জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স
নভেম্বর ৪-১০
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ১ যোহন ১-৫
“তোমরা জগৎকে কিংবা জগতের কোনো কিছুই প্রেম কোরো না”
যিশুর স্থাপিত দৃষ্টান্ত ধরে রাখুন
১৩ কেউ কেউ যুক্তি দেখাতে পারে যে, জগতের সমস্ত কিছুই ভুল নয়। তা সত্ত্বেও, জগৎ এবং এর আকর্ষণীয় বস্তুগুলো সহজেই আমাদেরকে যিহোবার সেবা থেকে সরিয়ে নিতে পারে। আর জগতে এমন কিছুই নেই, যা আমাদের ঈশ্বরের নিকটবর্তী করে। তাই, আমরা যদি জগতের বিষয়গুলোর প্রতি, এমনকী যে-বিষয়গুলো হয়তো ভুল নয়, সেগুলোর প্রতিও ভালোবাসা গড়ে তুলি, তা হলে আমরা এক বিপদজনক অবস্থার মধ্যে রয়েছি। (১ তীমথিয় ৬:৯, ১০) তা ছাড়া, এই জগতের বেশির ভাগ বিষয়ই সত্যিই মন্দ এবং তা আমাদের কলুষিত করতে পারে। আমরা যদি এমন সিনেমা এবং টেলিভিশনের অনুষ্ঠানগুলো দেখি, যা দৌরাত্ম্য, বস্তুবাদিতা অথবা যৌন অনৈতিকতাকে তুলে ধরে, তা হলে সেই বিষয়গুলো গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারে—আর এরপর প্রলুব্ধ করতে পারে। আমরা যদি এমন লোকেদের সঙ্গে মেলামেশা করি, যাদের প্রধান চিন্তা হল তাদের জীবনধারাকে উন্নত করা অথবা ব্যাবসায়িক সুযোগগুলোকে বৃদ্ধি করা, তা হলে সেই বিষয়গুলো আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে।—মথি ৬:২৪; ১ করিন্থীয় ১৫:৩৩.
প্রহরীদুর্গ ১৩ ৮/১৫ ২৭ অনু. ১৮
আপনাদের কেমন লোক হওয়া উচিত, তা বিবেচনা করুন
১৮ ‘জগতীস্থ বিষয় সকল’ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে আরেকটা যে-বিষয় আমাদের সাহায্য করতে পারে, তা হল যোহনের এই অনুপ্রাণিত কথাগুলো মনে রাখা: “জগৎ ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে; কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে অনন্তকালস্থায়ী।” (১ যোহন ২:১৭) শয়তানের বিধিব্যবস্থাকে স্থায়ী ও বাস্তব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, একদিন তা ধ্বংস হয়ে যাবে। শয়তানের জগৎ আমাদের দিতে পারে, এমন কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। এই বিষয়টা মনে রাখা আমাদেরকে নিশ্চিতভাবেই দিয়াবলের প্রলোভনের দ্বারা প্রতারিত না হতে সাহায্য করবে।
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
প্রহরীদুর্গ ১৩ ৯/১৫ ১০ অনু. ১৪
যিহোবার অনুস্মারকগুলো নির্ভরযোগ্য
১৪ খ্রিস্টান গ্রিক শাস্ত্র-এ আমাদের জন্য পরস্পরের প্রতি প্রেম দেখানোর বিষয়ে অনেক অনুস্মারক রয়েছে। যিশু বলেছিলেন যে, দ্বিতীয় মহৎ আজ্ঞা হল, “তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।” (মথি ২২:৩৯) একইভাবে, যিশুর সৎভাই যাকোব প্রেমকে “রাজকীয় ব্যবস্থা” হিসেবে অভিহিত করেছেন। (যাকোব ২:৮) প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “প্রিয়তমেরা, আমি তোমাদিগকে নূতন আজ্ঞা লিখিতেছি না; বরং এমন এক পুরাতন আজ্ঞা লিখিতেছি, যাহা তোমরা আদি হইতে পাইয়াছ।” (১ যোহন ২:৭, ৮) কোন বিষয়টাকে যোহন এক “পুরাতন আজ্ঞা” বলে উল্লেখ করছিলেন? তিনি প্রেম করার আজ্ঞা সম্বন্ধে উল্লেখ করছিলেন। এটা এই অর্থে “পুরাতন” ছিল যে, যিশু কয়েক দশক আগে অর্থাৎ “আদি হইতে” এটা প্রদান করেছিলেন। কিন্তু, এটা এই অর্থে ‘নূতনও’ ছিল যে, এর জন্য আত্মত্যাগমূলক প্রেম প্রয়োজন, যা হয়তো শিষ্যদের নতুন পরিস্থিতিগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য প্রয়োজন হবে। খ্রিস্টের শিষ্য হিসেবে আমরা কি সেই সাবধানবাণীগুলো উপলব্ধি করি না, যেগুলো আমাদেরকে এই জগতের অতি সাধারণ এক চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, স্বার্থপর মনোভাব গড়ে তোলার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে সাহায্য করে, যে-বৈশিষ্ট্য প্রতিবেশীদের প্রতি আমাদের প্রেমকে হ্রাস করে দিতে পারে?
অন্তর্দৃষ্টি-১ ৮৬২, ইংরেজি
ক্ষমা
অন্যদের জন্য, এমনকী পুরো মণ্ডলীর জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা করা উপযুক্ত। মোশি ইস্রায়েল জাতির ক্ষেত্রে তা-ই করেছিলেন। তিনি সেই জাতির পাপ স্বীকার করেছিলেন, ক্ষমা চেয়েছিলেন এবং যিহোবা তার প্রার্থনা শুনেছিলেন। (গণনা ১৪:১৯, ২০) এ ছাড়া, শলোমনও মন্দির উৎসর্গীকরণের সময় প্রার্থনা করেছিলেন, যিহোবার লোকেরা পাপ করার পর তাদের মন্দ পথ ত্যাগ করে ফিরে এলে তিনি যেন তাদের ক্ষমা করে দেন। (১রাজা ৮:৩০, ৩৩-৪০, ৪৬-৫২) বন্দিত্ব থেকে ফিরে আসা যিহুদিদের প্রতিনিধি হিসেবে ইষ্রা জনসমক্ষে পাপ স্বীকার করেছিলেন। তার আন্তরিক প্রার্থনা ও উৎসাহের কারণে লোকেরা যিহোবার ক্ষমা লাভ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পরিচালিত হয়েছিল। (ইষ্রা ৯:১৩–১০:৪, ১০-১৯, ৪৪) যাকোব আধ্যাত্মিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে উৎসাহিত করেছিলেন, যেন সে মণ্ডলীর প্রাচীনদের আমন্ত্রণ জানায়, যাতে তারা তার জন্য প্রার্থনা করেন আর “সে যদি পাপ করিয়া থাকে, তবে তাহার মোচন হইবে।” (যাকোব ৫:১৪-১৬) কিন্তু, “মৃত্যুজনক পাপ আছে,” তা হল পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে পাপ অর্থাৎ ইচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে চলা, যেটার কোনো ক্ষমা নেই। যারা এভাবে পাপ করে চলে, তাদের জন্য খ্রিস্টানদের প্রার্থনা করা উচিত নয়।—১যোহন ৫:১৬; মথি ১২:৩১; ইব্রীয় ১০:২৬, ২৭; পাপ, ১; আত্মা।
নভেম্বর ১১-১৭
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | ২ যোহন ১–যিহূদা
“সত্যে টিকে থাকার জন্য আমাদের অবশ্যই প্রাণপণ করতে হবে”
প্রহরীদুর্গ ০৪ ৯/১৫ ১১-১২ অনু. ৮-৯
‘তোমরা প্রভুতে বলবান হও’
৮ আমরা শয়তানের পরিকল্পনাগুলো সম্বন্ধে অজ্ঞাত নই কারণ শাস্ত্র তার মূল কলাকৌশলগুলোকে প্রকাশ করে। (২ করিন্থীয় ২:১১) ধার্মিক ব্যক্তি ইয়োবের বিরুদ্ধে, দিয়াবল চরম আর্থিক সমস্যা, প্রিয়জনদের মৃত্যু, পারিবারিক বিরোধিতা, শারীরিক কষ্ট এবং মিথ্যা বন্ধুদের দিয়ে ভিত্তিহীন সমালোচনা ব্যবহার করেছিল। ইয়োব হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং মনে করেছিলেন যে, ঈশ্বর তাকে পরিত্যাগ করেছেন। (ইয়োব ১০:১, ২) যদিও শয়তান আজকে সরাসরি এই সমস্যাগুলো নিয়ে আসে না কিন্তু এই ধরনের কষ্ট অনেক খ্রিস্টানদের প্রভাবিত করে এবং দিয়াবল নিজের সুবিধার জন্য এগুলো ব্যবহার করতে পারে।
৯ এই শেষ সময়ে আধ্যাত্মিক বিপদগুলো প্রচণ্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এমন এক জগতে বাস করছি, যেখানে বস্তুগত বিষয়ের পিছনে ছোটার ভিড়ে আধ্যাত্মিক লক্ষ্যগুলো চাপা পড়ে যায়। প্রচারমাধ্যম অনবরত অবৈধ যৌন সম্পর্ককে মনোদুঃখ হিসেবে তুলে ধরার পরিবর্তে সুখের উৎস হিসেবে তুলে ধরে। আর বেশির ভাগ লোক “ঈশ্বরপ্রিয় নয়, বরং বিলাসপ্রিয়” হয়েছে। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) এইরকম চিন্তাভাবনা আমাদের আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের পক্ষে হুমকি স্বরূপ হতে পারে, যদি না আমরা “বিশ্বাসের পক্ষে প্রাণপণ” করি।—যিহূদা ৩.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.১ ১২ অনু. ১
“তিনি ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র ছিলেন”
হনোক কী ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন: “দেখ, প্রভু [ঈশ্বর] আপন অযুত অযুত পবিত্র লোকের সহিত আসিলেন, যেন সকলের বিচার করেন; আর ভক্তিহীন সকলে আপনাদের যে সকল ভক্তিবিরুদ্ধ কার্য্য দ্বারা ভক্তিহীনতা দেখাইয়াছে, এবং ভক্তিহীন পাপিগণ তাঁহার বিরুদ্ধে যে সকল কঠোর বাক্য কহিয়াছে, তৎপ্রযুক্ত তাহাদিগকে যেন ভর্ৎসনা করেন।” (যিহূদা ১৪, ১৫) আপনি হয়তো প্রথম যে-বিষয়টা লক্ষ করেছেন, সেটা হল হনোক এখানে অতীত কালে কথা বলেছেন, যা পড়ে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা কথাগুলো ঈশ্বর ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে এই পদ্ধতিই অনেক ভবিষ্যদ্বাণীতে অনুসরণ করা হয়েছে। ধারণাটা হল: ভাববাদী এমন একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, যেটার পরিপূর্ণতা এতটাই নিশ্চিত যে, সেটা ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে বলে বর্ণনা করা যেতে পারে!—যিশাইয় ৪৬:১০.
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.১ ১২ অনু. ৩
“তিনি ঈশ্বরের প্রীতির পাত্র ছিলেন”
হনোকের বিশ্বাস হয়তো আমাদের নিজেদের এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পরিচালিত করে, আমরা যে-জগতে বাস করি, সেটাকে আমরা যিহোবার মতো করে দেখি কি না। হনোক সাহসের সঙ্গে যে-বিচারের বার্তা ঘোষণা করেছিলেন, তা আজও গুরুত্বপূর্ণ; এটা বর্তমান জগতের প্রতিও প্রযোজ্য, ঠিক যেমনটা হনোকের দিনের জগতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল। হনোকের সাবধানবাণী অনুযায়ী যিহোবা নোহের দিনের অধার্মিক জগতের উপর মহাজলপ্লাবন এনেছিলেন। কিন্তু, সেই ধ্বংস আসন্ন আরও বড়ো এক ধ্বংসের নমুনা স্থাপন করে। (মথি ২৪:৩৮, ৩৯; ২ পিতর ২:৪-৬) সেই সময়ের মতো বর্তমানেও ঈশ্বর এক অধার্মিক জগতের উপর ধার্মিক বিচার নিয়ে আসার জন্য তাঁর পবিত্র লোকেদের নিয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন। আমাদের প্রত্যেকেরই হনোকের সেই সাবধানবাণীর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে ও সেইসঙ্গে সেটা অন্যদের জানাতে হবে। আমাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধব হয়তো আমাদের মতো একই অবস্থান গ্রহণ করবে না। তাই, কখনো কখনো আমরা হয়তো নিজেকে একা বলে মনে করতে পারি। কিন্তু, যিহোবা কখনো হনোককে পরিত্যাগ করেননি; আর তিনি বর্তমানেও তাঁর বিশ্বস্ত দাসদের পরিত্যাগ করবেন না!
প্রহরীদুর্গ ০৮ ১২/১৫ ২৯ অনু. ৯
যোহন ও যিহূদার লেখা চিঠির প্রধান বিষয়গুলো
২০, ২১—কীভাবে আমরা ‘ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা করিতে’ পারি? তিনটে উপায়ে আমরা তা করতে পারি: (১) অধ্যবসায়ের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করার এবং প্রচার কাজে উদ্যমের সঙ্গে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আমাদের “পরম পবিত্র বিশ্বাসের” উপরে নিজেদেরকে গেঁথে তোলার দ্বারা; (২) “পবিত্র আত্মাতে” প্রার্থনা করার অর্থাৎ এর প্রভাবের সঙ্গে সংগতি রাখার দ্বারা এবং (৩) যে-বিষয়টা অনন্তজীবন লাভ করা সম্ভবপর করে তাতে অর্থাৎ যিশু খ্রিস্টের মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানে বিশ্বাস অনুশীলন করার দ্বারা।—যোহন ৩:১৬, ৩৬.
নভেম্বর ১৮-২৪
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | প্রকাশিত বাক্য ১-৩
“আমি জানি তোমার কার্য্য সকল”
প্রহরীদুর্গ ১২ ১০/১৫ ১৪ অনু. ৮
আপনি কোন ধরনের মনোভাব দেখান?
৮ এই ধরনের মনোভাব এড়িয়ে চলার জন্য আমরা মনে রাখতে পারি যে, বাইবেলে যিশুকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেন “তাঁহার দক্ষিণ হস্তে সপ্ত তারা” রয়েছে। “তারা” অভিষিক্ত অধ্যক্ষদের এবং ব্যাপক অর্থে মণ্ডলীর সমস্ত অধ্যক্ষকে চিত্রিত করে। যিশু উপযুক্ত বলে মনে করেন এমন যেকোনো উপায়ে তাঁর হস্তের ‘তারাদের’ পরিচালিত করতে পারেন। (প্রকা. ১:১৬, ২০) তাই, খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর মস্তক হিসেবে প্রাচীনবর্গের উপর যিশুর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তাদের মধ্যে কারো যদি সত্যি সত্যিই সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তাহলে যাঁর “চক্ষু অগ্নিশিখার তুল্য,” তিনি লক্ষ রাখবেন যেন তা তাঁর নিজ সময়ে এবং উপায়ে করা হয়। (প্রকা. ১:১৪, ১৫) সেই সময়ের আগে পর্যন্ত, আমরা পবিত্র আত্মা দ্বারা নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রতি সঠিক সম্মান বজায় রাখি, কারণ পৌল লিখেছিলেন: “তোমরা তোমাদের নেতাদিগের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য্য করিতেছেন,—যেন তাঁহারা আনন্দপূর্ব্বক সেই কার্য্য করেন, আর্ত্তস্বরপূর্ব্বক না করেন; কেননা ইহা তোমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।”—ইব্রীয় ১৩:১৭.
প্রহরীদুর্গ ১২ ৪/১৫ ২৯ অনু. ১১
যিহোবা আমাদেরকে পরিত্রাণের জন্য রক্ষা করেন
১১ প্রকাশিত বাক্য ২ ও ৩ অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ দর্শনে, গৌরবান্বিত যিশু খ্রিস্ট এশিয়া মাইনরের সাতটা মণ্ডলী পর্যবেক্ষণ করেন। সেই দর্শন প্রকাশ করে যে, যিশু কেবল সাধারণ প্রবণতাগুলোই নয় বরং সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিগুলোও লক্ষ করেন। কিছু ক্ষেত্রে, তিনি এমনকী ব্যক্তি-বিশেষদের সম্বন্ধে উল্লেখ করেন এবং প্রতিটা ব্যাপারে তিনি উপযুক্ত প্রশংসা অথবা পরামর্শ দেন। এটা কী ইঙ্গিত করে? এই দর্শনের পরিপূর্ণতা হিসেবে, সাতটা মণ্ডলী ১৯১৪ সালের পর অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের চিত্রিত করে এবং সাতটা মণ্ডলীকে প্রদত্ত পরামর্শ মূলত বর্তমানে সারা পৃথিবীতে বিদ্যমান ঈশ্বরের লোকেদের সমস্ত মণ্ডলীর প্রতি প্রযোজ্য। তাই, নির্দ্বিধায় এই উপসংহারে আসা যায় যে, যিহোবা তাঁর পুত্রের মাধ্যমে সক্রিয়ভাবে তাঁর লোকেদের পরিচালনা দিচ্ছেন। কীভাবে আমরা সেই নির্দেশনা থেকে উপকৃত হতে পারি?
প্রহরীদুর্গ ০১ ১/১৫ ২০-২১ অনু. ২০
যিহোবার সংগঠনের সঙ্গে সঙ্গে চলা
২০ যিহোবার এগিয়ে চলা সংগঠনের সঙ্গে সঙ্গে চলার জন্য আজকে আমাদের মেনে নিতে হবে যে, যিশু খ্রিস্টকে ঈশ্বর “মণ্ডলীর মস্তক” হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। (ইফিষীয় ৫:২২, ২৩) এ ছাড়া, যিশাইয় ৫৫:৪ পদে আমাদের বলা হয়েছে: “দেখ, আমি [যিহোবা] তাঁহাকে জাতিগণের সাক্ষীরূপে, জাতিগণের নায়ক ও আদেষ্টারূপে নিযুক্ত করিলাম।” যিশু জানেন যে, কীভাবে নেতৃত্ব দিতে হয়। তিনি তাঁর মেষদের চেনেন এবং তারা কী করে না করে, তা তাঁর অজানা নয়। এশিয়া মাইনরের সাতটা মণ্ডলীর কাজকর্ম পরীক্ষা করার সময় তিনি পাঁচ বার এই কথাগুলো বলেছিলেন: “আমি জানি তোমার কার্য্য সকল।” (প্রকাশিত বাক্য ২:২, ১৯; ৩:১, ৮, ১৫) এ ছাড়া, যিশু তাঁর পিতা যিহোবার মতো জানেন যে, আমাদের কী কী দরকার। আদর্শ প্রার্থনা বলার আগে যিশু বলেছিলেন: “তোমাদের কি কি প্রয়োজন, তাহা যাচ্ঞা করিবার পূর্ব্বে তোমাদের পিতা জানেন।”—মথি ৬:৮-১৩.
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
ঈশ্বরের রাজ্য শাসন করছে! ২২৬ অনু. ১০, ইংরেজি
ঈশ্বরের রাজ্য এটার শত্রুদের নির্মূল করে দেয়
১০ বিচারবার্তা ঘোষণা। এরপর, ঈশ্বরের রাজ্যের সমস্ত শত্রু এমন এক ঘটনা দেখতে বাধ্য হবে, যা তাদের কষ্ট আরও বৃদ্ধি করবে। যিশু বলেছিলেন: “লোকেরা দেখিবে, মনুষ্যপুত্ত্র মহাপরাক্রম ও প্রতাপের সহিত মেঘযোগে আসিতেছেন।” (মার্ক ১৩:২৬) শক্তির এই অতিপ্রাকৃতিক প্রদর্শন ইঙ্গিত দেবে যে, যিশু বিচারবার্তা ঘোষণা করার জন্য এসেছেন। শেষকাল সম্বন্ধে এই একই ভবিষ্যদ্বাণীর আরেকটা অংশে যে-বিচারবার্তা এই সময় ঘোষণা করা হবে, সেটার বিষয়ে যিশু আরও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করেন। আমরা এই তথ্য মেষ ও ছাগের দৃষ্টান্তে খুঁজে পাই। (পড়ুন, মথি ২৫:৩১-৩৩, ৪৬) ঈশ্বরের রাজ্যের অনুগত সমর্থকদের “মেষ” হিসেবে চিহ্নিত করা হবে আর তাদের “মুক্তি সন্নিকট” বুঝতে পেরে তারা ‘ঊর্দ্ধ্বদৃষ্টি করিবে।’ (লূক ২১:২৮) কিন্তু যারা রাজ্যের বিরোধী, তাদের “ছাগ” হিসেবে চিহ্নিত করা হবে আর তাদের জন্য যে ‘অনন্ত দণ্ড’ অপেক্ষা করে রয়েছে, তা বুঝতে পেরে তারা “‘বিলাপ’ করিবে।”—মথি ২৪:৩০; প্রকা ১:৭.
প্রকাশিত বাক্য বইয়ের প্রথম বিভাগের প্রধান বিষয়গুলো
২:৭—‘ঈশ্বরের পরমদেশ’ কী? যেহেতু এই শব্দগুলো অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তাই এখানে উল্লেখিত পরমদেশ নিশ্চয়ই পরমদেশতুল্য স্বর্গীয় রাজ্যকে—স্বয়ং ঈশ্বরের উপস্থিতিকে—বোঝায়। বিশ্বস্ত অভিষিক্ত ব্যক্তিদের “জীবনবৃক্ষের” ফল খাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তারা অমরত্ব লাভ করবে।—১ করি. ১৫:৫৩.
নভেম্বর ২৫-ডিসেম্বর ১
ঈশ্বরের বাক্যের গুপ্তধন | প্রকাশিত বাক্য ৪-৬
“চার জন অশ্বারোহীর যাত্রা”
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.২ ৪ অনু. ৩
চার জন অশ্বারোহী—তারা কারা?
শুক্লবর্ণ অশ্বের আরোহী কে? বাইবেলের এই একই বই, প্রকাশিত বাক্যে আমরা তাঁর পরিচয় পাই। পরবর্তী একটা অধ্যায়ে সেই আরোহীকে “ঈশ্বরের বাক্য” বলে অভিহিত করা হয়েছে। (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১১-১৩) বাক্য উপাধিটা যিশু খ্রিস্টের প্রতি প্রযোজ্য কারণ তিনি ঈশ্বরের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন। (যোহন ১:১, ১৪) এ ছাড়া, তাঁকে “রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু” এবং “বিশ্বাস্য ও সত্যময়” বলা হয়। (প্রকাশিত বাক্য ১৯:১৬) স্পষ্টতই, একজন রাজা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি একজন যোদ্ধাও আর তিনি কখনোই তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেন না। কিন্তু, কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়।
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.২ ৪ অনু. ৫
চার জন অশ্বারোহী—তারা কারা?
কখন এই অশ্বারোহীরা তাদের যাত্রা শুরু করে? লক্ষ করুন, প্রথম অশ্বারোহী যিশু রাজমুকুট লাভ করার পরই তাঁর যাত্রা শুরু করেন। (প্রকাশিত বাক্য ৬:২) কখন যিশুকে স্বর্গে রাজমুকুট প্রদান করা হয়? তিনি তাঁর মৃত্যুর পর যখন স্বর্গে ফিরে যান, সেইসময় তাঁকে তা প্রদান করা হয়নি। বাইবেল দেখায়, সেইসময় থেকে তিনি অপেক্ষা করতে শুরু করেছিলেন। (ইব্রীয় ১০:১২, ১৩) এই অপেক্ষার সময় কখন শেষ হবে আর তিনি কখন স্বর্গে তাঁর রাজত্ব শুরু করবেন, তা বোঝার জন্য যিশু তাঁর অনুসারীদের কিছু চিহ্ন দিয়েছিলেন। যিশু বলেছিলেন, তাঁর রাজত্বের শুরু হওয়ার পর জগতের পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হবে। চারিদিকে যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও মহামারি দেখা যাবে। (মথি ২৪:৩, ৭; লূক ২১:১০, ১১) ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, মানবজাতি সেই কষ্টকর যুগে প্রবেশ করেছে, যেটাকে বাইবেল ‘শেষ কাল’ বলে অভিহিত করে।—২ তীমথিয় ৩:১-৫.
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.২ ৫ অনু. ২
চার জন অশ্বারোহী—তারা কারা?
এই আরোহী যুদ্ধকে চিত্রিত করে। লক্ষ করুন, সে শুধুমাত্র কয়েকটা দেশের নয় বরং পুরো পৃথিবীর শান্তি অপহরণ করে। ১৯১৪ সালে ইতিহাসে প্রথম বার বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়। এর পর ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, যেটা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের থেকেও মারাত্মক। কিছু হিসাব অনুযায়ী, ১৯১৪ সাল থেকে যুদ্ধ ও সশস্ত্র হামলার ফলে ১০ কোটির চেয়েও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া, প্রচুর লোক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে।
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.২ ৫ অনু. ৪-৫
চার জন অশ্বারোহী—তারা কারা?
“দেখ, এক কৃষ্ণবর্ণ অশ্ব, এবং যে তাহার উপরে বসিয়া আছে, তাহার হস্তে এক তুলাদণ্ড। পরে আমি চারি প্রাণীর মধ্য হইতে নির্গত এইরূপ বাণী শুনিলাম, এক সের গোমের মূল্য এক সিকি, আর তিন সের যবের মূল্য এক সিকি, এবং তুমি তৈলের ও দ্রাক্ষারসের হিংসা করিও না [“নষ্ট করিও না,” ইজি-টু-রিড ভারশন।]”—প্রকাশিত বাক্য ৬:৫, ৬.
এই আরোহী দুর্ভিক্ষকে চিত্রিত করে। আমরা এখানে দেখতে পাই, খাদ্য বরাদ্দের হার এত চরমে চলে যাবে যে, এক সের (১.০৮ লিটার) গমের মূল্য গিয়ে দাঁড়াবে এক সিকি, যেটা ছিল প্রথম শতাব্দীতে একজন ব্যক্তির সারাদিনের পারিশ্রমিক। (মথি ২০:২) একই মূল্যে তিন সের (৩.২৪ লিটার) যব পাওয়া যাবে, যে-শস্যকে গমের চেয়ে নিকৃষ্ট বলে গণ্য করা হতো। পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি বেশি হয়, তা হলে এই খাদ্য কত দিনই-বা চলবে! তাই, সেই সময় লোকেদের সাবধান করা হয়েছে, যেন তারা তেল ও দ্রাক্ষারসের মতো দৈনন্দিন খাদ্যসামগ্রী বেশি খরচ না করে। তখনকার সময় ও সংস্কৃতি অনুযায়ী তেল এবং দ্রাক্ষারস ছিল মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।
প্রহরীদুর্গ, জনসাধারণের সংস্করণ ১৭.২ ৫ অনু. ৮-১০
চার জন অশ্বারোহী—তারা কারা?
চতুর্থ আরোহী মহামারি ও অন্যান্য কারণে ঘটা মৃত্যুকে চিত্রিত করে। ১৯১৪ সালের ঠিক পরেই স্প্যানিশ ফ্লু লক্ষ লক্ষ লোকের জীবন কেড়ে নেয়। সেই সময় বেঁচে থাকা লোকেদের ৩ জনের মধ্যে প্রায় ১ জন ব্যক্তি অর্থাৎ প্রায় ৫০ কোটি লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়। বিশেষজ্ঞদের গণনা অনুযায়ী বিংশ শতাব্দীতে কোটি কোটি লোক গুটিবসন্তে প্রাণ হারিয়েছে। বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রচুর উন্নতি হওয়া সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ লোক এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগে মারা যাচ্ছে।
যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ কিংবা মহামারি যা-ই হোক না কেন, ফলাফল একটাই আর তা হল মৃত্যু। কবর ক্রমাগত মৃত ব্যক্তিদের গ্রাস করে চলেছে আর এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো আশা নেই।
আধ্যাত্মিক রত্ন খুঁজে বের করুন
প্রকাশিত বাক্যের পরিপূর্ণতা ৭৬-৭৭ অনু. ৮, ইংরেজি
যিহোবার স্বর্গীয় সিংহাসনের মহিমা
৮ যোহন জানতেন, অতীতে আবাসে সেবা করার জন্য যাজকদের নিযুক্ত করা হতো। তাই, এরপর যা বর্ণনা করা হয়েছিল, তা দেখে তিনি হয়তো অবাক হয়ে গিয়েছিলেন: “আর সেই সিংহাসনের চারিদিকে চব্বিশটী সিংহাসন আছে, সেই সকল সিংহাসনে চব্বিশ জন প্রাচীন বসিয়া আছেন, তাঁহারা শুক্লবস্ত্রপরিহিত এবং তাঁহাদের মস্তকের উপরে সুবর্ণ মুকুট।” (প্রকাশিত বাক্য ৪:৪) হ্যাঁ, যাজকদের পরিবর্তে ২৪ জন প্রাচীন রাজাদের মতো সিংহাসনে বসে রয়েছেন এবং মুকুট পরে রয়েছেন। এই প্রাচীনরা কারা? তারা হলেন, খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর অভিষিক্ত ব্যক্তিরা, যারা পুনরুত্থিত হয়েছেন এবং সেই স্বর্গীয় স্থান লাভ করেছেন, যেটার বিষয়ে যিহোবা তাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন। কীভাবে আমরা তা জানি?
প্রকাশিত বাক্যের পরিপূর্ণতা ৮০ অনু. ১৯, ইংরেজি
যিহোবার স্বর্গীয় সিংহাসনের মহিমা
১৯ এই প্রাণীগুলো কোন বিষয়কে চিত্রিত করে? আরেকজন ভাববাদী, যিহিষ্কেলের দ্বারা বর্ণিত বিবরণ আমাদের উত্তর পেতে সাহায্য করে। যিহিষ্কেল দেখেছিলেন, যিহোবা এক স্বর্গীয় রথে বসে রয়েছেন আর সেটার সঙ্গে চার জন জীবন্ত প্রাণী রয়েছে, যাদের দৈহিক বৈশিষ্ট্য যোহনের বর্ণনার সঙ্গে মিলে যায়। (যিহিষ্কেল ১:৫-১১, ২২-২৮) পরে যিহিষ্কেল আবার সেই রথের সিংহাসন ও সেইসঙ্গে চার জন জীবন্ত প্রাণীকে দেখেন। কিন্তু এ-বার তিনি এই জীবন্ত প্রাণীদের করূব বলে উল্লেখ করেন। (যিহিষ্কেল ১০:৯-১৫) যোহন যে-চার জন জীবন্ত প্রাণীকে দেখেছিলেন, তারা নিশ্চয়ই ঈশ্বরের অনেক করূবকে চিত্রিত করে, যারা ঈশ্বরের আত্মিক সংগঠনে উচ্চপদাধিকারী। এই করূবদের যিহোবার এত কাছে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে যোহন আশ্চর্য হননি কারণ অতীতে আবাসে দু-জন করূব নিয়ম সিন্দুকের উপর অবস্থিত ছিল, যে-নিয়ম সিন্দুক যিহোবার সিংহাসনকে প্রতিনিধিত্ব করত। এই করূবদের মধ্য থেকেই যিহোবার রব নির্গত হয়ে জাতিকে বিভিন্ন আজ্ঞা দিয়েছিল।—যাত্রাপুস্তক ২৫:২২; গীতসংহিতা ৮০:১.
“আমার পশ্চাদ্গামী হও” ৩৬ অনু. ৫-৬, ইংরেজি
“দেখ, যিনি যিহূদাবংশীয় সিংহ”
৫ সিংহকে প্রায়ই সাহসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আপনি কি কখনো একটা পূর্ণবয়স্ক পুরুষ সিংহের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন? যদি দাঁড়িয়ে থাকেন, তা হলে নিশ্চয়ই আপনি সেই পশুর কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে ছিলেন এবং সে চিড়িয়াখানায় বেড়া দিয়ে ঘেরা খাঁচার মধ্যে ছিল। তবুও সেই অভিজ্ঞতা হয়তো কিছুটা ভীতিজনক ছিল। আপনি যখন এই বিশাল ও শক্তিশালী প্রাণীর মুখের দিকে তাকান এবং সেও যখন সোজাসুজি আপনার দিকে তাকায়, তখন আপনার হয়তো মনে হতে পারে, সে কোনো কিছুকেই ভয় পায় না। বাইবেল “সিংহ” সম্বন্ধে বলে, “যে পশুদের মধ্যে বিক্রমী, যে কাহাকেও দেখিয়া ফিরিয়া যায় না” (হিতোপদেশ ৩০:৩০) খ্রিস্টের সাহসও এইরকমই।
৬ আসুন আমরা আলোচনা করি, কীভাবে যিশু তিনটে ক্ষেত্রে সিংহের মতো সাহস দেখিয়েছেন: সত্যের পক্ষসমর্থন করার ক্ষেত্রে, ন্যায়বিচার তুলে ধরার ক্ষেত্রে এবং বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়ার সময়। আমরা এটাও দেখব যে, আমরা সকলে—তা আমরা স্বভাবত সাহসী হই বা না হই—সাহস দেখানোর ক্ষেত্রে যিশুকে অনুকরণ করতে পারি।