আপনার কি স্মরণে আছে?
প্রহরীদুর্গ পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যাগুলো পড়ে কি আপনার ভাল লেগেছে? তাহলে নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে দেখুন না আপনি কতখানি মনে রাখতে পেরেছেন:
◻ কোন্ দুটো প্রশ্ন অনেক খ্রীষ্টানকে চাকরির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সাহায্য করেছে যাতে করে তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছেন?
প্রথম মুখ্য প্রশ্ন হল: বাইবেল কি চাকরি করাকে নিষেধ করে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল: যেখানে নিষিদ্ধ কাজগুলো হয় সেরকম জায়গায় চাকরি করলে কি একজন দোষী হবেন?—৪/১৫, পৃষ্ঠা ২৮.
◻ কোন্ দিক দিয়ে ‘মানব সৃষ্টি অসারতার বশীকৃত’ হয়েছে? (রোমীয় ৮:২০)
আমাদের আদি পিতামাতা, আদম ও হবার কাজের জন্য আমরা “অসারতার বশীকৃত” হয়েছি। এটা “[আমাদের] স্ব-ইচ্ছায়” হয়নি বা কারও নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তের জন্যও হয়নি। আমরা এটা আমাদের পিতামাতার কাছ থেকে পেয়েছি। যিহোবা দয়া দেখিয়ে আমাদের আদি পিতামাতাকে সন্তান জন্ম দিতে দিয়েছিলেন যদিও তখন তারা তাদের সন্তানদের মধ্যে শুধু অসিদ্ধতা, পাপ ও মৃত্যুই ছড়িয়ে দিতে পারত। মৃত্যু সমস্ত মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, আর এই অর্থেই ঈশ্বর “[সৃষ্টিকে] অসারতার বশীকৃত” করেছিলেন।—৫/১, পৃষ্ঠা ৫.
◻ ভবিষ্যতে “ঘৃণার্হ বস্তু” “পবিত্র স্থানে দাঁড়াইবে” তা বলা কেন যুক্তিসংগত? (মথি ২৪:১৫)
প্রথম শতাব্দীতে, ‘ঘৃণার্হ বস্তু পবিত্র স্থানে দাঁড়ানোর’ বিষয়টা সা.কা. ৬৬ সালে ঘটেছিল যখন সেনাপতি গ্যালাসের অধীনে রোমীয় সৈন্যরা যিরূশালেম আক্রমণ করেছিল। আধুনিক দিনে ওই আক্রমণ হল—মহাক্লেশের শুরু—যা এখনও শুরু হয়নি কিন্তু সামনেই হবে। (মথি ২৪:২১) অতএব, “ধ্বংসের যে ঘৃণার্হ বস্তু” তা এখনও পর্যন্ত পবিত্র স্থানে দাঁড়ায়নি।—৫/১, পৃষ্ঠা ১৬, ১৭.
◻ কীভাবে চাকরিজীবী বাবা ও মা তাদের সন্তানদের জন্য সময় করে নিতে পারেন?
একজন চাকরিজীবী মা সারাদিনের কাজের পর সন্ধ্যাবেলায় ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরে, খাবার তৈরি করার সময় ছেলেমেয়েদের তাকে সাহায্য করতে বলতে পারেন। একজন বাবা যাকে শনি রবিবার ঘরের অনেক কাজ করতে হয়, তিনি কিছু কাজ ছেলেমেয়েদেরকে সঙ্গে নিয়ে করতে পারেন।—৫/১৫, পৃষ্ঠা ৬.
◻ যারা ‘যিহোবার পথে চলেন’ তাদের কী করা উচিত? (যিরমিয় ৭:২৩)
যিহোবার পথে চলতে গেলে নিষ্ঠার দরকার অর্থাৎ এই সংকল্প নেওয়া যে আমরা শুধু যিহোবারই সেবা করব। এইজন্য আস্থার দরকার যার মানে হল পুরোপুরি বিশ্বাস করা যে যিহোবার প্রতিজ্ঞা কখনই বিফল হবে না আর তা পূর্ণ হবেই। যিহোবার পথে চলতে হলে বাধ্যতার দরকার মানে তাঁর নিয়মগুলোকে পুরোপুরিভাবে মেনে চলা ও জীবনে তাঁর উচ্চ নৈতিক মান বজায় রাখা। (গীতসংহিতা ১১:৭)—৫/১৫ পৃষ্ঠা ১৪.
◻ কোন্ চারটে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ‘মনুষ্যদিগের নানা বরেরা’ পালন করতে পারেন? (ইফিষীয় ৪:৮)
তারা আমাদের কোমলভাবে পুনর্বিন্যাস করতে, প্রেমের সঙ্গে গেঁথে তুলতে, মণ্ডলীর সঙ্গে আমাদের একতা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে এবং সাহসের সঙ্গে আমাদের রক্ষা করতে পারেন। (ইফিষীয় ৪:১২-১৪)—৬/১, পৃষ্ঠা ১৪.
◻ প্রেরিত পুস্তক ও পৌলের পত্রগুলোতে প্রায় একশ জন ব্যক্তির নাম আছে, যারা তার সঙ্গে মেলামেশা করেছিলেন, তাদের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
আমাদের সবসময় ঈশ্বরের সংগঠন, আমাদের স্থানীয় মণ্ডলী ও আমাদের খ্রীষ্টান ভাইবোনদের সঙ্গে কাজ করা উচিত। আমাদের সুখের সময়ে ও আমাদের দুঃখের সময়ে আমাদের তাদের সাহায্য, সমর্থন ও সান্ত্বনার দরকার আছে।—৬/১, পৃষ্ঠা ৩১.
◻ অন্যদের সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে চিন্তা করতে সাহায্য করার জন্য কোন্ তিনটে যুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে?
বিশাল মহাবিশ্বের যে যথার্থতা দেখা যায়, পৃথিবীতে জীবনের উৎপত্তি এবং বিভিন্ন ক্ষমতা সহ মানব মস্তিষ্কের অনস্বীকার্য অদ্বিতীয়ত্ব।—৬/১৫, পৃষ্ঠা ১৮.
◻ সৃষ্টিকর্তার ব্যক্তিগত নামের অর্থকে বোঝা কেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ?
ঈশ্বরের নামের অর্থ “তিনি অস্তিত্বে আনেন” আর তা এই বিষয়ের ওপর জোর দেয় যে তিনি উদ্দেশ্য করেন এবং সেই মতো কাজও করেন। আমরা সেই নাম জেনে ও ব্যবহার করে আরও ভালভাবে বুঝতে পারি যে তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা এবং তাঁর উদ্দেশ্যগুলোকে পূর্ণ করেন।—৬/১৫, পৃষ্ঠা ২১.
◻ পারিবারিক বাইবেল অধ্যয়নে সন্তানদের কীভাবে জড়িত করা যেতে পারে?
সম্ভব হলে, ছেলেমেয়েদের সবাইকে তাদের নিজস্ব বাইবেল ও অধ্যয়নের পত্রিকা দিন। ছোট্ট বাচ্চাকে অধ্যয়নের প্রবন্ধে যে ছবি দেওয়া আছে তা বুঝিয়ে বলার জন্য জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এছাড়া ছোট বাচ্চাকে হয়তো আগেই বলে রাখা যেতে পারে যে তাকে বাইবেলের কোন একটা পদ পড়তে দেওয়া হবে। আরেকটু বড় ছেলেমেয়েদের হয়তো জানিয়ে দেওয়া যেতে পারে যে তারা যেন অধ্যয়নের বিষয়বস্তুকে কীভাবে জীবনে কাজে লাগানো যেতে পারে তার ওপর কিছু বলার জন্য আগে থেকেই ভেবে রাখে।—৭/১, পৃষ্ঠা ১৫.
◻ কোন পরিবার মণ্ডলীর সভাগুলোর জন্য তৈরি হওয়ার সময় কোন্ লক্ষ্যগুলো মাথায় রাখতে পারে?
(১) সভাগুলোতে উত্তর দেওয়ার জন্য পরিবারের সবার তৈরি থাকা; (২) প্রত্যেকে নিজের ভাষায় উত্তর দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা; (৩) মন্তব্যের মধ্যে বাইবেলের পদ যোগ করা; আর (৪) নিজের জীবনে কাজে লাগানোর জন্য বিষয়বস্তুকে নিয়ে চিন্তা করা।—৭/১, পৃষ্ঠা ২০.
◻ সুখী বিবাহের জন্য একটা চাবি কী?
সুখী বিবাহের মহামূল্যবান আনন্দের ডালা খোলার ও তা পাওয়ার এক অতি দরকারি বিষয় হল গঠনমূলক কথাবার্তা বলা। এর মানে আবেগ, অনুভূতি ও চিন্তাভাবনা একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। তাছাড়া গঠনমূলক কথাবার্তা বলতে আমরা বুঝি যা কিছু গড়ে তোলে, সতেজ করে, যা ভদ্রসভ্য, প্রশংসাজনক এবং যা সান্ত্বনা দেয়। (ইফিষীয় ৪:২৯-৩২; ফিলিপীয় ৪:৮)—৭/১৫, পৃষ্ঠা ২১.
◻ ‘যিহোবার পথ’ কী? (গীতসংহিতা ২৫:৮, ৯, ১২)
এই পথ হচ্ছে প্রেমের পথ। এটা ঈশ্বরের মানদণ্ড অনুযায়ী সঠিক কাজ করার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। বাইবেল নীতিগত প্রেমের এই প্রয়োগকে “উৎকৃষ্ট এক পথ” বলে। (১ করিন্থীয় ১২:৩১)—৮/১, পৃষ্ঠা ১২.