মঙ্গলভাব—কীভাবে আপনি তা গড়ে তুলতে পারেন?
আমরা সবাই একজন মঙ্গলময় বা ভালো ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হতে চাই। তবে, বর্তমান জগতে মঙ্গলভাব দেখানো এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয় কারণ আজ বেশির ভাগ লোকই “সদ্বিদ্বেষী” অর্থাৎ তারা ভালোকে ঘৃণা করে। (২ তীম. ৩:৪) তারা হয়তো কোনটা সঠিক ও কোনটা ভুল সেই বিষয়ে ব্যক্তিগত মান অনুসরণ করে এবং এর ফলে তারা “মন্দকে ভাল, আর ভালকে মন্দ” বলে থাকে। (যিশা. ৫:২০) আর আমাদের পটভূমি ও অসিদ্ধতা আমাদের সবাইকে প্রভাবিত করে। তাই, আমরা হয়তো একজন বোনের মতো অনুভব করি, যিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, আমি কখনো ভালো ব্যক্তি হতে পারব।”
আনন্দের বিষয় হল, আমরা সবাই মঙ্গলভাব গড়ে তুলতে পারি! মঙ্গলভাব ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার ফলের একটা দিক এবং তাঁর পবিত্র আত্মার সাহায্যে আমরা জগতের যেকোনো নেতিবাচক প্রভাব অথবা নিজেদের অসিদ্ধতার সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হতে পারি। আসুন আমরা শিখি যে, মঙ্গলভাব কী এবং কীভাবে আমরা তা আরও ভালোভাবে প্রকাশ করতে পারি।
মঙ্গলভাব কী?
সহজভাবে বললে, মঙ্গলভাব হল এমন একটা গুণ যেটার মধ্যে মন্দতা নেই। এর অন্তর্ভুক্ত হল ভালো কাজ করা এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখ্যান করা। একজন ভালো ব্যক্তি সবসময় অন্যদের সাহায্য করার সুযোগ খোঁজেন এবং তাদের প্রতি ভালো বিষয়গুলো করেন।
আপনি সম্ভবত লক্ষ করেছেন, কোনো কোনো ব্যক্তি তাদের পরিবার ও বন্ধুদের জন্য স্বেচ্ছায় ভালো কাজগুলো করেন কিন্তু এতটা করাই কি যথেষ্ট? এটা ঠিক যে, আমরা কেউই সবসময় নিখুঁতভাবে মঙ্গলভাব দেখাতে পারি না কারণ বাইবেল বলে, “এমন ধার্ম্মিক লোক পৃথিবীতে নাই, যে সৎকর্ম্ম করে, পাপ করে না।” (উপ. ৭:২০) প্রেরিত পৌল সততার সঙ্গে এটা স্বীকার করেছিলেন: “আমি জানি যে আমাতে, অর্থাৎ আমার মাংসে, উত্তম কিছুই বাস করে না।” (রোমীয় ৭:১৮) তাই এটা স্পষ্ট যে, আমরা যদি এই গুণটা গড়ে তুলতে চাই, তা হলে আমাদের যিহোবার কাছ থেকে শিখতে হবে, যিনি হলেন মঙ্গলভাবের উৎস।
‘সদাপ্রভু মঙ্গলময়’
যিহোবা ঈশ্বর কোনটা ভালো সেই বিষয়ে মান নির্ধারণ করেন। বাইবেল যিহোবা সম্বন্ধে বলে: “তুমি মঙ্গলময় ও মঙ্গলকারী, তোমার বিধিকলাপ আমাকে শিক্ষা দেও।” (গীত. ১১৯:৬৮) আসুন, আমরা এই শাস্ত্রপদে উল্লেখিত যিহোবার মঙ্গলভাবের দুটো দিক নিয়ে পরীক্ষা করে দেখি।
যিহোবা মঙ্গলময়। মঙ্গলভাব হল যিহোবার ব্যক্তিত্বের এক অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। যিহোবা যখন মোশিকে বলেছিলেন: “আমি তোমার সম্মুখ দিয়া আপনার সমস্ত উত্তমতা” বা মঙ্গলভাব “গমন করাইব,” তখন কী হয়েছিল, তা বিবেচনা করুন। যিহোবা যখন মোশির কাছে তাঁর গৌরব ও মঙ্গলভাব প্রকাশ করেছিলেন, তখন মোশি এই কথাগুলো শুনেছিলেন: “সদাপ্রভু, সদাপ্রভু, স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর, ক্রোধে ধীর এবং দয়াতে ও সত্যে মহান্; সহস্র সহস্র [পুরুষ] পর্য্যন্ত দয়ারক্ষক, অপরাধের, অধর্ম্মের ও পাপের ক্ষমাকারী; তথাপি তিনি অবশ্য [পাপের] দণ্ড দেন।” (যাত্রা. ৩৩:১৯; ৩৪:৬, ৭) এটা স্পষ্ট করে যে, যিহোবা সম্পূর্ণরূপে ও সমস্ত দিক দিয়ে মঙ্গলময়। যদিও পৃথিবীতে থাকা সমস্ত মানুষের মধ্যে যিশুই সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন, তা সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন: “এক জন ব্যতিরেকে সৎ আর কেহ নাই, তিনি ঈশ্বর।”—লূক ১৮:১৯.
আমরা যিহোবার সৃষ্টিতে তাঁর মঙ্গলভাবের প্রমাণ দেখতে পাই
যিহোবা মঙ্গলকারী। যিহোবা যা-কিছু করেন, সে সমস্তই দেখায় তিনি মঙ্গলময়। “সদাপ্রভু সকলের পক্ষে মঙ্গলময়, তাঁহার করুণা তাঁহার কৃত সমস্ত পদার্থের উপরে আছে।” (গীত. ১৪৫:৯) যেহেতু যিহোবা মঙ্গলময় ও পক্ষপাতহীন, তাই তিনি সমস্ত মানুষকে জীবন ও সেইসঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো দিয়েছেন। (প্রেরিত ১৪:১৭) এ ছাড়া, তিনি আমাদের ক্ষমা করার মাধ্যমেও তাঁর মঙ্গলভাব দেখান। গীতরচক লিখেছিলেন: “হে প্রভু, তুমি মঙ্গলময় ও ক্ষমাবান্।” (গীত. ৮৬:৫) আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, “যাহারা সিদ্ধতায় চলে, [সদাপ্রভু] তাহাদের মঙ্গল করিতে অস্বীকার করিবেন না।” —গীত. ৮৪:১১.
“সদাচরণ শিক্ষা কর”
ঈশ্বর তাঁর প্রতিমূর্তিতে বা তাঁর উত্তম গুণাবলি দিয়ে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এর অর্থ হল আমরা ভালো ব্যক্তি হতে পারি এবং ভালো কাজ করতে পারি। (আদি. ১:২৭) কিন্তু, এটা আপনা-আপনি হয় না। যিহোবা বলেন, আমাদের অবশ্যই “সদাচরণ” বা ভালো কাজ করা ‘শিক্ষা করিতে’ হবে। (যিশা. ১:১৭) কিন্তু, কীভাবে আমরা ভালো কাজ করা শিখতে পারি? তিনটে উপায় বিবেচনা করুন।
প্রথমত, আমরা পবিত্র আত্মা চেয়ে প্রার্থনা করতে পারি, যেটা খ্রিস্টানদের প্রকৃত মঙ্গলভাব গড়ে তোলার জন্য সাহায্য করতে পারে। (গালা. ৫:২২) হ্যাঁ, ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা আমাদের যা ভালো, তা প্রেম করার এবং যা মন্দ, তা ঘৃণা করার জন্য সাহায্য করতে পারে। (রোমীয় ১২:৯) সত্যি বলতে কী, বাইবেল বলে যিহোবা আমাদের “সমস্ত উত্তম কার্য্যে ও বাক্যে সুস্থির” করতে পারেন।—২ থিষল. ২:১৬, ১৭.
দ্বিতীয়ত, আমাদের ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য পড়া উচিত। আমরা যখন বাইবেল পড়ি, তখন যিহোবা আমাদের “সমস্ত উত্তম পথ” সম্বন্ধে শিক্ষা দেন এবং “সমস্ত সৎকর্ম্মের জন্য” প্রস্তুত করেন। (হিতো. ২:৯; ২ তীম. ৩:১৭) আমরা যখন বাইবেল পড়ি এবং সেটা নিয়ে ধ্যান করি, তখন আমরা ঈশ্বর ও তাঁর ইচ্ছা সম্বন্ধে ভালো বিষয়গুলোর দ্বারা আমাদের হৃদয় পূর্ণ করি। এর ফলে, আমরা নিজেদের হৃদয়ের ভাণ্ডারে মূল্যবান বিষয় সঞ্চয় করি, যা আমরা পরে ব্যবহার করতে পারি।—লূক ৬:৪৫; ইফি. ৫:৯.
তৃতীয়ত, আমরা ‘যাহা উত্তম, তাহার অনুকারী হইবার’ জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি। (৩ যোহন ১১) আর আমরা এই অনুকরণযোগ্য উদাহরণগুলো বাইবেলে খুঁজে পাই। এটা ঠিক যে, যিহোবা ও যিশুর উদাহরণ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। তবে, আমরা সেইসমস্ত ব্যক্তিদের সম্বন্ধেও বিবেচনা করতে পারি, যারা মঙ্গলভাব দেখানোর বিষয়ে সুপরিচিত। আমরা হয়তো টাবিথা ও বার্ণবার বিষয়ে চিন্তা করতে পারি। (প্রেরিত ৯:৩৬; ১১:২২-২৪) আপনি যদি তাদের সম্বন্ধে বাইবেল থেকে অধ্যয়ন করেন, তা হলে আপনি তাদের চমৎকার উদাহরণ থেকে উপকার লাভ করতে পারবেন। অধ্যয়নের সময়ে লক্ষ করুন, অন্যদের সাহায্য করার জন্য তারা কী কী করেছিলেন। এরপর চিন্তা করুন, আপনার পরিবারে অথবা মণ্ডলীতে কাউকে সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন। আর সেইসঙ্গে এও লক্ষ করুন, টাবিথা ও বার্ণবা অন্যদের প্রতি মঙ্গলভাব দেখানোর কারণে কোন কোন উপকার লাভ করেছিলেন। আপনিও একইভাবে উপকার লাভ করতে পারেন।
এ ছাড়া, আমরা আধুনিক দিনের সেই ব্যক্তিদের উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করতে পারি, যারা মঙ্গলভাব দেখায়। উদাহরণ স্বরূপ, আপনি কঠোর পরিশ্রমী প্রাচীনদের কথা বিবেচনা করুন, যারা “সৎপ্রেমিক।” আর সেই বিশ্বস্ত বোনদের কথা ও কাজের বিষয়েও চিন্তা করুন, যারা “সুশিক্ষাদায়িনী।” (তীত ১:৮; ২:৩) রস্লান নামে একজন বোন বলেন: “আমার বান্ধবী মণ্ডলীতে অন্যদের সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করার জন্য বিশেষভাবে প্রচেষ্টা করে। ও তাদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে চিন্তা করে আর প্রায় তাদের ছোটো ছোটো উপহার দেওয়ার মাধ্যমে অথবা অন্যান্য ব্যাবহারিক উপায়ে সাহায্য করে। আমি মনে করি ও সত্যিই একজন ভালো ব্যক্তি।”
যিহোবা তাঁর লোকেদের ‘উত্তমের চেষ্টা করিবার’ জন্য উৎসাহিত করেন। (আমোষ ৫:১৪) আমরা যদি তা করি, তা হলে আমরা যে কেবল তাঁর মানগুলো ভালোবাসতে শিখব এমন নয় কিন্তু সেইসঙ্গে ভালো কাজ করার জন্য আরও বেশি অনুপ্রাণিত হব।
আমরা ভালো ব্যক্তি হওয়ার এবং ভালো কাজ করার প্রচেষ্টা করি
ভালো হওয়ার মানে এই নয় যে, অন্যদের অভিভূত করার মতো আমাদের বড়ো কিছু করতে হবে অথবা তাদের কোনো দামি উপহার দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ, একটা চারা গাছ বড়ো করার জন্য আমরা এক বারে অনেক পরিমাণ জল দিই না বরং অল্প অল্প করে অনেক বার জল দিই। একইভাবে, আমরা যদি অন্যদের সাহায্য করার জন্য ছোটো ছোটো কাজ করি, তা হলে এটা দেখাবে যে আমরা ভালো ব্যক্তি।
বাইবেল আমাদের ভালো কাজ করার বিষয়ে “প্রস্তুত” থাকার জন্য জোরালো পরামর্শ দেয়। (২ তীম. ২:২১; তীত ৩:১) আমরা যদি আমাদের প্রতিবেশীদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে অবগত থাকি, তা হলে আমরা তাদের তুষ্ট বা খুশি করার উদ্দেশে এমন উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারব, যেগুলো তাদের জন্য ‘উত্তম, গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত’ হবে। (রোমীয় ১৫:২) এর অন্তর্ভুক্ত হতে পারে, তাদের সঙ্গে এমন কিছু ভাগ করে নেওয়া, যা আমাদের কাছে রয়েছে। (হিতো. ৩:২৭) আমরা হয়তো কাউকে খাবার খাওয়ার জন্য অথবা এক গঠনমূলক মেলামেশা করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারি। আমরা যদি জানতে পারি কেউ অসুস্থ রয়েছেন, তা হলে আমরা তার উদ্দেশে একটা চিঠি লিখতে পারি অথবা তার সঙ্গে দেখা করতে পারি কিংবা ফোন করে তার সঙ্গে কথা বলতে পারি। হ্যাঁ, আমরা হয়তো বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে বের করতে পারি, যাতে আমাদের মুখ থেকে ‘প্রয়োজনমতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হয়, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।’—ইফি. ৪:২৯.
যিহোবার মতো আমরাও সমস্ত ব্যক্তির প্রতি ভালো কাজ করার চেষ্টা করি। তাই, আমরা অন্যদের প্রতি পক্ষপাতহীনভাবে আচরণ করি। আর তা করার একটা উল্লেখযোগ্য উপায় হল সমস্ত ব্যক্তির কাছে রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করা। যিশুর দেওয়া আজ্ঞা অনুযায়ী আমরা সেই ব্যক্তিদের প্রতিও ভালো কাজ করার চেষ্টা করি যারা আমাদের দ্বেষ বা ঘৃণা করে। (লূক ৬:২৭) অন্যদের প্রতি দয়া দেখানো এবং যা ভালো তা করা, কখনই ভুল নয় কারণ “এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই।” (গালা. ৫:২২, ২৩) আমরা বিরোধিতা বা পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও সদাচরণ বা ভালো কাজ করার মাধ্যমে অন্যদের সত্যের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারি এবং ঈশ্বরের গৌরব নিয়ে আসতে পারি।—১ পিতর ৩:১৬, ১৭.
মঙ্গলভাবের উপকারিতা
“সৎলোক আপনা হইতে [তৃপ্ত হয়]।” (হিতো. ১৪:১৪) কিছু উপকারিতা কী? আমরা যখন অন্যদের প্রতি মঙ্গল বা ভালো আচরণ করি, তখন তারা খুব সম্ভবত আমাদের প্রতি ভালো আচরণ করে। (হিতো. ১৪:২২) অন্যেরা যখন আমাদের প্রতি ভালো আচরণ করে না, তখনও যেন আমরা ক্রমাগত তাদের প্রতি ভালো কাজ করে যাই। তা করলে, তারা হয়তো তাদের আচরণ পালটাতে পারে এবং আমাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করতে পারে।—রোমীয় ১২:২০.
আমরা ভালো কাজ করার এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে নিজেরাও উপকৃত হই। অনেক ভাই-বোন বলে যে, তাদের প্রতিও একই বিষয় ঘটেছে। বোন ন্যান্সির অভিজ্ঞতা বিবেচনা করুন। তিনি বলেন, ‘বড়ো হয়ে ওঠার সময় আমি বেপরোয়া ও নীতিহীন ছিলাম এবং অন্যদের সম্মান করতাম না। কিন্তু, আমি যখন থেকে যিহোবার দৃষ্টিতে যেগুলো ভালো, সেগুলো শিখতে ও পালন করতে শুরু করি, তখন থেকে সুখী হতে শুরু করি। আর এখন আমার আত্মসম্মানবোধ রয়েছে।’
মঙ্গলভাব গড়ে তোলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল এমনটা করা যিহোবাকে খুশি করে। যদিও অন্যেরা আমাদের করা কাজগুলো দেখতে পায় না কিন্তু যিহোবা তা দেখতে পান। তিনি আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজ ও চিন্তাভাবনা সম্বন্ধে অবগত আছেন। (ইফি. ৬:৭, ৮) এর ফলাফল কী হয়? ‘সৎলোক সদাপ্রভুর নিকটে অনুগ্রহ পায়।’ (হিতো. ১২:২) তাই আসুন, আমরা যেন ক্রমাগত মঙ্গলভাব গড়ে তুলি। যিহোবা প্রতিজ্ঞা করেন, “সদাচারী প্রত্যেক মনুষ্যের প্রতি . . . প্রতাপ, সমাদর ও শান্তি বর্ত্তিবে।”—রোমীয় ২:১০.