-
যিশু কি নরকাগ্নিকে বুঝিয়েছিলেন?২০০৮ প্রহরীদুর্গ | জুন ১৫
-
-
কিন্তু, যিশুর কথাগুলোকে যিশাইয়ের ভবিষ্যদ্বাণীর সর্বশেষ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।b এটা কি স্পষ্ট নয় যে, যিশু যিশাইয় ৬৬ অধ্যায়ের সেই পদকেই পরোক্ষভাবে উল্লেখ করছিলেন? সেখানে ভাববাদী স্পষ্টতই “যিরূশালেম” থেকে বেরিয়ে “কাছের হিন্নোম উপত্যকায় (গিহেন্নায়)” যাওয়ার কথা বলেন, “যেখানে একসময় নরবলি উৎসর্গ করা হতো (যির ৭:৩১) আর যেটা শেষপর্যন্ত শহরের আবর্জনা ফেলার স্থানে পরিণত হয়েছিল।” (দ্যা যেরোম বিবলিক্যাল কমেনটারি) যিশাইয় ৬৬:২৪ পদের রূপক অর্থ স্পষ্টতই এই নয় যে, লোকেদের যাতনা দেওয়া হচ্ছে; এটি শব সম্বন্ধে বলে। এটি যেটাকে মরে না বলে উল্লেখ করে, তা হল কীট—জীবন্ত মানুষ কিংবা অমর আত্মা নয়। তাহলে, যিশুর কথাগুলোর অর্থ কী?
মার্ক ৯:৪৮ পদ সম্বন্ধে ক্যাথলিক প্রকাশনা এল ইভানহেলিও দে মারকোস. অ্যানালিসিস লিঙ্গুয়িসতিকো ই কোমেনতারিও ইক্সেহেতিকো, খণ্ড ২ যা মন্তব্য করেছে, তা লক্ষ করুন: “[এই] বাক্যাংশ যিশাইয় (৬৬, ২৪) থেকে নেওয়া হয়েছে। সেখানে ভাববাদী দেখিয়েছেন যে, সাধারণত দুটো পদ্ধতিতে মৃতদেহ নষ্ট করা হতো: পচানো এবং পুড়িয়ে ফেলা . . . কীট ও অগ্নি শব্দগুলোর পাশাপাশি অবস্থান ধ্বংসের ধারণাকে জোরালো করে। . . . দুটো ধ্বংসাত্মক শক্তিকেই স্থায়ী (‘নির্ব্বাণ হয় না, মরে না’) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে: সেগুলো থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো পথই নেই। এই বর্ণনায়, একমাত্র রক্ষাপ্রাপ্ত বিষয়গুলো হল কীট এবং অগ্নি—মানুষ নয়—আর দুটোই এদের নাগালের মধ্যে আসা যেকোনোকিছুকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। তাই, এটা কোনো অনন্ত যন্ত্রণা নয় বরং সম্পূর্ণ ধ্বংসের এক বর্ণনা, কারণ এটা পুনরুত্থিত হওয়াকে রোধ করে এবং তা চিরমৃত্যুর শামিল। অতএব, [অগ্নি] হল চিরধ্বংসের এক প্রতীক।”
-
-
যিশু কি নরকাগ্নিকে বুঝিয়েছিলেন?২০০৮ প্রহরীদুর্গ | জুন ১৫
-
-
b “তাহারা বাহিরে গিয়া, যে লোকেরা আমার বিরুদ্ধে অধর্ম্ম করিয়াছে, তাহাদের শব দেখিবে; কারণ তাহাদের কীট মরিবে না, ও তাহাদের অগ্নি নির্ব্বাণ হইবে না, এবং তাহারা সমস্ত মর্ত্ত্যের ঘৃণাস্পদ হইবে।”—যিশা. ৬৬:২৪.
-