ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১৫
    • ৪. বাইবেল ঈর্ষা সম্বন্ধে কী বলে?

      ৪ প্রেম সম্বন্ধে কিছু কথা বলার পর, পৌল করিন্থীয়দেরকে লিখেছিলেন: “প্রেম . . . ঈর্ষা করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৪) অন্যের উন্নতিতে বা সাফল্যে অসন্তুষ্ট হয়ে আমরা ঈর্ষা দেখাতে পারি। এই জাতীয় ঈর্ষা আমাদের শরীর, মন ও আধ্যাত্মিকতার জন্য ধ্বংসাত্মক।—হিতোপদেশ ১৪:৩০; রোমীয় ১৩:১৩; যাকোব ৩:১৪-১৬.

      ৫. যখন মণ্ডলীতে আমাদের কিছু সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে মনে হয় তখন প্রেম কিভাবে ঈর্ষাকে জয় করতে সাহায্য করে?

      ৫ বিষয়টা যদি এইরকমই হয়, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: ‘মণ্ডলীতে যদি কোন ভাই কোন সুযোগ পায় কিন্তু আমি না পাই তখন কি আমার ঈর্ষা হয়?’ যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ-ও হয়, ভেঙে পড়বেন না। বাইবেল লেখক যাকোব আমাদের মনে করিয়ে দেন যে সব অসিদ্ধ মানুষের মধ্যে ‘মাৎসর্য্যের আত্মা’ রয়েছে। (যাকোব ৪:৫) আপনার ভায়ের জন্য প্রেমই আপনাকে সঠিক মনোভাব ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে। এই প্রেমই আপনাকে অন্যের খুশিতে খুশি হতে সাহায্য করবে আর যখন কেউ আশীর্বাদ পায় কিংবা কাউকে প্রশংসা করা হয় তখন আপনি অপমান বোধ করবেন না।—১ শমূয়েল ১৮:৭-৯ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।

      ৬. প্রথম শতাব্দীতে করিন্থীয় মণ্ডলীতে কোন্‌ কঠিন পরিস্থিতি গড়ে উঠেছিল?

      ৬ পৌল আরও বলেন যে “প্রেম আত্মশ্লাঘা করে না, গর্ব্ব করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৫) আমাদের যদি কোন বিশেষ প্রতিভা বা দক্ষতা থাকে, তাহলে তা জাহির করার কোন দরকার নেই। স্পষ্টতই, কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী লোকেদের এই সমস্যা ছিল যারা প্রাচীন করিন্থীয় মণ্ডলীতে গোপনে প্রবেশ করেছিলেন। তারা হয়তো কথা বলায় খুব পটু ছিলেন বা কোন কাজকে আরও দক্ষভাবে করার ক্ষমতা তাদের ছিল। তাদের নিজেদেরকে বড় করে দেখানো, তাদের নিজেদের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করানোই মণ্ডলীতে দলভেদ নিয়ে এসেছিল। (১ করিন্থীয় ৩:৩, ৪; ২ করিন্থীয় ১২:২০) মণ্ডলীর অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে ‘নির্ব্বোধ লোকদের রাখার’ জন্য পৌলকে পরে করিন্থীয়দেরকে ভর্ৎসনা করতে হয়েছিল, যাদেরকে কটাক্ষ করে তিনি ‘প্রেরিত-চূড়ামণি’ বলেছিলেন।—২ করিন্থীয় ১১:৫, ১৯, ২০.

      ৭, ৮. বাইবেল থেকে দেখান যে একতা বাড়ানোর জন্য কিভাবে আমরা আমাদের সহজাত প্রতিভাকে ব্যবহার করতে পারি?

      ৭ আজকেও একইরকম অবস্থা হতে পারে। যেমন, কারও কারও মধ্যে হয়তো পরিচর্যায় সাফল্য অথবা ঈশ্বরের সংগঠনে তাদের সুযোগগুলোর জন্য গর্ব করার প্রবণতা থাকতে পারে। কিন্তু যদি আমাদের কোন বিশেষ দক্ষতা বা ক্ষমতা থাকেই যা মণ্ডলীর অন্যদের নেই, তাহলে তার মানে কি এই যে আমাদের তারজন্য গর্ব করতে হবে? একেবারেই নয়, আসল কথা হল আমাদের সহজাত প্রতিভাকে আমাদের মধ্যে একতা বাড়ানোর জন্য কাজে লাগানো উচিত, আমাদের নিজেদেরকে বড় করার জন্য নয়।—মথি ২৩:১২; ১ পিতর ৫:৬.

      ৮ পৌল লিখেছিলেন যে একটা মণ্ডলীতে যদিও অনেক সদস্য থাকে কিন্তু “ঈশ্বর দেহ সংগঠিত করিয়াছেন।” (১ করিন্থীয় ১২:১৯-২৬) যে গ্রিক শব্দ থেকে “সংগঠিত” শব্দকে অনুবাদ করা হয়েছে সেটা কোন মিশ্রণকে বোঝায়, যেমন বিভিন্ন রং মিশিয়ে একটা রং বানানো। তাই মণ্ডলীর কোন সদস্যেরই উচিত নয় যে সে তার দক্ষতার জন্য গর্ব করে কিংবা অন্যদের ওপর কর্তৃত্ব করে। ঈশ্বরের সংগঠনে অহংকার ও নিজেকে বড় করার মনোভাবের কোন জায়গা নেই।—হিতোপদেশ ১৬:১৯; ১ করিন্থীয় ১৪:১২; ১ পিতর ৫:২, ৩.

  • প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১৫
    • ১১. (ক) কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে আমরা দেখাতে পারি যে প্রেম মধুর ও শিষ্ট? (খ) আমরা কিভাবে দেখতে পারি যে আমরা অধার্মিকতায় আনন্দ করি না?

      ১১ পৌল আরও লিখেছিলেন যে প্রেম “মধুর” এবং “অশিষ্টাচরণ করে না।” (১ করিন্থীয় ১৩:৪, ৫) প্রেম থাকলে আমরা রূঢ়, অমার্জিত এবং অসম্মাজনক আচরণ করব না। পরিবর্তে, আমরা অন্যদের অনুভূতিকে বুঝব। যেমন, একজন ব্যক্তি যার অন্যের প্রতি প্রেম আছে তিনি অন্যের বিবেককে জ্বালাতন করে এমন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলবেন। (১ করিন্থীয় ৮:১৩ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) প্রেম “অধার্ম্মিকতায় আনন্দ করে না, কিন্তু সত্যের সহিত আনন্দ করে।” (১ করিন্থীয় ১৩:৬) আমরা যদি যিহোবার ব্যবস্থা ভালবাসি, তাহলে আমরা অনৈতিক কাজ দেখেও না দেখার ভান করব না কিংবা এমন আমোদপ্রমোদে অংশ নেব না যা ঈশ্বর ঘৃণা করেন। (গীতসংহিতা ১১৯:৯৭) প্রেম আমাদেরকে সেই বিষয়গুলোতে আনন্দ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে যেগুলো অন্যদের ছোট করে না বরং গেঁথে তোলে।—রোমীয় ১৫:২; ১ করিন্থীয় ১০:২৩, ২৪; ১৪:২৬.

  • প্রেমের পথ কখনও শেষ হয় না
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ফেব্রুয়ারি ১৫
    • ১৬. কোন্‌ পরিস্থিতিতে প্রেম আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণু হতে সাহায্য করতে পারে?

      ১৬ পরে পৌল আমাদের বলেন যে “প্রেম চিরসহিষ্ণু।” (১ করিন্থীয় ১৩:৪) এটা আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করতে সাহায্য করে হয়তো বা অনেক দিন ধরে। যেমন, অনেক খ্রীষ্টান হয়ত ধর্মীয়ভাবে বিভক্ত পরিবারে বহু বছর ধরে আছেন। অন্যেরা অবিবাহিত আছেন, হয়ত ইচ্ছা করে নয় কিন্তু “প্রভুতেই” কোন উপযুক্ত সাথি খুঁজে না পাওয়ায়। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯; ২ করিন্থীয় ৬:১৪) এছাড়া অন্যেরা হয়তো ভগ্ন স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করছেন। (গালাতীয় ৪:১৩, ১৪; ফিলিপীয় ২:২৫-৩০) আসলে, এই অসিদ্ধ পরিস্থিতিতে এমন কেউই নেই যাকে কোন না কোন পরীক্ষা সহ্য করতে হচ্ছে না।—মথি ১০:২২; যাকোব ১:১২.

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার