ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ১৫-২০
  • এই শেষ কালে একতা রক্ষা করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এই শেষ কালে একতা রক্ষা করুন
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ঐশিক ইচ্ছার প্রতি বশ্যতাস্বীকার করুন
  • সত্যের প্রতি অনুরক্ত হোন
  • জিহ্বাকে যথার্থরূপে ব্যবহার করুন
  • ক্ষমাশীল হোন!
  • একতা ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত
  • সর্বদা খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করুন
  • যিহোবার পরিবার মহামূল্যবান একতা উপভোগ করে
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • খ্রিস্টীয় একতা ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করে
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • একতা সত্য উপাসনাকে শনাক্ত করে
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রকৃত খ্রিস্টীয় একতা—কীভাবে?
    ২০০৩ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ১৫-২০

এই শেষ কালে একতা রক্ষা করুন

“সুসমাচারের যোগ্যরূপে . . . আচরণ কর; . . . এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ।”—ফিলিপীয় ১:২৭.

১. যিহোবার সাক্ষীদের ও জগতের মধ্যে কী পার্থক্য বর্তমান?

এটাই হল ‘শেষ কাল।’ প্রশ্নাতীতভাবে “বিষম সময় যার মোকাবিলা করা কঠিন” (NW) তা এখনই উপস্থিত। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) এই ‘শেষ কালে’ এর অশান্ত মানব সমাজের চরম বিপরীতে যিহোবার সাক্ষীরা তাদের শান্তি ও একতার কারণে উল্লেখযোগ্য। (দানিয়েল ১২:৪) যিহোবার উপাসকদের পৃথিবীব্যাপী পরিবারের অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তিকে কিন্তু এই একতা রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করার প্রয়োজন হয়।

২. একতা রক্ষা করা সম্বন্ধে পৌল কী বলেছিলেন আর কোন্‌ প্রশ্ন আমরা বিবেচনা করব?

২ প্রেরিত পৌল সহ-খ্রীষ্টানদের একতা রক্ষা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “খ্রীষ্টের সুসমাচারের যোগ্যরূপে তাঁহার প্রজাদের মত আচরণ কর; আমি আসিয়া তোমাদিগকে দেখি, কি অনুপস্থিত থাকি, আমি যেন তোমাদের বিষয়ে শুনিতে পাই যে, তোমরা এক আত্মাতে স্থির আছ, এক প্রাণে সুসমাচারের বিশ্বাসের পক্ষে মল্লযুদ্ধ করিতেছ; এবং কোন বিষয়ে বিপক্ষগণ কর্ত্তৃক ত্রাসযুক্ত হইতেছ না; তাহা উহাদের জন্য বিনাশের, কিন্তু তোমাদের পরিত্রাণের প্রমাণ, আর ত্রটি ঈশ্বরদত্ত।” (ফিলিপীয় ১:২৭, ২৮) পৌলের বাক্যগুলি স্পষ্টভাবে দেখায় যে খ্রীষ্টান হিসাবে আমরা অবশ্যই একসাথে কাজ করব। সুতরাং, কী আমাদের এই সঙ্কটপূর্ণ সময়ে খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করতে সাহায্য করবে?

ঐশিক ইচ্ছার প্রতি বশ্যতাস্বীকার করুন

৩. কখন ও কিভাবে প্রথম অছিন্নত্বক্‌ পরজাতীয়রা খ্রীষ্টের অনুগামী হয়েছিল?

৩ একতা রক্ষা করার একটি উপায় হচ্ছে সর্বসময়ে ঐশিক ইচ্ছার প্রতি বশ্যতাস্বীকার করা। এর জন্য হয়ত আমাদের চিন্তাধারায় কিছু সমন্বয়ের প্রয়োজন হতে পারে। যীশু খ্রীষ্টের প্রাথমিক যিহূদী শিষ্যদের কথা বিবেচনা করুন। যখন প্রেরিত পিতর সা.শ. ৩৬ সালে অছিন্ন্‌ত্বক পরজাতীয়দের কাছে প্রথম প্রচার করেছিলেন, ঈশ্বর এই লোকেদের উপর পবিত্র আত্মা প্রদান করেছিলেন এবং তারা বাপ্তিস্মিত হয়েছিল। (প্রেরিত, ১০ অধ্যায়) তখন পর্যন্ত, কেবলমাত্র যিহূদী, যিহূদী ধর্মে ধর্মান্তরিত এবং শমরিয়রা যীশু খ্রীষ্টের অনুগামী হয়েছিল।—প্রেরিত ৮:৪-৮, ২৬-৩৮.

৪. কর্ণীলিয় সম্বন্ধে কী ঘটেছিল সেবিষয়ে ব্যাখ্যা করার পর পিতর কী বলেছিলেন আর যীশুর যিহূদী শিষ্যদের জন্য তা কোন্‌ পরীক্ষা নিয়ে এসেছিল?

৪ যখন যিরূশালেমে প্রেরিতেরা ও অন্যান্য ভাইয়েরা কর্ণীলিয় ও অন্যান্য পরজাতীয়দের ধর্মান্তরিতকরণ সম্বন্ধে জেনেছিলেন, তারা পিতরের কাছ থেকে বিবরণ শুনবার জন্য আগ্রহী হয়েছিলেন। কর্ণীলিয় ও অন্যান্য বিশ্বাসকারী পরজাতীয়দের ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল তা ব্যাখ্যা করার পর প্রেরিত এই বাক্যগুলি দ্বারা উপসংহার করেছিলেন: “অতএব, তাঁহারা প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাসী হইলে পর, যেমন আমাদিগকে [যিহূদীদের], তেমনি যখন তাঁহাদিগকেও [ওই বিশ্বাসকারী পরজাতীয়দের] ঈশ্বর সমান বর [পবিত্র আত্মা] দান করিলেন, তখন আমি কে যে ঈশ্বরকে নিবারণ করিতে পারি?” (প্রেরিত ১১:১-১৭) এটি যীশু খ্রীষ্টের যিহূদী অনুগামীদের জন্য এক পরীক্ষা নিয়ে এসেছিল। তারা কি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি বশীভূত হবে এবং এই বিশ্বাসকারী পরজাতীয়দের তাদের সহ-উপাসক হিসাবে গ্রহণ করবে? অথবা যিহোবার পার্থিব সেবকদের একতা বিপদগ্রস্ত হবে?

৫. ঈশ্বর পরজাতীয়দের অনুতাপ অনুমোদন করেছেন এই বিষয়ে কিভাবে প্রেরিতেরা ও অন্যান্য ভাইয়েরা সাড়া দিয়েছিল আর এই মনোভাব থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

৫ বিবরণ জানায়: “এই সকল শুনিয়া তাঁহারা [প্রেরিতেরা ও অন্যান্য ভাইয়েরা] চুপ করিয়া রহিলেন, এবং ঈশ্বরের গৌরব করিলেন, কহিলেন, তবে ত ঈশ্বর পরজাতীয় লোকদিগকেও জীবনার্থক মনপরিবর্ত্তন দান করিয়াছেন।” (প্রেরিত ১১:১৮) এই মনোভাব যীশুর অনুগামীদের একতাকে রক্ষা ও বৃদ্ধি করেছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রচার কাজ পরজাতীয়দের অথবা বিভিন্ন জাতির লোকেদের মধ্যে প্রসারিত হয়েছিল আর এইপ্রকার কাজে যিহোবার আশীর্বাদ ছিল। নতুন মণ্ডলী গঠন অথবা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার পরিচালনার অধীনে কোন ঐশিক সমন্বয় সাধন সংক্রান্ত বিষয়ে যখন আমাদের সহযোগিতা চাওয়া হয় তখন আমাদেরও মৌন সম্মতি জানান উচিত। আমাদের পূর্ণ-হৃদয়ের সহযোগিতা যিহোবাকে সন্তুষ্ট করবে এবং এই শেষের দিনগুলিতে আমাদের একতা রক্ষা করতে সাহায্য করবে।

সত্যের প্রতি অনুরক্ত হোন

৬. যিহোবার উপাসকদের একতায় সত্যের কী প্রভাব আছে?

৬ যিহোবার উপাসকদের পরিবারের অংশ হওয়ায়, আমরা একতা রক্ষা করি কারণ আমরা সকলে “যিহোবার কাছে শিক্ষা পাই” এবং তাঁর প্রকাশিত সত্যকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখি। (যোহন ৬:৪৫, NW; গীতসংহিতা ৪৩:৩) যেহেতু আমাদের শিক্ষা ঈশ্বরের বাক্য ভিত্তিক, আমরা সকলে সমরূপ কথা বলে থাকি। “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস” এর মাধ্যমে যিহোবার দ্বারা প্রাপ্ত আধ্যাত্মিক খাদ্য আমরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করি। (মথি ২৪:৪৫-৪৭) পৃথিবীব্যাপী আমাদের একতা রক্ষা করতে এইপ্রকার সমরূপ শিক্ষা আমাদের সহায়তা করে থাকে।

৭. যদি কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আমাদের ব্যক্তিগতভাবে বোধগম্যতায় অসুবিধা থাকে, আমাদের কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়?

৭ কী হতে পারে যদি আমাদের ব্যক্তিগতভাবে কোন নির্দিষ্ট শিক্ষা সম্বন্ধে বুঝতে অথবা তা গ্রহণ করতে অসুবিধা হয়? আমাদের প্রজ্ঞার জন্য প্রার্থনা করা এবং শাস্ত্র ও খ্রীষ্টীয় প্রকাশনা গবেষণা করা উচিত। (হিতোপদেশ ২:৪, ৫; যাকোব ১:৫-৮) এক প্রাচীনের সাথে আলোচনাও হয়ত সাহায্যকারী হতে পারে। যদি বিষয়টি তবুও বোঝা না যায়, বিষয়টিকে উপেক্ষা করা উত্তম হতে পারে। সম্ভবত এই বিষয়ে আরও তথ্য প্রকাশিত হবে আর তখন আমাদের বোধগম্যতা প্রসারিত হতে পারবে। কিন্তু, এটি ভুল হবে যে, আমাদের নিজস্ব বিপথগামী মতামতকে মণ্ডলীর অন্যান্যদের গ্রহণ করতে চালিত করা। এটি মতভেদ সৃষ্টির সূচনা করবে, কিন্তু একতা রক্ষার পক্ষে কাজ করবে না। তাই এটি কতই না উত্তম ‘সত্যে চলা’ এবং অন্যদেরও সেইমত করতে উৎসাহিত করা!—৩ যোহন ৪.

৮. সত্যের প্রতি কোন্‌ মনোভাব রাখা উপযুক্ত?

৮ প্রথম শতাব্দীতে, পৌল বলেছিলেন: “এখন আমরা দর্পণে অস্পষ্ট দেখিতেছি, কিন্তু তৎকালে সম্মুখাসম্মুখি হইয়া দেখিব; এখন আমি কতক অংশে জানিতে পাই, কিন্তু তৎকালে আমি আপনি যেমন পরিচিত হইয়াছি, তেমনি পরিচয় পাইব।” (১ করিন্থীয় ১৩:১২) যদিও প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা সমস্ত বিস্তারিতভাবে দেখেননি, তবুও তারা ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। এখন আমাদের যিহোবার উদ্দেশ্য ও তাঁর সত্যের বাক্য সম্পর্কে আরও অনেক বেশি স্পষ্ট বোধগম্যতা আছে। তাই আসুন আমরা কৃতজ্ঞ হই সেই সত্যের জন্য যা আমরা পেয়েছি ‘বিশ্বস্ত দাস’ এর মাধ্যমে। আর আসুন আমরা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি যে যিহোবা তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে আমাদের পরিচালনা দিয়েছেন। যদিও আমাদের সর্বদা সমপরিমাণ জ্ঞান ছিল না, তবুও আমরা আধ্যাত্মিকভাবে ক্ষুধিত বা তৃষিত হইনি। পরিবর্তে, আমাদের পালক যিহোবা আমাদের একতায় রেখেছিলেন ও আমাদের জন্য উত্তম যত্ন নিয়ে এসেছেন।—গীতসংহিতা ২৩:১-৩.

জিহ্বাকে যথার্থরূপে ব্যবহার করুন

৯. একতাকে বৃদ্ধি করতে কিভাবে জিহ্বা ব্যবহৃত হতে পারে?

৯ অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য জিহ্বাকে ব্যবহার করা হল একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের মনোভাব বৃদ্ধি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। প্রথম-শতাব্দীতে পরিচালক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রেরিত ত্বকচ্ছেদ সংক্রান্ত প্রশ্নের উপর গৃহীত সিদ্ধান্ত সম্বলিত পত্র উৎসাহের উৎস হয়েছিল। এটি পড়ার পর আন্তিয়খিয়ার পরজাতীয় শিষ্যেরা “সেই আশ্বাসের কথায় আনন্দিত হইল।” যিহূদা ও সীল যাদের যিরূশালেম থেকে পত্রসহ পাঠান হয়েছিল তারাও “অনেক কথা দ্বারা ভ্রাতৃগণকে আশ্বাস দিলেন ও সুস্থির করিলেন।” নিঃসন্দেহে পৌল ও বার্ণবার উপস্থিতিও আন্তিয়খিয়ার সহ-বিশ্বাসীদের উৎসাহিত ও শক্তিশালী করেছিল। (প্রেরিত ১৫:১-৩, ২৩-৩২) আমরাও একইভাবে আরও বেশি কিছু করতে পারি যখন আমরা খ্রীষ্টীয় সভাগুলির জন্য একত্রিত হই ও আমাদের উপস্থিতি ও গঠনমূলক মন্তব্যগুলির দ্বারা “পরস্পরকে চেতনা দিই।”—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫.

১০. যদি কটুভাষা ব্যবহার করা হয়, তবে একতা রক্ষা করতে হয়ত কী করতে হতে পারে?

১০ যাইহোক, ভুলভাবে জিহ্বার ব্যবহার আমাদের একতাকে আঘাত করতে পারে। “জিহ্বাও ক্ষুদ্র অঙ্গ বটে, কিন্তু মহাদর্পের কথা কহে,” শিষ্য যাকোব লিখেছিলেন। “দেখ, কেমন অল্প অগ্নি কেমন বৃহৎ বন প্রজ্বলিত করে!” (যাকোব ৩:৫) যিহোবা তাদের ঘৃণা করেন যারা বিবাদের কারণস্বরূপ হয়। (হিতোপদেশ ৬:১৬-১৯) এইপ্রকার কথা অনৈক্যের কারণ হয়। যদি কটুভাষা ব্যবহার করা হয় অর্থাৎ কোন ব্যক্তিকে গালিগালাজ করা বা তাকে অপমানকর কথা দ্বারা দমন করা হয়, তাহলে কী? প্রাচীনেরা সেই অন্যায়কারীকে সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু, এক অনুতাপহীন কটুভাষীর সমাজচ্যুত হওয়া উচিত যাতে মণ্ডলীর শান্তি, শৃঙ্খলা এবং একতা রক্ষা করা যেতে পারে। সর্বোপরি, পৌল লিখেছিলেন: “ভ্রাতা নামে আখ্যাত কোন ব্যক্তি যদি . . . কটুভাষী . . . হয়, এমন ব্যক্তির সহিত আহার করিতেও নাই।”—১ করিন্থীয় ৫:১১.

১১. আমাদের এমন কিছু বলার দরুন যখন তা আমাদের ও কোন সহ-বিশ্বাসীর মধ্যে উদ্বেগের কারণস্বরূপ হয় সেই ক্ষেত্রে নম্রতা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১১ জিহ্বার নিয়ন্ত্রণ আমাদের একতা রক্ষা করতে সাহায্য করে। (যাকোব ৩:১০-১৮) কিন্তু মনে করুন এমন কিছু হয়ত আমরা বলেছি যা আমাদের ও এক সহখ্রীষ্টানের মধ্যে উদ্বিগ্নতার কারণস্বরূপ হয়েছে। এটি কী উপযুক্ত নয় যে আমাদের ভাইয়ের সাথে শান্তি স্থাপন করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া, যদি প্রয়োজন হয় দোষ স্বীকার করে? (মথি ৫:২৩, ২৪) সত্য, এর জন্য নম্রতা অথবা মৃদুতার প্রয়োজন আছে, কিন্তু পিতর লিখেছিলেন: “তোমরা সকলেই এক জন অন্যের সেবার্থে নম্রতায় কটিবন্ধন কর, কেননা ‘ঈশ্বর অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, কিন্তু নম্রদিগকে অনুগ্রহ প্রদান করেন।’” (১ পিতর ৫:৫) আমাদের ভুল মেনে নিয়ে ও উপযুক্তভাবে অপরাধ স্বীকার করে, নম্রতা আমাদের ভাইয়েদের সাথে ‘শান্তির অনুধাবন’ করতে পরিচালিত করে। এটি যিহোবার পরিবারে একতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।—১ পিতর ৩:১০, ১১.

১২. কিভাবে আমরা আমাদের জিহ্বাকে যিহোবার লোকেদের মধ্যে একতা বৃদ্ধি ও রক্ষা করার জন্য ব্যবহার করতে পারি?

১২ যিহোবার সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত সকলের সাথে আমরা পারিবারিক মনোভাব বৃদ্ধি করতে পারি যদি আমরা আমাদের জিহ্বাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি। যেহেতু পৌল তাই করেছিলেন, তিনি থিষলনীকীয়দের স্মরণ করিয়ে দিতে পেরেছিলেন: “তোমরা ত জান, পিতা যেমন আপন সন্তানদিগকে, তেমনি আমরা তোমাদের প্রত্যেক জনকে আশ্বাস দিতাম, সান্ত্বনা করিতাম, ও দৃঢ়রূপে আদেশ দিতাম, যেন তোমরা ঈশ্বরের যোগ্য রূপে চল।” (১ থিষলনীকীয় ২:১১, ১২) এই সম্বন্ধে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করে পৌল সহ-বিশ্বাসীদের উৎসাহিত করেছিলেন এই বলে “ক্ষীণসাহসদিগকে সান্ত্বনা কর।” (১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) চিন্তা করুন, আমাদের জিহ্বাকে সান্ত্বনা, উৎসাহ ও অন্যদের গেঁথে তোলার কাজে ব্যবহার করার দ্বারা কত বেশি উত্তমই না আমরা করতে পারি। হ্যাঁ, “যথাকালে কথিত বাক্য কেমন উত্তম।” (হিতোপদেশ ১৫:২৩) আরও এইপ্রকার কথা যিহোবার লোকেদের একতার উন্নতি ঘটাতে ও তা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ক্ষমাশীল হোন!

১৩. কেন আমাদের ক্ষমাশীল হওয়া উচিত?

১৩ খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করতে চাইলে অপরাধ স্বীকারকারী এক দোষী ব্যক্তিকে ক্ষমা করা অত্যন্ত জরুরি। আর কতবার আমাদের ক্ষমা করা উচিত? যীশু পিতরকে বলেছিলেন: “তোমাকে বলিতেছি না, সাত বার পর্য্যন্ত, কিন্তু সত্তর গুণ সাত বার পর্য্যন্ত।” (মথি ১৮:২২) যদি আমরা ক্ষমাশীল না হই, তাহলে আমরা আমাদের নিজস্ব উপকারের বিরুদ্ধে কাজ করছি। সেটি কিভাবে? হ্যাঁ, অসন্তোষ ও বিদ্বেষ পোষণ করা আমাদের মানসিক শান্তিকে হরণ করবে। যদি আমরা নিষ্ঠুর ও ক্ষমাশীল নই হিসাবে পরিচিত হই, তাহলে আমরা আমাদের জন্য নির্বাসন নিয়ে আসব। (হিতোপদেশ ১১:১৭) অসন্তোষ পোষণ করে চলা ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করে ও গুরুতর পাপে পরিচালিত করতে পারে। (লেবীয় পুস্তক ১৯:১৮) স্মরণ করুন যে যোহন বাপ্তাইজকের শিরচ্ছেদ করা হয়েছিল দুষ্ট হেরোদিয়ার পরিকল্পিত চক্রান্তে, যে তার বিরুদ্ধে “বিদ্বেষ পোষণ” করেছিল।—মার্ক ৬:১৯-২৮.

১৪. (ক) ক্ষমা করা সম্বন্ধে মথি ৬:১৪, ১৫ পদ আমাদের কী শিক্ষা দেয়? (খ) কোন ব্যক্তিকে ক্ষমা করার পূর্বে আমরা কি সর্বদা তার অপরাধ স্বীকার করার জন্য অপেক্ষা করব?

১৪ যীশুর আদর্শ প্রার্থনা এই বাক্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে: “আমাদের পাপ সকল ক্ষমা কর; কেননা আমরাও আপনাদের প্রত্যেক অপরাধীকে ক্ষমা করি।” (লূক ১১:৪) যদি আমরা ক্ষমাশীল না হই, আমরা সেই ঝুঁকি নেব যে, এমন একদিন আসবে যখন যিহোবা ঈশ্বর আর আমাদের পাপ ক্ষমা করবেন না, কারণ যীশু বলেছিলেন: “তোমরা যদি লোকের অপরাধ ক্ষমা কর, তবে তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তোমাদিগকেও ক্ষমা করিবেন। কিন্তু তোমরা যদি লোকদিগকে ক্ষমা না কর, তবে তোমাদের পিতা তোমাদেরও অপরাধ ক্ষমা করিবেন না।” (মথি ৬:১৪, ১৫) তাই যদি আমরা প্রকৃতই যিহোবার উপাসকদের পরিবারে একতা রক্ষা করতে আমাদের অংশটুকু করতে চাই, তাহলে আমাদের ক্ষমাশীল হতে হবে, সম্ভবত সেই দোষকে একেবারে ভুলে যাওয়া যা হয়ত চিন্তা না করে অথবা কোন মন্দ উদ্দেশ্য ব্যতীতই করা হয়েছে। পৌল বলেছিলেন: “পরস্পর সহনশীল হও, এবং যদি কাহাকেও দোষ দিবার কারণ থাকে, তবে পরস্পর ক্ষমা কর; প্রভু যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।” (কলসীয় ৩:১৩) যখন আমরা ক্ষমাশীল হই, আমরা যিহোবার সংগঠনের মহামূল্য একতাকে রক্ষা করতে সাহায্য করি।

একতা ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত

১৫. ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একতা রক্ষা করতে কী যিহোবার লোকেদের সাহায্য করে?

১৫ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ ও দায়িত্বসহ নৈতিক দিক দিয়ে স্বাধীন ব্যক্তিরূপে ঈশ্বর আমাদের তৈরি করেছিলেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩০:১৯, ২০; গালাতীয় ৬:৫) তবুও, আমরা আমাদের একতা রক্ষা করতে পারি, কারণ আমরা বাইবেলের নিয়ম ও নীতির সাথে সমমত। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময় আমরা সেগুলিকে বিবেচনায় রাখি। (প্রেরিত ৫:২৯; ১ যোহন ৫:৩) মনে করুন নিরপেক্ষতা সম্বন্ধে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। আমরা এক তথ্যমূলক ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারি এই বিষয় স্মরণে রেখে যে আমরা “জগতের নই” এবং আমরা ‘আপন আপন খড়্গ ভাঙ্গিয়া লাঙ্গলের ফাল গড়িব।’ (যোহন ১৭:১৬; যিশাইয় ২:২-৪) অনুরূপভাবে, জাগতিক বিষয়গুলিতে আমাদের “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্ত্তৃপক্ষদের” বশীভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যখন রাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হয় তখন “যাহা যাহা ঈশ্বরের,” ঈশ্বরকে দেওয়া সম্বন্ধে বাইবেল কী বলে আমরা তা বিবেচনা করি। (লূক ২০:২৫; রোমীয় ১৩:১-৭; তীত ৩:১, ২) হ্যাঁ, যখন আমরা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি, সেইক্ষেত্রে বাইবেলের নিয়ম ও নীতিগুলি বিবেচনায় রাখা আমাদের খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করতে সাহায্য করে।

১৬. যখন শাস্ত্রীয় অর্থে সঠিকও নয় অথবা ভুলও নয় এমন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হয় তখন কিভাবে আমরা একতা রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারি? ব্যাখ্যা করুন।

১৬ আমরা খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারি এমনকি যখন আমরা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি এবং যা শাস্ত্রীয়ভাবে সঠিক বা ভুল নয়, সেক্ষেত্রেও। সেটি কিভাবে? যারা আমাদের সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রভাবিত হবে তাদের প্রতি প্রেমপূর্ণ বিবেচনা দেখিয়ে। বিষয়টি এইভাবে ব্যাখ্যা করা যায়: প্রাচীন করিন্থের মণ্ডলীতে প্রতিমার কাছে উৎসর্গীকৃত মাংস সম্বন্ধে এক প্রশ্ন উত্থিত হয়েছিল। অবশ্যই এক খ্রীষ্টান প্রতিমাপূজামূলক উদ্‌যাপনে অংশগ্রহণ করত না। কিন্তু, এটি পাপ ছিল না যে এইপ্রকার উপযুক্তভাবে রক্ত ক্ষরিত মাংসের অংশ যা সাধারণ বাজারে বিক্রি হত তা খাওয়া। (প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯; ১ করিন্থীয় ১০:২৫) তবুও, কিছু খ্রীষ্টানের বিবেক এই মাংস খাওয়ার ব্যাপারে বাধা দিয়েছিল। তাই পৌল অন্যান্য খ্রীষ্টানদের উৎসাহিত করেছিলেন তাদের বিঘ্ন না জন্মাতে। বস্তুতপক্ষে তিনি লিখেছিলেন: “খাদ্য দ্রব্য যদি আমার ভ্রাতার বিঘ্ন জন্মায়, তবে আমি কখনও মাংস ভোজন করিব না, পাছে আমার ভ্রাতার বিঘ্ন জন্মাই।” (১ করিন্থীয় ৮:১৩) সুতরাং যদিও এমনকি বাইবেলের কোন নিয়ম অথবা নীতি জড়িত ছিল না, তবুও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্যদের বিষয় চিন্তা করা কত প্রেমপূর্ণ যা ঈশ্বরের পরিবারের একতাকে প্রভাবিত করতে পারত!

১৭. যখন আমাদের অবশ্যই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় তখন কোন্‌ বিষয়টি পরামর্শজনক?

১৭ যদি কোন্‌ পদক্ষেপ নিতে হবে সেবিষয়ে আমরা নিশ্চিত না থাকি, বিষয়টিকে এইভাবে সমাধান করা বিজ্ঞতার হবে যে যাতে আমাদের পরিষ্কার বিবেক রক্ষিত হয় এবং যাতে অন্যেরা আমাদের সিদ্ধান্তকে মর্যাদা দেয়। (রোমীয় ১৪:১০-১২) অবশ্য যখন আমরা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি, আমাদের প্রার্থনায় যিহোবার নির্দেশনা অন্বেষণ করা উচিত। গীতরচকের মত আমরাও নিশ্চয়তার সাথে প্রার্থনা করতে পারি: “আমার দিকে কর্ণপাত কর; . . . কেননা তুমিই আমার শৈল ও আমার দুর্গ; অতএব তোমার নামের অনুরোধে আমাকে পথ দেখাইয়া গমন করাও।”—গীতসংহিতা ৩১:২, ৩.

সর্বদা খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করুন

১৮. পৌল কিভাবে খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর একতা সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করেছিলেন?

১৮ ১ করিন্থীয় ১২ অধ্যায়ে পৌল খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর একতা ব্যাখ্যা করার জন্য মানব দেহের উদাহরণ ব্যবহার করেছেন। তিনি পরস্পরের উপর নির্ভরতা ও প্রত্যেক অঙ্গের গুরুত্ব সম্বন্ধে জোর দিয়েছিলেন। “নতুবা সমস্তই যদি একটী অঙ্গ হইত, তবে দেহ কোথায় থাকিত?” পৌল জিজ্ঞাসা করেছিলেন। “কিন্তু এখন অঙ্গ অনেক বটে, কিন্তু দেহ এক। আর চক্ষু হস্তকে বলিতে পারে না, তোমাতে আমার প্রয়োজন নাই; আবার মাথাও পা দুখানিকে বলিতে পারে না, তোমাদিগেতে আমার প্রয়োজন নাই।” (১ করিন্থীয় ১২:১৯-২১) অনুরূপভাবে, যিহোবার উপাসকদের পরিবারের অন্তর্ভুক্ত আমরা সকলেই একই কাজ সম্পন্ন করতে পারি না। তবুও, আমরা একতাবদ্ধ এবং আমাদের একজনের অপরকে প্রয়োজন আছে।

১৯. ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক ব্যবস্থাদি থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি এবং এক বয়স্ক ভাই এই সম্বন্ধে কী বলেছিলেন?

১৯ দেহের জন্য যেমন খাদ্য, যত্ন ও নির্দেশনা প্রয়োজনীয় তেমনি আমাদের প্রয়োজন আধ্যাত্মিক সরবরাহের যা ঈশ্বর তাঁর বাক্য, আত্মা ও সংগঠনের মাধ্যমে প্রদান করে থাকেন। এই সরবরাহগুলি থেকে উপকৃত হতে হলে, আমাদের অবশ্যই যিহোবার পার্থিব পরিবারের অংশ হতে হবে। অনেক বছর ঈশ্বরের সেবায় নিযুক্ত থাকার পর এক ভাই লিখেছিলেন: “আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ যে আমি সেই প্রাথমিক দিনগুলি থেকে, ঠিক ১৯১৪ সালের আগের সময়, যখন সমস্ত কিছু এত স্পষ্ট ছিল না, . . . আজকের দিন পর্যন্ত যখন সত্য মধ্যাহ্ন সূর্যের মত দীপ্তিমান, যিহোবার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জ্ঞানসহ জীবন যাপন করেছি। যদি কোন বিষয় আমার কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে, তাহলে সেটি হল যিহোবার দৃশ্য সংগঠনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার বিষয়টি। আমার পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা আমাকে শিখিয়েছিল মানবিক যুক্তির উপর নির্ভর করা কত অনুপযুক্ত। যে মুহূর্তে আমার মন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আমি বিশ্বস্ত সংগঠনের সাথে থাকার বিষয়ে স্থিরসংকল্প করি। আর কিভাবে একজন যিহোবার অনুমোদন ও আশীর্বাদ পেতে পারে?”

২০. যিহোবার লোক হিসাবে আমাদের একতা সম্বন্ধে কী করতে আমাদের দৃঢ়সংকল্প নেওয়া উচিত?

২০ যিহোবা তাঁর লোকেদের জগতের অন্ধকার ও অনৈক্য থেকে আহ্বান করেছেন। (১ পিতর ২:৯) তিনি আমাদের তাঁর সাথে ও সহ-বিশ্বাসীদের সাথে এক আশীর্বাদজনক একতায় নিয়ে এসেছেন। এই একতা নিকটবর্তী নতুন বিধিব্যবস্থায় অবস্থান করবে। এই জটিল শেষ সময়ে তাই আসুন আমরা ক্রমাগতভাবে ‘প্রেম পরিধান করি’ এবং আমাদের মহামূল্য একতার উন্নতি ও রক্ষার জন্য যা আমরা করতে পারি তার সমস্ত কিছু করি।—কলসীয় ৩:১৪.

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ কেন ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করা এবং সত্যে অনুরক্ত থাকা আমাদের ঐক্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে?

◻ কিভাবে ঐক্য জিহ্বার সঠিক ব্যবহারের সাথে সম্পর্কযুক্ত?

◻ ক্ষমাশীল হওয়ার সাথে কী জড়িত আছে?

◻ যখন ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছি তখন কিভাবে আমরা একতা রক্ষা করতে পারি?

◻ কেন খ্রীষ্টীয় একতা রক্ষা করা দরকার?

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঠিক যেমন এই মেষপালক তার পালকে একত্রে রাখে তেমন যিহোবাও তাঁর লোকেদের একতাবদ্ধ রাখেন

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

যখন আমরা অসন্তোষের কারণ হই, তখন নম্রভাবে অপরাধ স্বীকার করে আমরা একতাকে বৃদ্ধি করার জন্য সাহায্য করতে পারি

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার