ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ৫/১ পৃষ্ঠা ৮-১২
  • বাস্তবিকরূপে বাইবেল যা, এটিকে সেইভাবে গ্রহণ করুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বাস্তবিকরূপে বাইবেল যা, এটিকে সেইভাবে গ্রহণ করুন
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • এটি পড়ার ও বোঝার জন্য লিখিত
  • সমাজগৃহে শাস্ত্রপাঠ
  • ব্যক্তিগতভাবে সাড়া দেওয়া ও তা প্রয়োগ করা
  • অধ্যক্ষের স্থানে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব
  • নিয়মিত বাইবেল পাঠ থেকে উপকৃত হওয়া
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেল পড়া—উপকারী ও আনন্দদায়ক
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের বাক্য দৃঢ়রূপে ধরে রাখুন
    একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুন
  • আপনি পাঠে নিবিষ্ট থাকুন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ৫/১ পৃষ্ঠা ৮-১২

বাস্তবিকরূপে বাইবেল যা, এটিকে সেইভাবে গ্রহণ করুন

“আমরাও অবিরত ঈশ্বরের ধন্যবাদ করিতেছি যে, আমাদের কাছে ঈশ্বরের বার্ত্তারূপ বাক্য প্রাপ্ত হইয়া তোমরা মনুষ্যদের বাক্য নয়, কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া তাহা গ্রহণ করিয়াছিলে; তাহা ঈশ্বরের বাক্যই বটে, এবং বিশ্বাসী যে তোমরা, তোমাদের মধ্যে নিজ কার্য্য সাধনও করিতেছে।”—১ থিষলনীকীয় ২:১৩.

১. বাইবেলের অন্তর্ভুক্ত কোন্‌ তথ্য এই বইটিকে বাস্তবিকই অসাধারণ করে তুলেছে?

পবিত্র বাইবেল হল পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে ব্যাপকভাবে অনুবাদিত ও বিস্তৃতরূপে বন্টনপ্রাপ্ত বই। এটি নিঃসন্দেহে সাহিত্যের ক্ষেত্রে এক মহান কীর্তি হিসাবে গৃহীত হয়েছে। কিন্তু, আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে বাইবেল কিছু নির্দেশ দেয় যা প্রতিটি বর্ণ ও জাতির মানুষের জন্য একান্ত প্রয়োজন, তা সে যে কোন কাজই করুক না কেন অথবা জীবনের যে কোন পরিস্থিতির থেকেই আসুক না কেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭) বাইবেল এমনভাবে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে থাকে, যা মন ও হৃদয় উভয়কেই পরিতৃপ্ত করে থাকে যেমন: মানবজীবনের উদ্দেশ্য কী? (আদিপুস্তক ১:২৮; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) আমাদের এই মনুষ্য সরকারগুলি কেন স্থায়ী শান্তি ও নিরাপত্তা আনতে ব্যর্থ হয়েছে? (যিরমিয় ১০:২৩; প্রকাশিত বাক্য ১৩:১, ২) কেন লোকেরা মারা যায়? (আদিপুস্তক ২:১৫-১৭; ৩:১-৬; রোমীয় ৫:১২) এই সংকটপূর্ণ জগতে আমরা কিভাবে সাফল্যের সাথে জীবনের সমস্যাগুলির মোকাবিলা করতে পারি? (গীতসংহিতা ১১৯:১০৫; হিতোপদেশ ৩:৫, ৬) আমাদের জন্য কিধরনের ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে?—দানিয়েল ২:৪৪; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩-৫.

২. কেন বাইবেল আমাদের প্রশ্নগুলির সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য উত্তর দিতে পারে?

২ কেন বাইবেল কর্তৃত্বের সাথে এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেয়? কারণ এটি হল ঈশ্বরের বাক্য। এটিকে লেখার জন্য তিনি মানুষদের ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু ২ তীমথিয় ৩:১৬ পদ, যেমন পরিষ্কারভাবে দেখায়, “ঈশ্বর-নিশ্বসিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি।” এটি মানুষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার ফল নয়। “ভাববাণী [ভাবীবিষয় সম্বন্ধে ঘোষণা, ঐশিক নির্দেশাবলি, বাইবেলের নৈতিক মান] কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।”—২ পিতর ১:২১.

৩. (ক) বিভিন্ন দেশের লোকেরা বাইবেলকে কতখানি সম্মান করে তার কিছু উদাহরণ দিন। (খ) শাস্ত্র পড়ার জন্য কেন কিছু ব্যক্তি বিশেষেরা তাদের জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছিল?

৩ বাইবেলের মূল্যকে উপলব্ধি করার পর সেটিকে নিজের কাছে রাখতে ও তা পড়ার জন্য অনেক ব্যক্তি কারাগার, এমনকি মৃত্যুর ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছে। কিছু বছর আগে এটি বিশেষভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছিল ক্যাথলিক স্পেনে, যেখানে যাজকেরা ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে লোকেরা যদি তাদের নিজেদের ভাষায় বাইবেল পড়ে তাহলে তাদের যে প্রভাব তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে; অ্যালবেনিয়ার ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য ছিল, যেখানে নাস্তিকবাদ শাসনের অধীনে সমস্ত ধর্মীয় প্রভাবকে মুছে ফেলার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। তবুও, ঈশ্বর-ভীরু ব্যক্তি বিশেষেরা শাস্ত্রের প্রতিলিপিগুলি যত্ন করে রেখে দিত, সেগুলিকে পড়ত এবং একে অপরের সাথে তা আলোচনা করত। ২ বিশ্বযুদ্ধের সময়, স্যাকসেনহাউসেনের কনসেনট্রশন শিবিরে খুব সন্তর্পণে একটি সেলের থেকে আরেকটি সেলে বাইবেল পাচার করা হত (যদিও তা করা নিষিদ্ধ ছিল) এবং যারা এটি পেত তারা এর কিছু অংশ কন্ঠস্থ করে রাখতো অপরের সাথে তা আলোচনা করার জন্য। ১৯৫০ এর দশকে, পশ্চিম জার্মানি যখন গণতন্ত্রের অধীনস্থ ছিল তখন যিহোবার সাক্ষীরা যারা তাদের বিশ্বাসের জন্য কারাবরণ করেছিল, তারা এমনকি নির্জন কারাবাস দণ্ডে থাকার ঝুঁকি পর্যন্ত নিয়েছিল যখন তারা বাইবেলের একটি ছোট অংশ এক কয়েদির থেকে আরেক কয়েদির কাছে পাচার করত, যাতে করে তা রাত্রি বেলায় পড়া যেতে পারে। কেন তারা তা করেছিল? কারণ তারা উপলব্ধি করেছিল যে বাইবেল হল ঈশ্বরের বাক্য, এবং তারা জানত যে “কেবল রুটীতে . . . না,” কিন্তু “সদাপ্রভুর মুখ হইতে যাহা যাহা নির্গত হয়, তাহাতেই মনুষ্য বাঁচে।” (দ্বিতীয় বিবরণ ৮:৩) এই অভিব্যক্তিগুলি, যা বাইবেলের মধ্যে লিপিবদ্ধ করা ছিল, তা সাক্ষীদের সাহায্য করেছিল অবিশ্বসনীয় তাড়নার মাঝেও আধ্যাত্মিকভাবে সজাগ থাকতে।

৪. আমাদের জীবনে বাইবেলের কোন্‌ স্থান নেওয়া উচিত?

৪ বাইবেল এমন একটা বই নয় যাকে শুধু আলমারির তাকে রেখে দেওয়া যায় এবং মাঝেমধ্যে তা পড়তে হয় অথবা এটি এমন ধরনের বই নয় যা কেবলমাত্র যখন সহবিশ্বাসীরা উপাসনার জন্য মিলিত হয়, তখনই তা ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রত্যেকদিন এটিকে ব্যবহার করা উচিত যাতে করে যে পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা হচ্ছি, তার উপর যেন এটি আলোকপাত করতে পারে এবং চলার জন্য আমাদের সঠিক পথ দেখাতে পারে।—গীতসংহিতা ২৫:৪, ৫.

এটি পড়ার ও বোঝার জন্য লিখিত

৫. (ক) যদি আদৌ সম্ভব হয় তাহলে আমাদের প্রত্যেকের কাছে কী থাকা উচিত? (খ) প্রাচীন ইস্রায়েলে, লোকেরা কিভাবে বুঝতে পারত যে শাস্ত্রের মধ্যে কী আছে? (গ) গীতসংহিতা ১৯:৭-১১ পদ কিভাবে বাইবেল পাঠের প্রতি আপনার মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে?

৫ আমাদের দিনে, অধিকাংশ দেশে বাইবেল পাওয়া যায় এবং আমরা প্রহরীদুর্গ এর প্রতিটি পাঠকদের উৎসাহ দিচ্ছি এর একটি কপি নিজেদের কাছে রাখতে। যখন বাইবেল লেখা হয়েছিল, তখন কোন ছাপার কল ছিল না। সাধারণত লোকেদের নিজস্ব কোন কপি ছিল না। কিন্তু যিহোবা এমন ব্যবস্থা করেছেন যাতে করে তাঁর দাসেরা, যা লেখা আছে তা শুনতে পায়। তাই, যিহোবার পরিচালনায় মোশির দ্বারা লিখিত বাক্য শেষ হয়ে যাওয়ার পর যাত্রাপুস্তক ২৪:৭ পদ জানায় যে তিনি “নিয়মপুস্তকখানি লইয়া লোকদের কর্ণগোচরে পাঠ করিলেন।” সিনয় পর্বতে অলৌকিক ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করার পর, তারা বুঝতে পেরেছিল যে মোশি তাদের কাছে যা পাঠ করে শুনিয়েছেন, তা ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা এবং তাদের এই তথ্যগুলি সম্বন্ধে জানার প্রয়োজন ছিল। (যাত্রাপুস্তক ১৯:৯, ১৬-১৯; ২০:২২) ঈশ্বরের বাক্যে যা লিপিবদ্ধ করা আছে আমাদেরও তা জানা দরকার।—গীতসংহিতা ১৯:৭-১১.

৬. (ক) ইস্রায়েল জাতি প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার আগে মোশি কী করেছিলেন? (খ) মোশির উদাহরণকে আমরা কিভাবে অনুকরণ করতে পারি?

৬ প্রান্তরে সেই যাযাবরের জীবন পিছনে ফেলে রেখে ইস্রায়েল জাতি যখন যর্দন নদী পার হয়ে প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, তখন যিহোবার নিয়ম ও তাদের সাথে তাঁর আচরণ সম্বন্ধে পর্যালোচনা করা ছিল খুবই যথাযথ। ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে মোশি তাদের সাথে নিয়মগুলি পুনরালোচনা করেন। তিনি তাদের নিয়মের সূক্ষ্ম বিষয়গুলিকে মনে করিয়ে দেন, আর এর পিছনে যে নীতি ও মনোভাব রয়েছে যা যিহোবার সাথে তাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে, সেই বিষয়গুলির উপর আলোকপাত করেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ৪:৯, ৩৫; ৭:৭, ৮; ৮:১০-১৪; ১০:১২, ১৩) যখন আজকে আমরা কোন নতুন কাজ হাতে নিই অথবা জীবনে কোন নতুন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, তখন আমরাও ভাল করব যদি আমরা বিবেচনা করি যে যা আমরা করব তার উপর শাস্ত্রের উপদেশ কিভাবে প্রভাব ফেলবে।

৭. ইস্রায়েলীয়রা যর্দন নদী পার হওয়ার কিছুদিন পরেই তাদের মনে ও হৃদয়ে যিহোবার নিয়ম গেঁথে তোলার জন্য কী করা হয়?

৭ ইস্রায়েলীয়রা যর্দন নদী পার হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পরেই, লোকেরা আবার মোশির মাধ্যমে যিহোবা যা তাদের বলেছিলেন তা পুনরায় আলোচনা করার জন্য একত্রিত হয়। এই জাতিটি একত্রিত হয় যিরূশালেমের ৫০ কিলোমিটার উত্তরে। এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যা এবল পর্বতের আর বাদবাকি গরিষীম পর্বতের সামনে মিলিত হয়েছিল। সেখানে যিহোশূয় “ব্যবস্থার সমস্ত কথা, আশীর্ব্বাদের ও শাপের কথা পাঠ করিলেন।” এর ফলে, পুরুষেরা, স্ত্রীলোকেরা এবং শিশুরা আর তাদের সাথে বিদেশীরা সময়োপযুক্ত নিয়মগুলির কথা পুনরায় শোনে যেগুলি তাদের আচরণকে পরিচালনা করবে, যার পরিণাম দাঁড়াবে যিহোবার অনুমোদন হারানো ও আশীর্বাদ যা তারা অর্জন করতে পারবে যদি তারা যিহোবার বাধ্য থাকে। (যিহোশূয়ের পুস্তক ৮:৩৪, ৩৫) যিহোবার দৃষ্টিভঙ্গিতে কোন্‌টা ভাল আর কোন্‌টা মন্দ সে সম্বন্ধে তাদের মনে একটা পরিষ্কার ধারণা থাকা দরকার ছিল। এছাড়াও, আজকে আমাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য তাদেরও প্রয়োজন ছিল উত্তমের প্রতি প্রেম ও মন্দতার প্রতি ঘৃণা হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে রাখা।—গীতসংহিতা ৯৭:১০; ১১৯:১০৩, ১০৪; আমোষ ৫:১৫.

৮. ইস্রায়েলের কয়েকটি জাতীয় সম্মেলনে কিছুদিন অন্তর-অন্তর ঈশ্বরের বাক্য পড়ার মধ্যে কী উপকার ছিল?

৮ ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানগুলিতে নিয়ম পাঠ ছাড়াও নিয়মিতভাবে ঈশ্বরের বাক্য পড়ার ব্যবস্থা ছিল যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে দ্বিতীয় বিবরণ ৩১:১০-১২ পদে। প্রতি সপ্তম বছরে সমগ্র জাতিকে একত্রিত হতে হত ঈশ্বরের বাক্যের পাঠকে শ্রবণ করার জন্য। এটা তাদের এক আধ্যাত্মিক খাদ্য যুগিয়ে ছিল। এটি তাদের মন ও হৃদয়ে বংশ সম্বন্ধীয় প্রতিজ্ঞাকে জাগ্রত রাখত এবং এইভাবে এটি বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের মশীহের দিকে পরিচালিত করত। ইস্রায়েলীয়রা যখন প্রান্তরে ছিল তখন যে আধ্যাত্মিক খাদ্য সরবরাহ করা শুরু হয়েছিল তা তারা প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার পরেও শেষ হয়ে যায়নি। (১ করিন্থীয় ১০:৩, ৪) বরঞ্চ, ভাববাদীদের কাছে আরও প্রকাশপ্রাপ্তির দ্বারা ঈশ্বরের বাক্য সুসমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল।

৯. (ক) কেবলমাত্র তখনই কি ইস্রায়েলীয়রা শাস্ত্র পাঠ করত যখন তারা একটি বড় দল হিসাবে একত্রে মিলিত হত? ব্যাখ্যা করুন। (খ) ব্যক্তিগত পরিবারগুলির মধ্যে কিভাবে শাস্ত্রীয় উপদেশ দেওয়া হত এবং এর পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল?

৯ কেবলমাত্র যখন লোকেরা এক বিরাট দলে মিলিত হয় তখনই শুধু ঈশ্বরের বাক্যের উপদেশকে পর্যালোচনা করা উচিত নয়। প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্যের কিছু অংশ এবং তার অন্তর্নিহিত অর্থটিকে বিবেচনা করা উচিত। (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৪-৯) আজকে অধিকাংশ স্থানে, অল্পবয়সীদের পক্ষে বাইবেলের একটি ব্যক্তিগত কপি অর্জন করা সম্ভব এবং এটি তাদের জন্য খুবই উপকারজনক হতে পারে। কিন্তু প্রাচীন ইস্রায়েলে তা সম্ভব ছিল না। সেই সময়, পিতামাতারা যখন ঈশ্বরের বাক্য থেকে উপদেশ দিত, তখন তাদের নিজেদের স্মরণশক্তির উপর এবং হৃদয়ের মধ্যে তারা যে সত্যকে সংগ্রহ করে রেখেছে তার উপর অথবা তারা ব্যক্তিগতভাবে যতটুকু অংশ লিখতে পেরেছে, তার উপর নির্ভর করতে হত। বারে বারে পুনরাবৃত্তি করার দ্বারা তারা চেষ্টা করত তাদের সন্তানদের হৃদয়ে যিহোবা এবং তাঁর পথের প্রতি প্রেম গড়ে তুলতে। এর উদ্দেশ্য কেবলমাত্র মাথার মধ্যে জ্ঞান বৃদ্ধি করাই নয়, কিন্তু পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যদের এমনভাবে জীবনধারণ করতে সাহায্য করা যা যিহোবা ও তাঁর বাক্যের প্রতি তাদের প্রেমকে প্রকাশ করবে।—দ্বিতীয় বিবরণ ১১:১৮, ১৯, ২২, ২৩.

সমাজগৃহে শাস্ত্রপাঠ

১০, ১১. সমাজগৃহে শাস্ত্র পাঠের কোন্‌ কর্মসূচি মেনে চলা হত এবং যীশু এই অনুষ্ঠানগুলিকে কী চোখে দেখতেন?

১০ বাবিলনে যিহূদীদের বন্দী করে নিয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর, উপাসনার স্থান হিসাবে সমাজগৃহগুলিকে স্থাপন করা হয়। এই সভাগৃহে যাতে করে ঈশ্বরের বাক্যকে পড়া ও তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে সেই জন্য আরও অতিরিক্ত পরিমাণে শাস্ত্রের প্রতিলিপি তৈরি করা হয়। এটি হচ্ছে একটি কারণ যার ফলে ইব্রীয় শাস্ত্রাবলির কিছু অংশের প্রায় ৬,০০০টি প্রাচীন হস্তলিখিত প্রতিলিপি সংরক্ষিত থেকে গেছে।

১১ সমাজগৃহের যে সভা তার প্রধান অংশ ছিল টোরা থেকে পাঠ, যেটি হচ্ছে আধুনিক বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বইয়ের সমরূপ। প্রেরিত ১৫:২১ পদ জানায় যে সা.শ. প্রথম শতাব্দীতে, এইধরনের পাঠ প্রত্যেক বিশ্রামবারে করা হত এবং মিশ্‌না দেখায় যে দ্বিতীয় শতাব্দীতে টোরাও পাঠ করা হত সপ্তাহের দ্বিতীয় ও পঞ্চম দিনে। একের পর এক অনেক ব্যক্তি বিশেষেরা এর নির্দিষ্ট অংশগুলি পড়ত। বাবিলনে বসবাসকারী যিহূদীদের নীতি ছিল বছরে একবার সমস্ত টোরাটিকে পড়া; প্যালেস্টাইনে নিয়ম ছিল তিন বছর ধরে এটিকে পাঠ করা। ভাববাদীদের অংশগুলিকেও পড়া এবং ব্যাখ্যা করা হত। যীশু যেখানে বাস করতেন সেখানকার নিয়ম ছিল যে তিনি যেন বিশ্রামবারে বাইবেল-পাঠের যে অনুষ্ঠান সেখানে উপস্থিত থাকেন।—লূক ৪:১৬-২১.

ব্যক্তিগতভাবে সাড়া দেওয়া ও তা প্রয়োগ করা

১২. (ক) লোকেদের কাছে মোশি যখন নিয়ম পাঠ করেছিলেন তখন তারা কিভাবে উপকৃত হয়েছিল? (খ) লোকেরা কিভাবে সাড়া দিয়েছিল?

১২ অনুপ্রাণিত শাস্ত্রপাঠের অর্থ কেবলমাত্র রীতিনীতি পালনের আতিশয্য নয়। এটা কেবলমাত্র মানুষের সন্ধিৎসাকে তৃপ্তি করার জন্য নয়। সিনয় পর্বতের সমতলভূমির সামনে দাঁড়িয়ে মোশি যখন ইস্রায়েলদের জন্য “নিয়মপুস্তক” পাঠ করেন, তখন তার উদ্দেশ্য ছিল তাদের দেখিয়ে দেওয়া যে ঈশ্বরের সাক্ষাতে তাদের কোন্‌ দায়িত্বগুলি আছে, যাতে করে তারা তা পালন করতে পারে। কিন্তু তারা কী করবে? পাঠের প্রতি সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। লোকেরা তা উপলব্ধি করতে পেরেছিল এবং তারা বলে উঠেছিল: “সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব।”—যাত্রাপুস্তক ২৪:৭; তুলনা করুন যাত্রাপুস্তক ১৯:৮; ২৪:৩.

১৩. যিহোশূয় যখন অবাধ্যতার ফলস্বরূপ অভিশাপগুলি পড়েন, তখন লোকেদের কী করা প্রয়োজন ছিল এবং কী উদ্দেশ্যে?

১৩ পরে, যখন যিহোশূয় জাতির উদ্দেশ্যে প্রতিজ্ঞাত আশীর্বাদ এবং অভিশাপগুলি পাঠ করেন, তখনও এর প্রতি সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। প্রতিটি অভিশাপের পর নির্দেশ দেওয়া হয়: “তখন সমস্ত লোক বলিবে, আমেন।” (দ্বিতীয় বিবরণ ২৭:৪-২৬) এইভাবে প্রত্যেকটি বিষয় বিবেচনা করা হয় আর যিহোবা যেটিকে অন্যায় বলে নিন্দা করেন তার সাথে তারা একমত হয়। যখন সমগ্র জাতি এক সাথে স্বীকারোক্তি করত তখন সেটা কতই না এক গভীর অনুভূতিপূর্ণ ঘটনার সৃষ্টি করেছিল!

১৪. নহিমিয়ের সময় জনসাধারণ্যে নিয়ম পাঠ কেন বিশেষ করে উপকারী ছিল?

১৪ নহিমিয়ের দিনে, যখন লোকেরা নিয়মগুলিকে শোনার জন্য যিরূশালেমে একত্রিত হয়েছিল, তখন তারা বুঝতে পেরেছিল যে লিখিত নির্দেশনা অনুসারে তারা সম্পূর্ণভাবে তা পালন করেনি। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে তারা যা শিখেছিল তা তারা সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছিল। এর ফল কী দাঁড়িয়েছিল? “তাহাতে অতি বড় আনন্দ হইল।” (নহিমিয় ৮:১৩-১৭) উৎসবের সময় সপ্তাহের প্রতিদিন বাইবেল পাঠ করার পর তারা বুঝতে পারে যে আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন আছে। অব্রাহামের সময় থেকে আরম্ভ করে তাঁর লোকেদের সাথে যিহোবার যে ব্যবহার তার ইতিহাস সম্পর্কে তারা প্রার্থনাসহকারে পুনরায় বিবেচনা করে। এই সমস্ত কিছু তাদের প্ররোচিত করে নিয়মের প্রয়োজন অনুসারে চলার দিব্য নিতে, বিদেশীদের বিবাহ করাকে এড়িয়ে চলতে এবং মন্দিরের দেখাশোনা ও পরিচর্যা কাজের দায়িত্বকে গ্রহণ করতে।—নহিমিয়, ৮-১০ অধ্যায়।

১৫. দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯ পদে পরিবারের উদ্দেশ্যে দেওয়া উপদেশগুলি কিভাবে দেখায় যে ঈশ্বরের বাক্য যেন কেবলমাত্র বাহ্যিক বিষয় না হয়ে দাঁড়ায়?

১৫ ঠিক সেইরকম, পরিবারের মধ্যে, শাস্ত্র সম্বন্ধে শিক্ষা যেন কেবলমাত্র বাহ্যিক হয়ে না দাঁড়ায়। দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৬-৯ পদে যেমন ইতিমধ্যেই আক্ষরিকভাবে দেখানো হয়েছে যে, লোকেদের নির্দেশ দেওয়া হয় তারা যেন ‘ঈশ্বরের বাক্যগুলি চিহ্নস্বরূপ হাতে বেঁধে রাখে’—এবং এইভাবে তারা উদাহরণ ও কাজের মাধ্যমে যিহোবার পথের প্রতি তাদের প্রেমকে প্রকাশ করবে। এছাড়াও তাদের বলা হয়েছিল যে তারা যেন ঈশ্বরের বাক্যগুলি ‘ভূষণস্বরূপে তাদের দুই চক্ষুর মধ্যস্থানে রাখে’—যাতে করে তারা সর্বদা শাস্ত্রের মানগুলিকে মনে রাখতে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে এগুলিকে ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করতে পারে। (যাত্রাপুস্তক ১৩:৯, ১৪-১৬ পদে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে তা তুলনা করুন।) তাদের এটিকে ‘গৃহদ্বারের কপালে ও বহির্দ্বারে লিখে রাখতে’ বলা হয়—যাতে করে তারা তাদের গৃহ ও সম্প্রদায়গুলিকে এমন একটি স্থান হিসাবে চিহ্নিত করাতে পারে যেখানে ঈশ্বরের বাক্যকে সম্মান ও প্রয়োগ করা হয়। আরেক কথায় বলতে গেলে তাদের জীবনধারা যেন যথেষ্টভাবে প্রমাণ করতে পারে যে তারা যিহোবার ধার্মিক মানগুলি ভালবাসে ও তা প্রয়োগ করে। এটি কতই না উপকারজনক হতে পারত! আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ঈশ্বরের বাক্য কি ততখানি গুরুত্ব নিয়ে থাকে? কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে, যিহূদীরা এই সমস্ত বিষয়কে কেবলমাত্র বাহ্যিকরূপে পরিণত করেছিল, তারা একটি কৌটোর মধ্যে শাস্ত্রকে পুরে সেটিকে পরে থাকত যেন সেগুলি ছিল একটা রক্ষাকবচ। তাদের উপাসনা আর হৃদয় থেকে আসত না এবং যিহোবার দ্বারা সেটি উপেক্ষিত হয়েছিল।—যিশাইয় ২৯:১৩, ১৪; মথি ১৫:৭-৯.

অধ্যক্ষের স্থানে যারা রয়েছেন তাদের দায়িত্ব

১৬. যিহোশূয়ের পক্ষে নিয়মিত শাস্ত্র পাঠ করা কেন গুরুত্বপূর্ণ ছিল?

১৬ শাস্ত্র পাঠের ক্ষেত্রে, তাদের প্রতি বেশি নজর দেওয়া হত যারা জাতিগণের অধ্যক্ষ ছিল। যিহোশূয়ের উদ্দেশ্যে যিহোবা বলেছিলেন: “তুমি সেই সমস্ত ব্যবস্থা যত্নপূর্ব্বক পালন কর।” আর এই দায়িত্ব পালন করার পরিপ্রেক্ষিতে, তাকে বলা হয়েছিল: “তুমি দিবারাত্র তাহা ধ্যান কর; কেননা তাহা করিলে তোমার শুভগতি হইবে ও তুমি বুদ্ধিপূর্ব্বক চলিবে।” (যিহোশূয়ের পুস্তক ১:৭, ৮) বর্তমানে যেমন প্রতিটি খ্রীষ্টীয় অধ্যক্ষের প্রতি প্রযোজ্য, ঠিক তেমনি যিহোশূয়ের ক্ষেত্রেও দৈনিক শাস্ত্রপাঠ তাকে সাহায্য করবে লোকেদের উদ্দেশ্যে দেওয়া যিহোবার নির্দিষ্ট আদেশগুলিকে পরিষ্কারভাবে মনে রাখতে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যিহোবা কিভাবে তাঁর দাসেদের সাথে ব্যবহার করেছিলেন এবিষয়টি জানাও যিহোশূয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল। যখন তিনি ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে তথ্যগুলি পড়েন, তখন তার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবিষয় চিন্তা করা যে সেই উদ্দেশ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার নিজস্ব কোন্‌ দায়িত্ব রয়েছে।

১৭. (ক) যিহোবা যা বলেছিলেন সেই অনুসারে যদি শাস্ত্র পাঠ থেকে রাজাদের উপকৃত হতে হয়, তাহলে পাঠ ছাড়াও তাদের আরও কী করার প্রয়োজন ছিল? (খ) খ্রীষ্টীয় প্রাচীনদের জন্য নিয়মিত বাইবেল পাঠ ও ধ্যান করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১৭ যিহোবা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, যে কেউ তাঁর লোকেদের উপর রাজা হিসাবে শাসন করবে, তাকে তার রাজত্বের প্রথম দিকে পুরোহিতদের দ্বারা সংরক্ষিত ঈশ্বরের বাক্যের যে প্রতিলিপি তার ভিত্তিতে আরেকটি প্রতিলিপি তৈরি করতে হবে। এরপর তাকে “যাবজ্জীবন তাহা পাঠ” করতে হবে। এর উদ্দেশ্য নয় যে বিষয়বস্তুটিকে কেবলমাত্র কন্ঠস্থ করা। বরঞ্চ, “যেন সে আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুকে ভয় করিতে . . . শিখে এবং “যেন আপন ভ্রাতাদের উপরে তাহার চিত্ত উদ্ধত না হয়।” (দ্বিতীয় বিবরণ ১৭:১৮-২০) এর জন্য প্রয়োজন ছিল যে তিনি যা পড়েছেন সেই বিষয়ে গভীরভাবে ধ্যান করা। বস্তুতপক্ষে কিছু রাজারা ভেবেছিল যে তারা তাদের শাসন কাজে এত ব্যস্ত যে এসমস্ত করার সময় তাদের নেই আর তাদের এই অবহেলার জন্য সমগ্র জাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে প্রাচীনদের যে ভূমিকা তা একেবারেই রাজাদের মতো নয়। কিন্তু রাজাদের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য ছিল, প্রাচীনদের ক্ষেত্রেও এটা খুবই জরুরি যে তারা যেন ঈশ্বরের বাক্য পড়েন ও তার উপর ধ্যান করেন। এটা করার দ্বারা যারা তাদের দায়িত্বের অধীনে আছে, তাদের প্রতি এরা সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে সাহায্য পাবে। এছাড়াও এটি তাদের সাহায্য করবে শিক্ষক হিসাবে তাদের দায়িত্বকে এমনভাবে পালন করতে যাতে করে তা প্রকৃতরূপে ঈশ্বরকে মহিমান্বিত করবে এবং সহখ্রীষ্টানদের আধ্যাত্মিকভাবে দৃঢ় করবে।—তীত ১:৯; তুলনা করুন যোহন ৭:১৬-১৮; বিপরীতে দেখুন ১ তীমথিয় ১:৬, ৭.

১৮. নিয়মিত বাইবেল পাঠ ও অধ্যয়ন, প্রেরিত পৌলের কোন্‌ উদাহরণ অনুকরণ করতে আমাদের সাহায্য করবে?

১৮ প্রেরিত পৌল, যিনি ছিলেন প্রথম শতাব্দীর একজন খ্রীষ্টীয় অধ্যক্ষ, তিনি অনুপ্রাণিত শাস্ত্রকে ভালভাবে জানতেন। প্রাচীন থিষলনীকীয় লোকেদের কাছে যখন তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন, তখন তিনি শাস্ত্রের সাহায্যে সক্রিয়ভাবে তাদের সঙ্গে যুক্তি করতে এবং তার অর্থগুলি বুঝতে সাহায্য করতে পেরেছিলেন। (প্রেরিত ১৭:১-৪) তিনি সহৃদয় শ্রোতাদের হৃদয়ে পৌঁছাতে পেরেছিলেন। এই কারণে যারা তার কথা শুনেছিল তাদের মধ্যে অনেকে বিশ্বাসী হয়েছিল। (১ থিষলনীকীয় ২:১৩) আপনার বাইবেল পাঠ ও অধ্যয়ন সূচির ফলে আপনি কি আরও ভালভাবে শাস্ত্রের সাহায্যে যুক্তি করতে পারেন? আপনার জীবনে বাইবেল পাঠ যে স্থান নিয়ে থাকে এবং আপনি তা যে ভাবে করেন তা কি প্রমাণ করে যে ঈশ্বরের বাক্যকে পাওয়ার যে অর্থ তা আপনি প্রকৃতপক্ষে উপলব্ধি করেন? পরবর্তী প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করব যে, এমনকি যারা খুবই ব্যস্ত তারা কিভাবে এই প্রশ্নগুলির উত্তর ইতিবাচকরূপে দিতে পারে।

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ বাইবেল পড়ার জন্য লোকেরা কেন তাদের জীবন ও স্বাধীনতার ঝুঁকি নিয়েছিল?

◻ প্রাচীন ইস্রায়েলের জন্য ঈশ্বরের বাক্য পুনর্বার শোনার যে ব্যবস্থা, এর থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হই?

◻ বাইবেলে আমরা যা পড়ি সে বিষয় আমাদের কী করা উচিত?

◻ খ্রীষ্টীয় প্রাচীনদের জন্য বাইবেল পড়া ও তার বিষয় ধ্যান করা কেন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ?

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিহোবা যিহোশূয়কে বলেছিলেন: “তুমি দিবারাত্র তাহা ধ্যান কর”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার