ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • wt অধ্যায় ৮ পৃষ্ঠা ৭০-৭৮
  • ‘দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত মল্লযুদ্ধ’

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ‘দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত মল্লযুদ্ধ’
  • একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুন
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • স্বর্গীয় স্থানের জগৎপতিরা
  • পাপাত্মার চতুর কলাকৌশল
  • জয়ী হওয়ার জন্য সজ্জিত
  • মন্দদূতেরা—কীভাবে আমরা তাদের প্রতিরোধ করতে পারি?
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দিয়াবল ও তার বিভিন্ন চাতুরীর প্রতিরোধ করুন
    “ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা কর”
  • আত্মিক স্তরের শাসকেরা
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘তোমরা প্রভুতে বলবান্‌ হও’
    ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করুন
wt অধ্যায় ৮ পৃষ্ঠা ৭০-৭৮

অধ্যায় আট

‘দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত মল্লযুদ্ধ’

১. দুষ্ট আত্মাদের কার্যকলাপ কেন আমাদের বিশেষ আগ্রহের বিষয়?

দুষ্ট আত্মারা যে রয়েছে, এই কথা অনেক লোকেরা হেসে উড়িয়ে দেয়। কিন্তু এটা কোনো হাসির ব্যাপার নয়। লোকেরা বিশ্বাস করুক বা না-ই করুক, দুষ্ট আত্মারা রয়েছে আর তারা সকলের ওপরে চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করে। যিহোবার উপাসকদেরও এর থেকে রেহাই নেই। সত্যি বলতে কী, তারা হল প্রধান লক্ষ্যবস্তু। প্রেরিত পৌল আমাদের এই বলে সাবধান করেন: “রক্তমাংসের সহিত নয়, কিন্তু [অদৃশ্য] আধিপত্য সকলের সহিত, কর্ত্তৃত্ব সকলের সহিত, এই অন্ধকারের জগৎপতিদের সহিত, স্বর্গীয় স্থানে দুষ্টতার আত্মাগণের সহিত আমাদের মল্লযুদ্ধ হইতেছে।” (ইফিষীয় ৬:১২) আমাদের দিনে দুষ্ট আত্মাদের চাপ সবচেয়ে বেশি কারণ শয়তানকে স্বর্গ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে আর শয়তান খুবই রাগান্বিত কারণ সে জানে যে, তার সময় খুবই অল্প।—প্রকাশিত বাক্য ১২:১২.

২. অতিমানবীয় আত্মাদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয়ী হওয়া আমাদের পক্ষে কীভাবে সম্ভব?

২ অতিমানবীয় আত্মাদের সঙ্গে লড়াইয়ে কি জয়ী হওয়া সম্ভব? হ্যাঁ, তবে যিহোবার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করার মাধ্যমেই তা সম্ভব। যিহোবার কথা আমাদের শুনতে হবে ও তাঁর বাক্য পালন করতে হবে। তা করে আমরা, শয়তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এমন ব্যক্তিরা যে-শারীরিক, নৈতিক ও মানসিক ক্ষতি ভোগ করে, সেগুলোকে এড়াতে পারি।—যাকোব ৪:৭.

স্বর্গীয় স্থানের জগৎপতিরা

৩. শয়তান কাদের প্রচণ্ড বিরোধিতা করে এবং কীভাবে?

৩ যিহোবা স্বর্গ থেকে জগতের পরিস্থিতিকে যে-দৃষ্টিতে দেখেন, তা আমাদের জন্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন। তিনি প্রেরিত যোহনকে একটা দর্শন দিয়েছিলেন, যেখানে শয়তানকে “এক প্রকাণ্ড লোহিতবর্ণ নাগ” হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যদি পারত, তা হলে ১৯১৪ সালে স্বর্গে ঈশ্বরের মশীহ রাজ্যের জন্ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে গ্রাস করার জন্য সে তৈরি ছিল। তা করতে না পেরে, শয়তান পৃথিবীতে ওই রাজ্যের যে-প্রতিনিধিরা ছিল তাদের প্রচণ্ড বিরোধিতা করেছিল। (প্রকাশিত বাক্য ১২:৩, ৪, ১৩, ১৭) কীভাবে শয়তান এই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে? তার মানব প্রতিনিধিদের মাধ্যমে।

৪. মানব সরকারগুলোর ক্ষমতার উৎস কে এবং আমরা কীভাবে তা জানি?

৪ এরপর যোহনকে সাতটা মাথা ও দশ শিংওয়ালা একটা পশু দেখানো হয়েছিল, যে-পশুর “সমস্ত বংশের ও লোকবৃন্দের ও ভাষার ও জাতির উপরে কর্ত্তৃত্ব” রয়েছে। ওই পশু পৃথিবীর সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে চিত্রিত করে। যোহনকে বলা হয়েছিল যে, “সেই নাগ [শয়তান দিয়াবল] আপনার পরাক্রম ও আপনার সিংহাসন ও মহৎ কর্ত্তৃত্ব তাহাকে দান করিল।” (প্রকাশিত বাক্য ১৩:১, ২, ৭) হ্যাঁ, শয়তান মানব সরকারগুলোর ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের উৎস। তাই, প্রেরিত পৌল যেমন লিখেছিলেন যে প্রকৃত ‘জগৎপতিরা’ হল ‘স্বর্গীয় স্থানের দুষ্ট আত্মারা,’ যারা মানব সরকারগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। যারা যিহোবার সেবা করতে চায়, তাদের এই বিষয়ের পুরো তাৎপর্য বোঝা দরকার।—লূক ৪:৫, ৬.

৫. এখন রাজনৈতিক নেতারা কোথায় একত্রিত হচ্ছে?

৫ যদিও অনেক রাজনৈতিক নেতারা ধর্ম পালন করে বলে দাবি করে কিন্তু কোনো জাতিই যিহোবার শাসনব্যবস্থা বা তাঁর নিযুক্ত রাজা যীশু খ্রীষ্টের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করে না। তারা সবাই তাদের নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য হিংস্রভাবে লড়াই করে। প্রকাশিত বাক্যের বিবরণ যেমন দেখায় যে, আজকে “ভূতদের আত্মা” জগতের শাসকদের ‘ঈশ্বরের সেই মহাদিনের যুদ্ধ’ হর্‌মাগিদোনে একত্র করছে।—প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৩, ১৪, ১৬; ১৯:১৭-১৯.

৬. শয়তানের বিধিব্যবস্থাকে সমর্থন করতে প্ররোচিত হওয়া এড়ানোর জন্য কেন সতর্ক হওয়া দরকার?

৬ প্রতিদিন লোকেদের জীবন রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় লড়াই, যা মানব পরিবারকে ছিন্নভিন্ন করে সেগুলোর দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই লড়াইগুলোতে, লোকেরা সাধারণত মৌখিকভাবে বা সক্রিয়ভাবে তারা যে-জাতি, বংশ, ভাষার বা সমাজের লোক সেটার পক্ষ নেয়। এমনকি লোকেরা সরাসরি কিছু লড়াইয়ে অংশ না নিলেও তারা প্রায়ই কোনো একটা দলকে সমর্থন করে। তারা যে-ব্যক্তি বা নীতিকেই সমর্থন করুক না কেন, আসলে তারা কাকে সমর্থন করছে? বাইবেল স্পষ্ট করে বলে: “সমস্ত জগৎ সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে।” (১ যোহন ৫:১৯) তা হলে, কীভাবে একজন ব্যক্তি মানবজাতির বাকি লোকেদের সঙ্গে ভ্রান্ত হওয়া এড়াতে পারে? একমাত্র ঈশ্বরের রাজ্যকে পূর্ণ সমর্থন করে আর জগতের লড়াইগুলোতে পুরোপুরি নিরপেক্ষ থেকে।—যোহন ১৭:১৫, ১৬.

পাপাত্মার চতুর কলাকৌশল

৭. মিথ্যা ধর্ম ব্যবহার করার ক্ষেত্রে শয়তানের চালাকি কীভাবে দেখা যায়?

৭ ইতিহাসব্যাপী লোকেদের সত্য উপাসনা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য শয়তান মৌখিক ও শারীরিক তাড়না ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া, সে আরও সূক্ষ্ম মাধ্যমগুলো অর্থাৎ চতুর কাজ ও কলাকৌশল ব্যবহার করেছে। সে চালাকি করে মিথ্যা ধর্মের মাধ্যমে মানবজাতির এক বিরাট সংখ্যক লোকেদের অন্ধকারে রেখেছে, তাদের এটা ভাবতে পরিচালিত করেছে যে তারা ঈশ্বরেরই সেবা করছে। ঈশ্বর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান ও সত্যের প্রতি প্রেম না থাকায়, তারা হয়তো রহস্যময় ও আবেগগত ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানগুলোর দ্বারা আকর্ষিত হতে পারে অথবা পরাক্রমী কাজগুলো দেখে মুগ্ধ হতে পারে। (২ থিষলনীকীয় ২:৯, ১০) কিন্তু আমাদের সাবধান করা হয়েছে যে, এমনকি যারা একসময় সত্য উপাসনা করত তাদের মধ্যেও “কতক লোক ভ্রান্তিজনক আত্মাদিগেতে ও ভূতগণের শিক্ষামালায় মন দিয়া . . . সরিয়া পড়িবে।” (১ তীমথিয় ৪:১) তা কীভাবে হতে পারে?

৮. যদিও আমরা যিহোবার উপাসনা করছি, তারপরও শয়তান কীভাবে আমাদের মিথ্যা ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারে?

৮ দিয়াবল চতুরতার সঙ্গে আমাদের দুর্বলতাগুলোকে ব্যবহার করে। আমাদের মধ্যে কি এখনও লোকভয় রয়েছে? যদি থেকে থাকে, তা হলে আমরা হয়তো আত্মীয়দের বা প্রতিবেশীদের কাছ থেকে আসা চাপের সামনে নতি স্বীকার করে সেই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নিতে পারি, যেগুলো মিথ্যা ধর্ম থেকে এসেছে। আমরা কি গর্বিত? যদি হয়ে থাকি, তা হলে যখন আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয় বা অন্যেরা আমাদের ধারণাগুলোকে মানতে চায় না, তখন আমরা হয়তো অপমানিত বোধ করতে পারি। (হিতোপদেশ ১৫:১০; ২৯:২৫; ১ তীমথিয় ৬:৩, ৪) খ্রীষ্টের উদাহরণের সঙ্গে মিল রাখার জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে সমন্বয় করার পরিবর্তে, আমরা হয়তো তাদের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারি, যারা এই কথা বলে ‘আমাদের কাণচুল্‌কায়’ যে, শুধু বাইবেল পড়া ও সৎ জীবনযাপন করাই যথেষ্ট। (২ তীমথিয় ৪:৩) যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা, যিহোবা তাঁর বাক্য ও তাঁর সংগঠনের মাধ্যমে যেভাবে বলেন সেভাবে তাঁকে উপাসনা করি, ততক্ষণ পর্যন্ত অন্য একটা ধর্মীয় দলের সঙ্গে আমরা যোগ দিচ্ছি কি না বা আমাদের নিজস্ব ধর্মে থাকি কি না, তাতে শয়তানের কিছু আসে যায় না।

৯. শয়তান কীভাবে তার লক্ষ্যগুলোতে পৌঁছানোর জন্য যৌন আকাঙ্ক্ষাকে চতুরতার সঙ্গে ব্যবহার করে?

৯ এ ছাড়াও, শয়তান চতুরতার সঙ্গে লোকেদের স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষাগুলোকে অন্যায়ভাবে মেটাতে প্রলুব্ধ করে। সে যৌন সম্পর্কের প্রতি আকাঙ্ক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তা করেছে। বাইবেলের নৈতিক মানগুলো অগ্রাহ্য করে, জগতের অনেকেই অবিবাহিত লোকেদের মধ্যে যৌন সম্পর্ককে বৈধ আনন্দ অথবা তারা যে প্রাপ্তবয়স্ক, তা প্রমাণ করার একটা উপায় হিসেবে দেখে। আর যারা বিবাহিত তাদের বিষয়ে কী বলা যায়? অনেকেই ব্যভিচার করে। আর এমনকি তাদের বিবাহে কোনো অবিশ্বস্ততা না থাকলেও, অনেক লোকেরা বিবাহবিচ্ছেদ চায় বা আলাদা হয়ে যেতে চায়, যাতে করে তারা অন্য কারও সঙ্গে থাকতে পারে। শয়তানের চতুরতার লক্ষ্য হল এখনই সুখভোগ করার জন্য বেঁচে থাকতে লোকেদের প্রভাবিত করা এবং পরে এটা শুধু তাদের ও অন্যদের ওপরই নয় কিন্তু বিশেষ করে যিহোবা ও তাঁর পুত্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের ওপর যে-প্রভাবগুলো ফেলতে পারে, তা উপেক্ষা করতে তাদের প্ররোচিত করা।—১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০; গালাতীয় ৬:৭, ৮.

১০. শয়তান কোন কোন উপায়ে অনৈতিকতা ও হিংস্রতার প্রতি আমাদের মনোভাবকে বদলে দিতে পারে?

১০ আরেকটা স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা হল, আমোদপ্রমোদের প্রতি আকাঙ্ক্ষা। এটা যখন গঠনমূলক হয়, তখন তা শারীরিক, মানসিক ও আবেগগত দিক দিয়ে সতেজতাদায়ক হয়। কিন্তু, শয়তান যখন আমাদের চিন্তাভাবনাগুলোকে ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার জন্য চতুরতার সঙ্গে অবসর সময়গুলোকে ব্যবহার করে, তখন আমরা কীভাবে সাড়া দিই? উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা জানি যে যিহোবা যৌন অনৈতিকতা ও হিংস্রতাকে ঘৃণা করেন। সিনেমায়, টেলিভিশনে বা মঞ্চে যখন এই বিষয়গুলো দেখানো হয়, তখন কি আমরা বসে থাকি ও সেগুলো দেখতে থাকি? এ ছাড়া, মনে রাখবেন যে শয়তান চাইবে তার ধ্বংস যত এগিয়ে আসবে, এই সমস্ত বিষয়গুলো যেন আরও খারাপ হয় কারণ “দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা, পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তর উত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে।” (২ তীমথিয় ৩:১৩) তাই, শয়তানের পরিকল্পনাগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকা দরকার।—আদিপুস্তক ৬:১৩; গীতসংহিতা ১১:৫; রোমীয় ১:২৪-৩২.

১১. প্রেতচর্চা সম্বন্ধে সত্য জানা থাকলেও একজন ব্যক্তি যদি সতর্ক না থাকেন, তা হলে কোন কোন উপায়ে তিনি ফাঁদে পড়তে পারেন?

১১ আমরা এও জানি যে যারা যেকোনো ধরনের প্রেতচর্চার সঙ্গে জড়িত—ভবিষ্যৎকথনের অভ্যাস, জাদুবিদ্যা ব্যবহার বা মৃতদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা—যিহোবা তাদের ঘৃণা করেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০-১২) সেই কথা মনে রেখে, যে-ব্যক্তিরা আত্মাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সঙ্গে আমরা পরামর্শ করার কথা মনে আনব না এবং কোনোভাবেই তাদেরকে আমাদের ঘরে প্রেতচর্চা অভ্যাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানাব না। কিন্তু, টেলিভিশনের পর্দায় বা ইন্টারনেটে যখন তাদের দেখা যায়, তখন কি আমরা তাদের কথা শুনব? যদিও আমরা জাদুমন্ত্র ব্যবহার করে, এমন লোকেদের কাছ থেকে কখনোই চিকিৎসা নেব না কিন্তু আমরা কি আমাদের নবজাত বাচ্চার হাতে এক টুকরো সুতো বেঁধে দেব, এই ভেবে যে এটা কোনো না কোনোভাবে বাচ্চাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে? বাইবেল অন্যদের ওপর জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করাকে নিন্দা করে জেনেও কি আমরা সম্মোহকদের আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেব?—গালাতীয় ৫:১৯-২১.

১২. (ক) আমরা যে-বিষয়গুলোকে খারাপ বলে জানি, সেগুলো সম্বন্ধে চিন্তা করানোর জন্য কীভাবে গানবাজনাকে ব্যবহার করা হয়? (খ) কীভাবে একজন ব্যক্তির পোশাক, চুলের স্টাইল বা কথা বলার ধরন তাকে সেই লোকেদের ভক্ত বলে দেখাতে পারে, যাদের জীবনধারাকে যিহোবা অনুমোদন করেন না? (গ) আমরা যদি শয়তানের চতুর কলাকৌলগুলোর শিকার হওয়া এড়াতে চাই, তা হলে আমাদের কী করতে হবে?

১২ বাইবেল বলে যে, ব্যভিচার ও কোনো ধরনের অশুচিতা (নোংরা উদ্দেশ্যগুলো) সম্বন্ধে আমরা যেন কোনো কথাও না বলি। (ইফিষীয় ৫:৩-৫) কিন্তু কী হবে, যদি এই বিষয়গুলো সুন্দর সুর, আকর্ষণীয় ছন্দ ও তাল বিশিষ্ট গানের মধ্যে থাকে? আমরা কি সেই সমস্ত গানগুলো গাইতে শুরু করব, যেগুলো বিয়ের বাইরে যৌন সম্পর্ককে প্রশংসা করে, আনন্দের জন্য মাদকদ্রব্যের ব্যবহার ও অন্যান্য পাপপূর্ণ কাজগুলোকে সমর্থন করে? আর আমরা যখন জানি যে আমাদের সেই সমস্ত লোকেদের জীবনধারা অনুকরণ করা উচিত নয়, যারা এইরকম কাজগুলো করে, তখন আমরা কি তারা যেরকম পোশাক পরে, চুলের স্টাইল করে বা যেভাবে কথা বলে, সেগুলো অনুকরণ করে তাদের সঙ্গে নিজেদের শনাক্ত করতে চাই? শয়তান মানুষকে তার নিজের মতো বিকৃত চিন্তাভাবনা করানোর জন্য প্রলুব্ধ করতে যে-পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে, তা কতই না প্রতারণাপূর্ণ! (২ করিন্থীয় ৪:৩, ৪) তার চতুর কলাকৌশলের শিকার না হওয়ার জন্য, আমাদের অবশ্যই জগতের সঙ্গে গা ভাসিয়ে দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ‘এই অন্ধকারের জগৎপতিরা’ কারা, তা আমাদের মনে রাখতে হবে এবং তাদের প্রভাবের বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করতে হবে।—১ পিতর ৫:৮.

জয়ী হওয়ার জন্য সজ্জিত

১৩. অসিদ্ধতা সত্ত্বেও, আমাদের মধ্যে যে-কেউই কীভাবে শয়তানের শাসনাধীন জগতে জয়ী হতে পারে?

১৩ মৃত্যুর আগে, যীশু তাঁর প্রেরিতদের বলেছিলেন: “সাহস কর, আমিই জগৎকে জয় করিয়াছি।” (যোহন ১৬:৩৩) তারাও জয়ী হতে পারত। প্রায় ৬০ বছর পরে, প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন “কে জগৎকে জয় করে? কেবল সেই, যে বিশ্বাস করে, যীশু ঈশ্বরের পুত্ত্র।” (১ যোহন ৫:৫) এইরকম বিশ্বাস যীশুর আজ্ঞাগুলো পালন ও সেইসঙ্গে ঈশ্বরের বাক্যের ওপর নির্ভর করে দেখানো যায়, ঠিক যেমন যীশুও করেছিলেন। আর কী করা দরকার? এ ছাড়া, মণ্ডলীর সঙ্গেও আমাদের ঘনিষ্ঠ থাকতে হবে, যার মস্তক হলেন যীশু। আমরা যখন পাপ করি, তখন অন্তর থেকে অনুতপ্ত হতে হবে এবং যীশুর বলিদানের ভিত্তিতে ঈশ্বরের ক্ষমা পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এভাবে, আমাদের অসিদ্ধতা ও ভুলগুলো সত্ত্বেও আমরাও জয়ী হতে পারি।—গীতসংহিতা ১৩০:৩, ৪.

১৪. ইফিষীয় ৬:১৩-১৭ পদ পড়ুন এবং আধ্যাত্মিক যুদ্ধসজ্জার প্রত্যেকটা থেকে উপকারগুলো আলোচনার করার জন্য এই অনুচ্ছেদে দেওয়া প্রশ্ন ও শাস্ত্রপদগুলোকে ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করুন।

১৪ জয়ী হওয়ার জন্য আমাদেরকে, একটাও অবহেলা না করে “ঈশ্বরের সমগ্র যুদ্ধসজ্জা” পরা দরকার। দয়া করে আপনার বাইবেল থেকে ইফিষীয় ৬:১৩-১৭ পদ খুলুন ও সেই যুদ্ধসজ্জার বিবরণ পড়ুন। আর তারপর, নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে চিন্তা করুন যে, এক একটা অস্ত্র যে-সুরক্ষা জোগায় সেটা থেকে আপনি কীভাবে উপকার পেতে পারেন।

“সত্যের কটিবন্ধনীতে বদ্ধকটি”

এমনকি সত্য জানলেও, কীভাবে নিয়মিত অধ্যয়ন করা, বাইবেলের সত্যের ওপর ধ্যান করা এবং সভাগুলোতে উপস্থিত থাকা আমাদের রক্ষা করে? (১ করিন্থীয় ১০:১২, ১৩; ২ করিন্থীয় ১৩:৫; ফিলিপীয় ৪:৮, ৯)

“ধার্ম্মিকতার বুকপাটা”

এটা কার ধার্মিকতার মান? (প্রকাশিত বাক্য ১৫:৩)

বুঝিয়ে বলুন যে, যিহোবার ধার্মিক মানগুলো পালন করতে না পারা কীভাবে একজনকে আধ্যাত্মিক ক্ষতির সম্মুখীন করে। (দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৩, ৪; ১ শমূয়েল ১৫:২২, ২৩)

‘শান্তির সুসমাচারের সুসজ্জতার পাদুকা চরণে দেওয়া’

কীভাবে প্রায়ই পায়ে হেঁটে গিয়ে লোকেদের সঙ্গে শান্তির জন্য ঈশ্বরের ব্যবস্থাগুলো সম্বন্ধে কথা বলা আমাদের জন্য সুরক্ষাস্বরূপ? (গীতসংহিতা ৭৩:২, ৩; রোমীয় ১০:১৫; ১ তীমথিয় ৫:১৩)

‘বিশ্বাসের ঢাল’

আমাদের যদি এমন বিশ্বাস থাকে যার ভিত্তি খুবই মজবুত, তা হলে আমাদের মধ্যে যখন সন্দেহ ও ভয় জাগানোর চেষ্টা করা হয়, তখন আমরা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাব? (২ রাজাবলি ৬:১৫-১৭; ২ তীমথিয় ১:১২)

“পরিত্রাণের শিরস্ত্রাণ”

কীভাবে পরিত্রাণের আশা একজনকে ধনসম্পদের চিন্তায় অতিরিক্ত মগ্ন হওয়ার ফাঁদে পড়া এড়াতে সাহায্য করে? (১ তীমথিয় ৬:৭-১০, ১৯)

“আত্মার খড়্গ”

আমাদের অথবা অন্যদের আধ্যাত্মিকতার ওপর যখন প্রচণ্ড আক্রমণ আসে, তখন এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের সবসময় কীসের ওপর নির্ভর করা উচিত? (গীতসংহিতা ১১৯:৯৮; হিতোপদেশ ৩:৫, ৬; মথি ৪:৩, ৪)

আধ্যাত্মিক যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য আর কী কী জরুরি? কতবার তা কাজে লাগাতে হবে? কাদের জন্য? (ইফিষীয় ৬:১৮, ১৯)

১৫. আধ্যাত্মিক লড়াইয়ে কীভাবে আমরা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারি?

১৫ খ্রীষ্টের সৈন্য হিসেবে, আমরা আধ্যাত্মিক যুদ্ধে রত এক বিরাট বাহিনীর অংশ। আমরা যদি সাবধান থাকি ও ঈশ্বরের সমস্ত যুদ্ধসজ্জা সঠিকভাবে ব্যবহার করি, তা হলে আমরা এই যুদ্ধে হত হব না। এর বদলে, আমরা ঈশ্বরের সহ দাসদের জন্য শক্তিশালী সাহায্য হব। আমরা আক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং শয়তান যেটার প্রচণ্ড বিরোধিতা করে, ঈশ্বরের সেই মশীহ রাজ্য অর্থাৎ স্বর্গীয় সরকার সম্বন্ধে সুসমাচার ছড়িয়ে দিতে তৈরি ও ইচ্ছুক থাকব।

পুনরালোচনা

• জগতের লড়াইগুলোতে যিহোবার উপাসকরা কেন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখে?

• খ্রীষ্টানদের আধ্যাত্মিকভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য শয়তান যে-চতুর কলাকৌশল ব্যবহার করে, সেগুলোর কয়েকটা কী?

• ঈশ্বরের দেওয়া আধ্যাত্মিক যুদ্ধসজ্জা কীভাবে আমাদের আধ্যাত্মিক যুদ্ধে সুরক্ষা জোগায়?

[৭৬ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

জাতিগুলোকে হর্‌মাগিদোনে একত্রিত করা হচ্ছে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার