-
প্রকাশিত বাক্যের বার্তা থেকে “সুসমাচার”১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ডিসেম্বর ১
-
-
৩. কোন্ কাজের সঙ্গে যিহোবার সাক্ষিদের প্রচার কাজের মিল রয়েছে?
৩ এই সুসমাচার ঘোষণা করার সময় যিহোবার সাক্ষিরা একজন প্রতীক স্বর্গদূতের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন, যার কাজের কথাও প্রকাশিত বাক্যে বর্ণনা করা আছে। “আমি আর এক দূতকে দেখিলাম, তিনি আকাশের মধ্যপথে উড়িতেছেন, তাঁহার কাছে অনন্তকালীন সুসমাচার আছে, যেন তিনি পৃথিবী-নিবাসীদিগকে, প্রত্যেক জাতি ও বংশ ও ভাষা ও প্রজাবৃন্দকে, সুসমাচার জানান।” (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬) ‘অনন্তকালীন সুসমাচারের’ মধ্যে এই কথাও রয়েছে যে “জগতের রাজ্য [বা কর্তৃত্ব] আমাদের প্রভুর ও তাঁহার খ্রীষ্টের হইল” এবং “পৃথিবীনাশকদিগকে নাশ করিবার” জন্য যিহোবার “সময় উপস্থিত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ১১:১৫, ১৭, ১৮) এটা কি সত্যিই সুসমাচার নয়?
-
-
প্রকাশিত বাক্যের বার্তা থেকে “সুসমাচার”১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ | ডিসেম্বর ১
-
-
৬. ৪ অধ্যায়ের দর্শন লোকেদের কী বুঝতে সাহায্য করে?
৬ চার অধ্যায়ে যিহোবা ঈশ্বরের স্বর্গীয় সিংহাসনের এক বিস্ময়কর দর্শন রয়েছে। এই অধ্যায়ে যিহোবার উপস্থিতি, তাঁর মহিমা ও শাসন করার জন্য তিনি যে লোকেদের ব্যবহার করবেন তার এক ঝলক দেখতে পাওয়া যায়। নিখিলবিশ্বের প্রধান সিংহাসনকে ঘিরে যে মুকুট পরা অন্য রাজাদের সিংহাসন আছে, তারা যিহোবাকে প্রণাম করেন ও ঘোষণা করেন: “‘হে আমাদের প্রভু ও আমাদের ঈশ্বর, তুমিই প্রতাপ ও সমাদর ও পরাক্রম গ্রহণের যোগ্য; কেননা তুমিই সকলের সৃষ্টি করিয়াছ, এবং তোমার ইচ্ছাহেতু সকলই অস্তিত্বপ্রাপ্ত ও সৃষ্ট হইয়াছে।’”—প্রকাশিত বাক্য ৪:১১.
৭. (ক) পৃথিবী-নিবাসীদিগকে দূত কী করতে বলেন? (খ) যিহোবার সাক্ষিদের বাইবেল শেখানোর একটা মূল উদ্দেশ্য কী?
৭ আজকের দিনের লোকেদের সঙ্গে এর কী কোন সম্পর্ক আছে? অবশ্যই আছে। তারা যদি সহস্র বৎসর রাজত্বের সময় বেঁচে থাকতে চান, তাহলে তাদের অবশ্যই ‘আকাশের মধ্যপথে উড়ন্ত দূত’ যা ঘোষণা করেন তাতে মন দিতে হবে, যিনি বলেন: “ঈশ্বরকে ভয় কর ও তাঁহাকে গৌরব প্রদান কর, কেননা তাঁহার বিচার-সময় উপস্থিত।” (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭) যিহোবার সাক্ষিদের লোকেদেরকে বাইবেল শেখানোর একটা মূল উদ্দেশ্য হল “পৃথিবী-নিবাসীদিগকে” যিহোবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও তাঁর উপাসনা করতে বলা আর তিনিই যে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা তা স্বীকার করতে ও তাঁর ধার্মিক সার্বভৌমত্বকে মেনে নিতে শেখানো।
-