ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • wp20 নং ২ পৃষ্ঠা ৮-১০
  • কখন ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে শাসন করবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কখন ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে শাসন করবে?
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২০
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যিশু কোন ঘটনাগুলো ঘটবে বলে জানিয়েছিলেন?
  • এই চিহ্ন আমাদের জন্য কোন অর্থ রাখে?
  • আমরা কি “শেষ কালে” বাস করছি?
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • পরমদেশ কাছেই!
    আপনি ঈশ্বরের বন্ধু হতে পারেন!
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২০
wp20 নং ২ পৃষ্ঠা ৮-১০
একজন যিহোবার সাক্ষি বোন ট্রলির পাশে দাঁড়িয়ে একজন মহিলাকে একটা আমন্ত্রণপত্র দিচ্ছেন।

কখন ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে শাসন করবে?

যিশুর কয়েক জন অনুসারী জানতে চেয়েছিলেন যে, কখন ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করতে শুরু করবে। যিশু তাদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ঈশ্বরের রাজ্য ঠিক কখন পৃথিবীতে শাসন করতে শুরু করবে, সেই বিষয়ে তারা জানে না। (প্রেরিত ১:৬, ৭) কিন্তু, এর আগে তিনি তাদের বলেছিলেন, যখন তাঁর অনুসারীরা নির্দিষ্ট কিছু ঘটনা একসঙ্গে ঘটতে দেখবেন, তখন তারা “জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট” আর শীঘ্রই এই রাজ্য শাসন করতে শুরু করবে।—লূক ২১:৩১.

যিশু কোন ঘটনাগুলো ঘটবে বলে জানিয়েছিলেন?

যিশু বলেছিলেন: “জাতির বিপক্ষে জাতি ও রাজ্যের বিপক্ষে রাজ্য উঠিবে। মহৎ মহৎ ভূমিকম্প এবং স্থানে স্থানে দুর্ভিক্ষ ও মহামারী হইবে।” (লূক ২১:১০, ১১) একসঙ্গে ঘটা এই সমস্ত ঘটনা একটা স্পষ্ট চিহ্ন প্রদান করে যে, “ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।” এই ঘটনাগুলো কি কখনো বড়ো আকারে এবং একইসঙ্গে ঘটেছে? আসুন কিছু প্রমাণ বিবেচনা করে দেখি।

১. যুদ্ধ

যুদ্ধের বিমান, ট্যাঙ্ক ও মিশাইল।

১৯১৪ সালে এমন এক যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যা মানবইতিহাসে আগে কখনো ঘটেনি। ইতিহাসবিদরা বলেন, ১৯১৪ সালে মানুষের জীবন পুরোপুরিভাবে পালটে যায় কারণ সেই বছরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেই যুদ্ধে ট্যাঙ্ক, বোমা, মেশিনগান, বিষাক্ত গ্যাস এবং অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল, যা এর আগে কখনো ব্যবহার করা হয়নি। এরপর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয় আর এই যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। লক্ষ করা গিয়েছে যে, ১৯১৪ সাল থেকে লোকেরা অনবরত যুদ্ধ করে আসছে এবং এই যুদ্ধে লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাচ্ছে।

২. ভূমিকম্প

ভূমিকম্পের কারণে ঘর-বাড়িতে ফাটল ধরছে।

ব্রিটানিকা অ্যাকাডেমিক বলে: প্রতি বছর প্রায় ১০০টা ভূমিকম্প হয় আর সেগুলোর ফলে “প্রচুর ক্ষতি” হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী “১৯৯০ সাল পর্যন্ত যে-রেকর্ড রাখা হয়েছে, সেটার ভিত্তিতে এটা বলা যায় যে, প্রতি বছর ১৬টা বড়ো বড়ো ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” যদিও কেউ কেউ মনে করে থাকে, বর্তমানে ভূমিকম্পের মাত্রা পরিমাপ করার ব্যাপারে মানুষের কাছে আগের চেয়ে আরও ভালো উপায় রয়েছে, কিন্তু সত্য বিষয়টা হল, বিশ্বব্যাপী বড়ো বড়ো ভূমিকম্পের ফলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি তাদের জীবনও হারাচ্ছে।

৩. দুর্ভিক্ষ

এই মানচিত্রে ফসল উৎপাদনের ঘাটতি তুলে ধরা হয়েছে।

যুদ্ধ, দুর্নীতি, অর্থনৈতিক পতন, ফসলের ক্ষতি এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্যের অভাব দেখা দেয়। ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম-এর “২০১৮ সালের বার্ষিক রিপোর্টে” তুলে ধরা হয়েছে: “পুরো পৃথিবীতে ৮২ কোটি ১০ লক্ষ লোক খাদ্যাভাবের মধ্যে রয়েছে আর তাদের মধ্যে ১২ কোটি ৪০ লক্ষ লোক খাদ্যাভাবের কারণে মারা যাচ্ছে।” অপুষ্টির কারণে প্রতি বছর প্রায় ৩১ লক্ষ শিশু মারা যায়। ২০১১ সালে বিশ্বব্যাপী সমস্ত শিশুর মধ্যে শুধুমাত্র অপুষ্টির কারণে প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু মারা গিয়েছে।

৪. রোগ ও মহামারি

ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার ছবি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-র এক প্রকাশনা জানায়: “একবিংশ শতাব্দীকে বড়ো বড়ো মহামারি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।” কলেরা, প্লেগ ও পীতজ্বরের মতো পুরোনো রোগ আবারও ছড়িয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, ইবোলা, জীকা ও মার্স ভাইরাস, প্যাণ্ডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা আর সার্স রোগের মতো নতুন ধরনের রোগ বিভিন্ন লোককে কবলিত করেছে।” আমরা সম্প্রতি কোভিড-১৯ অতিমারি লক্ষ করেছি। যদিও চিকিৎসা জগতে অনেক উন্নতি হয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞানী ও ডাক্তাররা এই সমস্ত রোগকে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার উপায় খুঁজে পাননি।

৫. বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজ

 পৃথিবীর ছবি আর সেটার পাশে একটা বাইবেল খোলা অবস্থায় রয়েছে।

যিশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করার সময় আরেকটা চিহ্ন দিয়েছিলেন: “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।” (মথি ২৪:১৪) যদিও এই জগৎ বড়ো বড়ো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, কিন্তু আশি লক্ষেরও বেশি লোক দেশ ও দ্বীপ মিলিয়ে ২৪০টা জায়গায় ১,০০০-রেরও বেশি ভাষায় রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণা করছে।

এই চিহ্ন আমাদের জন্য কোন অর্থ রাখে?

যিশু যে-চিহ্ন ও ঘটনাগুলোর বিষয়ে বলেছিলেন, সেগুলো বর্তমানে পূর্ণ হচ্ছে। এই ব্যাপারে কেন আমাদের আগ্রহী হওয়া উচিত? কারণ যিশু বলেছিলেন: “যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।”—লূক ২১:৩১.

রাজা যিশু স্বর্গে তাঁর সিংহাসনে বসে রয়েছেন আর নীচে পৃথিবী এক পরমদেশে পরিণতি হয়েছে।

শীঘ্র এই রাজ্য পৃথিবীতে ঈশ্বরের ইচ্ছা পূর্ণ করবে

আমরা যখন যিশুর দেওয়া চিহ্ন এবং বাইবেলভিত্তিক ঘটনাগুলো পরীক্ষা করে দেখব, তখন আমরা বুঝতে পারব যে, ১৯১৪ সালে ঈশ্বর তাঁর রাজ্য স্বর্গে স্থাপন করেছেন।a সেই সময় তিনি তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টকে রাজা হিসেবে নিযুক্ত করেন। (গীতসংহিতা ২:২, ৪, ৬-৯) শীঘ্র ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে শাসন করতে শুরু করবে এবং এটা সমস্ত মানবশাসককে সরিয়ে দেবে আর তারপর পৃথিবীকে পরমদেশে পরিণত করা হবে, যাতে লোকেরা সেখানে চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে।

কিছুসময় পরই, যিশুর এই আদর্শ প্রার্থনা পূর্ণ হবে: “তোমার রাজ্য আইসুক, তোমার ইচ্ছা সিদ্ধ হউক, যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও হউক।” (মথি ৬:১০) কিন্তু প্রশ্ন হল, যদি ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের রাজ্য স্থাপিত হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে এই রাজ্য সেই সময় থেকে কী করছে? আর যখন এই রাজ্য সম্পূর্ণভাবে মানবজাতির উপর শাসন করতে শুরু করবে, তখন কী হবে?

a ১৯১৪ সাল সম্বন্ধে আরও তথ্য জানার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত চিরকাল জীবন উপভোগ করুন! বইয়ের পাঠ ৩২ দেখুন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার