ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w25 এপ্রিল পৃষ্ঠা ১৪-১৯
  • একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা আমাদের জন্য ভালো!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা আমাদের জন্য ভালো!
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কেন আমাদের একে অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা উচিত?
  • একে অন্যকে সমাদর করুন
  • যেন “তোমাদের মধ্যে মতভেদ না থাকে”
  • “কাজের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে” প্রেম দেখান
  • যিহোবা আপনার প্রতি স্নেহ দেখান
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • “ঈশ্বরের নিকটবর্তী হওয়া” আমাদের জন্য ভালো!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
  • যে-সিদ্ধান্তগুলো দেখায়, আমরা যিহোবার উপর নির্ভর করি
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০২৩
  • অন্যদের দেওয়ার মাধ্যমে প্রচুর আনন্দ পাওয়া যায়
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
আরও দেখুন
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
w25 এপ্রিল পৃষ্ঠা ১৪-১৯

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ১৬

গান ৮৭ এসো! সতেজ হও

একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা আমাদের জন্য ভালো!

“দেখো! এটা কতই-না ভালো ও মনোরম যে, ভাইয়েরা একসঙ্গে একতাবদ্ধভাবে বাস করে!”—গীত. ১৩৩:১.

আমরা কী শিখব?

কীভাবে আমরা ভাই-বোনদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব দৃঢ় করতে পারি আর এমনটা করলে আমরা কোন আশীর্বাদগুলো লাভ করব?

১-২. যিহোবা কোন বিষয়টার উপর বিশেষ মনোযোগ দেন এবং তিনি আমাদের কাছ থেকে কী চান?

যিহোবা এই বিষয়টার উপর বিশেষ মনোযোগ দেন যে, আমরা লোকদের সঙ্গে কেমন আচরণ করি। যিশু শিখিয়েছিলেন, আমাদের প্রতিবেশীদের নিজের মতো ভালোবাসতে হবে। (মথি ২২:৩৭-৩৯) এর মানে আমাদের সেই ব্যক্তিদেরও ভালোবাসতে হবে, যারা যিহোবার সেবা করে না। আমরা যখন সমস্ত লোককে ভালোবাসি, তখন আমরা যিহোবাকে অনুকরণ করি, যিনি “মন্দ ও ভালো উভয়ের উপর সূর্য উদিত করেন এবং ধার্মিক ও অধার্মিক উভয়ের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন।”—মথি ৫:৪৫.

২ যিহোবা সমস্ত মানুষকে ভালোবাসেন। কিন্তু, যারা তাঁর আজ্ঞা পালন করে, তাদের তিনি আরও বেশি ভালোবাসেন। (যোহন ১৪:২১) যিহোবা চান যেন আমরা তাঁকে অনুকরণ করি। তাই, তিনি আমাদের কাছে অনুরোধ করেন, যেন আমরা ভাই-বোনদের ‘গভীরভাবে ভালোবাসি’ এবং তাদের প্রতি “কোমল স্নেহ” দেখাই। (১ পিতর ৪:৮; রোমীয় ১২:১০) আমাদের পরিবারের লোকেরা ও প্রিয় বন্ধুরা আমাদের কাছে অনেক প্রিয় আর আমরা তাদের অনেক ভালোবাসি। একইভাবে, ভাই-বোনদের প্রতিও আমাদের এইরকম ভালোবাসা এবং স্নেহ দেখাতে হবে।

৩. ভালোবাসা সম্বন্ধে আমাদের কোন বিষয়টা মনে রাখা উচিত?

৩ ভালোবাসা হল একটা চারাগাছের মতো। যেমন, একটা চারাগাছ বেড়ে ওঠার জন্য সেটার ভালোভাবে যত্ন নিতে হয়, ঠিক একইভাবে, অন্যদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা করতে হবে। প্রেরিত পৌল খ্রিস্টানদের বলেছিলেন, “তোমরা তোমাদের ভ্রাতৃপ্রেম দেখিয়ে চলো।” (ইব্রীয় ১৩:১) তাই, যিহোবা চান যেন আমরা অন্যদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা বৃদ্ধি করে চলি। এই প্রবন্ধে আমরা জানব যে, কেন আমাদের ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করতে হবে এবং কীভাবে আমরা তা করতে পারি।

কেন আমাদের একে অন্যদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা উচিত?

৪. ভাই-বোনদের মধ্যে যে-ভালোবাসা এবং একতা রয়েছে, সেটার প্রতি কীভাবে আমরা উপলব্ধিবোধ বাড়াতে পারি? (গীতসংহিতা ১৩৩:১) (ছবিগুলোও দেখুন।)

৪ গীতসংহিতা ১৩৩:১ পদ পড়ুন। গীতরচক লিখেছিলেন, যারা যিহোবাকে ভালোবাসে, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা আমাদের জন্য “ভালো ও মনোরম”। কিন্তু, আমরা হয়তো এই বিষয়টাকে খুবই হালকাভাবে নিতে পারি। এটা বোঝার জন্য আসুন আমরা একটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিই। একজন ব্যক্তি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিদিন একটা বড়ো এবং খুব সুন্দর গাছ দেখেন। প্রথম বার তিনি যখন সেই গাছটা দেখেছিলেন, তখন সেটা তার খুবই ভালো লেগেছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই গাছটা তার কাছে হয়তো খুবই সাধারণ বলে মনে হয়েছে। একইভাবে, ভাই-বোনদের প্রতি আমাদের যে-ভালোবাসা এবং একতা রয়েছে, সেটা খুবই অসাধারণ। কিন্তু, আমরা প্রতি সপ্তাহে অনেক বার ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখা করি, তাই কখনো কখনো তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং উপলব্ধিবোধ কমে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে আমরা কী করতে পারি? আমরা যদি এই বিষয়ে চিন্তা করি যে, প্রত্যেক ভাই-বোন মণ্ডলীর জন্য এবং আমাদের জন্য কতটা মূল্যবান, তা হলে তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং উপলব্ধিবোধ আরও বেড়ে যাবে।

কোলাজ: ১. একজন বোন একটা সুন্দর গাছ দেখে মুগ্ধ হয়ে যান। ২. পরে, তিনি একটা আঞ্চলিক সম্মেলনে আরেক জন বোনকে জড়িয়ে ধরেছেন। সম্মেলনে অন্য ভাই-বোনেরা একে অন্যের সাথে আনন্দের সঙ্গে কথা বলছে।

আমাদের মধ্যে যে-একতা রয়েছে, তা কখনোই হালকাভাবে নেবেন না (৪ অনুচ্ছেদ দেখুন)


৫. লোকেরা যখন আমাদের মধ্যে ভালোবাসা দেখতে পায়, তখন এটা তাদের উপর কোন প্রভাব ফেলে?

৫ কিছু লোক যখন প্রথম বার আমাদের সভাতে আসে এবং এটা দেখে যে, আমাদের মধ্যে কতটা ভালোবাসা রয়েছে, তখন এই বিষয়টা তাদের হৃদয় স্পর্শ করে এবং তারা অনুভব করে যে, তারা সত্য খুঁজে পেয়েছে। যিশু বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে যদি প্রেম থাকে, তা হলেই সকলে জানবে, তোমরা আমার শিষ্য।” (যোহন ১৩:৩৫) চিত্রার উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন, যিনি বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করছিলেন। একবার তিনি আমাদের আঞ্চলিক সম্মেলনে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সম্মেলনের প্রথম দিন যাওয়ার পর তিনি তার বাইবেল শিক্ষককে বলেছিলেন, “জানো, আমার বাবা-মা কখনো আমাকে জড়িয়ে ধরেনি, কিন্তু আমাকে আজ ৫২ বার জড়িয়ে ধরা হয়েছে! আমার মনে হয়েছে যে, যিহোবা তাঁর লোকদের মাধ্যমে আমার প্রতি তাঁর প্রেম দেখাচ্ছেন। আমিও যিহোবার লোকদের সঙ্গে মিলে তাঁর সেবা করতে চাই।” চিত্রা বাইবেল অধ্যয়ন করে চলেন এবং নিজের মধ্যে বিভিন্ন পরিবর্তন করেন। এরপর ২০২৪ সালে তিনি বাপ্তিস্ম নেন। এই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, যখন কোনো নতুন ব্যক্তি আমাদের ভালো কাজ এবং আমাদের মধ্যে যে-ভালোবাসা রয়েছে, তা দেখে, তখন প্রায়ই তারা যিহোবার সেবা করতে অনুপ্রাণিত হয়।—মথি ৫:১৬.

৬. ভাই-বোনদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব দৃঢ় করলে কীভাবে আমরা সুরক্ষা লাভ করি?

৬ ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা আমাদের সুরক্ষা জোগায়। পৌল খ্রিস্টানদের বলেছিলেন, “প্রত্যেক দিন তোমরা একে অন্যকে উৎসাহিত করো, যাতে তোমাদের মধ্যে কেউই পাপের মায়াশক্তি দ্বারা নিজেদের হৃদয়কে কঠিন করে না তোলে।” (ইব্রীয় ৩:১৩) আমরা যদি অতিরিক্ত নিরুৎসাহিত হয়ে যাই, তা হলে আমরা সঠিক পথ থেকে সরে যেতে পারি। এই ক্ষেত্রে যিহোবা কোনো ভাই অথবা বোনের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করতে পারেন, যাতে আমরা আবারও সঠিক পথে চলা শুরু করতে পারি। (গীত. ৭৩:২, ১৭, ২৩) সত্যিই, ভাই-বোনদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা কতই-না বড়ো এক আশীর্বাদ!

৭. একে অন্যকে প্রকৃত প্রেম দেখানোর ফলে কীভাবে আমাদের মধ্যে একতা বজায় থাকে? (কলসীয় ৩:১৩, ১৪)

৭ যিহোবার লোক হিসেবে আমরা একে অন্যের প্রতি প্রকৃত প্রেম দেখাই এবং এটা দেখানোর অনেক প্রচেষ্টা করি। এই কারণে আমরা অনেক আশীর্বাদ লাভ করি। (১ যোহন ৪:১১) যেমন, প্রেমের কারণে আমরা ‘একে অন্যকে সহ্য করি’ এবং এর ফলে আমাদের মধ্যে একতা বজায় থাকে। (পড়ুন, কলসীয় ৩:১৩, ১৪; ইফি. ৪:২-৬) শুধু তা-ই নয়, আমরা সভাতে এক মনোরম পরিবেশ উপভোগ করি, যেটা জগতের কোনো সংগঠনে পাওয়া যায় না।

একে অন্যকে সমাদর করুন

৮. আমাদের মধ্যে যাতে একতা থাকে, সেইজন্য যিহোবা কী করেছেন?

৮ এটা কতই-না এক চমৎকার বিষয় যে, সারা পৃথিবীতে ভাই-বোনদের মধ্যে একতা রয়েছে! আর যিহোবার কারণেই আমরা নিখুঁত না হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে একতা রয়েছে। (১ করি. ১২:২৪, ২৫) বাইবেলে লেখা আছে, “একে অন্যকে প্রেম করার বিষয়ে তোমরা তো ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছ।” (১ থিষল. ৪:৯) কীভাবে? তিনি তাঁর বাক্য বাইবেলের মাধ্যমে আমাদের বলেন যে, একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার জন্য আমাদের কী করতে হবে। আমরা যদি “ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা” লাভ করতে চাই, তা হলে আমাদের মনোযোগ সহকারে বাইবেল অধ্যয়ন করতে হবে এবং যে-বিষয়গুলো শিখি, সেগুলো পালন করে চলতে হবে। (ইব্রীয় ৪:১২; যাকোব ১:২৫) আর বর্তমানে যিহোবার প্রত্যেক সেবক এটা করারই প্রচেষ্টা করে!

৯. রোমীয় ১২:৯-১৩ পদ অনুযায়ী একে অন্যকে সমাদর করার বিষয়ে আমরা কী শিখি?

৯ ঈশ্বরের বাক্য থেকে কীভাবে আমরা একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা শিখতে পারি? এই বিষয়ে রোমীয় ১২:৯-১৩ পদে দেওয়া পরামর্শের উপর মনোযোগ দিন। (পড়ুন।) লক্ষ করুন যে, প্রেরিত পৌল বলেছিলেন,“সমাদর দেখানোর ক্ষেত্রে নিজে থেকে এগিয়ে যাও।” তার এই কথার মানে কী ছিল? এটাই যে, নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে আমাদের অন্যদের প্রতি “কোমল স্নেহ” দেখাতে হবে। যেমন, আমাদের তাদের ক্ষমা করতে হবে, তাদের প্রতি আতিথেয়তা দেখাতে হবে এবং উদারতা দেখাতে হবে। (ইফি. ৪:৩২) আমাদের এমনটা চিন্তা করা উচিত নয় যে, যখন অন্যেরা এসে আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে, তখন আমরা তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব। এর পরিবর্তে, আমাদের “নিজে থেকে এগিয়ে” গিয়ে বন্ধুত্ব করতে হবে। আর তখনই আমরা যিশুর বলা এই কথাটা সত্য হতে দেখব: “নেওয়ার চেয়ে বরং দেওয়ার মধ্যে আরও বেশি সুখ।”—প্রেরিত ২০:৩৫.

১০. একে অন্যের প্রতি “সমাদর দেখানোর ক্ষেত্রে” কীভাবে আমরা পরিশ্রমী হতে পারি? (ছবিও দেখুন।)

১০ পৌল যখন বলেছিলেন, সমাদর দেখানোর ক্ষেত্রে নিজে থেকে এগিয়ে যাও, তখন দেখুন যে, এর পর পরই তিনি কী বলেছিলেন। পৌল বলেছিলেন: “পরিশ্রমী হও, অলস হোয়ো না।” একজন পরিশ্রমী ব্যক্তি সম্পূর্ণ উদ্যোগ সহকারে এবং মন দিয়ে তার কাজ করে। তাকে যে-কাজই দেওয়া হোক না কেন, সে হৃদয় থেকে সেটা করে। হিতোপদেশ ৩:২৭, ২৮ পদে আমাদের উৎসাহিত করা হয়েছে, “যাদের উপকার করা উচিত, তাদের উপকার করার ক্ষমতা যদি তোমার থাকে, তা হলে তা করা থেকে পিছিয়ে যেয়ো না।” তাই, আমরা যখন দেখি, কারো সাহায্যের প্রয়োজন, তখন আমাদের পক্ষে যা করা সম্ভব, আমরা যেন তা করি। আমাদের ইতস্তত বোধ করা উচিত নয় আর এটাও চিন্তা করা উচিত নয় যে, অন্য কেউ তাকে সাহায্য করবে।—১ যোহন ৩:১৭, ১৮.

একজন যুবক ভাই একটা মই দিয়ে একজন বয়স্ক ভাইয়ের বাড়ির চাল থেকে পাতা পরিষ্কার করছেন।

আমাদের এগিয়ে গিয়ে প্রয়োজন রয়েছে এমন ভাই-বোনদের সাহায্য করতে হবে (১০ অনুচ্ছেদ দেখুন)


১১. একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার জন্য আমরা আর কী করতে পারি?

১১ একে অন্যকে সমাদর করার আরেকটা উপায় হল, কেউ যখন আমাদের দুঃখ দেয়, তখন আমরা যেন দ্রুত তাকে ক্ষমা করে দিই। ইফিষীয় ৪:২৬ পদে লেখা রয়েছে, “সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত তোমাদের রাগ পুষে রেখো না।” কেন আমাদের এই কথাটা মেনে চলতে হবে? যেমনটা ২৭ পদে বলা রয়েছে, আমরা যদি রাগ পুষে রাখি, তা হলে আমরা “দিয়াবলকে” সুযোগ দিচ্ছি। বাইবেলে যিহোবা আমাদের বার বার এই অনুরোধ করেছেন যে, আমরা যেন একে অন্যকে ক্ষমা করি। যেমনটা কলসীয় ৩:১৩ পদে লেখা রয়েছে, “পরস্পরকে পুরোপুরিভাবে ক্ষমা করো।” অন্যদের ভুলগুলোর উপর মনোযোগ না দেওয়া এবং তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হল তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার আরও ভালো একটা উপায়। আমরা যখন এমনটা করি, তখন “একে অন্যের সঙ্গে শান্তিতে থাকার মাধ্যমে সেই একতা বজায়” রাখি। (ইফি. ৪:৩) সত্যিই, একে অন্যকে ক্ষমা করলে আমাদের মধ্যে শান্তি এবং একতা বজায় থাকে!

১২. অন্যদের ক্ষমা করার বিষয়ে যিহোবা কীভাবে আমাদের সাহায্য করেন?

১২ এটা ঠিক যে, কেউ যখন আমাদের আঘাত দেয় বা কষ্ট দেয়, তখন তাকে ক্ষমা করা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়। কিন্তু, যিহোবার পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমরা এমনটা করতে পারি। “পরস্পরের প্রতি কোমল স্নেহ” দেখানোর এবং “পরিশ্রমী” হওয়ার বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার পর পৌল বলেছিলেন, “পবিত্র শক্তির দ্বারা উদ্যোগে পরিপূর্ণ হও।” যে-ব্যক্তি “পবিত্র শক্তির দ্বারা উদ্যোগে পরিপূর্ণ” হয়, তার মধ্যে সঠিক কাজ করার উদ্যোগ থাকে। তাই, পবিত্র শক্তি আমাদের উদ্যোগী করতে পারে যেন আমরা একে অন্যের প্রতি কোমল স্নেহ দেখাতে এবং একে অন্যকে ক্ষমা করতে পারি। তাই, আমরা যিহোবার কাছে বিনতি করি তিনি যেন আমাদের পবিত্র শক্তি দেন।—লূক ১১:১৩.

যেন “তোমাদের মধ্যে মতভেদ না থাকে”

১৩. কোন কারণে আমাদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হতে পারে?

১৩ খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে “সমস্ত ধরনের লোক” রয়েছে আর তারা আলাদা আলাদা পরিবেশে বড়ো হয়ে উঠেছে। (১ তীম. ২:৩, ৪) তাই চিকিৎসা, বিনোদন এবং পোশাক-আশাকের বিষয়ে ভাই-বোনদের পছন্দ-অপছন্দ একে অন্যের চেয়ে আলাদা হতে পারে। আমরা যদি সতর্ক না হই, তা হলে এই কারণে মণ্ডলীতে মতভেদ সৃষ্টি হতে পারে। (রোমীয় ১৪:৪; ১ করি. ১:১০) আমরা “একে অন্যকে প্রেম করার বিষয়ে . . . ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা” পেয়েছি। তাই, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে, আমরা যেন নিজেদের অন্যদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে না করি এবং আমাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো তাদের উপরে চাপিয়ে না দিই।—ফিলি. ২:৩.

১৪. আমাদের কোন প্রচেষ্টা করতে হবে এবং কেন?

১৪ মণ্ডলীতে যাতে মতভেদ সৃষ্টি না হয়, সেটার জন্য আমরা আর কী করতে পারি? আমাদের প্রচেষ্টা করতে হবে যেন অন্যেরা সতেজতা লাভ করে এবং শক্তিশালী হয়। (১ থিষল. ৫:১১) সম্প্রতি, এমন অনেক ব্যক্তি মণ্ডলীতে ফিরে এসেছে, যারা এক সময়ে সভায় আসা বন্ধ করে দিয়েছিল এবং প্রচার করা ছেড়ে দিয়েছিল কিংবা যাদের মণ্ডলী থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা এইরকম ভাই-বোনদের প্রেমের সঙ্গে স্বাগত জানাই! (২ করি. ২:৮) লক্ষ করুন, যখন একজন নিষ্ক্রিয় বোন ১০ বছর পর সভাতে এসেছিলেন, তখন তার কেমন লেগেছিল। তিনি বলেন: “আমাকে দেখে সবাই খুব খুশি হয়েছিল, তারা আমার সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল এবং প্রেমের সঙ্গে আমাকে স্বাগত জানিয়েছিল।” (প্রেরিত ৩:১৯) এটা সেই বোনের উপর কেমন প্রভাব ফেলেছিল? বোন বলেন, “আমার এমন মনে হয়েছিল, যেন যিহোবা আমাকে শেখাচ্ছেন যে, কীভাবে আমি আমার আনন্দ ফিরে পেতে পারি।” আমরা যখন অন্যদের উৎসাহিত করি, তখন যিশু আমাদের মাধ্যমে “পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত” লোকদের সতেজ করেন।—মথি ১১:২৮, ২৯.

১৫. মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখার আরেকটা উপায় কী? (ছবিও দেখুন।)

১৫ মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখার আরেকটা উপায় হল, এই বিষয়ে খেয়াল রাখা যে, আমরা কী বলি। ইয়োব ১২:১১ পদে লেখা আছে: “যেভাবে জিভ খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে, সেভাবে কানও কি কথা পরীক্ষা করে না?” একজন ভালো রাধুনি যেমন খাবার পরিবেশন করার আগে সবসময় সেটা চেখে দেখে, একইভাবে আমাদেরও কিছু বলার আগে চিন্তা করা উচিত, আমি যা বলছি, সেটা একজন ব্যক্তির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে। (গীত. ১৪১:৩) আমাদের প্রচেষ্টা করা উচিত, আমাদের কথা যেন সবসময় অন্যদের উৎসাহিত করে এবং তা থেকে তারা সতেজতা ও “শক্তি লাভ করতে পারে।”—ইফি. ৪:২৯.

একজন ভাই রান্না করার পর তা অন্যদের কাছে পরিবেশন করার আগে চেখে দেখছেন।

কিছু বলার আগে চিন্তা করুন যে, আপনি যা বলবেন, তা সেই ব্যক্তির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে? (১৫ অনুচ্ছেদ দেখুন)


১৬. অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ করে কাদের খেয়াল রাখা উচিত?

১৬ স্বামীদের এবং বাবা-মায়েদের এই বিষয়ে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা উচিত যেন তাদের কথার মাধ্যমে অন্যেরা শক্তিশালী হয়। (কল. ৩:১৯, ২১; তীত ২:৪) প্রাচীনদেরও এই বিষয়টা মনে রাখা উচিত যেন পালক হিসেবে তারা যিহোবার মেষদের সতেজতা প্রদান করে এবং সান্ত্বনা দেয়। (যিশা. ৩২:১, ২; গালা. ৬:১) বাইবেলে হিতোপদেশ বইতে লেখা আছে, “সঠিক সময়ে বলা কথা কতই-না ভালো!”—হিতো. ১৫:২৩.

“কাজের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে” প্রেম দেখান

১৭. ভাই-বোনদের প্রতি আন্তরিকভাবে প্রেম দেখানোর জন্য আমরা কী করতে পারি?

১৭ প্রেরিত যোহন বলেছিলেন, “আমরা যেন শুধু মুখে না বলে বরং আমাদের কাজের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে দেখাই যে, আমরা একে অন্যকে প্রেম করি।” (১ যোহন ৩:১৮) ভাই-বোনদের প্রতি আন্তরিকভাবে প্রেম দেখানোর জন্য আমরা কী করতে পারি? তাদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান। এর ফলে, তাদের সঙ্গে আপনার বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হবে এবং তাদের প্রতি আপনার ভালোবাসা আরও গভীর হবে। তাই, ভাই-বোনদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। যেমন, সভার আগে এবং পরে তাদের সঙ্গে কথা বলুন, তাদের সঙ্গে প্রচারে যান এবং সময় বের করে ভাই-বোনদের সঙ্গে দেখাও করুন। এভাবে আপনি দেখাবেন যে, আপনি ‘একে অন্যকে প্রেম করার বিষয়ে ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছেন।’ (১ থিষল. ৪:৯) আর এরপর আপনি অনুভব করবেন, “এটা কতই-না ভালো ও মনোরম যে, ভাইয়েরা একসঙ্গে একতাবদ্ধভাবে বাস করে!”—গীত. ১৩৩:১.

আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?

  • একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করার ফলে আমরা কোন আশীর্বাদ পাই?

  • আমরা কীভাবে এগিয়ে গিয়ে অন্যদের সমাদর করতে পারি?

  • আমরা কীভাবে নিজেদের মধ্যে একতা বজায় রাখতে পারি?

গান ৯০ একে অন্যকে উৎসাহিত করো

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার