ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ৬/১ পৃষ্ঠা ২০-২৪
  • সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • রাজনৈতিক শাসকদের সমাদর করা
  • আপনার নিয়োগকর্ত্তার প্রতি সমাদর দেখান
  • পারিবারিক পরিধির মধ্যে সমাদর
  • মণ্ডলীর মধ্যে
  • একে অপরকে সমাদর করার জন্য কাজ করুন
  • যাদের সমাদর করা উচিত, তাদের সমাদর করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • অন্যদের সম্মান দেখান
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবাকে শ্রদ্ধা করা–কেন ও কি ভাবে?
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি সহবিশ্বাসীদেরকে সমাদরে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান করেন?
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ৬/১ পৃষ্ঠা ২০-২৪

সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর

“সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর, . . . ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সমাদর কর।”—১ পিতর ২:১৭, NW.

১. (ক) ঈশ্বর ও যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া আর কাদের সঠিক ভাবে সমাদর করা হয়েছে? (খ) কি কি ক্ষেত্রে মনুষ্যদের সমাদর দেখাতে হবে ১ পিতর ২:১৭ অনুযায়ী?

আমরা লক্ষ্য করেছি যে আমরা যিহোবা ও যীশু খ্রীষ্টকে শ্রদ্ধা দেখাতে বাধ্য। এইরূপ করা হল সঠিক, প্রজ্ঞার, এবং প্রেমের কর্ম্ম। কিন্তু ঈশ্বরের বাক্য এও দেখায় যে আমাদের যারা সহ মনুষ্য আছে তাদেরও সমাদর করা প্রয়োজন। “সকল প্রকার ব্যক্তিদের সমাদর কর,” আমাদের বলা হয়েছে। (১ পিতর ২:১৭, NW) যেহেতু এই পদ শেষ হয় এই আদেশ দিয়ে, “রাজাকে সমাদর কর,” এর নিহিতার্থ হচ্ছে যে তাদের সমাদর করা উচিত যারা তাদের পদের জন্য তা পাওয়ার যোগ্য। কাদের তাহলে, আমরা, যথাযথ সমাদর করব? যারা সমাদর পাওয়ার যোগ্য তার সংখ্যা হয়ত যা অনেকে চিন্তা করে তার থেকে অনেক বেশীকে অন্তর্ভুক্ত করে। আমরা হয়ত বলতে পারি যে চারটি ক্ষেত্র আছে যেখানে আমাদের অন্যদের সমাদর দেখান প্রয়োজন।

রাজনৈতিক শাসকদের সমাদর করা

২. আমরা কি করে জানি যে “রাজাকে” বলা হয়েছে ১ পিতর ২:১৭ তা যে কোন মনুষ্য রাজা বা রাজনৈতিক শাসককে বোঝায়?

২ প্রথম ক্ষেত্র যা এর সাথে যোগ রাখে তা হল রাষ্ট্রের সরকারগুলি। আমাদের রাজনৈতিক শাসকদের সমাদর করা উচিত। যখন পিতর উপদেশ দেন: “রাজাকে সমাদর কর,” কেন আমরা বলে থাকি যে পিতর এই কথা রাজনৈতিক শাসকদের স্মরণে রেখে বলেছিলেন? কারণ তিনি যে অবস্থার কথা বলছিলেন তা খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর বাইরে ছিল। তিনি এই কথা বলা সবেমাত্র শেষ করেছিলেন: “তোমরা মানব-সৃষ্টির সমস্ত নিয়োগের বশীভূত হও, রাজার বশীভূত হও, তিনি প্রধান; দেশাধ্যক্ষদের বশীভূত হও যারা তার প্রেরিত।” এও লক্ষ্য করুন যে, পিতর ঈশ্বরকে এর থেকে পৃথক্‌ করেন “রাজাকে,” এই বলে: “ঈশ্বরকে ভয় কর, রাজাকে সমাদর কর।” (১ পিতর ২:১৩, ১৪, NW) সেইকারণে, “রাজাকে” যার জন্য পিতর আমাদের অনুরোধ করেন সমাদর রাখতে তার সম্পর্ক আছে মনুষ্য রাজা ও রাজনৈতিক শাসকদের সাথে।

৩. “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্ত্তৃপক্ষ” কারা, আর তাদের প্রাপ্য কি?

৩ প্রেরিত পৌল এইরূপ আদেশ দেন: “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্ত্তৃপক্ষদের বশীভূত হও।” এই “প্রাধান্যপ্রাপ্ত কর্ত্তৃপক্ষ” যিহোবা ঈশ্বর ও যীশু খ্রীষ্ট নয়, কিন্তু তারা হল রাজনৈতিক শাসকেরা, ও সরকারের কর্মকর্তারা। এই বিষয় স্মরণে রেখে, পৌল বলে চলেন: “যাহার যা প্রাপ্য, তাহা তাহাদিগকে দাও, . . . যাহাকে সমাদর করিতে হয়, সমাদর কর।” হ্যাঁ, যাদের ঈশ্বর এইরূপ রাজনৈতিক শাসন করার অনুমতি দিয়েছেন তারা সমাদর পাওয়ার যোগ্য।—রোমীয় ১৩:১, ৭, NW.

৪. (ক) রাজনৈতিক শাসকদের কি করে সমাদর দেখানো যেতে পারে? (খ) প্রেরিত পৌল শাসকদের সমাদর দেখানোর ব্যাপারে কি উদাহরণ স্থাপন করেন?

৪ আমরা কি করে রাজনৈতিক শাসকদের সমাদর দেখাই? তা করার একটি উপায় হল তাদের গভীর সম্মান দেখিয়ে। (তুলনা করুন ১ পিতর ৩:১৫.) আর তাদের যে পদ তারা অধিকার করে, সেই কারণে তাদের সম্মান করা দরকার যদিও তারা দুর্নীতিপরায়ণ হয়। রোমীয় ঐতিহাসক টেসিটাস রাজ্যপাল ফেলিক্সকে বর্ণনা করেন এমন ব্যক্তি বলে “যে মনে করত সে যে কোন মন্দ কাজ করতে পারে কোন প্রকার শাস্তি বা ঝুঁকি ব্যতিরেকে।” তবুও পৌল তার নিজের পক্ষে ফেলিক্সের সামনে সাক্ষ্য আরম্ভ করেন খুব সম্মানের সাথে। সমভাবে, পৌল খুব সম্মানের সাথে রাজা হেরদ আগ্রিপ্পা দ্বিতীয়কে বলেন, “আপনার সামনে আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে পাইতেছি, এজন্য আমি আমাকে ধন্য মনে করি,” যদিও পৌল জানতেন যে আগ্রিপ্পা অজাচারে জীবনযাপন করছেন। অনুরূপভাবে, পৌল রাজ্যপাল ফীষ্টকে সমাদর দেখান, যখন তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন “হে মহামহিম,” যদিও ফিষ্ট একজন মূর্ত্তিপূজক ছিলেন।—প্রেরিত ২৪:১০; ২৬:২, ৩, ২৪, ২৫.

৫. আর কি ভাবে সরকারী কর্ত্তৃপক্ষকে সমাদর দেখানো যেতে পারে, আর যিহোবার সাক্ষীরা এই ব্যাপারে কি করে উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেন?

৫ আরও এক উপায়ে আমরা সরকারের কর্মকর্তাদের সমাদর দেখাই তা পৌল ইঙ্গিত করেন যখন তিনি লেখেন সরকারী কর্তৃপক্ষদের তাদের প্রাপ্য দেওয়া সম্বন্ধে। তিনি বলেন “যাহাকে কর দিতে হয় তাহাকে কর দেও, যাহাকে শুল্ক দিতে হয়, শুল্ক দাও; যাহাকে ভয় করিতে হয়, ভয় কর।” (রোমীয় ১৩:৭) যিহোবার সাক্ষীরা এইরূপ প্রাপ্য দিয়ে থাকে তা তারা জগতের যে কোন দেশে বাস করুক না কেন। ইতালিয় খবরের কাগজ লা স্তামপা লক্ষ্য করে: “তারা হচ্ছে সব থেকে বিশ্বস্ত নাগরিক যা কেউ আশা করতে পারে: তারা কর ফাঁকি দেয় না অথবা যে আইন তাদের জন্য সুবিধাজনক নয় তা এড়িয়ে চলে না।” যিহোবার সাক্ষীদের সম্বন্ধে দ্যা পোস্ট অফ পাম বিচ, ফ্লোরিডা, ইউ. এস. এ., মন্তব্য করে: “তারা কর দেয়। তারা হল আমাদের প্রজাতন্ত্রের কিছু সব থেকে ভাল নাগরিক।”

আপনার নিয়োগকর্ত্তার প্রতি সমাদর দেখান

৬. প্রেরিত পৌল ও পিতর আর কাদের সমাদর দেওয়া প্রয়োজন বলেন?

৬ দ্বিতীয় ক্ষেত্র যেখানে আমাদের সমাদর দেখান প্রয়োজন তা হল যেখানে আমরা কাজ করি। প্রেরিত পৌল এবং পিতর উভয় জোর দেন যে খ্রীষ্টানদের কর্ম্মক্ষেত্রে যারা তাদের উপরে রয়েছে তাদের সমাদর করা প্রয়োজন। পৌল লেখেন: “যে সকল লোক যোঁয়ালির অধীন দাস, তাহারা আপন আপন কর্ত্তাদিগকে সম্পূর্ণ সমাদরের যোগ্য জ্ঞান করুক, যেন ঈশ্বরের নাম এবং শিক্ষা নিন্দিত না হয়। আর যাহাদের বিশ্বাসী কর্ত্তা আছে, তাহারা তাহাদিগকে ভ্রাতা বলিয়া তুচ্ছ জ্ঞান না করুক; বরং আরও যত্নে দাস্যকর্ম্ম করুক।” আর পিতর বলেন: “হে দাসগণ, তোমরা সম্পূর্ণ ভয়ের সহিত আপন আপন স্বামিগণের বশীভূত হও; কেবল সজ্জন ও শান্ত স্বামীদের নয়, কিন্তু কুটিল স্বামীদেরও বশীভূত হও।”—১ তীমথিয় ৬:১, ২; ১ পিতর ২:১৮; ইফিষীয় ৬:৫; কলসীয় ৩:২২, ২৩.

৭. (ক) কি ভাবে বাইবেলের যে উপদেশ “দাস” যাতে “কর্ত্তা” সমাদর করে তা আজও সঠিক ভাবে প্রযোজ্য? (খ) যে খ্রীষ্টীয় কর্ম্মীদের খ্রীষ্টীয় নিয়োগকর্ত্তা রয়েছে তাদের কোন বিষয় সতর্ক হতে হবে?

৭ অবশ্যই, দাস্যকর্ম্ম আজ আর প্রচলিত নয়। কিন্তু যে নীতি খ্রীষ্টানদের পরিচালনা করেছিল দাস-কর্ত্তা সম্পর্কে তা প্রযোজ্য কর্ম্মী ও নিয়োগকর্ত্তার সম্পর্কেও। সেইকারণে, যারা খ্রীষ্টীয় কর্ম্মী তাদের দায়িত্ব রয়েছে সেই নিয়োগকর্ত্তাদেরও সমাদর দেখান যাদের খুশী করা খুব কঠিন। আর যদি নিয়োগকর্ত্তা একজন সহ বিশ্বাসী হন তাহলে কি? এইরূপ আশা না করে যে তার নিয়োগকর্ত্তা তাকে বেশী সুবিধা দেবে তাদের সম্পর্কের জন্য, সেই খ্রীষ্টীয় কর্ম্মীর উচিত কোন ভাবে তার কাছ থেকে কোন সুযোগ না নিয়ে, আরও বেশী যত্নের সাথে কাজ করা।

পারিবারিক পরিধির মধ্যে সমাদর

৮, ৯. (ক) ছেলেমেয়েদের কাদের সমাদর করা প্রয়োজন? (খ) কেন ছেলেমেয়েদের এই সমাদর দেখান প্রয়োজন, এবং কি করে তারা তা দেখাতে পারে?

৮ তৃতীয় ক্ষেত্র যেখানে সমাদর দেখান প্রয়োজন তা হল পারিবারিক পরিধির মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ, ছেলেমেয়েদের উপর চাহিদা রয়েছে যাতে তারা তাদের পিতামাতাকে সমাদর করে। ইহা কেবল যে আইন মোশিকে দেওয়া হয়েছিল তার অধীন ছিল তা নয় কিন্তু খ্রীষ্টানদের জন্যও তা বাধ্যতামূলক। প্রেরিত পৌল লেখেন: “সন্তানেরা, তোমরা প্রভুতে পিতামাতার আজ্ঞাবহ হও, কেননা তাহা ন্যায্য: ‘তোমার পিতাকে ও তোমার মাতাকে সমাদর করিও।’”—ইফিষীয় ৬:১, ২; NW; যাত্রাপুস্তক ২০:১২.

৯ কেন ছেলেমেয়েরা তাদের পিতামাতাকে সমাদর করবে? তারা তাদের পিতামাতাকে সমাদর করবে কারণ তারা ঈশ্বর-দত্ত ক্ষমতা পেয়েছেন এবং তাদের জন্য তারা যা কিছু করেছেন, তাদের জন্মের তারা কারণ এবং ছোটবেলা থেকে তাদের লালনপালন করেছেন। ছেলেমেয়েরা কি ভাবে তাদের পিতামাতাকে সমাদর করতে পারে? তারা তা করতে পারে বিশেষ করে তাদের পিতামাতার বাধ্য ও অধীনে থেকে। (হিতোপদেশ ২৩:২২, ২৫, ২৬; কলসীয় ৩:২০) এইরূপ সমাদর দেখানোর মধ্যে হয়ত প্রয়োজন হবে বড় হয়েছে যে ছেলেমেয়েরা তারা অতিরিক্ত সাহায্য করুক, আর্থিক এবং আত্মিক দিকে, তাদের বৃদ্ধ পিতামাতাকে বা তাদের পিতামহ বা মাতামহকে। এই বিষয়টিকে বিজ্ঞতার সাথে অন্য দায়িত্বগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে করতে হবে, যেমন একজনের নিজের ছেলেমেয়েদের যত্ন নেওয়া যাতে তারা পূর্ণমাত্রায় খ্রীষ্টীয় সহভাগিতায় এবং ক্ষেত্রের কার্য্যে অংশ নিতে পারে।—ইফিষীয় ৫:১৫-১৭; ১ তীমথিয় ৫:৮; ১ যোহন ৩:১৭.

১০. স্ত্রীদের কাদের সমাদর দেখানোর দায়িত্ব আছে, আর কি ভাবে তারা তা করতে পারে?

১০ পরিবারের মধ্যে ছেলেমেয়েরা কেবল একা নয় যারা বাধ্য অন্যদের সমাদর করতে। স্ত্রীদের উচিত তাদের স্বামীদের সমাদর করা। প্রেরিত পৌল এও বলেন যে “স্ত্রীর উচিত যেন স্বামীকে গভীর সম্মান করে।” (ইফিষীয় ৫:৩৩; ১ পিতর ৩:১, ২; NW) স্বামীকে “গভীর সম্মান” দেখানোর সাথে অবশ্যই জড়িত সমাদর। সারা তার স্বামী, অব্রাহামকে সমাদর করেন, যখন তিনি তাকে সম্বোধন করেন “নাথ” বলে। (১ পিতর ৩:৬) তাই স্ত্রীগণ, সারাকে অনুকরণ করুন। আপন স্বামীদের সমাদর করুন তাদের নির্ণয় গ্রহণ করে এবং তাদের সাথে একসাথে কাজ করে যাতে তা সফল হয়। সর্বচেষ্টা করুন যাতে আপনি তাদের বোঝা না বাড়িয়ে বইতে সাহায্য করেন, এইভাবে আপনি তাদের সমাদর দেখাবেন।

১১. সমাদর দেখানোর ক্ষেত্রে, স্বামীদের কি দায়িত্ব আছে, এবং কেন?

১১ স্বামীদের সম্বন্ধে কি? ঈশ্বরের বাক্যে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: “হে স্বামিগণ, স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত দুর্বল পাত্র বলিয়া তাহাদের সহিত জ্ঞানপূর্ব্বক বাস কর, তাহাদিগকে আপনাদের সহিত জীবনের অনুগ্রহের সহাধিকারিণী জানিয়া সমাদর কর; যেন তোমাদের প্রার্থনা রুদ্ধ না হয়।” (১ পিতর ৩:৭) ইহা অবশ্যই প্রত্যেক স্বামীকে চিন্তা করাবে। এটা এমন যেন স্ত্রী এক লেবেল ধারী যাতে লেখা “বহুমূল্য। পলকা। বিশেষ যত্নের সাথে আচরণ করুন! সমাদর প্রদান করুন!” তাই স্বামীরা যেন স্মরণে রাখেন যে তারা যদি তাদের স্ত্রীদের বিশেষ সমাদর না দেখান তাদের প্রাপ্য বিবেচনা না দেখিয়ে, তাহলে তারা যিহোবা ঈশ্বরের সাথে তাদের সম্পর্কের ক্ষতিসাধন করবেন, কারণ তাদের প্রার্থনা রুদ্ধ হবে। সত্যই, ইহা পরস্পরের জন্য উপকারী যে পরিবারের সদস্যরা একে অপরকে সমাদর করে।

মণ্ডলীর মধ্যে

১২. (ক) কাদের দায়িত্ব রয়েছে মণ্ডলীতে সমাদর দেখানোর? (খ) কি করে যীশু দেখান যে সমাদর পাওয়া যথাযথ?

১২ মণ্ডলীর মধ্যেও সকলের দায়িত্ব রয়েছে যেন তারা একে অপরকে সমাদর করে। আমাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে: “সমাদরে এক জন অন্যকে শ্রেষ্ঠ জ্ঞান কর।” (রোমীয় ১২:১০) যীশু তার একটি দৃষ্টান্তে ইঙ্গিত করেন যে সমাদর গ্রহণ করা সঠিক। তিনি বলেন যে যখন আমাদের কোন ভোজে ডাকা হয়, আমরা যেন সব থেকে নিচু স্থানটি গ্রহণ করি, তাহলে যখন বাড়ীর কর্ত্তা আমাদের বলবে উচ্চ স্থানটি নিতে, তখন আমরা আর সকল নিমন্ত্রিতদের মধ্যে সমাদর পাব। (লূক ১৪:১০) যেহেতু, আমরা সকলে সমাদর পাওয়া উপলব্ধি করি, তাহলে কি আমাদের অন্যদের জন্য অনুভব থাকা এবং অন্যদের সমাদর করা উচিত নয়? আমরা কি করে এমন করতে পারি?

১৩. কতগুলি কি উপায়ে আমরা অন্যদের মণ্ডলীতে সমাদর দেখাতে পারি?

১৩ যখন কোন কাজ উত্তমভাবে সম্পন্ন করা হয় আর তার জন্য উপলব্ধিসূচক উক্তি করা হয় তা সমাদর প্রদান করার সমান। তাই আমরা হয়ত একজন যে উত্তর বা বক্তৃতা দিয়েছে মণ্ডলীতে তার জন্য প্রশংসা করে, একে অপরকে সমাদর দেখাতে পারি। আরও অধিকভাবে, আমরা একে অন্যের প্রতি সমাদর দেখাতে পারি তা হল খ্রীষ্টীয় ভাই বোনদের প্রতি আমরা যদি নম্রতা পরিধান করি, তাদের সাথে ব্যবহারে গভীর সম্মান প্রদর্শন করে। (১ পিতর ৫:৫) এইভাবে আমরা দেখাই যে আমরা তাদের সম্মানযোগ্য যিহোবা ঈশ্বরের সহসেবকরূপে মূল্যায়ন করি।

১৪. (ক) মণ্ডলীতে ভাইরা বোনদের কি করে সঠিক সমাদর দেখাতে পারে? (খ) কি দেখায় যে উপহার দেওয়া সমাদর দেখানোর একটি উপায়?

১৪ প্রেরিত পৌল যুবক তীমথিয়কে উপদেশ দেন যেন সে বয়স্ক খ্রীষ্টীয় ভগ্নিদের মায়ের মত এবং যুবতীদের মাংসিক বোনের মত দেখে, “সম্পূর্ণ শুদ্ধভাবে।” হ্যাঁ, যখন ভাইরা তাদের খ্রীষ্টীয় বোনদের সাথে কোন অহেতুক স্বাধীনতা নেবার ব্যাপারে সতর্ক থাকে, যেমন অত্যধিক ঘনিষ্ঠতা দেখিয়ে, তারা তাদের সমাদর করছে। পৌল আরও লেখেন: “যাহারা প্রকৃত বিধবা, সেই বিধবাদিগকে সমাদর কর।” একভাবে একজন অভাবগ্রস্ত বিধবাকে সমাদর দেওয়া যেতে পারে তা হল তাকে আর্থিক সাহায্য দিয়ে। কিন্তু এইরূপ সাহায্য পাওয়ার জন্য যোগ্যতা হল, যে তার “পক্ষে নানা সৎকর্ম্মের প্রমাণ পাওয়া যায়।” (১ তীমথিয় ৫:২-১০) বস্তুগত সাহায্য দেবার ব্যাপারে, লূক মিলিতা দ্বীপের লোকদের সম্বন্ধে লেখেন: “আর তাহারা বিস্তর সমাদরে আমাদিগকে সমাদর করিল, এবং আমাদের প্রস্থান সময়ে নানা প্রকার প্রয়োজনীয় সামগ্রী জাহাজে আনিয়া দিল।” (প্রেরিত ২৮:১০) সেইকারণে একে অপরকে সমাদর দেখান যেতে পারে বস্তুগত উপহার দেওয়ার দ্বারা।

১৫. (ক) কাদের প্রতি আমাদের বিশেষ দায়িত্ব সমাদর দেখানোর? (খ) যারা পরিচালনা নিচ্ছে তাদের কি ভাবে সমাদর দেখানো যেতে পারে?

১৫ তীমথিয়কে তার পত্রে লিখতে গিয়ে, পৌল আরও লেখেন: “যে [প্রাচীনেরা] উত্তমরূপে শাসন করেন, বিশেষতঃ যাঁহারা বাক্যে ও শিক্ষাদানে পরিশ্রম করেন, তাঁহারা দ্বিগুণ সমাদারের যোগ্য গণিত হউন।” (১ তীমথিয় ৫:১৭) কি কি উপায়ে আমরা প্রাচীনদের, অথবা অধ্যক্ষদের সমাদর দেখাতে পারি? পৌল বলেন: “তোমরা আমার অনুকারী হও যেমন আমি খ্রীষ্টের।” (১ করিন্থীয় ১১:১, NW) যখন আমরা পৌলের যে কথা তার প্রতি অবধান করি যাতে তার অনুকারী হতে পারি, আমরা তাকে সমাদর করছি। ইহা তাদের প্রতি আজ প্রযোজ্য যারা আমাদের মধ্যে নেতৃত্ব দেন। আমরা তাদের উদাহরণ কতটা অনুকরণ করছি, তার মাধ্যমে আমরা তাদের সমাদর দেখাব।

১৬. আর কি অতিরিক্ত উপায়ে যারা পরিচালনা দিচ্ছে তাদের সমাদর দেখানো যেতে পারে?

১৬ আরেক ভাবে আমরা অধ্যক্ষদের সমাদর দেখাই তা হল তাদের পরামর্শে অবধান করে: “তোমাদের নেতাদিগের আজ্ঞাগ্রাহী ও বশীভূত হও, কারণ নিকাশ দিতে হইবে বলিয়া তাঁহারা তোমাদের প্রাণের নিমিত্ত প্রহরি-কার্য্য করিতেছেন।” (ইব্রীয় ১৩:১৭) ঠিক যেমন ছেলেমেয়েরা পিতামাতার বাধ্য হয়ে তাদের সমাদর দেখায়, আমরাও যারা আমাদের পরিচালনা দিচ্ছেন তাদের বাধ্য ও অধীনে থেকে তাদের সমাদর করি। আর, ঠিক যেমন পৌল ও তার সাথীরা সমাদর পেয়েছিল বস্তুগত উপহার পেয়ে সেই মলটাবাসীদের কাছ থেকে, সমিতির অনেক ভ্রমণকারী অধ্যক্ষদের একইভাবে বহুবার সমাদর করা হয়। কিন্তু, তারা যেন কখন এইরূপ অনুরোধ না করেন বা উপহারের প্রতি কোন ইঙ্গিত না করেন অথবা না বলেন যে তা উপলব্ধ হবে বা তার প্রয়োজন আছে।

১৭. যাদের তত্ত্বাবধান করার সুযোগ আছে তাদের কাছে কি দায়িত্ব আছে সমাদর দেখানোর?

১৭ অন্যদিকে, সকলে যারা ঐশিক সংগঠনের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন—তা তারা স্থানীয় মণ্ডলীতে হোক, বা সীমা অথবা জেলা অধ্যক্ষ হোন, সমিতির কোন শাখা অফিসে হোন, অথবা পরিবারের মধ্যে—তাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে যে যারা তাদের দায়িত্বে রয়েছে তাদের যেন সমাদর করেন। এর জন্য প্রয়োজন হচ্ছে যেন তারা অনুভব করার শক্তি রাখেন ও সহ ভাইদের জন্য চিন্তা রাখেন। তাদের কাছে যেন সব সময় যাওয়া যায়, তারা যেন মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত হন, যেমন যীশু বলেন যে তিনি ছিলেন।—মথি ১১:২৯, ৩০.

একে অপরকে সমাদর করার জন্য কাজ করুন

১৮. (ক) কি আমাদের বাধা দিতে পারে তাদের সমাদর করতে যারা তা পাওয়ার যোগ্য? (খ) কেন নেতিবাচক বা সমালোচনামূলক মনোভাবের কোন ন্যায্যতা নেই?

১৮ আমাদের সকলের কঠিন পরিশ্রম করা উচিত একে অপরকে সমাদর করার জন্য, কারণ আমাদের তা করার ক্ষেত্রে এক প্রবল বাধা রয়েছে। সেই বাধা, অথবা প্রতিবন্ধক হল, আমাদের অসিদ্ধ হৃদয়। “কারণ বাল্যকাল অবধি মনুষ্যের মনস্কল্পনা দুষ্ট,” বাইবেল বলে। (আদিপুস্তক ৮:২১) একটি মনুষ্য প্রবণতা যা হয়ত ব্যাঘাত ঘটাতে পারে আমাদের অন্যদের সমাদর দেখানোর ব্যাপারে তা হল নেতিবাচক, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষন করা। আমরা সকলে দুর্বল, অসিদ্ধ মানুষ, যাদের প্রয়োজন রয়েছে যিহোবার করুণার ও অযাচিত দয়ার। (রোমীয় ৩:২৩, ২৪) এর প্রতি উপলব্ধি দেখিয়ে, আসুন আমরা আমাদের ভাইদের দুর্বলতার উপর অতিরিক্ত মনোযোগ না দিই অথবা তাদের উদ্দেশ্যকে প্রশ্ন না করি।

১৯. কি আমাদের সাহায্য করবে কোন নেতিবাচক মনোভাবকে ব্যর্থ করতে?

১৯ এইরূপ নেতিবাচক প্রবণতার প্রতিষেধক হচ্ছে প্রেম ও আত্মসংযম। আমাদের ভাইদের সম্বন্ধে আমাদের অনুভবপূর্ণ, বিশ্বস্ত, যথার্থ দৃষ্টিকোণ রাখতে হবে, তাদের ভাল গুণগুলি লক্ষ্য করতে হবে। যদি এমন কিছু থাকে যা আমরা বুঝতে পারি না তাহলে, সব সময় ভাইদের আমাদের অনিশ্চিত চিন্তার সুযোগ তাদের যেন দিই এবং পিতরের উপদেশে মনোযোগ করি: “সর্ব্বাপেক্ষা পরস্পর একাগ্র ভাবে প্রেম কর কেননা প্রেম পাপরাশি আচ্ছাদন করে।” (১ পিতর ৪:৮) আমাদের সেই ধরনের প্রেম থাকা দরকার যদি আমরা চাই আমাদের ভাইদের এইরূপ সমাদর দেখাতে যা তাদের প্রাপ্য।

২০, ২১. (ক) আর একটি প্রবণতা কি যা আমাদের অন্যদের সমাদর দেখাতে বাধাস্বরূপ হতে পারে? (খ) কি আমাদের সাহায্য করবে এই প্রবণতাকে ব্যর্থ করতে?

২০ আর একটি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের অন্যদের সমাদর দেখানোর ব্যাপারে বাধাস্বরূপ হতে পারে তা হল একটুতে মনে ব্যাথা পাওয়ার প্রবণতা অথবা অতিরিক্ত অনুভবনশীল হওয়া। যদিও অনুভবনশীলতার একটি স্থান আছে। যারা চিত্রকার তাদের অনুভবশীল হতে হয় শব্দ অথবা রং সম্বন্ধে কারণ তা তাদের পেশার একটি অঙ্গ। কিন্তু যদি আমরা অযথা অনুভবনশীল হই, অথবা খুব স্পর্শকাতর হই অন্যদের সাথে আমাদের সম্বন্ধে, তাহলে তা স্বার্থপরতার এক পরিচয় যা আমাদের শান্তিকে হরণ করবে এবং অন্যদের সমাদর দেখানোর ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ হবে।

২১ এই ব্যাপারে আমাদের উত্তম উপদেশ দেওয়া হয়েছে উপদেশক ৭:৯: “তোমার আত্মাকে সত্বর বিরক্ত হইতে দিও না, কেননা হীনবুদ্ধি লোকদেরই বক্ষঃ বিরক্তিকর আশ্রয়।” যদি আমরা অতিরিক্ত অনুভবনশীল বা তাড়াতাড়ি বিঘ্ন পাই, তা প্রদর্শন করে প্রজ্ঞা ও ভাল চিন্তা শক্তির অভাব, এবং প্রেমের অভাব। সেইজন্য আমাদের সচেতন থাকতে হবে যাতে আমরা সেই প্রবণতার দিকে না যাই, যেমন নেতিবাচক হওয়া, অন্যদের বিষয় অতিরিক্ত সমালোচক হওয়া, অথবা অযথা অনুভবনশীল হওয়া, কারণ তা আমাদের বাধা দেবে অন্যদের প্রাপ্য সমাদর দেখাতে।

২২. সংক্ষেপে আমাদের যে দায়িত্ব রয়েছে সমাদর দেখানোর তা কি করে বলব?

২২ সত্যই, আমাদের অনেক কারণ রয়েছে অন্যদের সমাদর দেখানোর জন্য। আর, আমরা যেমন দেখেছি, যে অনেক, অনেক উপায় আছে যার দ্বারা আমরা সমাদর দেখাতে পারি। আমাদের সব সময় সচেতন থাকতে হবে যাতে কোন স্বার্থপর অথবা নেতিবাচক চিন্তাধারা যেন আমাদের বাধা না দেয় এইরূপ সমাদর দেখানোর ব্যাপারে। বিশেষ করে, আমাদের সতর্ক থাকা উচিত পরিবারের মধ্যে সমাদর দেখানোর ব্যাপারে, স্বামী স্ত্রী পরস্পরকে এবং ছেলেমেয়েরা তাদের পিতামাতাকে। মণ্ডলীতে, আমরা দায়বদ্ধ সহউপাসকদের সমাদর দেখাতে, বিশেষভাবে তাদের যারা মণ্ডলীতে কঠোর পরিশ্রম করেন ও দেখাশোনার পদে আছেন। এই সব ক্ষেত্রে, যা উপরে বর্ণিত হয়েছে ইহা আমাদের জন্য উপকারজনক যে আমরা তাদের সমাদর করি, কারণ, যেমন যীশু বলেন: “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।”—প্রেরিত ২০:৩৫. (w91 2/1)

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

▫ কেন ও কিভাবে আমরা নাগরিক কর্তৃপক্ষকে সমাদর দেখাব?

▫ কর্ম্মী ও কর্ম্মনিয়োগকারীর মধ্যে বাইবেলের কোন উপদেশ ব্যবহার করা যেতে পারে?

▫ পরিবারের মধ্যে আমরা কি করে সমাদর দেখাতে পারি?

▫ মণ্ডলীতে কি বিশেষ সমাদর দেখান যেতে পারে এবং কেন?

▫ আমরা কি করে সেই মনুষ্য দুর্বলতাকে অতিক্রম করতে পারি যা আমাদের বাধা দেয় অন্যদের সমাদর করতে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার