যীশু সম্বন্ধীয় সত্যকে জানান
১ অভিষিক্ত খ্রীষ্টানরা তাদের সহযোগী আরও মেষের সাহায্যে “যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে।” (প্রকা. ১২:১৭) এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ, কারণ একমাত্র তাঁর মাধ্যমেই পরিত্রাণ সম্ভব।—যোহন ১৭:৩; প্রেরিত ৪:১২.
২ ‘পথ, সত্য ও জীবন’: “আমিই পথ ও সত্য ও জীবন,” যীশু বলেছিলেন। “আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না।” (যোহন ১৪:৬) একমাত্র “পথ,” যীশুর মাধ্যমেই আমরা প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে আসতে ও তাঁর সঙ্গে এক অনুমোদিত সম্পর্ক রাখতে পারি। (যোহন ১৫:১৬) যীশুই হলেন “সত্য” এই অর্থে যে, ইব্রীয় শাস্ত্রে যে-ভবিষ্যদ্বাণী ও পূর্বাভাসগুলো লিপিবদ্ধ আছে সেগুলো তাঁর দ্বারাই বাস্তবায়িত হয়েছে। (যোহন ১:১৭; কল. ২:১৬, ১৭) বস্তুত, সত্য ভবিষ্যদ্বাণীর প্রধান উদ্দেশ্য হল, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করায় তাঁর মুখ্য ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা। (প্রকা. ১৯:১০) এ ছাড়া, যীশু হলেন “জীবন।” অনন্ত জীবনের আশীর্বাদ লাভ করতে হলে সকলকে তাঁর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানে বিশ্বাস অনুশীলন করতে হবে।—যোহন ৩:১৬, ৩৬; ইব্রীয় ২:৯.
৩ মস্তক এবং রাজত্বকারী রাজা: এ ছাড়া, যিহোবা তাঁর পুত্রকে যে-বিরাট প্রশাসনিক কাজের অধিকার দিয়েছেন সেটাও লোকেদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে। যীশুকে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হিসেবে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে—‘জাতিগণ তাঁহারই আজ্ঞাবহতা স্বীকার করে।’ (আদি. ৪৯:১০) এ ছাড়া, যিহোবা তাঁকে মণ্ডলীর মস্তক হিসেবেও নিযুক্ত করেছেন। (ইফি. ১:২২, ২৩) আমাদের বাইবেল ছাত্রদের বুঝতে সাহায্য করা দরকার যে, যীশু কীভাবে মণ্ডলীর দেখাশোনা করেন এবং “উপযুক্ত সময়ে” আধ্যাত্মিক “খাদ্য” জোগানোর জন্য “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্ দাস”-কে ব্যবহার করেন।—মথি ২৪:৪৫-৪৭.
৪ করুণাময় মহাযাজক: মানুষ হিসেবে বিভিন্ন পরীক্ষা ও দুঃখভোগ করার অভিজ্ঞতা থাকায়, যীশু “পরীক্ষিতগণের সাহায্য করিতে পারেন।” (ইব্রীয় ২:১৭, ১৮) অসিদ্ধ মানুষের জন্য এটা জানা কতই না হৃদয়গ্রাহী যে, যীশু তাদের দুর্বলতাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সদয়ভাবে তাদের জন্য অনুরোধ করেন! (রোমীয় ৮:৩৪) যীশুর বলিদানের ওপর ভিত্তি করে এবং মহাযাজক হিসেবে তাঁর কাজগুলোর মাধ্যমে আমরা ‘সময়ের উপযোগী উপকার’ লাভ করতে “সাহসপূর্ব্বক” যিহোবার নিকটে আসতে পারি।—ইব্রীয় ৪:১৫, ১৬.
৫ অন্যদের যীশু সম্বন্ধীয় সত্য জানানোর আমাদের প্রচেষ্টাগুলো যেন তাদেরকে তাঁর বাধ্য হতে এবং আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাঁর সেবা করতে পরিচালিত করে।—যোহন ১৪:১৫, ২১.