ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৪/১ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করুন!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করুন!
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “চিরকালীন রাজা”
  • এক বিস্ময়কর জীবনের প্রত্যাশা
  • যিহোবার সৃষ্টিশীল প্রজ্ঞা
  • শ্রেষ্ঠ পার্থিব সৃষ্টি
  • আরও পরাক্রমী কার্যসকল
  • “তোমরা যাঃ এর প্রশংসা কর!”
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের সঙ্গে গমনাগমন—অনন্তকালের প্রতি দৃষ্টি রেখে
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “আহা! ঈশ্বরের . . . প্রজ্ঞা . . . কেমন অগাধ!”
    যিহোবার নিকটবর্তী হোন
  • অনন্তকালীন রাজা যিহোবার উপাসনা করুন
    ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৪/১ পৃষ্ঠা ১০-১৫

অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করুন!

“সদাপ্রভু অনন্তকালীন রাজা।”—গীতসংহিতা ১০:১৬.

১. অনন্তকাল সম্বন্ধে কোন্‌ প্রশ্নগুলি উত্থাপিত হয়?

অনন্তকালীন—এই অভিব্যক্তিটিকে আপনি কিভাবে বর্ণনা করবেন? আপনি কি মনে করেন যে সময় প্রকৃতই চিরকাল ধরে চলতে থাকবে? অতীতে সময় যে চিরকালব্যাপী প্রসারিত ছিল সে বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সুতরাং কেন তা ভবিষ্যতেও চিরকালব্যাপী প্রসারিত থাকবে না? সত্যই, নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরাজি) বাইবেল ঈশ্বরকে এইভাবে উল্লেখ করে যিনি প্রশংসিত হবেন “অনাদিকাল হইতে অনন্তকাল পর্য্যন্ত।” (গীতসংহিতা ৪১:১৩) এই অভিব্যক্তিটি কোন্‌ অর্থ বহন করে? যদি আমরা এর সাথে সম্পর্কযুক্ত বিষয়—মহাশূন্য সম্বন্ধে উল্লেখ করি, তা আমাদের এটি বুঝতে সাহায্য করতে পারে।

২, ৩. (ক) অনন্তকালকে উপলব্ধি করতে মহাশূন্য সম্পর্কীয় কোন্‌ প্রশ্নগুলি আমাদের সাহায্য করে? (খ) কেন আমাদের অনন্তকালীন রাজাকে উপাসনা করতে চাওয়া উচিত?

২ এই মহাশূন্য কতখানি প্রসারিত? এর কি কোন সীমা আছে? প্রায় ৪০০ বছর আগে মনে করা হত আমাদের পৃথিবী মহাবিশ্বের কেন্দ্রস্থলে রয়েছে। তারপর গ্যালিলিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র উদ্ভাবন করার ফলে আকাশের এক বৃহৎ বিস্তৃত দৃশ্য পাওয়া সম্ভব হয়। এরপর গ্যালিলিও আরও অসংখ্য নক্ষত্র দেখতে পেয়েছিলেন এবং দেখাতে পেরেছিলেন যে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ সূর্যের চতুর্দিকে ঘোরে। ছায়াপথ আর অপ্রকাশিত রইল না। এটি অসংখ্য নক্ষত্র সমন্বিত ছায়াপথ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল যার অন্তর্ভুক্ত প্রায় ১০,০০০ কোটি নক্ষত্র। আমরা কখনও এই অসংখ্য নক্ষত্রগুলিকে গুণতে পারব না এমনকি আমাদের সম্পূর্ণ জীবনকালেও। পরবর্তীকালে, জ্যোর্তিবিদেরা এইধরনের কোটি কোটি ছায়াপথের অবস্থান সম্বন্ধে খোঁজ পেয়েছেন। এগুলি মহাশূন্যে অন্তহীনভাবে প্রসারিত যতদূর পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী দূরবীক্ষণ যন্ত্র যেতে পারে। এটি দেখায় যে মহাশূন্যের কোন সীমা নেই। অনন্তকালীন এই অভিব্যক্তিটির ক্ষেত্রেও এই বিষয়টি সত্য—এরও কোন সীমা নেই।

৩ অনন্তকালীন এই অভিব্যক্তিটির ধারণা দেখায় যে তা সীমিত মানব মস্তিষ্কের বোধের বাইরের বিষয়। কিন্তু, একজন আছেন যিনি পূর্ণরূপে তা বুঝতে পারেন। তিনি গুণতে পারেন, হ্যাঁ, এমনকি সেই অসংখ্য, শতকোটি ছায়াপথের সহস্রকোটি নক্ষত্র তাদের নাম জানেন! এক ব্যক্তি এই কথাগুলি বলেন: “উর্দ্ধদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে? তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন; তাঁহার সামর্থ্যের আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত তাহাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না। তুমি কি জ্ঞাত হও নাই? তুমি কি শুন নাই? অনাদি অনন্ত ঈশ্বর, সদাপ্রভু, পৃথিবীর প্রান্ত সকলের সৃষ্টিকর্ত্তা ক্লান্ত হন না, শ্রান্ত হন না; তাঁহার বুদ্ধির অনুসন্ধান করা যায় না।” (যিশাইয় ৪০:২৬, ২৮) কতই না বিস্ময়কর ঈশ্বর! নিশ্চিতভাবে তিনিই হলেন ঈশ্বর যাঁকে আমাদের উপাসনা করতে চাওয়া উচিত!

“চিরকালীন রাজা”

৪. (ক) অনন্তকালীন রাজার প্রতি দায়ূদ কিভাবে তার উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন? (খ) বিশ্বের উৎস সম্বন্ধে কিভাবে ইতিহাসের এক প্রসিদ্ধ বৈজ্ঞানিক পরিসমাপ্তিতে এসেছিলেন?

৪ গীতসংহিতা ১০:১৬, (NW) পদে দায়ূদ সৃষ্টিকর্তা ঈশ্বর সম্বন্ধে বলেন: “যিহোবা চিরকালীন রাজা।” আর গীতসংহিতা ২৯:১০ পদে তিনি পুনরুক্তি করেন: “সদাপ্রভু চিরকালতরে সমাসীন রাজা।” হ্যাঁ, যিহোবা অনন্তকালীন রাজা! আবারও, দায়ূদ সাক্ষ্য দেন, এই মহিমান্বিত রাজা মহাশূন্যে আমরা যা কিছু দেখতে পাই সেই সমস্ত কিছুর স্থাপনকর্তা ও নির্মাণকর্তা, গীতসংহিতা ১৯:১ পদের বাক্যগুলি উল্লেখ করার দ্বারা: “আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে, বিতান তাঁহার হস্তকৃত কর্ম্ম জ্ঞাপন করে।” এর আনুমানিক ২,৭০০ বছর পরে প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটন দায়ূদের সাথে তার মতৈক্য প্রকাশ করেছিলেন যখন তিনি লেখেন: “সূর্য, গ্রহ এবং ধুমকেতুর এই অতি সুষ্ঠ ব্যবস্থা কেবলমাত্র এক জ্ঞানী ও শক্তিশালী ব্যক্তির উদ্দেশ্য ও সার্বভৌমত্বের প্রকাশস্বরূপ উদ্ভূত হতে পারে।”

৫. প্রজ্ঞার উৎস সম্পর্কে যিশাইয় ও পৌল কী লিখেছিলেন?

৫ এই সম্বন্ধে জেনে আমাদের কতই না নম্র হওয়া উচিত যে সার্বভৌম প্রভু যিহোবা যাঁকে এমনকি মহাশূন্যের “স্বর্গ ও স্বর্গের স্বর্গ  . . ধারণ করিতে পারে না,” তিনি অনন্তকালীন জীবিত! (১ রাজাবলি ৮:২৭) যিহোবাকে যিশাইয় ৪৫:১৮ পদে এইভাবে বর্ণনা করা হয়েছে: “আকাশমণ্ডলের সৃষ্টিকর্ত্তা . . . যিনি পৃথিবীকে সংগঠন করিয়া নির্ম্মাণ করিয়াছেন, তাহা স্থাপন করিয়াছেন,” এই জ্ঞানের উৎস মরনশীল মানব মস্তিষ্ক যতখানি অনুধাবন করতে পারে তার চেয়ে আরও অধিকতর প্রসারিত। যেমন ১ করিন্থীয় ১:১৯ পদে আলোকপাত করা হয়েছে, যিহোবা বলেছিলেন: “আমি জ্ঞানবান্‌দের জ্ঞান নষ্ট করিব, বিবেচক লোকদের বিবেচনা ব্যর্থ করিব।” এর সাথে প্রেরিত পৌল ২০ পদের বাক্যগুলি যোগ করেছিলেন: “জ্ঞানবান্‌ কোথায়? অধ্যাপক কোথায়? এই যুগের বাদানুবাদকারী কোথায়? ঈশ্বর কি জগতের জ্ঞানকে মূর্খতায় পরিণত করেন নাই?” হ্যাঁ, যেমন পৌল আরও বলেন ৩ অধ্যায়ের ১৯ পদে “এই জগতের যে জ্ঞান, তাহা ঈশ্বরের নিকটে মূর্খতা।”

৬. উপদেশক ৩:১১ পদের অভিব্যক্তি “চিরকাল” কী ইঙ্গিত করে?

৬ স্বর্গীয় বাহিনী সৃষ্টির অংশ যা রাজা শলোমন উল্লেখ করেছিলেন: “[ঈশ্বর] সকলই যথাকালে মনোহর করিয়াছেন, আবার তাহাদের হৃদয়মধ্যে চিরকাল রাখিয়াছেন; তথাপি ঈশ্বর আদি অবধি শেষ পর্য্যন্ত যে সকল কার্য্য করেন, মনুষ্য তাহার তত্ত্ব বাহির করিতে পারে না।” (উপদেশক ৩:১১) সত্যই, এটি মানুষের হৃদয়ে রোপন করা হয়েছে সেই “চিরকাল,” যা অনন্তকালীন তার অর্থ খুঁজতে সচেষ্ট হওয়ার জন্য। কিন্তু সে কখনও কি এইপ্রকার জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে?

এক বিস্ময়কর জীবনের প্রত্যাশা

৭, ৮. (ক) মানবজাতির জন্য কোন্‌ অপূর্ব জীবনের প্রত্যাশা অপেক্ষা করছে এবং কিভাবে এটি অর্জন করা যেতে পারে? (খ) ঐশিক শিক্ষা অনন্তকাল চলতে থাকবে বলে কেন আমাদের আনন্দিত হওয়া উচিত?

৭ যীশু খ্রীষ্ট যিহোবার কাছে প্রার্থনায় বলেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) কিভাবে আমরা এইপ্রকার জ্ঞান অর্জন করতে পারি? আমাদের ঈশ্বরের বাক্য, পবিত্র বাইবেল অধ্যয়ন করার প্রয়োজন আছে। এইভাবেই আমরা ঈশ্বরের মহান উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারি যার অন্তর্ভুক্ত পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত জীবন, যে ব্যবস্থা তিনি তাঁর পুত্রের মাধ্যমে সরবরাহ করেছেন। এটিই হবে ১ তীমথিয় ৬:১৯ পদে উল্লেখিত “প্রকৃতরূপে জীবন”। এটি হবে ইফিষীয় ৩:১১ পদের বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা বলে “যুগপর্য্যায়ের সেই সঙ্কল্প অনুসারে যে সঙ্কল্প [ঈশ্বর] আমাদের প্রভু খ্রীষ্ট যীশুতে করিয়াছিলেন।”

৮ হ্যাঁ, আমরা পাপপূর্ণ মনুষ্যেরা ঐশিক শিক্ষা ও যীশুর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারি। এই শিক্ষা কতদিন পর্যন্ত চলতে থাকবে? এটি অনন্তকাল ধরে চলতে থাকবে যেহেতু মনুষ্যজাতি ক্রমাগতভাবে আমাদের সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞা দ্বারা নির্দেশিত হবে। যিহোবার প্রজ্ঞার কোন সীমা নেই। এই বিষয় উপলব্ধি করে প্রেরিত পৌল বিস্ময়সূচকভাবে বলেছিলেন: “আহা! ঈশ্বরের ধনাঢ্যতা ও প্রজ্ঞা ও জ্ঞান কেমন অগাধ! তাঁহার বিচার সকল কেমন বোধাতীত! তাঁহার পথ সকল কেমন অননুসন্ধেয়!” (রোমীয় ১১:৩৩) তাই সত্যই এটি উপযুক্ত যে ১ তীমথিয় ১:১৭ পদে যিহোবাকে “অনন্তকালীন রাজা” বলে সম্ভাষিত করা হয়!

যিহোবার সৃষ্টিশীল প্রজ্ঞা

৯, ১০. (ক) মানবজাতির প্রতি তাঁর উপহারস্বরূপ যিহোবা পৃথিবী তৈরির ক্ষেত্রে কোন্‌ মহান কাজ সম্পাদন করেছেন? (খ) তাঁর সৃষ্টির ক্ষেত্রে যিহোবা কোন্‌ উৎকৃষ্ট প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন? (বক্স দেখুন।)

৯ বিবেচনা করুন সেই উজ্জ্বল উত্তরাধিকার সম্পর্কে যা অনন্তকালীন রাজা আমাদের, মনুষ্যদের জন্য যুগিয়েছেন। গীতসংহিতা ১১৫:১৬ পদ আমাদের বলে: “স্বর্গ সদাপ্রভুরই স্বর্গ, কিন্তু তিনি পৃথিবী মনুষ্য-সন্তানদিগকে দিয়াছেন।” আপনি কি মনে করেন না যে এটি একটি অপূর্ব দান? অবশ্যই আপনি তা করেন! আর কিভাবে আমরা আমাদের সৃষ্টিকর্তার বিশিষ্ট দূরদর্শিতার প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করি যা তিনি আমাদের বাসগৃহরূপে পৃথিবীকে নির্মাণ করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করেছেন!—গীতসংহিতা ১০৭:৮.

১০ আদিপুস্তক ১ অধ্যায়ে বর্ণিত ছটি সৃষ্টির “দিনগুলি” ব্যাপী পৃথিবীতে অদ্ভুত সম্প্রসারণগুলি ঘটেছিল যার প্রত্যেকটি দিনের দৈর্ঘ্য ছিল সহস্রাধিক বৎসর। ঈশ্বরের এই সমস্ত সৃষ্টি চূড়ান্তভাবে সম্পূর্ণ পৃথিবীকে সজীব সবুজ ঘাসের আস্তরণে আবৃত করেছে, সুসমৃদ্ধ অরণ্য ও বর্ণময় ফুল দ্বারা সজ্জিত করেছে। এটি অসংখ্য অদ্ভুত সামুদ্রিক প্রাণী, সুন্দর পক্ষযুক্ত পাখিদের দল আর গৃহপালিত ও বন্য পশুদের এক বৃহৎ বিন্যাস দ্বারা পূর্ণ করেছে যারা প্রত্যেকে “স্ব স্ব জাতি অনুযায়ী” বংশ উৎপন্ন করে। পুরুষ ও স্ত্রী সৃষ্টির বিবরণ দেওয়ার পরে আদিপুস্তক ১:৩১ বর্ণনা করে: “ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম।” সেই প্রথম মানুষেরা কী মনোরম পরিবেশ দ্বারাই না পরিবেষ্টিত ছিল! এই সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে কি আমরা এক প্রেমময় সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও যত্ন প্রত্যক্ষ করি না?—যিশাইয় ৪৫:১১, ১২, ১৮.

১১. কিভাবে শলোমন যিহোবার সৃষ্টিশীল প্রজ্ঞাকে উচ্চীকৃত করেছিলেন?

১১ শলোমন ছিলেন একজন যিনি অনন্তকালীন রাজার প্রজ্ঞায় বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি বারবার সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিয়েছিলেন। (হিতোপদেশ ১:১, ২; ২:১, ৬; ৩:১৩-১৮) শলোমন আমাদের নিশ্চিত করেন যে “পৃথিবী নিত্যস্থায়ী।” তিনি সৃষ্টির অসংখ্য বিস্ময়কর বস্তুর প্রতি উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন, যার অন্তর্ভুক্ত আমাদের পৃথিবীকে সতেজ করার জন্য জলভরা মেঘ যে ভূমিকা পালন করে। তাই তিনি লিখেছিলেন: “জলস্রোত সকল সমুদ্রে প্রবেশ করে, তথাচ সমুদ্র পূর্ণ হয় না; জলস্রোত সকল যে স্থানে যায়, সেই স্থানে পুনরায় চলিয়া যায়।” (উপদেশক ১:৪, ৭) সুতরাং বৃষ্টি হওয়ার এবং নদীগুলি পৃথিবীকে সতেজ করার পরে সেই জল পুনরায় আবর্তিত হয়ে সমুদ্র থেকে মেঘে যায়। জলের এই বিশুদ্ধিকরণ ও পুনরাবর্তন ছাড়া এই পৃথিবীর অবস্থা ও আমাদের পরিস্থিতি কেমন হত?

১২, ১৩. ঈশ্বরের সৃষ্টির প্রতি আমরা কিভাবে উপলদ্ধি প্রকাশ করতে পারি?

১২ সৃষ্টির এই ভারসাম্যের প্রতি আমাদের উপলব্ধিবোধ আমাদের কাজ দ্বারা সমর্থিত হওয়া উচিত যেমন রাজা শলোমন উপদেশকের সমাপ্তি বাক্যগুলিতে উল্লেখ করেছেন: “আইস, আমরা সমস্ত বিষয়ের উপসংহার শুনি; ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য। কারণ ঈশ্বর সমস্ত কর্ম্ম এবং ভাল হউক, কি মন্দ হউক, সমস্ত গুপ্ত বিষয়, বিচারে আনিবেন।” (উপদেশক ১২:১৩, ১৪) ঈশ্বরের অসন্তোষজনক কিছু করতে তাই আমাদের ভয় করা উচিত। বরঞ্চ, আমাদের উচিত শ্রদ্ধামিশ্রিত ভয় সহকারে তাঁর বাধ্য হতে চাওয়া।

১৩ নিশ্চিতভাবে আমাদের, তাঁর গৌরবময় সৃষ্টির জন্য অনন্তকালীন রাজার প্রশংসা করতে চাওয়া উচিত! গীতসংহিতা ১০৪:২৪ পদ ঘোষণা করে: “হে সদাপ্রভু, তোমার নির্ম্মিত বস্তু কেমন বহুবিধ! তুমি প্রজ্ঞা দ্বারা সে সমস্ত নির্ম্মাণ করিয়াছ; পৃথিবী তোমার সম্পত্তিতে পরিপূর্ণ।” আনন্দের সাথে আসুন আমরা এই গীতের শেষ পদটির প্রতি সম্মতি জানাই নিজেদের ও অন্যান্যদের প্রতি এইরূপ বলার দ্বারা: “হে আমার প্রাণ, সদাপ্রভুর ধন্যবাদ কর। তোমরা সদাপ্রভুর প্রশংসা কর!”

শ্রেষ্ঠ পার্থিব সৃষ্টি

১৪. কোন্‌ কোন্‌ দিক দিয়ে ঈশ্বরের মানুষ সৃষ্টি পশুদের থেকে উন্নততর?

১৪ যিহোবার সমস্ত সৃষ্টি দক্ষতাপূর্ণ। কিন্তু সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য পার্থিব সৃষ্টি আমরা—মনুষ্যজাতি। আদম এবং তারপর হবাকে আনা হয়েছিল যিহোবার ষষ্ঠ সৃষ্টি দিনের চূড়ান্ত পর্যায়ে—যে সৃষ্টি মাছ, পাখি ও পশুদের চেয়ে অনেক উন্নততর! যেখানে এদের অধিকাংশই প্রবৃত্তিগতভাবে বুদ্ধিমান, সেখানে মানুষকে যুক্তি করার ক্ষমতা, ঠিক ও ভুলের প্রভেদ করতে সক্ষম এমন এক বিবেক, ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করার সামর্থ্য এবং উপাসনা করার এক সহজাত প্রবণতা প্রভৃতি গুণাবলি প্রদানপূর্বক সমৃদ্ধ করা হয়েছিল। কিভাবে এই সমস্ত কিছু এসেছিল? বিচারবুদ্ধিহীন পশু থেকে ক্রমবিবর্তিত হওয়ার পরিবর্তে মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে কেবলমাত্র মানুষই আমাদের সৃষ্টিকর্তার গুণাবলিগুলি প্রতিফলিত করতে পারে, যিনি নিজেকে এইভাবে শনাক্ত করান: “সদাপ্রভু, সদাপ্রভু, স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান্‌।”—যাত্রাপুস্তক ৩৪:৬.

১৫. কেন আমরা নম্রভাবে যিহোবার প্রশংসা করব?

১৫ আসুন আমরা আমাদের দেহের অত্যাশ্চর্য নকশার জন্য যিহোবাকে প্রশংসা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি। জীবনের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আমাদের রক্তপ্রবাহ প্রতি ৬০ সেকেন্ডে সম্পূর্ণ দেহে আবর্তিত হয়। যেমন দ্বিতীয় বিবরণ ১২:২৩ পদ বর্ণনা করে: “রক্তই প্রাণ”—আমাদের জীবন—ঈশ্বরের দৃষ্টিতে মহামূল্যবান। বলিষ্ঠ অস্থি, নমনীয় পেশী ও সাড়া প্রদানকারী স্নায়ুতন্ত্র মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা যে কোন পশুর মস্তিষ্ক থেকে অনেক বেশি উৎকৃষ্ট এবং ক্ষমতা সম্পন্ন এবং যা একটি গগনচুম্বী অট্টালিকার আকৃতি বিশিষ্ট কম্পিউটার তার অভ্যন্তরে ধারণ করতে পারে না। এই সমস্ত কিছু কি আপনাকে নম্র করে তোলে না? অবশ্যই তা করা উচিত। (হিতোপদেশ ২২:৪) আর এই সম্বন্ধেও বিবেচনা করুন: আমাদের ফুসফুস, বাক্‌যন্ত্র, জিহ্বা, দন্ত ও মুখ সহস্রাধিক ভাষাগুলির যে কোনটিতে কথা বলার ক্ষমতা প্রদান করার জন্য পরস্পর ক্রিয়া করে। দায়ূদ যিহোবার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত সঙ্গীত রচনা করেছিলেন, এই বলে: “আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্য্যরূপে নির্ম্মিত; তোমার কর্ম্ম সকল আশ্চর্য্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।” (গীতসংহিতা ১৩৯:১৪) আসুন আমরা দায়ূদের সাথে ধন্যবাদ সহকারে আমাদের নির্মাণকর্তা ও ঈশ্বর যিহোবার প্রশংসায় যোগ দিই!

১৬. যিহোবার প্রশংসায় কোন্‌ গীত এক বিখ্যাত গায়ক গেয়েছিলেন এবং কোন্‌ জোরালো আমন্ত্রণে আমরা সাড়া দিতে পারি?

১৬ যোসেফ হেডন দ্বারা প্রণিত অষ্টাদশ শতাব্দীর ধর্মীয় সঙ্গীতের একটি বই যিহোবার প্রতি এইভাবে প্রশংসা বর্ণনা করে: “তাঁকে ধন্যবাদ প্রদান কর, তোমরা সকলে, তাঁর কার্যসকল অতি আশ্চর্যজনক! তাঁর মহিমা, তাঁর গৌরব কীর্তন কর, তাঁর নামকে প্রশংসিত ও মহিমান্বিত কর! যিহোবার প্রশংসা অনন্তকাল স্থায়ী, আমেন, আমেন!” গীতসংহিতার প্রায় পুনরাবৃত্ত অনুপ্রাণিত অভিব্যক্তি এমনকি আরও সুন্দর যেমন ১০৭ তম গীতে চারবার এই আমন্ত্রণকে ব্যাপকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে: “লোকে সদাপ্রভুর স্তব করুক, তাঁহার দয়া প্রযুক্ত, মনুষ্য-সন্তানদের জন্য তাঁহার আশ্চর্য্য কর্ম্ম প্রযুক্ত।” আপনি কি এই প্রশংসায় অংশগ্রহণ করেন? আপনার করা উচিত, কারণ প্রত্যেকটি জিনিস যা প্রকৃতই সুন্দর তার উৎস হলেন অনন্তকালীন রাজা যিহোবা।

আরও পরাক্রমী কার্যসকল

১৭. কিভাবে ‘মোশি ও মেষশাবকের গীত’ যিহোবার উচ্চপ্রশংসা করে?

১৭ বিগত ছয় হাজার বছর ধরে অনন্তকালীন রাজা আরও পরাক্রম কার্যসকল সম্পন্ন করেছেন। বাইবেলের শেষ পুস্তক প্রকাশিত বাক্য ১৫:৩, ৪ পদে আমরা তাদের সম্বন্ধে পড়ি যারা স্বর্গে মন্দদূতীয় শত্রুদের উপর বিজয়লাভ করেছে: “তাহারা ঈশ্বরের দাস মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত গায়, বলে, ‘মহৎ ও আশ্চর্য্য তোমার ক্রিয়া সকল, হে প্রভু ঈশ্বর, সর্ব্বশক্তিমান্‌; ন্যায্য ও সত্য তোমার মার্গ সকল, হে জাতিগণের রাজন্‌! হে প্রভু, কে না ভীত হইবে? এবং তোমার নামের গৌরব কে না করিবে? কেননা একমাত্র তুমিই সাধু, কেননা সমস্ত জাতি আসিয়া তোমার সম্মুখে ভজনা করিবে, কেননা তোমার ধর্ম্মক্রিয়া সকল প্রকাশিত হইয়াছে।’” কেন এটিকে ‘মোশি ও মেষশাবকের গীত’ বলা হয়েছে? আসুন আমরা দেখি।

১৮. যাত্রাপুস্তক ১৫ অধ্যায়ের গানে কোন্‌ মহৎ কাজকে স্মরণ করা হয়েছে?

১৮ প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে যখন ফরৌণের শক্তিশালী সৈন্যবাহিনী লোহিত সমুদ্রে ধ্বংস হয়েছিল তখন ইস্রায়েলীয়রা গানের মাধ্যমে ধন্যবাদ সহকারে যিহোবার প্রশংসা করেছিল। যাত্রাপুস্তক ১৫:১, ১৮ পদে আমরা পড়ি: “তখন মোশি ও ইস্রায়েল-সন্তানেরা সদাপ্রভুর উদ্দেশে এই গীত গান করিলেন; তাঁহারা বলিলেন, আমি সদাপ্রভুর উদ্দেশে গান করিব; কেননা তিনি মহিমান্বিত হইলেন, তিনি অশ্ব ও তদারোহীকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করিলেন। সদাপ্রভু যুগে যুগে অনন্তকাল রাজত্ব করিবেন।” অনন্তকালীন রাজার ধার্মিক ক্রিয়া সকল শত্রুদের প্রতি তাঁর বিচার ও ধ্বংস সাধন করার দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল যারা তাঁর সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞাপূর্ণ বিরোধিতা দেখিয়েছিল।

১৯, ২০. (ক) কেন যিহোবা ইস্রায়েল জাতি গঠন করেছিলেন? (খ) কিভাবে মেষশাবক ও অন্যেরা শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তর দিয়েছিল?

১৯ এটি কেন প্রয়োজনীয় ছিল? এটি ঘটেছিল এদন উদ্যানে যখন ছলনাপূর্ণ সর্প আমাদের প্রথম পিতামাতাকে পাপে পরিচালিত করেছিল। এর ফলস্বরূপ পাপপূর্ণ অসিদ্ধতা সমস্ত মানবজাতির কাছে পৌঁছায়। কিন্তু, অনন্তকালীন রাজা তৎক্ষণাৎ তাঁর আদি উদ্দেশ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন, যেটি তাঁর সমস্ত শত্রুদের পৃথিবী থেকে উচ্ছেদ করতে ও পরমদেশতুল্য পরিস্থিতি পুনর্স্থাপন করতে পরিচালিত হয়েছিল। অনন্তকালীন রাজা কিভাবে তিনি এই সমস্ত কিছু সম্পাদন করেছেন তা চিত্রিত করার জন্য ইস্রায়েল জাতি গঠন করেছিলেন এবং তাদের নিয়ম প্রদান করেছিলেন।—গালাতীয় ৩:২৪.

২০ পরে অবশ্য, ইস্রায়েল অবিশ্বস্ততায় পতিত হয়েছিল এবং এই দুঃখজনক পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যখন তাদের নেতারা ঈশ্বরের একজাত পুত্রকে রোমীয়দের হাতে সমর্পন করেছিল নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচারিত ও হত হবার জন্য। (প্রেরিত ১০:৩৯; ফিলিপীয় ২:৮) কিন্তু উৎসর্গীকৃত “ঈশ্বরের মেষশাবক” হিসাবে মৃত্যু পর্যন্ত যীশুর বিশ্বস্ততা উল্লেখযোগ্যভাবে ঈশ্বরের প্রাচীন প্রতিপক্ষ, শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তর যুগিয়েছিল—যে পৃথিবীর কোন মানুষ কঠোর পরীক্ষায় পড়লে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে না। (যোহন ১:২৯, ৩৬; ইয়োব ১:৯-১২; ২৭:৫) আদমের অসিদ্ধতার উত্তরাধিকারী হয়েও লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা শয়তানের আক্রমণের সামনে বিশ্বস্ততা রক্ষা করার দ্বারা যীশুর পদক্ষেপ অনুসরণ করেছে।—১ পিতর ১:১৮, ১৯; ২:১৯, ২১.

২১. প্রেরিত ১৭:২৯-৩১ পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোন্‌ বিষয় পরে আলোচিত হবে?

২১ এখন সেই দিন উপস্থিত হয়েছে যখন যিহোবা সেই বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের পুরস্কৃত এবং সত্য ও ন্যায়ে সমস্ত শত্রুদের বিচার করবেন। (প্রেরিত ১৭:২৯-৩১) কিভাবে তা সম্পন্ন হবে? আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধ তা জানাবে।

পুনরালোচনার বাক্স

◻ কেন উপযুক্তভাবে যিহোবাকে “অনন্তকালীন রাজা” বলা যায়?

◻ কিভাবে যিহোবার প্রজ্ঞা তাঁর সৃষ্টিতে প্রকাশিত?

◻ কিভাবে মানবজাতি এক দক্ষতাপূর্ণ সৃষ্টি?

◻ কোন কাজগুলি ‘মোশির গীত ও মেষশাবকের গীত’ এর কারণস্বরূপ?

[১২ পৃষ্ঠার বাক্স]

যিহোবার উৎকৃষ্ট প্রজ্ঞা

পৃথিবীতে তাঁর উৎপাদিত বস্তুগুলি অনেকভাবে অনন্তকালীন রাজার প্রজ্ঞাকে প্রতিফলিত করে। আগূরের বাক্যগুলি লক্ষ্য করুন: “ঈশ্বরের প্রত্যেক বাক্য পরীক্ষাসিদ্ধ; তিনি আপনার শরণাপন্ন লোকদের ঢালস্বরূপ।” (হিতোপদেশ ৩০:৫) এরপর আগূর ঈশ্বরের অনেক বৃহৎ ও ক্ষুদ্র জীবন্ত সৃষ্টি সম্পর্কে উল্লেখ করেন। উদাহরণস্বরূপ, ২৪ থেকে ২৮ পদের মধ্যে তিনি বর্ণনা করেন “পৃথিবীতে চারিটী অতি ক্ষুদ্র, তথাপি তাহারা বড় বুদ্ধি ধরে [“প্রবৃত্তিগতভাবে বুদ্ধিমান,” NW]।” এগুলি হল পিঁপড়ে, শাফন, পঙ্গপাল আর টিক্‌টিকি।

“প্রবৃত্তিগতভাবে বুদ্ধিমান”—হ্যাঁ, পশুরা সেইভাবে তৈরি হয়েছে। তারা মানুষের মত যুক্তিপূর্ণ চিন্তা করতে পারে না, কিন্তু সহজাত প্রজ্ঞার উপর নির্ভরশীল। আপনি কি কখনও এইগুলি দেখে বিস্মিত হয়েছেন? তারা কত সুসংগঠিত সৃষ্টি! উদাহরণস্বরূপ, পিঁপড়েরা গোষ্ঠীতে সংগঠিত যার অন্তর্ভুক্ত রানী, শ্রমিক ও পুরুষ। কিছু প্রজাতির মধ্যে শ্রমিক পিঁপড়েরা পরিবেষ্টিত ফার্ম যা তারা তৈরি করেছে সেখানে ক্ষুদ্র কীটেদের জড়ো করে। সেখানে তারা ক্ষুদ্র কীটেদের শোষণ করে যে সময়ে সৈনিক পিঁপড়েরা আক্রমণকারী শত্রুদের প্রতিরোধ করে। তাই হিতোপদেশ ৬:৬ পদে উপদেশ দেওয়া হয়: “হে অলস, তুমি পিপীলিকার কাছে যাও, তাহার ক্রিয়া সকল দেখিয়া জ্ঞানবান হও।” এই প্রকার উদাহরণগুলি কি আমাদের “প্রভুর কার্য্যে সর্ব্বদা উপচিয়া” পড়তে তৎপর করা উচিত নয়?—১ করিন্থীয় ১৫:৫৮.

মানুষ বিশাল বিমানগুলি নির্মাণ করেছে। কিন্তু পাখিরা আরও কত বেশি স্বচ্ছন্দগতি, এর অন্তর্ভুক্ত হামিংবার্ড যার ওজন ৩০ গ্রামের চেয়েও কম! বোয়িং ৭৪৭ বিমানের জন্য ১,৮০,০০০ লিটার জ্বালানি, একজন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত চালকের দ্বারা চালিত হওয়া এবং মহাসাগর অতিক্রম করতে জটিল বিমান চালনার প্রক্রিয়াকে প্রয়োগ করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু অতি ক্ষুদ্র হামিংবার্ড এক গ্রাম চর্বির জ্বালানির উপর নির্ভর করে উত্তর আমেরিকা থেকে মেক্সিকো উপসাগরীয় অঞ্চলে এবং তারপর দক্ষিণ আমেরিকা পর্যন্ত সম্পূর্ণ দূরত্ব উড়ে অতিক্রম করতে পারে। এত অতিরিক্ত জ্বালানি নয়, বিমান চালনার প্রশিক্ষণ নয়, কোন জটিল তালিকা বা কম্পিউটার নয়! এই ক্ষমতা কি আকস্মিক প্রক্রিয়া বিবর্তনের ফল? কখনই নয়! এই অতি ক্ষুদ্র পাখিটি তার সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বরের দ্বারা সুসংগঠিত হওয়ায় প্রবৃত্তিগতভাবে বুদ্ধিমান।

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

“অনন্তকালীন রাজা”-র বৈচিত্র্যপূর্ণ সৃষ্টি তাঁর গৌরবের উচ্চপ্রশংসা করে

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

যেমন মোশি ও সমস্ত ইস্রায়েল লোহিত সমুদ্রে যিহোবার বিজয়কে উদ্‌যাপন করেছিল, তেমনি হর্‌মাগিদোনের পরে প্রচুর আনন্দের কারণ থাকবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার