-
স্বর্গদূত কারা এবং তারা কী করে থাকে?চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
২. শয়তান কে এবং মন্দ স্বর্গদূতেরা কারা?
কিছু স্বর্গদূত যিহোবার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। প্রথম যে-স্বর্গদূত যিহোবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল, তাকে “দিয়াবল ও শয়তান বলা হয়। এ পৃথিবীতে বসবাসকারী সমস্ত লোককে ভ্রান্ত করে।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯) শয়তান মানুষের উপর কর্তৃত্ব করতে চেয়েছিল আর তাই সে প্রথম মানব দম্পতি আদম ও হবাকে যিহোবার বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, সে অনেক স্বর্গদূতকেও যিহোবার বিরুদ্ধে নিয়ে গিয়েছিল। যিহোবার বিরুদ্ধে যাওয়া এই স্বর্গদূতদের মন্দ স্বর্গদূত বলা হয়েছে। যিহোবা শয়তানকে এবং মন্দ স্বর্গদূতদের স্বর্গে থাকতে দেননি। তাদের স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল এবং ভবিষ্যতে তাদের পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।—পড়ুন, প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১২.
৩. শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতেরা কীভাবে লোকদের ভ্রান্ত করে?
শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতেরা প্রেতচর্চার মাধ্যমে অনেক লোককে ভ্রান্ত করে থাকে। প্রেতচর্চা করার অর্থ হল, মন্দ স্বর্গদূতদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আর এটা করার কিছু উপায় হল, জ্যোতিষী এবং ওঝাদের কাছে যাওয়া, রাশিফল দেখা, ইত্যাদি। কিছু লোক চিকিৎসার জন্য এমন উপায়গুলো গ্রহণ করে, যেগুলো প্রেতচর্চার সঙ্গে জড়িত। আবার কিছু লোককে এটা বলে ভ্রান্ত করা হয় যে, তারা তাদের মৃত প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে।a কিন্তু, যিহোবা আমাদের সাবধান করে বলেন: “তোমরা ভূতড়িয়াদের ও গুণীদের অভিমুখ হইও না, তাহাদের কাছে অন্বেষণ করিও না।” (লেবীয় পুস্তক ১৯:৩১) যিহোবা এইজন্য সাবধান করেন যেন আমরা মন্দ স্বর্গদূত এবং শয়তানের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি, কারণ এরা হল তাঁর শত্রু আর এরা আমাদের ক্ষতি করতে চায়।
-
-
ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে!চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
২. জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ ১৯১৪ সাল থেকে কেমন হয়ে গিয়েছে?
যিশুর শিষ্যেরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, “আপনার উপস্থিতির এবং এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময়ের চিহ্ন কী?” (মথি ২৪:৩) উত্তরে যিশু তাদের বলেছিলেন, তিনি যখন স্বর্গে ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হবেন, তখন পৃথিবীতে কোন কোন ঘটনা ঘটবে। তিনি বলেছিলেন, যুদ্ধ হবে, খাদ্যের অভাব দেখা দেবে এবং ভূমিকম্প হবে। (পড়ুন, মথি ২৪:৭.) বাইবেলে এটাও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল, “শেষকালে” লোকদের আচরণ এমন হবে যে, আমাদের জীবন “কঠিন ও বিপদজনক হবে।” (২ তীমথিয় ৩:১-৫) বিশেষ করে, ১৯১৪ সাল থেকে জগতের পরিস্থিতি এবং লোকদের আচরণ সেইরকমই হয়ে গিয়েছে, ঠিক যেমনটা বাইবেলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল।
৩. ঈশ্বরের রাজ্যের শাসন স্বর্গে শুরু হওয়ার পর থেকে জগতের পরিস্থিতি কেন এত খারাপ হয়ে গিয়েছে?
যিশু ঈশ্বরের রাজ্যের রাজা হওয়ার কিছু সময় পর শয়তান এবং মন্দ স্বর্গদূতদের সঙ্গে স্বর্গে যুদ্ধ করেছিলেন আর এই যুদ্ধে শয়তান হেরে গিয়েছিল। বাইবেল বলে, শয়তানকে এই পৃথিবীতে “নিক্ষেপ করা হল এবং এর সঙ্গে এর স্বর্গদূতদেরও নিক্ষেপ করা হল।” (প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১০, ১২) শয়তান খুব রেগে আছে, কারণ সে জানে তাকে খুব শীঘ্রই ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তাই, সে রেগে গিয়ে এই পৃথিবীতে বিভিন্ন সমস্যা ও দুঃখকষ্ট নিয়ে আসছে। এই কারণেই পৃথিবীর পরিস্থিতি এত খারাপ হয়ে গিয়েছে! কিন্তু, খুব শীঘ্রই ঈশ্বর তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে সমস্ত সমস্যা দূর করে দেবেন।
-
-
ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে!চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
-
-
৫. জগতের পরিস্থিতি ১৯১৪ সালের পর থেকে বদলে গিয়েছে
যিশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তিনি রাজা হওয়ার পর জগতের পরিস্থিতি কেমন হবে। লূক ২১:৯-১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
এখানে যে-পরিস্থিতি সম্বন্ধে বলা হয়েছে, এর মধ্যে আপনি কোনগুলো শুনেছেন অথবা ঘটতে দেখেছেন?
প্রেরিত পৌল বলেছিলেন যে, মানব শাসনের শেষকালে লোকদের আচরণ কেমন হবে। ২ তীমথিয় ৩:১-৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:
এখানে বলা আচরণগুলোর মধ্যে আপনি কোন কোন আচরণ লোকদের মধ্যে লক্ষ করেছেন?
-