ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৯ ৩/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • আপনার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হোন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হোন
  • ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মণ্ডলীতে শিক্ষকেরা
  • প্রমাণ জ্ঞাত হওয়া
  • নিজের শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হওয়া
  • ঈশ্বরের বাক্যের ছাত্ররা
  • ছাত্রের জন্য ভালবাসা ও শ্রদ্ধা
  • তাদের চাহিদাগুলোর প্রতি নজর দেওয়া
  • উদ্যোগী হোন!
  • আপনি যেভাবে ‘শিক্ষাদান’ করেন, তাতে মনোযোগ দিন
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে তাহাদিগকে পরিত্রাণ কর’
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিশুকে অনুকরণ করুন—প্রেমের সঙ্গে শিক্ষা দিন
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যেভাবে অন্যদের খ্রিস্টের আদেশ পালন করার জন্য সাহায্য করা যায়
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২০
আরও দেখুন
১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৯ ৩/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫

আপনার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হোন

“আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।”—১ তীমথিয় ৪:১৬.

১, ২. কেন আজকে উদ্যোগী শিক্ষকদের খুবই দরকার?

“তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; . . . আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।” (মথি ২৮:১৯, ২০) যীশু খ্রীষ্টের এই আদেশ মনে রেখে সব সত্য খ্রীষ্টানদের শিক্ষক হওয়ার জন্য মনেপ্রাণে চেষ্টা করা দরকার। তাই খুব বেশি দেরি না হয়ে যাওয়ার আগেই সত্যিকারের আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান নিতে সাহায্য করার জন্য উদ্যোগী শিক্ষকদের এখন খুবই প্রয়োজন। (রোমীয় ১৩:১১) প্রেরিত পৌল পরামর্শ দিয়েছিলেন: “তুমি বাক্য প্রচার কর, সময়ে অসময়ে কার্য্যে অনুরক্ত হও।” (২ তীমথিয় ৪:২) আর এর মানে হল মণ্ডলী ও মণ্ডলীর বাইরে দুই জায়গাতেই লোকেদের শিক্ষা দেওয়া। আসলে প্রচার করার মানে শুধু ঈশ্বরের বার্তা শোনানোই নয় কিন্তু এর চেয়ে আরও বেশি কিছু করা। যদি আগ্রহী ব্যক্তিদের শিষ্য করে তুলতে হয়, তাহলে ভালভাবে শিক্ষা দেওয়া খুবই জরুরি।

২ আমরা এখন ‘বিষম সময়ে’ বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:১) জগতের দর্শনবিদ্যা আর মিথ্যা শিক্ষা লোকেদের এমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে যে তারা এগুলোকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকে “চিত্তে অন্ধীভূত” এবং “অসাড়” হয়ে পড়েছেন। (ইফিষীয় ৪:১৮, ১৯) কেউ কেউ প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছেন। সত্যিই, লোকেরা ‘ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন, যেন পালকবিহীন মেষপাল।’ (মথি ৯:৩৬) কিন্তু তারপরও শিক্ষাদানের কৌশল কাজে লাগিয়ে আমরা সত্যিকারের আগ্রহী ব্যক্তিদেরকে তাদের জীবনে জরুরি পরিবর্তন করার জন্য সাহায্য করতে পারি।

মণ্ডলীতে শিক্ষকেরা

৩. (ক) যীশুর আদেশ অনুযায়ী শিক্ষা দেওয়ার মানে কী? (খ) মণ্ডলীতে শিক্ষা দেওয়ার মূল দায়িত্ব কাদের?

৩ লোকেদের ঘরে গিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করানোর যে ব্যবস্থা রয়েছে তার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোক ব্যক্তিগতভাবে শিক্ষা পাচ্ছেন। কিন্তু বাপ্তিস্ম নেওয়ার পরও এই নতুন ব্যক্তিদের আরও সাহায্যের দরকার যাতে তারা “বদ্ধমূল ও সংস্থাপিত” হন। (ইফিষীয় ৩:১৭) সুতরাং, যখন আমরা মথি ২৮:১৯, ২০ পদে দেওয়া যীশুর আদেশ মানি আর নতুনদের যিহোবার সংগঠনে নিয়ে আসি, তখন মণ্ডলীতে যে শিক্ষা দেওয়া হয় তা থেকে শিখে তারা উপকার পান। ইফিষীয় ৪:১১-১৩ পদ অনুসারে, পুরুষেরা “পালক ও শিক্ষাগুরু” হিসেবে সেবা করার জন্য নিযুক্ত হয়েছেন যেন ‘পবিত্রগণ পরিপক্ব হন, পরিচর্য্যা-কার্য্য সাধিত হয়, খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা যায়।’ কখনও কখনও তাদের শিক্ষা দেওয়ার মধ্যে ‘সম্পূর্ণ সহিষ্ণুতা পূর্ব্বক অনুযোগ করা, ভর্ৎসনা করা, চেতনা দেওয়াও’ পড়ে। (২ তীমথিয় ৪:২) শিক্ষকদের কাজ এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে পৌল করিন্থীয়দেরকে চিঠি লেখার সময় প্রেরিত ও ভাববাদীদের কথা বলার পরেই শিক্ষকদের নাম তালিকাভুক্ত করেন।—১ করিন্থীয় ১২:২৮.

৪. কীভাবে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষমতা আমাদেরকে ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫ পদে দেওয়া পৌলের পরামর্শ মেনে চলতে সাহায্য করে?

৪ এটা ঠিক যে, সব খ্রীষ্টানই প্রাচীন বা অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন না। কিন্তু তবুও “প্রেম ও সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে” একে অপরকে উদ্দীপিত করে তোলার জন্য সবাইকে উৎসাহ দেওয়া হয়। (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) সভাগুলোতে এটা করার জন্য আমাদের ভালভাবে তৈরি হয়ে আসা ও হৃদয় থেকে উত্তর দেওয়া উচিত যা অন্যদের গেঁথে তুলতে ও উৎসাহিত করতে পারে। এছাড়াও প্রচার কাজে অভিজ্ঞ প্রকাশকেরা নতুনদের সঙ্গে প্রচার করার সময় নিজেদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন আর তা করে তারা তাদেরকে ‘সৎক্রিয়ার সম্বন্ধে উদ্দীপিত’ করতে পারেন। এইভাবে প্রচার কাজে বা অন্য যে কোন সময়ে জরুরী বিষয়গুলো শেখানো যেতে পারে। যেমন, পরিপক্ব নারীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন তারা “সুশিক্ষাদায়িনী হন।”—তীত ২:৩.

প্রমাণ জ্ঞাত হওয়া

৫, ৬. (ক) কীভাবে সত্য খ্রীষ্টধর্ম মিথ্যা উপাসনা থেকে আলাদা? (খ) কীভাবে প্রাচীনেরা নতুন ব্যক্তিদেরকে বুদ্ধিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেন?

৫ এইখানে সত্য ধর্ম মিথ্যা ধর্মগুলো থেকে একেবারেই আলাদা কারণ সেগুলোর বেশিরভাগই তাদের সদস্যদের চিন্তার স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়। যীশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন ধর্মীয় নেতারা লোকেদের ওপর মানুষের তৈরি কঠিন নিয়মের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার করেছিল আর চেয়েছিল যে প্রতিটা ক্ষেত্রে লোকেরা তাদের কথামতো চলবে। (লূক ১১:৪৬) খ্রীষ্টীয়জগতের পাদ্রিরাও সবসময় একইরকম করে এসেছেন।

৬ কিন্তু সত্য উপাসনা হল “পবিত্র পরিচর্যা” যা আমরা আমাদের “যুক্তি করার ক্ষমতা” ব্যবহার করে করি। (রোমীয় ১২:১, NW) যিহোবার দাসেরা “প্রমাণ জ্ঞাত” হয়েছেন। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (২ তীমথিয় ৩:১৪) মণ্ডলীতে যারা নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন তাদের মাঝে মাঝে কিছু নির্দেশ দিতে হতে পারে বা কিছু নিয়ম তৈরি করতে হতে পারে যাতে মণ্ডলীর সব কাজ সুন্দরভাবে হয়। কিন্তু প্রাচীনেরা খ্রীষ্টান ভাইবোনদের হয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেন না বরং তারা তাদের “সদসৎ বিষয়ের বিচারণে পটু” হতে শেখান। (ইব্রীয় ৫:১৪) প্রাচীনেরা প্রধানত “বিশ্বাসের ও উত্তম শিক্ষার” দ্বারা মণ্ডলীকে পুষ্ট করে এটা করে থাকেন।—১ তীমথিয় ৪:৬.

নিজের শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হওয়া

৭, ৮. (ক) সাধারণ লোকেরা যাদের খুব বেশি ক্ষমতা নেই তারা কীভাবে শিক্ষকের কাজ করছেন? (খ) কী দেখায় যে একজন দক্ষ শিক্ষক হওয়ার জন্য নিজের চেষ্টা থাকা দরকার?

৭ এখন আসুন আমাদের সবার ওপর শিক্ষা দেওয়ার যে দায়িত্ব রয়েছে সেদিকে মন দেওয়া যাক। এই কাজ করার জন্য কি কোন বিশেষ দক্ষতা, পড়াশোনা বা ক্ষমতার প্রয়োজন আছে? একেবারেই না। পৃথিবী জুড়ে এই শিক্ষা দেওয়ার কাজ যারা করছেন তাদের বেশিরভাগই খুব সাধারণ লোক এবং তাদের ক্ষমতাও খুব বেশি নয়। (১ করিন্থীয় ১:২৬-২৯) পৌল বলেন: “এই ধন [পরিচর্যা] মৃন্ময় পাত্রে [অসিদ্ধ শরীরে] করিয়া আমরা ধারণ করিতেছি, যেন পরাক্রমের উৎকর্ষ ঈশ্বরের হয়, আমাদের হইতে নয়।” (২ করিন্থীয় ৪:৭) বিশ্ব জুড়ে রাজ্যের প্রচার কাজে যে বিরাট সাফল্য পাওয়া গেছে তা প্রমাণ করে যিহোবার আত্মা আমাদের সঙ্গে রয়েছে!

৮ কিন্তু তারপরও আমাদের নিজেদের চেষ্টা থাকার দরকার আছে যাতে আমরা “এমন কার্য্যকারী” লোক হয়ে উঠি “যাহার লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই, যে সত্যের বাক্য যথার্থরূপে ব্যবহার করিতে জানে।” (২ তীমথিয় ২:১৫) পৌল তীমথিয়কে পরামর্শ দিয়েছিলেন: “আপনার বিষয়ে ও তোমার শিক্ষার বিষয়ে সাবধান হও, এ সকলে স্থির থাক; কেননা তাহা করিলে তুমি আপনাকে ও যাহারা তোমার কথা শুনে, তাহাদিগকেও পরিত্রাণ করিবে।” (১ তীমথিয় ৪:১৬) এখন কীভাবে একজন ব্যক্তি শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে সাবধান হতে পারেন তা সে তিনি মণ্ডলীতেই শিক্ষা দিন বা মণ্ডলীর বাইরে? এটা করার জন্য কি কোনরকম দক্ষতা বা শিক্ষা দেওয়ার কৌশল গড়ে তোলা দরকার?

৯. সহজাত ক্ষমতার চেয়েও কোন্‌ বিষয়টা আরও বেশি বড়?

৯ যীশু তাঁর পর্বতে দেওয়া বিখ্যাত উপদেশে যেভাবে শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার থেকে জানা যায় যে তাঁর শিক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি অসাধারণ ছিল। তিনি যখন তাঁর কথা শেষ করেছিলেন তখন “লোকসমূহ তাঁহার উপদেশে চমৎকার জ্ঞান করিল।” (মথি ৭:২৮) এটা ঠিক যে আমরা কেউই যীশুর মতো করে শিক্ষা দিতে পারব না। কিন্তু, একজন দক্ষ শিক্ষক হওয়ার জন্য আমাদের বাক্‌পটু হওয়ার দরকার নেই। কারণ ইয়োব ১২:৭ পদ অনুযায়ী এমনকি ‘পশু’ ও ‘আকাশের পক্ষীগণ’ আমাদের নীরবে শিক্ষা দিতে পারে! তাই আমাদের সহজাত ক্ষমতা বা দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে যা সবচেয়ে বেশি দরকারি তা হল আমরা “কিরূপ লোক” অর্থাৎ আমাদের কীধরনের গুণাবলি আছে এবং আমরা কীধরনের আধ্যাত্মিক অভ্যাস গড়ে তুলেছি যা আমাদের বাইবেল ছাত্ররা নকল করতে পারে।—২ পিতর ৩:১১; লূক ৬:৪০.

ঈশ্বরের বাক্যের ছাত্ররা

১০. ঈশ্বরের বাক্যের একজন ছাত্র হিসেবে যীশু কীভাবে আমাদের জন্য এক উদাহরণ?

১০ একজনকে বাইবেলের সত্য শিক্ষা দেওয়ায় দক্ষ হওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ঈশ্বরের বাক্যের ছাত্র হতে হবে। (রোমীয় ২:২১) এই বিষয়ে যীশু খ্রীষ্ট নিজে আমাদের জন্য এক অসাধারণ উদাহরণ। যীশু তাঁর পরিচর্যার সময় এমন অনেক বিষয় বলেছিলেন যেগুলো ইব্রীয় শাস্ত্রের প্রায় অর্ধেক বইয়ের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিলে যায়।a তিনি যে ঈশ্বরের বাক্য ভালভাবে জানতেন তার প্রমাণ তাঁর ১২ বছর বয়সেই পাওয়া যায় যখন তিনি “গুরুদিগের মধ্যে বসিয়া তাঁহাদের কথা শুনিতেছিলেন ও তাঁহাদিগকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতেছিলেন।” (লূক ২:৪৬) যীশু যখন বড় হন তখন সমাজ-গৃহে যাওয়া তাঁর অভ্যাসে দাঁড়িয়েছিল যেখানে ঈশ্বরের বাক্য পড়ে শোনান হতো।—লূক ৪:১৬.

১১. একজন শিক্ষকের অধ্যয়ন করার কীরকম ভাল অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত?

১১ আপনি কি খুব আগ্রহ নিয়ে ঈশ্বরের বাক্য পড়েন? যদি আপনি এর গভীর বিষয়গুলো বোঝার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন, তাহলে আপনি ‘সদাপ্রভুর ভয় বুঝিতে পারিবেন, ঈশ্বরবিষয়ক জ্ঞান প্রাপ্ত হইবেন।’ (হিতোপদেশ ২:৪, ৫) তাই অধ্যয়ন করার ভাল অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রত্যেকদিন ঈশ্বরের বাক্য থেকে কিছুটা অংশ পড়ার চেষ্টা করুন। (গীতসংহিতা ১:২) হাতে পাওয়া মাত্রই প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকার প্রত্যেকটা সংখ্যা পড়াকে অভ্যাসে দাঁড় করান। মণ্ডলীর সভাগুলোতে গভীরভাবে মন দিন। মনোযোগ দিয়ে বাইবেলের বিষয়গুলো গবেষণা করতে শিখুন। আপনি যদি “সকল বিষয় সবিশেষ অনুসন্ধান” করতে শেখেন, তাহলে শিক্ষা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে বলা এবং ভুল কিছু শেখানোকে আপনি এড়াতে পারেন।—লূক ১:৩.

ছাত্রের জন্য ভালবাসা ও শ্রদ্ধা

১২. যীশু তাঁর শিষ্যদের কিভাবে দেখেছিলেন?

১২ আরেকটা জরুরি গুণ হল, আপনি যাদের শিক্ষা দেন তাদের জন্য সঠিক মনোভাব রাখা। যারা যীশুর কথা শুনতেন তাদেরকে ফরীশীরা নিচু চোখে দেখতেন। তারা বলেছিলেন: “এই যে লোকসমূহ ব্যবস্থা জানে না, ইহারা শাপগ্রস্ত।” (যোহন ৭:৪৯) কিন্তু শিষ্যদের জন্য যীশুর গভীর ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। তিনি বলেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে আর দাস বলি না, কেননা প্রভু কি করেন, দাস তাহা জানে না; কিন্তু তোমাদিগকে আমি বন্ধু বলিয়াছি, কারণ আমার পিতার নিকটে যাহা যাহা শুনিয়াছি, সকলই তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছি।” (যোহন ১৫:১৫) এটা দেখিয়েছিল যে যীশুর শিষ্যদের কীভাবে শিক্ষা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত।

১৩. ছাত্রদের জন্য পৌলের অনুভূতি কেমন ছিল?

১৩ উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পৌল তার ছাত্রদের সঙ্গে রুক্ষ, পেশাদারি ব্যবহার করেননি। তিনি করিন্থীয়দের বলেছিলেন: “যদিও খ্রীষ্টে তোমাদের দশ সহস্র পরিপালক থাকে, তথাচ পিতা অনেক নয়; কারণ খ্রীষ্ট যীশুতে সুসমাচার দ্বারা আমিই তোমাদিগকে জন্ম দিয়াছি।” (১ করিন্থীয় ৪:১৫) কোন কোন সময় পৌল তার ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার সময় কেঁদেছিলেন পর্যন্ত! (প্রেরিত ২০:৩১) তিনি অসীম ধৈর্য ও দয়াও দেখিয়েছিলেন। আর এই কারণেই তিনি থিষলনীকীয়দের বলতে পেরেছিলেন: “যেমন স্তন্যদাত্রী নিজ বৎসদিগের লালন পালন করে, তেমনি তোমাদের মধ্যে কোমল ভাব দেখাইয়াছিলাম।”—১ থিষলনীকীয় ২:৭.

১৪. আমাদের বাইবেল ছাত্রদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানো কেন এত জরুরি? বুঝিয়ে বলুন।

১৪ আপনি কি যীশু ও পৌলের মতো অনুভব করেন? আমাদের মধ্যে যদি শিক্ষা দেওয়ার সহজাত ক্ষমতার ঘাটতি থাকে, তাহলে ছাত্রদের জন্য আন্তরিক ভালবাসা আমাদের সেই ঘাটতিকে পূরণ করতে পারে। আমাদের বাইবেল ছাত্ররা কি বুঝতে পারেন যে তাদের প্রতি আমাদের সত্যিকারের আগ্রহ আছে? আমরা কি তাদেরকে জানার জন্য সময় করে নিই? একজন খ্রীষ্টান বোনের যখন তার ছাত্রীকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করতে সাহায্য করায় সমস্যা হচ্ছিল, তখন তিনি তাকে স্নেহের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিলেন: “আপনার কি কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা আছে?” এই কথা শুনে ছাত্রী মন খুলে তার দুর্ভাবনা এবং দুশ্চিন্তার কথা তাকে বলতে শুরু করেছিলেন। আর এইরকম ভালোবাসা দেখিয়ে কথাবার্তা বলা সেই ছাত্রীর জীবনকে বদলে দিয়েছিল। এইরকম পরিস্থিতিগুলোতে শাস্ত্রীয় যুক্তি, সান্ত্বনা আর উৎসাহ খুবই স্বস্তি যোগায়। (রোমীয় ১৫:৪) তবে সতর্ক থাকতে হবে: একজন বাইবেল ছাত্র হয়ত খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি করতে পারেন কিন্তু তারপরও তার কিছু অভ্যাস থাকতে পারে যা বাইবেলের মানের বিরুদ্ধ আর যেগুলো তার বদলানো দরকার। তাই তার সঙ্গে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মেলামেশা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। খ্রীষ্টান হওয়ায় আমাদের একটা সীমা বজায় রাখতে হবে।—১ করিন্থীয় ১৫:৩৩.

১৫. কীভাবে আমরা আমাদের বাইবেল ছাত্রদেরকে শ্রদ্ধা দেখাতে পারি?

১৫ ছাত্রদের শ্রদ্ধা করার মানে হচ্ছে তাদের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করার চেষ্টা করা। (১ থিষলনীকীয় ৪:১১) উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা হয়ত এমন একজন মহিলার সঙ্গে অধ্যয়ন করছি যিনি একজন লোকের সঙ্গে বিয়ে না করেই একসাথে থাকছেন। হয়ত তাদের ছেলেমেয়েও আছে। ঈশ্বরের বিষয়ে যথার্থ জ্ঞান পাওয়ার পর সেই মহিলা যিহোবার মান অনুসারে চলার জন্য বিষয়টা মিটমাট করে নিতে চাইবেন। (ইব্রীয় ১৩:৪) তার কি সেই লোককে বিয়ে করা উচিত বা আলাদা হয়ে যাওয়া উচিত? আমরা হয়ত ভাবতে পারি যে এই লোককে বিয়ে করলে ভবিষ্যতে তার আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে বাধা আসবে কারণ এই লোকের আধ্যাত্মিক বিষয়ের প্রতি খুব সামান্যই, বলতে গেলে কোন আগ্রহই নেই। অন্যদিকে, আবার আমরা হয়ত তার ছেলেমেয়েদের কথা ভেবে ভয় পেতে ও চিন্তা করতে পারি যে তিনি সেই লোককে বিয়ে করলেই ভাল করবেন। বিষয়টা যাই হোক না কেন, ছাত্রীর জীবনে অনধিকার হস্তক্ষেপ করা এবং তার ওপর আমাদের নিজেদের মতামত চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা বোঝাবে যে আমরা তাকে শ্রদ্ধাও করি না ভালও বাসি না। সবচেয়ে বড় কথা হল, তাকেই তার সিদ্ধান্তের ফল ভোগ করতে হবে। তাহলে, এইরকম এক ছাত্রীকে তার নিজের “জ্ঞানেন্দ্রিয় সকল” ব্যবহার করার ও তার নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার জন্য শিক্ষা দেওয়াটাই কি সবচেয়ে ভাল নয়?—ইব্রীয় ৫:১৪.

১৬. কীভাবে প্রাচীনেরা ঈশ্বরের পালের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা দেখাতে পারেন?

১৬ মণ্ডলীর প্রাচীনেরা পালের সঙ্গে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ব্যবহার করে এটা খুবই জরুরি। ফিলীমনকে লেখার সময় পৌল বলেছিলেন: “যাহা উপযুক্ত, তদ্বিষয়ে তোমাকে আজ্ঞা দিতে যদিও খ্রীষ্টে আমার সম্পূর্ণ সাহস আছে, তথাপি আমি প্রেম প্রযুক্ত বরং বিনতি করিতেছি।” (ফিলীমন ৮, ৯) কখনও কখনও মণ্ডলীতে সমস্যাজনক পরিস্থিতি আসতে পারে। আর সেইসময় দৃঢ় থাকার দরকার হতে পারে। তাই পৌল তীতকে পরামর্শ দিয়েছিলেন: “তুমি [অন্যায়কারীদের] তীক্ষ্ণভাবে অনুযোগ কর; যেন তাহারা বিশ্বাসে নিরাময় হয়।” (তীত ১:১৩) তারপরও, অধ্যক্ষদের সতর্ক থাকতে হবে যেন তারা মণ্ডলীর ভাইবোনদের সঙ্গে এমন ব্যবহার না করেন যাতে তারা দুঃখ পান। পৌল লিখেছিলেন: “যুদ্ধ করা প্রভুর দাসের উপযুক্ত নহে; কিন্তু সকলের প্রতি কোমল, শিক্ষাদানে নিপুণ, সহনশীল হওয়া . . . তাহার উচিত।”—২ তীমথিয় ২:২৪, ২৫; গীতসংহিতা ১৪১:৩.

১৭. মোশি কোন্‌ ভুল করেছিলেন এবং প্রাচীনেরা এর থেকে কী শিখতে পারেন?

১৭ অধ্যক্ষদের সবসময় মনে রাখা উচিত যে তারা ‘ঈশ্বরের পালের’ জন্য কাজ করছেন। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (১ পিতর ৫:২) মোশি যদিও নম্র ছিলেন কিন্তু তিনি কিছু সময়ের জন্য এই কথাটা ভুলে গিয়েছিলেন। ইস্রায়েলীয়রা “তাঁহার আত্মার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইল, আর উনি আপন ওষ্ঠাধরে অবিবেচনার কথা কহিলেন।” (গীতসংহিতা ১০৬:৩৩) তাঁর পালের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় ঈশ্বর খুবই অখুশি হয়েছিলেন যদিও দোষ ইস্রায়েলীয়দের ছিল। (গণনাপুস্তক ২০:২-১২) একইরকমভাবে আজকেও মণ্ডলীর ভাইরা যখন সমস্যা খাঁড়া করেন, তখন প্রাচীনদের তাদের বুঝতে চাওয়া ও দয়ার সঙ্গে শিক্ষা ও নির্দেশ দেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা উচিত। তাই প্রাচীনেরা যখন ভাইদের জন্য চিন্তা দেখিয়ে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করেন, তাদের কখনই শুধরানো যাবে না ভাবার বদলে যদি তাদের সাহায্যের দরকার আছে বলে এগিয়ে আসেন তাহলে ভাইরা সহজেই প্রাচীনের কথা মেনে নেওয়ার জন্য তৈরি থাকেন। ভাইদের জন্য প্রাচীনদের সঠিক মনোভাব বজায় রাখা দরকার কারণ পৌল বলেছিলেন: “তোমাদের সম্বন্ধে প্রভুতে আমাদের এই দৃঢ় প্রত্যয় আছে যে, আমরা যাহা যাহা আদেশ করি, সেই সকল তোমরা পালন করিতেছ ও করিবে।”—২ থিষলনীকীয় ৩:৪.

তাদের চাহিদাগুলোর প্রতি নজর দেওয়া

১৮, ১৯. (ক) যে বাইবেল ছাত্রদের ক্ষমতা সীমিত তাদের চাহিদার প্রতি আমাদের কীভাবে নজর দেওয়া উচিত? (খ) যে ছাত্রদের কিছু বিষয় বুঝতে কষ্ট হয় তাদেরকে আমরা কীভাবে সাহায্য করতে পারি?

১৮ একজন দক্ষ শিক্ষক তার ছাত্রদের ক্ষমতা ও সীমা মনে রেখে তাদের শিক্ষা দেন। (যোহন ১৬:১২ পদের সঙ্গে তুলনা করুন।) যীশুর তালন্তের দৃষ্টান্তে, প্রভু “যাহার যেরূপ শক্তি, তাহাকে তদনুসারে” সুযোগ দিয়েছিলেন। (মথি ২৫:১৫) লোকেদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার সময় আমরা এই আদর্শ মেনে চলতে পারি। সাধারণত আশা করা হয় যে একটা বাইবেল ভিত্তিক প্রকাশনা থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অধ্যয়ন শেষ করা হবে। কিন্তু একথাটাও বুঝতে হবে যে সবাই ভালভাবে পড়তে পারেন না বা খুব তাড়াতাড়ি নতুন ধারণাগুলো পুরোপুরিভাবে মনে গেঁথে নিতে পারেন না। তাই, আমার ছাত্র যদি তাড়াতাড়ি বুঝতে না পারেন, তাহলে আমাদের অধ্যয়নে আমরা কখন একটা বিষয় থেকে অন্য আরেকটা বিষয়ে যাব তা ঠিক করার সময় বিবেচনার দরকার। অল্প সময়ের মধ্যে বিষয়বস্তু শেষ করার চেয়ে তারা যা শিখছে তা তাদেরকে বুঝতে সাহায্য করা আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।—মথি ১৩:৫১.

১৯ এই কথা সেইসব বাইবেল ছাত্রদের জন্যও সত্যি যাদের বাইবেলের কিছু শিক্ষা, যেমন ত্রিত্ব বা ধর্মীয় ছুটির দিনের মতো বিষয়গুলো বুঝতে কষ্ট হয়। যদিও আমাদের অধ্যয়নগুলোতে সবসময় বাইবেল থেকে গবেষণা করা বিষয়বস্তু বলার দরকার নেই কিন্তু এটা যখন সত্যিই দরকারি তখন আমরা মাঝে মাঝে তা করতে পারি। তাই আমাদের সঠিক বুদ্ধির সঙ্গে কাজ করা উচিত যাতে আমরা নিজেরা শুধু শুধু একজন ছাত্রের উন্নতিতে বাধা হয়ে না দাঁড়াই।

উদ্যোগী হোন!

২০. কীভাবে পৌল তার শিক্ষায় উদ্যোগ ও দৃঢ় বিশ্বাস দেখিয়ে উদাহরণ রেখেছিলেন?

২০ পৌল বলেন: “আত্মায় উত্তপ্ত হও।” (রোমীয় ১২:১১) হ্যাঁ, লোকেদের ঘরে গিয়ে বাইবেল অধ্যয়ন করানোর সময়েই হোক বা মণ্ডলীর সভাতে অংশ নেওয়ার সময়ই হোক, আমাদের সবসময় উৎসাহ ও উদ্যোগ থাকা উচিত। পৌল থিষলনীকীয়দের বলেছিলেন: “আমাদের সুসমাচার তোমাদের কাছে কেবল বাক্যে নয়, কিন্তু শক্তিতে ও পবিত্র আত্মায় ও অতিশয় নিশ্চয়তায় উপস্থিত হইয়াছিল।” (১ থিষলনীকীয় ১:৫) এই কারণেই পৌল ও তার সঙ্গীরা “কেবল ঈশ্বরের সুসমাচার নয়, [তাদের] প্রাণও দিতে সন্তুষ্ট” ছিলেন।—১ থিষলনীকীয় ২:৮.

২১. আমরা কীভাবে আমাদের শিক্ষা দেওয়ার কাজে উদ্যোগ বজায় রাখতে পারি?

২১ আমাদের মনে যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে আমরা যা বলি তা আমাদের বাইবেল ছাত্রদের শোনা দরকার, তাহলেই আমরা সত্যিকারভাবে উদ্যোগ দেখাতে পারব। আসুন আমরা শিক্ষা দেওয়ার কাজকে কখনই একঘেয়ে মনে না করি। অধ্যাপক ইষ্রা তার শিক্ষার প্রতি অবশ্যই সাবধান ছিলেন। তিনি “সদাপ্রভুর ব্যবস্থা অনুশীলন ও পালন করিতে, এবং ইস্রায়েলে . . . শিক্ষা দিতে . . . আপন অন্তঃকরণ সুস্থির করিয়াছিলেন।” (ইষ্রা ৭:১০) তাই আমাদেরও ভালভাবে তৈরি হয়ে এবং বিষয়বস্তুর গুরুত্ব নিয়ে চিন্তা করে ইষ্রার মতো করা উচিত। আসুন আমরা যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদের বিশ্বাস ও প্রত্যয় গড়ে তোলায় সাহায্য করেন। (লূক ১৭:৫) আমাদের উদ্যোগ বাইবেল ছাত্রদেরকে সত্যের জন্য সত্যিকারের ভালবাসা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে। অবশ্য, আমাদের শিক্ষার প্রতি সাবধান হওয়ার মধ্যে এটাও পড়ে যে আমরা শিক্ষা দেওয়ার কিছু বিশেষ কৌশল ব্যবহার করব। আমাদের পরের প্রবন্ধ এইরকম কিছু কৌশল নিয়েই আলোচনা করবে।

[পাদটীকাগুলো]

a ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত শাস্ত্রের প্রতি অন্তর্দৃষ্টি (ইংরাজি), খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ১০৭১ দেখুন।

আপনি কি মনে করতে পারেন?

◻ কেন আজকে দক্ষ খ্রীষ্টান শিক্ষকদের দরকার আছে?

◻ আমরা অধ্যয়ন করার কোন্‌ ভাল অভ্যাস গড়ে তুলতে পারি?

◻ আমরা যাদের শিক্ষা দিই তাদেরকে ভালবাসা ও শ্রদ্ধা করা কেন এত জরুরী?

◻ আমাদের বাইবেল ছাত্রদের চাহিদার দিকে আমরা কীভাবে নজর দিতে পারি?

◻ অন্যদের শিক্ষা দেওয়ার সময় কেন উদ্যোগ ও দৃঢ়বিশ্বাস জরুরি?

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

ভাল শিক্ষকরা নিজেরাও ঈশ্বরের বাক্যের ছাত্র

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাইবেল ছাত্রদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার