ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ২/১৫ পৃষ্ঠা ২৭-২৯
  • আপনি যা দেখছেন তার বাইরেও দেখার চেষ্টা করুন!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনি যা দেখছেন তার বাইরেও দেখার চেষ্টা করুন!
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন প্রয়োজন?
  • বর্তমান ক্লেশকে ক্ষণস্থায়ী হিসাবে দেখুন!
  • অদৃশ্য অনন্তকালীন বিষয়ের প্রতি নির্দিষ্ট দৃষ্টি দেওয়া
  • অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে জীবনধারন করার চেষ্টা করুন!
  • আপনি কি পুরস্কারের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করছেন?
    ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘অনেক ক্লেশ’ সত্ত্বেও অনুগতভাবে ঈশ্বরের সেবা করুন
    ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিনি অদৃশ্য তাঁকে দেখেছেন ভেবে স্থির থাকুন!
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • জীবনের দৌড়ে হাল ছেড়ে দেবেন না!
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ২/১৫ পৃষ্ঠা ২৭-২৯

আপনি যা দেখছেন তার বাইরেও দেখার চেষ্টা করুন!

ভাল দৈহিক দৃষ্টিশক্তি এক আশীর্বাদস্বরূপ। বস্তুত, অধিকাংশ লোকেরা বলে থাকে যে তাদের অধিকারভুক্ত কেবলমাত্র অল্প কিছু জিনিসই আরও বেশি মূল্যবান। কিন্তু, খ্রীষ্টানদের জন্য এক প্রকার দৃষ্টিশক্তির কথা প্ররিত পৌল বলেছেন যা এমনকি ভাল দৈহিক দৃষ্টিশক্তি থেকেও অধিকতর মূল্যবান। “আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি,” পৌল লিখেছিলেন। (২ করিন্থীয় ৪:১৮) এটি অবশ্যই এক বিশেষ ধরনের দৃষ্টি যা প্রকৃতই একজনকে অদৃশ্য বস্তুর প্রতি লক্ষ্য করতে সক্ষম করে! আমরা এটিকে এক উত্তম আধ্যত্মিক দৃষ্টিশক্তি বলতে পারি।

কেন প্রয়োজন?

প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের এই ধরনের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি থাকার প্রকৃত প্রয়োজন ছিল। তারা প্রচুর কষ্টের মধ্যে দিয়ে তাদের খ্রীষ্টীয় পরিচর্যা সম্পন্ন করেছিলেন। পৌল এইভাবে তা বর্ণনা করেন: “আমরা সর্বপ্রকারে ক্লিষ্ট হইতেছি, কিন্তু সঙ্কটাপন্ন হই না; হতবুদ্ধি হইতেছি, কিন্তু নিরাশ হই না; তাড়িত হইতেছি, কিন্তু পরিত্যক্ত হই না; অধঃক্ষিপ্ত হইতেছি, কিন্তু বিনষ্ট হই না।”—২ করিন্থীয় ৪:৮, ৯.

এই ধরনের পরিস্থিতি সত্ত্বেও, বিশ্বস্ত শিষ্যেরা দৃঢ় ছিলেন। ঈশ্বরের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস থাকায় তারা পৌলের মত বলতে পেরেছিলেন: “আমরা নিরুৎসাহ হই না, কিন্তু আমাদের বাহ্য মনুষ্য যদ্যপি ক্ষীণ হইতেছে, তথাপি আন্তরিক মনুষ্য দিন দিন নূতনীকৃত হইতেছে।” কী এই প্রতিদিনের নূতনীকরণ নিয়ে এসেছিল? পৌল বলে চলেন: “আপাততঃ আমাদের যে লঘুতর ক্লেশ হইয়া থাকে, তাহা উত্তর উত্তর অনুপমরূপে আমাদের জন্য অনন্তকালস্থায়ী গুরুতর প্রতাপ সাধন করিতেছে; আমরা ত দৃশ্য বস্তু লক্ষ্য না করিয়া অদৃশ্য বস্তু লক্ষ্য করিতেছি; কারণ যাহা যাহা দৃশ্য, তাহা ক্ষণকালস্থায়ী, কিন্তু যাহা যাহা অদৃশ্য, তাহা অনন্তকালস্থায়ী।”—২ করিন্থীয় ৪:১৬-১৮.

পৌল তার আধ্যাত্মিক ভাইয়েদের উৎসাহ দিয়েছিলেন সমস্যা, অসুবিধা, তাড়না—ক্লেশ, তা যে কোন প্রকৃতিরই হোক না কেন—তারা যেন তাদের সম্মুখে স্থাপিত গৌরবজনক পুরস্কারকে এই বিষয়গুলির দ্বারা ম্লান হতে দিতে অনুমতি না দেয়। খ্রীষ্টীয় জীবনধারার সুখী পরিণতির প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তারা তাদের বর্তমান পরিস্থিতির বাইরের দিকটিও দেখেছিল। এটিই ছিল কারণ যা প্রতিদিন তাদের যুদ্ধে এগিয়ে যেতে স্থিরসঙ্কল্প হওয়ার জন্য নূতনীকৃত হতে সাহায্য করেছিল। আজকেও খ্রীষ্টানদের সমানভাবে এই ধরনের উত্তম আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি থাকা প্রয়োজন।

বর্তমান ক্লেশকে ক্ষণস্থায়ী হিসাবে দেখুন!

অপরিহার্যভাবে আমরা প্রতিদিন সেই জিনিসগুলি দেখি যা আমরা দেখতে পছন্দ করি না। আয়নায় এক ঝলক দৃষ্টি দ্বারা আমাদের অপ্রিয় ত্রুটি ও খুঁত যা দৈহিক অসিদ্ধতার ইঙ্গিত বহন করে তা স্পষ্টভাবে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়। যখন আমরা ঈশ্বরের বাক্যের আয়নায় দৃষ্টিপাত করি আমরা নিজেদের ও অন্যদের আধ্যাত্মিক খুঁত ও ত্রুটিগুলি দেখি। (যাকোব ১:২২-২৫) আর যখন আমরা প্রতিদিনের সংবাদপত্র অথবা দূরদর্শনের পর্দায় দৃষ্টি দিই, অসততা, নিষ্ঠুরতা এবং দুঃখজনক ঘটনা দ্রুত আমাদের হৃদয়ের মধ্যে গেঁথে যায়।

যে জিনিসগুলি আমরা দেখি শয়তান সম্ভবত তার দ্বারা আমাদের হতাশ হতে প্ররোচিত করতে অথবা বিশ্বাস থেকে সরে যেতে ও বিচলিত করতে পারে। এই বিষয়টিকে কিভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি? আমাদের অবশ্যই যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা স্থাপিত উদাহরণ অনুসরণ করতে হবে যেমন প্রেরিত পিতর পরামর্শ দিয়েছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন: “কারণ তোমরা ইহারই নিমিত্ত আহূত হইয়াছ; কেননা খ্রীষ্টও তোমাদের নিমিত্ত দুঃখ ভোগ করিলেন, এ বিষয়ে তোমাদের জন্য এক আদর্শ রাখিয়া গিয়াছেন, যেন তোমরা তাঁহার পদচিহ্নের অনুগমন কর।” (১ পিতর ২:২১) খ্রীষ্টীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যীশু ছিলেন নিঁখুত উদাহরণ।

যীশুকে আমাদের উদাহরণ বলে চিহ্নিত করার সময় পিতর নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন যে যীশু কষ্টভোগ করেছিলেন। সত্যই, পৃথিবীতে থাকাকালীন যীশু প্রচুর কষ্টভোগ করেন। যিহোবার সাথে “কার্য্যকারী” হিসাবে মানুষ সৃষ্টির সময় উপস্থিত থাকায় তিনি মানুষ সম্পর্কে ঈশ্বরের অভিপ্রায় বিষয়ে যথাযথভাবে জানতেন। (হিতোপদেশ ৮:৩০, ৩১) কিন্তু পরে তিনি সরাসরি দেখেছেন পাপ ও অসিদ্ধতা তাদের কোন্‌ অবস্থায় পৌঁছাতে বাধ্য করেছে। প্রত্যেকদিন তিনি দেখেছিলেন ও মানুষের অসিদ্ধতা ও দুর্বলতাগুলির সাথে মোকাবিলা করেছিলেন। সেটিও অবশ্যই তাঁর কাছে পরীক্ষাস্বরূপ ছিল।—মথি ৯:৩৬; মার্ক ৬:৩৪.

অন্যান্যদের ক্লেশ ছাড়াও যীশু তাঁর নিজের ক্লেশও অভিজ্ঞতা করেন। (ইব্রীয় ৫:৭, ৮) কিন্তু সিদ্ধ আধ্যত্মিক দৃষ্টিশক্তি দ্বারা তিনি সেগুলি অতিক্রম করে সেই পুরস্কারের প্রতি দৃষ্টি রেখেছিলেন যা তাঁর বিশ্বস্ততা রক্ষার জন্য মৃত্যুহীন জীবনে উন্নীত হয়েছিল। এরপর মশীহ রাজা হিসাবে তাঁর সুযোগ থাকবে দুর্দশাগ্রস্ত মানবজাতির হীন অবস্থার উন্নতিসাধন করে যিহোবার মূল উদ্দেশ্য সিদ্ধতায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এই অদৃশ্য ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা তাঁকে সাহায্য করেছিল প্রতিদিনের ক্লেশ যা তিনি প্রত্যক্ষ করেছিলেন, তা অতিক্রম করে ঈশ্বরীয় পরিচর্যায় আনন্দ বজায় রাখতে। পরবর্তী সময়ে যেমন পৌল লিখেছিলেন: “তিনিই আপনার সম্মুখস্থ আনন্দের নিমিত্তক্রুশ সহ্য করিলেন, অপমান তুচ্ছ করিলেন, এবং ঈশ্বরের সিংহাসনের দক্ষিণে উপবিষ্ট হইয়াছেন।”—ইব্রীয় ১২:২.

যীশু কখনও কষ্টকর পরিস্থিতি ও পরীক্ষাকে অনুমোদন করেননি তাঁর হতাশা, পথচ্যুত হওয়া ও বিশ্বাস থেকে বিচলিত হওয়ার কারণস্বরূপ হতে। তাঁর শিষ্য হিসাবে আমাদের অবশ্যই তাঁর উৎকৃষ্ট উদাহরণকে নিবিষ্টভাবে অনুসরণ করা দরকার।—মথি ১৬:২৪.

অদৃশ্য অনন্তকালীন বিষয়ের প্রতি নির্দিষ্ট দৃষ্টি দেওয়া

যীশুকে কোন্‌ বিষয়টি সহ্য করতে সক্ষম করেছিল সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে আমাদের জন্য প্রয়োজনীয় বস্তু হিসাবে পৌল ইঙ্গিত করেছিলেন যখন তিনি লেখেন: “আইস আমরা . . . ধৈর্য্যপূর্বক আমাদের সম্মুখস্থ ধাবনক্ষেত্রে দৌড়ি; বিশ্বাসের আদিকর্তা সিদ্ধিকর্তা যীশুর প্রতি দৃষ্টি রাখি।” (ইব্রীয় ১২:১, ২) হ্যাঁ, খ্রীষ্টীয় ক্ষেত্রে সফলতার ও আনন্দের সাথে দৌড়তে হলে আমাদের অবশ্যই সম্মুখস্থ বিষয়গুতিকে অতিক্রম করে দেখতে হবে। কিন্তু কিভাবে আমরা যীশুর প্রতি “দৃষ্টি” রাখতে পারি ও এটি আমাদের জন্য কী সাধন করবে?

একটি বিষয়, ১৯১৪ সালে যীশু ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হিসাবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন ও তিনি স্বর্গ থেকে শাসন করছেন। এই সবকিছুই অবশ্য আমাদের দৈহিক চোখের জন্য অদৃশ্য বিষয়। কিন্তু তবুও, যদি আমরা যীশুর প্রতি “দৃষ্টি” দিই আমাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি আমাদের দেখতে সাহায্য করবে যে তিনি এখন এই মন্দ বিধিব্যবস্থার শেষ আনার জন্য এবং শয়তান ও তার মন্দ দূতেদের দলকে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেবেন। আরও ব্যপকতার প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার দ্বারা আমাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টি আমাদের সামনে অপূর্ব নতুনজগত প্রকাশিত করবে যেখানে “মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-১৬; ২০:১-৩; ২১:৪.

সুতরাং, সাময়িক ক্লেশ, প্রতিদিন আমাদের যার মুখোমুখি হতে হয় তার দ্বারা ভারগ্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে আমরা আমাদের স্থিরদৃষ্টি অনন্তকালীন বিষয়ের প্রতি নিবদ্ধ করি না কেন? বিশ্বাসের চোখ দ্বারা এই দুষিত পৃথিবীর মন্দতা ও লোভ প্রভৃতিকে অতিক্রম করে কেন স্বাস্থ্যবান, সুখী ও যত্নশীল লোকেদের দ্বারা পূর্ণ এক পরমদেশ পৃথিবীর দিকে দৃষ্টি দিই না? আমাদের দৈহিক ও আধ্যাত্মিক খুঁতগুলিকে অতিক্রম করে খ্রীষ্টের মুক্তিরমূল্যরূপ বলিদানের উপকারস্বরূপ চিরকালের জন্য নিজেদের মুক্ত অবস্থায় দেখি না কেন? কেন যুদ্ধের ব্যপক হত্যা, অপরাধ ও দৌরাত্মকে অতিক্রম করে নতুন পুনরুত্থিত ব্যক্তিরা যিহোবার কাছ থেকে শান্তি ও ধার্মিকতায় শিক্ষিত হচ্ছে তা দেখি না?

যীশুর প্রতি “দৃষ্টি” অতিরিক্তভাবে, অদৃশ্য রাজ্য পৃথিবীতে ঈশ্বরের লোকেদের মাঝে ইতিমধ্যেই কী সম্পন্ন করেছে যার প্রকাশ একতা, শান্তি, প্রেম, ভ্রাতৃত্ব ও আধ্যত্মিক সমৃদ্ধি তার প্রতি আমাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টি দেওয়াকে অন্তর্ভুক্ত করে। জার্মানির এক খ্রীষ্টীয় মহিলা ঐশিক শিক্ষার দ্বারা একত্রিত এই বিষয়ে ভিডিও দেখার পর লেখেন: “ভিডিওর বিষয়টি আমাকে ক্রমাগতভাবে মনে রাখতে সাহায্য করেছে যে পৃথিবীব্যাপী অনেক ভাই ও বোনেরা এই নির্দিষ্ট সময়গুলিতে যিহোবার সেবায় ব্যস্ত—এবং তা জনসাধারনের বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও। নৃশংসতা ও ঘৃণার এই জগতে আমাদের ভাইয়েদের একতা কত মূল্যবান!”

আপনিও কি “দেখেন” যে যিহোবা, যীশু, বিশ্বস্ত দূতেরা ও লক্ষ্য লক্ষ্য সহ খ্রীষ্টানরা আপনার পাশে আছে? যদি তাই হয় আপনি “সংসারের চিন্তা” দ্বারা অতিরিক্ত উদ্বিগ্ন হবেন না যা আপনাকে নিরুৎসাহিত করতে পারে ও যার কারণে আপনি খ্রীষ্টীয় পরিচর্যায় “ফলহীন” হয়ে পড়েন। (মথি ১৩:২২) তাই যীশুর প্রতি “দৃষ্টি” দিয়ে আপনার আধ্যাত্মিক চোখকে ঈশ্বরের প্রতিষ্ঠিত রাজ্যের প্রতি ও তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আশীবাদগুলির প্রতি নিবদ্ধ করুন।

অদৃশ্য বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিয়ে জীবনধারন করার চেষ্টা করুন!

ঈশ্বরের অনন্তকালীন নতুন পৃথিবী ও আজকের ভঙ্গুর পুরনো পৃথিবীর পার্থক্য দেখে আমাদের এমনভাবে নিজেদের পরিচালিত করা উচিৎ যেন আমরা আক্ষরিকভাবে তা দেখবার জন্য উপযোগী হই যা কেবলমাত্র আজকে আমরা বিশ্বাসের চোখ দিয়ে দেখতে পারি। অসংখ্য পুনরুত্থিতদের পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন হবে যখন ধার্মিক পরমদেশ পৃথিবীতে জীবিত হয়ে তারা দেখবে মৃত্যুর পূর্বে যে জগত তারা দেখেছে তার থেকে এই পরিস্থিতি কত পৃথক। সেই জীবিত ব্যক্তিদের অভিনন্দন জানানো ও ঈশ্বর কোন্‌ বিষয়গুলি সম্পন্ন করেছেন তা তাদের কাছে ব্যাখ্যা করতে আমাদের আনন্দের কথা কল্পনা করুন!—তুলনা করুন যোয়েল ২:২১-২৭.

হ্যাঁ, আধ্যাত্মিক দৃষ্টিশক্তি কত মূল্যবান এবং এটিকে তীক্ষ্ণ রাখা কত গুরুত্বপূর্ণ! এটি আমরা করতে পারি নিয়মিতভাবে ব্যক্তিগত বাইবেল অধ্যয়নে ব্যস্ত থেকে, খ্রীষ্টীয় সভায় উপস্থিত থেকে, বাইবেল ভিত্তিক আশা সম্পর্কে অন্যদের বলে এবং সর্বপরি ঐশিক নির্দেশনার জন্য প্রার্থনা করে। এটি আমাদের আধ্যত্মিক দৃষ্টিকে তীক্ষ্ণ ও পরিস্কার রাখবে এবং আমরা যা দেখছি তার বাইরেও দেখতে সাহায্য করবে!

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার