ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ১৫-২০
  • খ্রীষ্টীয় নারীরা সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • খ্রীষ্টীয় নারীরা সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • নারীদের সাথে যীশু কেমন আচরণ করেছিলেন
  • নারীদের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা
  • ‘তাহাদের সমাদর কর’
  • ঈশ্বর চান যেন নারীদের সম্মান করা হয়
    প্রহরীদুর্গ: ঈশ্বর চান যেন নারীদের সম্মান করা হয়
  • নারীদের জন্য কী ভবিষ্যৎ রয়েছে?
    ১৯৯৮ সচেতন থাক!
  • নারী ও পুরুষ প্রত্যেকের জন্য এক মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের প্রাচীন দাসেদের মধ্যে নারীদের মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ১৫-২০

খ্রীষ্টীয় নারীরা সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য

“তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্ব্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্ব্বক বাস কর, তাহাদিগকে . . . সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর।”—১ পিতর ৩:৭.

১, ২. (ক) কূয়ার ধারে যীশুর সাথে শমরীয়া নারীর কথাবার্তা কোন্‌ উদ্বেগের উদ্রেক করেছিল এবং কেন? (পাদটীকাও দেখুন।) (খ) শমরীয় নারীর কাছে প্রচার করে যীশু কী প্রদর্শন করেছিলেন?

শুখর নগরের কাছে অতি প্রাচীন এক কূয়ার সামনে সা.শ. ৩০ সালের শেষের দিকে কোন এক দুপুরে যীশু দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে নারীদের প্রতি কিরূপ আচরণ করা উচিত এবং তিনি নারীদের সম্পর্কে কেমন অনুভব করতেন। তিনি সারা সকাল শমরিয়ার সুদীর্ঘ পাহাড়ী অঞ্চল পেরিয়ে এই কূপের কাছে এসে পৌঁছান, অত্যন্ত শ্রান্ত, ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত হয়ে। যখন তিনি সেই কূপটির একধারে এসে বসেছিলেন, তখন একজন শমরীয়া নারী সেখানে জল নেওয়ার জন্য আসে। “আমাকে পান করিবার জন্য জল দেও,” যীশু তাকে বলেন। সেই নারীটি অবশ্যই আশ্চর্য হয়ে যীশুর দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল। সে জিজ্ঞাসা করে: “আপনি যিহূদী হইয়া কেমন করিয়া আমার কাছে পান করিবার জল চাহিতেছেন? আমি ত শমরীয় স্ত্রীলোক।” পরে যখন তাঁর শিষ্যেরা খাবার কিনে ফিরে আসে, তখন তারা অতি আশ্চর্য হয়ে ভাবতে আরম্ভ করেন যে কেন যীশু “স্ত্রীলোকের সহিত কথা কহিতেছেন।”—যোহন ৪:৪-৯, ২৭.

২ কোন্‌ বিষয়টি নারীটির প্রশ্ন এবং শিষ্যদের উদ্বেগ করতে প্রণোদিত করে? সে ছিল একজন শমরীয় আর যিহূদীদের সঙ্গে শমরীয়দের কোন মেলামেশা ছিল না। (যোহন ৮:৪৮) কিন্তু স্পষ্টতই তাদের উদ্বেগের অন্য আরও একটি কারণ ছিল। সেই কালে, রব্বিদের রীতিনীতি পুরুষদের বারণ করত নারীদের সাথে জনসমক্ষে কথা বলতে।a কিন্তু যীশু সকলের সামনে অকপট নারীটির কাছে প্রচার এবং এমনকি তার কাছে উন্মোচনও করছিলেন যে তিনিই হচ্ছেন সেই মশীহ। (যোহন ৪:২৫, ২৬) এইভাবে যীশু দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি অশাস্ত্রীয় রীতিনীতিগুলি, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল নারীদের হীন মনে করা, তার দ্বারা আবদ্ধ হয়ে পড়বেন না। (মার্ক ৭:৯-১৩) বিপরীতে তিনি যা কিছু করেছিলেন এবং শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার মাধ্যমে দেখিয়েছিলেন যে নারীদের সম্মান এবং শ্রদ্ধার সাথে দেখা উচিত।

নারীদের সাথে যীশু কেমন আচরণ করেছিলেন

৩, ৪. (ক) যে স্ত্রীলোকটি তাঁর বস্ত্র স্পর্শ করেছিল, যীশু তাতে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? (খ) খ্রীষ্টীয় পুরুষদের বিশেষকরে অধ্যক্ষদের জন্য যীশু কিভাবে এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?

৩ মানুষের জন্য যীশুর আন্তরিক সমবেদনা প্রতিফলিত হয়েছিল, যেভাবে নারীদের সাথে তিনি আচরণ করতেন তার মাধ্যমে। কোন একটি ঘটনায় এক নারী যে ১২ বৎসর যাবৎ রক্তস্রাবের অসুখে ভুগছিল, ভিড়ের মাঝে যীশুকে খুঁজছিল। তার এই অসুখ তাকে আচার-অনুষ্ঠানের জন্য অশুচি করে রেখেছিল, আর সেইজন্য তার সেখানে থাকা উচিত ছিল না। (লেবীয়পুস্তক ১৫:২৫-২৭) কিন্তু সে এতই উদগ্রীব হয়ে উঠেছিল যে, সে নিঃশব্দে যীশুর পিছনে এসে দাঁড়ায়। যখন সে যীশুর পোশাক স্পর্শ করে, তৎক্ষণাৎ সে আরোগ্য লাভ করে! যদিও তিনি যায়ীরের গৃহের দিকে যাচ্ছিলেন, যার কন্যা ছিল অত্যন্ত অসুস্থ, তবুও যীশু থামেন। যখন তাঁর শরীর থেকে শক্তি নির্গত হয়ে যাওয়া অনুভব করেন, তখন তিনি চারিধারে তাকিয়ে দেখেন যে কে তাঁকে স্পর্শ করেছে। শেষপর্যন্ত, সেই নারীটি আসে এবং ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায়। ভিড়ের মধ্যে থাকার অথবা বিনা অনুমতিতে তাঁর কাপড় স্পর্শ করার জন্য কি যীশু তাকে তিরস্কার করবেন? তার পরিবর্তে, সেই নারীটি দেখে যে তিনি অত্যন্ত দয়ালু এবং স্নেহশীল। “বৎসে,” তিনি বললেন, “তোমার বিশ্বাস তোমাকে সুস্থ করিল।” এটাই ছিল একমাত্র সময় যখন যীশু সরাসরিভাবে একজন নারীকে “বৎসে” বলে ডেকেছিলেন। এই শব্দটি কতই না তাকে আশ্বাস যুগিয়েছিল!—মথি ৯:১৮-২২; মার্ক ৫:২১-৩৪.

৪ যীশু আইনের লিখিত অক্ষরগুলির বাইরে আরও কিছু লক্ষ্য করতেন। এর পিছনে যে আত্মা কাজ করছিল, তিনি সেটি অনুভব করেছিলেন এবং করুণা ও দয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন। (তুলনা করুন মথি ২৩:২৩.) যীশু সেই অসুস্থ নারীটির নিদারুন পরিস্থিতি লক্ষ্য করেছিলেন এবং এও বিবেচনা করেছিলেন যে সে বিশ্বাস দ্বারা প্ররোচিত হয়েছিল। এইভাবে তিনি খ্রীষ্টীয় পুরুষদের জন্য, বিশেষত অধ্যক্ষদের জন্য এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন। যদি একজন খ্রীষ্টীয় বোন ব্যক্তিগত সমস্যা অথবা অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি বা পরীক্ষামূলক পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে, প্রাচীনদের কথা অথবা কাজের উর্ধ্বে গিয়ে দেখার চেষ্টা করা এবং পরিস্থিতি কথা ও উদ্দেশ্যকে বিবেচনা করা উচিত। এইধরনের অন্তর্দৃষ্টি হয়ত ইঙ্গিত দেবে যে সংশোধন এবং উপদেশের পরিবর্তে ধৈর্য, বোঝাপড়া এবং করুণার প্রয়োজন রয়েছে।—হিতোপদেশ ১০:১৯; ১৬:২৩; ১৯:১১.

৫. (ক) রব্বিদের প্রথার দ্বারা নারীরা কিভাবে সীমিত গণ্ডীর মধ্যে ছিল? (পাদটীকা দেখুন।) (খ) প্রথম ব্যক্তি কারা ছিলেন যারা যীশুর পুনরুত্থান দেখেছিলেন এবং সেই বিষয়ে সাক্ষ্য বহন করেছিলেন?

৫ যীশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তখন রব্বিদের রীতিনীতিগুলির দ্বারা পরিবেষ্টিত হওয়ার দরুন নারীদের আইনসম্মত সাক্ষী হিসাবে কাজ করায় বাধানিষেধ ছিল।b বিবেচনা করে দেখুন যে যীশুর পুনরুত্থানের অল্পকাল পরেই সা.শ. ৩৩ সালে ১৬ই নিশানের সকালে কী ঘটনা ঘটেছিল। পুনরুত্থিত যীশুকে প্রথম কারা দেখেছিলেন এবং অন্যান্য শিষ্যদের কাছে সেই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে তাদের প্রভু পুনরুত্থিত হয়েছেন? হ্যাঁ, তারা ছিল নারী যারা যীশুর মারা যাওয়ার অবধি যাতনাদণ্ডের স্থানের দৃষ্টি গোচরে ছিলেন।—মথি ২৭:৫৫, ৫৬, ৬১.

৬, ৭. (ক) যে সব নারীরা কবরস্থানের কাছে এসেছিলেন, যীশু তাদের কী বলেছিলেন? (খ) যীশুর পুরুষ শিষ্যেরা প্রথমে নারীদের কথায় কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন এবং তা থেকে কী শেখা যেতে পারে?

৬ সপ্তাহের প্রথম দিনের ভোরবেলায় মগ্দলীনী মরিয়ম এবং অন্যান্য নারীরা মসলা নিয়ে কবরের দিকে এগিয়ে যান যীশুর দেহের দেখাশুনা করতে। কিন্তু কবরস্থান শূন্য অবস্থায় দেখে মরিয়ম দৌড়ে যান পিতর এবং যোহনকে খবর দেওয়ার জন্য। অন্যান্য নারীরা সেখানেই থাকেন। শীঘ্রই তাদের সামনে, এক স্বর্গদূতের আবির্ভাব ঘটে এবং জানায় যে যীশু পুনরুত্থিত হয়েছেন। “শীঘ্র গিয়া তাঁহার শিষ্যদিগকে বল,” সেই স্বর্গদূত আদেশ দেন। যখন এই নারীরা সেই খবর দেওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করছিলেন, তখন যীশু নিজেই তাদের সামনে আবির্ভূত হন। “তোমরা যাও, আমার ভ্রাতৃগণকে সংবাদ দেও,” তিনি তাদের বলেন। (মথি ২৮:১-১০; মার্ক ১৬:১, ২; যোহন ২০:১, ২) স্বর্গদূতের আসার খবর না পেয়ে এবং দুঃখে ভেঙে পড়ে মগ্দলীনী মরিয়ম শূন্য কবরস্থানের দিকে ফিরে যান। সেখানে যীশু তার সামনে আবির্ভূত হন এবং অবশেষে তাঁকে চেনার পরে তিনি বলেন: “তুমি আমার ভ্রাতৃগণের কাছে গিয়া তাহাদিগকে বল, যিনি আমার পিতা ও তোমাদের পিতা, এবং আমার ঈশ্বর ও তোমাদের ঈশ্বর, তাঁহার নিকটে আমি ঊর্দ্ধে যাই।”—যোহন ২০:১১-১৮; তুলনা করুন মথি ২৮:৯, ১০.

৭ যীশু প্রথমে পিতর, যোহন অথবা অন্য কোন পুরুষ শিষ্যদের কাছে আবির্ভূত হতে পারতেন। তা না করে তিনি এই সব নারীদের অনুগ্রহ দেখাতে বেছে নিয়েছিলেন তাদের তার পুনরুত্থানের প্রথম প্রত্যক্ষদর্শী করার এবং অন্যান্য পুরুষ শিষ্যদের কাছে সেই সত্যের বিষয়ে সাক্ষ্য দিতে তাদের আদেশ দেওয়ার দ্বারা। শুরুতে সেই সব পুরুষেরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন? বিবরণ জানায়: “এই সকল কথা তাঁহাদের কাছে গল্পতুল্য বোধ হইল; তাঁহারা তাঁহাদের কথায় অবিশ্বাস করিলেন।” (লূক ২৪:১১) এমন কি হতে পারে যে নারীরা এই সংবাদ নিয়ে এসেছিলেন বলে তারা ভেবেছিলেন তা বিশ্বাসের অযোগ্য? যদি তাই হয়, তাহলে যথাসময়ে তারা প্রচুর প্রমাণ পেয়েছিলেন যে যীশু সত্যই মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন। (লূক ২৪:১৩-৪৬; ১ করিন্থীয় ১৫:৩-৮) বর্তমান দিনে খ্রীষ্টীয় লোকেরা বিজ্ঞের সাথে কাজ করবে যদি তারা তাদের আধ্যাত্মিক বোনেদের মতামত উপেক্ষা না করে।—তুলনা করুন আদিপুস্তক ২১:১২.

৮. যেভাবে তিনি নারীদের সাথে আচরণ করেছিলেন, তার দ্বারা যীশু কী প্রকাশ করেছিলেন?

৮ এটা জানা সত্যই হৃদয়গ্রাহী যে যীশু কিভাবে নারীদের সাথে আচরণ করেছিলেন। সবসময় করুণাপূর্ণ এবং পূর্ণ সামঞ্জস্য বজায় রেখে তিনি নারীদের সাথে আচরণ করতেন, কখনও তাদের তুলে ধরেননি বা মর্যাদাহানি করেননি। (যোহন ২:৩-৫) রব্বিদের প্রথাগুলিকে তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, কারণ তা নারীদের মর্যাদাকে হানি করত এবং ঈশ্বরের বাক্যকে অমান্য করত। (তুলনা করুন মথি ১৫:৩-৯.) নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মান প্রদর্শন করে যীশু প্রথমেই প্রকাশ করে দেন যে, তাদের প্রতি কিরূপ আচরণ করা উচিত সেই সম্বন্ধে যিহোবা কী মনে করেন। (যোহন ৫:১৯) খ্রীষ্টীয় পুরুষদের জন্যও যীশু এক অভূতপূর্ব উদাহরণ রেখে গিয়েছেন তাদের অনুকরণ করার জন্য।—১ পিতর ২:২১.

নারীদের বিষয়ে যীশুর শিক্ষা

৯, ১০. নারীদের বিষয়ে রব্বিদের রীতিনীতিগুলিকে যীশু কিভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং ফরীশীরা বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার পর যীশু তাদের কী বলেছিলেন?

৯ যীশু রব্বিদের প্রথাগুলিকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং শুধুমাত্র কাজের দ্বারাই যে নারীদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছিলেন, তা নয়, কিন্তু শিক্ষার দ্বারাও তা সম্পন্ন করেছিলেন। বিবেচনা করে দেখুন যে বিবাহবিচ্ছেদ এবং ব্যভিচার সম্পর্কে তিনি কী শিক্ষা দিয়েছিলেন।

১০ বিবাববিচ্ছেদ সম্পর্কে যীশুকে এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল: “যে সে কারণে কি আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করা বিধেয়?” মার্কের বিবরণ অনুসারে যীশু বলেছিলেন: “যে কেহ আপন স্ত্রীকে পরিত্যাগ করিয়া [শুধু ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে] অন্যকে বিবাহ করে, সে তাহার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে? আর স্ত্রী যদি আপন স্বামীকে পরিত্যাগ করিয়া আর একজনকে বিবাহ করে, তবে সেও ব্যভিচার করে।” (মার্ক ১০:১০-১৯; মথি ১৯:৩, ৮) এই সহজ সরল কথাগুলি নারীদের মর্যাদার প্রতি সম্মান দেখিয়েছিল। কিভাবে?

১১. যীশুর কথা “শুধু ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে” বিবাহের বন্ধন সম্পর্কে কী ইঙ্গিত দিয়েছিল?

১১ প্রথমত, “শুধু ব্যভিচার দোষ ব্যতিরেকে,” এই কথাগুলির দ্বারা (মথির সুসমাচারের পুস্তকে পাওয়া যায়) যীশু ইঙ্গিত করেছিলেন যে বিবাহ বন্ধনকে যেন হাল্কা করে কিংবা সহজে ভেঙে যায় এমনভাবে দেখা না হয়। এই সব প্রচলিত রব্বিদের শিক্ষা ন্যূনতম কারণে বিবাহবিচ্ছেদকে অনুমোদন করত, যেমন স্ত্রীর দ্বারা এক প্লেট খাবার নষ্ট হওয়া অথবা কোন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে কথা বলা। যদি কোন স্বামী দেখতেন তার দৃষ্টিতে অন্য কোন মহিলা অধিক আকর্ষণীয়, সেক্ষেত্রেও বিবাহবিচ্ছেদকে অনুমতি দেওয়া হত! একজন বাইবেল পণ্ডিত বলেন: “যখন যীশু এই কথাগুলি বলেছিলেন . . . তখন তিনি বিবাহের স্থান ঠিক যেখানে হওয়া উচিত, ঠিক সেখানেই ফিরিয়ে আনার জন্য নারীদের পক্ষ সমর্থন করছিলেন।” অবশ্যই, বিবাহের বন্ধন চিরস্থায়ী হওয়া উচিত যেখানে একজন নারী নিজেকে নিরাপত্তা অনুভব করতে পারে।—মার্ক ১০:৬-৯.

১২. “তাহার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে,” কথাগুলির দ্বারা যীশু কী বোঝাতে চাইছিলেন?

১২ দ্বিতীয়ত, “তাহার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করে” উক্তিটির দ্বারা যীশু একটি দৃষ্টিকোণকে তুলে ধরেছিলেন যেটি রব্বিদের বিচারালয়ে অনুমোদিত নয়—একজন স্বামীর তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করার ধারণা। দি এক্সপোজিটারস্‌ বাইবেল কমেন্টারী ব্যাখ্যা করে বলে: “রব্বিদের যিহূদী ধর্মমতে একজন নারী তার দাম্পত্যে বিশ্বাসঘাতকতা করে তার স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করতে পারে; এবং একজন পুরুষ অন্য পুরুষের স্ত্রীর সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তার বিরুদ্ধে ব্যভিচার করতে পারে। কিন্তু একজন পুরুষ কোনভাবেই তার নিজের স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যভিচার করতে পারে না, তা সে যাই করুক না কেন? যীশু নারীদের যে নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে, সেই একই দায়িত্ববোধ পুরুষদের প্রতি প্রয়োগ করে নারীদের মর্যাদা এবং মানকে উপরে তুলে ধরেছিলেন।”

১৩. বিবাহবিচ্ছেদ সম্পর্কে যীশু কিভাবে দেখান যে খ্রীষ্টীয় ব্যবস্থার অধীনে নারী ও পুরুষদের জন্য শুধুমাত্র একটাই মান থাকবে?

১৩ তৃতীয়ত, “আপন স্বামীকে পরিত্যাগ করিয়া” উক্তিটির দ্বারা একজন নারীর তার অবিশ্বস্ত স্বামীকে পরিত্যাগ করার যে অধিকার আছে, তা যীশু উপলব্ধি করেছিলেন—একটি অভ্যাস যা আপাতদৃষ্টিতে পরিচিত, কিন্তু তখনকার দিনে যিহূদী আইনে পরিচিত ছিল না।c বলা হত যে “একজন নারীকে তার সম্মতি অথবা তার সম্মতি ছাড়া, পরিত্যাগ করা যেতে পারে, কিন্তু একজন পুরুষের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র তার সম্মতিতেই করা যেতে পারে।” যাইহোক, যীশুর কথা অনুসারে খ্রীষ্টীয় ব্যবস্থার অধীনে সেই একই মান নারী এবং পুরুষ উভয়ের প্রতিই প্রযোজ্য।

১৪. তাঁর শিক্ষার দ্বারা যীশু কী প্রতিফলিত করেছিলেন?

১৪ যীশুর শিক্ষাগুলি পরিষ্কারভাবে নারীদের কল্যাণের প্রতি যীশুর গভীর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করে। অতএব, এটা বোঝা কষ্টকর নয় যে কেন কিছু নারী যীশুর প্রতি তাদের প্রেম দেখিয়েছিলেন, এমনকি কেউ তাদের নিজেদের বিষয়সম্পত্তি থেকেও যীশুর প্রয়োজন মিটিয়েছিলেন। (লূক ৮:১-৩) “আমার উপদেশ আমার নহে,” যীশু বলেছিলেন, “কিন্তু যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তাঁহার।” (যোহন ৭:১৬) যীশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন, তার দ্বারা তিনি নারীদের প্রতি যিহোবার করুণ বিবেচনাকে প্রতিফলিত করেছিলেন।

‘তাহাদের সমাদর কর’

১৫. স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের সাথে কিরূপ আচরণ করবে, সেবিষয়ে প্রেরিত পিতর কী লিখেছিলেন?

১৫ নারীদের প্রতি যীশু কিধরনের আচরণ করেছিলেন তা প্রথমেই প্রেরিত পিতর লক্ষ্য করেছিলেন। প্রায় ৩০ বছর পরে পিতর স্ত্রীদের উদ্দেশ্যে এক প্রেমপূর্ণ উপদেশ দিয়েছিলেন এবং তারপর লিখেছিলেন: “তদ্রূপ, হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্ব্বলপাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।” (১ পিতর ৩:৭) পিতরের এই কথার অর্থ কী যখন তিনি বলেন, ‘তাহাদের সমাদর কর?’

১৬. (ক) গ্রীক বিশেষ্যপদ যাকে “সমাদর” বলে অনুবাদ করা হয়েছে, তার অর্থ কী? (খ) রূপান্তকরণের সময়ে যিহোবা কিভাবে যীশুকে সম্মান দেখিয়েছিলেন এবং তা থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

১৬ একজন অভিধান রচয়িতার মতানুসারে যে গ্রীক বিশেষ্যপদ “সমাদর” (টিমে) অনুবাদ করা হয়েছে, তার অর্থ হল “দাম, মূল্য, সম্মান এবং শ্রদ্ধা।” এই গ্রীক শব্দটিকে অন্যরূপ “উপহার” এবং “মহামূল্যবান” বলা হয়েছে। (প্রেরিত ২৮:১০; ১ পিতর ২:৭) কাউকে শ্রদ্ধা করার অর্থ কী, আমরা তার অন্তর্দৃষ্টি পাই, যদি আমরা ২ পিতর ১:১৭ পদে ব্যবহৃত পিতরের এই একই শব্দের পরীক্ষা করে দেখি। সেখানে তিনি যীশুর রূপান্তকরণের উল্লেখ করে কথা বলেছিলেন: “তিনি পিতা ঈশ্বর হইতে সমাদর ও গৌরব পাইয়াছিলেন, সেই মহিমাযুক্ত প্রতাপ কর্ত্তৃক তাঁহার কাছে এই বাণী উপনীত হইয়াছিল, ‘ইনিই আমার পুত্ত্র, আমার প্রিয়মতম, ইহাঁতেই আমি প্রীত।’” রূপান্তকরণের সময়ে যিহোবা যীশুর প্রতি তাঁর অনুমোদনকে সমর্থন জানিয়ে তাকে সম্মান প্রদর্শন করেছিলেন এবং সকলে যাতে তা শুনতে পায়, সেইভাবে করেছিলেন। (মথি ১৭:১-৫) একজন ব্যক্তি যিনি তার স্ত্রীকে সম্মান প্রদর্শন করেন, তাহলে, তিনি তাকে হীন বা অবমানিত করেন না। বরং, তিনি—ব্যক্তিগতভাবে এবং জনসমক্ষে—কথায় এবং কাজে প্রদর্শন করেন যে তিনি তার স্ত্রীকে শ্রদ্ধা করেন।—হিতোপদেশ ৩১:২৮-৩০.

১৭. (ক) খ্রীষ্টীয় স্ত্রী কেন সম্মান পাওয়ার যোগ্য? (খ) একজন পুরুষের কেন ভাবা উচিত নয় যে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে নারী অপেক্ষা তার মূল্য বেশি?

১৭ এইধরনের সম্মান, পিতর বলেন, খ্রীষ্টীয় স্বামীদের তাদের স্ত্রীদের প্রতি করা উচিত। এটা দেখান উচিত কোন অনুগ্রহ হিসাবে নয়, কিন্তু স্ত্রীদের ন্যায্য প্রাপ্য হিসাবে। স্ত্রীরা কেন এমন শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য? কারণ, “তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী,” বলে পিতর ব্যাখ্যা করেন। সা.শ. প্রথম শতাব্দীতে, পুরুষ এবং নারী যারাই পিতরের পত্র পেয়েছিলেন, তাদের সকলকেই যীশুর সাথে সহদায়াদরূপে আহ্বান করা হয়েছিল। (রোমীয় ৮:১৬, ১৭; গালাতীয় ৩:২৮) মণ্ডলীতে তাদের দায়িত্ব একই ছিল না, কিন্তু পরিশেষে তারা সকলে যীশুর সাথে স্বর্গে শাসনে অংশগ্রহণ করবেন। (প্রকাশিত বাক্য ২০:৬) আজকের দিনেও, যখন অধিকাংশ লোকেদের আশাই হল পার্থিব, সেখানে কোন খ্রীষ্টীয় পুরুষই যেন মনে না করেন যে মণ্ডলীতে তার কিছু দায়িত্ব থাকার জন্য ঈশ্বরের দৃষ্টিতে সে নারীদের চাইতে অধিক মূল্য রাখে। (তুলনা করুন লূক ১৭:১০.) পুরুষ এবং নারী উভয়েরই ঈশ্বরের সম্মুখে সমান অধিকার রয়েছে, কারণ যীশুর বলিদানমূলক মৃত্যু নারী এবং পুরুষ উভয়ের জন্যই একই সুযোগ খুলে দেয়।—তা হল পাপ এবং মৃত্যু থেকে মুক্তি পেয়ে অনন্ত জীবনের আশা।—রোমীয় ৬:২৩.

১৮. স্বামীর স্ত্রীকে সম্মান দেখানোর ক্ষেত্রে কোন্‌ বাধ্যতামূলক নিয়ম পিতর উল্লেখ করেন?

১৮ পিতর আর একটি জোরদার কারণ দেখান যে কেন একজন খ্রীষ্টান তার স্ত্রীকে সম্মান করবেন “যেন [তার] প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।” “রুদ্ধ হয়” উক্তিটি গ্রীক ক্রিয়াপদ (এনকোপটো) থেকে নেওয়া হয়েছে, যার আক্ষরিক অর্থ হল “বিভাগ করে দেওয়া।” ভাইনস এক্সপোসিটারী ডিকশনারী অফ নিউ টেস্টামেন্ট ওয়ার্ডস অনুসারে এটাকে “ব্যবহার করা হয়েছিল কোন ব্যক্তিকে রাস্তাকে নষ্ট করে দিয়ে বাধা দেওয়া, অথবা রাস্তার উপরে হঠাৎ কোন ব্যাঘাতজনক বস্তু ফেলে রেখে দেওয়ার মাধ্যমে।” সুতরাং, যে স্বামী তার স্ত্রীকে সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়, সে দেখবে যে তাদের প্রার্থনা এবং ঈশ্বরের শোনার মধ্যে একটা প্রাচীর তৈরি হয়েছে। সেই ব্যক্তিটি হয়ত যিহোবার কাছে কথা বলতে নিজেকে অযোগ্য বলে মনে করতে পারে অথবা যিহোবা হয়ত তার কথায় কর্ণপাত করতে বাধ্য নাও হতে পারেন। স্পষ্টতই, পুরুষেরা নারীদের প্রতি কিরূপ আচরণ করেন, সেবিষয়ে যিহোবা উদগ্রীব।—তুলনা করুন বিলাপ ৩:৪৪.

১৯. মণ্ডলীর মধ্যে নারী ও পুরুষেরা কিভাবে পারস্পরিক বোঝাপড়া করে কাজ করতে পারে?

১৯ সম্মান দেখানোর দায়িত্ব শুধুমাত্র স্বামীদের একার উপরই নির্ভর করে না। যেমন একজন স্বামীর দায়িত্ব রয়েছে তার স্ত্রীকে প্রেম ও সমাদর করার, তেমনি একজন স্ত্রীরও দায়িত্ব রয়েছে তার স্বামীকে গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং আনুগত্যতা দেখানোর। (১ পিতর ৩:১-৬) এছাড়াও, পৌল খ্রীষ্টানদের পরামর্শ দেন ‘একে অন্য জনকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করতে।’ (রোমীয় ১২:১০) এটা মণ্ডলীতে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রতিই প্রযোজ্য যাতে পরস্পর সম্মান রেখে একযোগে কাজ করতে পারে। যখন এইধরনের আত্মা বিরাজ করে, তখন খ্রীষ্টীয় স্ত্রীরা এমন কোন কথা বলার সুযোগ পাবে না, যে যারা মণ্ডলীতে নেতৃত্ব নিচ্ছেন, তাদের অধিকারকে খর্ব করবে। বরং, তারা প্রাচীনদের প্রতি সমর্থন এবং তাদের প্রতি সহযোগিতা দেখাবে। (১ করিন্থীয় ১৪:৩৪, ৩৫; ইব্রীয় ১৩:১৭) খ্রীষ্টীয় অধ্যক্ষেরা, তাদের অংশ হিসাবে “প্রচীনাদিগকে মাতার ন্যায়, যুবতীদিগকে সম্পূর্ণ শুদ্ধ ভাবে ভগিনীর ন্যায়” আচরণ করবে। (১ তীমথিয় ৫:১, ২) বিজ্ঞতার সাথে প্রাচীনেরা তাদের খ্রীষ্টীয় বোনেদের কথা সদয়তার সাথে বিবেচনা করবেন। এইভাবে যখন কোন বোন ঈশ্বতান্ত্রিক মস্তক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা দেখায় এবং সম্মানের সাথে কোন প্রশ্ন করে অথবা এমনকি কোন বিষয়ের উল্লেখ করে যার প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন, তখন তারা আনন্দের সাথে প্রাচীনেরা তার প্রশ্ন অথবা সমস্যা বিবেচনা করবেন।

২০. শাস্ত্রীয় বিবরণ অনুসারে নারীদের প্রতি কিরূপ আচরণ হওয়া উচিত?

২০ এদন উদ্যানে পাপ শুরু হওয়ার পর থেকেই অনেক সমাজে নারীদের অসম্মান করে নিম্নপদে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারা এইধরনের আচরণ পাবে তা যিহোবার আদি উদ্দেশ্য ছিল না। নারীদের প্রতি যে ধরনের সংস্কৃতিগত দৃষ্টিভঙ্গি বিরাজ করুক না কেন, ইব্রীয় এবং খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রে পরিষ্কারভাবে দেখান হয়েছে যে ঈশ্বরীয় নারীদের যেন সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়। এটা হল তাদের ঈশ্বর-দত্ত অধিকার।

[পাদটীকাগুলো]

a দি ইনটারন্যাশন্যাল স্টানডার্ড বাইবেল এনসাইক্লোপিডিয়া ব্যাখ্যা করে: “নারীরা পুরুষ অতিথিদের সাথে খাওয়াদাওয়া করত না এবং নারীদের সাথে কথা বলতে পুরুষদের নিরুৎসাহিত করা হত। . . . জনসমাজে নারীদের সাথে কথাবার্তা বলা বিশেষভাবে ছিল মানহানিকর।” যিহূদীদের মিশ্‌না, যা ছিল রব্বিদের শিক্ষার সংগ্রহবিশেষ, এই পরামর্শ দেয়: “নারীজাতির সাথে বেশি কথা বলা উচিত নয়। . . . যে ব্যক্তি নারীজাতির সাথে বেশি কথাবার্তা বলে, সে নিজের উপরে দুর্নাম ডেকে আনে এবং নিয়মের শিক্ষাকে অগ্রাহ্য করে এবং শেষ পর্যন্ত গিহেন্নায় পতিত হবে।”—এবোথ ১:৫.

b খ্রীষ্টর সময়ে পালেস্টাইন (ইংরাজি), পুস্তকটি জানায়: “কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীদের ক্রীতদাসের সমপর্যায়ে ফেলা হত। উদাহরণস্বরূপ, বিচারালয়ে সে কখনও কোন সাক্ষ্য দিতে পারবে না, শুধুমাত্র তার স্বামীর মৃত্যুর সাক্ষ্যদান ছাড়া।” লেবীয়পুস্তক ৫:১ পদ উল্লেখ করে দ্যা মিশ্‌না ব্যাখ্যা করে: ‘সাক্ষ্যদানের শপথ’ নেওয়ার যে [আইন] শুধুমাত্র পুরুষদের প্রতিই প্রযোজ্য, নারীদের ক্ষেত্রে নয়।”—শবুওথ ৪:১.

c প্রথম শতাব্দীর যিহূদী ঐতিহাসিক যোসেফাস জানান যে রাজা হেরোদের বোন সালোমি তার স্বামীকে “একটি পত্র পাঠান যাতে তিনি তার স্বামীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ করেছেন বলে উল্লেখ করেন, সেটা যিহূদীদের আইন অনুসারে ছিল না। কারণ এটা (শুধুমাত্র) পুরুষেরই করার অধিকার ছিল।”—যিউইস অ্যানটিকুইটিস, XV, ২৫৯, [VII, ১০].

আপনার উত্তর কি?

◻ কোন্‌ উদাহরণ দেখায় যে যীশু নারীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতেন?

◻ যীশুর শিক্ষা কিভাবে নারীদের মর্যাদাকে সম্মান দেখিয়েছিল?

◻ একজন স্বামী কেন তার খ্রীষ্টীয় স্ত্রীকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবেন?

◻ সকল খ্রীষ্টানের সম্মান দেখানোর কী দায়িত্ব রয়েছে?

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরীয় নারীরা খুশি হয় কারণ তারা প্রথম পুনরুত্থিত যীশুকে দেখেছিলেন, যিনি তাদের তাঁর ভাইদের সাক্ষ্য দিতে বলেছিলেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার