ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • bt অধ্যায় ৪ পৃষ্ঠা ২৮-৩৫
  • “অশিক্ষিত এবং সাধারণ ব্যক্তি”

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • “অশিক্ষিত এবং সাধারণ ব্যক্তি”
  • ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়া’!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “নিজেদের ক্ষমতার কারণে” নয় (প্রেরিত ৩:১১-২৬)
  • “আমরা . . . না বলে থাকতে পারি না” (প্রেরিত ৪:১-২২)
  • “তারা সকলে . . . উচ্চস্বরে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে” (প্রেরিত ৪:২৩-৩১)
  • “মানুষের কাছে নয়, বরং ঈশ্বরের কাছে” নিকাশ দিতে হবে (প্রেরিত ৪:৩২–৫:১১)
  • তিনি প্রভুর কাছ থেকে ক্ষমা সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
  • তিনি প্রভুর কাছ থেকে ক্ষমা করা সম্বন্ধে শিক্ষা লাভ করেছিলেন
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তিনি ভয় ও সন্দেহের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
  • তিনি পরীক্ষার মধ্যেও অনুগত ছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
আরও দেখুন
ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে ‘পুঙ্খানুপুঙ্খ সাক্ষ্য দেওয়া’!
bt অধ্যায় ৪ পৃষ্ঠা ২৮-৩৫

অধ্যায় ৪

“অশিক্ষিত এবং সাধারণ ব্যক্তি”

প্রেরিতেরা সাহস দেখিয়ে কাজ করেন এবং যিহোবা তাদের আশীর্বাদ করেন

প্রেরিত ৩:১–৫:১১ পদের উপর ভিত্তি করে

১, ২. মন্দিরের দরজার কাছে পিতর ও যোহন কোন আশ্চর্য কাজ করেছিলেন?

বেলা প্রায় শেষ হয়ে আসছে, সূর্য ধীরে ধীরে ঢলে পড়ছে, মন্দির প্রাঙ্গণে যিহুদিরা এবং যিশুর শিষ্যেরা একত্রিত হয়েছে, চারিদিকে প্রচুর ভিড়। একটু পরেই ‘প্রার্থনা’ শুরু হবে।a (প্রেরিত ২:৪৬; ৩:১) সেই ভিড়ের মধ্যে পিতর ও যোহন রয়েছেন, তারা ধীরে ধীরে মন্দিরের সুন্দর নামক দরজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, যেটা করিন্থ থেকে আনা চকচকে তামা দিয়ে তৈরি। চারিদিকে লোকদের কথাবার্তা এবং পায়ের শব্দ শোনা যাচ্ছে, এরই মাঝে এক জন্মগত খোঁড়া ব্যক্তি দরজার পাশে বসে ভিক্ষা চাইছে।—প্রেরিত ৩:২; ৪:২২.

২ প্রেরিত পিতর ও যোহন দরজার কাছে পৌঁছালে সেই ভিখারি তাদের কাছেও ভিক্ষা চায়। তাকে দেখে তারা দু-জন থামেন এবং পিতর তাকে বলেন, “আমার কাছে সোনা কিংবা রুপো নেই, তবে আমার কাছে যা আছে, তোমাকে তা-ই দিচ্ছি। নাসরতীয় যিশু খ্রিস্টের নামে ওঠো এবং হেঁটে বেড়াও!” এই কথা বলার পর, পিতর তার হাত ধরে তাকে তুললেন আর সে প্রথম বার নিজের পায়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। আপনি কি কল্পনা করতে পারেন, সেই আশ্চর্য কাজ দেখে লোকেরা কতটা অবাক হয়ে গিয়েছিল? (প্রেরিত ৩:৬, ৭) সেই ভিখারির কথা চিন্তা করুন, যে বড়ো বড়ো চোখ করে নিজের পায়ের দিকে তাকাচ্ছে আর সে যখন সাবধানে তার প্রথম পা ফেলছে, তখন তার হৃদয় কতই-না খুশিতে ভরে যাচ্ছে! শাস্ত্রপদ বলে, সে খুশিতে লাফালাফি করতে লাগল এবং জোরে জোরে ঈশ্বরের প্রশংসা করতে লাগল!

৩. সুস্থ হওয়া ব্যক্তি এবং জনতা কোন উপহার পেয়েছিল?

৩ মন্দিরে যারা সেই আশ্চর্য কাজ দেখেছিল, তাদের আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। তারা অবাক হয়ে যায় যে, এত বড়ো আশ্চর্য কাজ কীভাবে ঘটল! তারা দৌড়ে পিতর ও যোহনের কাছে আসে, যারা শলোমনের বারান্দার কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। এটা সেই জায়গা, যেখান থেকে যিশুও একবার লোকদের শিক্ষা দিয়েছিলেন। (যোহন ১০:২৩) এখন পিতর এই জনতাকে সেই আশ্চর্য কাজের সঠিক অর্থ ব্যাখ্যা করেন। তিনি সেই জনতাকে এবং যে-ব্যক্তি সুস্থ হয়েছিলেন, তাদের এমন এক উপহার দেন, যেটা সোনার চেয়েও দামি এমনকী শারীরিক সুস্থতার চেয়েও অনেক বড়ো কিছু। উপহারটা কী? এটা হল অনুতাপ দেখানোর এক সুযোগ, যাতে তাদের পাপ মুছে ফেলা হয় আর তারা যিশুর শিষ্য হতে পারে, যাকে যিহোবা ‘জীবনের মুখ্য প্রতিনিধি’ করেছেন।—প্রেরিত ৩:১৫.

৪.(ক) আশ্চর্য কাজ করায় যিশুর শিষ্যদের কাদের মুখোমুখি হতে হয়? (খ) আমরা কোন দুটো প্রশ্নের উত্তর জানতে পারব?

৪ এটা সত্যিই একটা স্মরণীয় দিন! একজন খোঁড়া ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে সুস্থ করা হয় এবং সে হাঁটা চলা করতে পারে। সেইসঙ্গে হাজার হাজার জনতাকে আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ হওয়ার এক সুযোগ দেওয়া হয়, যাতে তারা ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী জীবনযাপন করতে পারে। (কল. ১:৯, ১০) শুধু তাই নয়, আজকে যে-ঘটনা ঘটেছে, সেই ঘটনার জন্য খ্রিস্টের বিশ্বস্ত শিষ্যদের বড়ো বড়ো আধিকারিকদের মুখোমুখি হতে হয়। এই আধিকারিকেরা তাদের প্রচার করার বিষয়ে যিশুর দেওয়া আজ্ঞা পালন করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। (প্রেরিত ১:৮) যদিও পিতর ও যোহন “অশিক্ষিত এবং সাধারণ ব্যক্তি” ছিলেন, কিন্তু তারা সেই জনতার কাছে যেভাবে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে আচরণ করেছিলেন, সেখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি?b (প্রেরিত ৪:১৩) পিতর, যোহন এবং বাকি শিষ্যদের মতো কীভাবে আমরা তাড়না সহ্য করতে পারি?

“নিজেদের ক্ষমতার কারণে” নয় (প্রেরিত ৩:১১-২৬)

৫. পিতর যেভাবে জনতার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সেখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

৫ পিতর ও যোহন এখন সেই জনতার মুখোমুখি হয়ে কথা বলার জন্য প্রস্তুত। তারা জানতেন, ভিড়ের মধ্যে এমন লোকেরাও রয়েছে, যারা কিছু সময় আগেই চিৎকার করে করে যিশুকে যাতনা দণ্ডে হত্যা করার দাবি করেছিল। (মার্ক ১৫:৮-১৫; প্রেরিত ৩:১৩-১৫) তারপরও পিতর তাদেরকে ভয় না পেয়ে সাহসের সঙ্গে বলেন, সেই খোঁড়া ব্যক্তিকে যিশুর নামে সুস্থ করা হয়েছে। এই সত্যটা তিনি সরাসরি ঘোষণা করেন। তিনি এটা ভেবে ভয় পাননি যে, লোকেরা এই কথাটা শুনে রেগে যাবে। এরপর তিনি সেই জনতাকে দোষারোপ করে বলেন, খ্রিস্ট মারা যাওয়ার জন্য তারাই দায়ী। কিন্তু পিতর সেই লোকদের ঘৃণা করেননি কারণ তিনি জানতেন, সেই লোকেরা যা কিছু করেছে তা “না বুঝেই” করেছে। (প্রেরিত ৩:১৭) তিনি তাদের ভাই হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন এবং রাজ্যের বার্তার সেই দিকটাতে মনোযোগ আকর্ষণ করিয়েছিলেন, যেটা জেনে তারা খুশি হবে। তিনি তাদের বলেন, যদি তারা অনুতপ্ত হয় এবং খ্রিস্টের উপর বিশ্বাস দেখায়, তা হলে যিহোবা তাদের আধ্যাত্মিকভাবে “প্রশান্তির সময়” দেখার সুযোগ দেবেন। (প্রেরিত ৩:১৯) আমরাও সাক্ষ্য দেওয়ার সময় পিতরের উদাহরণ অনুকরণ করতে পারি। ঈশ্বরের আসন্ন বিচার সম্বন্ধে আমাদেরও সাহসের সঙ্গে এবং সরাসরি কথা বলতে হবে। তবে, আমাদের কঠোর ভাষা ব্যবহার করা, খারাপ আচরণ করা এবং সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলা উচিত নয়। এর পরিবর্তে, আমাদের উচিত তাদের সম্ভাব্য ভাই ও বোন হিসেবে দেখা। পিতরের মতো আমরাও তাদের রাজ্যের বার্তার সেই দিকগুলোর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করাতে চাই, যেগুলো তাদের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলবে এবং আনন্দ দেবে।

৬. পিতর ও যোহন কীভাবে দেখিয়েছিলেন যে, তারা নম্র ও বিনয়ী?

৬ সেই প্রেরিতেরা খুবই বিনয়ী ছিলেন। তারা লোকদের বলেননি যে, এই আশ্চর্য কাজ তারা নিজেদের শক্তিতে করেছেন। পিতর সেই লোকদের বলেন, “হে ইজরায়েলের লোকেরা, এই ঘটনা দেখে তোমরা কেন এত আশ্চর্য হচ্ছ? আর তোমরা কেনই-বা এইরকমটা মনে করে আমাদের দিকে তাকিয়ে রয়েছ যে, আমাদের নিজেদের ক্ষমতার কারণে কিংবা ঈশ্বরের প্রতি আমাদের ভক্তির কারণে এই ব্যক্তি হাঁটতে পারছে?” (প্রেরিত ৩:১২) পিতর এবং অন্যান্য প্রেরিতেরা জানতেন যে, প্রচার কাজে তারা যে-সফলতাই লাভ করুক না কেন, তা তারা নিজেদের শক্তিতে নয় বরং ঈশ্বরের শক্তিতেই লাভ করে। তাই, তাদের সফলতার জন্য তারা লোকদের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়ার পরিবর্তে, বিনয়ী হয়ে যিহোবা ও যিশুর প্রশংসা করে।

৭, ৮. (ক) আমরা লোকদের কোন উপহার পাওয়ার জন্য সাহায্য করতে পারি? (খ) ‘সমস্ত বিষয়ের পুনর্স্থাপন’ করার প্রতিজ্ঞা বর্তমানে কীভাবে পরিপূর্ণ হচ্ছে?

৭ প্রচার কাজের ক্ষেত্রে আমাদেরও প্রেরিতদের মতো বিনয়ী হতে হবে। এটা ঠিক যে, বর্তমানে লোকদের সুস্থ করার জন্য ঈশ্বরের পবিত্র শক্তি খ্রিস্টানদের অলৌকিকভাবে সাহায্য করে না। কিন্তু, আমরা ঈশ্বর ও খ্রিস্টের প্রতি বিশ্বাস দেখাতে এবং সেই উপহার পেতে লোকদের সাহায্য করতে পারি, যেটার বিষয়ে পিতর বলেছিলেন। এই উপহার হল, ঈশ্বরের কাছ থেকে পাপের ক্ষমা পাওয়ার এবং সতেজতা লাভ করার এক সুযোগ। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক এই উপহার লাভ করছে এবং বাপ্তিস্ম নিয়ে খ্রিস্টের শিষ্য হচ্ছে।

৮ পিতর এমন এক সময়ের বিষয়ে উল্লেখ করেন, যখন ‘সমস্ত বিষয়ের পুনর্স্থাপন’ করা হবে আর বর্তমানে আমরা সেই সময়েই বাস করছি। “ঈশ্বর অতীতে তাঁর বিশ্বস্ত ভাববাদীদের মাধ্যমে” যে-ভবিষ্যদবাণীগুলো করিয়েছিলেন, সেই অনুযায়ী ১৯১৪ সালে স্বর্গে ঈশ্বরের রাজ্য স্থাপিত হয়েছিল। (প্রেরিত ৩:২১; গীত. ১১০:১-৩; দানি. ৪:১৬, ১৭) এর কিছু সময় পরই, খ্রিস্ট পৃথিবীতে সত্য উপাসনাকে পুনর্স্থাপন করার কাজে তাঁর শিষ্যদের সাহায্য করেন। ফলে, লক্ষ লক্ষ লোক যিহোবার প্রজা হওয়ার সুযোগ পেয়েছে এবং এখন শান্তি ও একতার সঙ্গে যিহোবার উপাসনা করছে। তারা তাদের পুরোনো খারাপ ব্যক্তিত্ব কাপড়ের মত খুলে ফেলেছে আর ‘সেই নতুন ব্যক্তিত্বকে কাপড়ের মতো পরিধান করেছে, যা ঈশ্বরের ইচ্ছার সঙ্গে মিল রেখে সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (ইফি. ৪:২২-২৪) এটা একটা বড়ো আশ্চর্য কাজ, তবে এই কাজ মানুষের শক্তিতে নয় বরং ঈশ্বরের পবিত্র শক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকে, ঠিক যেমন সেই খোঁড়া ভিখারি ঈশ্বরের পবিত্র শক্তির মাধ্যমে সুস্থ হয়েছিল। পিতরের মতো আমাদেরও সাহসের সঙ্গে আর কার্যকরী উপায়ে অন্যদের ঈশ্বরের বাক্য থেকে শেখানো উচিত। শিষ্য তৈরির কাজে আমরা যে-সফলতাই লাভ করি না কেন, তা নিজেদের শক্তিতে নয় বরং ঈশ্বরের শক্তিতে লাভ করি।

“আমরা . . . না বলে থাকতে পারি না” (প্রেরিত ৪:১-২২)

৯-১১. (ক) পিতর ও যোহনের কথা শুনে যিহুদি আধিকারিকেরা কী করেছিল? (খ) প্রেরিতেরা কী করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ ছিলেন?

৯ সেই খোঁড়া ব্যক্তির সুস্থ হওয়া, আনন্দে চিৎকার করা, লাফালাফি করা তারপর পিতরের বক্তৃতা দেওয়া, মন্দিরে এই সমস্ত কিছু ঘটছে, তাই স্বাভাবিকভাবেই চারিদিকে হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। সেই জন্য মন্দিরের প্রধান যাজক এবং রক্ষীদের অধ্যক্ষ সেখানে এটা দেখার জন্য আসেন যে, কী ঘটছে। এই ব্যক্তিরা সম্ভবত সদ্দূকী ছিল। সদ্দূকীরা অনেক ধনী হত এবং রাজনীতিতে তাদের অনেক প্রভাব ছিল। আর তারা রোমীয় সরকারের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করত। সদ্দূকীরা মৌখিক আইন মানত না আবার অন্যদিকে ফরীশীরা মৌখিক আইন খুব ভালোবাসত। শুধু তাই নয়, সদ্দূকীরা এমনকি পুনরুত্থানের শিক্ষা নিয়ে ঠাট্টা করত। তাই যখন মন্দিরে এসে সদ্দূকীরা দেখল, পিতর ও যোহন যিশুর পুনরুত্থানের বিষয়ে সাহসের সঙ্গে শিক্ষা দিচ্ছেন, তখন তা দেখে তাদের রক্ত টগবগ করে ফুটতে লাগল।c

১০ তারা পিতর ও যোহনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাদের নিয়ে গিয়ে কারাগারে বন্দি করে। পরের দিনই তাদের টানতে টানতে যিহূদীদের সবচেয়ে বড়ো আদালতে নিয়ে যায়। আদালতের সেই বিশিষ্ট কর্তৃপক্ষদের চোখে পিতর ও যোহন “অশিক্ষিত এবং সাধারণ ব্যক্তি” ছিলেন আর তাদের মন্দিরে শিক্ষা দেওয়ার কোনো অধিকার ছিল না। তারা কোন নামকরা ধর্মীয় স্কুল থেকে শিক্ষা নেননি। কিন্তু, পিতর ও যোহন যখন নিজেদের পক্ষসমর্থন করে কথা বলতে শুরু করেন, তখন পুরো আদালত এটা দেখে হতবাক হয়ে যায় যে, কীভাবে এই ব্যক্তিরা সাহস দেখিয়ে এবং দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলছেন! কীভাবে তারা এত দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলেন? একটা কারণ হল, তারা “যিশুর সঙ্গে ছিলেন।” (প্রেরিত ৪:১৩) তাদের প্রভু যিশু অধ্যাপকদের মতো নয় বরং এমনভাবে শিক্ষা দিতেন, যেন তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে কর্তৃত্ব পেয়েছেন। —মথি ৭:২৮, ২৯.

১১ আদালত প্রেরিতদের প্রচার কাজ বন্ধ করার আদেশ দেয়। যিহুদি সমাজে আদালতের কথাই ছিল শেষ কথা। কয়েক সপ্তাহ আগেই এই একই আদালত যিশুকে বলেছিল, “সে মৃত্যুর যোগ্য।” (মথি ২৬:৫৯-৬৬) কিন্তু তা সত্ত্বেও, পিতর ও যোহন ভয় পাননি। তারা সেই ধনী ক্ষমতাশালী এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের সামনে ভয় না পেয়ে সম্মানের সঙ্গে বলেন, “ঈশ্বরের কথা না শুনে বরং আপনাদের কথা শোনা ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সঠিক কি না, তা আপনারাই বিচার করুন। তবে, আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি, তা না বলে থাকতে পারি না।”—প্রেরিত ৪:১৯, ২০.

মহাযাজক এবং প্রধান যাজকেরা

মহাযাজক ছিলেন ইজরায়েল জাতির প্রতিনিধি, যিনি ইজরায়েলীয়দের হয়ে ঈশ্বরের সামনে উপস্থিত হতেন। প্রথম শতাব্দীতে এই মহাযাজকেরা যিহুদি মহাসভার প্রধান ছিল। মহাযাজক এবং প্রধান যাজকেরা যিহুদিদের নেতা ছিল। এই নেতাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিরাও ছিল, যারা আগে মহাযাজক ছিল, যার একটা উদাহরণ হল, হানন। সেইসঙ্গে যে চার-পাঁচটা বংশ থেকে মহাযাজকদের বাছাই করা হত, তাদের বংশের কিছু সদস্যেরা মহাসভারও সদস্য ছিল। ইমিল শুরর নামে একজন পণ্ডিতের মতে, “মহাযাজকদের যেহেতু এই বিশেষ কয়েকটা পরিবারের মধ্য থেকেই বাছাই করা হত, তাই এই পরিবারের অংশ হওয়াটাই এক বিশেষ সম্মানের বিষয় ছিল। আর এই বিষয়টাই তাদের [যাকোবের পরিবারের মধ্যে] এক বিশেষ পরিচয় দিত।”

বাইবেল বলে, একজন ব্যক্তিকে যখন মহাযাজক হিসেবে নিযুক্ত করা হত, তখন থেকে সারা জীবন তাকে সেই পদে সেবা করতে হত। (গণনা. ৩৫:২৫) প্রেরিত বই থেকে আমরা বুঝতে পারি, এই ঘটনাটা যে-সময় ঘটেছিল, সেই সময়কার রোমীয় রাজ্যপাল এবং রাজারা যেকোনো সময় মহাযাজককে তার পদে নিযুক্ত অথবা বরখাস্ত করতে পারতেন। এটা মনে করা হয়, মিথ্যা দেবতাদের উপাসনাকারী এই শাসকরা, কেবলমাত্র হারোণের বংশ থেকেই মহাযাজকদের বাছাই করত।

১২. প্রচার করার ক্ষেত্রে সাহস ও দৃঢ়তা বৃদ্ধি করার জন্য কোন বিষয়টা আমাদের সাহায্য করতে পারে?

১২ আপনারও কি প্রেরিতদের মতো সাহস রয়েছে? আপনাকে যখন এমন ব্যক্তিদের কাছে সাক্ষ্য দিতে হয়, যারা উচ্চ শিক্ষিত এবং যাদের সমাজে অনেক প্রভাব রয়েছে, তখন আপনি কেমন অনুভব করেন? যখন আপনার পরিবার, সহপাঠী ও সহকর্মীরা আপনার বিশ্বাস নিয়ে ঠাট্টা করে, তখন আপনি কেমন অনুভব করেন? আপনি কি ভয় পান? যদি পেয়ে থাকেন, তা হলে আপনি আপনার ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেন। পৃথিবীতে থাকার সময় যিশু তাঁর শিষ্যদের শিখিয়েছিলেন, কীভাবে তারা একেবারে নিশ্চয়তা এবং সম্মানের সঙ্গে তাদের বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করতে পারে। (মথি ১০:১১-১৮) যিশু পুনরুত্থিত হওয়ার পর, তিনি তাঁর শিষ্যদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, “এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময় পর্যন্ত আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।” (মথি ২৮:২০) সেই জন্য “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস” যিশুর কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে আমাদের শিখিয়ে থাকে, কীভাবে আমরা বিশ্বাসের পক্ষ সমর্থন করতে পারি। (মথি ২৪:৪৫-৪৭; ১ পিতর ৩:১৫) এই দাস আমাদের মণ্ডলীর সভা এবং পত্রপত্রিকার মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়ে থাকে। যেমন, আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা সভা এবং jw.org ওয়েবসাইটে থাকা “বাইবেলের প্রশ্নের উত্তর।” আপনি কি এই ব্যবস্থাগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন? যদি তা করেন, তা হলে প্রচার করার ক্ষেত্রে আপনার সাহস এবং দৃঢ়তা বৃদ্ধি পাবে। প্রেরিতদের মতো বাইবেলের যে-চমৎকার সত্য আপনি দেখেছেন ও শিখেছেন, তা বলার ক্ষেত্রে কোন কিছুই আপনাকে বাধা দিতে পারবে না।

একজন বোন চায়ের বিরতির সময় তার সহকর্মীর কাছে সাক্ষ্য দিচ্ছেন

বাইবেল থেকে আপনি যে-মূল্যবান সত্য শিখেছেন, তা অন্যদের জানানোর ক্ষেত্রে কোনো কিছুই যেন আপনাকে বাধা না দেয়

“তারা সকলে . . . উচ্চস্বরে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে” (প্রেরিত ৪:২৩-৩১)

১৩, ১৪. বিরোধিতার মুখোমুখি হলে আমাদের কী করা উচিত এবং কেন?

১৩ এরপর পিতর ও যোহনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারা দ্রুত ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করতে যান। তারপর “তারা সকলে একতাবদ্ধভাবে উচ্চস্বরে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলল,” তিনি যেন তাদের প্রচার করে চলার জন্য সাহস দেন। (প্রেরিত ৪:২৪) প্রেরিত পিতর ভালোভাবে জানতেন, ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার জন্য নিজের শক্তির উপর নির্ভর করা কতটা মূর্খতাপূর্ণ কাজ হবে। কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি নিজের উপর অতিরিক্ত নির্ভর করেছিলেন আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে যিশুকে বলেছিলেন, “আপনার প্রতি যা ঘটবে, তাতে অন্য সকলে কিছু সময়ের জন্য বিশ্বাস হারালেও আমি কখনোই হারাব না!” কিন্তু, কিছু সময় পরই পিতর লোক ভয়ের কাছে নতিস্বীকার করেছিলেন আর ঠিক যিশু যেমন বলেছিলেন, পিতর তাঁর প্রভুকে এবং বন্ধুদের চিনতে অস্বীকার করেছিলেন। তবে তিনি তার এই ভুল থেকে শিক্ষা লাভ করেছিলেন।—মথি ২৬:৩৩, ৩৪, ৬৯-৭৫.

১৪ খ্রিস্টের বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ থাকাই যথেষ্ট নয়। বিরোধীরা যখন আপনার বিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার কিংবা প্রচার করার ক্ষেত্রে আপনাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন পিতর ও যোহন যা করেছিলেন, আপনিও তা-ই করতে পারেন। যিহোবার কাছে সাহস চেয়ে প্রার্থনা করুন, মণ্ডলীর ভাই-বোনদের কাছ থেকে সাহায্য চান, প্রাচীনদের এবং অন্যান্য পরিপক্ব ভাই-বোনদের কাছে আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। অন্যেরা যখন আপনার জন্য প্রার্থনা করবে, তখন আপনি আরও দৃঢ় হতে পারবেন আর প্রচার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তি পাবেন।—ইফি. ৬:১৮; যাকোব ৫:১৬.

১৫. যারা কিছু সময়ের জন্য প্রচার কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল কেন তাদের নিরুৎসাহিত হওয়া উচিত নয়?

১৫ বিরোধীদের ভয়ে আপনি যদি কিছু সময়ের জন্য প্রচার কাজ বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, তা হলে নিরুৎসাহিত হবেন না। মনে রাখবেন, যিশু মারা যাওয়ার পর সমস্ত প্রেরিতেরা কিছু সময়ের জন্য প্রচার করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, কিন্তু তারা দ্রুত উদ্যোগের সঙ্গে আবারও প্রচার করতে শুরু করেছিলেন। (মথি ২৬:৫৬; ২৮:১০, ১৬-২০) নিজের অতীতের ভুলগুলোর কারণে নিরুৎসাহিত হওয়ার পরিবর্তে, সেখান থেকে শিক্ষা লাভ করুন এবং নিজের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে অন্যদের জানানোর মাধ্যমে তাদেরও শক্তিশালী করুন।

১৬, ১৭. যিশুর শিষ্যদের করা প্রার্থনা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

১৬ জগতের আধিকারিকেরা যখন আমাদের উপর তাড়না নিয়ে আসে, তখন ঈশ্বরের কাছে আমাদের কোন বিষয় নিয়ে প্রার্থনা করা উচিত? লক্ষ করুন, যিশুর শিষ্যেরা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে এটা বলেনি যে, আমাদের উপর পরীক্ষা না আসুক। তারা সবসময় যিশুর এই কথাগুলো মনে রাখত, “তারা যদি আমাকে তাড়না করে, তা হলে তারা তোমাদেরও তাড়না করবে।” (যোহন ১৫:২০) তাই, সেই অনুগত শিষ্যেরা যিহোবার কাছে অনুরোধ করে বলে, বিরোধীরা তাদের যে-ভয় দেখাচ্ছে, তিনি যেন সেটার “প্রতি মনোযোগ” দেন। (প্রেরিত ৪:২৯) শিষ্যেরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে, বিরোধিতার বিষয়ে যে-ভবিষ্যদ্‌বাণী করা হয়েছিল, তা পরিপূর্ণ হচ্ছে। তারা এটাও জানতেন, জগতের শাসকেরা যা-ই বলুক না কেন ঈশ্বরের ‘ইচ্ছা পৃথিবীতেও পূর্ণ হবে,’ ঠিক যেমন যিশু তাঁর প্রার্থনায় শিখিয়েছিলেন।—মথি ৬:৯, ১০.

১৭ শিষ্যেরা ঈশ্বরের ইচ্ছা সম্পন্ন করতে চায়, তাই যিহোবার কাছে প্রার্থনা করে বলে, “তোমার দাসদের সাহসের সঙ্গে তোমার বাক্য বলে চলার ক্ষমতা দাও।” যিহোবা সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রার্থনার উত্তর দেন। “তারা যেখানে একত্রিত হয়েছিলেন, সেই স্থান কেঁপে উঠল আর প্রত্যেকে পবিত্র শক্তিতে পূর্ণ হলেন এবং সাহসের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য বলতে লাগলেন।” (প্রেরিত ৪:২৯-৩১) কোনো কিছুই যিহোবার ইচ্ছাকে পরিপূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দিতে পারে না। (যিশা. ৫৫:১১) সমস্যা যতই বড়ো হোক না কেন অথবা বিরোধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন, আমরা যদি ঈশ্বরের কাছে সাহস চেয়ে প্রার্থনা করি, তা হলে নিশ্চিত থাকতে পারি, তিনি আমাদের সাহসের সঙ্গে তাঁর বাক্য প্রচার করার ক্ষেত্রে শক্তি জোগাবেন।

“মানুষের কাছে নয়, বরং ঈশ্বরের কাছে” নিকাশ দিতে হবে (প্রেরিত ৪:৩২–৫:১১)

১৮. জেরুসালেমের ভাই-বোনেরা একে অন্যের জন্য কী করেছিল?

১৮ কিছু সময়ের মধ্যেই জেরুসালেমে সেই নতুন মণ্ডলীতে ভাই-বোনদের সংখ্যা বেড়ে ৫,০০০রেও বেশি হয়ে গিয়েছিল।d আলাদা আলাদা পটভূমি থেকে আসা সত্ত্বেও সেই শিষ্যেরা “মনেপ্রাণে এক ছিল।” আসলে, তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং চিন্তাভাবনা একইরকম ছিল। (প্রেরিত ৪:৩২; ১ করি. ১:১০) শিষ্যেরা কেবলমাত্র সাহায্য চেয়ে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন এমন নয় বরং তারা একে অপরের বিশ্বাস মজবুত করেছিল এবং প্রয়োজনের সময় তাদের বস্তুগত বিষয় দিয়েও সাহায্য করেছিল। (১ যোহন ৩:১৬-১৮) উদাহরণ স্বরূপ, যোষেফের কথা চিন্তা করুন, যাকে শিষ্যেরা বার্ণবা বলে ডাকত। তিনি তার জমি বিক্রি করে সেই টাকাপয়সা আনন্দের সঙ্গে সেই ভাইদের দিয়ে দেন, যারা জেরুসালেমে এসে বেশ কিছুদিন ছিল যাতে তারা তাদের নতুন বিশ্বাস সম্বন্ধে আরও কিছু শিখতে পারে।

১৯. যিহোবা অননিয় ও সাফীরাকে কেন মেরে ফেলেছিলেন?

১৯ এক দম্পতি অননিয় ও সাফীরা তারাও তাদের জমি বিক্রি করে দান দিয়েছিলেন। তারা সবাইকে এটা বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, জমি বিক্রির সমস্ত টাকা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু, তারা “কিছু টাকা গোপনে নিজের কাছে রেখে” দিয়েছিলেন। (প্রেরিত ৫:২) যিহোবা সেই দম্পতিকে মেরে ফেলেছিলেন। এর কারণ এটা নয় যে তারা কম টাকা দিয়েছিলেন বরং তাদের উদ্দেশ্য ভুল ছিল আর তারা ছলনা করেছিলেন। আসলে তারা “মানুষের কাছে নয়, বরং ঈশ্বরের কাছে মিথ্যা” বলেছিলেন। (প্রেরিত ৫:৪) অননিয় ও সাফীরা সেই ভণ্ডদের মতো হয়ে গিয়েছিলেন, যাদের যিশু নিন্দা করেছিলেন আর যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে অনুগ্রহ পেতে নয় বরং মানুষের গৌরব পেতে চেয়েছিলেন।—মথি ৬:১-৩.

২০. যিহোবাকে কিছু দেওয়ার বিষয়ে আমরা কোন শিক্ষা লাভ করি?

২০ প্রথম শতাব্দীর বিশ্বস্ত শিষ্যদের মতো বর্তমানেও লক্ষ লক্ষ যিহোবার সাক্ষি পৃথিবীব্যাপী প্রচার কাজের জন্য হৃদয় থেকে দান দিয়ে থাকে। কাউকে জোরাজুরি করা হয় না যে, প্রচার কাজের জন্য সময় অথবা টাকাপয়সা দিতেই হবে। যিহোবা চান না, আমরা মনে দুঃখ নিয়ে কিংবা করতে হবে বলে তাঁর সেবা করি। (২ করি. ৯:৭)আমরা যখন যিহোবার সেবায় সময় ব্যয় করি অথবা কিছু দান দিই, তখন তিনি এটা দেখেন না আমরা কতটা দিচ্ছি বরং এটা দেখেন, কোন মনোভাব নিয়ে তা দিচ্ছি। (মার্ক ১২:৪১-৪৪) আমরা অননিয় ও সাফীরার মতো হতে চাই না অথবা নিজের স্বার্থে কিংবা লোকদের কাছ থেকে গৌরব পাওয়ার জন্য যিহোবার সেবা করতে চাই না। এর পরিবর্তে আমরা পিতর, যোহন ও বার্ণবার মতো হতে চাই এবং তাদের উদাহরণ অনুকরণ করতে চাই আর যিহোবা এবং প্রতিবেশীর প্রতি প্রকৃত প্রেমের কারণে তাঁর সেবা করতে চাই। —মথি ২২:৩৭-৪০.

পিতর—যিনি একজন জেলে থেকে উদ্যোগী প্রেরিত হয়েছিলেন

বাইবেলে প্রেরিত পিতরকে পাঁচটা আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়েছে। তার ইব্রীয় নাম ছিল শিমিয়োন, যাকে গ্রিক ভাষায় শিমোন বলা হত। লোকেরা তাকে অরামীয় ভাষায় কৈফা বলে ডাকত, যা গ্রিক ভাষায় অনুবাদ করলে হয় পিতর। এ ছাড়া, তার দুটো নাম একসঙ্গে জুড়ে তাকে শিমোন পিতর বলেও ডাকা হত।—মথি ১০:২; যোহন ১:৪২; প্রেরিত ১৫:১৪.

প্রেরিত পিতর মাছের ঝুড়ি ধরে আছেন।

পিতর বিবাহিত ছিলেন আর তার শাশুড়ি এবং ভাই আন্দ্রিয় তার বাড়িতেই থাকতেন। (মার্ক ১:২৯-৩১) পিতর একজন জেলে ছিলেন, যিনি গালীল সাগরের উত্তর উপকূলে অবস্থিত বৈৎসৈদা নামক এক গ্রামে বাস করতেন। (যোহন ১:৪৪) পরে তিনি বৈৎসৈদা থেকে একটু দূরে কফরনাহূম থাকতে শুরু করেন। (লূক ৪:৩১, ৩৮) এই পিতরের নৌকায় বসে যিশু একবার গালীল সাগরের তীরে এক বিরাট জনতাকে শিক্ষা দিয়েছিলেন। এর কিছু সময় পরই, যিশুর কথা মতো পিতর গভীর জলে জাল ফেলেন আর আশ্চর্যভাবে সেই জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে। এটা দেখে পিতর ভয়ে যিশুর সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। কিন্তু যিশু তাকে বলেন: “ভয় কোরো না। তুমি যেমন মাছ ধরে থাক, এখন থেকে তেমনই মানুষ ধরবে।” (লূক ৫:১-১১) পিতরের সঙ্গে এই মাছ ধরার কাজে যাকোব, যোহন এবং তার ভাই আন্দ্রিয় ছিলেন। যিশু যখন তাদের চার জনকে তাঁর শিষ্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, তখন তারা দ্রুত তাদের সেই মাছের ব্যাবসা ছেড়ে তাঁকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। (মথি ৪:১৮-২২; মার্ক ১:১৬-১৮) এর প্রায় এক বছর পর, যিশু যখন তাঁর ১২ জন প্রেরিত বাছাই করেন, তখন তাদের মধ্যে পিতরও ছিলেন। “প্রেরিত” শব্দের অর্থ হল, “পাঠান।”—মার্ক ৩:১৩-১৬.

যিশু কিছু বিশেষ মুহূর্তে পিতর, যাকোব ও যোহনকে তাঁর সঙ্গে নিয়েছিলেন। একটা দর্শনে যিশু যখন রূপান্তরিত হয়েছিলেন, তখন তা দেখার জন্য এই তিন জনকে বাছাই করেছিলেন। আর তিনি যখন যায়ীরের মেয়েকে পুনরুত্থিত করেছিলেন, তখন তাদের তিন জনকে তার সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন, যাতে তারা নিজের চোখে সেই আশ্চর্য কাজ দেখতে পারে। গেৎশিমানী বাগানে যিশু কষ্টের মধ্যে থাকার সময় এই তিন জনকে তাঁর কষ্টের বিষয় জানিয়েছিলেন। (মথি ১৭:১, ২; ২৬:৩৬-৪৬; মার্ক ৫:২২-২৪, ৩৫-৪২; লূক ২২:৩৯-৪৬) এ ছাড়া, আন্দ্রিয়ের সঙ্গে এই তিন জনও যিশুর উপস্থিতি সম্বন্ধে প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন।—মার্ক ১৩:১-৪.

পিতর তার মনের কথা খোলাখুলিভাবে বলতেন। তিনি একজন উদ্যোগী এবং চনমনে ব্যক্তি ছিলেন আর কখনো কখনো চিন্তাভাবনা না করেই কথা বলতেন। এটা মনে করা হয়, পিতর অন্যান্য শিষ্যদের কথা বলার আগেই কথা বলে ফেলতেন। সুসমাচারের বইয়ে এগারো জন শিষ্যদের বিষয়ে যা-কিছু লেখা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি কথা একা পিতরের বিষয়ে লেখা রয়েছে। যিশুকে সবসময় প্রেরিত পিতরই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেন, যেখানে অন্যান্য প্রেরিতেরা চুপ করে থাকতেন। (মথি ১৫:১৫; ১৮:২১; ১৯:২৭-২৯; লূক ১২:৪১; যোহন ১৩:৩৬-৩৮) একবার যিশু যখন পিতরের পা ধুয়ে দিচ্ছিলেন, তখন পিতর তাঁকে বারণ করেন। কিন্তু, যিশু তাকে সংশোধন করলে পিতর বলেন, আপনি আমার শুধু পা-ই নয়, আমার হাত ও মাথাও ধুয়ে দিন।—যোহন ১৩:৫-১০.

পিতর যিশুকে খুবই ভালোবাসতেন। তাই তিনি যখন জানতে পারেন, যিশুকে কষ্ট ভোগ করতে হবে এবং তাঁকে হত্যা করা হবে, তখন তিনি যিশুকে বোঝাতে লাগলেন, তাঁর প্রতি এমন কিছুই ঘটবে না। তবে, পিতরের এই চিন্তাভাবনা যেহেতু ভুল ছিল, তাই যিশু তাকে দৃঢ়ভাবে সংশোধন করেন। (মথি ১৬:২১-২৩) যিশুর জীবনের শেষ রাতে পিতর দাবি করে বলেছিলেন, সমস্ত প্রেরিতেরা আপনাকে ছেড়ে চলে গেলেও আমি কখনো আপনাকে ছেড়ে যাব না। এরপর শত্রুরা এসে যখন যিশুকে গ্রেপ্তার করে, তখন পিতর তাঁকে বাঁচানোর জন্য তলোয়ার নিয়ে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে যান। শুধু তাই নয়, এরপর তিনি সাহসের সঙ্গে যিশুর পিছু নিয়ে মহাযাজকের বাড়ির প্রাঙ্গণ পর্যন্ত যান। কিন্তু কিছু সময় পর, এই পিতরই ভয় পেয়ে তার প্রভু যিশুকে তিন বার অস্বীকার করেন। তারপর তিনি যখন তার ভুল বুঝতে পারেন, তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন।—মথি ২৬:৩১-৩৫, ৫১, ৫২, ৬৯-৭৫.

যিশু পুনরুত্থিত হওয়ার পর প্রথম বার গালীলে তাঁর প্রেরিতদের দেখা দেন। এর কিছু সময় আগেই পিতর বাকি প্রেরিতদের বলেন, তিনি মাছ ধরতে যাচ্ছেন আর বাকি প্রেরিতেরাও তার সঙ্গে যান। গালীল সাগরে পিতর যখন তার নৌকায় বসে রয়েছেন, এমন সময় তিনি বুঝতে পারেন, সাগরের তীরে যিশু রয়েছেন, তখন কোনো দিকে না তাকিয়ে তিনি সমুদ্রে ঝাঁপ দেন এবং সাঁতরে তীরে পৌঁছান। যিশু প্রেরিতদের জন্য কিছু মাছ রান্না করেছিলেন আর তা খাবার পর যিশু পিতরকে বলেন, তিনি “এগুলোর” চেয়ে অর্থাৎ তারা যে-মাছ ধরেছিল, সেগুলোর চেয়ে তাঁকে বেশি ভালোবাসে কি না। আসলে যিশু পিতরকে উৎসাহিত করতে চেয়েছিলেন, পিতর যেন তাঁর মাছের ব্যাবসা ছেড়ে দিয়ে পূর্ণ সময়ের জন্য তাঁকে অনুসরণ করা বেছে নেয়।—যোহন ২১:১-২২.

পিতর প্রায় ৬২ থেকে ৬৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ব্যাবিলনে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, যেখানে অনেক যিহুদিরা বাস করত। (১ পিতর ৫:১৩) এই ব্যাবিলনে পিতর ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় তাঁর প্রথম চিঠিটা লিখেছিলেন আর সম্ভবত তিনি তাঁর দ্বিতীয় চিঠিটাও সেখানে থাকার সময় লিখেছিলেন। যিশু পিতরকে “ছিন্নত্বক লোকদের মধ্যে একজন প্রেরিত হওয়ার জন্য শক্তি” দিয়েছিলেন। (গালা. ২:৮, ৯) পিতর সমবেদনার মতো গুণাবলি গড়ে তুলেছিলেন এবং উদ্যোগের সঙ্গে তার কার্যভার সম্পন্ন করেছিলেন।

যোহন—যাকে যিশু ভালোবাসতেন

প্রেরিত যোহন ছিলেন সিবদিয়ের ছেলে এবং যাকোবের ভাই আর তার মায়ের নাম সম্ভবত শালোমী ছিল, যিনি যিশুর মা মরিয়মের বোন ছিলেন। (মথি ১০:২; ২৭:৫৫, ৫৬; মার্ক ১৫:৪০; লূক ৫:৯, ১০) সেইজন্য যোহন সম্ভবত যিশুর একজন আত্মীয় ছিলেন। এটা মনে করা হয়, যোহনের পরিবার অনেক ধনী ছিল। তার বাবা সিবদিয়ের এত বড়ো মাছের ব্যাবসা ছিল যে, অনেক লোক সেখানে কাজ করত। (মার্ক ১:২০) যিশু যখন গালীলে ছিলেন, তখন যোহনের মা শালোমী যিশুর সঙ্গে প্রচারে যেতেন এবং তাঁর সেবা করতেন। যিশু মারা যাওয়ার পর তাঁকে কবর দেওয়ার আগে শালোমী তাঁর দেহে মাখানোর জন্য কিছু সুগন্ধি দ্রব্য নিয়ে এসেছিলেন। (মার্ক ১৬:১; যোহন ১৯:৪০) যোহনের সম্ভবত একটা নিজের বাড়িও ছিল।—যোহন ১৯:২৬, ২৭.

প্রেরিত যোহন স্কোল ধরে আছেন।

যোহন সম্ভবত যোহন বাপ্তাইজকের শিষ্য ছিলেন। যোহন বাপ্তাইজক যখন যিশুকে দেখে বলেছিলেন, “ওই দেখো, ঈশ্বরের মেষশাবক,” তখন যোহন সেখানে আন্দ্রিয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়েছিলেন। (যোহন ১:৩৫, ৩৬, ৪০) এভাবে সিবদিয়ের ছেলে যোহনের সঙ্গে যিশুর পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পর, সম্ভবত যোহন যিশুর সঙ্গে কান্নানগরে গিয়েছিলেন এবং তাঁর প্রথম আশ্চর্য কাজ দেখেছিলেন। (যোহন ২:১-১১) যোহন তার সুসমাচারের বইয়ে যিশুর পরিচর্যা সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন। যিশু জেরুসালেম, শমরিয়া এবং গালীলে যে-কাজগুলো করেছিলেন, তার সমস্ত বিবরণ এই বইয়ে লেখা রয়েছে। তাই এটা থেকে বোঝা যায়, যোহন নিশ্চয় এই সমস্ত ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষি ছিলেন। যিশু যোহনকে তাঁর শিষ্য হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালে তিনি যাকোব, পিতর ও আন্দ্রিয়ের মতো দ্রুত জাল, নৌকা এবং তার মাছের ব্যাবসা ছেড়ে যিশুর অনুসারী হয়েছিলেন। যোহনের করা এই কাজ থেকে আমরা বুঝতে পারি, যিশুর প্রতি তার এক দৃঢ় বিশ্বাস ছিল।—মথি ৪:১৮-২২.

সুসমাচারের বইয়ে যোহনের চেয়ে পিতরের বিষয়ে বেশি লেখা রয়েছে। তবে, পিতরের মতো যোহনের মধ্যেও অনেক উদ্যোগ ও দৃঢ়তা ছিল। সেইজন্য যিশু যোহন এবং তার ভাই যাকোবকে বোয়ানার্গিস্‌ নাম দিয়েছিলেন, যার অর্থ “মেঘধ্বনির পুত্র” (মার্ক ৩:১৭) প্রথম প্রথম যোহনের মধ্যেও অন্য শিষ্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তাই, তিনি এবং তার ভাই তাদের মাকে যিশুর কাছে গিয়ে বলতে বলেন, যিশু যেন তাঁর রাজ্যে তাদের দুই ভাইকে এক উচ্চপদ দেন। যদিও এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, তাদের মধ্যে এক স্বার্থপর আকাঙ্ক্ষা ছিল, তবে এখান থেকে এটাও বোঝা যায় যে, ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতি তাদের কতটা দৃঢ় বিশ্বাস ছিল। শুধু তাই নয়, এই সুযোগে যিশু তাঁর সমস্ত শিষ্যকে শিখিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে নম্রতা থাকা কতটা প্রয়োজন।—মথি ২০:২০-২৮.

যোহনের কতটা উদ্যোগ ছিল, তা আমরা একটা ঘটনা থেকে বুঝতে পারি। তিনি একবার এমন একজন ব্যক্তিকে বাধা দেন, যিনি যিশুর নামে লোকদের ভিতর থেকে মন্দ স্বর্গদূতদের বার করছিলেন। যোহন এটা দেখে সহ্য করতে পারেননি যে, এই ব্যক্তি যিশুর শিষ্য না হওয়া সত্ত্বেও এই কাজ করছেন। একবার যিশু তাঁর কিছু লোককে শমরিয়ার একটা গ্রামে পাঠিয়েছিলেন, যাতে তারা সেখানে যিশুর থাকার জন্য ব্যবস্থা করেন। কিন্তু, সেখানকার লোকেরা যিশুকে থাকার জায়গা দিতে চাননি। এর ফলে, যোহন এতটা রেগে গিয়েছিলেন যে, তিনি স্বর্গ থেকে আগুন নামিয়ে সেই গ্রাম ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন। এই দুটো ক্ষেত্রে যোহনের ব্যবহার দেখে যিশু তাকে ধমক দিয়েছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যোহন নিজের মধ্যে দয়ার মতো গুণ এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলেছিলেন, যেগুলো তার মধ্যে অভাব ছিল। (লূক ৯:৪৯-৫৬) এটা ঠিক যে, যোহনের মধ্যে কিছু দুর্বলতা ছিল, তবে তিনি এমন একজন শিষ্য ছিলেন, “যাকে যিশু ভালোবাসতেন।” সেইজন্য যিশু মারা যাওয়ার আগে তাঁর মা মরিয়মের দেখাশোনার দায়িত্ব যোহনকে দিয়েছিলেন।—যোহন ১৯:২৬, ২৭; ২১:৭, ২০, ২৪.

যিশু যেমন ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, ঠিক তেমনই যোহন অন্যান্য প্রেরিতদের চেয়ে বেশি সময় বেঁচে ছিলেন। (যোহন ২১:২০-২২) যোহন প্রায় ৭০ বছর ধরে বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করেছিলেন। যোহন তার জীবনের শেষের দিকেও “ঈশ্বরের বিষয়ে কথা বলার এবং যিশুর বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার” কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। সেইজন্য রোমীয় সম্রাট ডমিশিয়ানের রাজত্বের সময় তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং পাট্‌ম দ্বীপে বন্দি করে রাখা হয়। সেখানে থাকার সময় প্রায় ৯৬ খ্রিস্টাব্দের দিকে যোহন অনেকগুলো দর্শন দেখেন, যেগুলো তিনি প্রকাশিত বাক্য বইয়ে লেখেন। (প্রকা. ১:১, ২, ৯) এটা মনে করা হয়, বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যোহন ইফিষে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তার নামের সুসমাচারের বইটি লেখেন এবং তিনটে চিঠি লেখেন, যেগুলো ১ম, ২য় ও ৩য় যোহন নামে পরিচিত। এরপর প্রায় ১০০ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইফিষে মারা যান।

a সকাল ও সন্ধ্যায় মন্দিরে বলিদান করার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থনা করা হত। সন্ধ্যার বলিদান ‘নবম ঘণ্টায়’ অর্থাৎ বিকেল তিনটের সময় উৎসর্গ করা হত।

b “পিতর—যিনি একজন জেলে থেকে উদ্যোগী প্রেরিত হয়েছিলেন” এবং “যোহন—যাকে যিশু ভালোবাসতেন” শিরোনামের বাক্সগুলো দেখুন।

c “মহাযাজক এবং প্রধান যাজকেরা” শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।

d ৩৩ খ্রিস্টাব্দে জেরুসালেমে ফরীশীদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৬,০০০রের কাছাকাছি এবং সদ্দূকীদের সংখ্যা তার চেয়েও কম। হতে পারে, এই কারণেও এই দুই দল ভয় পেয়ে ছিল যে, যিশুর শিক্ষা ছড়িয়ে পড়লে, তাদের প্রভাব শেষ হয়ে যাবে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার