ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৭/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • খ্রীষ্টীয়জগতের উপাসনাকে ঈশ্বর কোন্‌ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • খ্রীষ্টীয়জগতের উপাসনাকে ঈশ্বর কোন্‌ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন?
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • রক্তপাত
  • ব্যভিচার এবং পারদারিকতা
  • ‘বিবাহ করতে নিষেধ করে’
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৭/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

খ্রীষ্টীয়জগতের উপাসনাকে ঈশ্বর কোন্‌ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন?

যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্তু যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে। সেই দিন অনেকে আমাকে বলিবে, হে প্রভু, হে প্রভু, আপনার নামেই আমরা কি . . . অনেক পরাক্রম-কার্য্য করি নাই? তখন আমি তাহাদিগকে স্পষ্টই বলিব, আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।”—মথি ৭:২১-২৩.

তাঁর পবিত্র বাক্য, পবিত্র বাইবেলের মাধ্যমে ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা কী তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। খ্রীষ্টীয়জগতের গির্জাগুলি কি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করছে? অথবা তারা কি তাই, যাদের যীশু ‘অধর্ম্মাচারী’ বলেছিলেন?

রক্তপাত

তার প্রভুর মৃত্যুর পূর্ব রাত্রে, যীশুকে গ্রেপ্তার করতে পাঠান সৈনিকদের দলের সাথে পিতর প্রায় অস্ত্রযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলেন। (যোহন ১৮:৩, ১০) কিন্তু যীশু পুনরায় শান্ত অবস্থা ফিরিয়ে আনেন এবং পিতরকে সাবধান করেন: “যে সকল লোক খড়্গ ধারণ করে, তাহারা খড়্গ দ্বারা বিনষ্ট হইবে।” (মথি ২৬:৫২) এই স্পষ্ট সতর্কীকরণ প্রকাশিত বাক্য ১৩:১০ পদে পুনরুল্লিখিত হয়েছে। খ্রীষ্টীয়জগতের গির্জাগুলি কি এটিতে কর্ণপাত করেছে? অথবা তারা কি পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটতে থাকা যুদ্ধগুলির জন্য দায়ী?

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, ধর্মের নামে হাজার হাজার সার্ব ও ক্রোয়েশীয়কে হত্যা করা হয়েছিল। দ্যা নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা রিপোর্ট করে, “ক্রোয়েশিয়ায়, দেশীয় ফ্যাসীবাদী শাসন-তন্ত্র ‘জাতিগত শোধনের’ এক নীতি বলবৎ করতে শুরু করে যা এমনকি নাৎসী অভ্যাসগুলিকেও ছাড়িয়ে যায়। . . . ঘোষণা করা হয়েছিল যে সার্বিয়ার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশকে নির্বাসিত করা হবে, এক-তৃতীয়াংশকে রোমান ক্যাথলিকবাদে ধর্মান্তরিত করা হবে এবং এক-তৃতীয়াংশকে নিঃশেষ করা হবে। . . . ক্যাথলিক যাজকদের এই বিধানে অংশত সহায়তার জন্য যুদ্ধের পর তা গির্জা-রাষ্ট্রের সম্পর্ককে গভীরভাবে ক্ষতি করে।” অসংখ্য লোককে ক্যাথলিকবাদে ধর্মান্তরিত হতে জোর করা হয় অথবা মরতে হয়; এমনকি অন্যান্য হাজার হাজার ব্যক্তিদের বেছে নিতেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। সমস্ত গ্রামগুলিতে—পুরুষ, নারী এবং শিশু—সকলকে অর্থোডক্স গির্জাগুলির মধ্যে জোর করে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়। প্রতিরোধকারী সাম্যবাদী সৈন্যদের সম্বন্ধে কী বলা যায়? তাদেরও কি ধর্মীয় সমর্থন ছিল?

“বিপ্লবাত্মক শক্তিগুলির পক্ষে কিছু পাদ্রি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল,” যুগোশ্লাভিয়ার ইতিহাস (ইংরাজি) নামক বইটি রিপোর্ট করে। “প্রতিরক্ষা দলভুক্ত সৈন্যদের মধ্যে এমনকি অন্তর্ভুক্ত হয় সার্বিয়ান অর্থোডক্স এবং রোমান ক্যাথলিক গির্জাগুলির পাদ্রিরা,” বলে যুগোশ্লাভিয়া এবং নতুন সাম্যবাদ (ইংরাজি) নামক বইটি। ধর্মীয় বৈষম্যতা বল্কানে ক্রমাগতভাবে যুদ্ধের আগুনকে প্রজ্বলিত করে।

আর রুয়াণ্ডা সম্বন্ধে কী বলা যায়? আন্তর্জাতিক সম্পর্কীয় ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সচিব আয়ান্‌ লিনডেন, দ্যা মান্থ নামক পত্রিকাটিতে নিম্নোক্ত স্বীকৃতিটি দেন: “লন্ডনে আফ্রিকাবাসীদের অধিকার দ্বারা অনুসন্ধান, একটি অথবা দুটি উদাহরণ দেখায় স্থানীয় ক্যাথলিক, অ্যাংলিকান এবং ব্যাপটিস্ট গির্জার নেতারা দেশের স্থানিক বাহিনীর দ্বারা হত্যাকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় থেকে অথবা ক্ষমতা প্রদানের মাধ্যমে এতে লিপ্ত হয়। . . . প্রকৃতই কোন সন্দেহ নেই যে, গির্জার তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যক বিশিষ্ট খ্রীষ্টানেরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল।” দুঃখের বিষয়, তথা-কথিত খ্রীষ্টানদের মধ্যে লড়াই মধ্য আফ্রিকাকে ক্রমাগত আঘাত করে চলেছে।

ব্যভিচার এবং পারদারিকতা

ঈশ্বরের বাক্য অনুসারে, যৌনসংসর্গের জন্য কেবলমাত্র একটিই সম্মানীয় স্থান রয়েছে আর তা হল বিবাহ বন্ধনের মধ্যে। বাইবেল বলে “সকলের মধ্যে বিবাহ আদরণীয় ও সেই শয্যা বিমল [হউক]; কেননা ব্যভিচারীদের ও বেশ্যাগামীদের বিচার ঈশ্বর করিবেন।” (ইব্রীয় ১৩:৪) ঈশ্বরের এই শিক্ষাকে গির্জার নেতারা কি তুলে ধরছে?

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাংলিকান গির্জা ১৯৮৯ সালে যৌনসংসর্গ সম্বন্ধে একটি সরকারী দলিল বের করে যেটি প্রস্তাব করেছিল যে বিবাহের পূর্বে যৌন সম্পর্ক কোন দোষের নয় যদি এক দম্পতি একে অপরের সাথে পুরোপুরিভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। সম্প্রতিকালে, স্কটল্যান্ডের অ্যাংলিকান গির্জার নেতা বলেন: “গির্জার উচিত নয় প্রণয়সম্পর্কগুলিকে পাপ ও দোষ বলে নিন্দা করা। আমাদের বংশানুগতির কারণের জন্য গির্জা অবশ্যই পারদারিকতাকে গ্রহণ করবে।”

দক্ষিণ আফ্রিকায় বহু সংখ্যক পাদ্রিরা সমকামিতার অনুকূলে মত প্রকাশ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার আপনি (ইংরাজি) নামক পত্রিকা একজন বিশিষ্ট অ্যাংলিকান মন্ত্রীর বক্তব্যকে উদ্ধৃতি করে: “শাস্ত্র চিরকালের বন্ধন নয়। . . . আমি মনে করি যে সমকামী লোকেদের সম্পর্কে গির্জার মনোভাব ও নীতির পরিবর্তন হবে।—তুলনা করুন রোমীয় ১:২৬, ২৭.

১৯৯৪ ব্রিটানিকা বুক অফ দ্যা ইয়ার অনুসারে, আমেরিকার গির্জাগুলিতে যৌনসংসর্গ একটি প্রধান বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে যেমন “ঘোষিত পুরুষ সমকামী এবং স্ত্রী স্বকামীদের পরিচর্যায় নিয়োজন, সমকামী অধিকার সম্বন্ধে ধর্মীয় বোধগম্যতা, ‘সমকামী বিবাহে’ আশীর্বাদ প্রদান এবং সমকামিতার সাথে জড়িত জীবনধারার বৈধতা অথবা দণ্ড।” বড় গির্জা সম্প্রদায়গুলির অধিকাংশ এই যাজকদের থাকতে দেয় যারা বৃহত্তর যৌন স্বাধীনতার জন্য অভিযান চালায়। ১৯৯৫ ব্রিটানিকা বুক অফ দ্যা ইয়ার অনুসারে, “সমকামী পরিচারক নিয়োজন ও অভ্যাসের গ্রহণযোগ্যতাকে স্বীকৃতি দান” সম্বন্ধীয় একটি ঘোষণাপত্রে ৫৫ জন এপিসকোপালিয়ান গির্জার বিশপ্‌ সাক্ষর করেন।”

কিছু যাজক সমকামিতার অনুকূলে তর্ক করে এই দাবি করে যে যীশু কখনও এর বিরুদ্ধে কথা বলেননি। কিন্তু তা কি প্রকৃতই সত্য? যীশু খ্রীষ্ট ঘোষণা করেছিলেন যে ঈশ্বরের বাক্য সত্য। (যোহন ১৭:১৭) সেটির অর্থ যে তিনি সমকামিতা সম্পর্কে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন জানিয়েছিলেন যেমন লেবীয় পুস্তক ১৮:২২ পদে বর্ণনা করা হয়েছে, যেটি বলে: “স্ত্রীর ন্যায় পুরুষের সহিত সংসর্গ করিও না, তাহা ঘৃণার্হ কর্ম্ম।” এছাড়া যীশু ব্যভিচার ও পারদারিকতাকে “সকল মন্দ বিষয় ভিতর হইতে বাহির হয়, এবং মনুষ্যকে অশুচি করে” তার তালিকাভুক্ত করেছিলেন। (মথি ৭:২১-২৩) “ব্যভিচার” এর গ্রীক শব্দ এক ব্যাপকতর অর্থ রাখে পারদারিকতার চাইতে। এটি সমকামিতা সহ, আইনসম্মত বিবাহের বাইরে সকলরকম যৌন সম্পর্ককে অন্তর্ভুক্ত করে। (যিহূদা ৭) যীশু খ্রীষ্ট তাঁর অনুগামীদের নামধারী খ্রীষ্টান শিক্ষকদের কোনরকমভাবে সমর্থন না করতে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যারা ব্যভিচারিতার গুরুত্বকে হ্রাস করে।—প্রকাশিত বাক্য ১:১; ২:১৪, ২০.

সমকামী এবং স্ত্রী স্বকামীদের পরিচারক হিসাবে নিয়োজনের জন্য যখন ধর্মীয় নেতারা অভিযান করে তখন তাদের গির্জাগুলির সদস্যদের উপর তা কী প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে যুব সম্প্রদায়ের উপর? এটি কি বিবাহের বাইরে যৌনসংসর্গ নিয়ে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি প্রলোভন নয়? বিপরীতে, ঈশ্বরের বাক্য খ্রীষ্টানদের উপদেশ দেয় “ব্যভিচার হইতে পলায়ন” করতে। (১ করিন্থীয় ৬:১৮) যদি কোন সহবিশ্বাসী এইধরনের পাপে পতিত হয়, তাহলে ঈশ্বরের অনুগ্রহ পাওয়ার জন্য সেই ব্যক্তিকে পুনর্স্থাপিত করার ক্ষেত্রে প্রেমপূর্ণ সাহায্য প্রদান করা হয়। (যাকোব ৫:১৬, ১৯, ২০) কিন্তু যদি এইধরনের সাহায্যকে প্রত্যাখ্যান করা হয় তাহলে কী? বাইবেল জানায় যে যতক্ষণ পর্যন্ত না এই ব্যক্তিরা অনুতপ্ত হচ্ছে, তারা “ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।”—১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০.

‘বিবাহ করতে নিষেধ করে’

বাইবেল বলে যে “ব্যভিচার নিবারণের” জন্য “আগুনে জ্বলা অপেক্ষা বরং বিবাহ করা ভাল।” (১ করিন্থীয় ৭:২, ৯) এই বিজ্ঞ উপদেশ সত্ত্বেও, যাজকদের মধ্যে অনেককেই চিরকুমার থাকতে বলা হয়, যা হল বিবাহ না করা। “চিরকুমার থাকার শপথ ভাঙা যাবে না,” দ্যা ভাটিকান পেপারস্‌ নামক বইয়ে নিনো লু বিলু ব্যাখ্যা করেন, “যদি একজন পাদ্রি, সন্ন্যাসী অথবা নান্‌ যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। . . . পাপ স্বীকার করার সময়ে এক সততাপূর্ণ ঘোষণার দ্বারা যৌনসংসর্গের জন্য ক্ষমা লাভ করা যেতে পারে, কিন্তু কোন পাদ্রির বিবাহ কোনভাবেই গির্জার দ্বারা স্বীকার করা হবে না।” এই শিক্ষা কি উত্তম অথবা মন্দ, ফল উৎপাদন করেছে?—মথি ৭:১৫-১৯.

কোন সন্দেহ নেই যে বহু পাদ্রিই নৈতিকভাবে শুদ্ধ জীবনযাপন করে, কিন্তু বেশির ভাগ তা করে না। ১৯৯২ ব্রিটানিকা বুক অফ দ্যা ইয়ার অনুসারে, “রোমান ক্যাথলিক গির্জা রিপোর্ট করে যে যাজকদের যৌন সম্পর্কীয় অপব্যবহারের ঘটনাগুলিকে মীমাংসা করতে ৩০০০ লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।” পরে, ১৯৯৪ সালের সংস্করণটি বলে: “এইডসে বেশ কিছু সংখ্যক যাজকদের মৃত্যু পুরুষ সমকামী পাদ্রিদের উপস্থিতি প্রকাশ করে এবং যাজকপদে অত্যধিক সংখ্যায় সমকামীদের গ্রহণ করা হয় বলে দেখা যায়।” তাই আশ্চর্যের নয় যে বাইবেল বলে ‘বিবাহ করতে নিষেধ করা’ হল “মন্দ দূতেদের শিক্ষামালা।” (NW) (১ তীমথিয় ৪:১-৩) পিটার ডি রোসা তার বই ভিসারস্‌ অফ ক্রাইস্ট-এ লেখেন “কিছু ঐতিহাসিকের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, নৈতিকতার ক্ষেত্রে, [পাদ্রির চিরকুমার অবস্থা] পশ্চিমী জগতে যে কোন প্রথার চাইতে সম্ভবত আরও বেশি ক্ষতি করেছে যার অন্তর্ভুক্ত হল বেশ্যাবৃত্তি। . . . [এটি] প্রায়ই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে খ্রীষ্টতত্ত্বের নামের উপর কলঙ্ক এনেছে। . . . জোর করে চিরকুমার থাকা সর্বদাই যাজকের পদে কপটতায় পরিচালিত করেছে। . . . হাজার বার একজন পাদ্রি পাপ করতে পারে, কিন্তু গির্জার অনুশাসন অনুসারে সে কখনও বিবাহ করতে পারে না।”

বাল্‌ উপাসনা সম্বন্ধে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি বিবেচনা করার পর, এটি বোঝা কঠিন নয় যে কিভাবে তিনি খ্রীষ্টীয়জগতের বিভক্ত গির্জাগুলিকে দেখেন। বাইবেলের শেষ পুস্তকটি সকল ধরনের মিথ্যা উপাসনাগুলিকে “‘মহতী বাবিল, পৃথিবীর বেশ্যাগণের ও ঘৃণাস্পদ সকলের জননী’” এই নামের অধীনে একত্রিত করে। বাইবেল আরও বলে, “ভাববাদিগণের ও পবিত্রগণের রক্ত, এবং যত লোক পৃথিবীতে হত হইয়াছে, সেই সকলের রক্ত ইহার মধ্যে পাওয়া গেল।”—প্রকাশিত বাক্য ১৭:৫; ১৮:২৪.

তাই, যারা তাঁর সত্য উপাসক হতে চায়, তাদের সকলকে ঈশ্বর উপদেশ দেন: “‘হে আমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস, যেন উহার পাপ সকলের সহভাগী না হও, এবং উহার আঘাত সকল যেন প্রাপ্ত না হও। . . . একই দিনে তাহার আঘাত সকল—মৃত্যু, শোক ও দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হইবে; এবং তাহাকে আগুনে পোড়াইয়া দেওয়া যাইবে; কারণ তাহার বিচারকর্ত্তা প্রভু ঈশ্বর শক্তিমান্‌।”—প্রকাশিত বাক্য ১৮:৪, ৮.

এখন এই প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়: মিথ্যা ধর্ম থেকে বের হয়ে আসার পর, একজন ব্যক্তির কোথায় যাওয়া উচিত? কিধরনের উপাসনা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য?

[৫ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

প্রতিমাপূজা

বাল্‌ উপাসনার অন্তর্ভুক্ত ছিল মূর্তির ব্যবহার। ইস্রায়েলীয়রা সেই বালের সাথে যিহোবার উপাসনাকে মিশানোর চেষ্টা করেছিল। এমনকি তারা যিহোবার মন্দিরে মূর্তি এনেছিল। মূর্তি উপাসনা সম্বন্ধে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়েছিল যখন তিনি যিরূশালেম এবং তার মন্দিরের উপর ধ্বংস এনেছিলেন।

খ্রীষ্টীয়জগতের বহু গির্জা মূর্তির দ্বারা পূর্ণ, তা সে ক্রশ, মূর্তি অথবা মরিয়মের প্রতিমূর্তি যে আকারেরই হোক না কেন। এছাড়াও, গির্জার বহু অনুগামীদের এই সকল প্রতিমার সামনে প্রণিপাত করতে, নতজানু হতে, অথবা ক্রশের চিহ্ন করতে শিক্ষা দেওয়া হয়। বিপরীতে, সত্য খ্রীষ্টানদের আদেশ দেওয়া হয় “প্রতিমাপূজা হইতে পলায়ন” করতে। (১ করিন্থীয় ১০:১৪) তারা বস্তুর দ্বারা ঈশ্বরকে উপাসনা করার চেষ্টা করে না।—যোহন ৪:২৪.

[সজন্যে]

Musée du Louvre, Paris

[৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

“গির্জার নেতাকে নির্দোষ হতে হবে”

টুডেস্‌ ইংলিশ ভারসন অনুসারে এই অভিব্যক্তিটি তীত ১:৭ পদ থেকে নেওয়া। কিং জেমস্‌ ভারসন-এ পড়া হয়: “একজন বিশপকে অবশ্যই নিষ্কলঙ্ক হতে হবে।” যে গ্রীক শব্দ থেকে “বিশপ” কথাটি এসেছে তার অর্থ “অধ্যক্ষ।” তাই যে ব্যক্তিরা সত্য খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে নেতৃত্ব নেওয়ার জন্য নিযুক্ত হয় তাদের অবশ্যই বাইবেলের প্রাথমিক মানগুলি অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হবে। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাদের তত্ত্বাবধানের সেই পদ থেকে অবশ্যই অপসারিত হতে হবে, যেহেতু তারা আর “পালের আদর্শ” থাকে না। (১ পিতর ৫:​২, ৩) কিন্তু, এই প্রয়োজনীয়তাটিকে খ্রীষ্টীয়জগতের গির্জাগুলি কতটা গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকে?

আমি তোমার বিবাহ সম্বন্ধে চিন্তা করি (ইংরাজি), নামক তার বইয়ে ডা: ইভারটি ওয়ার্থিটং, যুক্তরাষ্ট্রের ভারজিনিয়া রাষ্ট্রের ১০০ জন পাদ্রির উপর একটি সমীক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন। শতকরা ৪০ জনের বেশি ব্যক্তি তাদের বিবাহ সাথী নয় এমন কারও সাথে কোন ধরনের কামোচ্ছাসে জড়িত থাকার বিষয়কে স্বীকার করে। তাদের মধ্যে বহুসংখ্যক পারদারিকতা করে।

আজকে খ্রীষ্টতত্ত্ব (ইংরাজি) নামক পত্রিকাটি বলে, “বিগত দশক ধরে, এর সবচেয়ে বেশি সম্মানীয় কিছু নেতাদের অনৈতিক আচরণের প্রকাশ দ্বারা গির্জা বার বার স্খলিত হয়েছে।” “কেন পারদারিক পাদ্রিদের পুনর্স্থাপিত হওয়া উচিত নয়” (ইংরাজি) নামক প্রবন্ধটি “যৌন সম্পর্কীয় পাপে দোষী” হওয়ার পর গির্জার নেতাদের শীঘ্রই তাদের পূর্বের স্থানে পুনর্স্থাপিত করার সম্বন্ধে খ্রীষ্টীয়জগতের সাধারণ প্রথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার