ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w17 আগস্ট পৃষ্ঠা ২৭-২৯
  • প্রেম—এক মূল্যবান গুণ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • প্রেম—এক মূল্যবান গুণ
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যেভাবে প্রেম প্রকাশ করা হয়
  • যিহোবা ও যিশু উদাহরণযোগ্য উপায়ে যে-প্রেম দেখিয়েছেন
  • ‘প্রেমে চলুন’
  • প্রেম গড়ে তুলুন—কীভাবে?
  • প্রেম দেখানোর উপকারিতা
  • ‘প্রেম গাঁথিয়া তুলে’
  • “প্রেমে চল”
    যিহোবার নিকটবর্তী হোন
  • প্রেমে গেঁথে উঠুন
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সেই ঈশ্বরকে ভালবাসুন, যিনি আপনাকে ভালবাসেন
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনার প্রেমকে শীতল হয়ে যেতে দেবেন না
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
আরও দেখুন
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৭
w17 আগস্ট পৃষ্ঠা ২৭-২৯

প্রেম এক মূল্যবান গুণ

  • প্রেম

  • আনন্দ

  • শান্তি

  • ধৈর্য

  • দয়া

  • মঙ্গলভাব

  • বিশ্বাস

  • মৃদুতা

  • ইন্দ্রিয়দমন

প্রেরিত পৌল ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এমন ন-টা গুণ সম্বন্ধে লিখেছিলেন, যেগুলো একজন ব্যক্তির জীবনে পবিত্র আত্মা কাজ করার ফলে প্রদর্শিত হয়। (গালা. ৫:২২, ২৩) তিনি বর্ণনা করেছিলেন যে, এই কাঙ্ক্ষিত গুণাবলি একত্রে মিলে “আত্মার ফল” গঠিত হয়।a এই ফল হল ‘নূতন মনুষ্য’ বা ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য। (কল. ৩:১০) ঠিক যেমন, একটা গাছের সঠিক যত্ন নেওয়া হলে সেটা ফল উৎপন্ন করে, তেমনই একজন ব্যক্তির জীবনে যখন পবিত্র আত্মা কোনো বাধা ছাড়াই কাজ করে, তখন সেই ব্যক্তি আত্মার ফল প্রদর্শন করেন।—গীত. ১:১-৩.

পৌল আত্মার ফল সম্বন্ধে তালিকাভুক্ত করার সময় প্রথম যে-দিকটা সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, সেটা হল এক মূল্যবান গুণ প্রেম। এই গুণ কতটা মূল্যবান? পৌল বলেছিলেন, প্রেম ছাড়া তিনি ‘কিছুই নহেন।’ (১ করি. ১৩:২) কিন্তু, প্রেম আসলে কী এবং কীভাবে আমরা এটা গড়ে তুলতে পারি আর প্রতিদিন এটা প্রদর্শন করতে পারি?

যেভাবে প্রেম প্রকাশ করা হয়

যদিও এটা ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন যে, প্রেম আসলে কী, তবে বাইবেল এই বিষয়টা বর্ণনা করে, একজন প্রেমময় ব্যক্তি কীভাবে চিন্তা করেন এবং কাজ করেন। উদাহরণ স্বরূপ, একজন প্রেমময় ব্যক্তি “চিরসহিষ্ণু” বা ধৈর্যশীল ও “মধুর” বা সদয় এবং তিনি ‘সত্যের সহিত আনন্দ করেন।’ একজন ব্যক্তির মধ্যে যখন প্রেম থাকে, তখন তিনি ‘সকলই বহন করেন, সকলই বিশ্বাস করেন, সকলই প্রত্যাশা করেন, সকলই ধৈর্য্যপূর্ব্বক সহ্য করেন।’ তিনি অন্যদের প্রতি গভীর স্নেহ অনুভব করেন, তাদের জন্য সত্যিই চিন্তা করেন এবং তিনি একজন অনুগত বন্ধু। কিন্তু, একজন ব্যক্তির মধ্যে যখন প্রেম থাকে না, তখন তিনি ঈর্ষা, গর্ব, অশিষ্টাচার, স্বার্থপরতা এবং ক্ষমা না করার মনোভাব প্রকাশ করেন। এইরকম নেতিবাচক গুণাবলি প্রদর্শন করার বিপরীতে আমরা অন্যদের প্রতি প্রকৃত প্রেম প্রদর্শন করতে চাই, যে-প্রেম “স্বার্থ চেষ্টা করে না।”—১ করি. ১৩:৪-৮.

যিহোবা ও যিশু উদাহরণযোগ্য উপায়ে যে-প্রেম দেখিয়েছেন

“ঈশ্বর প্রেম।” সত্যিই, যিহোবা হলেন প্রেমের মূর্ত প্রতীক। (১ যোহন ৪:৮) তাঁর সমস্ত কাজ তাঁর প্রেমের বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়। তিনি যিশুকে কষ্ট ভোগ করার এবং আমাদের উদ্দেশ্যে মারা যাওয়ার জন্য পাঠানোর মাধ্যমে মানবজাতির প্রতি তাঁর প্রেমকে সর্বমহৎ উপায়ে প্রকাশ করেছিলেন। প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “আমাদিগেতে ঈশ্বরের প্রেম ইহাতেই প্রকাশিত হইয়াছে যে, ঈশ্বর আপনার একজাত পুত্রকে জগতে প্রেরণ করিয়াছেন, যেন আমরা তাঁহা দ্বারা জীবন লাভ করিতে পারি। ইহাতেই প্রেম আছে; আমরা যে ঈশ্বরকে প্রেম করিয়াছিলাম, তাহা নয়; কিন্তু তিনিই আমাদিগকে প্রেম করিলেন, এবং আপন পুত্ত্রকে আমাদের পাপার্থক প্রায়শ্চিত্ত হইবার জন্য প্রেরণ করিলেন।” (১ যোহন ৪:৯, ১০) ঈশ্বরের প্রেমের কারণে আমরা ক্ষমা, আশা ও জীবন লাভ করতে পারি।

যিশু ইচ্ছুক মনোভাবের সঙ্গে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করার মাধ্যমে মানবজাতির প্রতি তাঁর প্রেমের প্রমাণ দিয়েছিলেন। পৌল লিখেছিলেন: “[যিশু] বলিলেন, ‘দেখ, [আমি] তোমার ইচ্ছা পালন করিবার জন্য আসিয়াছি।’ . . . সেই ইচ্ছাক্রমে, যীশু খ্রীষ্টের দেহ একবার উৎসর্গ করণ দ্বারা, আমরা পবিত্রীকৃত হইয়া রহিয়াছি।” (ইব্রীয় ১০:৯, ১০) কোনো মানুষই আমাদের প্রতি এর চেয়ে বেশি প্রেম দেখাতে পারে না। যিশু বলেছিলেন: “কেহ যে আপন বন্ধুদের নিমিত্ত নিজ প্রাণ সমর্পণ করে, ইহা অপেক্ষা অধিক প্রেম কাহারও নাই।” (যোহন ১৫:১৩) অসিদ্ধ মানুষ হিসেবে আমরা কি যিহোবা ও যিশু আমাদের প্রতি যে-প্রেম দেখিয়েছিলেন, তা অনুকরণ করতে পারি? হ্যাঁ, করতে পারি! আসুন আমরা বিবেচনা করি যে, কীভাবে আমরা তা করতে পারি।

‘প্রেমে চলুন’

পৌল আমাদের জোরালো পরামর্শ দেন: “প্রিয় বৎসদের ন্যায় তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও। আর প্রেমে চল, যেমন খ্রীষ্টও তোমাদিগকে প্রেম করিলেন এবং আমাদের জন্য . . . আপনাকে উৎসর্গ করিলেন।” (ইফি. ৫:১, ২) আমরা যখন আমাদের জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রেম প্রদর্শন করি, তখন আমরা ‘প্রেমে চলি।’ আমরা এই ধরনের প্রেম কেবল কথায় নয় কিন্তু সেইসঙ্গে কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করি। যোহন লিখেছিলেন: “বৎসেরা, আইস, আমরা বাক্যে কিম্বা জিহ্বাতে নয়, কিন্তু কার্য্যে ও সত্যে প্রেম করি।” (১ যোহন ৩:১৮) উদাহরণ স্বরূপ, আমরা যখন ঈশ্বর ও আমাদের প্রতিবেশীদের প্রতি প্রেম দেখিয়ে চলব, তখন আমরা প্রতিবেশীদের কাছে ‘রাজ্যের সুসমাচার’ জানাতে অনুপ্রাণিত হব। (মথি ২৪:১৪; লূক ১০:২৭) এ ছাড়া, আমরা সেইসময়ও প্রেমে চলি, যখন আমরা ধৈর্য, দয়া ও ক্ষমা করার মনোভাব দেখাই। তাই, বাইবেল আমাদের পরামর্শ দেয়: “প্রভু [ঈশ্বর] যেমন তোমাদিগকে ক্ষমা করিয়াছেন, তোমরাও তেমনি কর।”—কল. ৩:১৩.

এই ধরনের প্রকৃত প্রেমকে আবেগপ্রবণ হওয়ার সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন আবেগপ্রবণ বাবা অথবা মা হয়তো সন্তানের কান্না থামানোর জন্য তার প্রতিটা দাবি পূরণ করতে পারেন। কিন্তু, যে-বাবা অথবা মা সত্যিই তার সন্তানকে ভালোবাসেন, তিনি প্রয়োজনে দৃঢ় হবেন। একইভাবে, ঈশ্বর প্রেম কিন্তু “প্রভু [ঈশ্বর] যাহাকে প্রেম করেন, তাহাকেই শাসন করেন।” (ইব্রীয় ১২:৬) আমরা যখন প্রেমে চলব, তখন আমরাও প্রয়োজনে উপযুক্ত শাসন প্রদান করব। (হিতো. ৩:১১, ১২) অবশ্য, তা করার সময় আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরাও পাপী এবং আমাদের মধ্যে প্রেমের বিপরীত কাজ করার প্রবণতা রয়েছে। তাই, আমাদের সকলের জীবনেই এমন ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে আমাদের প্রেম দেখানোর বিষয়ে উন্নতি করতে হবে। কীভাবে আমরা তা করতে পারি? আসুন, আমরা তিনটে উপায় সম্বন্ধে বিবেচনা করি।

প্রেম গড়ে তুলুন—কীভাবে?

প্রথমত, ঈশ্বরের কাছে তাঁর পবিত্র আত্মা চেয়ে প্রার্থনা করুন, যেটা প্রেম উৎপন্ন করে। যিশু বলেছিলেন যে, যিহোবা “যাহারা তাঁহার কাছে যাচ্ঞা করে, তাহাদিগকে পবিত্র আত্মা” দান করেন। (লূক ১১:১৩) আমরা যদি পবিত্র আত্মা চেয়ে প্রার্থনা করি এবং ‘আত্মার বশে চলিবার’ জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি, তা হলে আমাদের কাজ আরও বেশি প্রেমময় হয়ে উঠবে। (গালা. ৫:১৬) উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করেন, তা হলে আপনি পবিত্র আত্মা চেয়ে প্রার্থনা করতে পারেন, যাতে সেটার সাহায্যে আপনি এক প্রেমময় উপায়ে অন্যদের শাস্ত্রীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারেন। অথবা আপনি যদি একজন বাবা কিংবা মা হয়ে থাকেন, তা হলে আপনি এই অনুরোধ করতে পারেন, যাতে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা আপনাকে রাগের বশে নয় বরং প্রেমের সঙ্গে আপনার সন্তানদের শাসন করতে সাহায্য করে।

দ্বিতীয়ত, এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করুন যে, যিশু এমনকী সেইসময়ও প্রেম দেখিয়েছিলেন, যখন তাঁকে রেগে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছিল। (১ পিতর ২:২১, ২৩) খ্রিস্টের এই উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে সেই সময়ে দেখা দিতে পারে, যখন আমাদের অসন্তুষ্ট করা হয় অথবা আমরা কোনো অবিচার ভোগ করি। সেইরকম সময়গুলোতে, নিজেকে জিজ্ঞেস করার মতো একটা উত্তম প্রশ্ন হল, ‘যিশু এই পরিস্থিতিতে থাকলে কী করতেন?’ লি নামে একজন বোন দেখেছিলেন যে, এই প্রশ্নটা নিয়ে বিবেচনা করা তাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আগে চিন্তা করতে সাহায্য করেছিল। তিনি বর্ণনা করে বলেন: “একবার আমার এক সহকর্মী অন্যান্য সহকর্মীদের কাছে আমার ও আমার কাজ সম্বন্ধে নেতিবাচক মন্তব্য লিখে একটা ই-মেল পাঠিয়েছিলেন। আমি এতে খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। কিন্তু, সেইসময় আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এই ব্যক্তির সঙ্গে আচরণ করার ক্ষেত্রে কীভাবে আমি যিশুকে অনুকরণ করতে পারি?’ যিশু আমার পরিস্থিতিতে থাকলে হয়তো যা করতেন, সেই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করার পর, আমি বিষয়টাকে বড়ো না করে বরং ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। পরবর্তী সময় আমি জানতে পারি, আমার সেই সহকর্মী এক গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন এবং তিনি অনেক চাপের মধ্যে ছিলেন। আমি এই উপসংহারে আসি যে, তিনি হয়তো আমাকে দুঃখ দেওয়ার উদ্দেশ্যে সেই কথাগুলো লেখেননি। রেগে যাওয়ার জন্য প্ররোচিত হওয়ার সময়ও যিশু যে-প্রেম দেখিয়েছিলেন, সেটার উদাহরণ নিয়ে চিন্তা করা আমাকে আমার সহকর্মীর প্রতি একইরকম প্রেম দেখাতে সাহায্য করেছে।” হ্যাঁ, আমরা যদি যিশুকে অনুকরণ করি, তা হলে আমরা সবসময় প্রেমের সঙ্গে কাজ করব।

তৃতীয়ত, আত্মত্যাগমূলক প্রেম দেখানোর মনোভাব গড়ে তুলুন, যেটা যিশুর প্রকৃত অনুসারীদের শনাক্ত করে। (যোহন ১৩:৩৪, ৩৫) এই ক্ষেত্রে, শাস্ত্র আমাদের পরামর্শ দেয় যেন আমরা যিশুর মতো একই “ভাব” বা মনোভাব গড়ে তুলি। স্বর্গ ত্যাগ করার মাধ্যমে আমাদের জন্য “তিনি . . . আপনাকে শূন্য করিলেন,” এমনকী “মৃত্যু পর্য্যন্ত” তা করলেন। (ফিলি. ২:৫-৮) আমরা যখন তাঁর আত্মত্যাগমূলক প্রেমকে অনুকরণ করব, তখন আমাদের চিন্তা ও অনুভূতি আরও বেশি করে খ্রিস্টের মতো হয়ে উঠবে আর আমরা নিজেদের চেয়ে অন্যদের আগ্রহের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত হব। প্রেম গড়ে তোলার ফলে আর কোন কোন উপকার লাভ করা যায়?

প্রেম দেখানোর উপকারিতা

প্রেম দেখানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। আসুন আমরা দুটো উদাহরণ বিবেচনা করি:

কিংডম হলে বিভিন্ন বয়স ও জাতির যিহোবার সাক্ষিরা একসগ মেলামেশা করছ

কীভাবে আমরা প্রেম দেখানোর মাধ্যমে উপকার লাভ করি?

  • এক আন্তর্জাতিক ভ্রাতৃসমাজ: যেহেতু আমাদের একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে, তাই আমরা জানি যে, সারা পৃথিবীতে আমরা যে-মণ্ডলীতেই যাই না কেন, সেখানকার ভাই ও বোনেরা আমাদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাবে। ‘জগতে অবস্থিত আমাদের ভ্রাতৃবর্গের’ কাছ থেকে ভালোবাসা লাভ করা কতই-না আশীর্বাদের এক বিষয়! (১ পিতর ৫:৯) ঈশ্বরের লোকদের ছাড়া আর কাদের মধ্যেই-বা এইরকম প্রেম খুঁজে পাওয়া যায়?

  • শান্তি: ‘প্রেমে পরস্পর ক্ষমাশীল হওয়ার’ ফলে আমরা ‘শান্তির যোগবন্ধন’ উপভোগ করি। (ইফি. ৪:২, ৩) আমরা আমাদের মণ্ডলীর সভা ও সম্মেলনগুলোতে স্বচক্ষে এই শান্তি দেখতে পাই। আপনি কি এই বিষয়ে একমত হবেন না যে, আজকের বিভক্ত জগতে এইরকম এক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সত্যিই অদ্বিতীয়? (গীত. ১১৯:১৬৫; যিশা. ৫৪:১৩) অন্যদের সঙ্গে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করার মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি আমাদের প্রেমের গভীরতা প্রদর্শন করি, যেটা আমাদের স্বর্গীয় পিতাকে খুশি করে।—গীত. ১৩৩:১-৩; মথি ৫:৯.

‘প্রেম গাঁথিয়া তুলে’

পৌল লিখেছিলেন: ‘প্রেম গাঁথিয়া তুলে।’ (১ করি. ৮:১) কীভাবে প্রেম এমনটা করে? করিন্থীয়দের উদ্দেশে লেখা প্রেরিত পৌলের প্রথম পত্রের ১৩ অধ্যায়ে তিনি ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে প্রেম গেঁথে তোলে। একটা বিষয় হল, প্রেম অন্য ব্যক্তির মঙ্গল চেষ্টা করে। (১ করি. ১০:২৪; ১৩:৫) এ ছাড়া, প্রেম বিবেচনাপূর্ণ, ধৈর্যপূর্ণ ও সদয়, তাই এটা পরিবারের মধ্যে স্নেহের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং মণ্ডলীগুলোকে একতাবদ্ধ করে।—কল. ৩:১৪.

ঈশ্বরের প্রতি আমাদের সবার প্রেম হল সমস্ত ধরনের প্রেমের চেয়ে সবচেয়ে মূল্যবান ও গঠনমূলক। এই ধরনের প্রেম সমস্ত পটভূমি, জাতি ও ভাষার লোকেদের একতাবদ্ধ করে, যাতে তারা আনন্দের সঙ্গে “একযোগে” যিহোবার আরাধনা করতে পারে। (সফ. ৩:৯) আসুন আমরা প্রতিদিন ঈশ্বরের আত্মার ফলের এই মূল্যবান দিকটা প্রদর্শন করার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হই।

a এটা হল নয় অংশের ধারাবাহিক প্রবন্ধের মধ্যে প্রথম প্রবন্ধ। এই ধারাবাহিক প্রবন্ধগুলোতে আত্মার ফলের প্রতিটা গুণ বা দিক নিয়ে বিবেচনা করা হবে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার