ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • mwbr21 মার্চ পৃষ্ঠা ১-১০
  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
  • জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২১)
  • উপশিরোনাম
  • মার্চ ১-৭
  • মার্চ ৮-১৪
  • মার্চ ১৫-২১
  • মার্চ ২২-২৮
  • মার্চ ২৯–এপ্রিল ৪
  • এপ্রিল ৫-১১
  • এপ্রিল ১২-১৮
  • এপ্রিল ১৯-২৫
  • এপ্রিল ২৬–মে ২
জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স (২০২১)
mwbr21 মার্চ পৃষ্ঠা ১-১০

জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স

মার্চ ১-৭

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ৭-৮

“ইজরায়েলীয়দের শিবির থেকে আমরা যা শিখতে পারি”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৪৯৭ অনু. ৩, ইংরেজি

মণ্ডলী

ইজরায়েলে প্রায়ই লোকদের হয়ে দায়িত্ববান প্রতিনিধিরা বিভিন্ন কাজ করত। (ইষ্রা ১০:১৪) তাই, আবাস স্থাপন করার পর ‘বংশ সকলের অধ্যক্ষেরা’ উপহার এনেছিল। (গণনা ৭:১-১১) এ ছাড়া, নহিমিয়ের দিনে যাজকেরা, লেবীয়েরা এবং “প্রজাদের মধ্যে প্রধান লোকেরা” প্রতিনিধি হিসেবে ‘নিয়মে’ মুদ্রাঙ্ক দিয়েছিল। (নহি ৯:৩৮–১০:২৭) ইজরালীয়েরা প্রান্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় কোরহ, দাথন ও ওন যখন মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়েছিল, তখন তাদের সঙ্গে আরও ২৫০ জন ব্যক্তি বিদ্রোহে যোগ দিয়েছিল, যারা “মণ্ডলীর অধ্যক্ষ, সমাজে সমাহূত ও প্রসিদ্ধ লোক” ছিল। (গণনা ১৬:১-৩) মোশি ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী ইজরায়েলের প্রাচীনবর্গের মধ্য থেকে এমন ৭০ জনকে বাছাই করেছিলেন, যারা অধ্যক্ষ ছিল, যেন তারা মোশিকে “লোকদের ভার” বহন করার জন্য সাহায্য করে, যে-ভার তিনি একা বহন করতে সক্ষম ছিলেন না। (গণনা ১১:১৬, ১৭, ২৪, ২৫) লেবীয় পুস্তক ৪:১৫ পদ “মণ্ডলীর প্রাচীনবর্গ” সম্বন্ধে উল্লেখ করে আর এমনটা মনে হয় যে, জাতির প্রাচীনবর্গ, অধ্যক্ষগণ, বিচারকর্ত্তৃগণ ও শাসকগণ লোকদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করত।—গণনা ১:৪, ১৬; যিহো ২৩:২; ২৪:১.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৭৯৬ অনু. ১, ইংরেজি

রূবেণ

ইজরায়েলের শিবিরে রূবেণ বংশ আবাসের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ছিল আর রূবেণ বংশের এলাকার দুই পাশে শিমিয়োন ও গাদ বংশ অবস্থিত ছিল। যাত্রার সময় এই তিন বংশের ভাগ রূবেণ বংশের নেতৃত্বে দ্বিতীয় স্থানে থাকত আর তাদের আগে যিহূদা, ইষাখর ও সবূলূন, এই তিন বংশের ভাগ থাকত। (গণনা ২:১০-১৬; ১০:১৪-২০) এ ছাড়া, এই একই ধারায় প্রতিটা বংশ আবাস প্রতিষ্ঠার দিনে নিজেদের উপহার অর্পণ করেছিল।—গণনা ৭:১, ২, ১০-৪৭.

প্রহরীদুর্গ ০৪ ৮/১ ২৫ অনু. ১

গণনাপুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

৮:২৫, ২৬. লেবীয়দের পরিচর্যা কর্মের পদে যোগ্য ব্যক্তিদের পূরণ করার এবং তাদের নিজের বয়সের কথা বিবেচনা করে, বয়স্ক ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কাজ থেকে অবসর গ্রহণ করার আদেশ দেওয়া হয়। তবে, তারা অন্য লেবীয়দের স্বেচ্ছায় সাহায্য করতে পারত। বর্তমানে, যদিও এক রাজ্য ঘোষণাকারী হওয়া থেকে কোনো অবসর নেই, তবে এই ব্যবস্থার নীতিটি আমাদের এক মূল্যবান শিক্ষা দেয়। বয়সের কারণে একজন খ্রিস্টান যদি কিছু বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে না পারেন, তা হলে তিনি হয়তো সেবার এমন এক ক্ষেত্রে রত হতে পারেন, যেটা করা তার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৩৫, ইংরেজি

প্রথমজাত

যেহেতু ইজরায়েলীয়দের প্রথমজাত ছেলেরা পরবর্তী সময় তাদের পরিবারের মস্তক হত, তাই তারা সমগ্র জাতিকে প্রতিনিধিত্ব করত। সত্যি বলতে কী, যিহোবা সমগ্র জাতিকে তাঁর “প্রথমজাত” বলে উল্লেখ করেছিলেন কারণ অব্রাহামের সঙ্গে করা চুক্তি দ্বারা সেই জাতি তাঁর প্রথমজাত জাতি ছিল। (যাত্রা ৪:২২) যেহেতু তিনি তাদের বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তাই যিহোবা আজ্ঞা দিয়েছিলেন, “ইস্রায়েল-সন্তানদের মধ্যে মনুষ্য হউক কিম্বা পশু হউক, গর্ব্ভ উন্মোচক সমস্ত প্রথমজাত ফল” যেন তাঁর উদ্দেশে পবিত্র করা হয়। (যাত্রা ১৩:২) তাই, প্রথমজাত ছেলেরা ঈশ্বরের কাছে উৎসর্গীকৃত ছিল।

মার্চ ৮-১৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ৯-১০

“যেভাবে যিহোবা তাঁর লোকদের নেতৃত্ব দেন”

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৯৮ অনু. ৩, ইংরেজি

শিবির

এ ছাড়া, এই বিশাল শিবির এক জায়গা থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য জায়গায় স্থাপন করার (গণনাপুস্তক ৩৩ অধ্যায়ে মোশি প্রায় ৪০ বার শিবির স্থাপন করার বিষয়ে উল্লেখ করেন) মধ্যে চমৎকার সুসংগঠনের বিষয়টা প্রকাশ পায়। কোনো এক জায়গায় সেই মেঘ যতক্ষণ আবাসের উপর থাকত, ততক্ষণ শিবির সেখানে থাকত। সেই মেঘ সরে গেলে শিবিরও উঠিয়ে নেওয়া হত। “সদাপ্রভুর আজ্ঞাতেই তাহারা শিবিরে থাকিত, সদাপ্রভুর আজ্ঞাতেই যাত্রা করিত।” (গণনা ৯:১৫-২৩) যিহোবার এই আজ্ঞাগুলো পেটানো রুপোর তৈরি দুটো তূরীর সাহায্যে পুরো শিবিরকে জানিয়ে দেওয়া হত। (গণনা ১০:২, ৫, ৬) তূরীতে বাজানো বিশেষ ধ্বনি সংকেত দিত যে, কখন শিবির উঠিয়ে নিতে হবে। প্রথম বার এমনটা ঘটেছিল “দ্বিতীয় বৎসর [খ্রিস্টপূর্ব ১৫১২ সাল] দ্বিতীয় মাসে, মাসের বিংশতিতম দিবসে।” শিবির উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে থাকত নিয়ম সিন্দুক আর তারপর প্রথম তিন বংশের ভাগে প্রথমে যিহূদা বংশ, এরপর ইষাখর বংশ এবং এরপর সবূলূন বংশ থাকত। তাদের পরে গের্শোনীয়েরা ও মরারীয়েরা আবাসের নিযুক্ত অংশগুলো বহন করে নিয়ে যেত। তাদের পর দ্বিতীয় তিন বংশের ভাগে প্রথমে রূবেণ বংশ, এরপর শিমিয়োন বংশ এবং এরপর গাদ বংশ থাকত। তাদের পর কহাতীয়েরা ধর্মধাম বহন করে নিয়ে যেত আর তাদের পর তৃতীয় তিন বংশের ভাগে প্রথমে ইফ্রয়িম বংশ, এরপর মনঃশি বংশ এবং এরপর বিন্যামীন বংশ থাকত। শেষে, শিবিরের পিছনে চতুর্থ তিন বংশের ভাগে থাকত প্রথমে দান বংশ, এরপর আশের বংশ এবং এরপর নপ্তালি বংশ। তাই, সবচেয়ে বেশি সংখ্যার এবং সবচেয়ে শক্তিশালী দুটো ভাগ শিবিরের সামনে ও পিছনে থাকত।—গণনা ১০:১১-২৮.

প্রহরীদুর্গ ১১ ৪/১৫ ৪-৫

আপনি কি ঈশ্বরের পরিচালনার প্রমাণ উপলব্ধি করতে পারেন?

কীভাবে আমরা দেখাতে পারি যে, ঈশ্বরের পরিচালনাকে আমরা মূল্যবান বলে গণ্য করি? প্রেরিত পৌল বলেছিলেন: “তোমরা তোমাদের নেতাদিগের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও।” (ইব্রীয় ১৩:১৭) সবসময় তা করা সহজ না-ও হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: নিজেকে মোশির সময়ের একজন ইস্রায়েলীয়ের স্থানে বসান। কল্পনা করুন যে, কয়েক দিন হাঁটার পর স্তম্ভটা থেমে যায়। সেটা সেখানে কত দিন থাকবে? এক দিন? এক সপ্তাহ? কয়েক মাস? আপনি হয়তো ভাবতে পারেন, ‘আমার সমস্ত জিনিসপত্র বের করা কি ঠিক হবে?’ প্রথমে, আপনি হয়তো কেবল সবচেয়ে দরকারি জিনিসপত্র বের করেন। তবে, কয়েক দিন পর, আপনি আপনার জিনিসপত্র খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে গিয়ে সবকিছু বের করে ফেলতে শুরু করেন। কিন্তু তার পর, আপনি যখন প্রায় সমস্ত জিনিসই বের করে ফেলেন, তখন স্তম্ভটাকে ওপরে উঠতে দেখেন—আর আপনাকে আবারও সবকিছু গোছগাছ করা শুরু করতে হয়! এটা খুব সহজ বা সুবিধাজনক হতো না। তা সত্ত্বেও, ইস্রায়েলীয়দের “তখন” বা অবিলম্বেই ‘যাত্রা করিতে’ হতো।—গণনা. ৯:১৭-২২.

তাহলে, আমরা যখন ঐশিক নির্দেশনা লাভ করি, তখন কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাই? আমরা কি “তখন” বা অবিলম্বেই তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করি? নাকি আমরা বিভিন্ন বিষয় যেভাবে করতে অভ্যস্ত, সেভাবেই করে চলি? আমরা কি চলতি নির্দেশনাগুলো সম্বন্ধে, যেমন গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করা, বিদেশিভাষী লোকেদের কাছে প্রচার করা, নিয়মিতভাবে পারিবারিক উপাসনায় অংশ নেওয়া, হসপিটাল লিয়েইজন কমিটি-র সঙ্গে সহযোগিতা করা এবং সম্মেলনগুলোতে সঠিকভাবে আচরণ করা সম্বন্ধে জানি? এ ছাড়া, পরামর্শ গ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা দেখাই যে, ঈশ্বরের পরিচালনাকে আমরা মূল্যবান বলে গণ্য করি। আমাদের যখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে হয়, তখন আমরা নিজেদের প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর না করে বরং পরিচালনার জন্য যিহোবা ও তাঁর সংগঠনের ওপর নির্ভর করি। আর প্রচণ্ড ঝড়ের সময় একটা ছোটো সন্তান যেমন তার বাবা-মায়ের কাছে সুরক্ষা খোঁজে, তেমনই আমরা যিহোবার সংগঠনে সুরক্ষা খুঁজি, যখন এই জগতের সমস্যাগুলো বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের মতো আমাদের ওপর আঘাত হানে।

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ১৯৯ অনু. ৩, ইংরেজি

সম্মেলন

সম্মিলিত হওয়ার গুরুত্ব। যিহোবা ইজরায়েলীয়দের জন্য সম্মিলিত হওয়ার কিছু ব্যবস্থা করেছিলেন, যেন সেখানে তারা একত্রিত হয়ে তাঁর উপাসনা করতে পারে। বার্ষিক নিস্তারপর্ব উদ্‌যাপনের বিষয়ে যিহোবার একটা নিয়ম থেকে বোঝা যায় যে, একসঙ্গে সম্মিলিত হওয়া কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কোনো পুরুষ যদি শুচি থাকা সত্ত্বেও এবং যাত্রার কারণে পথে না থাকা সত্ত্বেও নিস্তারপর্ব পালন না করতেন, তা হলে তাকে উচ্ছিন্ন করা হত অর্থাৎ মেরে ফেলা হত। (গণনা ৯:৯-১৪) রাজা হিষ্কিয় যখন যিহূদা ও ইজরায়েলের লোকদের জেরুসালেমে এসে নিস্তারপর্বের উদ্‌যাপনে যোগ দিতে বলেছিলেন, তখন তিনি তার বার্তায় এই কথাগুলোও বলেছিলেন: “হে ইস্রায়েল-সন্তানগণ, তোমরা . . . সদাপ্রভুর প্রতি ফির; . . . তোমাদের পিতৃপুরুষদের ন্যায় তোমরা আপন আপন গ্রীবা শক্ত করিও না, কিন্তু সদাপ্রভুকে হস্ত দেও, এবং তিনি চিরকালের জন্য যে স্থান পবিত্র করিয়াছেন, তাঁহার সেই ধর্ম্মধামে আসিয়া তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর সেবা কর, তাহাতে তাঁহার প্রচণ্ড ক্রোধ তোমাদের হইতে নিবৃত্ত হইবে। . . . তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু কৃপাময় ও স্নেহশীল; যদি তোমরা তাঁহার প্রতি ফির, তবে তিনি তোমাদের হইতে মুখ ফিরাইবেন না।” (২বংশা ৩০:৬-৯) ইচ্ছা করে উপস্থিত না হওয়া নিশ্চিতভাবেই ইঙ্গিত দিত যে, সেই ব্যক্তি ঈশ্বরকে ত্যাগ করেছেন। আর যদিও খ্রিস্টানেরা নিস্তারপর্বের মতো উদ্‌যাপনগুলো পালন করে না, তবুও ঈশ্বরের লোকদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সম্মিলিত হওয়ার বিষয়টা ত্যাগ না করার ব্যাপারে পৌল উপযুক্তভাবেই তাদের এই জোরালো পরামর্শ দিয়েছিলেন: “এসো, আমরা একে অন্যের প্রতি মনোযোগ দিই, যাতে প্রেম দেখানোর এবং উত্তম কাজ করার ব্যাপারে পরস্পরকে উদ্দীপিত করতে পারি আর সেইসঙ্গে সভায় একত্রে মিলিত হওয়া বাদ না দিই, যেমনটা কারো কারো অভ্যাস, বরং একে অন্যকে উৎসাহিত করি; আর ঈশ্বরের দিন যেহেতু এগিয়ে আসছে, তাই এসো, আমরা এই বিষয়গুলো আরও বেশি করে চলি।”—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫; দেখুন, মণ্ডলী।

মার্চ ১৫-২১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ১১-১২

“কেন অভিযোগ করার মনোভাব এড়িয়ে চলা উচিত?”

প্রহরীদুর্গ ০১ ৬/১৫ ১৭ অনু. ২০

ভুলে যাওয়ার শ্রোতা হবেন না

২০ বেশির ভাগ খ্রীষ্টান কখনোই যৌন অনৈতিকতায় জড়ান না। তারপরেও আমাদের সাবধান হওয়া দরকার, যাতে আমরা কখনও এমন কিছু না করি যা আমাদেরকে বচসা করতে পরিচালিত করে ও এর ফলে আমরা ঈশ্বরের অনুমোদন হারাতে পারি। পৌল আমাদের পরামর্শ দেন: “আর যেমন [ইস্রায়েলীয়দের] মধ্যে কতক লোক পরীক্ষা করিয়াছিল, এবং সর্পের দ্বারা বিনষ্ট হইয়াছিল, আমরা যেন তেমনি প্রভুর [“যিহোবার,” NW] পরীক্ষা না করি। আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক বচসা করিয়াছিল, এবং সংহারকের দ্বারা বিনষ্ট হইয়াছিল, তোমরা তেমনি বচসা করিও না।” (১ করিন্থীয় ১০:৯, ১০) ইস্রায়েলীয়রা মোশি ও হারোণের বিরুদ্ধে এমনকি যিহোবার বিরুদ্ধে পর্যন্ত বচসা করেছিল এবং তারা অলৌকিকভাবে জোগানো মান্নার বিষয়ে অভিযোগ করেছিল। (গণনাপুস্তক ১৬:৪১; ২১:৫) ব্যভিচারের মতো বচসার সময়ও কি যিহোবা তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হননি? বাইবেলের বিবরণ দেখায় যে, অনেক বচসাকারী সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিল। (গণনাপুস্তক ২১:৬) আগের একটা ঘটনায় ১৪,৭০০ জন বিদ্রোহী বচসাকারীকে বিনষ্ট করা হয়েছিল। (গণনাপুস্তক ১৬:৪৯) তাই, আসুন যিহোবা আমাদের জন্য যা জোগান তার প্রতি অসম্মান দেখিয়ে যিহোবার দীর্ঘসহিষ্ণুতাকে আমরা পরীক্ষা না করি।

প্রহরীদুর্গ ০৬ ৭/১৫ ১৫ অনু. ৭

“বচসা” করবেন না

৭ ইস্রায়েলের মনোভাব কতই না পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল! মিশর থেকে মুক্তি এবং লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে উদ্ধারের কারণে প্রথমে তাদের যে-কৃতজ্ঞতা ছিল, তা তাদেরকে যিহোবার প্রতি প্রশংসা গান করতে পরিচালিত করেছিল। (যাত্রাপুস্তক ১৫:১-২১) কিন্তু, প্রান্তরে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে এবং কনানীয়দের ভয়ে, ঈশ্বরের লোকেদের কৃতজ্ঞতা অসন্তুষ্ট মনোভাবে পরিণত হয়েছিল। তাদের স্বাধীনতার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেওয়ার পরিবর্তে তারা ভুলভাবে এই চিন্তা করে তাঁকে দোষ দিয়েছিল যে, তাদেরকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই, বচসা করা হল যিহোবার ব্যবস্থাগুলোর প্রতি সঠিক উপলব্ধিবোধের অভাবের এক প্রকাশ। অতএব, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, তিনি বলেছিলেন: “আমার প্রতিকূলে বচসাকারী এই দুষ্ট মণ্ডলীর ভার আমি কত কাল সহ্য করিব?”—গণনাপুস্তক ১৪:২৭; ২১:৫.

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৭১৯ অনু. ৪, ইংরেজি

বিবাদ

বচসা। বচসা করা লোকদের নিরুৎসাহিত করে এবং তাদের মনবল ভেঙে ফেলে। মিশর থেকে বের হওয়ার অল্পসময় পরই ইজরায়েলীয়েরা যিহোবার বিরুদ্ধে বচসা করেছিল এবং তিনি তাঁর দাস মোশি ও হারোণের মাধ্যমে যে-নেতৃত্ব প্রদান করেছিলেন, সেটার মধ্যে দোষ খোঁজার চেষ্টা করেছিল। (যাত্রা ১৬:২, ৭) পরবর্তী সময় তাদের অভিযোগগুলো মোশিকে এতটাই নিরুৎসাহিত করে তুলেছিল যে, তিনি মারা যেতে চেয়েছিলেন। (গণনা ১১:১৩-১৫) যে-ব্যক্তি বচসা করেন, তিনি মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে পারেন। বচসাকারীরা মোশির বিরুদ্ধে যে-অভিযোগগুলো করেছিল, সেগুলোকে যিহোবা এমনভাবে দেখেছিলেন যেন তারা আসলে তাঁর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে অভিযোগ করছে। (গণনা ১৪:২৬-৩০) এই দোষ খোঁজার মনোভাবের কারণে অনেকে তাদের জীবন হারিয়েছিল।

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-২ ৩০৯, ইংরেজি

মান্না

বর্ণনা। মান্না “ধনিয়া বীজের মত, শুক্লবর্ণ” ছিল আর সেটা “দেখিতে” গুগ্‌গুলের মতো ছিল। এই গুগ্‌গুল হল মোমতুল্য এবং স্বচ্ছ উপাদান দিয়ে তৈরি এক বস্তু, যেটার আকৃতি মুক্তোর মতো। মান্নার স্বাদ “মধুমিশ্রিত” অথবা “তৈলপক্ব পিষ্টকের” বা পিঠের মতো ছিল। এই মান্না জাঁতায় অথবা হামানদিস্তায় পেষা হত আর এরপর সিদ্ধ করা হত অথবা এটা দিয়ে পিঠে বানানো হত।—যাত্রা ১৬:২৩, ৩১; গণনা ১১:৭, ৮.

মার্চ ২২-২৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ১৩-১৪

“যেভাবে বিশ্বাস আমাদের সাহসী করে”

প্রহরীদুর্গ ০৬ ১০/১ ১৭ অনু. ৫-৬

বিশ্বাস ও ঈশ্বরীয় ভয়ের দ্বারা সাহসী হওয়া

৫ কিন্তু, গুপ্তচরদের মধ্যে দুজন ব্যক্তি, যিহোশূয় ও কালেব প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করতে উৎসুক ছিল। কনানীয়রা “আমাদের ভক্ষ্যস্বরূপ,” তারা বলেছিল। “তাহাদের আশ্রয়-ছত্র তাহাদের উপর হইতে নীত হইল, সদাপ্রভু আমাদের সহবর্ত্তী; তাহাদিগকে ভয় করিও না।” (গণনাপুস্তক ১৪:৯) যিহোশূয় ও কালেব কি কোনো ভিত্তি ছাড়াই আশাবাদী ছিল? কখনোই না! বাকি সমস্ত জাতির সঙ্গে তারাও দেখেছিল যে, যিহোবা দশটা আঘাতের মাধ্যমে পরাক্রমী মিশর ও এর দেবতাদের অবমানিত করেছেন। এরপর তারা দেখেছিল যে, যিহোবা ফরৌণ ও তার সেনাবাহিনীকে লোহিত সমুদ্রে (সূফসাগরে) ডুবিয়ে মেরেছিলেন। (গীতসংহিতা ১৩৬:১৫) স্পষ্টতই, দশজন গুপ্তচর ও যারা তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, তাদের ভয় অমার্জনীয় ছিল। “আমি ইহাদের মধ্যে যে সকল চিহ্ন-কার্য্য করিয়াছি, তাহা দেখিয়াও ইহারা কত কাল আমার প্রতি অবিশ্বাসী থাকিবে?” যিহোবা এই কথা বলে তাঁর গভীর বেদনা প্রকাশ করেছিলেন।—গণনাপুস্তক ১৪:১১.

৬ যিহোবা একেবারে সমস্যার মূল সম্বন্ধে বলেছিলেন আর সেটা হল লোকেদের কাপুরুষোচিত মনোভাব, যা তাদের বিশ্বাসের অভাবকে প্রকাশ করেছিল। হ্যাঁ, বিশ্বাস ও সাহস এতটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িত যে, প্রেরিত যোহন খ্রিস্টীয় মণ্ডলী ও এর আধ্যাত্মিক যুদ্ধ সম্বন্ধে লিখতে পেরেছিলেন: “যে জয় জগৎকে জয় করিয়াছে, তাহা এই, আমাদের বিশ্বাস।” (১ যোহন ৫:৪) আজকে, যিহোশূয় ও কালেবের মতো বিশ্বাস ষাট লক্ষেরও বেশি যুবক ও বৃদ্ধ, সবল ও দুর্বল যিহোবার সাক্ষিদের বিশ্বব্যাপী রাজ্যের সুসমাচার প্রচার কাজে দেখা যায়। কোনো শত্রুই এই পরাক্রমী, সাহসী বাহিনীকে চুপ করাতে পারেনি।—রোমীয় ৮:৩১.

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৭৪০, ইংরেজি

ঈশ্বর ইজরায়েলকে যে-দেশ দিয়েছিলেন

ঈশ্বর ইজরায়েলকে যে-দেশ দিয়েছিলেন, সেটা সত্যিই এক উত্তম দেশ ছিল। পুরো জাতি প্রতিজ্ঞাত দেশে যাওয়ার আগে মোশি কয়েক জন চরকে সেখানে গিয়ে দেশ নিরীক্ষণ করতে এবং সেখানকার কিছু ফল-মূল আনতে বলেছিলেন। তারা সেখান থেকে ডুমুরফল, দাড়িম ও সেইসঙ্গে আঙুরের এত বড়ো এক গুচ্ছ নিয়ে এসেছিল যে, দু-জন ব্যক্তি সেটা লাঠিতে ঝুলিয়ে নিয়ে এসেছিল! যদিও তারা বিশ্বাসের অভাবের কারণে ভয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল, তবুও তারা এই খবর দিয়েছিল: দেশটা “দুগ্ধমধুপ্রবাহী বটে।”—গণনা ১৩:২৩, ২৭.

মার্চ ২৯–এপ্রিল ৪

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ১৫-১৬

“অহংকারী এবং অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন”

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ২৭ অনু. ১২

আপনি কি যিহোবার জানা লোক?

১২ যাই হোক, ইস্রায়েলীয়রা যখন প্রতিজ্ঞাত দেশে যাওয়ার পথে ছিল, তখন কোরহ এমনটা ধরে নিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা রয়েছে। এরপর, সেই জাতির আরও ২৫০ জন নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তি, বিভিন্ন পরিবর্তন করার চেষ্টায় কোরহের পক্ষ নিয়েছিল। কোরহ এবং অন্যেরা নিশ্চয়ই যিহোবার সঙ্গে তাদের সম্পর্কের বিষয়ে নিরাপদ বোধ করেছিল। তারা মোশি ও হারোণকে বলেছিল: “তোমরা বড়ই অভিমানী; কেননা সমস্ত মণ্ডলীর প্রত্যেক জনই পবিত্র, এবং সদাপ্রভু তাহাদের মধ্যবর্ত্তী।” (গণনা. ১৬:১-৩) কতই না চরম আত্মবিশ্বাসী এবং গর্বিত মনোভাব! মোশি তাদেরকে বলেছিলেন: ‘কে সদাপ্রভুর লোক, তাহা সদাপ্রভু জানাইবেন।’ (পড়ুন, গণনাপুস্তক ১৬:৫.) পরের দিন বেলা শেষে কোরহ ও তার পক্ষ নেওয়া সমস্ত বিদ্রোহী মারা গিয়েছিল।—গণনা. ১৬:৩১-৩৫.

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ২৭ অনু. ১১

আপনি কি যিহোবার জানা লোক?

১১ যিহোবার ব্যবস্থা এবং তাঁর সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখানোর বিষয়ে মোশি ও কোরহের মধ্যে স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। তাদের বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল যে, যিহোবা তাদেরকে কোন দৃষ্টিতে দেখেছেন। কোরহ একজন কহাতীয় লেবীয় ছিলেন এবং তিনি বিভিন্ন বিশেষ সুযোগ উপভোগ করেছিলেন আর সম্ভবত সেগুলোর মধ্যে ছিল, সেই জাতিকে সূফসাগর থেকে উদ্ধার লাভ করতে দেখা, সীনয় পর্বতে অবাধ্য ইস্রায়েলীয়দের বিরুদ্ধে যিহোবার বিচার সমর্থন করা এবং নিয়মসিন্দুক বহন সংক্রান্ত কাজে ভূমিকা পালন করা। (যাত্রা. ৩২:২৬-২৯; গণনা. ৩:৩০, ৩১) স্পষ্টতই, তিনি বহু বছর ধরে যিহোবার প্রতি অনুগত ছিলেন আর সেই কারণে ইস্রায়েল শিবিরের অনেকে তাকে সম্মানের চোখে দেখত।

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ৯৮ ৯/১ ২০ অনু. ১-২

প্রাথমিক বিষয়গুলিকে প্রথম স্থানে রাখতে নিশ্চিত হোন!

যিহোবা বিষয়টিকে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসাবে দেখেছিলেন। “পরে,” বাইবেল উল্লেখ করে, “সদাপ্রভু মোশিকে কহিলেন, সেই ব্যক্তির প্রাণদণ্ড অবশ্য হইবে।” (গণনাপুস্তক ১৫:৩৫) লোকটি যা করেছিলেন তার জন্য যিহোবা কেন এত কঠোর হয়েছিলেন?

কাঠ সংগ্রহ এবং সেইসঙ্গে খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান সম্বন্ধীয় চাহিদাগুলির ব্যবস্থা করার জন্য লোকেদের ছয়দিন সময় ছিল। সপ্তম দিনটি তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলি পুরণ করার জন্য রাখা হয়েছিল। কাঠ সংগ্রহ করা যদিও দোষের কিছু ছিল না কিন্তু যে সময়টি যিহোবার উপাসনার জন্য পৃথক করা ছিল সেই সময়টি ব্যবহার করা দোষের ছিল। খ্রীষ্টানেরা যদিও মোশির ব্যবস্থার অধীন নন, তবুও এই ঘটনাটি কি আজকে আমাদের প্রাথমিক বিষয়গুলিকে যথার্থভাবে স্থাপন করার জন্য শিক্ষা দেয় না?—ফিলিপীয় ১:১০.

এপ্রিল ৫-১১

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ১৭-১৯

“আমিই তোমার . . . অধিকার”

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ১৩ অনু. ৯

আপনি কি যিহোবাকে আপনার অংশ হতে দিচ্ছেন?

৯ সেই লেবীয়দের কথা চিন্তা করুন, যারা অধিকার হিসেবে কোনো ভূমি লাভ করেনি। যেহেতু বিশুদ্ধ উপাসনাই ছিল তাদের প্রধান চিন্তার বিষয়, তাই ভরণপোষণের জন্য তাদেরকে যিহোবার ওপর নির্ভর করতে হতো, যিনি তাদেরকে বলেছিলেন: “আমিই তোমার অংশ।” (গণনা. ১৮:২০) যদিও আমরা এক আক্ষরিক মন্দিরে সেবা করছি না, যেমনটা যাজক ও লেবীয়রা করত, তবুও আমরা তাদের মনোভাবকে অনুকরণ করতে পারি, এই আস্থা রাখতে পারি যে, যিহোবা আমাদের প্রতিপালন করবেন। যতই আমরা শেষকালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, ততই আমাদেরকে প্রতিপালন করার জন্য ঈশ্বরের ক্ষমতার ওপর আমাদের নির্ভরতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।—প্রকা. ১৩:১৭.

প্রহরীদুর্গ ১১ ৯/১৫ ৭ অনু. ৪

যিহোবা আমার অংশ

৪ লেবীয়দের জন্য এই কার্যভারের অর্থ কী ছিল? যিহোবা বলেছিলেন, তিনি এই অর্থে তাদের অংশ হতেন যে, ভূমির অধিকার লাভ করার পরিবর্তে বরং তাদেরকে সেবা করার জন্য আস্থা সহকারে এক অমূল্য সুযোগ প্রদান করা হয়েছিল। ‘সদাপ্রভুর যাজক’ হওয়াই ছিল তাদের অধিকার। (যিহো. ১৮:৭) গণনাপুস্তক ১৮:২০ পদের প্রসঙ্গ দেখায় যে, তাদেরকে বস্তুগত দিক দিয়ে অভাবের মধ্যে রাখা হয়নি। (পড়ুন, গণনাপুস্তক ১৮:১৯, ২১, ২৪.) লেবীয়দেরকে “সেবাকর্ম্মের বেতনরূপে . . . তাহাদের অধিকারার্থে ইস্রায়েলের মধ্যে সমস্ত দশমাংশ” দেওয়া হতো। তারা ইস্রায়েলীয়দের দ্বারা উৎপাদিত দ্রব্য এবং বর্ধিত গবাদি পশু থেকে দশমাংশ লাভ করত। এর প্রতিদানে, লেবীয়দেরকে তাদের প্রাপ্ত “সমস্ত উত্তম বস্তুর” দশমাংশ যাজকত্বের কাজকে সমর্থন করার জন্য প্রদান করতে হতো। (গণনা. ১৮:২৫-২৯) এ ছাড়া, যাজকদেরকে “সমস্ত পবিত্র বস্তু উত্তোলনীয় উপহাররূপে” প্রদান করা হতো, যেগুলো ইস্রায়েল সন্তানরা ঈশ্বরের উপাসনাস্থলে তাঁর জন্য নিয়ে আসত। তাই, যাজকবর্গের সদস্যদের এটা বিশ্বাস করার উত্তম কারণ ছিল যে, যিহোবা তাদেরকে প্রতিপালন করবেন।

আধ্যাত্মিক রত্ন

সজাগ হোন! ০২ ৬/৮ ১৪ অনু. ২, ইংরেজি

লবণ—এক মূল্যবান দ্রব্য

এ ছাড়া, লবণ স্থিরতা ও স্থায়ীত্বের এক প্রতীক হয়ে উঠেছিল। এইজন্য বাইবেলে কোনো অলঙ্ঘনীয় চুক্তিকে “লবণ-নিয়ম” বা লবণ চুক্তি বলা হত আর প্রায়ই দুই পক্ষ একসঙ্গে লবণযুক্ত খাবার খেয়ে সেই চুক্তি কার্যকর করত। (গণনা ১৮:১৯) মোশির ব্যবস্থার অধীনে বেদিতে উৎসর্গীকৃত বলির সঙ্গে সঙ্গে লবণও যোগ করা হত আর নিঃসন্দেহে, এটা পচন বা ক্ষয় থেকে মুক্ত থাকার বিষয়টাকে চিত্রিত করত।

এপ্রিল ১২-১৮

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ২০-২১

“চাপের মধ্যেও মৃদুতা বজায় রাখুন”

প্রহরীদুর্গ ১৯.০২ ১২ অনু. ১৯

মৃদুশীল হওয়ার চেষ্টা করুন এবং যিহোবাকে খুশি করুন

১৯ আমরা ভুল করা এড়িয়ে চলব। মোশির বিষয়ে আবারও চিন্তা করুন। কয়েক দশক ধরে তিনি মৃদুতা বজায় রেখেছিলেন এবং যিহোবাকে খুশি করেছিলেন। এরপর, প্রান্তরে ৪০ বছরের কঠিন যাত্রার শেষের দিকে মোশি মৃদুতা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার দিদি, খুব সম্ভবত যিনি মিশরে তার জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করেছিলেন, অল্পসময় আগে মারা গিয়েছেন এবং কাদেশে তাকে কবর দেওয়া হয়েছে। আর ইস্রায়েলীয়রা আবারও অভিযোগ করেছিল যে, তাদের ভালোভাবে যত্ন নেওয়া হচ্ছে না। এই বার তারা জলের অভাবের কারণে “মোশির সহিত বিবাদ করিয়া” ছিল। মোশির দ্বারা করা যিহোবার সমস্ত অলৌকিক কাজ দেখা ও সেইসঙ্গে মোশি এত দিন ধরে নিঃস্বার্থভাবে নেতৃত্ব দেওয়া সত্ত্বেও লোকেরা অভিযোগ করেছিল। তারা কেবল জলের অভাবের কারণেই অভিযোগ করেনি কিন্তু সেইসঙ্গে তারা মোশির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিল। তাদের মনে হয়েছিল যেন মোশির ভুলের কারণেই তারা তৃষ্ণার্ত রয়েছে।—গণনা. ২০:১-৫, ৯-১১.

প্রহরীদুর্গ ১৯.০২ ১৩ অনু. ২০-২১

মৃদুশীল হওয়ার চেষ্টা করুন এবং যিহোবাকে খুশি করুন

২০ মোশি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন এবং মৃদুতা হারিয়ে ফেলেছিলেন। যিহোবার আদেশ অনুযায়ী বিশ্বাস সহকারে পাথরের উদ্দেশে কথা বলার পরিবর্তে, মোশি লোকেদের উদ্দেশে তিক্ততার সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং নিজে প্রশংসা পেতে চেয়েছিলেন। এরপর, তিনি পাথরের উপর দু-বার আঘাত করেছিলেন এবং অনেক জল বের হয়ে এসেছিল। গর্ব ও রাগ তাকে এক গুরুতর ভুল করতে পরিচালিত করেছিল। (গীত. ১০৬:৩২, ৩৩) কিছু সময়ের জন্য মৃদুতা দেখাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে মোশিকে প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।—গণনা. ২০:১২.

২১ এই ঘটনা থেকে আমরা কিছু মূল্যবান শিক্ষা লাভ করি। প্রথমত, মৃদুতা বজায় রাখার জন্য আমাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা করতে হবে। আমরা যদি এক মুহূর্তের জন্যেও এটাকে উপেক্ষা করি, তা হলে আমাদের মধ্যে গর্ব জেগে উঠতে পারে এবং আমরা কথায় ও কাজে মূর্খতার পরিচয় দিতে পারি। দ্বিতীয়ত, চাপ আমাদের দুর্বল করে দিতে পারে, তাই আমাদের মৃদুশীল হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে আর তা এমনকী চাপের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও।

প্রহরীদুর্গ ১০ জানুয়ারি–মার্চ ২৭ অনু. ৫

একজন বিচারক যিনি যা সঠিক তা করার জন্য দৃঢ়

প্রথমত, ঈশ্বর মোশিকে লোকেদের কাছে কথা বলতে কিংবা তাদেরকে বিদ্রোহী বলে বিচার করতে নির্দেশ দেননি। দ্বিতীয়ত, মোশি এবং হারোণ ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। “তোমরা . . . আমাকে পবিত্র বলিয়া মান্য . . . করিলে না,” ঈশ্বর বলেছিলেন। (১২ পদ) “আমরা . . . জল বাহির করিব,” একথা বলার দ্বারা মোশি এমনভাবে কথা বলেছিলেন যেন ঈশ্বর নন, বরং তিনি এবং হারোণ অলৌকিকভাবে জল জুগিয়েছিলেন। তৃতীয়ত, সেই শাস্তি অতীতের বিচারের সঙ্গে মিল রেখে ছিল। ঈশ্বর সেই বিদ্রোহীদের আগের প্রজন্মকে কনানে প্রবেশ করতে দেননি, তাই মোশি ও হারোণের ক্ষেত্রেও তিনি একই বিষয় করেছিলেন। (গণনাপুস্তক ১৪:২২, ২৩) চতুর্থত, মোশি এবং হারোণ ছিল ইস্রায়েলের নেতা। যাদেরকে আস্থা সহকারে বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাদের ঈশ্বরের কাছে আরও বেশি নিকাশ দিতে হয়।—লূক ১২:৪৮.

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ১৪ ৬/১৫ ২৬ অনু. ১২

আপনি কি মানুষের দুর্বলতাগুলোকে যিহোবার মতো করে দেখেন?

১২ প্রতিটা পরিস্থিতিতে যিহোবা সঙ্গেসঙ্গে হারোণকে শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু, যিহোবা এটা উপলব্ধি করেছিলেন, হারোণ খারাপ ব্যক্তি নন অথবা তিনি অনেক গুরুতর ভুল করেননি। এমনটা মনে হয় যে, হারোণ পরিস্থিতির অথবা অন্যদের প্রভাবের কারণে সঠিক কাজ করা থেকে বিরত হয়েছিলেন। তবে, তাকে যখন তার ভুল দেখিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি নির্দ্বিধায় সেগুলো স্বীকার করেছিলেন এবং যিহোবার বিচার মেনে নিয়েছিলেন। (যাত্রা. ৩২:২৬; গণনা. ১২:১১; ২০:২৩-২৭) যিহোবা হারোণের বিশ্বাস এবং অনুতপ্ত মনোভাবের প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা বেছে নিয়েছিলেন। শত শত বছর পরেও, হারোণ ও তার বংশধরদের যিহোবার ভয়কারী হিসেবে স্মরণ করা হয়েছিল।—গীত. ১১৫:১০-১২; ১৩৫:১৯, ২০.

এপ্রিল ১৯-২৫

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ২২-২৪

“যিহোবা অভিশাপকে আশীর্বাদে পরিণত করেন”

সাক্ষ্য দেওয়া ৫৩ অনু. ৫, ইংরেজি

“যিশুর বিষয়ে সুসমাচার” জানানো

৫ প্রথম শতাব্দীর মতো বর্তমানেও ঈশ্বরের লোকদের উপর করা তাড়না তাদের প্রচার কাজকে থামিয়ে দেয়নি। বার বার এমনটা ঘটেছে যে, খ্রিস্টানদের কোনো এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায়—হয় জেলে কিংবা অন্য দেশে—নিয়ে যাওয়ার ফলে সেই নতুন জায়গার লোকেরা ঈশ্বরের রাজ্যের বার্তা জানতে সক্ষম হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যিহোবার সাক্ষিরা নাতসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে উল্লেখযোগ্য সাক্ষ্য দিতে পেরেছিল। সেখানে সাক্ষিদের সঙ্গে একজন ইহুদি ব্যক্তির দেখা হয়েছিল, যিনি পরে বলেছিলেন: “যে-যিহোবার সাক্ষিরা বন্দি ছিল, তারা প্রচুর সাহস দেখিয়েছিল আর আমাকে এই বিষয়ে দৃঢ়প্রত্যয়ী করেছিল যে, তাদের বিশ্বাসের ভিত্তি হল শাস্ত্র। ফলে, আমি নিজেও একজন সাক্ষি হই।”

অন্তর্দৃষ্টি-২ ২৯১, ইংরেজি

নির্বুদ্ধিতা

যিহোবার বিরুদ্ধে নির্বুদ্ধিতা। ভাববাদী বিলিয়ম মোয়াবীয়দের রাজা বালাকের কাছ থেকে টাকা লাভ করার জন্য নির্বোধের মতো ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ভবিষ্যদ্‌বাণী করতে চেয়েছিল। কিন্তু, যিহোবা তার প্রচেষ্টায় বাধা দিয়েছিলেন। প্রেরিত পিতর বিলিয়ম সম্বন্ধে লিখেছিলেন যে, “বাক্‌শক্তিহীন একটা গাধা মানুষের মতো কথা বলে সেই ভাববাদীকে নির্বোধের মতো কাজ করায় বাধা দিয়েছিল।” বিলিয়মের নির্বুদ্ধিতা সম্বন্ধে লেখার সময় প্রেরিত পিতর গ্রিক শব্দ প্যারাফ্রোনিয়া ব্যবহার করেছিলেন, যেটার অর্থ হল “মাথা খারাপ হয়ে যাওয়া।”—২পিতর ২:১৫, ১৬; গণনা ২২:২৬-৩১.

আধ্যাত্মিক রত্ন

প্রহরীদুর্গ ০৪ ৮/১ ২৭ অনু. ২

গণনাপুস্তকের প্রধান বিষয়গুলো

২২:২০-২২—কেন বিলিয়মের প্রতি যিহোবার ক্রোধ প্রজ্বলিত হয়েছিল? যিহোবা ভাববাদী বিলিয়মকে বলেছিলেন যে, তিনি যেন ইস্রায়েলীয়দের শাপ না দেন। (গণনাপুস্তক ২২:১২) কিন্তু, ভাববাদী ইস্রায়েলকে শাপ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বালাকের লোকদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। বিলিয়ম মোয়াবীয় রাজাকে খুশি করতে ও তার কাছ থেকে বেতন বা পুরস্কার লাভ করতে চেয়েছিলেন। (২ পিতর ২:১৫, ১৬; যিহূদা ১১) এমনকি বিলিয়ম যখন ইস্রায়েলকে শাপ দেওয়ার পরিবর্তে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য বাধ্য হয়েছিলেন, তখন তিনি এই পরামর্শ দিয়ে রাজার অনুগ্রহ লাভ করার চেষ্টা করেছিলেন যে, ইস্রায়েলীয় পুরুষদের প্রলোভিত করার জন্য বাল দেবের উপাসনাকারী মহিলাদের যেন ব্যবহার করা হয়। (গণনাপুস্তক ৩১:১৫, ১৬) তাই, বিলিয়মের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ প্রজ্বলিত হওয়ার কারণ ছিল সেই ভাববাদীর বিবেকবর্জিত লোভ।

এপ্রিল ২৬–মে ২

ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | গণনাপুস্তক ২৫-২৬

“এক জন ব্যক্তির নেওয়া পদক্ষেপ কি অন্যদের উপকৃত করতে পারে?”

‘ঈশ্বরের প্রেম’ অধ্যায় ৯ অনু. ১-২

“তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর”

একজন জেলে মাছ ধরার জন্য তার প্রিয় একটা জায়গায় গিয়েছেন। তিনি নির্দিষ্ট এক ধরনের মাছ ধরতে চান। তিনি একটা টোপ বাছাই করেন এবং তার বঁড়শি জলের মধ্যে ছুঁড়ে মারেন। কিছুক্ষণ পর, বঁড়শির সুতোতে টান পড়ে, ছিপ বেঁকে যায় এবং তিনি তার হাতের রিল ঘোরাতে থাকেন। তিনি হাসেন কারণ তিনি জানেন যে তিনি সঠিক টোপই বেছে নিয়েছেন।

২ খ্রিস্টপূর্ব ১৪৭৩ সালে, বিলিয়ম নামে এক ব্যক্তি একটা টোপ ফেলার জন্য অনেক চিন্তা করেছিলেন। তবে, তার মূল শিকার ছিল যিহোবার লোকেরা, যারা প্রতিজ্ঞাত দেশের একেবারে সীমান্তে, মোয়াব তলভূমিতে শিবিরস্থাপন করেছিল। বিলিয়ম নিজেকে যিহোবার একজন ভাববাদী বলে দাবি করতেন, কিন্তু আসলে তিনি একজন লোভী ব্যক্তি ছিলেন, যাকে ইস্রায়েলকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল। যাইহোক, যিহোবার হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিলিয়ম ইস্রায়েলকে শুধু আশীর্বাদ করতেই সমর্থ ছিলেন। তার পুরস্কার লাভ করার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হয়ে বিলিয়ম এই যুক্তি করেছিলেন যে, তিনি হয়তো ঈশ্বরকে দিয়ে তাঁর নিজ লোকেদের শাপ দেওয়াতে পারবেন, যদি তাদেরকে কেবলমাত্র গুরুতর পাপ করার জন্য প্রলোভিত করা যায়। সেই লক্ষ্য মাথায় রেখে বিলিয়ম একটা টোপ ফেলেন আর তা হল মোয়াবের ছলনাময়ী যুবতীরা।—গণনাপুস্তক ২২:১-৭; ৩১:১৫, ১৬; প্রকাশিত বাক্য ২:১৪.

‘ঈশ্বরের প্রেম’ অধ্যায় ৯ অনু. ৪

“তোমরা ব্যভিচার হইতে পলায়ন কর”

৪ কোন বিষয়টা এই বিপর্যয় ডেকে এনেছিল? অনেকে যিহোবার কাছ থেকে সরে পড়ার মাধ্যমে এক মন্দ হৃদয় গড়ে তুলেছিল, যে-ঈশ্বর তাদেরকে মিশর থেকে উদ্ধার করেছিলেন, প্রান্তরে প্রতিপালন করেছিলেন এবং তাদেরকে প্রতিজ্ঞাত দেশের সীমান্ত পর্যন্ত পরিচালিত করেছিলেন। (ইব্রীয় ৩:১২) এই বিষয়টা বিবেচনা করে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “আর যেমন তাঁহাদের মধ্যে কতক লোক ব্যভিচার করিয়াছিল, এবং এক দিনে তেইশ হাজার লোক মারা পড়িল, আমরা যেন তেমনি ব্যভিচার না করি।”—১ করিন্থীয় ১০:৮.

আধ্যাত্মিক রত্ন

অন্তর্দৃষ্টি-১ ৩৫৯ অনু. ১-২, ইংরেজি

সীমানা

তাই এটা স্পষ্ট যে, বংশের মধ্যে জমির বিভাগ দুটো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল: গুলিবাঁটের বা ঘুঁটি চালার ফলাফল এবং বংশের লোকদের সংখ্যা। ঘুঁটি চালার ফলে এটা নির্ধারিত হত যে, প্রতিটা বংশ তাদের অধিকার হিসেবে আনুমানিকভাবে কোন জায়গা লাভ করবে, যেমন তাদের জমি দেশের কোন বিভাগে পড়বে, উত্তরে না কি দক্ষিণে, পূর্বে না কি পশ্চিমে, উপকূলবর্তী এলাকায় না কি পর্বতময় এলাকায়। ঘুঁটি চালার ফলাফল যিহোবা নির্ধারণ করতেন, তাই এটা বিভিন্ন বংশের মধ্যে ঈর্ষা বা ঝগড়াঝাঁটিকে প্রতিরোধ করেছিল। (হিতো ১৬:৩৩) এভাবে, ঈশ্বর বিভিন্ন বিষয়ে পরিচালনা দিয়েছিলেন, যেন প্রতিটা বংশের পরিস্থিতি আদিপুস্তক ৪৯:১-৩৩ পদে লিপিবদ্ধ কুলপতি যাকোবের ভবিষ্যদ্‌বাণীর সঙ্গে মিলে যায়, যা তিনি ঈশ্বরের অনুপ্রেরণায় তার মৃত্যুশয্যায় করেছিলেন।

ঘুঁটি চেলে বংশের জায়গার ভৌগলিক অবস্থান নির্ধারণ করার পর দ্বিতীয় যে-বিষয়টা সেই জায়গার পরিসীমা নির্ধারণ করেছিল, তা হল: বংশের লোকদের সংখ্যার আনুপাতিক হার। “আর তোমরা গুলিবাঁট দ্বারা আপন আপন গোষ্ঠী অনুসারে দেশাধিকার বিভাগ করিয়া লইবে; অধিক লোককে অধিক অংশ, ও অল্প লোককে অল্প অংশ দিবে; যাহার অংশ যে স্থানে পড়ে, তাহার অংশ সেই স্থানে হইবে।” (গণনা ৩৩:৫৪) ভৌগলিক অবস্থান সম্বন্ধে ঘুঁটি চালার ফলাফল অপরিবর্তনশীল ছিল কিন্তু কোনো বংশ কতটা জায়গা লাভ করবে, সেই বিষয়ে রদবদল করা যেতে পারত। তাই, যিহূদা বংশের এলাকা যখন এর লোকদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হয়ে গিয়েছিল, তখন সেখান থেকে জায়গা কমিয়ে কিছু অংশ শিমিয়োন বংশের লোকদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।—যিহো ১৯:৯.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার