-
নীকদীমের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করুন২০০২ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১
-
-
পৃথিবীতে যীশু তাঁর পরিচর্যা শুরু করার প্রায় ছয় মাস পর, নীকদীম বুঝতে পারেন যে, যীশু হলেন “ঈশ্বরের নিকট হইতে আগত গুরু।” কিছুদিন আগে সা.কা. ৩০ সালের নিস্তারপর্বের সময়ে, যিরূশালেমে যীশুর আশ্চর্য কাজগুলো দেখে নীকদীম এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে, তিনি রাতের অন্ধকারে যীশুর কাছে এসে তাঁর ওপর তার বিশ্বাসের কথা স্বীকার করে এই গুরুর বিষয়ে আরও জানতে চেয়েছিলেন। তখন যীশু নীকদীমকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে হলে যে “নূতন জন্ম” লাভ করা দরকার সেই গভীর সত্য সম্বন্ধে বলেছিলেন। এই সময়ে যীশু আরও বলেছিলেন: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়।”—যোহন ৩:১-১৬.
নীকদীমের সামনে কী এক চমৎকার প্রত্যাশাই না রয়েছে! তিনি যীশুর একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী হতে পারেন এবং পৃথিবীতে যীশুর জীবনের বিভিন্ন কাজের সরাসরি সাক্ষি হতে পারেন। যিহুদিদের একজন শাসনকর্তা এবং ইস্রায়েলের এক শিক্ষক হিসেবে, ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে নীকদীমের প্রকৃত জ্ঞান ছিল। এছাড়াও, তার গভীর অন্তর্দৃষ্টি ছিল কারণ তিনি যীশুকে ঈশ্বর প্রেরিত একজন শিক্ষক হিসেবে চিনতে পারেন। নীকদীম আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোতে আগ্রহী এবং তিনি যথেষ্ট নম্র। যিহুদিদের উচ্চ আদালতের একজন সদস্যের পক্ষে এক গরিব ছুতোর মিস্ত্রির ছেলেকে ঈশ্বর প্রেরিত এক ব্যক্তি হিসেবে মেনে নেওয়া কতই না কঠিন ব্যাপার! যীশুর একজন শিষ্য হওয়ার ক্ষেত্রে এই গুণগুলো খুবই জরুরি।
-
-
নীকদীমের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করুন২০০২ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১
-
-
প্রথমত, যোহন বলেছিলেন যে এই যিহুদি শাসনকর্তা “রাত্রিকালে যীশুর নিকটে আসিলেন।” (যোহন ৩:২) একজন বাইবেল পণ্ডিত বলেন: “নীকদীম ভয় পেয়েছিলেন বলে যে রাতের বেলায় এসেছিলেন তা নয়, বরং তিনি লোকেদের ভিড় এড়াতে চেয়েছিলেন, যারা হয়তো যীশুর সঙ্গে তার সাক্ষাতে ব্যাঘাত জন্মাতে পারত।” কিন্তু, নীকদীমের বিষয়ে যোহন বলেন যে তিনি “প্রথমে রাত্রিকালে [যীশুর] কাছে আসিয়াছিলেন” এবং ওই একই প্রসঙ্গে তিনি অরিমাথিয়ার যোষেফ সম্বন্ধে বলেছিলেন যে তিনি “যীশুর শিষ্য ছিলেন, কিন্তু যিহূদীদের ভয়ে গুপ্তভাবেই ছিলেন।” (যোহন ১৯:৩৮, ৩৯) তাই এটা বলা যায় যে “যিহূদিগণের ভয়ে” নীকদীম রাতের বেলায় যীশুর কাছে এসেছিলেন, ঠিক যেমন তার সময়ের অন্যান্য লোকেরাও যীশুর সঙ্গে কোনরকম যোগাযোগ করতে ভয় পেত।।—যোহন ৭:১৩.
-