বিশ্বাস আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণু ও প্রার্থনাপূর্ণ করে
“দীর্ঘসহিষ্ণু থাক, আপন আপন হৃদয় সুস্থির কর, কেননা প্রভুর আগমন [“উপস্থিতি,” NW] সন্নিকট।”—যাকোব ৫:৮.
১. যাকোব ৫:৭, ৮ পদের প্রতি কেন আমাদের গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত?
যীশু খ্রীষ্টের দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত “উপস্থিতি” (NW) এখন এক বাস্তব বিষয়। (মথি ২৪:৩-১৪) ঈশ্বর এবং খ্রীষ্টে বিশ্বাস আছে বলে দাবি করে এমন প্রত্যেকের এখন পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশি করে শিষ্য যাকোবের এই বাক্যগুলি গভীরভাবে বিবেচনা করার কারণ রয়েছে: “হে ভ্রাতৃগণ, তোমরা প্রভুর আগমন [“উপস্থিতি,” NW] পর্য্যন্ত দীর্ঘসহিষ্ণু থাক। দেখ, কৃষক ভূমির বহুমূল্য ফলের অপেক্ষা করে এবং যত দিন তাহা প্রথম ও শেষ বর্ষা না পায়, তত দিন তাহার বিষয়ে দীর্ঘসহিষ্ণু থাকে। তোমরাও দীর্ঘসহিষ্ণু থাক, আপন আপন হৃদয় সুস্থির কর, কেননা প্রভুর উপস্থিতি সন্নিকট।”—যাকোব ৫:৭, ৮.
২. যাকোব যাদের লিখেছিলেন তারা কোন্ সমস্যাগুলির সম্মুখীন হয়েছিল?
২ যাদের উদ্দেশ্যে যাকোব তার অনুপ্রাণিত পত্র লিখেছিলেন তাদের দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করা ও বিভিন্ন সমস্যাগুলির সমাধান করার প্রয়োজন ছিল। ঈশ্বরে বিশ্বাস আছে বলে দাবি করে এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে যেমন প্রত্যাশা করা যায় অনেকেই তার বিপরীতে কাজ করছিল। উদাহরণস্বরূপ, কিছুজনের হৃদয়ে নির্দিষ্ট কিছু আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পেয়েছিল যে বিষয়ে কিছু করার প্রয়োজন ছিল। সেই প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের মধ্যে প্রশান্তি পুনর্স্থাপিত করার প্রয়োজন ছিল। এছাড়াও দীর্ঘসহিষ্ণু ও প্রার্থনাপূর্ণ হওয়ার জন্য তাদের পরামর্শের প্রয়োজন ছিল। যখন আমরা বিবেচনা করি যে যাকোব তাদের কী বলেছিলেন, আসুন আমরা দেখি যে আমরা কিভাবে আমাদের জীবনে তার বাক্যগুলিকে প্রয়োগ করতে পারি।
অন্যায় আকাঙ্ক্ষাগুলি ধ্বংসাত্মক
৩. মণ্ডলীর মধ্যে সংঘাতের কারণ কী ছিল এবং এর থেকে আমরা কী শিখতে পারি?
৩ কিছু তথাকথিত খ্রীষ্টানদের মধ্যে শান্তির অভাব ছিল আর এই পরিস্থিতির মূল কারণ ছিল অন্যায় আকাঙ্ক্ষা। (যাকোব ৪:১-৩) প্রতিযোগিতা অনৈক্যের কারণ হয়েছিল আর কিছুজন প্রেমহীনভাবে তাদের ভাইদের বিচার করছিল। এইগুলি ঘটছিল কারণ ইন্দ্রিয়গত সুখাভিলাষের কামনা তাদের দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করছিল। খ্যাতি, ক্ষমতা এবং সম্পদের মত মাংসিক কামনাগুলিকে প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের নিজেদের হয়ত প্রার্থনা করার প্রয়োজন আছে যাতে করে আমরা যেন এমন কিছুই না করি যা মণ্ডলীর শান্তি বিঘ্নিত করে। (রোমীয় ৭:২১-২৫; ১ পিতর ২:১১) প্রথম শতাব্দীর কিছু খ্রীষ্টানদের মধ্যে লালসা, ঘৃণাপূর্ণ, হত্যাকারী মনোভাবের পর্যায় পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। যেহেতু ঈশ্বর তাদের অন্যায় আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করবেন না, তারা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ক্রমাগত প্রচেষ্টা করে চলছিল। যদি আমাদের একইপ্রকার অন্যায় আকাঙ্ক্ষা থাকে আমরা হয়ত চাইতে পারি কিন্তু আমরা তা পাব না, যেহেতু আমাদের পবিত্র ঈশ্বর এইধরনের প্রার্থনার উত্তর দেন না।—বিলাপ ৩:৪৪; ৩ যোহন ৯, ১০.
৪. কেন যাকোব কিছুজনকে “ব্যভিচারিণীগণ” বলে সম্বোধন করেছিলেন এবং এই উক্তি কিভাবে আমাদের প্রভাবিত করে?
৪ জাগতিকতা, ঈর্ষা এবং অহঙ্কার নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের মধ্যে বিদ্যমান ছিল। (যাকোব ৪:৪-৬) যাকোব কিছুজনকে “ব্যভিচারিণীগণ” বলে সম্বোধন করেছিলেন কারণ তারা জগতের মিত্র ছিল আর তাই আধ্যাত্মিক ব্যভিচারের দোষে দোষী ছিল। (যিহিষ্কেল ১৬:১৫-১৯, ২৫-৪৫) নিশ্চিতভাবেই, আমরা আমাদের মনোভাব, কথাবার্তা এবং কাজের ক্ষেত্রে জাগতিক হতে চাই না যেহেতু সেটি আমাদের ঈশ্বরের শত্রুতে পরিণত করবে। তাঁর বাক্য আমাদের দেখায় যে ‘মাৎসর্য্য’ মন্দ প্রবণতার অংশ অথবা পাপপূর্ণ মানুষের “আত্মা।” (আদিপুস্তক ৮:২১; গণনাপুস্তক ১৬:১-৩; গীতসংহিতা ১০৬:১৬, ১৭; উপদেশক ৪:৪) সুতরাং যদি আমরা উপলব্ধি করি যে আমাদের ঈর্ষা, অহঙ্কার অথবা অন্যান্য কিছু মন্দ প্রবণতার সাথে যুদ্ধ করার প্রয়োজন আছে, আসুন আমরা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে ঈশ্বরের সাহায্যের অন্বেষণ করি। এই শক্তি, যা ঈশ্বরের অযাচিত করুণার দ্বারা সরবরাহকৃত হয় তা “মাৎসর্য্যের” চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আর যেহেতু যিহোবা অহঙ্কারীদের প্রতিরোধ করেন, তিনি আমাদের অযাচিত করুণা প্রদান করবেন, যদি আমরা পাপপূর্ণ প্রবণতার সাথে যুদ্ধ করি।
৫. ঈশ্বরের অযাচিত করুণা উপভোগ করার জন্য আমাদের অবশ্যই কোন্ যোগ্যতা পূরণ করতে হবে?
৫ কিভাবে আমরা ঈশ্বরের অযাচিত করুণা পেতে পারি? (যাকোব ৪:৭-১০) যিহোবার কাছ থেকে অযাচিত করুণা উপভোগ করতে হলে আমাদের অবশ্যই তাঁর বাধ্য হতে হবে, তাঁর প্রদত্ত ব্যবস্থাগুলিকে গ্রহণ করতে হবে এবং তাঁর ইচ্ছার বশীভূত হতে হবে। (রোমীয় ৮:২৮) এছাড়াও আমাদের অবশ্যই দিয়াবলকে “প্রতিরোধ” ও ‘তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে’ হবে। ‘সে আমাদের হইতে পলায়ন করিবে’ যদি আমরা যিহোবার সার্বজনীন সার্বভৌমত্বের সমর্থক হিসাবে দৃঢ় থাকি। যীশু আমাদের সাহায্য করবেন, যিনি জগতের মন্দ প্রতিষ্ঠানগুলিকে দমন করেন যাতে করে কোনকিছুই যেন আমাদের চিরস্থায়ী ক্ষতি করতে না পারে। আর কখনও এই বিষয়টি ভুলে যাবেন না যে: প্রার্থনা, বাধ্যতা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের নিকটবর্তী হই আর তিনি আমাদের নিকটবর্তী থাকেন।—২ বংশাবলি ১৫:২.
৬. কেন যাকোব কিছু খ্রীষ্টানদের “পাপীগণ” বলে সম্বোধন করেছিলেন?
৬ কেন যাকোব ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আছে বলে দাবি করত এমন কিছুজনের জন্য “পাপিগণ” এই আখ্যাটি প্রয়োগ করেন? কারণ তারা “যুদ্ধ” ও হত্যাজনক ঘৃণার দোষে দোষী ছিল—সেই মনোভাব যা খ্রীষ্টানদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। (তীত ৩:৩) তাদের “হস্ত” মন্দ কার্যের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল যা পরিষ্কৃত হওয়া প্রয়োজনীয় ছিল। এছাড়াও তাদের “হৃদয়,” যেটি সমস্ত প্রেরণার উৎসস্থল সেটি বিশুদ্ধ করার প্রয়োজন ছিল। (মথি ১৫:১৮, ১৯) সেই সমস্ত “দ্বিমনা লোক” ঈশ্বরের সাথে বন্ধুত্ব ও জগতের সাথে বন্ধুত্বের মধ্যে ইতস্তত দোলায়িত হয়েছিল। তাদের মন্দ উদাহরণের দ্বারা সতর্ক হয়ে আসুন, আমরা অতন্দ্র প্রহরায় থাকি যাতে করে এইধরনের বিষয়গুলি আমাদের বিশ্বাসকে ধ্বংস করতে না পারে।—রোমীয় ৭:১৮-২০.
৭. কেন যাকোব কিছুজনকে বলেছিলেন যে “শোকার্ত্ত হও, এবং রোদন কর”?
৭ যাকোব তার পাঠকদের বলেন “তাপিত ও শোকার্ত্ত হও, এবং রোদন কর।” যদি তারা ঈশ্বরীয় বিষণ্ণতা প্রদর্শন করত, তাহলে তা অনুতাপের প্রমাণস্বরূপ হত। (২ করিন্থীয় ৭:১০, ১১) আজকে, কিছুজন যারা বলে যে তাদের বিশ্বাস আছে, জগতের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের চেষ্টা করে। আমাদের মধ্যে যদি কেউ এইধরনের জীবনধারার অনুধাবন করছে, তাহলে আমাদের কি দুর্বল আধ্যাত্মিক অবস্থার জন্য শোক করা এবং বিষয়গুলিকে সংশোধন করার জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়? প্রয়োজনীয় সমন্বয়সাধন করা ও ঈশ্বরের ক্ষমা পাওয়া, এক শুদ্ধ বিবেক ও অনন্ত জীবনের আনন্দপূর্ণ প্রত্যাশার কারণে এক উল্লাসকর অনুভূতি উৎপন্ন করবে।—গীতসংহিতা ৫১:১০-১৭; ১ যোহন ২:১৫-১৭.
একে অপরের বিচার করবেন না
৮, ৯. কেন আমাদের একে অপরের পরীবাদ করা ও বিচার করা উচিত নয়?
৮ এক সহবিশ্বাসীর পরীবাদ করা পাপপূর্ণ। (যাকোব ৪:১১, ১২) তবুও কিছুজন, সম্ভবত তাদের নিজেদের আত্ম-ধার্মিক মনোভাবের ফলে অথবা তারা অন্যদের নিচু করে নিজেদের উচ্চান্বিত করতে চায় সেই কারণে সহখ্রীষ্টানদের বিষয়ে সমালোচনামূলক। (গীতসংহিতা ৫০:২০; হিতোপদেশ ৩:২৯) যে গ্রীক পরিভাষাটি “পরীবাদ” হিসাবে অনুবাদ করা হয়েছে তা শত্রুতাকে নির্দেশ করে এবং এক অতিরঞ্জিত অথবা মিথ্যা অভিযোগকে ইঙ্গিত করে। এটি এক ভাইকে প্রতিকূলভাবে বিচার করা বোঝায়। ‘পরীবাদ করা ও ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিচার করা’ বিষয়টি কেমন? অধ্যাপক ও ফরীশীরা ‘ঈশ্বরের আজ্ঞা বিলক্ষণ অমান্য করেছিল’ এবং তাদের নিজস্ব মানদণ্ড দ্বারা বিচার করেছিল। (মার্ক ৭:১-১৩) অনুরূপভাবে, যদি আমরা একজন ভাইকে দোষী করি যাকে যিহোবা দোষী করেন না তাহলে আমরা কি ‘ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিচার’ করছি না আর পাপপূর্ণভাবে ইঙ্গিত করছি না যে এটি অপর্যাপ্ত? আর অন্যায়ভাবে আমাদের ভাইদের সমালোচনা করার দ্বারা আমরা প্রেমের ব্যবস্থাও পূর্ণ করছি না।—রোমীয় ১৩:৮-১০.
৯ আসুন আমরা এটি স্মরণে রাখি: “একমাত্র ব্যবস্থাপক ও বিচারকর্ত্তা আছেন”—যিহোবা। তাঁর “ব্যবস্থা সিদ্ধ” অপর্যাপ্ত নয়। (গীতসংহিতা ১৯:৭; যিশাইয় ৩৩:২২) পরিত্রাণের জন্য মান ও নিয়ম স্থির করার জন্য একমাত্র ঈশ্বরেরই অধিকার আছে। (লূক ১২:৫) সুতরাং যাকোব জিজ্ঞাসা করেন: “তুমি কে যে প্রতিবাসীর বিচার কর?” এটি আমাদের ব্যক্তিগত অধিকার নয় যে আমরা অন্যের বিচার করি ও তাদের দোষী করি। (মথি ৭:১-৫; রোমীয় ১৪:৪, ১০) ঈশ্বরের সার্বভৌমত্ব ও পক্ষপাতহীনতা ও আমাদের নিজস্ব পাপপূর্ণ অবস্থার প্রতি গভীর বিবেচনা, আত্ম-ধার্মিক মনোভাব নিয়ে অন্যের বিচার করা থেকে আমাদের বিরত করবে।
গর্বিত আত্মবিশ্বাস এড়িয়ে চলুন
১০. আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে কেন যিহোবার বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখা উচিত?
১০ আমাদের সর্বদা যিহোবা এবং তাঁর ব্যবস্থাকে বিবেচনায় রাখা উচিত। (যাকোব ৪:১৩-১৭) ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করে আত্মবিশ্বাস বলে: “অদ্য কিম্বা কল্য আমরা অমুক নগরে যাইব, এবং সেখানে এক বৎসর যাপন করিব, বাণিজ্য করিব ও লাভ করিব।” যদি আমরা ‘নিজের জন্য ধন সঞ্চয় করি, এবং ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান্ না হই’ আমাদের জীবন হয়ত আগামীকাল শেষ হয়ে যেতে পারে আর যিহোবাকে সেবা করার জন্য আমাদের হয়ত আর কোন সুযোগই থাকবে না। (লূক ১২:১৬-২১) যেমন যাকোব বলেন, আমরা সকালের কুয়াশার তুল্য “যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়।” (১ বংশাবলি ২৯:১৫) কেবলমাত্র যিহোবার প্রতি বিশ্বাস অনুশীলন করার দ্বারা আমরা চিরস্থায়ী আনন্দ ও অনন্তকালীন জীবনের আশা করতে পারি।
১১. “যিহোবার ইচ্ছা হইলেই” বলা কী অর্থ রাখে?
১১ গর্বিতভাবে ঈশ্বরকে অবজ্ঞা করার পরিবর্তে, আমাদের এই অবস্থানটি গ্রহণ করা উচিত: “প্রভুর [“যিহোবার,” NW] ইচ্ছা হইলেই আমরা বাঁচিয়া থাকিব।” “যিহোবার ইচ্ছা হইলেই” এই অভিব্যক্তিটি ইঙ্গিত করে যে আমরা তাঁর ইচ্ছার সাথে সংগতি রেখে কাজ করার জন্য চেষ্টা করছি। আমাদের পরিবারকে সমর্থন করা, রাজ্যের কাজের জন্য ভ্রমণ করা এবং আরও অন্যান্য বিষয়গুলির জন্য ব্যবসা করা হয়ত আবশ্যক হতে পারে। কিন্তু আসুন আমরা যেন দম্ভ না করি। “এই প্রকারের সমস্ত শ্লাঘা মন্দ” কারণ এটি ঈশ্বরের উপর নির্ভরতাকে অগ্রাহ্য করে।—গীতসংহিতা ৩৭:৫; হিতোপদেশ ২১:৪; যিরমিয় ৯:২৩, ২৪.
১২. যাকোব ৪:১৭ পদের বাক্যগুলির দ্বারা কী বোঝান হয়?
১২ আত্ম-প্রত্যয় এবং গর্ব সম্বন্ধে তার মন্তব্যের আপাত পরিসমাপ্তিতে যাকোব বলেন: “যে কেহ সৎকর্ম্ম করিতে জানে, অথচ না করে, তাহার পাপ হয়।” প্রত্যেক খ্রীষ্টানের নম্রভাবে ঈশ্বরের প্রতি তার নির্ভরতাকে স্বীকার করা উচিত। যদি সে এটি না করে “তাহার পাপ হয়।” অবশ্যই, এই একই নীতি, ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস আমাদের কাছ থেকে যা দাবি করে সেগুলি করার ক্ষেত্রে যে কোন ব্যর্থতার প্রতিই প্রযোজ্য।—লূক ১২:৪৭; ৪৮.
ধনীদের সম্পর্কে সতর্কবার্তা
১৩. যারা তাদের ধনের অপব্যবহার করে তাদের সম্বন্ধে যাকোব কী বলেন?
১৩ যেহেতু কিছু প্রাথমিক খ্রীষ্টান বস্তুবাদী হয়ে পড়েছিল অথবা ধনীদের প্রতি আসক্ত ছিল, যাকোব নির্দিষ্ট কিছু ধনী ব্যক্তিদের সম্বন্ধে শক্তিশালী মন্তব্য করেন। (যাকোব ৫:১-৬) জাগতিক লোকেরা যারা তাদের ধন ভুলভাবে ব্যবহার করে তারা ‘যে সকল দুর্দ্দশা আসিতেছে, সে সকলের জন্য রোদন ও হাহাকার করবে’ যখন ঈশ্বর তাদের কার্য অনুসারে তাদের প্রতিফল দেবেন। সেই দিনগুলিতে, অনেক লোকেদের সম্পদের অন্তর্ভুক্ত ছিল মুখ্যত এই জিনিসগুলি যেমন পোশাক, শস্য এবং দ্রাক্ষারস। (যোয়েল ২:১৯; মথি ১১:৮) এইগুলির কিছু ছিল পচনশীল অথবা “কীট-ভক্ষিত” কিন্তু যাকোব এখানে সম্পদের ক্ষয়প্রাপ্ততা সম্বন্ধে নয়, মূল্যহীনতার উপর জোর দিচ্ছিলেন। যদিও স্বর্ণ ও রৌপ্যে মরিচা পড়ে না কিন্তু যদি আমরা সেগুলিকে ভাণ্ডারজাত করে রাখি সেগুলি মরিচা পড়ে এমন জিনিসগুলির মতই মূল্যহীন হয়ে পড়ে। “মরিচা” (NW) ইঙ্গিত করে যে বস্তুগত ধনের উত্তম ব্যবহার করা হয়নি। সুতরাং, আমাদের সকলের স্মরণে রাখা উচিত যে যারা তাদের বস্তুগত সম্পত্তির উপর আস্থা রাখে, তাদের জন্য “শেষকালে” যখন ঈশ্বরের ক্রোধ তাদের উপর আসবে, “অগ্নির ন্যায়” কিছু সঞ্চিত রয়েছে। যেহেতু আমরা ‘শেষকালে’ বাস করছি, এই বাক্যগুলি আমাদের জন্য বিশেষ অর্থ রাখে।—দানিয়েল ১২:৪, রোমীয় ২:৫.
১৪. ধনীরা প্রায়ই কিরূপ আচরণ করে থাকে এবং এইক্ষেত্রে আমাদের কী করা উচিত?
১৪ সম্পদশালীরা প্রায়ই তাদের শস্যচ্ছেদনের শ্রমিকদের প্রতারিত করে যাদের আটকে রাখা বেতন প্রতিশোধের জন্য ‘চীৎকার করে।’ (আদিপুস্তক ৪:৯, ১০ পদের সাথে তুলনা করুন।) জাগতিক ধনী ব্যক্তিরা ‘সুখভোগ ও বিলাস করিয়াছে।’ ইন্দ্রিয়গত সুখাভিলাষে অতিরিক্ত নিমগ্ন হয়ে তারা স্থূল, প্রতিক্রিয়াহীন হৃদয় গড়ে তুলেছে এবং তাদের “হত্যার” জন্য নির্ধারিত দিন পর্যন্ত তারা এটি করে চলবে। তারা ‘ধার্ম্মিককে দোষী করিয়াছে, বধ করিয়াছে।’ যাকোব বলেন: “তিনি তোমাদের প্রতিরোধ করেন না।” কিন্তু অন্য একটি অনুবাদ এইরকম বলে, “ধার্মিক ব্যক্তি, তিনি তোমাদের প্রতিরোধ করেন না।” যে কোন ক্ষেত্রেই, ধনীদের প্রতি আমাদের পক্ষপাতপূর্ণ হওয়া উচিত নয়। আধ্যাত্মিক আগ্রহকে আমাদের জীবনে প্রথম স্থানে রাখা উচিত।—মথি ৬:২৫-৩৩.
বিশ্বাস আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করতে সাহায্য করে
১৫, ১৬. দীর্ঘসহিষ্ণুতা অভ্যাস করা কেন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ?
১৫ জগতের পীড়নকারী ধনীদের সম্বন্ধে মন্তব্য করার পর যাকোব পীড়িত খ্রীষ্টানদের দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করার জন্য উৎসাহিত করেন। (যাকোব ৫:৭, ৮) যদি বিশ্বাসীরা দীর্ঘসহিষ্ণুতার সাথে তাদের কষ্টকর পরিস্থিতি সহ্য করে, তারা খ্রীষ্টের উপস্থিতির সময়ে তাদের বিশ্বস্ততার জন্য পুরস্কৃত হবে যখন তাদের পীড়নকারীদের উপর বিচার আসবে। (মথি ২৪:৩৭-৪১) সেই প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের সেই কৃষকদের মত হওয়ার প্রয়োজন ছিল যারা শরতের প্রথম বর্ষার জন্য অপেক্ষা করত যখন সে বীজ রোপন করতে পারে এবং বসন্তের শেষ বর্ষার জন্য যা ফল উৎপাদনের কারণস্বরূপ হয়। (যোয়েল ২:২৩) আমাদেরও দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করা ও আমাদের হৃদয়কে দৃঢ় করার প্রয়োজন আছে বিশেষ করে যেহেতু “প্রভুর উপস্থিতি” অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্ট নিকটবর্তী!
১৬ কেন আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণু হওয়া উচিত? (যাকোব ৫:৯-১২) যখন সহবিশ্বাসীরা আমাদের বিক্ষুব্ধ করে সেই সময়ে দীর্ঘসহিষ্ণুতা আমাদের আর্তনাদ অথবা আর্তস্বর না করতে সাহায্য করবে। যদি আমরা এক মন্দ অভিপ্রায় নিয়ে ‘এক জন অন্য জনের বিরুদ্ধে আর্ত্তস্বর করি,’ আমরা বিচারক যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা তিরস্কৃত হব। (যোহন ৫:২২) এখন যেহেতু তাঁর “উপস্থিতি” শুরু হয়েছে আর তিনি “দ্বারের সম্মুখে দাঁড়াইয়া আছেন,” তাই আসুন আমরা আমাদের ভাইদের প্রতি দীর্ঘসহিষ্ণু হয়ে শান্তি বৃদ্ধি করি যারা বিশ্বাসের অনেক পরীক্ষার সম্মুখীন হন। আমাদের নিজেদের বিশ্বাস শক্তিশালী হয় যখন আমরা স্মরণ করি যে ঈশ্বর ইয়োবকে পুরস্কৃত করেছিলেন যেহেতু তিনি দীর্ঘসহিষ্ণুতার সাথে পরীক্ষায় ধৈর্য রেখেছিলেন। (ইয়োব ৪২:১০-১৭) যদি আমরা বিশ্বাস ও দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করি, আমরা দেখব যে “প্রভু [“যিহোবা,” NW] স্নেহপূর্ণ ও দয়াময়।”—মীখা ৭:১৮, ১৯.
১৭. কেন যাকোব বলেন যে “দিব্য করিও না”?
১৭ যদি আমরা দীর্ঘসহিষ্ণু না হই, তাহলে আমরা হয়ত চাপের সময় আমাদের জিহ্বার অপব্যবহার করব। উদাহরণস্বরূপ, আমরা হয়ত দিব্য করার ক্ষেত্রে দ্রুত হতে পারি। তুচ্ছ ব্যাপারে দিব্য করার বিষয়ে সতর্ক করে যাকোব বলেন, “তোমরা দিব্য করিও না।” ক্রমাগতভাবে আমাদের উক্তিকে সত্য প্রমাণিত করার জন্য দিব্য করাও কপটতামূলক। সুতরাং, আমাদের হ্যাঁ অর্থ হ্যাঁ এবং আমাদের না এর অর্থ না হতে দিয়ে আমাদের সহজভাবে সত্য বলা উচিত। (মথি ৫:৩৩-৩৭) অবশ্যই, যাকোব বলছেন না যে আদালতে সত্য বলার জন্য দিব্য করা ভুল।
বিশ্বাস এবং আমাদের প্রার্থনা
১৮. কোন্ পরিস্থিতিগুলিতে আমাদের ‘প্রার্থনা করা’ ও ‘গান করা’ উচিত?
১৮ যদি আমরা আমাদের কথাবার্তাকে নিয়ন্ত্রণ করেত চাই, দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করতে চাই এবং ঈশ্বরের প্রতি এক স্বাস্থ্যকর বিশ্বাস বজায় রাখতে চাই তাহলে প্রার্থনা আমাদের জীবনে অবশ্যই এক বড় ভূমিকা পালন করে। (যাকোব ৫:১৩-২০) বিশেষ করে যখন আমরা চাপের মধ্যে থাকি আমাদের ‘প্রার্থনা করা’ উচিত। যদি আমরা প্রফুল্ল থাকি, আসুন আমরা ‘গান করি’ যেমন যীশু ও তাঁর প্রেরিতেরা করেছিলেন যখন তিনি তাঁর মৃত্যুর স্মরণার্থক সভা প্রবর্তন করেছিলেন। (মার্ক ১৪:২৬, পাদটীকা, NW) কখনও কখনও, আমরা হয়ত ঈশ্বরের প্রতি এমন কৃতজ্ঞতায় পরিপূর্ণ হই যে আমরা এমনকি আমাদের হৃদয় থেকে প্রশংসা গান গাই। (১ করিন্থীয় ১৪:১৫; ইফিষীয় ৫:১৯) আর খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে গান গাওয়ার মাধ্যমে যিহোবার উচ্চপ্রশংসা করা কতই না আনন্দের বিষয়!
১৯. যদি আমরা আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ হই, আমাদের কী করা উচিত এবং কেন আমরা এইধরনের এক পদক্ষেপ নেব?
১৯ সম্ভবত অন্যায় আচরণ অথবা যিহোবার মেজ থেকে নিয়মিত আহার গ্রহণের অভাবে যদি আমরা আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ হই, তাহলে হয়ত আমাদের গান করতে ইচ্ছা করবে না। যদি আমরা সেই অবস্থায় থাকি, তাহলে আসুন আমরা নম্রভাবে প্রাচীনদের আহ্বান করি যেন তারা আমাদের জন্য ‘প্রার্থনা করতে’ পারেন। (হিতোপদেশ ১৫:২৯) এছাড়াও তারা ‘প্রভুর [“যিহোবার,” NW] নামে আমাদের তৈলাভিষিক্ত’ করবেন। ক্ষতস্থানের জন্য তৈল যেমন উপশম যোগায়, তাদের সান্ত্বনাদায়ক বাক্য ও শাস্ত্রীয় পরামর্শ হতাশা, সন্দেহ, ভয় হ্রাস করতে সাহায্য করবে। ‘বিশ্বাসের প্রার্থনা আমাদের সুস্থ করিবে’ যদি এটি আমাদের নিজস্ব বিশ্বাস দ্বারা সমর্থিত হয়। যদি প্রাচীনেরা দেখেন যে গুরুতর পাপের কারণে আমাদের আধ্যাত্মিক অসুস্থতা ঘটেছে, তারা দয়ার সাথে আমাদের ভুলের বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলবেন আর আমাদের সাহায্য করতে চেষ্টা করবেন। (গীতসংহিতা ১৪১:৫) আর যদি আমরা অনুতপ্ত হই, আমরা বিশ্বাস রাখতে পারি যে ঈশ্বর তাদের প্রার্থনা শুনবেন ও আমাদের ক্ষমা করবেন।
২০. কেন আমাদের পাপ স্বীকার করা ও এক জন অন্য জনের জন্য প্রার্থনা করা উচিত?
২০ ‘এক জন অন্য জনের কাছে আপন আপন পাপ স্বীকার করা’ পুনরায় পাপ করার ক্ষেত্রে এক নিয়ন্ত্রক হিসাবে কাজ করে। এটি পারস্পরিক সমবেদনাকে প্রতিপালন করে, এমন এক গুণ যেটি আমাদের ‘এক জনকে অন্য জনের নিমিত্ত প্রার্থনা করতে’ পরিচালিত করবে। আমাদের বিশ্বাস থাকা দরকার যে এটি উপকারমূলক কারণ “ধার্ম্মিকের” প্রার্থনা—যে ব্যক্তি বিশ্বাস অনুশীলন করে ও ঈশ্বর যাকে সঠিক বলে মনে করেন—যিহোবার কাছ থেকে প্রচুর সহায়তা লাভ করে থাকেন। (১ পিতর ৩:১২) ভাববাদী এলিয়ের আমাদের মত দুর্বলতাগুলি ছিল কিন্তু তার প্রার্থনা ফল উৎপন্নকারী ছিল। তিনি প্রার্থনা করেছিলেন আর সাড়ে তিন বছর বৃষ্টি হয়নি। যখন তিনি আবার প্রার্থনা করেছিলেন, বৃষ্টি পড়েছিল।—১ রাজাবলি ১৭:১; ১৮;১, ৪২-৪৫; লূক ৪:২৫.
২১. যদি এক সহখ্রীষ্টান “সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়,” আমরা হয়ত কী করতে সক্ষম হতে পারি?
২১ সেই সম্বন্ধে কী যখন মণ্ডলীর এক সদস্য সঠিক শিক্ষা ও আচরণ থেকে পথভ্রষ্ট হয়ে “সত্য হইতে ভ্রান্ত হয়”? আমরা হয়ত বাইবেলের পরামর্শ, প্রার্থনা ও অন্যান্য সাহায্যের মাধ্যমে তার ভুল থেকে তাকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হতে পারি। যদি আমরা সফল হই, তাহলে এটি তাকে খ্রীষ্টের মুক্তির মূল্যের অধীনে রাখবে আর আধ্যাত্মিক মৃত্যু ও ধ্বংসের জন্য দোষী হওয়া থেকে রক্ষা করবে। ভুল করছে এমন এক ব্যক্তিকে সাহায্য করার দ্বারা আমরা তার অসংখ্য পাপকে আচ্ছাদিত করি। যখন এক তিরস্কৃত পাপী তার ভুল পথ থেকে ফেরে, অনুতপ্ত হয় এবং ক্ষমা পাওয়ার জন্য সচেষ্ট হয়, আমরা আনন্দ করব কারণ আমরা তার পাপ আচ্ছাদন করার জন্য কাজ করেছিলাম।—গীতসংহিতা ৩২:১, ২; যিহূদা ২২, ২৩.
আমাদের সকলের জন্য কিছু বিষয়
২২, ২৩. যাকোবের বাক্যগুলি দ্বারা আমাদের কিভাবে প্রভাবিত হওয়া উচিত?
২২ স্পষ্টতই, যাকোবের পত্র এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে যা আমাদের সকলের জন্য উপকারী। এটি আমাদের দেখায় যে কিভাবে পরীক্ষাগুলির সাথে মোকাবিলা করা যায়, পক্ষপাতিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের পরামর্শ দেয় এবং সঠিক কাজ করায় রত থাকার জন্য আমাদের উৎসাহিত করে। যাকোব জিহ্বাকে সংযত করা, জাগতিক প্রভাবকে প্রতিরোধ করা এবং শান্তি বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের উৎসাহিত করেন। এছাড়াও তার বাক্যের দ্বারা আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণু ও প্রার্থনাপূর্ণ হওয়া উচিত।
২৩ এটি সত্য যে, যাকোবের পত্র মূলত অভিষিক্ত প্রাচীন খ্রীষ্টানদের উদ্দেশ্যে পাঠান হয়েছিল। তবুও, আমাদের প্রত্যেকের এর পরামর্শ দ্বারা সত্যের প্রতি একনিষ্ঠ থাকতে সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়া উচিত। যাকোবের বাক্যগুলি বিশ্বাসকে স্ফীত করতে পারে যা আমাদের যিহোবার পরিচর্যায় নিষ্পত্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পরিচালিত করে। আর ঐশিকভাবে অনুপ্রাণিত এই পত্র এক ধৈর্যশীল বিশ্বাস গড়ে তোলে যা আজকে “প্রভুর” অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টের “উপস্থিতির” সময়ে আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণু, যিহোবার প্রার্থনাপূর্ণ সাক্ষীতে পরিণত করে।
আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?
◻ কেন কিছু প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের, তাদের মনোভাব ও আচরণে পরিবর্তন করার প্রয়োজন ছিল?
◻ ধনীদের যাকোব কোন্ সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন?
◻ কেন আমাদের দীর্ঘসহিষ্ণুতা অনুশীলন করা উচিত?
◻ কেন আমাদের নিয়মিতভাবে প্রার্থনা করা উচিত?
[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
Pictorial Archive (Near Eastern History) Est.
[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]
কিছু প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের সহখ্রীষ্টানদের প্রতি আরও বেশি দীর্ঘসহিষ্ণু হওয়ার প্রয়োজন ছিল
[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]
খ্রীষ্টানদের দীর্ঘসহিষ্ণু, প্রেমপূর্ণ, প্রার্থনাপূর্ণ হওয়া প্রয়োজন