ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • lff পাঠ ৫৬
  • মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখুন
  • চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • গভীরভাবে গবেষণা করুন
  • সারাংশ
  • আরও জানুন
  • একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব দৃঢ় করা আমাদের জন্য ভালো!
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৫
  • “এই সামান্য ব্যক্তিদের” আঘাত দেবেন না
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২১
  • “পরস্পর ক্ষমা কর”
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এই শেষ কালে একতা রক্ষা করুন
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
lff পাঠ ৫৬
পাঠ ৫৬. ভিন্ন জাতির দুই বোন হাসি মুখে একে অপরকে সম্ভাষণ জানাচ্ছে।

পাঠ ৫৬

মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখুন

ছাপানো সংস্করণ
ছাপানো সংস্করণ
ছাপানো সংস্করণ

মণ্ডলীতে খ্রিস্টীয় ভাই-বোনদের সঙ্গে থাকার সময়, আমরা ঠিক সেইরকম অনুভব করি, যেমনটা রাজা দায়ূদ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “ইহা কেমন উত্তম ও কেমন মনোহর যে, ভ্রাতারা একসঙ্গে ঐক্যে বাস করে!” (গীতসংহিতা ১৩৩:১) আমাদের মধ্যে যে-একতা রয়েছে, সেটা আপনা-আপনি আসেনি। এটা বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেকের ভূমিকা রয়েছে।

১. ঈশ্বরের লোকদের মধ্যে কোন বিষয়টা দেখার মতো?

কল্পনা করুন, আপনি অন্য একটা দেশে গিয়েছেন এবং সেখানে মণ্ডলীর কোনো একটা সভায় যোগ দিয়েছেন। কিন্তু, আপনি তাদের ভাষা জানেন না। এরপরও, আপনার মনে হবে যে, সেই ভাই-বোনদের আপনি বহু বছর ধরে জানেন। কেন আপনার এইরকম মনে হবে? এর কারণ হল, আপনি ঈশ্বরের লোকদের মধ্যে রয়েছেন, যারা হৃদয় থেকে একে অন্যকে ভালোবাসে। এ ছাড়া, সমস্ত মণ্ডলীতে একই প্রকাশনা ব্যবহার করে বাইবেল অধ্যয়ন করা হয়। আমরা যেখানেই থাকি না কেন, আমরা ‘সকলেই সদাপ্রভুর নামে ডাকি ও একযোগে তাঁহার আরাধনা করি।’—সফনিয় ৩:৯.

২. মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখার জন্য আমরা প্রত্যেকে কী করতে পারি?

বাইবেল বলে, “তোমরা একে অন্যকে হৃদয় থেকে গভীরভাবে ভালোবেসো।” (১ পিতর ১:২২) কীভাবে আমরা এই পরামর্শ কাজে লাগাতে পারি? আমরা ভাই-বোনদের খারাপ বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ না দিয়ে, ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিতে পারি। সাধারণত আমরা এমন লোকদের সঙ্গে মেলামেশা করতে চাই, যাদের পছন্দ-অপছন্দ আমাদের মতো। কিন্তু, আমরা সেই ব্যক্তিদেরও জানার চেষ্টা করতে পারি, যারা আমাদের চেয়ে একদম আলাদা। শুধু তা-ই নয়, আমাদের মনে যদি কোনো জাতি, ভাষা, অথবা সংস্কৃতির লোকদের প্রতি ভেদাভেদের মনোভাব থাকে, তা হলে আমরা তা মন থেকে মুছে ফেলার জন্য কঠোর প্রচেষ্টা করতে পারি।—পড়ুন, ১ পিতর ২:১৭.a

৩. কোনো ভাই কিংবা বোনের সঙ্গে আমাদের যদি মনোমালিন্য হয়, তা হলে আমাদের কী করা উচিত?

আমাদের ভাই-বোনদের মধ্যে একতা রয়েছে, তবে আমরা কেউই নিখুঁত নই। কখনো কখনো আমরা এমন কিছু বলে ফেলি অথবা এমন কিছু করে ফেলি, যা ভাই-বোনদের খারাপ লাগে এবং তাদের অনেক দুঃখ দেয়। সেইজন্য ঈশ্বরের বাক্য আমাদের বলে, “পরস্পরকে পুরোপুরিভাবে ক্ষমা করো।“ এটি আমাদের এও বলে, “যিহোবা যেমন তোমাদের পুরোপুরিভাবে ক্ষমা করেছেন, তেমনই তোমরাও ক্ষমা করো।” (পড়ুন, কলসীয় ৩:১৩.) আমরা বার বার যিহোবাকে দুঃখ দিই, কিন্তু তারপরও তিনি আমাদের ক্ষমা করেন। সেইজন্য তিনি আশা করেন যে, আমরাও যেন আমাদের ভাই-বোনদের ক্ষমা করি। আপনার যদি মনে হয় আপনি কাউকে দুঃখ দিয়েছেন, তা হলে নিজে থেকে এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন এবং শান্তি স্থাপন করুন।—পড়ুন, মথি ৫:২৩, ২৪.b

গভীরভাবে গবেষণা করুন

মণ্ডলীতে শান্তি ও একতা বজায় রাখার জন্য আপনি কী করতে পারেন? আসুন তা জানি।

কোলাজ: একজন ভাই শান্তি স্থাপন করছেন। ১. আর একজন ভাই তার সঙ্গে খারাপভাবে কথা বলছে। ২. এই ভাই তাকে যা বলেছেন, তিনি সেটা নিয়ে চিন্তা করছেন। ৩. যখন কারো সঙ্গে মনোমালিন্য হয়, তখন কী করতে হবে, সেই বিষয়ে তিনি বাইবেল থেকে পরামর্শ খুঁজছেন। ৪. তিনি সেই ভাইয়ের সঙ্গে কফি শপে দেখা করেছেন এবং শান্তি স্থাপন করছেন।

শান্তি স্থাপন করার জন্য আপনি কী করবেন?

৪. ভেদাভেদের মনোভাব রাখবেন না, সবাইকে সমান চোখে দেখুন

আমরা প্রত্যেক ভাই-বোনকে ভালোবাসতে চাই, কিন্তু কিছু ভাই-বোন আমাদের চেয়ে এতটাই আলাদা হয় যে, তাদের নিজের মনে করা কঠিন হতে পারে। এইরকম পরিস্থিতিতে কোন বিষয়টা আমাদের সাহায্য করতে পারে? প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

  • যিহোবা সমস্ত ধরনের ব্যক্তিকে গ্রহণ করেন এবং তাঁর সাক্ষি হওয়ার সুযোগ দেন। তা হলে, সেই ব্যক্তিদের প্রতি আপনার কেমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত, যারা আপনার চেয়ে একদম আলাদা?

  • আপনি যেখানে থাকেন, সেখানে কোন কোন জাতি, ভাষা, অথবা সংস্কৃতির লোকদের পছন্দ করা হয় না? কেন আপনার এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিত নয়?

২ করিন্থীয় ৬:১১-১৩ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

  • কীভাবে আপনি সেই ভাই-বোনদের আরও বেশি করে ভালোবাসতে পারেন, যারা আপনার চেয়ে একদম আলাদা?

৫. হৃদয় থেকে ক্ষমা করুন এবং শান্তি স্থাপন করুন

যিহোবা কখনো কোনো ভুল করেন না, তাই তাঁর কখনো আমাদের কাছ থেকে ক্ষমা লাভ করারও প্রয়োজন হয় না। কিন্তু, আমরা যখন ভুল করি, তখন তিনি হৃদয় থেকে আমাদের ক্ষমা করেন। যিশাইয় ৫৫:৭ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করুন:

  • এই শাস্ত্রপদ অনুযায়ী, যিহোবা কীভাবে ক্ষমা করেন?

  • যিহোবা আপনাকে ক্ষমা করেন বলে কেন আপনি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ?

  • অন্যদের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখা কখন কঠিন হতে পারে?

আমরা যিহোবার মতো হতে চাই এবং ভাই-বোনদের সঙ্গে একতাবদ্ধভাবে থাকতে চাই। এটা করার জন্য আমাদের কী করতে হবে? হিতোপদেশ ১৯:১১ পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

  • কেউ যখন আমাদের বিরক্ত করে অথবা আঘাত দেয়, তখন আমরা কী করতে পারি?

কখনো কখনো আমরা অন্যদের আঘাত দিয়ে থাকি, তখন আমাদের কী করা উচিত? ভিডিওটা দেখুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

ভিডিও: শান্তিস্থাপন করা আশীর্বাদ নিয়ে আসে (৬:০১)

  • এই বোন শান্তি স্থাপন করার জন্য কী করেছিলেন?

৬. ভাই-বোনদের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো খোঁজার চেষ্টা করুন

ভাই-বোনদের আমরা যখন ভালোভাবে জানার চেষ্টা করি, তখন আমরা তাদের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে কিছু খারাপ বিষয়ও দেখতে পাই। কিন্তু, কীভাবে আমরা তাদের ভালো বিষয়গুলোর উপর মনোযোগ দিতে পারি? ভিডিওটা দেখুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

ভিডিও: নিজের শোভা বৃদ্ধি করুন! (৫:১১)

  • ভাই-বোনদের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখার জন্য কোন বিষয়টা আমাদের সাহায্য করতে পারে?

যিহোবা আমাদের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখেন। ২ বংশাবলি ১৬:৯ক পদ পড়ুন এবং এরপর এই প্রশ্নটা নিয়ে আলোচনা করুন:

  • যিহোবা আপনার মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখেন, এটা জেনে আপনার কেমন লাগে?

একটা হিরের আংটি।

একটা সুন্দর হিরের মধ্যেও খুঁত থাকে, কিন্তু তারপরও সেটা অনেক মূল্যবান। একইভাবে, ভাই-বোনেরাও নিখুঁত নয়, তারপরও তারা যিহোবার চোখে অনেক মূল্যবান

কেউ কেউ বলে থাকে: “আমি যদি তাকে সঙ্গেসঙ্গে ক্ষমা করে দিই, তা হলে কীভাবে সে তার ভুলটা বুঝতে পারবে?”

  • অন্যদের ক্ষমা করার জন্য কেন আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকা উচিত?

সারাংশ

আমাদের প্রত্যেক ভাই-বোনকে ভালোবাসা উচিত এবং তাদের ক্ষমা করা উচিত। এটা করার মাধ্যমে আমরা মণ্ডলীতে একতা বজায় রাখতে পারব।

পুনরালোচনা

  • ভেদাভেদের মনোভাব না রাখার এবং সবাইকে সমান চোখে দেখার জন্য আপনি কী করতে পারেন?

  • কোনো ভাই কিংবা বোনের সঙ্গে আপনার যদি মনোমালিন্য হয়, তা হলে আপনি কী করতে পারেন?

  • কেন আপনি যিহোবার মতো অন্যদের ক্ষমা করতে চাইবেন?

লক্ষ্য

আরও জানুন

যিশুর একটা দৃষ্টান্ত থেকে কীভাবে আমরা শিখতে পারি যে, আমরা যেন অন্যদের বিচার না করি? আসুন তা দেখি।

কড়িকাট সরিয়ে ফেলুন (৭:০১)

আমাদের যদি মনে হয়, আমরা কোনো ভুল করিনি, তারপরও কি আমাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত?

“অপরাধ স্বীকার শান্তি স্থাপনের এক চাবিকাঠি” (প্রহরীদুর্গ, নভেম্বর ১, ২০০২)

কীভাবে কিছু ব্যক্তি অন্যদের সঙ্গে পক্ষপাতহীনভাবে আচরণ করতে শিখেছে, আসুন তা দেখি।

বাহ্যিক বিষয়গুলোর দ্বারা বিচার করবেন না (৫:০৬)

আমরা যদি নিজেদের সমস্যাগুলো মিটমাট না করি, তা হলে মণ্ডলীর শান্তি নষ্ট হতে পারে। আমরা কী করতে পারি, যাতে এইরকম পরিস্থিতি না আসে? আসুন তা জানি।

“প্রেমপূর্ণ মনোভাব নিয়ে মতভেদ মীমাংসা করুন” (প্রহরীদুর্গ, মে, ২০১৬)

a টীকা ৬-এ বলা হয়েছে, একজন খ্রিস্টানের যদি কোনো সংক্রামক রোগ থাকে, তা হলে ভাই-বোনদের প্রতি প্রেম তাকে কী করার জন্য অনুপ্রাণিত করবে।

b টীকা ৭-এ আলোচনা করা হয়েছে, ব্যাবসা ও আইন সংক্রান্ত বিষয়গুলো কীভাবে মিটমাট করা যায়।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার