ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ৩/১ পৃষ্ঠা ১৪-১৯
  • সুখী তারা যারা জেগে থাকে!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সুখী তারা যারা জেগে থাকে!
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • চোরের ন্যায় আসছেন
  • কিভাবে আমরা জেগে থাকতে পারি
  • সময় শেষ হয়ে আসছে
  • যে কোন ভাবে জেগে থাকুন!
  • “জাগিয়া থাকিও”!
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার দিনের জন্য প্রস্তুত থাকুন
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘জাগিয়া থাক’
    ২০০০ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • জেগে থাকো, নিশ্চল হও, বলবান হও
    যিহোবার উদ্দেশে গান গাও
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ৩/১ পৃষ্ঠা ১৪-১৯

সুখী তারা যারা জেগে থাকে!

“দেখ, আমি চোরের ন্যায় আসিতেছি; ধন্য সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে।”—প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৫.

১. যেহেতু যিহোবার দিন সন্নিকট, আমরা কী প্রত্যাশা করতে পারি?

যিহোবার মহাদিন সন্নিকট এবং তার অর্থ যুদ্ধ! দর্শনে, প্রেরিত যোহন ভেকের ন্যায় “মন্দ দূতেদের দ্বারা অনুপ্রাণিত অভিব্যক্তিগুলি” (NW) দেখেছিলেন যা বের হয়ে পৃথিবীর সকল “রাজাদের” অথবা শাসকদের কাছে যাচ্ছে। কী করতে? সেটি হল, “সর্ব্বশক্তিমান্‌ ঈশ্বরের সেই মহাদিনের যুদ্ধার্থে তাহাদিগকে একত্র” করতে! যোহন আরও বলেছিলেন: “উহারা, ইব্রীয় ভাষায় যাহাকে হর্‌মাগিদোন বলে, সেই স্থানে তাহাদিগকে একত্র করিল।”—প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৩-১৬.

২. মাগোগ দেশীয় গোগ কে এবং যখন সে যিহোবার লোকেদের আক্রমণ করবে তখন কী ঘটবে?

২ শীঘ্রই, যিহোবা এই বিধিব্যবস্থার রাজনৈতিক উপাদানকে, মিথ্যা ধর্মের বিশ্ব সাম্রাজ্য, মহতী বাবিলকে ধ্বংস করতে পরিচালিত করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১-৫, ১৫-১৭) তারপর মাগোগ দেশীয় গোগ, শয়তান দিয়াবল যাকে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, তার বিরাট বাহিনীকে যুদ্ধসজ্জায় তৈরি করবে এবং যিহোবার শান্তিপ্রিয়, আপাতদৃষ্টিতে অরক্ষিত লোকেদের উপর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আক্রমণ করবে। (যিহিষ্কেল ৩৮:১-১২) কিন্তু ঈশ্বর তাঁর লোকেদের উদ্ধার করতে সক্রিয় হবেন। আর এটিই “সদাপ্রভুর ঐ মহৎ ও ভয়ঙ্কর দিনের” আরম্ভকে চিহ্নিত করবে।—যোয়েল ২:৩১; যিহিষ্কেল ৩৮:১৮-২০.

৩. আপনি কিভাবে যিহিষ্কেল ৩৮:২১-২৩ পদে ভাববাণীকৃত ঘটনাগুলিকে বর্ণনা করবেন?

৩ হ্যাঁ, যখন আমরা জগৎ পরিস্থিতির সেই পর্যায়ে পৌঁছাব যা হর্‌মাগিদোন অথবা আরমাগিদোন নামে আখ্যাত, তখন যিহোবা তাঁর লোকেদের উদ্ধার করবেন এবং শয়তানের বিধিব্যবস্থার শেষ চিহ্ন পর্যন্ত নিঃশেষ করবেন। যিহিষ্কেল ৩৮:২১-২৩ পদের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বাক্যগুলি পড়ুন এবং দৃশ্যটি মনশ্চক্ষে কল্পনা করুন। যিহোবা প্লাবনকারী আকস্মিক প্রচণ্ড জলঝড়, বিধ্বস্তকারী শিলাপিণ্ড, তীব্রবেগে অগ্নি, মারাত্মক মহামারী আনার জন্য দক্ষতার সাথে তাঁর ক্ষমতাকে ব্যবহার করেন। আতঙ্ক বিশ্বব্যাপী রাজত্ব করে যেহেতু গোগের বিরাট বাহিনীকে বিভ্রান্তিতে এবং একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর দাসেদের রক্ষা করার জন্য যিহোবা অতিপ্রাকৃতিক শক্তি ব্যবহার করার সাথে সাথে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের যে কোন রক্ষাপ্রাপ্ত শত্রুকে ধ্বংস করা হবে। যখন ভাববাণীকৃত “মহাক্লেশ” কার্য সম্পাদন করবে, তখন শয়তানের ঈশ্বরবিহীন বিধিব্যবস্থার কোন কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না। (মথি ২৪:২১) এমনকি, তাদের মৃত্যু যন্ত্রণার সময়েও, দুষ্টেরা তাদের চরম দুর্দশার জন্য কে দায়ী তা জানতে পারবে। আমাদের বিজয়ী ঈশ্বর নিজে বলেন: “তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু।” এই সমস্ত অসাধারণ ঘটনাগুলি আমাদের দিনে, যীশুর উপস্থিতির সময়ে ঘটবে।

চোরের ন্যায় আসছেন

৪. এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা ধ্বংস করতে যীশু কিরূপে আসবেন?

৪ মহিমান্বিত প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন: “দেখ, আমি চোরের ন্যায় আসিতেছি।” চোরের ন্যায় আসা হঠাৎ হবে, একটি অপ্রত্যাশিত সময়ে, যখন বেশির ভাগ লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে। যখন যীশু এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চোরের ন্যায় আসেন, তখন তিনি যারা প্রকৃতই জেগে আছে তাদের রক্ষা করবেন। তিনি যোহনকে বলেছিলেন: “ধন্য [“সুখী,”] সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে, যেন সে উলঙ্গ হইয়া না বেড়ায়, এবং লোকে তাহার অপমান না দেখে।” (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৫) এই বাক্যগুলির তাৎপর্য কী? আর আমরা কিভাবে আধ্যাত্মিকরূপে জেগে থাকতে পারি?

৫. যখন যীশু পৃথিবীতে ছিলেন তখন মন্দির পরিচর্যার জন্য কিরূপ ব্যবস্থা ছিল?

৫ সাধারণতঃ, একজন প্রহরী যদি তার কাজের সময় ঘুমিয়ে পড়ে তবে তাকে উলঙ্গ করা হয় না। কিন্তু যিরূশালেমের মন্দিরে তা ঘটেছিল যখন যীশু পৃথিবীতে ছিলেন এবং যাজক ও লেবীয়দের বিভক্ত দল যিরূশালেমের মন্দিরে সেবা করছিল। এটি ছিল সা.শ.পূ. একাদশ শতাব্দীতে যখন রাজা দায়ূদ ইস্রায়েলের শত শত যাজক এবং তাদের হাজার হাজার লেবীয় সহকারীদের নিয়ে ২৪টি বিভাগীয় দলের সমন্বয়ে এক সংগঠনের ব্যবস্থা করেছিলেন। (১ বংশাবলি ২৪:১-১৮) এক হাজারের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের নিয়ে গঠিত প্রত্যেকটি বিভাগ কমপক্ষে বছরে দুই বার একসাথে একটি পূর্ণ সপ্তাহব্যাপী মন্দির পরিচর্যার বিষয়গুলি পরিচালনার জন্য পালাক্রমে কার্যকারী হত। কিন্তু, কুটির উৎসব পালনের সময়ে ২৪টি দলের সকলেই কাজের জন্য উপস্থিত থাকত। নিস্তারপর্ব উৎসবের জন্যও অতিরিক্ত সাহায্যের প্রয়োজন হত।

৬. যীশু পরোক্ষভাবে কী উল্লেখ করেন যখন তিনি বলেছিলেন, “সুখী সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে”?

৬ যখন যীশু বলেছিলেন, “সুখী সেই ব্যক্তি, যে জাগিয়া থাকে, এবং আপন বস্ত্র রক্ষা করে,” তিনি হয়ত মন্দিরে প্রহরী কার্যের অন্তর্ভুক্ত যে প্রণালী তখন অনুসরণ করা হত, পরোক্ষভাবে সেটিকে উল্লেখ করেছিলেন। যিহূদী মিশ্‌না বলে: “যাজকেরা মন্দিরের তিনটি জায়গায় প্রহরা দিতেন: ধূপ প্রস্তুতকারী কক্ষে, অগ্নিশিখার কক্ষে এবং চুল্লী কক্ষে; এবং লেবীয়রা ২১টি জায়গার প্রতি নজর রাখতেন: মন্দির চূড়ায় পাঁচটি দরজায় পাঁচজন, ভিতরের চার কোণায় চারজন, মন্দির প্রাঙ্গণের পাঁচটি দরজায় পাঁচজন, এর বাইরের চার কোণায় চারজন আর একজন বলিদানের কক্ষে, তিরস্করিণীর কক্ষে একজন এবং একজন করুণার সিংহাসনের পিছনে [মহা পবিত্রের পিছনের দেওয়ালের বাইরে]। মন্দির চূড়ার কর্মকর্তা জলন্ত টর্চ নিয়ে প্রত্যেক প্রহরীর কাছে ঘুরে যেতেন এবং যদি কোন প্রহরী দাঁড়িয়ে না থাকে এবং তাকে না বলে, ‘হে মন্দির চূড়ার কর্মকর্তা, আপনার প্রতি শান্তি বর্তুক!’ আর এটি প্রমাণিত হত যে সে ঘুমিয়েছিল, তখন তিনি তাকে তার লাঠি দিয়ে মারতেন এবং সেই প্রহরীর পোশাক পুড়িয়ে ফেলার জন্য তার অধিকার ছিল।”—দ্যা মিশ্‌না, মিদ্দোথ (“পরিমাণগুলি”), ১, অনুচ্ছেদ ১-২, হার্বাড ডেনবি কর্তৃক অনুবাদিত।

৭. কেন মন্দিরে প্রহরীর কার্যরত অবস্থায় যাজক এবং লেবীয়দের জেগে থাকার প্রয়োজন ছিল?

৭ সেবারত বিভাগের অনেক লেবীয় ও যাজকেরা প্রহরা দিতে এবং মন্দির প্রাঙ্গণে কোন অশুচি ব্যক্তির প্রবেশকে প্রতিরোধ করতে সারারাত ধরে জেগে থাকত। যেহেতু “মন্দির চূড়ার কর্মকর্তা” অথবা “ধর্ম্মধামের সেনাপতি” রাতে প্রহরার সময় ২৪টি জায়গার সবগুলিই ঘুরে দেখতেন, ফলে প্রত্যেক প্রহরীকে তার স্থানে জেগে থাকতে হত যদি সে তার প্রহরায় অসতর্ক অবস্থায় ধরা না পড়তে চাইত।—প্রেরিত ৪:১.

৮. খ্রীষ্টানদের প্রতীক বহিঃস্থ পোশাকগুলি কী?

৮ অভিষিক্ত খ্রীষ্টান এবং তাদের সহদাসেদের আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকা এবং তাদের রূপক বহিঃস্থ পোশাকগুলিকে রক্ষা করা প্রয়োজন। এইগুলি যিহোবার আত্মিক মন্দিরে পরিচর্যা করার জন্য আমাদের নিযুক্তির বাহ্যিক প্রমাণ। এর স্বীকৃতিস্বরূপ, রাজ্যের ঘোষণাকারী হিসাবে আমাদের কাজকে সম্পাদন করতে এবং আমাদের কর্তব্য পালন করে চলতে সাহায্য করার জন্য আমাদের ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা অথবা কার্যকারী শক্তি রয়েছে। ঈশ্বরের পরিচারক হিসাবে আমাদের নিযুক্তপদে ঘুমিয়ে পড়া, আমাদেরকে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা ধরা পড়ে যাওয়ার বিপদে ফেলতে পারে, যিনি মহান আত্মিক মন্দিরের সেনাপতি। যদি আমরা সেই সময় আধ্যাত্মিকভাবে ঘুমিয়ে থাকি, আমাদের রূপকভাবে উলঙ্গ করা হবে এবং আমাদের প্রতীক পোশাকগুলিকে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং কিভাবে আমরা আধ্যাত্মিকরূপে জেগে থাকতে পারি?

কিভাবে আমরা জেগে থাকতে পারি

৯. খ্রীষ্টীয় প্রকাশনাদির সাহায্যে বাইবেল অধ্যয়ন কেন অতি গুরুত্বপূর্ণ?

৯ খ্রীষ্টীয় প্রকাশনাদির সাহায্যে শাস্ত্রের পরিশ্রমী অধ্যয়ন আধ্যাত্মিক জাগরণের একটি উদ্দীপক। এইরূপ অধ্যয়ন আমাদের পরিচর্যার জন্য সজ্জিত করবে, সংকটগুলির মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে এবং আমাদের অনন্তকালীন সুখের পথ দেখাবে। (হিতোপদেশ ৮:৩৪, ৩৫; যাকোব ১:৫-৮) আমাদের অধ্যয়ন পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং প্রগতিশীল হওয়া উচিত। (ইব্রীয় ৫:১৪–৬:৩) নিয়মিতভাবে ভাল খাবার খাওয়া আমাদের সজাগ এবং সর্তক রাখতে সাহায্য করতে পারে। এটি আলস্যকে প্রতিরোধ করতে পারে যা হয়ত অপুষ্টির একটি লক্ষণ। আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে অপুষ্ট এবং নিদ্রালু হওয়ার কোন কারণ নেই, কারণ ঈশ্বর অভিষিক্ত “বিশ্বস্ত এবং বুদ্ধিমান্‌ দাস” এর মাধ্যমে আধ্যাত্মিক খাদ্যের প্রচুর ব্যবস্থা করেছেন। (মথি ২৪:৪৫-৪৭) ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক অধ্যয়নের মাধ্যমে নিয়মিত আধ্যাত্মিক খাদ্যের ব্যবহার, জেগে থাকার এবং “বিশ্বাসে নিরাময়” হওয়ার একটি পথ।—তীত ১:১৩.

১০. কিভাবে খ্রীষ্টীয় সভা, অধিবেশন এবং সম্মেলনগুলি আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকতে সাহায্য করে?

১০ খ্রীষ্টীয় সভা, অধিবেশন এবং সম্মেলনগুলি আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকতে সাহায্য করে। এইগুলি ‘পরস্পরকে প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে উদ্দীপিত করে তুলতে’ উৎসাহ এবং সুযোগগুলি প্রদান করে। বিশেষভাবে আমরা “সেই দিন যত অধিক সন্নিকট হইতে দেখিতেছি” ততই আমাদের নিয়মিতভাবে একত্রিত হওয়া উচিত। বাস্তবিকই সেই দিন এখন সন্নিকট। এটি “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] দিন,” যখন তিনি তাঁর সার্বভৌমত্বকে প্রতিপাদন করবেন। যদি আমাদের কাছে সেই দিন প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ হয়—এবং সেইরূপই হওয়া উচিত—তাহলে আমরা ‘সমাজে সভাস্থ হওয়া পরিত্যাগ করব না।’—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫; ২ পিতর ৩:১০.

১১. কেন এটি বলা যেতে পারে যে আধ্যাত্মিক জাগরণের জন্য খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা অপরিহার্য?

১১ খ্রীষ্টীয় পরিচর্যায় সম্পূর্ণ হৃদয়ে অংশগ্রহণ আধ্যাত্মিক জাগরণের জন্য অপরিহার্য। সুসমাচার প্রচারে নিয়মিত এবং উদ্যোগী অংশগ্রহণ আমাদের সজাগ রাখে। আমাদের পরিচর্যা ঈশ্বরের বাক্য, তাঁর রাজ্য এবং তাঁর উদ্দেশ্যগুলি সম্বন্ধে লোকেদের বলতে বহু সুযোগ প্রদান করে। গৃহ থেকে গৃহে সাক্ষ্যদান, পুর্নসাক্ষাৎ করা এবং জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে এইধরনের প্রকাশনাদি দিয়ে গৃহ বাইবেল অধ্যয়নগুলি পরিচালনা করা সন্তুষ্টিজনক। প্রাচীন ইফিষের প্রাচীনগণ সাক্ষ্য দিতে পেরেছিল যে পৌল তাদের “সাধারণ্যে ও ঘরে ঘরে” শিক্ষা দিয়েছিলেন। (প্রেরিত ২০:২০, ২১) অবশ্য, যিহোবার কিছু বিশ্বস্ত সাক্ষীদের গুরুতর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলি আছে যা তাদের পরিচর্যাকে কিছুমাত্রায় ব্যাহত করে, কিন্তু যিহোবা এবং তাঁর রাজপদ সম্বন্ধে অন্যান্যদের বলতে তারা উপায়গুলি খুঁজে নেয় এবং তা করার দ্বারা প্রচুর আনন্দ লাভ করে।—গীতসংহিতা ১৪৫:১০-১৪.

১২, ১৩. কোন্‌ কোন্‌ কারণে আমাদের অত্যধিক ভোজন এবং পান করাকে এড়িয়ে চলা উচিত?

১২ অসংযত আচরণ এড়িয়ে চলা আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকতে সাহায্য করবে। তাঁর উপস্থিতি সম্বন্ধে বলার সময়ে, যীশু তাঁর প্রেরিতদের পরামর্শ দিয়েছিলেন: “আপনাদের বিষয়ে সাবধান থাকিও, পাছে ভোগপীড়ায় ও মত্ততায় এবং জীবিকার চিন্তায় তোমাদের হৃদয় ভারগ্রস্ত হয়, আর সেই দিন হঠাৎ ফাঁদের ন্যায় তোমাদের উপরে আসিয়া পড়ে; কেননা সেই দিন সমস্ত ভূতলনিবাসী সকলের উপরে উপস্থিত হইবে।” (লূক ২১:৭, ৩৪, ৩৫) অতিভোজন এবং মত্ততা বাইবেল নীতির সাথে সামঞ্জস্য রাখে না। (দ্বিতীয় বিবরণ ২১:১৮-২১) হিতোপদেশ ২৩:২০, ২১ পদ বলে: “মদ্যপায়ীদের সঙ্গী হইও না, পেটুক মাংসভোজীদের সঙ্গী হইও না; কারণ মদ্যপায়ী ও পেটুকের দৈন্যদশা ঘটে, এবং ঢুলু ঢুলু ভাব মনুষ্যকে নেক্‌ড়া পরায়।”—হিতোপদেশ ২৮:৭.

১৩ এমনকি যদিও অত্যধিক খাওয়া এবং প্রচুর মদ্যপান সেই পর্যায়ে না পৌঁছায়, তবুও তা একজন ব্যক্তিকে তন্দ্রালু, এমনকি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালনের ক্ষেত্রে অলস এবং যত্নহীন করে তুলতে পারে। স্বাভাবিকভাবে, পারিবারিক জীবন, স্বাস্থ্য এবং এমন আরও বিষয়গুলিকে কেন্দ্র করে উদ্বিগ্নতাগুলি থাকবে। তবুও, আমরা সুখী হব যদি আমরা জীবনে রাজ্যের আগ্রহকে প্রথম স্থান দিই এবং প্রত্যয়ী থাকি যে আমাদের স্বর্গীয় পিতা আমাদের জন্য সরবরাহ করবেন। (মথি ৬:২৫-৩৪) অন্যথায়, “সেই দিন” আমাদের উপর “ফাঁদের” ন্যায় আসবে, হয়ত একটি ছদ্মবেশী ফাঁদ হিসাবে আমাদেরকে অসতর্ক অবস্থায় ধরবে অথবা বঁড়শির টোপের প্রলোভনের ন্যায়, ঠিক যেমন সন্দেহহীন পশুদের আকর্ষিত করা হয় এবং পরে বন্দী করা হয়। এটি ঘটবে না যদি আমরা জেগে থাকি, সম্পূর্ণভাবে সতর্ক থাকি যে আমরা ‘শেষকালে’ বাস করছি।—দানিয়েল ১২:৪.

১৪. কেন আমাদের ঐকান্তিক প্রার্থনায় রত থাকা উচিত?

১৪ ঐকান্তিক প্রার্থনা আধ্যাত্মিক জাগরণের আরেকটি সহায়ক। তাঁর মহান ভবিষ্যদ্বাণীতে, যীশু আরও পরামর্শ দিয়েছিলেন: “কিন্তু তোমরা সর্ব্বসময়ে জাগিয়া থাকিও এবং প্রার্থনা করিও, যেন এই যে সকল ঘটনা হইবে, তাহা এড়াইতে, এবং মনুষ্যপুত্ত্রের সম্মুখে দাঁড়াইতে, শক্তিমান্‌ হও।” (লূক ২১:৩৬) হ্যাঁ, আসুন আমরা প্রার্থনা করি যেন আমরা সবসময় যিহোবার পক্ষে থাকতে পারি এবং যখন যীশু, মনুষ্যপুত্র, এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা ধ্বংস করতে আসবেন তখন তাঁর সামনে গ্রাহণযোগ্যরূপে দাঁড়াতে পারি। আমাদের নিজেদের এবং যাদের জন্য আমরা প্রার্থনা করি সেই সমস্ত সহবিশ্বাসীদের মঙ্গলের জন্য, আমাদের ‘প্রার্থনায় নিবিষ্ট থাকা’ প্রয়োজন।—কলসীয় ৪:২; ইফিষীয় ৬:১৮-২০.

সময় শেষ হয়ে আসছে

১৫. ধার্মিকতার প্রচারক হিসাবে আমাদের পরিচর্যা দ্বারা কী সম্পাদিত হয়েছে?

১৫ আমরা যেহেতু যিহোবার মহাদিনের প্রতীক্ষায় আছি, নিঃসন্দেহে আমরা তাঁর পরিচর্যায় যতখানি আমরা করতে পারি তা করার জন্য আকাঙ্ক্ষা করি। এই বিষয়ে যদি আমরা ঐকান্তিকভাবে তাঁর কাছে প্রার্থনা করি, হয়ত আমাদের “সম্মুখে এক দ্বার . . . তাহা বৃহৎ ও কার্য্যসাধক” খোলা থাকবে। (১ করিন্থীয় ১৬:৮, ৯) ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে, যীশু বিচার সম্পন্ন করবেন এবং অনন্তকালীন ধ্বংসের উপযুক্ত ঈশ্বরবিহীন “ছাগ” থেকে অনন্ত জীবনের যোগ্য ধার্মিক “মেষ”-দের পৃথক করবেন। (যোহন ৫:২২) আমরা তারা নই, যারা ছাগদের থেকে মেষদের পৃথক করছে। কিন্তু বর্তমানে ধার্মিকতার প্রচারক হিসাবে আমাদের পরিচর্যা হল, লোকেদের ঈশ্বরের প্রতি পরিচর্যার এক জীবন বেছে নেওয়ার সুযোগ প্রদান করা এবং এইভাবে জীবনের জন্য পৃথক হওয়ার আশা থাকা যখন যীশু “আপন প্রতাপে আসিবেন।” এই বিধিব্যবস্থার জন্য থাকা সময়ের স্বল্পতা সম্পূর্ণ হৃদয়ের কার্যকারিতার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি করে যখন আমরা তাদের অন্বেষণ করি যারা “অনন্ত জীবনের জন্য নিরূপিত।”—মথি ২৫:৩১-৪৬; প্রেরিত ১৩:৪৮.

১৬. কেন আমাদের উদ্যোগী রাজ্যের ঘোষণাকারী হতে হবে?

১৬ নোহের দিনের জগতের জন্য সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল এবং এই বিধিব্যবস্থার জন্যও এটি শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে। অতএব আসুন আমরা উদ্যোগী রাজ্যের ঘোষণাকারী হই। আমাদের প্রচার কাজ সাফল্যলাভ করে চলেছে, প্রতি বছর শত সহস্র ব্যক্তিরা ঈশ্বরের কাছে তাদের উৎসর্গীকরণের প্রতীকস্বরূপ বাপ্তাইজিত হচ্ছে। তারা যিহোবার আশীর্বাযুক্ত সংগঠনের অংশ হয়ে উঠছে—“তাঁহার প্রজা ও তাঁহার চরাণির মেষ।” (গীতসংহিতা ১০০:৩) রাজ্যের প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করা কতই না আনন্দজনক, যা “সদাপ্রভুর ঐ মহৎ ও ভয়ঙ্কর দিনের” পূর্বে বহু লোককে আশা দান করে!

১৭, ১৮. (ক) যখন আমরা প্রচার করি, কারও কারও কাছ থেকে আমরা কিরূপ প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা করতে পারি? (খ) উপহাসকারীদের উপর অবশ্যই কী আসবে?

১৭ নোহের মত, আমাদেরও ঈশ্বরের সমর্থন এবং সুরক্ষা রয়েছে। হ্যাঁ, লোকেরা, মনুষ্যরূপ ধারণকারী দূতেরা এবং নেফিলিমরা নোহের বার্তার প্রতি উপহাস করেছিল, কিন্তু সেটি তাকে থামিয়ে দেয়নি। বর্তমানেও, কেউ কেউ উপহাস করে যখন আমরা পর্যাপ্ত প্রমাণ দেখাই যে আমরা “শেষ কালে” বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) এইধরনের উপহাস, খ্রীষ্টের উপস্থিতি সম্বন্ধে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা, কারণ পিতর লিখেছিলেন: “শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে; তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়? কেননা যে অবধি পিতৃলোকেরা নিদ্রাগত হইয়াছেন, সেই অবধি সমস্তই সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রহিয়াছে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—২ পিতর ১:১৬; ৩:৩, ৪.

১৮ বর্তমান-দিনের উপহাসকারীরা হয়ত ভাবতে পারে: ‘সৃষ্টির আরম্ভ থেকে কিছুই পরিবর্তিত হয়নি। লোকেদের ভোজন, পান, বিবাহ করা এবং পরিবারগুলি প্রতিপালনের সাথে সাথে জীবন অতিবাহিত হতে থাকে। এমনকি যদি যীশু উপস্থিতও হয়ে থাকেন, তিনি আমার দিনে বিচার সম্পাদন করবেন না।’ তারা কতই না ভ্রান্ত! যদি অন্য কোন কারণে এই মধ্যবর্তী সময়ে তাদের মৃত্যু না হয়, যিহোবার ভয়-সঞ্চারকারী দিন নিশ্চিতভাবেই তাদের উপর আসবে, ঠিক যেমন প্লাবনজনিত ধ্বংস নোহের দিনে দুষ্ট বংশের শেষ নিয়ে এসেছিল।—মথি ২৪:৩৪.

যে কোন ভাবে জেগে থাকুন!

১৯. শিষ্য-করণের কাজকে আমাদের কিভাবে দেখা উচিত?

১৯ যদি আমরা যিহোবার প্রতি উৎসর্গীকৃত হয়ে থাকি, আমরা যেন কোন অনুচিত যুক্তি দ্বারা কখনও ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে না পড়ি। এখনই জেগে থাকার, ঐশিক ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাস অনুশীলন এবং “সমুদয় জাতিকে শিষ্য” করার আমাদের কার্যভার পালন করার জন্য এক সময়। (মথি ২৮:১৯, ২০) এই বিধিব্যবস্থা যতই এর চূড়ান্ত শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যীশু খ্রীষ্টের নেতৃত্বাধীনে যিহোবা ঈশ্বরের সেবা করা এবং শেষ আসার আগে “রাজ্যের এই সুসমাচার” বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজে অংশগ্রহণ করার চেয়ে আর কোন বৃহৎ সুযোগ থাকতে পারে না।—মথি ২৪:১৪; মার্ক ১৩:১০.

২০. কালেব এবং যিহোশূয় কী উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন আর তাদের কার্যধারা আমাদের জন্য কী ইঙ্গিত করে?

২০ যিহোবার লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ দশকের পর দশক, হয়ত তাদের সম্পূর্ণ জীবনকাল ধরে তাঁর সেবা করে আসছে। আর এমনকি আমরা যদি খুব সম্প্রতি সত্য উপাসনা গ্রহণ করে থাকি, তবুও আমরা ইস্রায়েলীয় কালেবের মত হতে পারি, যিনি ‘সম্পূর্ণরূপে সদাপ্রভুর অনুগমন করিয়াছেন।’ (দ্বিতীয় বিবরণ ১:৩৪-৩৬) মিশরীয় বন্দীত্ব থেকে ইস্রায়েলের মুক্তি পাওয়ার কিছু পরেই, তিনি এবং যিহোশূয় প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু, সাধারণভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ইস্রায়েলীয়দের বিশ্বাসের অভাব ছিল এবং তাদের প্রান্তরে ৪০ বছর অতিবাহিত করতে হয়েছিল, যেখানে তারা মারা গিয়েছিল। সেই সময়ে তাদের সকলের সাথে কালেব এবং যিহোশূয় কষ্ট সহ্য করেছিলেন, কিন্তু পরিশেষে এই দুই পুরুষ প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করেছিলেন। (গণনাপুস্তক ১৪:৩০-৩৪; যিহোশূয় ১৪:৬-১৫) যদি আমরা ‘সম্পূর্ণরূপে যিহোবাকে অনুসরণ করি’ এবং আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকি, তাহলে আমাদের ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত নতুন জগতে প্রবেশ করার আনন্দ থাকবে।

২১. যদি আমরা আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকি, তাহলে আমাদের কী অভিজ্ঞতা হবে?

২১ নজির স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে আমরা শেষকালে বাস করছি এবং তাই যিহোবার মহাদিন সন্নিকট। এখন তন্দ্রালু হওয়া ও ঐশিক ইচ্ছা পালনের ক্ষেত্রে অবজ্ঞা করার সময় নয়। আমরা আশীর্বাদ পাব শুধুমাত্র তখনই যদি আমরা আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকি এবং খ্রীষ্টীয় পরিচারক ও যিহোবার দাস হিসাবে আমাদের শনাক্তিকারক পোশাক রক্ষা করি। “তোমরা জাগিয়া থাক, বিশ্বাসে দাঁড়াইয়া থাক, বীরত্ব দেখাও, বলবান্‌ হও” এটি আমাদের সকলের দৃঢ়সংকল্প হোক। (১ করিন্থীয় ১৬:১৩) যিহোবার দাস হিসাবে, আসুন আমরা প্রত্যেকেই অটল এবং সাহসী হই। তাহলে আমরা তাদের মধ্যে হব যারা যিহোবার মহাদিন যখন আঘাত করবে তার জন্য প্রস্তুত, সেই সমস্ত সুখী ব্যক্তিদের সারিতে, বিশ্বস্তভাবে পরিচর্যা করতে থাকার দ্বারা যারা জেগে আছে।

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ আপনি কিভাবে আমাদের রূপক বহিঃস্থ পোশাককে সংজ্ঞায়িত করবেন এবং আপনি কিভাবে তা রক্ষা করতে পারেন?

◻ আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকার কতগুলি উপায় কী?

◻ কেন আমরা উপহাসকারীদের প্রত্যাশা করতে পারি এবং আমাদের কিভাবে তাদের দেখা উচিত?

◻ এই শেষকালে আমাদের শিষ্য-করণের কাজকে কিভাবে দেখা উচিত?

[১৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

তাদের জেগে থাকতে সাহায্য করার ও তাদের কর্তব্য বহন করে চলার জন্য খ্রীষ্টানদের ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা আছে

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি কি আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকতে এবং আপনার রূপক বহিঃস্থ পোশাক রক্ষা করতে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার