ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৬/১ পৃষ্ঠা ১৪-১৯
  • “মহাক্লেশের” আগে রক্ষা পাওয়ার জন্য পলায়ন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “মহাক্লেশের” আগে রক্ষা পাওয়ার জন্য পলায়ন
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক”
  • পলায়ন জরুরি ছিল!
  • আধুনিক-দিনে “ঘৃণার্হ বস্তু”
  • কিসের থেকে পলায়ন?
  • কোন কিছুকে আপনার পলায়নে বাধা হতে দেবেন না!
  • “যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক”
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৬/১ পৃষ্ঠা ১৪-১৯

“মহাক্লেশের” আগে রক্ষা পাওয়ার জন্য পলায়ন

“যখন তোমরা যিরূশালেমকে সৈন্যসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত দেখিবে, . . . তখন যাহারা যিহূদিয়ায় থাকে, তাহারা পাহাড় অঞ্চলে পলায়ন করুক।”—লূক ২১:২০, ২১.

১. যারা এখনও এই জগতের অংশ তাদের জন্য পলায়ন করা কেন জরুরি?

যারা শয়তানের জগতের অংশ তাদের প্রত্যেকের, পলায়ন জরুরি। এই পৃথিবী থেকে যখন বর্তমান বিধিব্যবস্থা দূরীভূত হবে তখন তারা যদি রক্ষা পেতে চায়, তাদের অবশ্যই নিশ্চিত প্রমাণ দিতে হবে যে তারা যিহোবার পক্ষে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং তারা কোনভাবেই জগতের অংশ নয় যেটির শাসক হল শয়তান।—যাকোব ৪:৪; ১ যোহন ২:১৭.

২, ৩. মথি ২৪:১৫-২২ পদে লিপিবদ্ধ যীশুর কথাগুলির সাথে সংযুক্ত কোন্‌ প্রশ্নগুলি আমরা আলোচনা করতে চলেছি?

২ বিধিব্যবস্থার শেষ সম্বন্ধে তাঁর মহান ভবিষ্যদ্বাণীতে যীশু এইধরনের পলায়নের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। মথি ২৪:৪-১৪ পদে যা লিপিবদ্ধ রয়েছে আমরা প্রায়ই তা আলোচনা করি; তবুও, এটির পরবর্তী অংশও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা আপনাকে এখন বাইবেলটি খুলতে এবং ১৫ থেকে ২২ পদ পড়তে উৎসাহিত করছি।

৩ ঐ ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ কী? প্রথম শতাব্দীতে ধ্বংসকারী “ঘৃণার্হ বস্তু” কী ছিল? এটির “পবিত্র স্থানে” দাঁড়িয়ে থাকা কিসের চিহ্ন ছিল? সেটির বিকাশ আমাদের জন্য কী তাৎপর্য রাখে?

“যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক”

৪. (ক) দানিয়েল ৯:২৭ পদে কী বলা হয় যা যিহূদীদের মশীহকে প্রত্যাখ্যান করার পর ঘটবে? (খ) যখন এটিকে নির্দেশ করা হয় কেন যীশু স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, “যে জন পাঠ করে যে বুঝুক”?

৪ মথি ২৪:১৫ পদে লক্ষ্য করুন যে দানিয়েল পুস্তকে যা লেখা ছিল যীশু সেবিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন। সেই পুস্তকের ৯ অধ্যায়ে একটি ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যা আগত মশীহ এবং বিচার সম্বন্ধে ভাববাণী করে যা তাঁকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য যিহূদী জাতির উপরে আসবে। ২৭ পদের শেষ অংশটি বলে: “ঘৃণার্হ বস্তু সকলের পক্ষের উপরে ধ্বংসক আসিবে।” প্রাথমিক যিহূদী রীতিনীতি দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীর সেই অংশটিকে, সা.শ.পূ. দ্বিতীয় শতাব্দীতে আন্তিয়খিয় ৪র্থের দ্বারা যিরূশালেমে যিহোবার মন্দির অপবিত্রকরণের প্রতি প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু যীশু সতর্ক করে দিয়েছিলেন: “যে জন পাঠ করে, সে বুঝুক।” আন্তিয়খিয় ৪র্থের দ্বারা মন্দির অপবিত্র করা যদিও সত্যই ঘৃণার্হ ছিল, কিন্তু এটি ফলস্বরূপ ধ্বংস নিয়ে আসেনি—যিরূশালেমের জন্য, মন্দিরের জন্য অথবা যিহূদী জাতির জন্য। সুতরাং যীশু তাঁর শ্রোতাদের স্পষ্টভাবে সাবধান করে দিচ্ছিলেন যে এর পরিপূর্ণতা অতীতের বিষয় ছিল না, কিন্তু ভবিষ্যতের জন্যও ছিল।

৫. (ক) সুসমাচারের বিবরণগুলির তুলনা কিভাবে আমাদের প্রথম-শতাব্দীর “ঘৃণার্হ বস্তু”-কে শনাক্ত করতে সাহায্য করে? (খ) কেন সেসটিয়াস গ্যালাস রোমীয় সৈন্যবাহিনীকে সা.শ. ৬৬ সালে যিরূশালেমে প্রবেশ করিয়েছিল?

৫ “ঘৃণার্হ বস্তু” কী ছিল যার জন্য তাদের সতর্ক থাকতে হয়েছিল? এটি উল্লেখযোগ্য যে মথির বিবরণ বলে: “যখন দেখিবে, ধ্বংসের যে ঘৃণার্হ বস্তু . . . পবিত্র স্থানে দাঁড়াইয়া আছে।” কিন্তু, লূক ২১:২০ পদে সমতুল্য বিবরণটি পড়া হয়: “যখন তোমরা যিরূশালেমকে সৈন্যসামন্ত দ্বারা বেষ্টিত দেখিবে, তখন জানিবে যে, তাহার ধ্বংস সন্নিকট।” সা.শ. ৬৬ সালে যে সমস্ত খ্রীষ্টানেরা যিরূশালেমে বাস করছিল তারা যীশু যা ভাববাণী করেছিলেন তা দেখেছিল। এক ধারাবাহিক ঘটনা যার অন্তর্ভুক্ত যিহূদী ও রোমীয় আধিকারিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তা পরিচালিত করেছিল রোমের বিরুদ্ধে যিরূশালেমের বিদ্রোহকে প্রসারিত করতে। এর ফলে দৌরাত্ম্য হঠাৎ করে জেগে উঠেছিল সমগ্র যিহূদা, শমরিয়া, গালীল, দিকাপলি এবং ফৈনীকিয়া, সিরিয়ার উত্তর দিকে এবং মিশরের দক্ষিণ দিকে। রোমীয় সাম্রাজ্যে কিছুটা পরিমাণে শান্তি পুনর্স্থাপন করার জন্য, সেসটিয়াস গ্যালাস সামরিক বাহিনীকে সিরিয়া থেকে যিরূশালেমে যেটিকে যিহূদীরা “পবিত্র নগর” বলত সেখানে প্রবেশ করায়।—নহিমিয় ১১:১; যিশাইয় ৫২:১.

৬. কিভাবে এটি সত্য ছিল যে “ঘৃণার্হ বস্তু” যা ‘পবিত্র স্থানে দাঁড়াইয়াছিল’ তা ধ্বংসের কারণ হয়েছিল?

৬ রোমের বহুসংখ্যক সৈন্যদলের জন্য মান অথবা নিদর্শন চিহ্ন যেটিকে তারা পবিত্র হিসাবে দেখত অথচ যিহূদীরা প্রতিমাপূজা হিসাবে দেখত, সেটিকে বহন করে নিয়ে যাওয়ার প্রথা ছিল। আগ্রহের বিষয় এই যে, দানিয়েল পুস্তকে যে ইব্রীয় শব্দটিকে “ঘৃণার্হ্য বস্তু” রূপে অনুবাদ করা হয়েছে তা মূলতঃ প্রতিমা এবং প্রতিমাপূজকদের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।a (দ্বিতীয় বিবরণ ২৯:১৭) যিহূদীদের দ্বারা বাধা সত্ত্বেও রোমীয় সৈন্যবাহিনী তাদের প্রতিমাপূজারূপ নিদর্শন চিহ্ন বহন করে নিয়ে সা.শ. ৬৬ সালের নভেম্বরে যিরূশালেমে প্রবেশ করে ও তারপর মন্দিরের প্রাচীরের উত্তরে সুড়ঙ্গ কাটতে শুরু করে। এই বিষয়ে কোন সন্দেহ ছিল না—“ঘৃণার্হ বস্তু” যা যিরূশালেমের জন্য সম্পূর্ণ ধ্বংসের কারণ হতে পারত, তা “পবিত্র স্থানে দাঁড়াইয়া” ছিল! কিন্তু কিভাবে কেউ পলায়ন করতে পারত?

পলায়ন জরুরি ছিল!

৭. রোমীয় সৈন্যবাহিনী অপ্রত্যাশিতভাবে কী করেছিল?

৭ হঠাৎ করে আর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে স্পষ্টত কোন কারণ না থাকায়, যখন মনে হয়েছিল যে যিরূশালেম সহজেই অধিকার করা যেতে পারে তখনই রোমীয় সৈন্যেরা তা প্রত্যাহার করে নেয়। যিহূদী বিদ্রোহীরা রোমীয় সৈন্যদলের পশ্চাদ্ধাবন করেছিল, কিন্তু তা কেবলমাত্র প্রায় যিরূশালেম থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে আন্তিপাত্রি পর্যন্ত। তারপর তারা ফিরে আসে। যিরূশালেমে ফিরে এসে তারা মন্দিরের মধ্যে সমবেত হয় তাদের পরবর্তী যুদ্ধের পরিকল্পনা করার জন্য। দুর্গগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে যুবকদের বহাল করা হয়। খ্রীষ্টানেরা কি এতে জড়িয়ে যাবে? এমনকি যদি তারা তা এড়িয়ে চলত, তাহলে যখন রোমীয় সৈন্যেরা ফিরে গিয়েছিল তখনও কি তারা সেই বিপদজনক এলাকায় থাকতে পারত?

৮. যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্যগুলির প্রতি বাধ্য হয়ে খ্রীষ্টানেরা কোন্‌ জরুরি কাজ করেছিল?

৮ যিরূশালেম এবং যিহূদার খ্রীষ্টানেরা যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সতর্কবাণী অনুযায়ী শীঘ্রই কাজ করে এবং বিপদজনক এলাকা থেকে পলায়ন করে। পলায়ন করা জরুরি ছিল! কালক্রমে, তারা পার্বত্য এলাকাগুলিতে চলে যায় এবং এদের মধ্যে কয়েকজন সম্ভবত পেরিয়ার বিশিষ্ট স্থান পেল্লায় বসতি স্থাপন করে। যারা যীশুর সতর্কবাণীতে কর্ণপাত করেছিল তারা মূর্খের মত তাদের বস্তুগত সম্পত্তিকে রক্ষা করার জন্য পিছনের দিকে তাকায়নি। (তুলনা করুন লূক ১৪:৩৩.) যিরূশালেমের সেই পরিস্থিতির মধ্যে গর্ভবতী স্ত্রীলোকেদের এবং ধাত্রী মায়েদের পক্ষে হেঁটে যাত্রা করা সত্যই কষ্টকর ছিল। তাদের পলায়ন বিশ্রামবারের নিয়ন্ত্রণের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়নি আর যদিও শীতকাল খুব কাছে ছিল, কিন্তু তখনও তা আসেনি। যারা তৎক্ষণাৎ পলায়ন করা সম্বন্ধীয় যীশুর সতর্কবাণীতে কর্ণপাত করেছিল, তারা শীঘ্রই যিরূশালেম এবং যিহূদার বাইরে সুরক্ষিত ছিল। তাদের জীবন এর উপরই নির্ভর করেছিল।—তুলনা করুন যাকোব ৩:১৭.

৯. কিভাবে রোমীয় সৈন্যবাহিনী শীঘ্রই ফিরে এসেছিল এবং এর ফল কী হয়েছিল?

৯ ঠিক পরের বছরই, সা.শ. ৬৭ সালে, রোমীয়েরা যিহূদার বিরুদ্ধে পুনরায় যুদ্ধের অভিযান চালায়। প্রথমে, গালীলকে পরাজয় করে। পরের বছর যিহূদাকে ধ্বংস করা হয়। সা.শ. ৭০ সালে, রোমীয় সৈন্যবাহিনী স্বয়ং যিরূশালেমকে ঘিরে ফেলে। (লূক ১৯:৪৩) দুর্ভিক্ষ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। শহরের মধ্যে যারা আটকে পড়েছিল তারা একে অপরকে আক্রমণ করে। যে কেউ পালাবার চেষ্টা করেছিল, তারা নিহত হয়েছিল। যীশু যেমন বলেছিলেন, তারা যা ভোগ করেছিল তা ছিল “মহাক্লেশ।”—মথি ২৪:২১.

১০. যদি আমরা বিচক্ষণতার সাথে পড়ি, তাহলে আমরা কী লক্ষ্য করতে পারব?

১০ যীশু যা ভাববাণী করেছিলেন তা কি সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল? না, আরও কিছু ঘটার বাকি ছিল। যীশু যেমন উপদেশ দিয়েছিলেন, যদি আমরা বিচক্ষণতার সাথে শাস্ত্র পড়ি, তাহলে আরও কী বাকি আছে বুঝতে ব্যর্থ হব না। এছাড়া, আমাদের নিজেদের জীবনে এটির প্রয়োগ সম্বন্ধেও আমরা গম্ভীরভাবে চিন্তা করব।

আধুনিক-দিনে “ঘৃণার্হ বস্তু”

১১. অন্য কোন্‌ দুটি স্থানে দানিয়েল “ঘৃণার্হ বস্তু”-র উল্লেখ করেন এবং কোন্‌ সময়কাল সেখানে আলোচিত হয়েছে?

১১ দানিয়েল ৯:২৭ পদে আমরা যা দেখেছি তাছাড়াও দানিয়েল ১১:৩১ এবং ১২:১১ পদে “ধ্বংসকারী ঘৃণার্হ বস্তু” এই অতিরিক্ত উক্তিগুলি লক্ষ্য করুন। পরবর্তী বিবরণগুলির মধ্যে কোন একটিতেও যিরূশালেমের ধ্বংস সম্বন্ধে আলোচিত হয়নি। বস্তুত, দানিয়েল ১২:১১ পদে যা বলা হয় তা ঠিক “শেষকাল” উক্তিটির দুটি পদের পরে দেখা যায়। (দানিয়েল ১২:৯) ১৯১৪ সালের পর থেকে আমরা সেইরকম এক সময়ে বাস করছি। তাই আধুনিক-দিনের “ধ্বংসকারী ঘৃণার্হ বস্তু”-কে শনাক্ত করার জন্য আমাদের সতর্ক হওয়ার এবং তারপর আমরা বিপদজনক এলাকা থেকে বেরিয়ে এসেছি সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার প্রয়োজন আছে।

১২, ১৩. জাতিসংঘকে আধুনিক-দিনের “ঘৃণার্হ বস্তু” হিসাবে বর্ণনা করা কেন উপযুক্ত?

১২ আধুনিক-দিনের “ঘৃণার্হ বস্তু” কী? প্রমাণ জাতিসংঘকে নির্দেশ করে, যেটি জগৎ তার শেষকালে প্রবেশ করার অল্প কিছু পরেই ১৯২০ সালে তার কাজ শুরু করে। কিন্তু কিভাবে সেটি “ধ্বংসের ঘৃণার্হ বস্তু” হতে পারে?

১৩ স্মরণ করুন, “ঘৃণার্হ বস্তু”-র জন্য বাইবেলে যে ইব্রীয় শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, তা মূলত প্রতিমা এবং প্রতিমাপূজা সংক্রান্ত অভ্যাসগুলির প্রতি নির্দেশ করে। সংঘটিকে কি প্রতিমায় রূপায়িত করা হয়েছিল? অবশ্যই তা হয়েছিল! যাজকেরা এটিকে “পবিত্র স্থানে” রাখে এবং তাদের অনুগামীরা এটির প্রতি প্রগাঢ় ভক্তি নিবেদন করে। আমেরিকার ফেডারেল কাউনসিল অফ দ্যা চার্চ অফ ক্রাইস্ট ঘোষণা করে যে সংঘটি হবে “পৃথিবীতে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজনৈতিক প্রকাশ।” ইউ. এস. সেনেট ধর্মীয় দলগুলির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে চিঠি পায় যারা জাতিসংঘের চুক্তিটিকে বলবৎ করতে প্রণোদিত করে। ব্যাপটিস্ট গোষ্ঠী, ধর্মসম্প্রদায়গুলি এবং ব্রিটেনের আচার্যগণ উচ্চৈঃস্বরে জানায় এটি “[পৃথিবীতে শান্তি] অর্জনের জন্য একমাত্র প্রাপ্য অস্ত্র।”—দেখুন প্রকাশিত বাক্য ১৩:১৪, ১৫.

১৪, ১৫. কিভাবে জাতিসংঘ এবং পরে রাষ্ট্রসংঘ “পবিত্র স্থানে” এসেছিল?

১৪ ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের মশীহ রাজ্য স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত হয়, কিন্তু জাতিগণ তাদের নিজেদের সার্বভৌম ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ করতে অগ্রসর হয়। (গীতসংহিতা ২:১-৬) যখন জাতিসংঘের প্রস্তাব করা হয়েছিল, তখন জাতিগণ সবেমাত্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, সেই সাথে যাজকবর্গ তাদের সৈন্যদলকে আশীর্বাদ করেছে, যা প্রদর্শন করেছে যে ইতিমধ্যেই তারা ঈশ্বরের নিয়মকে পরিত্যাগ করেছে। তারা খ্রীষ্টকে রাজা হিসাবে দেখেনি। ফলে তারা ঈশ্বরের রাজ্যের ভূমিকায় মনুষ্য সংগঠনকে নিযুক্ত করে; তারা জাতিসংঘকে “পবিত্র স্থানে” রাখে, এমন একটি স্থান যেটা তার ছিল না।

১৫ জাতিসংঘের উত্তরসূরী হিসাবে, রাষ্ট্রসংঘ ১৯৪৫ সালের ২৪শে অক্টোবর অস্তিত্বে আসে। পরে, রোমের পোপেরা রাষ্ট্রসংঘকে “একতা ও শান্তির জন্য চূড়ান্ত আশা” এবং “শান্তি ও ন্যায়ের সর্বোচ্চ বিচারালয়” হিসাবে সম্ভাষণ করেন। হ্যাঁ, জাতিসংঘ এবং তার সাথে তার উত্তরসূরী, রাষ্ট্রসংঘ সত্যই একটি প্রতিমায় পরিণত হয়, ঈশ্বরের এবং তাঁর লোকেদের দৃষ্টিতে একটি “ঘৃণার্হ বস্তু।”

কিসের থেকে পলায়ন?

১৬. আজকের দিনে ধার্মিকতা প্রেমিকদের কিসের মধ্যে থেকে বের হয়ে আসা প্রয়োজন?

১৬ এটির উপর ‘দৃষ্টিপাত করে’ আন্তর্জাতিক সংগঠনটি কী এবং কিভাবে এটিকে প্রতিমায় রূপায়িত করা হয়েছে তা শনাক্ত করে ধার্মিকতা প্রেমিকদের রক্ষার জন্য পলায়ন করা প্রয়োজন। কিন্তু কিসের থেকে পলায়ন? তার থেকে বেরিয়ে আসা যেটি হল আধুনিক-দিনের অবিশ্বস্ত যিরূশালেমের প্রতীক, খ্রীষ্টীয়জগৎ নামে পরিচিত এবং মিথ্যাধর্মের বিশ্বসাম্রাজ্য, সমগ্র মহতী বাবিলন থেকে বেরিয়ে আসা।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪.

১৭, ১৮. আধুনিক-দিনের “ঘৃণার্হ বস্তু” কিসের ধ্বংসের কারণ হবে?

১৭ এছাড়াও মনে রাখুন যে, প্রথম শতাব্দীতে, যখন রোমীয় সৈন্য তার প্রতিমাপূজা সংক্রান্ত নির্দশন-চিহ্ন নিয়ে যিহূদীদের পবিত্র শহরের মধ্যে তার পথ করে নিয়েছিল, তখন এটি সেখানে যিরূশালেম এবং তার উপাসনা ব্যবস্থার ধ্বংস আনার জন্যই করেছিল। আমাদের দিনে ধ্বংস কেবলমাত্র একটি শহরের উপর, কিংবা খ্রীষ্টীয়জগতের উপর আসতে যাচ্ছে না, কিন্তু সমগ্র মিথ্যাধর্মের বিশ্বসাম্রাজ্যের উপর।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৫-৮.

১৮ প্রকাশিত বাক্য ১৭:১৬ পদে, এটি ভাববাণী করা হয়েছিল যে এক রূপক সিন্দুরবর্ণের পশু, যেটি প্রমাণিত হয়েছে রাষ্ট্রসংঘ হিসাবে, বেশ্যারূপ মহতী বাবিলের দিকে ফিরবে এবং নিষ্ঠুরভাবে তাকে ধ্বংস করবে। সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে এটি বলে: “তুমি যে ঐ দশ শৃঙ্গ এবং পশুটা দেখিলে তাহারা সেই বেশ্যাকে ঘৃণা করিবে, এবং তাহাকে অনাথা ও নগ্না করিবে, তাহার মাংস ভক্ষণ করিবে, এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দিবে।” এর অর্থ যা দাঁড়াবে তা উপলব্ধি করা ভয়াবহ হবে। এর ফল হবে জগতের সকল প্রান্তের সবরকমের মিথ্যাধর্মের শেষ। এটি সত্যই দেখাবে যে মহাক্লেশ শুরু হয়েছে।

১৯. সংগঠিত হওয়ার পর থেকে কোন্‌ জিনিসগুলি রাষ্ট্রসংঘের অংশ হয়েছে এবং কেন এটি তাৎপর্যপূর্ণ?

১৯ এটি লক্ষ্য করার বিষয় যে ১৯৪৫ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘ তার কাজ শুরু করার পর এর সদস্যদের মধ্যে নাস্তিকতা, বিধর্মী বিষয়গুলি বিশিষ্ট বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা জগতে বিভিন্ন সময়ে, এই বিষয়গুলি হয় ধর্মীয় অভ্যাসগুলিকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে কিংবা সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করতে অস্ত্রস্বরূপ হয়েছে। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে, বহু স্থানে ধর্মীয় দলগুলির উপর সরকারি চাপের তীব্রতা হ্রাস পেয়েছে। কিছু লোকের কাছে এটি মনে হয় যে ধর্মের ক্ষেত্রে আর কোনরকম বিপদ আসবে না।

২০. জগতের ধর্মগুলি নিজেদের জন্য কিধরনের খ্যাতি লাভ করেছে?

২০ মহতী বাবিলের ধর্মগুলি ক্রমাগতভাবে এই জগতে হিংসাত্মকভাবে এক বিচ্ছিন্নকারী শক্তিস্বরূপ হয়ে এসেছে। সংবাদপত্রের শিরোনামগুলি প্রায়ই, তাদের দাবিকারী ধর্মের নামে যুদ্ধরত দলগুলি এবং সন্ত্রাসবাদীদের শনাক্ত করে। প্রতিদ্বন্দ্বী ধর্মীয় দলের মধ্যে দৌরাত্ম্যকে বন্ধ করতে উচ্ছৃঙ্খল পুলিশ ও সৈন্যেরা মন্দিরের মধ্যে তাদের অভিযান চালিয়েছে। ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজনৈতিক বিপ্লবে মূলধন যুগিয়েছে। সাম্প্রদায়িক দলগুলির মধ্যে স্থায়ী সম্পর্ক বজায় রাখতে রাষ্ট্রসংঘের প্রচেষ্টাগুলিকে ধর্মীয় বিদ্বেষ হতাশ করেছে। শান্তি ও সুরক্ষার লক্ষ্য অনুধাবন করার পরিপ্রেক্ষিতে, রাষ্ট্রসংঘের অন্তর্ভুক্ত দলগুলি, সেই সব ধর্মীয় প্রভাবের বিলোপসাধন আশা করে যেগুলি তাদের সামনে প্রতিবন্ধক হয়ে ওঠে।

২১. (ক) কখন মহতী বাবিল ধ্বংস হবে কে তা নির্ধারণ করবে? (খ) তার আগে কী করা জরুরি?

২১ এছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করার আছে। যদিও রাষ্ট্রসংঘের মধ্যে থেকে সামরিক শৃঙ্গগুলি মহতী বাবিলকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হবে, সেই ধ্বংস কিন্তু হবে প্রকৃতপক্ষে ঐশিক বিচারের প্রকাশ। বিচারদণ্ডাজ্ঞা ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে আসবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১৭) মধ্যবর্তী সময়ে আমাদের কী করা উচিত? “উহা হইতে বাহিরে আইস”—মহতী বাবিল থেকে বের হয়ে এসো—বাইবেল উত্তর দেয়।—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪.

২২, ২৩. এইধরনের পলায়নের সাথে কী জড়িত আছে?

২২ রক্ষার জন্য এই পলায়ন কোন ভৌগলিক অপসারণ নয়, যেমন যিহূদী খ্রীষ্টানেরা যিরূশালেম পরিত্যাগ করার সময়ে করেছিল। এটি হল খ্রীষ্টীয়জগতের ধর্মগুলি থেকে পলায়ন, হ্যাঁ, মহতী বাবিলের যে কোন অংশ থেকে বের হয়ে আসা। এর অর্থ একজনের সম্পূর্ণরূপে পৃথক থাকা শুধুমাত্র মিথ্যা ধর্মীয় সংগঠনগুলি থেকে নয়, কিন্তু তাদের প্রথা এবং বিশেষ ধরনের মনোভাবের থেকেও পৃথক থাকা। এটি হল যিহোবার ঐশিক সংগঠনের মধ্যে সুরক্ষিত স্থানে পলায়ন করা।—ইফিষীয় ৫:৭-১১.

২৩ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, যখন যিহোবার অভিষিক্ত দাসেরা প্রথম জাতিসংঘকে আধুনিক-দিনের ঘৃণার্হ বস্তু বলে শনাক্ত করে, তখন কিভাবে সাক্ষীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? খ্রীষ্টীয়জগতের গির্জার সাথে তাদের সদস্যপদ ইতিমধ্যেই তারা বিচ্ছিন্ন করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তারা উপলব্ধি করে যে তখনও তারা খ্রীষ্টীয়জগতের কিছু প্রথা ও অভ্যাসকে ধরে রেখে ছিল, যেমন ক্রশের ব্যবহার এবং বড়দিন ও অন্যান্য পৌত্তলিক ছুটির দিনগুলিকে উদ্‌যাপন করা। কিন্তু যখন তারা এই বিষয়গুলির সম্বন্ধে সত্য জানতে পারে তারা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেয়। তারা যিশাইয় ৫২:১১ পদের উপদেশটিতে কর্ণপাত করেছিল: “চল চল, সেই স্থান হইতে বাহির হও, অশুচি কোন বস্তু স্পর্শ করিও না, উহার মধ্য হইতে বাহির হও; হে সদাপ্রভুর পাত্রবাহকগণ, তোমরা বিশুদ্ধ হও।”

২৪. বিশেষ করে ১৯৩৫ সালের পর থেকে কারা এই পলায়নে যোগদান করেছে?

২৪ বিশেষ করে ১৯৩৫ সালের পর থেকে, বৃদ্ধিরত অপর জনতা, যারা পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্তকাল বেঁচে থাকার প্রত্যাশাকে সাগ্রহে গ্রহণ করে, তারা একই কাজ করতে শুরু করে। তারাও ‘ঘৃণার্হ বস্তুকে পবিত্র স্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছে’ আর তারা শনাক্ত করতে পেরেছে যে এটির অর্থ কী। পলায়ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, তারা সেই সংগঠন থেকে সদস্যের নাম তুলে দেয় যা হল মহতী বাবিলের অংশ।—২ করিন্থীয় ৬:১৪-১৭.

২৫. মিথ্যা ধর্মের সাথে যুক্ত যে কোন বিষয়কে পরিত্যাগ করা ছাড়াও একজন ব্যক্তির আর কী করা প্রয়োজন?

২৫ কিন্তু, মহতী বাবিল থেকে পলায়ন করা মিথ্যাধর্মকে পরিত্যাগ করার চাইতে আরও বেশি কিছু এর সাথে জড়িত করে। কিংডম হলে কয়েকটা সভায় যোগদান করা কিংবা মাসে এক অথবা দুবার ক্ষেত্র পরিচর্যায় সুসমাচার প্রচারে যাওয়ার চাইতে আরও বেশি কিছু আছে। এক ব্যক্তি হয়ত দৈহিকভাবে মহতী বাবিলের বাইরে থাকতে পারে, কিন্তু সত্যই কি সে তা পরিত্যাগ করেছে? সে কি নিজেকে জগৎ থেকে আলাদা করেছে মহতী বাবিল যার একটি প্রধান অংশ? সে কি সেই জিনিসগুলিকে এখনও ধরে আছে যা এর মনোভাবকে প্রতিফলিত করে—এমন এক মনোভাব যা ঈশ্বরের ধার্মিক মানগুলিকে অবজ্ঞা করে? সে কি যৌন নৈতিকতা এবং বৈবাহিক বিশ্বস্ততাকে হালকাভাবে নিয়ে থাকে? আধ্যাত্মিক আগ্রহগুলির চাইতে সে কি ব্যক্তিগত এবং বস্তুগত আগ্রহগুলির উপর জোর দেয়? সে অবশ্যই নিজেকে এই জগতের অনুরূপ হতে দেবে না।—মথি ৬:২৪; ১ পিতর ৪:৩, ৪.

কোন কিছুকে আপনার পলায়নে বাধা হতে দেবেন না!

২৬. শুধুমাত্র পলায়ন শুরু করতে নয়, কিন্তু তা সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে কী আমাদের সাহায্য করবে?

২৬ রক্ষার জন্য আমাদের পলায়নে, এটি আবশ্যক যে আমরা পশ্চাতের বিষয়গুলির জন্য আকাঙ্ক্ষী হব না। (লূক ৯:৬২) ঈশ্বরের রাজ্য ও তাঁর ধার্মিকতার উপর আমাদের মন এবং হৃদয় দৃঢ়ভাবে নিবদ্ধ রাখা প্রয়োজন। এগুলিকে প্রথমে অন্বেষণ করার দ্বারা নিশ্চয়তার সাথে আমরা কি আমাদের বিশ্বাসকে প্রদর্শন করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ যে যিহোবা এইধরনের বিশ্বস্ত পথকে আশীর্বাদ করবেন? (মথি ৬:৩১-৩৩) যতই আমরা আগ্রহের সাথে পৃথিবীর দৃশ্যপটে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাগুলি প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করি, ততই শাস্ত্রের উপর ভিত্তি করা নিশ্চয়তাগুলি সেই লক্ষ্যের প্রতি আমাদের উৎসাহিত করা উচিত।

২৭. এখানে জিজ্ঞাস্য প্রশ্নগুলি সম্বন্ধে গম্ভীরভাবে চিন্তা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

২৭ ঐশিক বিচারদণ্ডাজ্ঞা বাবিলনের ধ্বংস দিয়ে শুরু হবে। মিথ্যা ধর্মের সেই বেশ্যাতুল্য সাম্রাজ্যকে চিরকালের জন্য তার অস্তিত্ব থেকে মুছে ফেলা হবে। সেই সময় খুবই নিকটে! সেই চরম মুহূর্তটি যখন উপস্থিত হবে তখন ব্যক্তিবিশেষ হিসাবে যিহোবার সামনে আমাদের মান কী হবে? আর মহাক্লেশের চরম পরিপূর্ণতায় যখন শয়তানের দুষ্ট বিধিব্যবস্থার বাকি অংশ ধ্বংস হবে, তখন কোন্‌ পক্ষে আমাদের পাওয়া যাবে? যদি এখনই আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিই, তাহলে আমাদের সুরক্ষা নিশ্চিত। যিহোবা আমাদের বলেন: “যে জন আমার কথা শুনে, সে নির্ভয়ে বাস করিবে।” (হিতোপদেশ ১:৩৩) এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময়ে নিয়মিতভাবে বিশ্বস্ত ও আনন্দের সাথে যিহোবাকে সেবা করে চলার দ্বারা আমরা হয়ত যিহোবাকে চিরকালের জন্য সেবা করতে যোগ্য হতে পারব।

[পাদটীকাগুলো]

a ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্ট (ইংরাজি), খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৬৩৪-৫ দেখুন।

আপনার কি স্মরণে আছে?

◻ আধুনিক-দিনের “ঘৃণার্হ বস্তু” কী?

◻ কোন্‌ অর্থে “ঘৃণার্হ বস্তু পবিত্র স্থানে” রয়েছে?

◻ এখনই রক্ষা পেতে পলায়নের সাথে কী জড়িত আছে?

◻ কেন এইধরনের কাজ করা জরুরি?

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

রক্ষার জন্য দেরি না করে যীশুর অনুগামীদের পলায়ন করতে হয়েছিল

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার