ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ১১/১ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • এক “দুষ্ট বংশ” থেকে রক্ষা পাওয়া

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এক “দুষ্ট বংশ” থেকে রক্ষা পাওয়া
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “শেষ”—কখন?
  • ‘এই বংশ’—সেটি কী?
  • “এই দুষ্ট বংশ”
  • “এই বংশের” শনাক্তিকরণ
  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • জেগে থাকার সময়
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • খ্রিস্টের উপস্থিতি —আপনার কাছে এর অর্থ কী?
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ১১/১ পৃষ্ঠা ১০-১৫

এক “দুষ্ট বংশ” থেকে রক্ষা পাওয়া

“হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, কত কাল আমি তোমাদের নিকটে থাকিব ও তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব?”—লূক ৯:৪১.

১. (ক) আমাদের এই দুর্দশার সময় কিসের পূর্বলক্ষণ? (খ) রক্ষাপ্রাপ্তদের সম্বন্ধে শাস্ত্র কী বলে?

আমরা এক চরম দুর্দশাপূর্ণ সময়ে বাস করছি। ভূমিকম্প, বন্যা, দুর্ভিক্ষ, রোগ, অরাজকতা, বোমাবাজি, ভয়ঙ্কর যুদ্ধ—এগুলি ও আরও অনেক কিছু, আমাদের এই বিংশ শতাব্দীতে মানবজাতিকে জর্জরিত করে তুলেছে। কিন্তু, অদূর ভবিষ্যতে সবচাইতে চরম বিপর্যয় আসার ভয় রয়েছে। সেটা কী? সেটি হল “মহাক্লেশ . . . যেরূপ জগতের আরম্ভ অবধি এ পর্য্যন্ত কখনও হয় নাই, কখনও হইবেও না।” (মথি ২৪:২১) তবুও আমাদের মধ্যে অনেকেই এক আনন্দময় ভবিষ্যতের আশা করতে পারে! কেন? কারণ ঈশ্বরের নিজস্ব বাক্য বর্ণনা দেয় যে, “প্রত্যেক জাতির ও বংশের ও প্রজাবৃন্দের ও ভাষার বিস্তর লোক, তাহা গণনা করিতে সমর্থ কেহ ছিল না; . . . ‘ইহারা সেই লোক, যাহারা সেই মহাক্লেশের মধ্য হইতে আসিয়াছে, . . . ইহারা আর কখনও ক্ষুধিত হইবে না, আর কখনও তৃষ্ণার্ত্তও হইবে না, . . . আর ঈশ্বর ইহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দেবেন।’”—প্রকাশিত বাক্য ৭:১, ৯, ১৪-১৭.

২. মথি ২৪, মার্ক ১৩ ও লূক ২১ অধ্যায়ের প্রথম পদগুলি কিভাবে প্রাথমিক পরিপূর্ণতা লাভ করে?

২ মথি ২৪:৩-২২, মার্ক ১৩:৩-২০ ও লূক ২১:৭-২৪ পদের অনুপ্রাণিত রেকর্ডটি ‘যুগান্ত’ সম্বন্ধে যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বর্ণনাটির পরিচয় করিয়ে দেয়।a এই ভবিষ্যদ্বাণীর প্রাথমিক পরিপূর্ণতা দেখা যায় প্রথম শতাব্দীর দুর্নীতিগ্রস্ত যিহূদী বিধিব্যবস্থার উপর, যা যিহূদীদের উপর এক ভয়ঙ্কর “মহাক্লেশ” হিসাবে শেষ সীমায় পৌঁছায়। যিহূদী ব্যবস্থার সমগ্র ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কাঠামো, যা যিরূশালেমের মন্দিরে কেন্দ্রীভূত ছিল, তা বিলুপ্ত হয়ে যায়, আর কখনও পুনর্প্রতিষ্ঠিত হয় না।

৩. আজকে যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি কর্ণপাত করা কেন জরুরী?

৩ আসুন এখন আমরা বিবেচনা করে দেখি সেই পরিস্থিতির কথা যা যীশুর এই ভবিষ্যদ্বাণীর প্রাথমিক পরিপূর্ণতার সাথে সম্পর্কযুক্ত। এটা আমাদের বর্তমান দিনের সমতুল্য পরিপূর্ণতাটিকে আরও ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এটা আমাদের দেখাবে এখন কেন সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী যাতে করে আমরা সবচাইতে মহোত্তর মহাক্লেশ থেকে রক্ষা পেতে পারি যা সমগ্র মানবজাতিকে ভীতসন্ত্রস্ত করে।—রোমীয় ১০:৯-১৩; ১৫:৪; ১ করিন্থীয় ১০:১১; ১৫:৫৮.

“শেষ”—কখন?

৪, ৫. (ক) সা.শ. প্রথম শতাব্দীর ঈশ্বর-ভীরু যিহূদীরা দানিয়েল ৯:২৪-২৭ পদের ভবিষ্যদ্বাণীর প্রতি কেন আগ্রহী ছিল? (খ) এই ভবিষ্যদ্বাণী কিভাবে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল?

৪ প্রায় সা.শ.পূ. ৫৩৯ সালে, ঈশ্বরের ভাববাদী দানিয়েলকে সেই ঘটনাগুলির বিষয় দর্শন দেওয়া হয়েছিল যা “সত্তর সপ্তাহ” ব্যাপৃত বছরের শেষ ‘সপ্তাহে’ ঘটবে। (দানিয়েল ৯:২৪-২৭) এই “সপ্তাহ”-গুলি শুরু হয়েছিল সা.শ.পূ. ৪৫৫ সালে, যখন পারস্য রাজ অর্তক্ষস্ত যিরূশালেম নগর পুনর্নির্মাণের আদেশ দেন। শেষ “সপ্তাহ”-টি শুরু হয় মশীহ, যীশু খ্রীষ্টের আবির্ভাবের সাথে সাথে, যখন তিনি সা.শ. ২৯ সালে বাপ্তিস্ম নেন ও অভিষিক্ত হন।b সা.শ. প্রথম শতাব্দীর ঈশ্বর-ভীরু যিহূদীরা দানিয়েলের এই ভাববাণীর সময়কাল সম্বন্ধে খুবই সজাগ ছিল। উদাহরণস্বরূপ, সা.শ. ২৯ সালে যে সমস্ত বিস্তর লোকেরা যোহন বাপ্তাইজকের প্রচার শুনতে একত্রিত হয়েছিল, তাদের বিষয় লূক ৩:১৫ জানায়: “লোকেরা যখন অপেক্ষায় ছিল, এবং যোহনের বিষয়ে সকলে মনে মনে এই তর্ক বিতর্ক করিতেছিল, কি জানি, ইনিই বা সেই খ্রীষ্ট।”

৫ ৭০তম “সপ্তাহ” হল এক বিশেষ অনুগ্রহপূর্ণ সাত বছর যা যিহূদীদের প্রতি দেখানো হয়েছিল। সা.শ. ২৯ সাল থেকে শুরু করে এর অন্তর্ভুক্ত ছিল যীশুর বাপ্তিস্ম ও পরিচর্যা, সা.শ. ৩৩ সালে “সেই সপ্তাহের অর্দ্ধকালে” তাঁর বলিদানমূলক মৃত্যু যার পরিসমাপ্তি ঘটে বাকি ‘অর্দ্ধ সপ্তাহে’ অর্থাৎ সা.শ. ৩৬ সালে। এই “সপ্তাহের” সময়ে কেবলমাত্র ঈশ্বর-ভীরু যিহূদীদের ও যিহূদী ধর্মান্তরিতদের যীশুর অভিষিক্ত শিষ্য হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপর সা.শ. ৭০ সালে, যে তারিখটি আগে থেকে জানা ছিল না, সেই সময় টাইটাসের অধীনস্ত রোমীয় সামরিক বাহিনী ধর্মভ্রষ্ট যিহূদী ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দেয়।—দানিয়েল ৯:২৬, ২৭.

৬. (ক) সা.শ. ৬৬ সালের “ক্লেশ” কতখানি ধ্বংসাত্মক ছিল? (খ) কারা রক্ষা পেয়েছিল ও কোন্‌ জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দ্বারা?

৬ অতএব যিহূদী যাজকবর্গ, যারা যিরূশালেমের মন্দির দূষিত করেছিল আর ঈশ্বরের আপন পুত্রকে হত্যা করার চক্রান্ত করেছিল, তা ধ্বংস হয়ে যায়। তারই সাথে ধ্বংস হয়ে যায় জাতীয় ও সাম্প্রদায়িক রেকর্ডগুলি। এরপর, কোন যিহূদীরাই আর আইনতভাবে পৌরহিত্ব অথবা রাজকীয় উত্তরাধিকার দাবি করতে পারত না। কিন্তু আনন্দের বিষয় হল যে, অভিষিক্ত আত্মিক যিহূদীদের রাজকীয় পুরোহিতবর্গ হিসাবে আলাদা করে রাখা হয় যাতে করে তারা যিহোবা ঈশ্বরের “গুণকীর্তন চারিদিকে ঘোষণা” করতে পারে। (১ পিতর ২:৯, NW) যখন সা.শ. ৬৬ সালে রোমীয় সামরিক বাহিনী প্রথমবার যিরূশালেম আক্রমণ করে আর এমনকি মন্দিরের এলাকাটির নিচে গর্ত খোঁড়ে, খ্রীষ্টানেরা বুঝতে পারে যে সেই সামরিক দলটিই হল “ধ্বংসের যে ঘৃণার্হ বস্তু দানিয়েল ভাববাদী দ্বারা উক্ত হইয়াছে, তাহা পবিত্রস্থানে দাঁড়াইয়া আছে।” যীশুর ভাববাণীমূলক আদেশের প্রতি বাধ্যতা দেখিয়ে, যিরূশালেম ও যিহূদার খ্রীষ্টানেরা রক্ষা পাওয়ার জন্য পাহাড়াঞ্চলে পালিয়ে যায়।—মথি ২৪:১৫, ১৬; লূক ২১:২০, ২১.

৭, ৮. কোন্‌ “চিহ্ন” খ্রীষ্টানেরা লক্ষ্য কররেছিল, কিন্তু কোন্‌ বিষয়টি তারা জানত না?

৭ সেই বিশ্বস্ত যিহূদী খ্রীষ্টানেরা দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা প্রত্যক্ষ করেছিল আর তারা চোখের সামনে ঘটতে দেখেছিল মর্মান্তিক যুদ্ধগুলি, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, ভূমিকম্প ও অরাজকতা যা যীশু আগে থেকে বলেছিলেন যে এগুলি হবে “যুগান্তের চিহ্ন” এর অংশ। (মথি ২৪:৩) কিন্তু যীশু কি তাদের বলেছিলেন যে কখন যিহোবা প্রকৃতপক্ষে সেই দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থার উপর বিচার আনবেন? না। ভবিষ্যতে তাঁর রাজকীয় উপস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছানো সম্বন্ধে তিনি যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তা অবশ্যই প্রথম-শতাব্দীর “মহাক্লেশ” এর প্রতিও প্রযোজ্য: “সেই দিনের ও সেই দণ্ডের তত্ত্ব কেহই জানে না, স্বর্গের দূতগণও জানেন না, পুত্ত্রও জানেন না, কেবল পিতা জানেন।”—মথি ২৪:৩৬.

৮ দানিয়েলের দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী থেকে মশীহ হিসাবে যীশুর আবির্ভাবের সময়টি যিহূদীরা সহজেই গণনা করে নিতে পারত। (দানিয়েল ৯:২৫) কিন্তু তাদের কাছে সেই “মহাক্লেশ” এর ক্ষণটি ব্যক্ত করা হয়নি যা পরিশেষে ধর্মভ্রষ্ট যিহূদী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়। কেবলমাত্র যিরূশালেম ও তার মন্দির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পরই তারা বুঝতে পেরেছিল যে সেই সময়টি ছিল সা.শ. ৭০ সাল। কিন্তু, যীশুর ভাববাণীমূলক বাক্যগুলি সম্বন্ধে তারা সচেতন ছিল: “এই কালের [“এই বংশের,” NW] লোকদের লোপ হইবে না, যে পর্য্যন্ত না এ সমস্ত সিদ্ধ হয়।” (মথি ২৪:৩৪) আপাতদৃষ্টিতে, এখানে ‘বংশ’ শব্দটির প্রয়োগ একটু আলাদা বিশেষকরে উপদেশক ১:৪ পদের তুলনায় যেখানে একটি সময়কাল ধরে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন বংশের আসা যাওয়ার কথা উল্লেখিত হয়েছে।

‘এই বংশ’—সেটি কী?

৯. গ্রীক শব্দ জিনিয়া-কে লেক্সিকান কিভাবে ব্যাখ্যা করে?

৯ যীশুর সাথে জৈতুন পর্বতের উপর বসে তাঁর চারজন প্রেরিত যখন ‘যুগান্ত’ সম্বন্ধে তাঁর ভাববাণীটি শুনছিলেন তখন ‘এই বংশ’ সম্বন্ধে তাঁর অভিব্যক্তিটি তারা কিভাবে বুঝতে পেরেছিলেন? সুসমাচারে ‘বংশ’ শব্দটি গ্রীক শব্দ জিনিয়া থেকে অনুবাদিত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক লেক্সিকান এইভাবে ব্যাখ্যা করে: “আ[ক্ষরিকভাবে] যারা একই পূর্বপুরুষ থে[কে] এসেছে।” (ওয়ালটার বয়ার্স গ্রীক-ইংলিশ লেক্সিকান অফ দ্যা নিউ টেস্টামেন্ট) “যা উৎপাদন করা গিয়েছে, একটি পরিবার; . . . একটি বংশের ধারাবাহিক সদস্যেরা . . . অথবা একটি জাতিবৃন্দ, . . . কিম্বা একটি সমগ্র মানব দল যারা একই সময় জীবিত রয়েছে, মথি ২৪:৩৪; মার্ক ১৩:৩০; লূক ১:৪৮; ২১:৩২; ফিলিপীয় ২:১৫ এবং বিশেষকরে সেই যিহূদী জাতি যারা সেই সময় জীবিত ছিল।” (ডব্লিউ. ই.  ভাইনের এক্সপজিটরি ডিকসনারি অফ নিউ টেস্টামেন্ট ওয়ার্ডস) এটা একই জাতির লোকদের প্রতি প্রযোজ্য, একটি পরিবার, . . . সমগ্র মানবজাতি যারা একই সময়ে জীবিত আছে: মথি ২৪:৩৪; মার্ক ১৩:৩০; লূক ১:৪৮ এটা বিশেষ[করে] যিহূদী জাতি যারা এক সাথে ও একই সময়ে জীবিত তাদের প্রতি ব্যবহৃত হয়।”—জে. এইচ. থেয়ারের গ্রীক-ইংলিশ লেক্সিকান অফ দ্যা নিউ টেস্টামেন্ট।

১০. (ক) মথি ২৪:৩৪ পদ উদ্ধৃতি করার সময় দুটি কর্তৃপক্ষ কিভাবে একই ব্যাখ্যা দেন? (খ) কিভাবে থিওলজিক্যাল ডিকসনারি ও অন্যান্য বাইবেল অনুবাদকেরা এই ব্যাখ্যার পক্ষে সমর্থন জানান?

১০ অতএব ভাইন ও থেয়ার উভয়ই মথি ২৪:৩৪ পদটিকে উল্লেখ করেন “এই বংশের” (হি জিনিয়া ওট) ব্যাখ্যা করতে যার অর্থ হল “সমগ্র মানব দল যারা একই সময় জীবিত রয়েছে।” থিওলজিক্যাল ডিকসনারি অফ দ্যা নিউ টেস্টামেন্ট (১৯৬৪) এই ব্যাখ্যার পক্ষে সমর্থন জানায় এই বলে যে: “যীশুর দ্বারা ব্যবহৃত এই ‘বংশ’ শব্দটি তাঁর ব্যাপক উদ্দেশ্যকে ব্যক্ত করে: তিনি সমগ্র লোকেদের প্রতি দৃষ্টি দেন এবং তাদের সংহতিপূর্ণ পাপের প্রতি সচেতন ছিলেন।” এটা অবশ্যই সত্য যে যীশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন যিহূদী জাতির মধ্যে “সংহতিপূর্ণ পাপ” প্রতীয়মান ছিল, ঠিক যেমন আজ তা জগৎ বিধিব্যবস্থাকে চিহ্নিত করছে।c

১১. (ক) হি জিনিয়া ওট-কে কিভাবে ব্যবহার করতে হবে তা নির্ধারণ করার জন্য প্রাথমিকভাবে কোন্‌ কর্তৃপক্ষের উচিত আমাদের সাহায্য করা? (খ) এই কর্তৃপক্ষটি শব্দটিকে কিভাবে ব্যবহার করেছে?

১১ অবশ্যই, খ্রীষ্টানেরা যারা এই বিষয় নিয়ে অধ্যয়ন করে, তারা তাদের চিন্তাধারা প্রাথমিকভাবে অনুপ্রাণিত সুসমাচার লেখকেরা, যীশুর বাক্য সম্বন্ধে বলতে গিয়ে যেভাবে হি জিনিয়া ওট, এই গ্রীক অভিব্যক্তিটি অথবা ‘এই বংশ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার উপর ভিত্তি করে পরিচালনা করে থাকে। এটিকে সঙ্গতিপূর্ণভাবে নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই যীশু যিহূদী ধর্মীয় নেতাদের বলেছিলেন “সর্পেরা, কালসর্পের বংশেরা” আর এছাড়াও তিনি বলেছিলেন যে গিহেন্নার বিচার “এই বংশের” উপর আসবে। (মথি ২৩:৩৩, ৩৬, NW) কিন্তু, এই বিচার কি কেবলমাত্র কপটাচারী পাদরিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? কখনই না। অনেক পরিস্থিতিতে যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে ‘এই বংশ’ অভিব্যক্তিটি আরও ব্যাপক অর্থে সংগতিপূর্ণভাবে ব্যবহার করতে শুনেছিল। সেটা কী ছিল?

“এই দুষ্ট বংশ”

১২. যখন শিষ্যেরা তাঁর কথা শুনছিলেন তখন যীশু কিভাবে “লোকসমূহ” এর সাথে “এই বংশের” যোগসূত্র করেন?

১২ সা.শ. ৩১ সালে যীশুর মহান গালীলীয় পরিচর্যার সময় এবং নিস্তার পর্বের ঠিক পরে তাঁর শিষ্যেরা ‘লোকসমূহের’ উদ্দেশ্য তাঁকে বলতে শোনেন: “কিন্তু আমি কাহার সহিত এই কালের [“বংশের,” NW] লোকদের তুলনা দিব? তাহারা এমন বালকদের তুল্য, যাহারা বাজারে বসিয়া আপনাদের সঙ্গীগণকে বলে, ‘আমরা তোমাদের নিকটে বাঁশী বাজাইলাম, তোমরা নাচিলে না; আমরা বিলাপ করিলাম, তোমরা বুক চাপড়াইলে না।’ কারণ যোহন আসিয়া ভোজন পান করেন নাই; তাহাতে লোকে বলে, সে ভূতগ্রস্ত। মনুষ্যপুত্ত্র আসিয়া ভোজন পান করেন; তাহাতে লোকে বলে, ঐ দেখ, এক জন পেটুক ও মদ্যপায়ী, করগ্রাহীদের ও পাপীদের বন্ধু।” সেই মূল্যবোধহীন “লোকসমূহকে” কোন কিছুই খুশি করতে পারে না!—মথি ১১:৭, ১৬-১৯.

১৩. তাঁর শিষ্যদের উপস্থিতিতে যীশু কাদের “এই দুষ্ট বংশ” বলে শনাক্ত ও তিরস্কার করেন?

১৩ পরে সা.শ. ৩১ সালে, যখন যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা, দ্বিতীয় প্রচার ভ্রমণে যান, “কয়েক জন অধ্যাপক ও ফরীশী” যীশুকে চিহ্ন দেখাতে বলেন। তিনি তাদের ও সেখানে উপস্থিত “লোকসমূহকে” বলেন: “এই কালের [“এই বংশের,” NW] দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকে চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনা ভাববাদীর চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন ইহাদিগকে দেওয়া যাইবে না। কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্ত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন। . . . এই কালের [“এই বংশের,” NW] দুষ্ট লোকদের প্রতি তাহাই ঘটিবে।” (মথি ১২:৩৮-৪৬) অবশ্যই, “এই বংশের দুষ্ট লোকদের” যার অন্তর্ভুক্ত ছিল ধর্মীয় নেতারা এবং “লোকসমূহ” তারা কোন রকমভাবেই উপলব্ধি করতে পারেনি সেই চিহ্নটিকে যা যীশুর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের মাধ্যমে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল।d

১৪. যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে অধ্যাপক ও ফরীশীদের সম্পর্কে কিধরনের তিরস্কার করতে শুনেছিলেন?

১৪ সা.শ. ৩২ সালে নিস্তার পর্বের পর যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা যখন গালীল অঞ্চল মগদনে এসে উপস্থিত হন, তখন অধ্যাপক ও ফরীশীরা আবার যীশুকে চিহ্ন দেখাতে বলে। তিনি পুনরায় তাদের বলেন: “এই কালের [“এই বংশের,” NW] দুষ্ট ও ব্যভিচারী লোকেরা চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ব্যতিরেকে আর কোন চিহ্ন তাহাদিগকে দেওয়া যাইবে না। তখন তিনি তাহাদিগকে ত্যাগ করিয়া চলিয়া গেলেন।” (মথি ১৬:১-৪) অবিশ্বস্ত “লোকসমূহ” এর মধ্যে সেই ধর্মীয় কপটাচারীরা নেতা হিসাবে অবশ্যই নিন্দনীয় ছিল যাদের যীশু “এই দুষ্ট বংশ” বলে তিরস্কার করেছিলেন।

১৫. রূপান্তরিত হওয়ার ঠিক আগে ও পরে যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা কিভাবে “এই বংশের” সম্মুখীন হন?

১৫ গালীল পরিচর্যার শেষের দিকে যীশু, জনতা ও তাঁর শিষ্যদের কাছে ডাকেন ও বলেন: “যে কেহ এই কালের [“এই বংশের,” NW] ব্যভিচারী ও পাপিষ্ঠ লোকদের মধ্যে আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মনুষ্যপুত্ত্র তাহাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করিবেন।” (মার্ক ৮:৩৪, ৩৮) অতএব, সেই সময়ের অনুতাপহীন যিহূদীদের দলকে নিয়েই গঠিত হয়েছিল “এই বংশের ব্যভিচারী ও পাপিষ্ঠ লোক।” যীশুর রূপান্তরিত হওয়ার কিছুদিন পর, যীশু ও তাঁর শিষ্যেরা ‘লোকসমূহের নিকটে আসেন’ এবং একজন ব্যক্তি তার পুত্রসন্তানকে আরোগ্য করে তোলার জন্য তাঁর কাছে আসে। যীশু তখন মন্তব্য করেন: “হে অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ, আমি কত কাল তোমাদের সঙ্গে থাকিব? কত কাল তোমাদের প্রতি সহিষ্ণুতা করিব?”—মথি ১৭:১৪-১৭; লূক ৯:৩৭-৪১.

১৬. (ক) যিহূদায় “লোকসমূহ” সম্বন্ধে কোন্‌ তিরস্কারের কথা যীশু আবার বলেন? (খ) কিভাবে ‘এই বংশ’ সবচাইতে জঘন্য অপরাধ করে?

১৬ খুব সম্ভবত যিহূদাতে, সা.শ. ৩২ সালে কুটির পর্ব শেষ হওয়ার পর যখন যীশুর চারপাশে “অনেক লোকের সমাগম” হয়, তখন তিনি আবার তাদের প্রতি তিরস্কার করে বলেন “এই কালের [“এই বংশের,” NW] লোকেরা দুষ্ট, ইহারা চিহ্নের অন্বেষণ করে, কিন্তু যোনার চিহ্ন ছাড়া আর কোন চিহ্ন তাহাদিগকে দেওয়া যাইবে না।” (লূক ১১:২৯) পরিশেষে, ধর্মীয় নেতারা যখন যীশুকে বিচারের সামনে উপস্থিত করে তখন পীলাত তাঁকে ছেড়ে দিতে চান। রেকর্ডটি জানায়: “প্রধান যাজকেরা ও প্রাচীনবর্গ লোকসমূহকে প্রবৃত্তি দিল, যেন তাহারা বারাব্বাকে চাহিয়া লয় ও যীশুকে সংহার করে। . . . পীলাত তাহাদিগকে বলিলেন, তবে যীশু, যাহাকে খ্রীষ্ট বলে, তাহাকে কি করিব? তাহারা সকলে কহিল, উহাকে ক্রুশে দেওয়া হউক। তিনি কহিলেন, কেন? সে কি অপরাধ করিয়াছে? কিন্তু তাহারা আরও চেঁচাইয়া বলিল, উহাকে ক্রুশে দেওয়া হউক।” সেই “দুষ্ট বংশ” যীশুকে হত্যা করার দাবি জানিয়েছিল!—মথি ২৭:২০-২৫.

১৭. “এই কুটিল বংশের” কিছু লোক কিভাবে পঞ্চাশত্তমীতে পিতরের প্রচারের প্রতি সাড়া দিয়েছিল?

১৭ ধর্মীয় নেতাদের দ্বারা প্ররোচিত এই “অবিশ্বাসী ও বিপথগামী বংশ,” প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মৃত্যু ঘটানোর ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সা.শ. ৩৩ সালের পঞ্চাশত্তমীর পঞ্চাশ দিন বাদে, শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা পান এবং বিভিন্ন ভাষায় কথা বলতে থাকেন। সেই ধ্বনি শুনে “অনেক লোক সমাগত হইল,” আর প্রেরিত পিতর তাদের “হে যিহূদি লোকেরা, হে যিরূশালেম নিবাসী সকলে” বলে সম্বোধন করে এই উক্তি করেন: “সেই ব্যক্তি [যীশু] . . . তোমরা তাঁহাকে অধর্ম্মীদের হস্ত দ্বারা ক্রুশে দিয়া বধ করিয়াছিলে।” কিছু শ্রোতারা কিধরনের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? “তাহাদের হৃদয়ে যেন শেল-বিদ্ধ হইল।” এরপর পিতর তাদের অনুতপ্ত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি “সাক্ষ্য দিলেন, ও তাহাদিগকে উপদেশ দিয়া কহিলেন, এই কালের [“এই বংশের,” NW] কুটিল লোকদের হইতে আপনাদিগকে রক্ষা কর।” এর প্রতি সাড়া দিয়ে প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি “তাঁহার কথা গ্রাহ্য করিল, তাহারা বাপ্তাইজিত হইল।”—প্রেরিত ২:৬, ১৪, ২৩, ৩৭, ৪০, ৪১.

“এই বংশের” শনাক্তিকরণ

১৮. ‘এই বংশ’ অভিব্যক্তিটিকে যীশু সঙ্গতিপূর্ণভাবে কার প্রতি প্রয়োগ করেন?

১৮ তাহলে, সেই ‘বংশ’-টি কী যা যীশু তাঁর শিষ্যদের উপস্থিতিতে প্রায়ই উল্লেখ করেছেন? তাঁর এই বাক্যের দ্বারা তারা কী বুঝেছিল: “এই বংশের লোকদের লোপ হইবে না, যে পর্য্যন্ত না এ সমস্ত সিদ্ধ হয়?” অবশ্যই, এখানে যীশু ‘এই বংশ’ সম্বন্ধীয় অভিব্যক্তিটির প্রতিষ্ঠিত ব্যবহারের থেকে সরে যাননি, যা তিনি সঙ্গতিপূর্ণভাবে প্রয়োগ করেছেন তৎকালীন জনসমূহ ও তাদের “অন্ধ পথদর্শক”-দের প্রতি, যাদের নিয়ে যিহূদী জাতি গঠিত হয়েছিল। (মথি ১৫:১৪) ‘এই বংশ’ সমস্ত বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় যা যীশু ভাববাণী করেছিলেন এবং তারপর যিরূশালেমে আসা অদ্বিতীয় “মহাক্লেশ” এর দ্বারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়।—মথি ২৪:২১, ৩৪.

১৯. কখন ও কিভাবে যিহূদী ব্যবস্থার “আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী” নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়?

১৯ প্রথম শতাব্দীতে, যিহোবা যিহূদী জাতির বিচার করেছিলেন। অনুতপ্ত ব্যক্তিরা, যারা খ্রীষ্টের মাধ্যমে যিহোবার করুণাময় ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস রেখেছিল, তারা “মহাক্লেশ” থেকে রক্ষা পেয়েছিল। ঠিক যেমন যীশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, সমস্ত কিছু ঘটেছিল আর এরপর “আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী” যা ছিল যিহূদী বিধিব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত—অর্থাৎ ধর্মীয় নেতা ও দুষ্ট লোকেদের সমাজব্যবস্থা সমেত সমগ্র জাতিটি—নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল। যিহোবা বিচার এনেছিলেন!—মথি ২৪:৩৫; তুলনা করুন ২ পিতর ৩:৭.

২০. কোন্‌ সময়োপযোগী উপদেশ সমস্ত খ্রীষ্টানদের প্রতি জরুরীভাবে প্রযোজ্য?

২০ যে সব যিহূদীরা যীশুর ভাববাণীমূলক বাক্যের প্রতি কর্ণপাত করেছিল তারা এটা উপলব্ধি করেছিল যে, একটি “বংশের” দীর্ঘতা অথবা নির্দিষ্ট “সময় কি কাল” গণনা করার উপর তাদের পরিত্রাণ নির্ভর করে না, কিন্তু তা নির্ভর করে তৎকালীন দুষ্ট বংশ থেকে আলাদা থাকা ও উদ্যোগের সাথে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার উপর। যদিও যীশুর ভবিষ্যদ্বাণীর শেষ বাক্যগুলি আমাদের দিনের ব্যাপক পরিপূর্ণতার প্রতি প্রযোজ্য, কিন্তু প্রথম-শতাব্দীর যিহূদী খ্রীষ্টানদেরও এই উপদেশ পালন করতে হত: “কিন্তু তোমরা সর্ব্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে ও মনুষ্যপুত্ত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে শক্তিমান্‌ হও।”—লূক ২১:৩২-৩৬; প্রেরিত ১:৬-৮.

২১. অদূর ভবিষ্যতে হঠাৎ কোন্‌ ঘটনা ঘটার আশা আমরা রাখতে পারি?

২১ আজকে, “সদাপ্রভুর মহাদিন নিকটবর্ত্তী, . . . অতি শীঘ্র আসিতেছে।” (সফনিয় ১:১৪-১৮; যিশাইয় ১১:৯, ১৩) হঠাৎ করে, যিহোবার নিজস্ব পূর্বনির্ধারিত “দিনের ও সেই দণ্ডের” সময়ে তিনি জগতের ধর্মীয়, রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থার উপর ও তারই সাথে সমসাময়িক স্বেচ্ছাচারী লোকেদের “দুষ্ট ও ব্যভিচারী বংশের” উপর তাঁর ক্রোধ বর্ষণ করাবেন। (মথি ১২:৩৯, NW; ২৪:৩৬; প্রকাশিত বাক্য ৭:১-৩, ৯, ১৪) আপনি কিভাবে “মহাক্লেশ” থেকে রক্ষা পেতে পারেন? আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধটি এর উত্তর দেবে এবং ভবিষ্যতের এক উত্তম আশা সম্পর্কে জানাবে।

[পাদটীকাগুলো]

a এই ভবিষ্যদ্বাণীর বিশদ বিবরণটি পড়ার জন্য দয়া করে ফেব্রুয়ারি ১, ১৯৯৪, প্রহরীদুর্গ পৃষ্ঠা ২৪, ২৫-এ দেওয়া তালিকাটি দেখুন।

b “সপ্তাহ” ব্যাপী বছর সম্বন্ধে আরও তথ্য পেতে হলে ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল—ঈশ্বরের অথবা মানুষের বাক্য? (ইংরাজি) বইটির ১৩০-২ পৃষ্ঠা দেখুন।

c কিছু বাইবেল মথি ২৪:৩৪ পদে উল্লিখিত হি জিনিয়া ওট শব্দটিকে এইভাবে ব্যাখ্যা করেছে: “এই লোকেরা” (দ্যা হোলি বাইবেল ইন দ্যা ল্যাঙ্গুয়েজ অফ টুডে, [১৯৭৬] ডাব্লিউ. এফ. বেক্‌; “এই জাতি” (দ্যা নিউ টেস্টামেন্ট—অ্যান এক্সপ্যানডেড ট্রানসলেশন [১৯৬১], কে. এস. ওয়েস্ট); “এই লোকেরা” (জিউইস নিউ টেস্টামেন্ট [১৯৭৯] ডি.  এইচ. স্টার্ন)।

d এই অবিশ্বস্ত “লোকসমূহ”-কে অ্যামহারেটস, বা “ভূমির মানুষ” এর সাথে তুলনা করা যাবে না, যাদের সাথে গর্বিত ধর্মীয় নেতারা মেলামেশা করতে অস্বীকার করত, কিন্তু যাদের প্রতি যীশু “করুণাবিষ্ট” হয়েছিলেন।—মথি ৯:৩৬; যোহন ৭:৪৯.

আপনি কিভাব উত্তর দবেন?

◻ দানিয়েল ৯:২৪-২৭ পদের পরিপূর্ণতা থেকে আমরা কী শিখি?

◻ আধুনিক লেক্সিকান বাইবেলে ব্যবহৃত ‘এই বংশ’-কে কিভাবে ব্যাখ্যা করে?

◻ ‘বংশ’ শব্দটিকে যীশু কিভাবে সঙ্গতিপূর্ণভাবে ব্যবহার করেন?

◻ মথি ২৪:৩৪, ৩৫ পদ কিভাবে প্রথম শতাব্দীতে পরিপূর্ণতা লাভ করেছিল?

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

যীশু ‘এই বংশ’-কে অবাধ্য সন্তানদের সাথে তুলনা করেছিলেন

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

দুষ্ট যিহূদী ব্যবস্থার ওপর বিচার আনার ক্ষণ একমাত্র যিহোবাই আগে থেকে জানতেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার