ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫
  • খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস পরীক্ষিত হবে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস পরীক্ষিত হবে
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিশ্বাস পরীক্ষিত—কেন?
  • ১৯১৪ সাল সম্বন্ধীয় বিশ্বাস পরীক্ষিত হয়েছিল
  • সেই সময়ে পরীক্ষার প্রতি প্রতিক্রিয়া
  • আপনার বিশ্বাসের গুণগত মান—এখন পরীক্ষিত
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “এক সেরা প্রকল্প”
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করে চলুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • “আমাদের বিশ্বাসের বৃদ্ধি করুন”
    ২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ৫/১৫ পৃষ্ঠা ১০-১৫

খ্রীষ্টীয় বিশ্বাস পরীক্ষিত হবে

“সকলের বিশ্বাস নাই।”—২ থিষলনীকীয় ৩:২.

১. ইতিহাস কিভাবে দেখিয়েছে যে সকলের প্রকৃত বিশ্বাস নেই?

সমগ্র ইতিহাসব্যাপী এমন অনেক পুরুষ, স্ত্রী ও শিশুরা রয়েছেন যাদের প্রকৃত বিশ্বাস আছে। “প্রকৃত” এই গুণবাচক বিশেষণটি খুবই উপযুক্ত কারণ অন্যান্য লক্ষ লক্ষ ব্যক্তিরা এইধরনের বিশ্বাস প্রদর্শন করে থাকেন যা সহজে গ্রহণ করার মত, বৈধ ভিত্তি বা কারণ ছাড়াই মেনে নেওয়ার ইচ্ছা। এইধরনের বিশ্বাস প্রায়ই মিথ্যা ঈশ্বর অথবা উপাসনার প্রক্রিয়াকে জড়িত করে যা সর্বশক্তিমান যিহোবা ও তাঁর প্রকাশিত বাক্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই কারণে প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “সকলের বিশ্বাস নাই।”—২ থিষলনীকীয় ৩:২.

২. আমাদের নিজেদের বিশ্বাস পরীক্ষা করা কেন জরুরী?

২ কিন্তু পৌলের উক্তি ইঙ্গিত করে যে সেই সময়ে কিছুজনের প্রকৃত বিশ্বাস ছিল আর অনুরূপভাবে আজও কিছুজনের আছে। এই পত্রিকার অধিকাংশ পাঠকেরা এইধরনের প্রকৃত বিশ্বাস—ঐশিক সত্য সম্বন্ধে যথার্থ জ্ঞানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্বাসে থাকা ও বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ইচ্ছুক হবেন। (যোহন ১৮:৩৭; ইব্রীয় ১১:৬) এটি কি আপনার ক্ষেত্রেও সত্য? তাহলে এটি অত্যাবশ্যক যে আপনি এই বিষয়টি উপলব্ধি করেন ও প্রস্তুত আছেন যে আপনার বিশ্বাস পরীক্ষিত হবে। কেন এটি বলা যেতে পারে?

৩, ৪. বিশ্বাসের পরীক্ষার বিষয়ে কেন আমাদের যীশুর দিকে তাকানো উচিত?

৩ আমরা অবশ্যই স্বীকার করব যে যীশু খ্রীষ্ট হচ্ছেন আমাদের বিশ্বাসের কেন্দ্র। বাস্তবিকই বাইবেল তাঁর সম্বন্ধে বলে যে তিনি আমাদের বিশ্বাসের সিদ্ধিকর্তা। এর কারণ, যীশু যা বলেছিলেন এবং করেছিলেন, বিশেষ করে যেভাবে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ করেছিলেন। তিনি সেই ভিত্তিকে শক্তিশালী করেছিলেন যার উপর মানবজাতি প্রকৃত বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন। (ইব্রীয় ১২:২; প্রকাশিত বাক্য ১:১, ২) তবুও, আমরা পড়ি যে যীশু “সর্ব্ববিষয়ে আমাদের ন্যায় পরীক্ষিত হইয়াছেন, বিনা পাপে।” (ইব্রীয় ৪:১৫) হ্যাঁ, যীশুর বিশ্বাস পরীক্ষিত হয়েছিল। আমাদের নিরুৎসাহিত অথবা আশঙ্কিত করার সম্পূর্ণ বিপরীতে এটি আমাদের সান্ত্বনা দেবে।

৪ বৃহৎ পরীক্ষাগুলি এমনকি যাতনাদণ্ডে মৃত্যু সহ্য করার দ্বারা যীশু “আজ্ঞাবহতা শিক্ষা করিলেন।” (ইব্রীয় ৫:৮) তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে তাদের উপর আসতে পারে এমন যে কোন পরীক্ষাগুলি সত্ত্বেও প্রকৃত বিশ্বাসের দ্বারা মানুষেরা জীবনযাপন করতে পারেন। যীশু তাঁর অনুগামীদের সম্বন্ধে যা বলেছিলেন সেই বিষয়ে যখন আমরা চিন্তা করি তখন এটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে: “আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছি, আমার সেই বাক্য স্মরণে রাখিও, ‘দাস আপন প্রভু হইতে বড় নয়।’” (যোহন ১৫:২০) বাস্তবিকপক্ষে, আমাদের সময়ে তাঁর অনুগামীদের সম্বন্ধে যীশু ভাববাণী করেছিলেন: “আমার নাম প্রযুক্ত সমুদয় জাতি তোমাদিগকে দ্বেষ করিবে।”—মথি ২৪:৯.

৫. শাস্ত্র কিভাবে ইঙ্গিত করে যে আমারা পরীক্ষার সম্মুখীন হব?

৫ এই শতাব্দীর প্রথমদিকে ঈশ্বরের গৃহের বিচার শুরু হয়। শাস্ত্র ভাববাণী করেছিল: “ঈশ্বরের গৃহে বিচার আরম্ভ হইবার সময় হইল; আর যদি তাহা প্রথমে আমাদিগেতে আরম্ভ হয়, তবে যাহারা ঈশ্বরের সুসমাচারের অবাধ্য, তাহাদের পরিণাম কি হইবে? আর ধার্ম্মিকের পরিত্রাণ যদি কষ্টে হয়, তবে ভক্তিহীন ও পাপী কোথায় মুখ দেখাইবে?”—১ পিতর ৪:১৭, ১৮.

বিশ্বাস পরীক্ষিত—কেন?

৬. কেন পরীক্ষিত বিশ্বাস অমূল্য?

৬ এক অর্থে, পরীক্ষিত নয় এমন বিশ্বাসের কোন প্রমাণযোগ্য মূল্য নেই আর এটির গুণগত মান অজানা থেকে যায়। আপনি হয়ত এটিকে এমন একটি চেকের সাথে তুলনা করতে পারেন যেটি এখনও ভাঙানো হয়নি। আপনি কোন কাজ বা কোন দ্রব্য সরবরাহ করেছেন বলে অথবা এমনকি উপহার হিসাবে হয়ত একটি চেক পেয়েছেন। চেকটি দেখে হয়ত বৈধ বলে মনে হতে পারে কিন্তু প্রকৃতই কি তাই? এটি কি প্রকৃতপক্ষে ততখানিই মূল্যবান যে পরিমাণ এতে উল্লেখিত রয়েছে? অনুরূপভাবে, আমাদের বিশ্বাস অবশ্যই কেবলমাত্র এক বাহ্যিক দৃশ্য ও নিছক প্রকাশ্য ঘোষণার চেয়ে আরও বেশি কিছু বোঝায়। এটিকে অবশ্যই পরীক্ষিত হতে হবে যদি আমরা প্রমাণ করতে চাই যে এর মধ্যে ব্যবহারিক গুরুত্ব রয়েছে ও এটি প্রকৃতই গুণগত মানসম্পন্ন। যখন আমাদের বিশ্বাস পরীক্ষিত হয়, আমরা হয়ত দেখতে পাই যে এটি শক্তিশালী ও মূল্যবান। এছাড়াও পরীক্ষা সেইসমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে প্রকাশ করে যেখানে আমাদের বিশ্বাসের পরিশোধিত ও অধিকতর শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।

৭, ৮. আমাদের বিশ্বাসের পরীক্ষা কোন্‌ উৎস থেকে আসে?

৭ ঈশ্বর তাড়না ও অন্যান্য বিশ্বাসের পরীক্ষাগুলি আমাদের উপর আসতে অনুমোদন করেন। আমরা পড়ি: “পরীক্ষার সময়ে কেহ না বলুক, ঈশ্বর হইতে আমার পরীক্ষা হইতেছে; কেননা মন্দ বিষয়ের দ্বারা ঈশ্বরের পরীক্ষা করা যাইতে পারে না, আর তিনি কাহারও পরীক্ষা করেন না।” (যাকোব ১:১৩) এইধরনের পরীক্ষাগুলির জন্য কে অথবা কী দায়ী? এগুলি হল শয়তান, জগৎ এবং আমাদের নিজেদের অসিদ্ধ মাংস।

৮ আমরা হয়ত স্বীকার করি যে শয়তান জগৎ, এর চিন্তাধারা ও এর পথগুলির উপর এক শক্তিশালী প্রভাব বিস্তার করে। (১ যোহন ৫:১৯) আর সম্ভবত আমরা এও জানি যে সে খ্রীষ্টানদের বিরুদ্ধে তাড়না নিয়ে আসে। (প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭) কিন্তু আমরা কি একইভাবে প্রত্যয়ী যে শয়তান আমাদের অসিদ্ধ মাংসের প্রতি আবেদনমূলক হয়ে, আমাদের চোখের সামনে জাগতিক প্রলোভনগুলি ঝুলিয়ে রেখে আমাদের বিপথগামী করার চেষ্টা করে, এটি আশা করে যে আমরা টোপটি গ্রহণ করব, ঈশ্বরের অবাধ্য হব ও পরিণতিতে যিহোবার অনুমোদন হারাব? শয়তানের পদ্ধতিগুলিতে অবশ্যই আমাদের আশ্চর্য হওয়া উচিত নয়, কারণ যীশুকে প্রলুব্ধ করতে চেষ্টা করার সময় সে একই কৌশলগুলি ব্যবহার করেছিল।—মথি ৪:১-১১.

৯. বিশ্বাসের উদাহরণগুলি থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারি?

৯ তাঁর বাক্য ও খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর মাধ্যমে যিহোবা আমাদের চোখের সামনে বিশ্বাসের ইতিবাচক উদাহরণগুলি স্থাপন করেছেন, আমরা যেগুলি অনুকরণ করতে পারি। পৌল উপদেশ দিয়েছিলেন: “ভ্রাতৃগণ, তোমরা সকলে মিলিয়া আমার অনুকারী হও, এবং আমরা যেমন তোমাদের আদর্শ, তেমনি আমাদের ন্যায় যাহারা চলে, তাহাদের প্রতি দৃষ্টি রাখ।” (ফিলিপীয় ৩:১৭) প্রথম শতাব্দীতে ঈশ্বরের একজন অভিষিক্ত সেবক হিসাবে পৌল বৃহৎ পরীক্ষাগুলি ভোগ করা সত্ত্বেও বিশ্বাসের কাজগুলি সম্পাদন করায় নেতৃত্ব নিয়েছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শেষে এসে বিশ্বাসের সমতুল্য উদাহরণগুলির অভাব আমাদের নেই। ইব্রীয় ১৩:৭ পদের বাক্যগুলি এখনও ততখানিই কার্যকরভাবে প্রয়োগযোগ্য যতখানি তা ছিল যখন পৌল সেগুলি লিখেছিলেন: “যাঁহারা তোমাদিগকে ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া গিয়াছেন, তোমাদের সেই নেতাদিগকে স্মরণ কর, এবং তাঁহাদের আচরণের শেষগতি আলোচনা করিতে করিতে তাঁহাদের বিশ্বাসের অনুকারী হও।”

১০. সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বাসের কোন্‌ নির্দিষ্ট উদাহরণগুলি আমাদের আছে?

১০ এই উপদেশটি আমাদের বিশেষভাবে প্রভাবিত করে যখন আমরা অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশের আচরণের ফলাফল বিবেচনা করি। আমরা তাদের উদাহরণের প্রতি মনোনিবেশ ও তাদের বিশ্বাসকে অনুকরণ করতে পারি। তাদের বিশ্বাস প্রকৃত যা পরীক্ষার দ্বারা পরিশোধিত হয়ে এসেছে। সেই ১৮৭০ দশকের ক্ষুদ্র আরম্ভ থেকে এক জগদ্ব্যাপী খ্রীষ্টীয় ভ্রাতৃসমাজ গড়ে উঠেছে। সেই সময় থেকে অভিষিক্ত ব্যক্তিদের বিশ্বাস ও ধৈর্যের ফলস্বরূপ পঞ্চান্ন লক্ষেরও বেশি যিহোবার সাক্ষীরা এখন ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে প্রচার ও শিক্ষাদানের কাজ করছেন। উদ্যোগী সত্য উপাসকদের বর্তমান বিশ্বব্যাপী মণ্ডলী পরীক্ষিত বিশ্বাসের এক সাক্ষ্য।—তীত ২:১৪.

১৯১৪ সাল সম্বন্ধীয় বিশ্বাস পরীক্ষিত হয়েছিল

১১. কিভাবে ১৯১৪ সাল সি. টি. রাসেল ও তার সহযোগীদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ ছিল?

১১ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার বেশ কয়েক বছর আগে অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশেরা ঘোষণা করেছিলেন যে ১৯১৪ সাল বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণীর ক্ষেত্রে এক তাৎপর্যপূর্ণ তারিখ হবে। কিন্তু তাদের কিছু প্রত্যাশা অপরিপক্ব ছিল এবং কী ঘটতে যাচ্ছে সে সম্বন্ধে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ সঠিক ছিল না। উদাহরণস্বরূপ, ওয়াচ টাওয়ার সোসাইটির প্রথম সভাপতি সি. টি. রাসেল এবং তার সহযোগীরা দেখতে পেয়েছিলেন যে এক বিস্তারিত প্রচার কাজ অত্যাবশ্যকীয়। তারা পড়েন: “সমুদয় জগতে সমস্ত জাতির কাছে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য রাজ্যের সুসমাচার প্রচারিত হবে আর তখন শেষ আসবে।” (মথি ২৪:১৪, কিং জেমস ভারসন) তাহলে, কিভাবে তাদের তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র দলটি এটি সম্পন্ন করতে পারত?

১২. রাসেলের একজন সহযোগী কিভাবে বাইবেল সত্যের প্রতি সাড়া দিয়েছিলেন?

১২ এই বিষয়টি রাসেলের এক সহযোগী এ. এইচ. ম্যাকমিলানকে কিভাবে প্রভাবিত করেছিল তা বিবেচনা করুন। তিনি কানাডায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন আর যখন তিনি রাসেলের যুগ সম্বন্ধে পরিকল্পনা (১৮৮৬) (ইংরাজি) নামক বইটি পেয়েছিলেন, ম্যাকমিলান তখন ২০ বছর বয়সীও ছিলেন না। (বইটি যুগ সম্বন্ধে ঐশিক পরিকল্পনা নামেও পরিচিত ছিল আর ব্যাপকভাবে বিতরিত শাস্ত্রাবলীর অধ্যয়ন (ইংরাজি) নামক বইয়ের ১ম খণ্ডে পরিণত হয়েছিল। ২য় খণ্ড সময় সন্নিকট [১৮৮৯] ১৯১৪ সালকে “জাতিগণের সময়” এর শেষ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। [লূক ২১:২৪, KJ]) যে রাতে ম্যাকমিলান সেটি পড়তে শুরু করেছিলেন, তিনি চিন্তা করেছিলেন: “মনে হচ্ছে এটি সত্য!” ১৯০০ সালের গ্রীষ্মকালে, তিনি বাইবেল ছাত্রদের এক সম্মেলনে রাসেলের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন, সেই সময়ে যিহোবার সাক্ষীরা এই নামে পরিচিত ছিলেন। শীঘ্রই ম্যাকমিলান বাপ্তিস্মিত হয়েছিলেন আর নিউ ইয়র্কে সোসাইটির প্রধান কার্যালয়ে ভাই রাসেলের সাথে কাজ করতে শুরু করেছিলেন।

১৩. মথি ২৪:১৪ পদের পরিপূর্ণতায় ম্যাকমিলান ও অন্যান্যেরা কোন্‌ সমস্যা দেখেছিলেন?

১৩ তাদের বাইবেল পাঠের উপর ভিত্তি করে ওই অভিষিক্ত খ্রীষ্টানেরা ১৯১৪ সালকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে এক সন্ধিক্ষণ হিসাবে নির্দেশ করেছিলেন। কিন্তু ম্যাকমিলান ও অন্যান্যেরা ভেবেছিলেন যে কী করে এই অবশিষ্ট অল্প সময়ের মধ্যে মথি ২৪:১৪ পদে ভাববাণীকৃত জাতিগণের কাছে প্রচার সম্পাদন করা হবে। তিনি পরবর্তী সময়ে বলেছিলেন: “আমার মনে আছে যে আমি প্রায়ই এই বিষয়টি নিয়ে ভাই রাসেলের সাথে কথা বলতাম আর তিনি এভাবে বলতেন, ভাই যিরূশালেমে যত যিহূদী আছেন তার চেয়ে অনেক বেশি যিহূদী এই নিউ ইয়র্কে আছেন। ডাবলিনে যত আইরিশ লোক আছেন তার চেয়ে অনেক বেশিজন এখানে আছেন। আর রোমে যত ইতালীয় আছেন তার চেয়ে বেশি এখানে আছেন। তাই এখন আমরা যদি এখানে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারি তার অর্থ হবে এই বার্তা নিয়ে সমগ্র জগতের কাছে পৌঁছানো।’ কিন্তু সেটি আমাদের মনকে পরিতৃপ্ত করতে পারেনি। তাই আমরা ‘ফটো-ড্রামা’-র কথা চিন্তা করেছিলাম।”

১৪. ১৯১৪ সালের পূর্বে কোন্‌ উল্লেখযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল?

১৪ “ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন” কী এক অভিনব প্রকল্পই না ছিল! এটি চলমান ছবি ও রঙিন কাচখণ্ডগুলির সমন্বয়ে গঠিত ছিল যার সাথে বাইবেল বক্তৃতা ও ধ্বনিগ্রাহক যন্ত্রে রেকর্ড করা সংগীত একত্রে যুক্ত ছিল। ১৯১৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের একটি সম্মেলন সম্বন্ধে প্রহরীদুর্গ বলেছিল: “এই সংকল্প সর্বসম্মত ছিল যে বাইবেলের সত্য শেখানোর জন্য চলমান ছবি ব্যবহার করার সময় এসে গিয়েছে। . . . [রাসেল] ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি তিন বছর ধরে এই পরিকল্পনাকে রূপায়িত করার জন্য কাজ করেছিলেন আর এখন প্রায় শতাধিক সুন্দর চিত্রগুলি প্রস্তুত যা নিঃসন্দেহে বিরাট জনতাকে আকর্ষিত করবে এবং সুসমাচার ঘোষণা করবে ও লোকেদের ঈশ্বরের প্রতি তাদের বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।”

১৫. “ফটো-ড্রামা” কিধরনের ফল উৎপন্ন করেছিল?

১৫ ১৯১৪ সালের জানুয়ারি মাসে এর উদ্বোধনী প্রদর্শনের পর “ফটো-ড্রামা” এই বিষয়গুলি সম্পন্ন করেছিল। নিম্নে ১৯১৪ সালের প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) থেকে কিছু বিবৃতি দেওয়া হল:

১লা এপ্রিল: “দুটি ভাগ দেখার পর একজন পরিচারক বলেছিলেন, ‘আমি ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন এর একটি পর্বের মাত্র অর্ধেক দেখেছি কিন্তু আমার তিন বছরের ধর্মতত্ত্ব সম্বন্ধীয় শিক্ষাকেন্দ্রের পাঠ থেকে বাইবেল সম্বন্ধে আমি যা শিখেছিলাম, এটি থেকে ইতিমধ্যেই তার চেয়ে অনেক বেশি শিখেছি।’ একজন যিহূদী এটি দেখার পর মন্তব্য করেছিলেন, ‘আমি আগের চেয়ে এক উন্নততর যিহূদী হিসাবে যাচ্ছি।’ অসংখ্য ক্যাথলিক যাজক ও নানরা ড্রামা দেখেছিলেন ও প্রচুর উপলব্ধি প্রকাশ করেছিলেন। . . . ড্রামা-র কেবলমাত্র ১২টি পর্ব তখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়েছিল। . . . তৎসত্ত্বেও আমরা সেই সময়ের মধ্যে একত্রিশটি শহরে পৌঁছাতে পেরেছিলাম ও সেবা করেছিলাম . . . প্রত্যেক দিন পয়ত্রিশ হাজারেরও বেশি লোক সেগুলি দেখেছিলেন, শুনেছিলেন, সেগুলির প্রশংসা করেছিলেন, চিন্তা করেছিলেন এবং আশীর্বাদ পেয়েছিলেন।”

১৫ই জুন: “চিত্রগুলি আমাকে সত্য ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আরও উদ্যোগী করে তুলেছে আর স্বর্গীয় পিতা ও আমাদের প্রিয় বড় ভাই যীশুর প্রতি আমার প্রেম আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আমি প্রতিদিন প্রার্থনা করি যে ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন ও এটির উপস্থাপনায় যুক্ত সকলের উপর ঈশ্বরের প্রচুর আশীর্বাদ থাকুক। . . . আপনার দাস এফ. ডব্লিউ. নক—আইওয়া”

১৫ই জুলাই: “এই শহরে এই ছবিগুলি কতই না চমৎকার এক ইতিবাচক প্রভাব রেখেছে সে বিষয়ে উল্লেখ করতে আমরা আনন্দিত আর আমরা নিশ্চিত যে জগতের কাছে এই সাক্ষ্য সেই সমস্ত অসংখ্য লোকেদের একত্রিত করার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে যারা প্রভুর নিজের নির্বাচিত রত্ন হিসাবে প্রমাণ দেন। আমরা বেশ কিছু সংখ্যক আন্তরিক বাইবেল ছাত্রদের সম্বন্ধে জানি যারা ফটো-ড্রামার কাজের ফলস্বরূপ এখন মণ্ডলীর সাথে মেলামেশা করছেন। . . . প্রভুতে আপনার ভগ্নী, এমা এল. ব্রিকার।”

১৫ই নভেম্বর: “আমরা নিশ্চিত যে কিংসওয়ের লন্ডন অপেরা হাউসে ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন যে চমৎকার সাক্ষ্য দিয়েছিল সে সম্বন্ধে শুনতে আপনারা আনন্দিত হবেন। প্রভুর পরিচালনাকারী হাত এই প্রদর্শনীর প্রতিটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়ে এত আশ্চর্যভাবে প্রদর্শিত হয়েছে যার ফলে ভাইরা প্রচুরভাবে আনন্দ করেছেন। . . . আমাদের দর্শকেরা সমস্ত শ্রেণী ও সকল প্রকার লোকেদের মধ্যে থেকে এসেছিলেন; আমরা অনেক পাদ্রিদের যোগদান করতে দেখেছিলাম। একজন প্রতিনিধি টিকিট চেয়েছিলেন যাতে করে তিনি ও তার স্ত্রী আবার এটি দেখার জন্য আসতে পারেন। চার্চ অফ ইংল্যান্ডের একজন অধ্যক্ষ বেশ কয়েকবার ড্রামা-তে উপস্থিত হয়েছিলেন আর . . . এটি দেখার জন্য তার অনেক বন্ধুদের নিয়ে এসেছিলেন। এছাড়াও দুজন বিশপ আর অসংখ্য খেতাবধারী লোকেরা উপস্থিত ছিলেন।”

১লা ডিসেম্বর: “আপনাদের মাধ্যমে যে মহৎ ও মূল্যাতীত আশীর্বাদ আমাদের কাছে এসেছে তার জন্য আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের স্বর্গীয় পিতার প্রতি সত্যই কৃতজ্ঞ। আপনাদের সুন্দর ফটো-ড্রামা-ই আমাদের সত্যকে চেনা ও গ্রহণ করার কারণ হয়েছে। . . . আমাদের কাছে আপনাদের শাস্ত্রাবলীর অধ্যয়ন এর ছয়টি খণ্ড রয়েছে। এগুলি খুবই সাহায্যজনক।”

সেই সময়ে পরীক্ষার প্রতি প্রতিক্রিয়া

১৬. ১৯১৪ সাল কেন বিশ্বাসের এক পরীক্ষা নিয়ে এসেছিল?

১৬ এইধরনের অকৃত্রিম ও নিবেদিত খ্রীষ্টানেরা যখন দেখেছিলেন যে ১৯১৪ সালে প্রভুর সাথে মিলিত হওয়া সম্বন্ধীয় তাদের প্রত্যাশা বাস্তবে পরিণত হয়নি, তখন কী হয়? সেই অভিষিক্ত ব্যক্তিরা এক অস্বাভাবিক পরীক্ষামূলক সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। ১৯১৪ সালের ১লা নভেম্বর প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) ঘোষণা করেছিল: “আসুন আমরা স্মরণে রাখি যে আমরা এক পরীক্ষামূলক সময়কালে রয়েছি।” এই বিষয়ে যিহোবার সাক্ষীবৃন্দ—ঈশ্বরের রাজ্যের ঘোষণাকারী (১৯৯৩, ইংরাজি) পুস্তক উল্লেখ করে: “১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল বাইবেল ছাত্রদের জন্য প্রকৃতপক্ষেই ‘এক পরাক্ষীমূলক সময়কাল’ হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল।” তারা কি তাদের বিশ্বাসকে পরিশোধিত হতে ও তাদের চিন্তাধারাকে সমন্বয়িত করতে অনুমতি দিয়েছিলেন যাতে করে তারা সম্মুখস্থ বৃহৎ কার্যভারকে গ্রহণ করতে পারেন?

১৭. ১৯১৪ সালের পরে পৃথিবীতে থাকা সম্বন্ধে বিশ্বস্ত অভিষিক্তেরা কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন?

১৭ ১৯১৬ সালের ১লা সেপ্টেম্বরের প্রহরীদুর্গ বলেছিল: “আমরা মনে করেছিলাম যে মণ্ডলীর [অভিষিক্ত] একত্রীকরণের জন্য শস্যচ্ছেদনের কাজ পরজাতীয়দের সময় শেষ হওয়ার পূর্বেই সম্পন্ন হবে কিন্তু বাইবেলে এইরকম কিছু বলা ছিল না। . . . শস্যচ্ছেদনের কাজ ক্রমাগত চলায় আমরা কি দুঃখার্ত? . . . প্রিয় ভাইরা আমাদের বর্তমান মনোভাব ঈশ্বরের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞতামূলক হওয়া উচিত আর সুন্দর সত্য যা বোঝার ও যার সাথে শনাক্তিকৃত হওয়ার সুযোগ তিনি আমাদের অনুমোদন করেছেন তার জন্য আমাদের বর্ধিত উপলব্ধি ও সেই সত্যকে অন্যদের কাছে পৌঁছানোর কাজে সাহায্য করতে বর্ধিত উদ্যোগ দেখানো উচিত।” তাদের বিশ্বাস পরীক্ষিত হয়েছিল, তবুও তারা সেই পরীক্ষার সামনা করেছিলেন ও সফলতার সাথে উর্ত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কিন্তু খ্রীষ্টান হিসাবে আমাদের অবগত থাকা উচিত যে বিশ্বাসের পরীক্ষা অনেক এবং বিভিন্ন প্রকার হতে পারে।

১৮, ১৯. ভাই রাসেলের মৃত্যুর অল্প পরেই ঈশ্বরের লোকেদের জন্য বিশ্বাসের আর কোন্‌ পরীক্ষা এসেছিল?

১৮ উদাহরণস্বরূপ, ভাই চার্লস টি. রাসেলের মৃত্যুর অল্প কিছু পরেই অবশিষ্টাংশদের উপর আর এক ধরনের পরীক্ষা এসেছিল। সেটি ছিল তাদের নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার পরীক্ষা। মথি ২৪:৪৫ পদের ‘বিশ্বস্ত দাস’ কে? কিছুজন মনে করেছিলেন যে তিনি ছিলেন স্বয়ং ভাই রাসেল আর তারা অপ্রত্যাশিতভাবে নতুন সাংগঠনিক ব্যবস্থার সাথে সহযোগিতা করতে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনিই যদি সেই দাস হতেন, তাহলে এখন তার মৃত্যুর পর ভাইদের কী করার ছিল? তারা কি কোন নবনিযুক্ত ব্যক্তিকে অনুসরণ করবেন অথবা তখনই ছিল সেই সময় যখন তারা শনাক্ত করবেন যে যিহোবা কেবল একজন ব্যক্তিকে নন কিন্তু হাতিয়ার অথবা দাস শ্রেণী হিসাবে খ্রীষ্টানদের একটি সম্পূর্ণ দলকে ব্যবহার করছিলেন?

১৯ ১৯১৮ সালে এক অতিরিক্ত পরীক্ষা সত্য খ্রীষ্টানদের উপর এসেছিল যখন জাগতিক কর্তৃপক্ষ খ্রীষ্টীয় জগতের পাদ্রিদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে যিহোবার সংগঠনের বিরুদ্ধে ‘আইন দ্বারা অমঙ্গল রচনা’ করেছিলেন। (গীতসংহিতা ৯৪:২০, KJ) উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপ, উভয় স্থানে বাইবেল ছাত্রদের উপর হিংস্র তাড়নার এক ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। ১৯১৮ সালের ৭ই মে এই পাদ্রি সংগঠিত বিরোধিতা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছিল যখন জে. এফ. রাদারফোর্ড ও এ. এইচ. ম্যাকমিলান সহ তার বেশ কিছুজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্র-জোট পরওয়ানা দিয়েছিল। তাদের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হিসাবে মিথ্যাভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল আর কর্তৃপক্ষ তাদের নির্দোষিতার আবেদনকে অগ্রাহ্য করেছিলেন।

২০, ২১. মালাখি ৩:১-৩ পদে যেমন ভাববাণী করা হয়েছিল অভিষিক্তদের মধ্যে কোন্‌ কাজ সম্পাদিত হয়েছিল?

২০ তখন যদিও শনাক্ত করা যায়নি, এক বিশুদ্ধিকরণের কাজ হয়ে চলেছিল যেমন মালাখি ৩:১-৩ পদে বর্ণনা করা হয়েছিল: “তাঁহার আগমনের দিন কে সহ্য করিতে পারিবে; আর তিনি দর্শন দিলে কে দাঁড়াইতে পারিবে? কেননা [নিয়মের দূত] রৌপ্য পরিষ্কারকের অগ্নিতুল্য ও রজকের ক্ষারতুল্য। তিনি রৌপ্য-পরিষ্কারক ও শুচিকারক হইয়া বসিবেন, তিনি লেবির সন্তানদিগকে শুচি করিবেন, এবং স্বর্ণের ও রৌপ্যের ন্যায় তাহাদিগকে বিশুদ্ধ করিবেন; তাহাতে তাহারা সদাপ্রভুর উদ্দেশে ধার্ম্মিকতায় নৈবেদ্য উৎসর্গ করিবে।”

২১ যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সন্নিকট হচ্ছিল কিছু বাইবেল ছাত্রেরা বিশ্বাসের অন্য আরেকটি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন—জাগতিক সামরিক ক্ষেত্রে তারা কঠোর নিরপেক্ষতা বজায় রাখবেন কি না। (যোহন ১৭:১৬; ১৮:৩৬) কিছুজন রাখেননি। তাই ১৯১৮ সালে, যিহোবা জাগতিক কলুষতা থেকে তাঁর উপাসকদের ক্ষুদ্র দলটিকে পরিষ্কার করার জন্য “নিয়মের দূত,” খ্রীষ্ট যীশুকে তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে প্রেরণ করেছিলেন। যারা প্রকৃত বিশ্বাস দেখানোর শপথ নিয়েছিলেন তারা অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছিলেন ও ক্রমাগত উদ্যোগের সাথে প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন।

২২. বিশ্বাসের পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোন্‌ বিষয়গুলি বিবেচনার জন্য রয়েছে?

২২ আমরা যা কিছু বিবেচনা করেছি তা কেবলমাত্র বিগত ঐতিহাসিক আগ্রহের বিষয় নয়। এটি বর্তমানে যিহোবার জগদ্ব্যাপী মণ্ডলীগুলির আধ্যাত্মিক অবস্থার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু আসুন পরবর্তী প্রবন্ধে আমরা বিশ্বাসের কিছু পরীক্ষা সম্বন্ধে বিবেচনা করি, আজকে ঈশ্বরের লোকেরা যেগুলির সম্মুখীন হচ্ছেন আর দেখি যে কিভাবে আমরা সফলতার সাথে সেগুলি থেকে উত্তীর্ণ হতে পারি।

আপনি কি স্মরণ করতে পারেন?

◻ কেন যিহোবার লোকেদের প্রত্যাশা করা উচিত যে তাদের বিশ্বাস পরীক্ষিত হবে?

◻ ১৯১৪ সালের পূর্বে ঈশ্বরের বার্তাকে প্রসারিত করার জন্য কোন্‌ ধরনের প্রচেষ্টাগুলি করা হয়েছিল?

◻ “ফটো-ড্রামা” কী ছিল আর এটি কোন্‌ ফল উৎপন্ন করেছিল?

◻ কিভাবে ১৯১৪-১৮ সালের মধ্যে সংঘটিত ঘটনাবলী অভিষিক্তদের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ ছিল?

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

এই শতাব্দীর শেষের দিকে অনেক দেশের লোকেরা “সহস্র বছরের ভোর” (ইংরাজি) নামক ধারাবাহিক পুস্তকের সাহায্যে বাইবেল অধ্যয়ন করছিলেন পরবর্তী সময়ে যাকে “শাস্ত্রাবলীর অধ্যয়ন” বলা হত

[১৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

একটি রেকর্ড করা অংশের ভূমিকামূলক পাঠসহ সি. টি. রাসেলের একটি চিঠি যাতে তিনি লিখেছিলেন: “‘ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন’ আইবিএসএ—আন্তর্জাতিক বাইবেল ছাত্র সংঘ দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে। এটির লক্ষ্য হল বাইবেলের পক্ষ সমর্থন করে ধর্মভিত্তিক-বৈজ্ঞানিক পরিলেখাসহ জনসাধারণ্যে নির্দেশনা দেওয়া”

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

ডিমিট্রিস পাপাজর্জ “ফটো-ড্রামা অফ ক্রিয়েশন” দেখানোর জন্য ভ্রমণ করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তার খ্রীষ্টীয় নিরপেক্ষতার কারণে তিনি কারারুদ্ধ হয়েছিলেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার