ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ১২-১৭
  • বেঁচে থাকা আজকের জন্য অথবা অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বেঁচে থাকা আজকের জন্য অথবা অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য?
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • “জাগিয়া থাক”
  • অনন্ত জীবনে বিশ্বাসের জন্য ভিত্তিগুলি
  • সুদূর ভবিষ্যতে?
  • এক বিশ্বস্ত প্রহরী
  • এক অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য বেঁচে থাকা
  • প্রহরীর সঙ্গে সেবা করা
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘মৃতেরা উত্থাপিত হইবে’
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পৃথিবীতে অনন্তজীবন —এক খ্রিস্টীয় আশা?
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “জাগিয়া থাক”
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ১২-১৭

বেঁচে থাকা আজকের জন্য অথবা অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য?

“প্রত্যাশায় আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হইয়াছি।”—রোমীয় ৮:২৪.

১. ইপিকুরেয়রা কী শিক্ষা দিয়েছিল এবং সেইধরনের দর্শন কিভাবে কিছু খ্রীষ্টানদের প্রভাবিত করেছিল?

করিন্থে বসবাসকারী খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “তোমাদের কেহ কেহ কেমন করিয়া বলিতেছ যে, মৃতগণের পুনরুত্থান নাই?” (১ করিন্থীয় ১৫:১২) আপাতদৃষ্টিতে, গ্রীক দর্শনের মহাজ্ঞানী ইপিকুরাসের বিষাক্ত দর্শনবিদ্যা প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের মধ্যে কিছুটা প্রভাব ফেলেছিল। তাই পৌল ইপিকুরেয় শিক্ষার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন: “‘আইস, আমরা ভোজন পান করি, কেননা কল্য মরিব।’” (১ করিন্থীয় ১৫:৩২) মৃত্যুর পর একটি জীবন রয়েছে এইরকম কোন আশা তাচ্ছিল্য করে, দার্শনিকের অনুসারীরা বিশ্বাস করত যে ব্যক্তির দৈহিক আনন্দই ছিল জীবনের একমাত্র অথবা সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। (প্রেরিত ১৭:১৮, ৩২) ইপিকুরেয় দর্শন ছিল আত্ম-কেন্দ্রীক, স্বেচ্ছাচারী এবং অত্যন্ত ক্ষতিকর।

২. (ক) পুনরুত্থানকে অস্বীকার করা এত বিপদজনক ছিল কেন? (খ) পৌল কিভাবে করিন্থের খ্রীষ্টানদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করেছিলেন?

২ পুনরুত্থানকে এইভাবে অস্বীকার করার সাথে গভীর বিষয়গুলি জড়িত ছিল। পৌল যুক্তি দেখিয়েছিলেন: “মৃতগণের পুনরুত্থান যদি না হয়, তবে খ্রীষ্টও ত উত্থাপিত হন নাই। আর খ্রীষ্ট যদি উত্থাপিত না হইয়া থাকেন, তাহা হইলে ত আমাদের প্রচারও বৃথা, তোমাদের বিশ্বাসও বৃথা। . . . সুধু এই জীবনে যদি খ্রীষ্টে প্রত্যাশা করিয়া থাকি, তবে আমরা সকল মনুষ্যের মধ্যে অধিক দুর্ভাগা।” (১ করিন্থীয় ১৫:১৩-১৯) হ্যাঁ, অনন্ত ভবিষ্যতের আশা ছাড়া, খ্রীষ্টতত্ত্ব “বৃথা” হবে। এটি উদ্দেশ্যহীন হবে। তাই, আশ্চর্যের বিষয় নয় যে এই পৌত্তলিক চিন্তাধারার প্রভাবে করিন্থীয় মণ্ডলী সমস্যার এক উপযোগী স্থানে পরিণত হয়েছিল। (১ করিন্থীয় ১:১১; ৫:১; ৬:১; ১১:২০-২২) তাই পৌল পুনরুত্থানের প্রতি তাদের বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন। জোরাল যুক্তি, শাস্ত্রপদের উদ্ধৃতি এবং নমুনা ব্যবহার করার মাধ্যমে সন্দেহাতীতভাবে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে পুনরুত্থানের আশা কোন অলীক কাহিনী ছিল না কিন্তু পরিপূর্ণতার এক নিশ্চিত বাস্তবতা ছিল। এর ভিত্তিতেই, তিনি তার সহবিশ্বাসীদের পরামর্শ দিতে পেরেছিলেন: “সুস্থির হও, নিশ্চল হও, প্রভুর কার্য্যে সর্ব্বদা উপচিয়া পড়, কেননা তোমরা জান যে, প্রভুতে তোমাদের পরিশ্রম নিষ্ফল নয়।”—১ করিন্থীয় ১৫:২০-৫৮.

“জাগিয়া থাক”

৩, ৪.(ক) পিতরের কথা অনুসারে, কোন্‌ বিপদজনক মনোভাব শেষকালে কিছু ব্যক্তিদের গ্রাস করবে? (খ) আমাদের নিজেদের কোন্‌ বিষয় স্মরণ করে যাওয়া প্রয়োজন?

৩ আজকে, অনেকের হতাশাপূর্ণ এবং কেবলমাত্র আজকের-জন্য-বেঁচে থাকা, এইধরনের মনোভাব রয়েছে। (ইফিষীয় ২:২) প্রেরিত পিতর যা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, এটি ঠিক সেইরকম। তিনি বলেছিলেন, “উপহাসের সহিত উপহাসকেরা . . . বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়? কেননা যে অবধি পিতৃলোকেরা নিদ্রাগত হইয়াছেন, সেই অবধি সমস্তই সৃষ্টির আরম্ভ অবধি যেমন, তেমনই রহিয়াছে।” (২ পিতর ৩:৩, ৪) যদি সত্য উপাসকেরা এইধরনের দৃষ্টিভঙ্গির বশীভূত হয়, তবে তারা হয়ত “অলস কি ফলহীন” হয়ে পড়তে পারে। (২ পিতর ১:৮) আনন্দের বিষয় যে, আজকে ঈশ্বরের লোকেদের অধিকাংশ সেই রকম নয়।

৪ বর্তমান দুষ্ট বিধিব্যবস্থার আগত শেষ সম্বন্ধে আগ্রহী হওয়া ভুল নয়। যীশুর নিজের প্রেরিতেরা যে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন তা স্মরণ করুন: “প্রভু, আপনি কি এই সময়ে ইস্রায়েলের হাতে রাজ্য ফিরাইয়া আনিবেন?” যীশু উত্তর দিয়েছিলেন: “যে সকল সময় কি কাল পিতা নিজ কর্ত্তৃত্বের অধীন রাখিয়াছেন, তাহা তোমাদের জানিবার বিষয় নয়।” (প্রেরিত ১:৬, ৭) ঐ বাক্যগুলি সেই মৌলিক বার্তা বহন করে যা তিনি জৈতুন পর্বতে বলেছিলেন: “তোমাদের প্রভু কোন্‌ দিন আসিবেন, তাহা তোমরা জান না। . . . যে দণ্ড তোমরা মনে করিবে না, সেই দণ্ডে মনুষ্যপুত্ত্র আসিবেন।” (মথি ২৪:৪২, ৪৪) সেই পরামর্শ আমাদের স্মরণ করে যাওয়া প্রয়োজন! কেউ কেউ হয়ত এইধরনের মনোভাব দ্বারা প্রলুব্ধ হতে পারে, ‘আমার হয়ত আরেকটু মন্থর হয়ে পড়া এবং বিষয়গুলিকে আরেকটু হালকাভাবে নেওয়া উচিত।’ কী এক ভুলই না তা হবে! “মেঘধ্বনির পুত্ত্র” যাকোব এবং যোহনের কথা বিবেচনা করুন।—মার্ক ৩:১৭.

৫, ৬. যাকোব এবং যোহনের উদাহরণ থেকে আমরা কোন্‌ শিক্ষাগুলি পেতে পারি?

৫ আমরা জানি যে যাকোব একজন অত্যন্ত উদ্যমী প্রেরিত ছিলেন। (লূক ৯:৫১-৫৫) একবার খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী স্থাপিত হওয়ার পর, তিনি নিশ্চয়ই এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু যখন হেরোদ আগ্রিপ্প ১ম তাকে হত্যা করেছিলেন, তখন তিনি নিতান্তই যুবক ছিলেন। (প্রেরিত ১২:১-৩) আমরা কি মনে করব যে যাকোব, তার জীবন অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে দুঃখিত হয়েছিলেন, এই মনে করে যে তিনি অত্যন্ত উদ্যমী ছিলেন, নিজেকে পরিচর্যায় উজাড় করে দিয়েছিলেন? কখনই না! নিশ্চিতভাবে তিনি সুখী ছিলেন কারণ তিনি তার তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র জীবনের সর্বোত্তম বছরগুলি যিহোবার পরিচর্যায় ব্যয় করেছিলেন। এখন, আমাদের জীবন অপ্রত্যাশিতভাবে শেষ হয়ে যাবে কি না তা আমাদের মধ্যে কেউই জানে না। (উপদেশক ৯:১১. লূক ১২:২০, ২১ পদের সাথে তুলনা করুন।) সুতরাং, যিহোবার সেবায় আমাদের উদ্যম এবং সক্রিয়তাকে উচ্চপর্যায়ে রাখা স্পষ্টভাবে বিজ্ঞতার কাজ হবে। এইভাবে আমরা তাঁর কাছে আমাদের উত্তম নাম বজায় রাখতে পারব এবং অনন্ত ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি রেখে জীবনযাপন করতে পারব।—উপদেশক ৭:১.

৬ প্রেরিত যোহনকে জড়িত করে এমন একটি মূল শিক্ষা রয়েছে, যিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন যখন যীশু সনির্বন্ধভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন: “জাগিয়া থাক।” (মথি ২৫:১৩; মার্ক ১৩:৩৭; লূক ২১:৩৪-৩৬) বহু দশক উদ্যমের সাথে সেবা করে যোহন তা হৃদয়ে গেঁথে নিয়েছিলেন। বস্তুত, মনে হয় তিনিই অন্যান্য সব প্রেরিতদের চেয়ে বেশি বছর বেঁচে ছিলেন। বয়সের দিক দিয়ে যোহন যখন বৃদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন, তার বিশ্বস্ত কার্যকলাপের দশকগুলির দিকে তাকিয়ে তিনি কি এটিকে একটি ভ্রান্তি, এক দিশাহীন অথবা ভারসাম্যহীন হিসাবে গণ্য করেছিলেন? অবশ্যই না! তিনি তখনও আগ্রহের সাথে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। পুনরুত্থিত যীশু যখন বলেছিলেন, “সত্য, আমি শীঘ্র আসিতেছি।” যোহন তৎক্ষণাৎ উত্তর দিয়েছিলেন, “আমেন; প্রভু যীশু, আইস।” (প্রকাশিত বাক্য ২২:২০) নিশ্চিতভাবে যোহন বর্তমানের জন্য বেঁচে ছিলেন না, এক শান্ত ‘স্বাভাবিক জীবনের’ আকাঙ্ক্ষা তিনি করেননি। প্রভু যখনই আসুন না কেন, তিনি তার সমস্ত জীবন এবং শক্তি দিয়ে সেবা করে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। আমাদের সম্বন্ধে কী?

অনন্ত জীবনে বিশ্বাসের জন্য ভিত্তিগুলি

৭. (ক) অনন্ত জীবনের আশা কিভাবে “অতি পূর্ব্ব কালে প্রতিজ্ঞা করা হইয়াছিল”? (খ) অনন্ত জীবনের আশার উপর যীশু কিভাবে আলোকপাত করেছিলেন?

৭ নিশ্চিত হোন যে অনন্ত জীবনের আশা কোন মনুষ্য-নির্মিত স্বপ্ন অথবা কল্পনা নয়। তীত ১:২ পদ যেভাবে বলে আমাদের ঈশ্বরীয় ভক্তি “অনন্ত জীবনের আশাযুক্ত, যাহা মিথ্যাকথনে অসমর্থ ঈশ্বর অতি পূর্ব্ব কালে প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন।” সমস্ত বাধ্য মানুষ অনন্তকাল বেঁচে থাকবে, এটিই ছিল ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য। (আদিপুস্তক ১:২৮) কোন কিছুই না, এমনকি আদম ও হবার বিদ্রোহও এই উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করতে পারে না। আদিপুস্তক ৩:১৫ পদে যেমন লিপিবদ্ধ রয়েছে, ঈশ্বর তৎক্ষণাৎ এক ‘বংশ’ সম্বন্ধে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যা মানবজাতির উপর আরোপিত সব ক্ষতিকে মোচন করবে। যখন ‘বংশ’ অর্থাৎ মশীহ, যীশু এসেছিলেন, তখন তিনি অনন্ত জীবনের আশাকে তাঁর শিক্ষার একটি মৌলিক বিষয় করেছিলেন। (যোহন ৩:১৬; ৬:৪৭, ৫১; ১০:২৮; ১৭:৩) তাঁর সিদ্ধ জীবন মুক্তির মূল্য হিসাবে প্রদানের মাধ্যমে, খ্রীষ্ট মানবজাতিকে অনন্ত জীবন প্রদানের বৈধ অধিকার অর্জন করেছিলেন। (মথি ২০:২৮) তাঁর শিষ্যদের কয়েকজন, মোট ১,৪৪,০০০ জন চিরকাল স্বর্গে বাস করবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৪:১-৪) এইভাবে, এককালের মরণশীল মানুষেরা “অমরতা পরিধান” করবে!—১ করিন্থীয় ১৫:৫৩.

৮. (ক) “অমরতা” কী এবং কেন যিহোবা ১,৪৪,০০০ জনের জন্য এটি অনুমোদন করেন? (খ) “অপর মেষ”-দের জন্য যীশু কোন্‌ আশা তুলে ধরেছিলেন?

৮ “অমরতা”-র অর্থ সাধারণত কখনও না মরার চেয়েও বেশি কিছু। এটি “অলোপ্য জীবনের শক্তি”-কে জড়িত করে। (ইব্রীয় ৭:১৬. প্রকাশিত বাক্য ২০:৬ পদের সাথে তুলনা করুন।) অতএব, এইধরনের এক উল্লেখযোগ্য উপহার অনুমোদন করতে ঈশ্বর কী সম্পাদন করেন? শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে স্মরণ করুন, যেটি ছিল যে ঈশ্বরের সৃষ্টির কেউই নির্ভরযোগ্য হবে না। (ইয়োব ১:৯-১১; ২:৪, ৫) ১,৪৪,০০০ জনকে অমরতা দান করার মাধ্যমে, ঈশ্বর এই দলটি যারা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তর দিয়েছিল তাদের উপর পূর্ণ আস্থার ইঙ্গিত দেন। কিন্তু মানবজাতির বাকি অংশ সম্বন্ধে কী বলা যায়? যীশু এই রাজ্যের উত্তরাধিকারী “ক্ষুদ্র মেষপাল” এর প্রারম্ভিক সদস্যদের বলেছিলেন যে তারা “সিংহাসনে বসিয়া ইস্রায়েলের দ্বাদশ বংশের বিচার করিবে।” (লূক ১২:৩২; ২২:৩০) এটি ইঙ্গিত করে যে অন্যান্যেরা তাঁর রাজ্যের প্রজা হিসাবে পৃথিবীতে অনন্ত জীবন লাভ করবে। যদিও এই “অপর মেষ”-দের অমরতা প্রদান করা হয়নি, তবুও তারা ‘অনন্ত জীবন’ পাবে। (যোহন ১০:১৬, NW; মথি ২৫:৪৬) অতএব, সকল খ্রীষ্টানদের প্রত্যাশা হল অনন্ত জীবন। এটি কোন কল্পনা নয় কিন্তু এমন কিছু যা গাম্ভীর্যপূর্ণভাবে “মিথ্যাকথনে অসমর্থ ঈশ্বর” প্রতিজ্ঞা করেছেন এবং ক্ষতিপূরণ হিসাবে যীশুর মূল্যবান রক্ত প্রদান করা হয়েছে।—তীত ১:২.

সুদূর ভবিষ্যতে?

৯, ১০. আমরা শেষের নিকটে আছি তার কোন্‌ স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে?

৯ প্রেরিত পৌল ভাববাণী করেছিলেন “বিষম সময়” ইঙ্গিত করবে যে আমরা তর্কাতীতভাবে ‘শেষ কালে’ এসে পৌঁছেছি। যতই আমাদের চতুর্দিকে মানব সমাজ প্রেমহীনতা, লোভ, আত্ম-তুষ্টি এবং অনৈশ্বরিক কাজগুলিতে নিমজ্জিত হয়, সুতরাং আমরা কি উপলব্ধি করি না যে এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থার উপর তাঁর বিচার সম্পাদনের জন্য যিহোবার দিন দ্রুত নিকটবর্তী হচ্ছে? যতই দৌরাত্ম্য এবং ঘৃণা তীব্রতর হচ্ছে, তাই আমরা কি আমাদের চতুর্দিকে পৌলের পরবর্তী বাক্যগুলির পরিপূর্ণতা দেখি না: “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, . . . উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে”? (২ তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩) কেউ কেউ হয়ত আশাবাদীদের মত “শান্তি ও অভয়” বলে চীৎকার করে, কিন্তু শান্তির সমস্ত প্রত্যাশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে, কারণ “তাহাদের কাছে যেমন গর্ব্ভবতীর প্রসব-বেদনা উপস্থিত হইয়া থাকে, তেমনি আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়; আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারিবে না।” আমাদের দিনের অর্থ কী, এই বিষয়ে আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়নি। তাই “আইস, আমরা . . . জাগিয়া থাকি ও মিতাচারী হই।”—১ থিষলনীকীয় ৫:১-৬.

১০ এছাড়া, বাইবেল ইঙ্গিত করে যে শেষকাল “সংক্ষিপ্ত।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:১২. ১৭:১০ পদের সাথে তুলনা করুন।) আপাতদৃষ্টিতে সেই “সংক্ষিপ্ত সময়” এর অধিকাংশই অতিবাহিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দানিয়েলের ভবিষ্যদ্বাণী যথার্থভাবে “উত্তর দেশের রাজার” এবং “দক্ষিণ দেশের রাজার” সংঘর্ষের বর্ণনা করে যা এই শতাব্দীতে প্রসারিত হয়েছে। (দানিয়েল ১১:৫, ৬) যেটুকু বাকি রয়েছে তা দানিয়েল ১১:৪৪, ৪৫ পদে বর্ণিত “উত্তর দেশের রাজার” চূড়ান্ত আক্রমণে পরিপূর্ণ হবে।—এই ভবিষ্যদ্বাণীর আলোচনার জন্য ১৯৮৭ সালের ১লা জুলায়ের প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি), এবং ১৯৯৩ সালের ১লা নভেম্বর প্রহরীদুর্গ দেখুন।

১১. (ক) মথি ২৪:১৪ পদ কোন্‌ সীমা পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়েছে? (খ) মথি ১০:২৩ পদে লিপিবদ্ধ যীশুর বাক্যগুলি কী ইঙ্গিত করে?

১১ এছাড়া যীশুর ভবিষ্যদ্বাণী রয়েছে যে “সর্ব্ব জাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত রাজ্যের এই সুসমাচার সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।” (মথি ২৪:১৪) আজকে, যিহোবার সাক্ষীরা ২৩৩টি দেশে, দ্বীপপুঞ্জে এবং এলাকাগুলিতে এই কাজ সম্পাদন করে। এটি সত্য যে এখনও কাজ করা হয়নি এমন এলাকাগুলি রয়েছে এবং হয়ত যিহোবার নিরূপিত সময়ে সুযোগের এক দ্বার খুলে দেওয়া হবে। (১ করিন্থীয় ১৬:৯) তবুও, মথি ১০:২৩ পদে লিপিবদ্ধ যীশুর বাক্যগুলি গাম্ভীর্যপূর্ণ: “ইস্রায়েলের সকল নগরে তোমাদের কার্য্য শেষ হইবে না, যে পর্য্যন্ত মনুষ্যপুত্ত্র না আইসেন।” যদিও সুসমাচার নিশ্চিতভাবে সমস্ত পৃথিবীতে ঘোষিত হবে কিন্তু যীশু বিচারক হিসাবে ‘আসার আগে’ আমরা নিজেরা রাজ্যের বার্তা নিয়ে পৃথিবীর সমস্ত অংশে পৌঁছাতে পারব না।

১২. (ক) প্রকাশিত বাক্য ৭:৩ পদে কোন্‌ ‘মুদ্রাঙ্ককরণ’ উল্লেখ করা হয়েছে? (খ) পৃথিবীতে অভিষিক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা কমে যাওয়ার তাৎপর্য কী?

১২ প্রকাশিত বাক্য ৭:১, ৩ পদগুলি বিবেচনা করুন যা বলে যে ধ্বংসের “চারি বায়ু” ধরে রাখা হয়েছে “যে পর্য্যন্ত আমাদের ঈশ্বরের দাসগণকে ললাটে মুদ্রাঙ্কিত না করি, সে পর্য্যন্ত।” এটি প্রারম্ভিক মুদ্রাঙ্কিতকরণের বিষয়টি উল্লেখ করছে না যা ১,৪৪,০০০ জন যখন স্বর্গীয় আহ্বান লাভ করেছিল তখন সংঘটিত হয়েছিল। (ইফিষীয় ১:১৩) এটি চূড়ান্ত মুদ্রাঙ্কিতকরণকে উল্লেখ করে, যখন তারা অপরিবর্তনীয়ভাবে পরীক্ষিত এবং বিশ্বস্ত ‘আমাদের ঈশ্বরের দাস’ হিসাবে চিহ্নিত হয়। পৃথিবীতে জীবিত ঈশ্বরের প্রকৃত অভিষিক্ত পুত্রদের সংখ্যা প্রচুরভাবে হ্রাস পাচ্ছে। এছাড়া, বাইবেল স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে যে “মনোনীতদের জন্য” মহাক্লেশের আরম্ভ পর্ব “কমাইয়া দেওয়া” যাবে। (মথি ২৪:২১, ২২) অভিষিক্ত হিসাবে স্বীকারকারীদের মধ্যে অধিকাংশই বয়স্ক। তাহলে, এটি কি ইঙ্গিত করে না যে শেষ অতি নিকটে?

এক বিশ্বস্ত প্রহরী

১৩, ১৪. প্রহরী শ্রেণীর দায়িত্ব কী?

১৩ ইত্যবসরে, আমরা ‘বিশ্বস্ত দাস’ প্রদত্ত নির্দেশনার প্রতি মনোযোগ দিলে ভাল করব। (মথি ২৪:৪৫) একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে, আধুনিক দিনের “দাস”-রা “প্রহরী” হিসাবে বিশ্বস্তভাবে সেবা করেছেন। (যিহিষ্কেল ৩:১৭-২১) জুন ১, ১৯৮৪ সালের প্রহরীদুর্গ, ব্যাখ্যা করেছিল: “এই প্রহরী পৃথিবীতে বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণকারী ঘটনাগুলি লক্ষ্য করছে এবং সাবধানী-বাণী দিচ্ছে যে ‘এরূপ মহাক্লেশ উপস্থিত হইবে, যেরূপ জগতের আরম্ভ অবধি এ পর্য্যন্ত কখনও হয় নাই, কখনও হইবেও না’ এবং ‘আরও উত্তম কিছুর সুসমাচার’ প্রকাশ করছে।”—মথি ২৪:২১; যিশাইয় ৫২:৭.

১৪ স্মরণ করুন: “যাহা যাহা দেখিবে” তার সংবাদ দেওয়া ছিল প্রহরীর কাজ। (যিশাইয় ২১:৬-৮) বাইবেলের সময়ে একজন প্রহরীকে সতর্কবাণী দিতে হত, এমনকি যখন সেই শক্তিশালী বিপদ স্পষ্টভাবে শনাক্ত করার পক্ষে অনেক দূরে থাকত। (২ রাজাবলি ৯:১৭, ১৮) তখনও নিশ্চয়ই ভুলভাবে সংকেত দেওয়া হত। কিন্তু একজন উত্তম প্রহরী ভয়ের কারণে হতবিহ্বল হয়ে তা করা থেকে বিরত থাকত না। যদি আপনার ঘরে আগুন লাগে, আপনি কেমন অনুভব করবেন যদি দমকলকর্মীরা উপস্থিত হতে ব্যর্থ হয় কারণ তারা এটিকে একটি ভুল সংকেত হিসাবে চিহ্নিত করেছিল? না, আমরা আশা করি এইধরনের লোকেরা বিপদের যে কোন চিহ্নেই দ্রুত সাড়া দেবে! অনুরূপভাবে, প্রহরী শ্রেণী যখনই পরিস্থিতিগুলি তা করার জন্য ন্যায্য প্রতিপন্ন হয়েছে, তখনই তা নির্ভয়ে বলেছে।

১৫, ১৬. (ক) আমাদের ভবিষ্যদ্বাণীর বোধগম্যতায় কেন কিছু সমন্বয়সাধন করা হয়েছে? (খ) নির্দিষ্ট ভবিষ্যদ্বাণীর বোধগম্যতায় ঈশ্বরের বিশ্বস্ত দাসেরা যারা ভুল করেছিলেন তাদের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

১৫ অতএব, ঘটনাগুলি যতই বিকশিত হতে থাকে, ভবিষ্যদ্বাণীর উপর ততই আমাদের বোধগম্যতা স্পষ্টতর হয়। ইতিহাস দেখায় যে কদাচিৎ, কখনও ঐশিক ভাববাণীগুলি পরিপূর্ণ হওয়ার আগে পুরোপুরিভাবে বোঝা গিয়েছিল। ঈশ্বর অব্রাহামকে যথার্থভাবে বলেছিলেন যে তার বংশ কত দিন “পরদেশে প্রবাসী থাকিবে,” যেমন ৪০০ বছর। (আদিপুস্তক ১৫:১৩) কিন্তু, মোশি যথাসময়ের পূর্বেই নিজেকে উদ্ধারকর্তা হিসাবে প্রদান করেছিলেন।—প্রেরিত ৭:২৩-৩০.

১৬ মশীহ সম্বন্ধীয় ভবিষ্যদ্বাণীগুলিও বিবেচনা করুন। অতীতের দিকে তাকিয়ে এটি অতি স্পষ্ট হয় যে মশীহের মৃত্যু এবং পুনরুত্থান ভাববাণীকৃত ছিল। (যিশাইয় ৫৩:৮-১০) তথাপি, যীশুর নিজের শিষ্যেরা সেই সত্য উপলব্ধি করতে পারেনি। (মথি ১৬:২১-২৩) তারা দেখেনি যে দানিয়েল ৭:১৩, ১৪ পদ খ্রীষ্টের ভবিষ্যৎ পারোসিয়া অথবা “উপস্থিতি” এর সময়ে পরিপূর্ণ হবে। (মথি ২৪:৩) সুতরাং, যখন তারা যীশুকে জিজ্ঞাসা করেছিল: “প্রভু, আপনি কি এই সময়ে ইস্রায়েলের হাতে রাজ্য ফিরাইয়া আনিবেন?” তখন তারা তাদের অনুমানে প্রায় ২,০০০ বছর ভুল করেছিল। (প্রেরিত ১:৬) এমনকি খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী উত্তমভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরও, ভুল ধারণা এবং মিথ্যা প্রত্যাশাগুলি ক্রমাগত উত্থাপিত হতে থাকে। (২ থিষলনীকীয় ২:১, ২) যদিও কেউ কেউ সাময়িকভাবে দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে ভুল করেছিল, তবুও যিহোবা প্রথম-শতাব্দীর সেই বিশ্বাসীদের কাজে প্রকৃতই আশীর্বাদ করেছিলেন!

১৭. শাস্ত্রের বোধগম্যতার সমন্বয়সাধনে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কী হওয়া উচিত?

১৭ অনুরূপভাবে, আজকের প্রহরী শ্রেণীকেও সময়ে সময়ে দৃষ্টিভঙ্গিগুলির ক্ষেত্রে পরিষ্কার হতে হয়েছিল। তবুও, যিহোবা সেই ‘বিশ্বস্ত দাসকে’ সাহায্য করেছেন, সেই সম্বন্ধে কেউ কি সন্দেহ করতে পারে? তাছাড়া, প্রসঙ্গের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ সমন্বয়সাধন যেগুলি করা হয়েছে সেগুলি কি তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র নয়? বাইবেল সম্বন্ধে আমাদের মৌলিক বোধগম্যতার পরিবর্তন হয়নি। আমরা যে শেষকালে বাস করছি সেই সম্বন্ধে আমাদের দৃঢ়প্রত্যয় যে কোন সময়ের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে!

এক অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য বেঁচে থাকা

১৮. আমাদের কেন কেবলমাত্র আজকের জন্য বেঁচে থাকা পরিহার করতে হবে?

১৮ জগৎ হয়ত বলতে পারে, ‘এসো আমরা ভোজন পান করি, কারণ কাল আমরা মরে যাব’ কিন্তু, অবশ্যই আমাদের মনোভাব এইরূপ হওয়া উচিত নয়। যখন আপনি অনন্ত ভবিষ্যতের জন্য কাজ করতে পারেন, তখন কেন এখনই জীবনের আনন্দ পাওয়ার জন্য বৃথা চেষ্টা করবেন? সেই আশা, তা স্বর্গে অমর জীবন অথবা পৃথিবীতে অনন্ত জীবন যাই হোক না কেন, কোন স্বপ্ন নয়, কোন কল্পনা নয়। এটি বাস্তব যা “মিথ্যাকথনে অসমর্থ” ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন। (তীত ১:২) অনেক প্রমাণ রয়েছে যে আমাদের আশার বাস্তবতা নিকটে! “সময় সঙ্কুচিত।”—১ করিন্থীয় ৭:২৯.

১৯, ২০. (ক) রাজ্যের জন্য আমরা যে ত্যাগস্বীকারগুলি করেছি, তা যিহোবা কিভাবে দেখে থাকেন? (খ) আমাদের কেন অবশ্যই অনন্তকালের প্রতি দৃষ্টি রেখে বেঁচে থাকতে হবে?

১৯ এটি সত্য যে, এই বিধিব্যবস্থা ইতিমধ্যে অনেকে যা চিন্তা করেছে তার চেয়েও অনেক বেশি সময় ধরে রয়েছে। কয়েকজন হয়ত এখন মনে করতে পারে যে তারা যদি আগেই এটি জানত, তাহলে তারা হয়ত ত্যাগস্বীকারগুলি করত না। কিন্তু কারও জন্য দুঃখপ্রকাশ করা উচিত নয়। সর্বোপরি, ত্যাগস্বীকার করা একজন খ্রীষ্টান হওয়ার মৌলিক অংশ। খ্রীষ্টানেরা ‘নিজেদের অস্বীকার করে।’ (মথি ১৬:২৪) আমাদের কখনও মনে করা উচিত নয় যে ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করার আমাদের প্রচেষ্টাগুলি বৃথা প্রমাণিত হয়েছে। যীশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: “এমন কেহ নাই, যে আমার নিমিত্ত ও সুসমাচারের নিমিত্ত বাটী কি ভ্রাতৃগণ কি ভগিনী কি মাতা কি পিতা কি সন্তানসন্ততি কি ক্ষেত্র ত্যাগ করিয়াছে, কিন্তু এখন ইহকালে তাহার শতগুণ না পাইবে; . . . এবং আগামী যুগে অনন্ত জীবন পাইবে।” (মার্ক ১০:২৯, ৩০) এখন থেকে এক হাজার বছর পর, আপনার চাকুরি, বাড়ি অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কতটা তাৎপর্যপূর্ণ মনে হবে? তবুও, যিহোবার জন্য যে ত্যাগস্বীকারগুলি আপনি করেছেন তা এখন থেকে দশ লক্ষ বছর পরও অর্থপূর্ণ হবে—এমনকি একশ কোটি বছরও! “কেননা ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য্য . . . ভুলিয়া যাইবেন না।”—ইব্রীয় ৬:১০.

২০ অতএব, আসুন আমরা অনন্তকালীন দৃষ্টির প্রতি আমাদের চোখ রাখি, কারণ “দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।” (২ করিন্থীয় ৪:১৮) ভাববাদী হবক্‌কূক লিখেছিলেন: “এই দর্শন এখনও নিরূপিত কালের নিমিত্ত, ও তাহা পরিনামের আকাঙ্ক্ষা করিতেছে, আর মিথ্যা হইবে না; তাহার বিলম্ব হইলেও তাহার অপেক্ষা কর, কেননা তাহা অবশ্য উপস্থিত হইবে, যথাকালে বিলম্ব করিবে না।” (হবক্‌কূক ২:৩) কিভাবে শেষের জন্য ‘অপেক্ষা করা’ আমরা যেভাবে আমাদের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক দায়িত্বগুলি সম্পাদন করি তাকে প্রভাবিত করে? আমাদের পরবর্তী প্রবন্ধ এই বিষয়গুলিকে আলোচনা করবে।

পুনরালোচনার বিষয়গুলি

◻ এই বিধিব্যবস্থার শেষ আসতে আপাত দেরি দেখে আজকের দিনে কয়েকজন কিভাবে প্রভাবিত হয়েছে?

◻ আমাদের অনন্ত জীবনের আশার ভিত্তি কী?

◻ রাজ্যের আগ্রহের জন্য আমরা যে ত্যাগস্বীকারগুলি করেছি তা আমাদের কিভাবে দেখা উচিত?

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

শেষ আসার পূর্বে বিশ্বব্যাপী প্রচার কাজ অবশ্যই সম্পূর্ণ হবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার