ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • “আমি ঈশ্বরে . . . প্রত্যাশা করিতেছি”
    প্রহরীদুর্গ (অধ্যয়ন)—২০১৭ | ডিসেম্বর
    • ১৫. কেন যিশুকে “অগ্রিমাংশ” বলা হয়?

      ১৫ স্বর্গে একজন আত্মিক ব্যক্তি হিসেবে যিশুর পুনরুত্থান হল এই ধরনের পুনরুত্থানের মধ্যে সবচেয়ে প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুনরুত্থান। (প্রেরিত ২৬:২৩) তবে, একমাত্র যে তাঁকেই স্বর্গে পুনরুত্থিত করা হয়েছে, এমন নয়। যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, তাঁর বিশ্বস্ত প্রেরিতরা তাঁর সঙ্গে স্বর্গে শাসন করবে। (লূক ২২:২৮-৩০) কিন্তু, তারা একমাত্র মারা যাওয়ার পরেই এই পুরস্কার লাভ করবে। এরপর, তাদের যিশুর মতো আত্মিক দেহে পুনরুত্থিত করা হবে। পৌল লিখেছিলেন, “খ্রীষ্ট মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইয়াছেন, তিনি নিদ্রাগতদের অগ্রিমাংশ।” এরপর পৌল বলেছিলেন যে, এমন অন্যান্য ব্যক্তিরাও থাকবে, যারা পুনরুত্থিত হয়ে স্বর্গে যাবে। তিনি বলেছিলেন: “প্রত্যেক জন আপন আপন শ্রেণীতে; খ্রীষ্ট অগ্রিমাংশ, পরে খ্রীষ্টের লোক সকল তাঁহার আগমনকালে” বা উপস্থিতির সময়।—১ করি. ১৫:২০, ২৩.

      ১৬. স্বর্গীয় পুনরুত্থান কখন ঘটবে, সেই বিষয়ে আমাদের কাছে কোন ইঙ্গিত রয়েছে?

      ১৬ পৌলের কথাগুলো আমাদের এই বিষয়ে একটা ইঙ্গিত দেয়, কখন স্বর্গীয় পুনরুত্থান ঘটবে। এটা খ্রিস্টের উপস্থিতির সময় ঘটবে। বিগত অনেক বছর ধরে যিহোবার সাক্ষিরা বাইবেল থেকে এই বিষয়টা প্রমাণ করে এসেছে যে, খ্রিস্টের ‘আগমনকাল’ বা উপস্থিতির সময় ১৯১৪ সালে শুরু হয়েছিল। আমরা এখনও তাঁর ‘আগমনকাল’ বা উপস্থিতির সময়ে বাস করছি এবং এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার শেষ খুবই সন্নিকট।

      ১৭, ১৮. খ্রিস্টের উপস্থিতির সময় কিছু অভিষিক্ত ব্যক্তির প্রতি কী ঘটবে?

      ১৭ বাইবেল স্বর্গীয় পুনরুত্থানের বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা করে বলে: “আমরা চাহি না যে, যাহারা নিদ্রাগত হয়, তাহাদের বিষয়ে তোমরা অজ্ঞাত থাক; . . . কেননা আমরা যখন বিশ্বাস করি যে, যীশু মরিয়াছেন, এবং উঠিয়াছেন, তখন জানি, ঈশ্বর . . . নিদ্রাগত লোকদিগকেও সেইরূপে তাঁহার সহিত আনয়ন করিবেন। . . . আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা প্রভুর আগমন পর্য্যন্ত অবশিষ্ট থাকিব, আমরা কোন ক্রমে সেই নিদ্রাগত লোকদের অগ্রগামী হইব না। কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, . . . স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। পরে আমরা যাহারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত একসঙ্গে তাহাদের সহিত মেঘযোগে নীত হইব; আর এইরূপে সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব।”—১ থিষল. ৪:১৩-১৭.

      ১৮ স্বর্গীয় পুনরুত্থান খ্রিস্টের উপস্থিতি শুরু হওয়ার কিছুসময় পর ঘটবে। যে-অভিষিক্ত ব্যক্তিরা মহাক্লেশের সময় পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে, তারা ‘মেঘযোগে নীত হইবে।’ এর অর্থ কী? যারা ‘নীত হইবে,’ তারা ‘নিদ্রাগত হইবে না’ অর্থাৎ তারা দীর্ঘসময়ের জন্য মৃত অবস্থায় থাকবে না। এর পরিবর্তে, তারা যখন মারা যাবে, তখন তারা ‘সকলে রূপান্তরীকৃত হইবে; এক মুহূর্ত্তের মধ্যে, চক্ষুর পলকে, শেষ তূরীধ্বনিতে হইবে।’—১ করি. ১৫:৫১, ৫২; মথি ২৪:৩১.

  • “আমি ঈশ্বরে . . . প্রত্যাশা করিতেছি”
    প্রহরীদুর্গ (অধ্যয়ন)—২০১৭ | ডিসেম্বর
    • ২০. কেন আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, পুনরুত্থান সংগঠিত উপায়ে হবে?

      ২০ বাইবেল বলে, যাদের স্বর্গে বেঁচে থাকার জন্য পুনরুত্থিত করা হয়, তারা “প্রত্যেক জন আপন আপন শ্রেণীতে” পুনরুত্থিত হয়। (১ করি. ১৫:২৩) তাই, আমরা আস্থা রাখতে পারি যে, পার্থিব পুনরুত্থানও সুশৃঙ্খল বা সংগঠিত উপায়ে হবে। এটা হয়তো আমাদের এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে পরিচালিত করে: যারা সম্প্রতি মারা গিয়েছে, তারা কি খ্রিস্টের হাজার বছরের রাজত্বের শুরুর দিকে পুনরুত্থিত হবে এবং তাদের প্রিয়জনরা তাদের স্বাগত জানাবে? অতীতের যে-বিশ্বস্ত পুরুষরা দক্ষ নেতা ছিল, তারা কি নতুন জগতে ঈশ্বরের লোকেদের সংগঠিত করার জন্য আগে পুনরুত্থিত হবে? সেই ব্যক্তিদের প্রতি কী ঘটবে, যারা কখনো যিহোবার সেবা করেনি? কখন ও কোথায় তারা পুনরুত্থিত হবে? আমরা হয়তো অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পারি। কিন্তু, আমাদের এখন এই বিষয়গুলো নিয়ে উদ্‌বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। সবচেয়ে ভালো হবে, যদি আমরা সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করি। আমরা এই বিষয়ে আস্থা রাখতে পারি, এটা দেখা খুবই রোমাঞ্চকর হবে যে, কীভাবে যিহোবা এই সমস্ত কিছু করবেন।

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার