ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • kl অধ্যায় ২ পৃষ্ঠা ১২-২২
  • যে বই ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রকাশ করে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • যে বই ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রকাশ করে
  • জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বাইবেলে কী রয়েছে
  • আপনি কি বাইবেলকে বিশ্বাস করতে পারেন?
  • সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য
  • ভাববাণীর এক পুস্তক
  • ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের জন্য “লালসা কর”
  • যে-সত্য শিক্ষাগুলো ঈশ্বরকে খুশি করে
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেল—ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি বই
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • বাইবেলের উপর আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
  • বাইবেলের উপর আপনি কি বিশ্বাস করতে পারেন?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখতে শুরু করুন
জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
kl অধ্যায় ২ পৃষ্ঠা ১২-২২

অধ্যায় ২

যে বই ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রকাশ করে

১, ২. কেন আমাদের সৃষ্টিকর্তার পরিচালনার প্রয়োজন রয়েছে?

এটি প্রকৃতই যুক্তিযুক্ত যে আমাদের প্রেমময় সৃষ্টিকর্তা মানবজাতির নির্দেশ ও পরিচালনার জন্য একটি বই প্রদান করবেন। আর আপনি কি একমত নন যে মানুষের পরিচালনার প্রয়োজন আছে?

২ এক ভাববাদী ও ইতিহাসবিদ্‌ ২,৫০০ বছরেরও বেশি আগে লিখেছিলেন: “মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।” (যিরমিয় ১০:২৩) আজ, সেই উক্তির সত্যতা পূর্বের চেয়েও অনেক বেশি স্পষ্ট। তাই, ইতিহাসবিদ্‌ উইলিয়াম এইচ্‌. ম্যাক্‌নিল্‌ মন্তব্য করেন: “এই গ্রহের উপরে মানুষের অভিজ্ঞতা সমাজে স্থাপিত নিয়মের উপরে প্রায় অবাধে ধারাবাহিকভাবে সঙ্কট ও ভাঙন নিয়ে এসেছে।”

৩, ৪. (ক) কিভাবে আমাদের বাইবেল অধ্যয়নের প্রতি অগ্রসর হওয়া উচিত? (খ) আমরা কিভাবে বাইবেল পরীক্ষা করা শুরু করব?

৩ বিজ্ঞের সাথে পরিচালনার জন্য বাইবেল আমাদের সকল প্রয়োজন পূর্ণ করে। সত্য, অনেকেই বিহ্বল হয়ে যায় যখন তারা প্রথম বাইবেল পড়ে। এটি এক বৃহৎ পুস্তক এবং এর কিছু কিছু অংশ বোঝা সহজ নয়। কিন্তু যদি আপনাকে একটি বৈধ দলিল দেওয়া হয় যাতে কোন মূল্যবান উত্তরাধিকার পাওয়ার জন্য আপনাকে কী করতে হবে তার নির্দেশ দেওয়া আছে, আপনি কি যত্ন সহকারে সময় নিয়ে তা অধ্যয়ন করবেন না? যদি দলিলের কিছু অংশ বুঝতে কঠিন বোধ হয়, সম্ভবত ঐ বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারও সাহায্য আপনি নেবেন। একই মনোভাব বাইবেলের প্রতি প্রদর্শন করুন না কেন? (প্রেরিত ১৭:১১) বস্তুগত উত্তরাধিকারের থেকে অধিক বিষয় জড়িত রয়েছে। যেমন আমরা আগের অধ্যায়ে শিখেছিলাম, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান অনন্ত জীবনের প্রতি পরিচালিত করতে পারে।

৪ আসুন আমরা বইটি পরীক্ষা করি যা ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রকাশ করে। আমরা প্রথমে বাইবেলের একটি সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করব। তারপর আমরা কারণগুলি আলোচনা করব কেন বহু অভিজ্ঞ ব্যক্তি বিশ্বাস করেন যে এটি ঈশ্বর অনুপ্রাণিত বাক্য।

বাইবেলে কী রয়েছে

৫. (ক) ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীতে কী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে? (খ) গ্রীক শাস্ত্রাবলীর অন্তর্ভুক্ত কী?

৫ বাইবেলে ৬৬টি পুস্তক আছে দুটি ভাগে, প্রায়ই যাদের বলা হয় পুরাতন নিয়ম এবং নূতন নিয়ম। উনচল্লিশটি বাইবেল পুস্তক লেখা হয়েছিল মূলত ইব্রীয় এবং ২৭টি গ্রীক ভাষায়। আদিপুস্তক থেকে মালাখি পর্যন্ত, ইব্রীয় শাস্ত্রাবলী সৃষ্টি ও সেই সঙ্গে প্রথম ৩,৫০০ বছরের মানব ইতিহাস আলোচনা করে। বাইবেলের এই অংশটি পরীক্ষা করার দ্বারা, ইস্রায়েল জাতির প্রতি ঈশ্বরের আচরণ সম্বন্ধে আমরা জানতে পারি—সা.শ.পূ. ১৬শ শতাব্দীতে একটি জাতি রূপে তাদের জন্ম থেকে সা.শ.পূ. ৫ম শতাব্দী পর্যন্ত।a গ্রীক শাস্ত্রাবলী যার মধ্যে মথি থেকে প্রকাশিত বাক্য পুস্তকগুলি রয়েছে, যা সা.শ. প্রথম শতাব্দীতে যীশু খ্রীষ্ট ও তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা এবং কার্যাবলির উপরে মনোযোগ দিয়েছে।

৬. আমরা কেন সমগ্র বাইবেলটি অধ্যয়ন করব?

৬ কেউ কেউ দাবি করে যে “পুরাতন নিয়ম” হল যিহূদীদের জন্য এবং খ্রীষ্টানদের জন্য “নূতন নিয়ম।” কিন্তু ২ তীমথিয় ৩:১৬ পদ অনুসারে, “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি শিক্ষার . . . নিমিত্ত উপকারী।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) সুতরাং, যথাযথ শাদুস্ত্রর অধ্যয়নের জন্য সম্পূর্ণ বাইবেল অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। বস্তুতপক্ষে, বাইবেলের দুটি ভাগ একটি অন্যটির পরিপূরক, সমন্বয় সহকারে মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ বিষয়বস্তুকে গড়ে তোলে।

৭. বাইবেলের বিষয়বস্তুটি কী?

৭ হয়ত বেশ কয়েক বছর ধরে আপনি ধর্মীয় সভাগুলিতে উপস্থিত হয়েছেন এবং বাইবেলের কিছু কিছু অংশ উচ্চৈঃস্বরে পড়তে শুনেছেন। অথবা আপনি নিজেই হয়ত তার থেকে কিছু উদ্ধৃত অংশ পড়েছেন। আপনি কি জানতেন যে আদিপুস্তক থেকে প্রকাশিত বাক্য পর্যন্ত বাইবেলের বিষয়বস্তু একই? হ্যাঁ, একটি সমন্বয়পূর্ণ বিষয়বস্তু বাইবেলে পরিব্যাপ্ত হয়েছে। সেই বিষয়বস্তুটি কী? তা হল মানবজাতিকে শাসন করতে ঈশ্বরের অধিকারের সত্যতা প্রতিপাদন এবং তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে তাঁর প্রেমময় উদ্দেশ্যের পূর্ণতা সাধন। পরে, আমরা দেখব ঠিক কিভাবে ঈশ্বর এই উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেন।

৮. ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব সম্বন্ধে বাইবেল কী প্রকাশ করে?

৮ ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে রচিত করা ছাড়াও, বাইবেল তাঁর ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করে। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল থেকে আমরা জানি যে ঈশ্বর অনুভূতিশীল এবং আমাদের মনোনয়নগুলি তাঁর কাছে গুরুত্বপূর্ণ। (গীতসংহিতা ৭৮:৪০, ৪১; হিতোপদেশ ২৭:১১; যিহিষ্কেল ৩৩:১১) গীতসংহিতা ১০৩:৮-১৪ পদ বলে যে ঈশ্বর “স্নেহশীল ও কৃপাময়, দুক্রাধে ধীর ও দয়াতে মহান।” তিনি করুণাসহ আমাদের সাথে আচরণ করেন, ‘এই মনে রেখে যে আমরা মৃত্তিকার ধূলিমাত্র’ ও মৃত্যুতে ধূলিতেই প্রতিগমন করি। (আদিপুস্তক ২:৭; ৩:১৯) কী অপূর্ব গুণাবলিই না তিনি প্রদর্শন করেন! এইধরনের ঈশ্বরের উপাসনা করতেই কি আপনি ইচ্ছুক নন?

৯. ঈশ্বরের মানগুলি সম্বন্ধে বাইবেল কিভাবে আমাদের এক স্পষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি দেয় এবং এই জ্ঞান থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি?

৯ ঈশ্বরের মানগুলি সম্পর্কে বাইবেল আমাদের পরিষ্কার ধারণা দেয়। এগুলিকে কখনও কখনও নিয়মরূপে বিবৃত করা হয়েছে। কিন্তু প্রায়ই, বেশির ভাগ ক্ষেদুত্র, সেগুলি ব্যবহারিক উদাহরণসমূহের দ্বারা শিক্ষা দেওয়া মূল নীতিগুলিতে প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের উপকারের জন্য প্রাচীন ইস্রায়েল জাতির ইতিহাসের কিছু ঘটনা ঈশ্বর লিপিবদ্ধ করিয়েছেন। এই অকপট বিবরণগুলি দেখায় যে কী ঘদুট যখন লোকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সাথে মিল রেখে কাজ করে, ও সেইসঙ্গে যে দুঃখময় পরিণতি আসে যখন তারা নিজেদের ইচ্ছানুযায়ী পথে চলে। (১ রাজাবলি ৫:৪; ১১:৪-৬; ২ বংশাবলি ১৫:৮-১৫) এরূপ বাস্তব-জীবনের বিবরণগুলি পড়া নিঃসন্দেহে আমাদের হৃদয়ে ছাপ ফেলে। লিপিবদ্ধ ঘটনাগুলি যদি আমরা মনশ্চক্ষে কল্পনা করার চেষ্টা করি, সেগুলির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে আমরা নিজেদের শনাক্ত করতে পারি। এইভাবে, ভাল উদাহরণগুলি থেকে আমরা উপকৃত হতে পারি এবং সেই বিপদগুলি এড়িয়ে চলতে পারি যা অন্যায়কারীদের ফাঁদে ফেলেছিল। কিন্তু, এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটির এক উত্তরের প্রয়োজন রয়েছে: আমরা কিভাবে নিশ্চিত হতে পারি যে বাইবেলে আমরা যা পড়ি তা প্রকৃতই ঈশ্বর অনুপ্রাণিত?

আপনি কি বাইবেলকে বিশ্বাস করতে পারেন?

১০. (ক) কেন অনেকে মনে করেন যে বাইবেল সেকেলে? (খ) বাইবেল সম্পর্কে ২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭ পদ আমাদের কী বলে?

১০ হয়ত আপনি লক্ষ্য করেছেন যে পরামর্শ দেয় এমন বহু পুস্তক মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সেকেলে হয়ে যায়। বাইবেল সম্পর্কে কী বলা যায়? এটি বহু পুরাতন এবং যখন এর শেষ বাক্যগুলি লিখিত হয়েছিল তখন থেকে প্রায় ২,০০০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। অনেকেই তাই মনে করেন যে আমাদের আধুনিক যুগের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। কিন্তু যদি বাইবেল ঈশ্বর অনুপ্রাণিত হয়, বহু প্রাচীন হওয়া সত্ত্বেও এর পরামর্শ সর্বদাই বর্তমানকালীন হওয়া উচিত। শাস্ত্রাবলী এখনও হওয়া উচিত “শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী, যেন ঈশ্বরের লোক পরিপক্ব, সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য সুসজ্জীভূত হয়।”—২ তীমথিয় ৩:১৬, ১৭.

১১-১৩. কেন আমরা বলতে পারি যে বাইবেল আমাদের দিনের জন্য ব্যবহারিক?

১১ গভীরভাবে পরীক্ষা প্রকাশ করে যে বাইবেলের নীতিগুলি বর্তমান কালেও সমরূপে প্রযোজ্য ঠিক যেমন সেগুলি প্রযোজ্য ছিল যখন প্রথম লিখিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের আচার-আচরণ সম্পর্কে বাইবেল নিখুঁত বোধশক্তিকে প্রতিফলিত করে যা মানবজাতির প্রতিটি বংশের প্রতিই প্রযোজ্য। আমরা সহজেই তা দেখতে পাই যীশুর পর্বতে দত্ত উপদেশে, যা মথির পুস্তকে, ৫ থেকে ৭ অধ্যায়ে পাওয়া যায়। প্রয়াত ভারতীয় নেতা মোহনদাস করম্‌চাঁদ গান্ধী এই উপদেশে এতই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে বলা হয়েছে তিনি এক বৃটিশ রাজকর্মচারীকে বলেছিলেন: “যখন আপনার এবং আমার দেশের লোকেরা একদুত্র খ্রীষ্টের পর্বতে দত্ত শিক্ষাগুলি মেনে চলবে, তখন শুধুমাত্র আমাদের দেশেরই নয়, বরং সমগ্র পৃথিবীর সমস্যাগুলিরই সমাধান হয়ে যাবে।”

১২ আশ্চর্য নয় যে যীশুর শিক্ষাগুলি মানুষকে মুগ্ধ করেছে! পর্বতে দত্ত উপদেশে, তিনি আমাদের প্রকৃত সুখের পথ প্রদর্শন করেছিলেন। তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন কিভাবে বিতর্কের অবসান করা যায়। কিভাবে প্রার্থনা করতে হয় যীশু নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বস্তুগত চাহিদাগুলির প্রতি সবচেয়ে উপযুক্ত মনোভাব কী হওয়া উচিত তার উদুল্লখ করেছিলেন এবং অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক রাখার জন্য তিনি সুবর্ণ নিয়ম দিয়েছিলেন। ধর্মীয় ভণ্ডদের কিভাবে চিনতে হয় এবং কিরূপে এক সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ অর্জন করা যায় তাও এই উপদেশের বিষয়গুলির অন্তর্ভুক্ত ছিল।

১৩ পর্বতে দত্ত উপদেশে এবং এর বাকি সকল পৃষ্ঠাতেই, বাইবেল পরিষ্কারভাবে আমাদের বলে জীবনে আমাদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতিকে উন্নতি করতে হলে কী করতে হবে এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে। এর উপদেশ এত বাস্তবধর্মী যে এক শিক্ষাবিদ্‌ বলতে প্ররোচিত হয়েছিলেন: “যদিও আমি স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সহ এক উচ্চ-বিদ্যালয়ের উপদেষ্টা ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং মনস্তত্ত্বের বহু সংখ্যক বই পড়েছি, কিন্তু আমি আবিষ্কার করেছি যে এই বিষয়গুলি যেমন এক সফল বিবাহ, কিশোর অপরাধ নিবারণ এবং কিভাবে বন্ধুত্ব লাভ ও রক্ষা করা যায় এগুলিতে বাইবেলের উপদেশ আমি কলেজে যা কিছু পড়েছি বা অধ্যয়ন করেছি তার চেয়ে অনেক বেশি শ্রেয়।” বাস্তবধর্মী এবং বর্তমানকালীন হওয়া ছাড়া, বাইবেল নির্ভরযোগ্যও।

সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য

১৪. কী দেখায় যে বাইবেল বিজ্ঞান সম্বন্ধীয় বিষয়ে সঠিক?

১৪ যদিও বাইবেল কোন বিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তক নয়, এটি তবুও বিজ্ঞান বিষয়ে সঠিক। উদাহরণস্বরূপ, এক সময়ে যখন অধিকাংশ লোকে বিশ্বাস করত যে পৃথিবীপৃষ্ঠ সমতল, ভাববাদী যিশাইয় একে “চক্র” বলে উদুল্লখ করেছিলেন (ইব্রীয়, চুগ, যা এখানে “গোলক” অর্থ বহন করে)। (যিশাইয় ৪০:২২) এক গোলাকার পৃথিবীর ধারণা ব্যাপকরূপে গৃহীত হয়েছিল কেবলমাত্র যিশাইয়ের দিনের কয়েক হাজার বছর পরেই। এছাড়া, ইয়োব ২৬:৭—৩,০০০ বছরেরও অধিক পূর্বে লেখা—বলে যে ঈশ্বর “অবস্তুর উপরে পৃথিবীকে ঝুলাইয়াছেন।” এক বাইবেল পণ্ডিত বলেন: “কিভাবে ইয়োব জানলেন সেই সত্য, জ্যোতির্বিদ্যা দ্বারা যা প্রমাণিত হয়েছে, যে পৃথিবী কোন অবলম্বন ছাড়াই শূন্যে স্থাপিত, তা হল একটি প্রশ্ন, যারা পবিত্র শাস্ত্রের অনুপ্রেরণাকে অস্বীকার করে, তাদের দ্বারা সহজে সমাধান হয়নি।”

১৫. বাইবেলের বিবরণীর রচনাশৈলী কিভাবে এর উপরে আস্থা দৃঢ় করে?

১৫ বাইবেলে পাওয়া বিবরণীর রচনাশৈলী এই বহু-প্রাচীন পুস্তকের উপরে আমাদের আস্থাকেও দৃঢ় করে। পৌরাণিক কাহিনীর বিপরীতে, বাইবেলে দেওয়া ঘটনাবলী বিশেষ বিশেষ ব্যক্তি ও তারিখের সঙ্গে জড়িত। (১ রাজাবলি ১৪:২৫; যিশাইয় ৩৬:১; লূক ৩:১, ২) আর যেখানে প্রাচীন ইতিহাসবিদ্‌ প্রায় সর্বদাই তাদের শাসকদের বিজয়গুলিকে অতিরঞ্জিত করেছে এবং তাদের পরাজয় ও ভুলগুলি গোপন করেছে, সেখানে বাইবেল লেখকেরা অকপট এবং সৎ—এমনকি তাদের নিজেদের গুরুতর পাপগুলি সম্পর্কেও।—গণনাপুস্তক ২০:৭-১৩; ২ শমূয়েল ১২:৭-১৪; ২৪:১০.

ভাববাণীর এক পুস্তক

১৬. বাইবেল যে ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য তার সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ কী?

১৬ পরিপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণী চূড়ান্ত প্রমাণ দেয় যে বাইবেল ঈশ্বর দ্বারা অনুপ্রাণিত। বাইবেলে বহু ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যেগুলি পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পূর্ণ হয়েছে। স্পষ্টতই, কেবল মানুষ এর জন্য দায়িত্ব বহন করতে পারে না। তাহলে, এই ভাববাণীগুলির পিছনে কী রয়েছে? বাইবেল নিজেই বলে যে “ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা,” অথবা ঈশ্বরের সক্রিয় শক্তি “দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।” (২ পিতর ১:২১) কিছু উদাহরণ বিবেচনা করুন।

১৭. কোন্‌ ভাববাণীগুলি বাবিলের পতন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল এবং এগুলি কিভাবে পূর্ণ হয়েছিল?

১৭ বাবিলের পতন। মাদীয় ও পারসীকদের কাছে বাবিলের পতন সম্বন্ধে যিশাইয় এবং যিরমিয় উভয়েই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। লক্ষণীয়ভাবে, এই ঘটনা সম্পর্কে যিশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণী লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল বাবিলনকে জয় করার প্রায় ২০০ বছর আগে! নিম্নে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণীর এই বিষয়গুলি এখন ঐতিহাসিক ঘটনারূপে প্রমাণিত হয়েছে: ইউফ্রেটীস নদীর জলকে ভিন্নমুখী করে এক কৃত্রিম হ্রদে চালিত করে তাকে শুষ্ক করে দেওয়া (যিশাইয় ৪৪:২৭; যিরমিয় ৫০:৩৮); বাবিলের নদীর দ্বারগুলিতে অসাবধান নিরাপত্তার অভাব (যিশাইয় ৪৫:১); এবং কোরস নামক এক শাসক দ্বারা বিজয়।—যিশাইয় ৪৪:২৮.

১৮. “যবন দেশের রাজা”-র উত্থান এবং পতন সম্পর্কে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে পূর্ণতা লাভ করেছিল?

১৮ “যবন দেশের রাজা”-র উত্থান এবং পতন। একটি দর্শনে, দানিয়েল দেখেন এক ছাগ একটি মেষকে আঘাত করে, তার দুই শৃঙ্গ ভেঙে ফেলে। তারপর, ঐ ছাগের বৃহৎ শৃঙ্গটি ভগ্ন হয় এবং সেই স্থানে চারটি শৃঙ্গ উৎপন্ন হয়। (দানিয়েল ৮:১-৮) দানিয়েলকে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল: “তুমি দুই শৃঙ্গবিশিষ্ট যে মেষ দেখিলে, সে মাদীয় ও পারসীক রাজা। আর সেই লোমশ ছাগ যবন দেশের রাজা, এবং তাহার দুই চক্ষুর মধ্যস্থানে যে বৃহৎ শৃঙ্গ, সে প্রথম রাজা। আর তাহার ভগ্ন হওয়া, ও তৎপরিবর্ত্তে আর চারি শৃঙ্গ উৎপন্ন হওয়া, ইহার মর্ম্ম এই, সেই জাতি হইতে চারি রাজ্য উৎপন্ন হইবে, কিন্তু উহার ন্যায় পরাক্রম-বিশিষ্ট হইবে না।” (দানিয়েল ৮:২০-২২) এই ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে, প্রায় দুই শতাব্দী পরে, “যবন দেশের রাজা,” আলেকজাণ্ডার দি গ্রেট, দুই-শৃঙ্গবিশিষ্ট মাদীয়-পারসীক সাম্রাজ্যকে পূর্ণরূপে পরাজিত করেন। সা.শ.পূ. ৩২৩ সালে আলেকজাণ্ডারের মৃত্যু হয়েছিল এবং পরে তার চারজন প্রধান সেনাপতি তার স্থানাভিষিক্ত হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালের এই রাজ্যগুলির কোনটিই আলেকজাণ্ডারের সাম্রাজ্যের শক্তির সাথে তুলনীয় হয়নি।

১৯. যীশু খ্রীষ্টে কোন্‌ ভবিষ্যদ্বাণীগুলি পূর্ণ হয়েছিল?

১৯ যীশু খ্রীষ্টের জীবন। ইব্রীয় শাস্ত্রে বহু ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যেগুলি পরিপূর্ণ হয়েছে যীশুর জন্ম, পরিচর্যা কাজ, মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ, ৭০০ বছরেরও বেশি পূর্বে, মীখা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে মশীহ, অথবা খ্রীষ্ট, বৈৎলেহমে জন্ম নেবেন। (মীখা ৫:২; লূক ২:৪-৭) মীখার সমসাময়িক যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে মশীহকে প্রহার করা ও থুথু দেওয়া হবে। (যিশাইয় ৫০:৬; মথি ২৬:৬৭) পাঁচ শত বছর পূর্বেই, সখরিয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে তিরিশটি রূপোর মুদ্রার বিনিময়ে মশীহকে ধরিয়ে দেওয়া হবে। (সখরিয় ১১:১২; মথি ২৬:১৫) এক হাজার বছরেরও বেশি আগে, দায়ূদ মশীহ যীশুর মৃত্যুর সাথে সংশ্লিষ্ট পরিস্থিতিগুলি ভাববাণী করেছিলেন। (গীতসংহিতা ২২:৭, ৮, ১৮; মথি ২৭:৩৫, ৩৯-৪৩) আর প্রায় পাঁচ শতাব্দী পূর্বে, দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ করেছিল কখন মশীহের আবির্ভাব হবে ও সেইসঙ্গে তাঁর পরিচর্যা কাল এবং তাঁর মৃত্যুর সময়। (দানিয়েল ৯:২৪-২৭) যীশু খ্রীষ্টে পরিপূর্ণ হওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলির মধ্যে এগুলি শুধু কিছু নমুনা মাত্র। পরে তাঁর সম্বন্ধে আরও অধিক পড়া আপনি পুরস্কারজনক বলে মনে করবেন।

২০. বাইবেলের পরিপূর্ণ হওয়া ভবিষ্যদ্বাণীর নিখুঁত বিবরণী আমাদের নিশ্চিত কী আস্থা দেবে?

২০ আরও বহু দীর্ঘ-কাল পরের বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ হয়েছে। ‘কিন্তু,’ আপনি জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ‘এটি আমার জীবন কিভাবে প্রভাবিত করে?’ ভাল, যদি কেউ বহু বছর যাবৎ আপনাকে সত্য বলে থাকে, যখন তিনি নতুন কিছু বলেন তখন আপনি কি হঠাৎ তাকে সন্দেহ করবেন? না! সমগ্র বাইবেলেই ঈশ্বর সত্য কথা বলেছেন। বাইবেল যা প্রতিজ্ঞা করে তার উপরে, এটিই কি আপনার আস্থা গড়ে তুলবে না, যেমন এক আগত পার্থিব পরমদেশ সম্বন্ধে এর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি? বাস্তবিকই, আমাদের একই আস্থা থাকতে পারে যা পৌলের ছিল, যীশুর প্রথম-শতাব্দীর শিষ্যদের একজন, যিনি লিখেছিলেন যে ‘ঈশ্বর মিথ্যা বলেন না।’ (তীত ১:২) আরও, যখন আমরা শাস্ত্র পড়ি এবং তার পরামর্শ সকল প্রয়োগ করি, আমরা সেই প্রজ্ঞা ব্যবহার করছি যা মানুষ কখনও নিজে অর্জন করতে পারে না, কারণ বাইবেল সেই বই যা প্রকাশ করে ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে।

ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের জন্য “লালসা কর”

২১. বাইবেল থেকে শেখা কিছু বিষয় যদি আপনার বিস্ময়কর বলে মনে হয়, তাহলে আপনার কী করা উচিত?

২১ যখন আপনি বাইবেল অধ্যয়ন করেন, সম্ভবত অতীতে আপনাকে যা শেখানো হয়েছে তার থেকে ভিন্ন বিষয়গুলি শিখবেন। এমনকি আপনি হয়ত দেখবেন যে আপনার আকাঙ্ক্ষিত কিছু ধর্মীয় রীতিনীতিও ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করে না। আপনি শিখবেন যে ভাল ও মন্দ সম্বন্ধে এই জগৎ সাধারণভাবে যা মেনে নেয় ঈশ্বরের মানসকল তার চেয়ে বহু উন্নত। প্রথমে হয়ত এটি বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু ধৈর্য রাখুন! যত্ন সহকারে শাস্ত্রাবলী পরীক্ষা করুন ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান পেতে। বাইবেলের পরামর্শ অনুসারে আপনার চিন্তায় ও কাজে পরিবর্তনের সম্ভাবনার প্রতি সঠিক মনোভাব রাখুন।

২২. আপনি কেন বাইবেল অধ্যয়ন করছেন এবং তা বুঝতে অন্যদের কিভাবে সাহায্য করতে পারেন?

২২ শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু ও আত্মীয়স্বজন হয়ত আপনার বাইবেল অধ্যয়নে বাধা দিতে পারে, কিন্তু যীশু বলেছিলেন: “অতএব যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে স্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে স্বীকার করিব। কিন্তু যে কেহ মনুষ্যদের সাক্ষাতে আমাকে অস্বীকার করে, আমিও আপন স্বর্গস্থ পিতার সাক্ষাতে তাহাকে অস্বীকার করিব।” (মথি ১০:৩২, ৩৩) কেউ হয়ত ভয় পেতে পারে যে আপনি কোন ধর্মপদ্ধতির সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়বেন অথবা এক ধর্মগোঁড়া ব্যক্তিতে পরিণত হবেন। বাস্তবে, যদিও, আপনি শুধুমাত্র যথার্থ ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান ও তাঁর সত্য লাভের জন্য প্রচেষ্টা করছেন। (১ তীমথিয় ২:৩, ৪) আপনি যা শিখছেন সে সম্পর্কে অন্যদের সাথে যখন কথা বলেন তখন তাদের এটি বুঝতে সাহায্য করতে, তার্কিক নয়, যুক্তিপূর্ণ হোন। (ফিলিপীয় ৪:৫) মনে রাখবেন অনেককেই “বাক্য বিহীনে . . . লাভ করা হয়” যখন তারা প্রমাণ দেখে যে বাইবেলের জ্ঞান প্রকৃতই মানুষের উপকার করে।—১ পিতর ৩:১, ২.

২৩. ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞানের জন্য আপনি কিভাবে “লালসা” করতে পারেন?

২৩ বাইবেল আমাদের উপদেশ দেয়: “নবজাত শিশুদের ন্যায় সেই পারমার্থিক অমিশ্রিত দুগ্ধের লালসা কর।” (১ পিতর ২:১, ২) এক শিশু তার মায়ের কাছ থেকে পুষ্টির উপরে নির্ভর করে এবং সেই চাহিদা মিটানোর উপরে জোর দেয়। একইভাবে, ঈশ্বর থেকে জ্ঞানের উপরে আমরা নির্ভরশীল। আপনার অধ্যয়ন বজায় রেখে তাঁর বাক্যের জন্য “লালসা” করুন। বাস্তবিকপক্ষে, প্রতিদিন বাইবেল পাঠ আপনার লক্ষ্য হিসাবে রাখুন। (গীতসংহিতা ১:১-৩) এটি আপনার জন্য প্রচুর আশীর্বাদ আনবে, কারণ ঈশ্বরের নিয়মগুলি সম্বন্ধে গীতসংহিতা ১৯:১১ পদ বলে: “তাহা পালন করিলে মহাফল হয়।”

[পাদটীকাগুলো]

a সা.শ.পূ. এর অর্থ হল “সাধারণ শতাব্দীর পূর্বে,” যা বি.সি. (“খ্রীষ্ট পূর্ব”) থেকে অধিক সঠিক। সা.শ. অর্থাৎ “সাধারণ শতাব্দী,” প্রায়ই এ.ডি., অ্যানো ডোমিনি বলা হয় যার অর্থ “আমাদের প্রভুর বৎসরে।”

আপনার জ্ঞান পরীক্ষা করুন

কিভাবে বাইবেল আর অন্য কোন পুস্তকের মত নয়?

কেন আপনি বাইবেলকে বিশ্বাস করতে পারেন?

কী আপনাকে প্রমাণ করে যে বাইবেল ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য?

[১৪ পৃষ্ঠার বাক্স]

আপনার বাইবেলের সাথে সুপরিচিত হন

বাইবেলের সাথে সুপরিচিত হওয়া কঠিন নয়। বাইবেল বইগুলির ক্রমপর্যায় ও অবস্থিতি শিখতে এর সূচীপত্র ব্যবহার করুন।

সহজে উদুল্লখের জন্য বাইবেল বইগুলিতে অধ্যায় এবং পদগুলি রয়েছে। অধ্যায় বিভাগগুলি যুক্ত করা হয়েছিল ১৩শ শতাব্দীতে এবং ১৬শ-শতাব্দীর এক ফরাসি মুদ্রাকর মনে হয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীকে বর্তমান-দিনের পদসমূহে ভাগ করেছিলেন। প্রথম সম্পূর্ণ বাইবেল যাতে অধ্যায় এবং পদের সংখ্যা উভয়ই ছিল, সেটি ১৫৫৩ সালে প্রকাশিত একটি ফরাসি সংস্করণ।

এই বইতে যখন শাস্ত্রলিপি উদ্ধৃত বা উদুল্লখ করা হয়েছে, প্রথম সংখ্যাটি অধ্যায় বোঝায় ও পরেরটি পদকে চিহ্নিত করে। উদাহরণস্বরূপ, “হিতোপদেশ ২:৫” এর উদুল্লখ বোঝায় হিতোপদেশের বই, অধ্যায় ২, পদ ৫. উদুল্লখিত শাস্ত্রগুলি খুলে দেখলে, বাইবেল শাস্ত্রপদ বার করা শীঘ্রই আপনার পক্ষে সহজ হবে।

বাইবেলের সাথে সুপরিচিত হওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হল প্রতিদিন বাইবেল পাঠ। প্রথমে, এটি কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি তিন থেকে পাঁচটি অধ্যায় প্রতিদিন পড়েন, তাদের ব্যাপ্তি অনুযায়ী বিচার করে, তাহলে সমগ্র বাইবেল আপনি এক বছরে পড়ে শেষ করবেন। আজই শুরু করুন না কেন?

[১৯ পৃষ্ঠার বাক্স]

বাইবেল—একটি অদ্বিতীয় পুস্তক

• বাইবেল “ঈশ্বর-নিশ্বসিত।” (২ তীমথিয় ৩:১৬) যদিও মানুষে বাক্যগুলি লিখেছিলেন, ঈশ্বর তাদের চিন্তাধারাকে পরিচালিত করেছিলেন, যেন বাইবেল প্রকৃতই “ঈশ্বরের বাক্য” হয়।—১ থিষলনীকীয় ২:১৩.

• বাইবেল ১৬ শতাব্দী ব্যাপী সময়কালের উপরে, বিভিন্ন পটভূমিকা থেকে প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণকারী দ্বারা লিখিত হয়েছিল। তবুও, সম্পূর্ণ বাইবেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুসঙ্গতিপূর্ণ।

• অন্য যে কোন পুস্তকের চেয়ে অনেক বেশি উগ্র বিরোধিতা থেকে বাইবেল রক্ষা পেয়েছে। মধ্যযুগে, শুধুমাত্র শাস্ত্রলিপির একটি কপি অধিকারে রাখার জন্য লোকেদের কাষ্ঠদণ্ডে আগুনে পোড়ানো হয়েছিল।

• জগতে সর্বাধিক বিক্রিত পুস্তকের মধ্যে বাইবেল প্রথম স্থানে রয়েছে। সম্পূর্ণ অথবা অংশত, ২,০০০ এরও অধিক ভাষায় এটি অনুবাদ করা হয়েছে। শত শত কোটি কপি ছাপা হয়েছে এবং পৃথিবীতে এমন কোন স্থান নেই যেখানে এর একটি কপি পাওয়া যাবে না।

• বাইবেলের প্রাচীনতম অংশের তারিখ সা.শ.পূ. ১৬শ শতাব্দীতে গিয়ে পৌঁছায়। এটি হিন্দু ঋগ্‌-বেদ এর (যা প্রায় সা.শ.পূ. ১৩০০ সাল), অথবা বৌদ্ধদের “ত্রিপিটক অনুশাসন” (সা.শ.পূ. পঞ্চম শতাব্দী), অথবা ইসলামীয় কোরান (সা.শ. সপ্তম শতাব্দী), ও শিন্টো নিহোঙ্গি (সা.শ. ৭২০ সাল) আবির্ভাবের পূর্বে।

[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার