্রচেষ্টাকে অপেক্ষাকৃত দ্রুতভাবে সমাপ্ত করে দেয়, তাই আরও বস্তুগত বিষয়াদি লাভ করার সংগ্রামে অথবা মুখ্যতঃ আরও বিষয়সম্পত্তি পেতে, পড়াশুনার জন্য দীর্ঘ বছরগুলি অতিবাহিত করায় প্রকৃতই কি প্রচুর সুবিধা রয়েছে? আর যেহেতু জীবন খুবই সংক্ষিপ্ত, এক ছায়ার ন্যায় অতিবাহিত হয়, তাই অনেকেই উপলব্ধি করে যে আরেকটি মনুষ্য লক্ষ্যের জন্য প্রচেষ্টা করতে পুনঃপরিচালিত হওয়ার কোন সময় নেই যখন তারা ব্যর্থতা অনুভব করে; অথবা একজন লোক নিশ্চিত হতে পারে না যে ‘তারপরে’ তার সন্তানদের প্রতি কী ঘটবে।

সুখ্যাতি অর্জনের এখনই সময়

১৬. (ক) আমাদের কী করা উচিত যা পশুরা করতে পারে না? (খ) অন্যান্য কোন্‌ সত্যের আমাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করা উচিত?

১৬ পশুদের বৈসাদৃশ্যে, আমাদের মনুষ্যদের চিন্তা করার ক্ষমতা আছে যে, ‘আমার অস্তিত্বের অর্থ কী? এটি কি শুধুমাত্র জন্ম হওয়ার কাল এবং মরণের কাল দ্বারা বেষ্টিত এক স্থির চক্র?’ এই বিষয়ে, মানুষ এবং পশু সম্বন্ধে শলোমনের বাক্যের সত্যটি স্মরণ করুন: “সকলেই ধূলিতে প্রতিগমন করে।” এটির অর্থ কি এই যে মৃত্যু একজনের অস্তিত্বকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেয়? বাইবেল দেখায় যে মানুষেরা এক অমর প্রাণের অধিকারী নয় যা দেহের বাইরে বেঁচে থাকে। মানুষেরাই হল প্রাণ এবং যে প্রাণ পাপ করে, সেই মরে। (যিহিষ্কেল ১৮:৪, ২০) শলোমন বিশদভাবে বলেছিলেন: “জীবিত লোকেরা জানে যে, তাহারা মরিবে; কিন্তু মৃতেরা কিছুই জানে না, এবং তাহাদের আর কোন ফলও হয় না, কারণ লোকে তাহাদের বিষয় ভুলিয়া গিয়াছে। তোমার হস্ত যে কোন কার্য্য করিতে পায়, তোমার শক্তির সহিত তাহা কর; কেননা তুমি যে স্থানে যাইতেছ, সেই পাতালে কোন কার্য্য কি সঙ্কল্প, কি বিদ্যা কি প্রজ্ঞা, কিছুই নাই।”—উপদেশক ৯:৫, ১০.

১৭. উপদেশক ৭:১, ২ পদটির আমাদের কোন্‌ বিষয়টি চিন্তা করার কারণস্বরূপ হওয়া উচিত?

১৭ সেই অনিবার্য সত্যের পরিপ্রেক্ষিতে, এই মন্তব্যটি বিবেচনা করুন: “উৎকৃষ্ট তৈল অপেক্ষা সুখ্যাতি ভাল, এবং জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল। ভোজের গৃহে যাওয়া অপেক্ষা বিলাপ-গৃহে যাওয়া ভাল, কেননা তাহা সকল মনুষ্যের শেষগতি, এবং জীবিত লোক তাহাতে মনোনিবেশ করিবে।” (উপদেশক ৭:১, ২) আমরা অবশ্যই একমত হব যে মৃত্যু “সকল মনুষ্যের শেষগতি।” কোন মানুষই মহৌষধ পান করে, কোন ভিটামিন মিশ্রণ খেয়ে বা ভোজনপ্রক্রিয়া পালন করে, অথবা কোন ব্যায়ামে যুক্ত থাকার ফলস্বরূপ অনন্ত জীবন পেতে সমর্থ হয়নি। আর সাধারণতঃ তাদের মৃত্যুর অল্পদিন পরেই “লোকে তাহাদের কথা ভুলিয়া গিয়াছে।” সুতরাং কেন সুখ্যাতি “উৎকৃষ্ট তৈল অপেক্ষা . . . ভাল, এবং জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল”?

১৮. আমরা কেন নিশ্চিত হতে পারি যে শলোমন পুনরুত্থানে বিশ্বাস করতেন?

১৮ যেমন লক্ষ্য করা হয়েছিল, শলোমন বাস্তববাদী ছিলেন। তিনি তার পূর্বপুরুষ অব্রাহাম, ইস্‌হাক এবং যাকোবকে জানতেন যারা নিশ্চিতভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অব্রাহামের সাথে সুপরিচিত হওয়ায়, যিহোবা ঈশ্বর তাকে এবং তাঁর বংশকে আশীর্বাদ করবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। (আদিপুস্তক ১৮:১৮, ১৯; ২২:১৭) হ্যাঁ, ঈশ্বরের সাক্ষাতে অব্রাহামের সুখ্যাতি ছিল, যার ফলে তিনি তাঁর বন্ধু হয়েছিলেন। (২ বংশাবলি ২০:৭; যিশাইয় ৪১:৮; যাকোব ২:২৩) অব্রাহাম জানতেন তার জীবন এবং তার পুত্রের জীবন কেবলমাত্র জন্ম এবং মৃত্যুর এক অবিরাম চক্রের সাধারণ অংশ নয়। নিশ্চিতরূপে এটি তার থেকে আরও অধিক কিছু ছিল। তাদের আবার পুনর্জীবিত হওয়ার নিশ্চিত প্রত্যাশা ছিল, এই কারণে নয় যে তারা এক অমর প্রাণের অধিকারী, কিন্তু কারণ হল যে তারা পুনরুত্থিত হবে। অব্রাহাম দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলেন যে “ঈশ্বর মৃতগণের মধ্য হইতেও [ইস্‌হাককে] উত্থাপন করিতে সমর্থ।”—ইব্রীয় ১১:১৭-১৯.

১৯. উপদেশক ৭:১ পদের অর্থ হিসাবে ইয়োবের কাছ থেকে আমরা কোন্‌ অন্তর্দৃষ্টি লাভ করতে পারি?

১৯ কিভাবে “উৎকৃষ্ট তৈল অপেক্ষা সুখ্যাতি ভাল, এবং জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল” তা বোঝার জন্য এটিই হল একটি চাবি। তার পূর্ববর্তী ইয়োবের ন্যায়, শলোমন দৃঢ়প্রত্যয়ী ছিলেন যে যিনি মানব জীবন সৃষ্টি করেছেন তিনি তা পুনর্স্থাপন করতে পারেন। যে সব মনুষ্যদের মৃত্যু হয়েছে তিনি তাদের জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারেন। (ইয়োব ১৪:৭-১৪) বিশ্বস্ত ইয়োব বলেছিলেন: “পরে তুমি [যিহোবা] আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব। তুমি আপন হস্তকৃতের প্রতি মমতা করিবে।” (ইয়োব ১৪:১৫,) এই বিষয়ে চিন্তা করুন! যারা মারা গেছেন তাঁর সেই নিষ্ঠাবান দাসেদের জন্য, আমাদের সৃষ্টিকর্তার “মমতা” রয়েছে। (“তুমি আপন হস্তকৃত কাজকে আরও একবার দেখিতে আকাঙ্ক্ষী।”—দ্যা যিরূশালেম বাইবেল) যীশু খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানকে প্রয়োগ করে, সৃষ্টিকর্তা মনুষ্যদের পুনরুত্থিত করতে পারেন। (যোহন ৩:১৬; প্রেরিত ২৪:১৫) স্পষ্টতই, নিছক পশু যারা মরে তাদের থেকে মানুষ আলাদা হতে পারে।

২০. (ক) কখন জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল? (খ) কিভাবে লাসারের পুনরুত্থান অনেককে প্রভাবিত করেছিল?

২০ এর অর্থ এই যে এক ব্যক্তির জন্মদিন অপেক্ষা মরণদিন ভাল হতে পারে, যদি এক ব্যক্তি ইতিমধ্যে যিহোবার সাক্ষাতে সুনাম অর্জন করেছেন, যিনি বিশ্বস্ত ব্যক্তিবর্গ যারা মারা যায় তাদের পুনরুত্থিত করতে পারেন। মহান শলোমন, যীশু খ্রীষ্ট, তা প্রমাণ করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি বিশ্বস্ত ব্যক্তি লাসারকে জীবনে পুনরুত্থিত করেছিলেন। (লূক ১১:৩১; যোহন ১১:১-৪৪) আপনি কল্পনা করতে পারেন, তাদের মধ্যে অনেকেই যারা লাসারের জীবনে ফিরে আসার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল তারা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিল এবং ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। (যোহন ১১:৪৫) আপনি কি মনে করেন যে তারা জীবনকে উদ্দেশ্যহীন বলে বোধ করেছিল, যাদের তারা কে ছিল এবং তারা কোথায় যাচ্ছিল এই সম্বন্ধে কোন ধারণা ছিল না? বিপরীতে, তারা দেখতে পেরেছিল যে তাদেরকে নিছক পশুর মত হতে হবে না, যারা জন্মগ্রহণ করে, কিছুকাল বেঁচে থাকে এবং তারপর মারা যায়। তাদের জীবনের উদ্দেশ্য, সরাসরি এবং ঘনিষ্ঠভাবে যীশুর পিতাকে জানা এবং তাঁর ইচ্ছা পালন করার সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত ছিল। আপনার সম্পর্কে কী বলা যায়? এই আলোচনা কি আপনাকে দেখতে, অথবা আরও স্পষ্টভাবে দেখতে সাহায্য করেছে যে কিরূপে আপনার জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য থাকতে পারে এবং থাকা উচিত?

২১. আমাদের জীবনের কোন্‌ অর্থ অনুসন্ধান আমরা এখনও পরীক্ষা করে দেখতে চাই?

২১ তবুও, প্রকৃত এবং অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্যে বেঁচে থাকার অর্থ মৃত্যু সম্বন্ধে চিন্তা এবং তারপর পুনরায় বেঁচে থাকার চাইতে আরও অধিক কিছু। এটি আমরা প্রতিদিন আমাদের জীবন নিয়ে কী করছি তাকে জড়িত করে। শলোমনও উপদেশক পুস্তকে সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছিলেন, যেমন আমরা পরবর্তী প্রবন্ধটিতে দেখব।

[পাদটীকাগুলো]

a “শিবার রাণীর বর্ণনা শলোমনের জ্ঞানের প্রতি আলোকপাত করেছিল এবং গল্পটিকে প্রায়ই একটি উপকথা বলা হয়ে থাকে (১ রাজা. ১০:১-১৩)। কিন্তু প্রসঙ্গটি ইঙ্গিত করে যে শলোমনের কাছে তার পরিদর্শন প্রকৃতপক্ষে বাণিজ্যের সাথে যুক্ত ছিল এবং এইধরনের পরিদর্শন বোধগম্য; এর ঐতিহাসিকতাকে সন্দেহ করার প্রয়োজন নেই।”—দি ইন্টারন্যাশন্যাল স্ট্যান্ডার্ড বাইবেল এনসাইক্লোপিডিয়া (১৯৮৮), খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৫৬৭.

আপনার কি স্মরণে আছে?

◻ কোন্‌ কোন্‌ ক্ষেত্রে পশু এবং মানুষ তুলনীয়?

◻ কেন মৃত্যু গুরুত্ব আরোপ করে যে মানুষের প্রচুর প্রচেষ্টা এবং কর্ম অসার?

◻ কিভাবে মরণদিন জন্মদিন অপেক্ষা ভাল?

◻ কোন্‌ সম্পর্কের উপর আমাদের জীবনে এক অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্য থাকা নির্ভর করে?

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

কিভাবে আপনার জীবন পশুদের থেকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে পৃথক?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার