ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • es25 পৃষ্ঠা ৯৭-১১০
  • আগস্ট

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আগস্ট
  • প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করা—২০২৫
  • উপশিরোনাম
  • শুক্রবার, ১ আগস্ট
  • শনিবার, ২ আগস্ট
  • রবিবার, ৩ আগস্ট
  • সোমবার, ৪ আগস্ট
  • মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট
  • বুধবার, ৬ আগস্ট
  • বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট
  • শুক্রবার, ৮ আগস্ট
  • শনিবার, ৯ আগস্ট
  • রবিবার, ১০ আগস্ট
  • সোমবার, ১১ আগস্ট
  • মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট
  • বুধবার, ১৩ আগস্ট
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট
  • শুক্রবার, ১৫ আগস্ট
  • শনিবার, ১৬ আগস্ট
  • রবিবার, ১৭ আগস্ট
  • সোমবার, ১৮ আগস্ট
  • মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট
  • বুধবার, ২০ আগস্ট
  • বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট
  • শুক্রবার, ২২ আগস্ট
  • শনিবার, ২৩ আগস্ট
  • রবিবার, ২৪ আগস্ট
  • সোমবার, ২৫ আগস্ট
  • মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট
  • বুধবার, ২৭ আগস্ট
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট
  • শুক্রবার, ২৯ আগস্ট
  • শনিবার, ৩০ আগস্ট
  • রবিবার, ৩১ আগস্ট
প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করা—২০২৫
es25 পৃষ্ঠা ৯৭-১১০

আগস্ট

শুক্রবার, ১ আগস্ট

ধার্মিকদের জীবনে অনেক কষ্ট আসে ঠিকই, কিন্তু যিহোবা তাদের সেই সমস্ত কিছু থেকে উদ্ধার করেন।—গীত. ৩৪:১৯.

উপরে উল্লেখ করা শাস্ত্রপদে বিশেষভাবে দুটো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে: (১) ধার্মিক লোকদেরও সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় আর (২) যিহোবা আমাদের সমস্যাগুলো থেকে উদ্ধার করেন। কীভাবে তিনি আমাদের উদ্ধার করেন? তিনি আমাদের বলেছেন, এই জগতে কখনো আমাদের এটা আশা করা উচিত নয় যে, আমাদের প্রতি সবসময় ভালো হবে। যিহোবা আমাদের কাছে এই প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা যদি তাঁর সেবা করি, তা হলে আমরা অনেক আনন্দ লাভ করব। তবে, তিনি এই বিষয়ে কোনো গ্যারান্টি দেননি যে, আমাদের সামনে কোনো সমস্যা আসবেই না। (যিশা. ৬৬:১৪) যিহোবা চান আমরা যেন ভবিষ্যতের সেই সময় নিয়ে চিন্তা করি, যখন তিনি আমাদের অনন্তজীবন দেবেন আর আমরা চিরকাল ধরে আনন্দে থাকব। (২ করি. ৪:১৬-১৮) কিন্তু, সেই সময় না আসা পর্যন্ত তিনি আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছেন, যাতে আমরা হাল ছেড়ে না দিই এবং তাঁর সেবা করে চলি। (বিলাপ ৩:২২-২৪) আমরা অতীতের এবং বর্তমান সময়ের যিহোবার বিশ্বস্ত উপাসকদের কাছ থেকে কী শিখতে পারি? কখনো কখনো আমাদের সামনে হঠাৎ করে কোনো সমস্যা চলে আসতে পারে। কিন্তু, সেইসময়ও আমরা যখন যিহোবার উপর আস্থা রাখব, তখন তিনি আমাদের অবশ্যই সাহায্য করবেন।—গীত. ৫৫:২২. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৪ ১৪-১৫ অনু. ৩-৪

শনিবার, ২ আগস্ট

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বশীভূত [হও।]—রোমীয় ১৩:১.

আমরা যোষেফ ও মরিয়মের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারি। তারা সেইসময়ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বাধ্য হয়েছিলেন, যখন তা করা তাদের জন্য কঠিন ছিল। (লূক ২:১-৬) এটা সেই সময়কার কথা, যখন মরিয়ম ন-মাসের গর্ভবতী ছিলেন। রোমের সম্রাট আগস্ত একটা আইন জারি করেছিলেন যে, সমস্ত লোক যেন তাদের নাম লেখানোর জন্য সেই নগরে যায়, যেখানে তাদের জন্ম হয়েছিল। সরকারের এই আজ্ঞার বাধ্য হওয়া যোষেফ ও মরিয়মের জন্য হয়তো অনেক কঠিন ছিল। কারণ তাদের ১৫০ কিলোমিটার দূরে বেথলেহেমে যেতে হত আর তা-ও আবার পাহাড়ি এলাকার মধ্য দিয়ে। এই যাত্রা করা বিশেষ করে মরিয়মের জন্য হয়তো অনেক কঠিন ছিল। তারা দু-জনেই হয়তো গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য চিন্তা করছিলেন। তারা হয়তো চিন্তা করছিলেন, মরিয়মের যদি রাস্তায় প্রসব বেদনা শুরু হয়, তা হলে তারা কী করবে? মরিয়মের গর্ভে যে-সন্তান রয়েছে, সে পরবর্তী সময়ে মশীহ হবে। এইসমস্ত কিছু চিন্তা করে তারা কি সরকারের অবাধ্য হয়েছিলেন? যোষেফ ও মরিয়মের পরিস্থিতি কঠিন হওয়া সত্ত্বেও তারা সরকারের বাধ্য হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর যিহোবা তাদের সিদ্ধান্তের উপর আশীর্বাদ করেছিলেন। মরিয়ম সুরক্ষিতভাবে বেথলেহেমে পৌঁছেছিলেন আর সেখানে তিনি এক সুস্থসবল সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। এভাবে, বাইবেলের এক গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যদ্‌বাণী পরিপূর্ণ হয়েছিল!—মীখা ৫:২. প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ৮ অনু. ৯; ৯ অনু. ১১-১২

রবিবার, ৩ আগস্ট

একে অন্যকে উৎসাহিত [কর।]—ইব্রীয় ১০:২৫.

আপনার কি উত্তর দেওয়ার কথা চিন্তা করেই হার্টবিট বেড়ে যায়? আপনি কিছু পরামর্শের উপর মনোযোগ দিতে পারেন। একটা পরামর্শ হল, ভালোভাবে প্রস্তুতি নিন। (হিতো. ২১:৫) যত আপনি বিষয়বস্তুর সঙ্গে পরিচিত হবেন, তত আপনার জন্য উত্তর দেওয়া সহজ হবে। আরেকটা পরামর্শ হল, সংক্ষিপ্ত উত্তর দিন। (হিতো. ১০:১৯; ১৫:২৩) আপনার উত্তর যত ছোটো হবে, তত কম আপনাকে চিন্তা করতে হবে। আপনার উত্তর যদি সংক্ষিপ্ত হয়, হতে পারে এক বা দুই বাক্যে, তা হলে ভাই-বোনেরা সহজেই সেটা বুঝতে পারবে। তাই, নিজের ভাষায় ছোটো করে উত্তর দিন। এটা থেকে বোঝা যাবে, আপনি ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন আর বিষয়বস্তুকে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনি হয়তো এগুলোর মধ্যে কিছু পরামর্শ কাজে লাগিয়েছেন, তারপরও আপনি অনেক কষ্টে একটা কিংবা দুটো উত্তর দিতে পারেন। যদি এমনটা হয়, তা হলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, আপনি উত্তর দেওয়ার জন্য যে-প্রচেষ্টা করেন, যিহোবা সেটাকে খুবই মূল্যবান হিসেবে দেখেন। (লূক ২১:১-৪) কিন্তু, প্রচেষ্টা করার মানে এই নয়, আমরা সেটা করার চেষ্টা করব, যেটা আমরা করতে পারব না। (ফিলি. ৪:৫) প্রথমে চিন্তা করুন, আপনি কী করতে পারেন আর এরপর সেই অনুযায়ী লক্ষ্য রাখুন। যিহোবার কাছে প্রার্থনা করুন, যাতে আপনি ভয় পেয়ে না যান কিংবা ঘাবড়ে না যান। প্রথম প্রথম আপনি হয়তো শুধুমাত্র একটা সংক্ষিপ্ত উত্তর দেওয়ার লক্ষ্য রাখতে পারেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৪ ২১ অনু. ৬-৮

সোমবার, ৪ আগস্ট

বুকপাটা আর . . . শিরস্ত্রাণ [পরো।]—১ থিষল. ৫:৮.

পৌল খ্রিস্টানদের তুলনা সৈনিকদের সঙ্গে করেছিলেন, যারা সতর্ক থাকে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকে। একজন সৈনিককে সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। একইভাবে, আমাদেরও যিহোবার দিনের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস ও প্রেমের বুকপাটা আর সেইসঙ্গে প্রত্যাশারূপ শিরস্ত্রাণ পরে এমনটা করতে পারব। বুকপাটা পরলে একজন সৈনিকের হৃৎপিণ্ড সুরক্ষিত থাকে। একইভাবে, বিশ্বাস ও প্রেম থাকলে আমাদের হৃদয় সুরক্ষিত থাকবে। আমরা যিহোবার সেবা করে যেতে পারব এবং যিশুর পদচিহ্ন অনুসরণ করতে পারব। বিশ্বাস থাকলে আমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত হই যে, আমরা যদি পূর্ণহৃদয়ে যিহোবার সেবা করি, তা হলে তিনি আমাদের পুরস্কার দেবেন। (ইব্রীয় ১১:৬) এ ছাড়া, বিশ্বাস থাকলে আমরা আমাদের নেতা যিশুর প্রতি অনুগত থাকতে পারব, এমনকী সেই সময়েও, যখন আমাদের উপর বিভিন্ন সমস্যা আসে। কীভাবে আমরা আমাদের বিশ্বাস বাড়াতে পারি, যাতে আমরা সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি? আমরা বর্তমান দিনের সেই ভাই-বোনদের উদাহরণের উপর মনোযোগ দিতে পারি, যারা তাড়না এবং টাকাপয়সার সমস্যা থাকা সত্ত্বেও যিহোবার প্রতি অনুগত ছিল। আমরা সেই ভাই-বোনদের উদাহরণের উপরও মনোযোগ দিতে পারি, যারা তাদের জীবনকে সাদাসিধে রেখেছিল এবং ঈশ্বরের রাজ্যকে তাদের জীবনে প্রথম স্থান দিয়েছিল। এমনটা করলে আমরা টাকাপয়সার পিছনে ছুটব না। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ১০ অনু. ৮-৯

মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট

যে মেঘের দিকে তাকিয়ে থাকে, সে ফসল কাটবে না।—উপ. ১১:৪.

আত্মসংযমের মানে হল, আমাদের অনুভূতি এবং কাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। আত্মসংযম বজায় রাখা সেইসময়েও গুরুত্বপূর্ণ, যখন আমাদের কোনো লক্ষ্যে পৌঁছাতে হয়, বিশেষ করে সেই লক্ষ্য অর্জন করা যদি আমাদের কঠিন বলে মনে হয় অথবা সেটা করতে ইচ্ছা করে না। মনে রাখবেন, আমরা যিহোবার পবিত্র শক্তির সাহায্যেই আত্মসংযম গুণটা গড়ে তুলতে পারি। তাই, যিহোবার কাছে পবিত্র শক্তির জন্য প্রার্থনা করুন। (লূক ১১:১৩; গালা. ৫:২২, ২৩) এমনটা মনে করবেন না, যখন সব কিছু ভালো থাকবে, তখন কিছু করব। এই জগতে হয়তো কখনো এমন কোনো দিন আসবে না, যখন সব কিছু একেবারে ভালো থাকবে। আমরা যদি ভালো পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করতে থাকি, তা হলে আমরা হয়তো কোনো দিনও আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। হতে পারে, আমরা যে-লক্ষ্য স্থাপন করেছি, সেটা অর্জন করা আমাদের পক্ষে কঠিন বলে মনে হয় আর তাই, সেটার জন্য পরিশ্রম করতে ইচ্ছা করে না। আপনার ক্ষেত্রেও যদি তা-ই হয়ে থাকে, তা হলে আপনি যে-লক্ষ্য স্থাপন করেছেন, সেটা অর্জন করার জন্য কিছু ছোটো ছোটো লক্ষ্য স্থাপন করুন। যেমন, আপনি যদি কোনো গুণ গড়ে তোলার লক্ষ্য স্থাপন করে থাকেন, তা হলে আপনি চাইলে প্রথমে ছোটো ছোটো উপায়ে সেই গুণটা দেখাতে পারেন। অথবা আপনি যদি পুরো বাইবেল পড়ার লক্ষ্য স্থাপন করে থাকেন, তা হলে আপনি প্রতিদিন অল্প কিছুসময় বাইবেল পড়া শুরু করতে পারেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ২৯-৩০ অনু. ১১-১৩

বুধবার, ৬ আগস্ট

যারা সঠিক কাজ করে, তাদের পথ সকালের আলোর মতো, যেটা ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়তে থাকে, যতক্ষণ না দুপুর হয়।—হিতো. ৪:১৮.

এই শেষকালে যিহোবা সবসময় এই বিষয়টার খেয়াল রেখেছেন যে, ‘পবিত্রতার পথে’ যেন কাজ চলতে থাকে আর তিনি সংগঠনের মাধ্যমে ক্রমাগত আমাদের তাঁর বাক্য থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন, যাতে আমরা সবাই এই পথে চলতে থাকি। (যিশা. ৩৫:৮; ৪৮:১৭; ৬০:১৭) একজন ব্যক্তি যখন বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেন, তখন বলা যেতে পারে যে, তিনি ‘পবিত্রতার পথে’ চলতে শুরু করেছেন। কিছু লোক এই পথে একটু দূর পর্যন্ত যায়, কিন্তু তারপর এই পথ ছেড়ে দেয়। আবার কিছু লোক স্থির করেছে, যতক্ষণ না তারা তাদের গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে, ততক্ষণ তারা এই পথে চলতে থাকবে। সেই গন্তব্য কী? যে-লোকদের স্বর্গে বেঁচে থাকার আশা রয়েছে, তাদের এই “পবিত্রতার পথ” স্বর্গে “ঈশ্বরের পরমদেশে” নিয়ে যাবে। (প্রকা. ২:৭) তবে, যে-লোকদের এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আশা রয়েছে, তাদের এই রাজপথ খ্রিস্টের ১,০০০ বছরের শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে, যখন সমস্ত লোক সিদ্ধ হয়ে যাবে। আজ আপনি যদি এই রাজপথে চলতে থাকেন, তা হলে পিছনে ঘুরে তাকাবেন না। যতক্ষণ না আপনি নতুন জগতে পৌঁছাচ্ছেন এবং আপনার যাত্রা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই পথে চলতে থাকুন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ১৭ অনু. ১৫-১৬; ১৯ অনু. ১৭-১৮

বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট

আমরা প্রেম দেখাই, কারণ ঈশ্বর প্রথমে আমাদের প্রতি প্রেম দেখিয়েছেন।—১ যোহন ৪:১৯.

আপনি যখন চিন্তা করবেন, যিহোবা আপনার জন্য কত কিছু করেছেন, তখন তাঁর কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করা থেকে আপনি নিজেকে আটকাতে পারবেন না। (গীত. ১১৬:১২-১৪) বাইবেলে লেখা আছে, “সমস্ত উত্তম ও নিখুঁত দান” যিহোবার কাছ থেকে আসে। (যাকোব ১:১৭) যিহোবার দেওয়া কোন উপহার আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যবান? তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য। একটু চিন্তা করুন, মুক্তির মূল্যের কারণে কত কিছু সম্ভব হয়েছে। আপনি যিহোবার সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পেরেছেন এবং অনন্তজীবনের এক অপূর্ব আশা লাভ করেছেন। (১ যোহন ৪:৯, ১০) এর চেয়ে বড়ো ভালোবাসার প্রমাণ আর কি কিছু হতে পারে? আপনি যদি এই বিষয়ে এবং যিহোবার দেওয়া সমস্ত আশীর্বাদ নিয়ে চিন্তা করেন, তা হলে আপনার হৃদয় কৃতজ্ঞতায় ভরে যাবে এবং আপনি নিজের জীবন যিহোবার কাছে উৎসর্গ করতে চাইবেন।—দ্বিতীয়. ১৬:১৭; ২ করি. ৫:১৫. প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ৫ অনু. ৮

শুক্রবার, ৮ আগস্ট

যে সৎ পথে চলে, সে যিহোবাকে ভয় করে।—হিতো. ১৪:২.

আজ জগতে লোকদের নৈতিক মান দিনের পর দিন নীচে নেমে যাচ্ছে। এই সমস্ত কিছু দেখে আমরা লোটের মতো অনুভব করি। তিনি “মন্দ লোকদের নির্লজ্জভাবে করা পাপ কাজের কারণে অত্যন্ত কষ্ট পেতেন” কারণ তিনি জানতেন, যিহোবা এই কাজগুলো ঘৃণা করেন। (২ পিতর ২:৭, ৮) লোট ঈশ্বরকে ভয় করতেন এবং তাঁকে খুব ভালোবাসতেন। তাই, তিনি তার আশেপাশের লোকদের জীবনধারা অনুযায়ী চলেননি। আজ আমাদের চারপাশেও এমন লোকেরা রয়েছে, যারা নিজেদের ইচ্ছামতো জীবনযাপন করে আর যিহোবার নৈতিক মানের প্রতি কোনো সম্মানই দেখায় না। কিন্তু, আমরা যদি আমাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের প্রতি সঠিক প্রকারের ভয় গড়ে তুলি এবং তাঁকে ভালোবাসি, তা হলে আমরা এই লোকদের মাঝে থেকেও নৈতিকভাবে শুচি থাকতে পারব। এমনটা করার জন্য যিহোবা আমাদের সাহায্য করেন। তিনি হিতোপদেশ বইয়ে অনেক উত্তম পরামর্শ লিখিয়েছেন, যেগুলোর মাধ্যমে আমাদের নৈতিকভাবে শুচি থাকার সংকল্প আরও দৃঢ় হতে পারে। এই বইতে দেওয়া পরামর্শগুলো কাজে লাগালে পুরুষ ও নারী, যুবক ও বৃদ্ধ প্রত্যেক খ্রিস্টানই উপকার লাভ করতে পারে। আমরা যদি যিহোবাকে ভয় করি, তা হলে আমরা অজুহাত দেখাব না। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ২০ অনু. ১-২; ২১ অনু. ৫

শনিবার, ৯ আগস্ট

কেউ যদি আমাকে অনুসরণ করতে চায়, তা হলে সে নিজেকে অস্বীকার করুক, নিজের যাতনাদণ্ড তুলে নিক এবং প্রতিদিন তা বহন করুক আর আমাকে অনুসরণ করে চলুক।—লূক ৯:২৩.

আপনার পরিবারের সদস্যেরা হয়তো আপনার বিরোধিতা করেছে কিংবা ঈশ্বরের রাজ্যকে প্রথম স্থানে রাখার জন্য আপনি বেশি টাকাপয়সা রোজগার করার সুযোগকে হাতছাড়া করেছেন। (মথি ৬:৩৩) আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, আপনার করা একটা ত্যাগস্বীকারও যিহোবা ভুলে যাবেন না। (ইব্রীয় ৬:১০) এই সমস্ত কিছু ত্যাগ করে আপনি হয়তো যিশুর বলা এই কথাগুলো নিজের জীবনে ঘটতে দেখেছেন: “আমি তোমাদের সত্যি বলছি, যে-কেউ আমার জন্য এবং সুসমাচারের জন্য কি বাড়ি, কি ভাই, কি বোন, কি মা, কি বাবা, কি সন্তান, কি জমিজমা ত্যাগ করে, সে এখনই এই বর্তমান যুগে এগুলোর ১০০ গুণ পাবে অর্থাৎ বাড়ি, ভাই, বোন, মা, সন্তান ও জমিজমা তাড়নার সঙ্গে পাবে আর সেইসঙ্গে আসন্ন বিধিব্যবস্থায় অনন্তজীবন লাভ করবে।” (মার্ক ১০:২৯, ৩০) আপনি হয়তো দেখেছেন যে, আপনি যা-কিছু ত্যাগস্বীকার করেছেন, সেগুলোর চেয়ে আরও বেশি আশীর্বাদ পেয়েছেন।—গীত. ৩৭:৪. প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ৯ অনু. ৫

রবিবার, ১০ আগস্ট

প্রকৃত বন্ধু সবসময় ভালোবাসা দেখায় আর সে বিপদের সময়ে নিজের ভাই বলে প্রমাণিত হয়।—হিতো. ১৭:১৭.

যখন যিহূদিয়ায় একবার এক ভয়ানক দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, তখন আন্তিয়খিয়া মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা, তাদের সাহায্য করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল। বাইবেলে লেখা রয়েছে: “[আন্তিয়খিয়ার] শিষ্যেরা স্থির করলেন, প্রত্যেকে নিজ নিজ সংগতি অনুযায়ী যিহূদিয়ায় বসবাসরত ভাইদের জন্য ত্রাণসামগ্রী পাঠাবেন।” (প্রেরিত ১১:২৭-৩০) যদিও তারা যিহূদিয়ার ভাইদের থেকে অনেক দূরে ছিল, তারপরও তাদের সাহায্য করার জন্য তারা পিছিয়ে পড়েনি। (১ যোহন ৩:১৭, ১৮) আজ যখন কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় আসে, তখন কীভাবে আমরা দেখাতে পারি, আমাদের হৃদয়ে ভাই-বোনদের প্রতি সমবেদনা আছে? তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারি। কোনো কাজে সাহায্য করার জন্য আমরা প্রাচীনদের সঙ্গে কথা বলতে পারি, বিশ্বব্যাপী কাজের জন্য দান দিতে পারি কিংবা সেখানকার ভাই-বোনদের জন্য প্রার্থনা করতে পারি। সেই সময়ে হয়তো কিছু ভাই-বোনের কাছে খাবার কিংবা থাকার জন্য ঘর থাকবে না। এইরকম সময়ে আমরা যদি সমবেদনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভাই-বোনদের সাহায্য করি, তা হলে আমাদের রাজা যিশু খ্রিস্ট যখন বিচার করবেন, তখন তিনি আমাদের বলবেন, ‘এসো, রাজ্যের আশীর্বাদ লাভ করো।’—মথি ২৫:৩৪-৪০. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ৪ অনু. ৯-১০; ৬ অনু. ১২

সোমবার, ১১ আগস্ট

তোমাদের যুক্তিবাদিতা যেন সবার কাছে প্রকাশ পায়।—ফিলি. ৪:৫.

যিহোবার মতো যিশুও লোকদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখাতেন। তাঁকে পৃথিবীতে ‘ইজরায়েল জাতির হারানো মেষদের কাছে’ প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে, এই দায়িত্ব পালন করার সময়ে তিনি একগুঁয়ে মনোভাব দেখাননি। একবার, একজন ন-ইজরায়েলীয় মহিলা তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি যেন তার মেয়েকে সুস্থ করে তোলেন কারণ তাকে “মন্দ স্বর্গদূতে পেয়েছে আর সে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছে।” যিশুর হৃদয়ে সেই মহিলার জন্য গভীর সমবেদনা বোধ হয়েছিল এবং তিনি সেই মেয়েটিকে সুস্থ করে দিয়েছিলেন। (মথি ১৫:২১-২৮) আরেকটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন। পৃথিবীতে সেবা করার সময়ে যিশু একবার বলেছিলেন: ‘যে-কেউ আমাকে অস্বীকার করে, আমিও তাকে অস্বীকার করব।’ (মথি ১০:৩৩) তবে, পিতর যখন যিশুকে তিন বার অস্বীকার করেছিলেন, তখন যিশু কী করেছিলেন? যিশু জানতেন, পিতর যা করেছেন, সেটার জন্য তিনি সত্যিই অনুতপ্ত এবং তিনি একজন বিশ্বাসযোগ্য সেবক। তাই, তিনি পিতরকে প্রত্যাখ্যান করেননি। পুনরুত্থিত হওয়ার পর যিশু পিতরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং তাকে নিশ্চয়ই এই আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আর তিনি এখনও তাকে ভালোবাসেন। (লূক ২৪:৩৩, ৩৪) যিহোবা ও যিশু অন্যদের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখান। আর যিহোবা চান যেন আমরাও যুক্তিবাদী হই। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ২১ অনু. ৬-৭

মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট

মৃত্যু আর থাকবে না।—প্রকা. ২১:৪.

আমরা বিশ্বাস করি যে, যিহোবা এই পৃথিবীকে পরমদেশে পরিণত করবেন। কিন্তু যারা এটার উপর বিশ্বাস করে না, তাদের আমরা কীভাবে বোঝাতে পারি যে, যিহোবা তাঁর প্রতিজ্ঞা অবশ্যই পূরণ করবেন? আমরা তাদের তিনটে কারণ বলতে পারি। প্রথম কারণটা হল, যিহোবা নিজে এই প্রতিজ্ঞা করেছেন। প্রকাশিত বাক্য বইয়ে লেখা আছে: “যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বর বললেন: ‘দেখো! আমি সমস্ত কিছু নতুন করছি।’” যিহোবার কাছে এত প্রজ্ঞা ও শক্তি রয়েছে যে, তিনি তাঁর প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে পারেন আর এমনটা তিনি করতেও চান। দ্বিতীয় কারণটা হল, যিহোবা জানেন, তাঁর প্রতিজ্ঞা অবশ্যই পূরণ হবে। তাই, তিনি এই কথাগুলো এমনভাবে বলেছেন যেন তা ইতিমধ্যেই পূরণ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “এই কথাগুলো বিশ্বাসযোগ্য ও সত্য . . . এই কথাগুলো সম্পন্ন হল!” তৃতীয় কারণটা হল, যিহোবা যা শুরু করেন, তিনি তা শেষও করেন। সেইজন্য তিনি বলেছেন, “আমিই আলফা ও ওমেগা।”(প্রকা ২১:৬) খুব শীঘ্রই যিহোবা এটা প্রমাণ করে দেবেন, শয়তান মিথ্যাবাদী আর তার পরিকল্পনা কখনোই সফল হবে না। যখন আপনাকে কেউ বলে, ‘এটা শুনতে তো খুব ভালো লাগছে, কিন্তু আদৌ কি এটা হবে?’ তখন আপনি চাইলে তাকে প্রকাশিত বাক্য ২১:৫, ৬ পদ পড়ে বোঝাতে পারেন। তাকে বলুন, যিহোবা নিজে এই প্রতিজ্ঞা পূরণ করার গ্যারান্টি দিয়েছেন, এমন যেন সেটার নীচে তিনি নিজে সই করেছেন।—যিশা. ৬৫:১৬. প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ৭ অনু. ১৮-১৯

বুধবার, ১৩ আগস্ট

আমি তোমা হইতে এক মহাজাতি উৎপন্ন করিব।—আদি. ১২:২.

যিহোবা অব্রাহামের কাছে এই প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, যখন তার বয়স ৭৫ বছর ছিল। অব্রাহামের তখন কোনো সন্তান ছিল না। অব্রাহাম কি যিহোবার করা এই প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ হতে দেখেছিলেন? পুরোপুরিভাবে তিনি তা দেখেননি। ইউফ্রেটিস নদী পার করার পর তিনি ২৫ বছর ধরে অপেক্ষা করেছিলেন। এরপর, যিহোবা এক অলৌকিক কাজ করেছিলেন। অব্রাহামের একটি ছেলে হয়েছিল, যার নাম ছিল ইস্‌হাক আর ৬০ বছর পর তার দুই নাতি হয়েছিল, যাদের নাম ছিল এষৌ ও যাকোব। (ইব্রীয় ৬:১৫) অব্রাহাম তার বংশধরদের একটা বড়ো জাতি হয়ে উঠতে দেখেননি আর তিনি বেঁচে থাকতে থাকতে প্রতিজ্ঞাত দেশে থাকার সুযোগও পাননি। তবে, অব্রাহাম যিহোবার প্রতি অনুগত ছিলেন আর এই কারণে যিহোবার সঙ্গে তার ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। (যাকোব ২:২৩) কল্পনা করুন, অব্রাহাম যখন পুনরুত্থিত হবেন, তখন তিনি এটা জেনে কতই-না আনন্দিত হবেন যে, তার বিশ্বাস ও ধৈর্য ধরার কারণে সমস্ত জাতি আশীর্বাদ লাভ করেছে! (আদি. ২২:১৮) এখান থেকে আমরা কী শিখতে পারি? আমরা হয়তো এখনই যিহোবার করা সমস্ত প্রতিজ্ঞা পূরণ হতে না-ও দেখতে পারি। কিন্তু, আমরা যদি অব্রাহামের মতো ধৈর্য ধরি, তা হলে আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি, যিহোবা শুধুমাত্র বর্তমানেই নয়, কিন্তু সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে নতুন জগতেও আমাদের প্রচুর আশীর্বাদ করবেন।—মার্ক ১০:২৯, ৩০. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২৪ অনু. ১৪

বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট

যতদিন উষিয় সত্য ঈশ্বর যিহোবার অনুসন্ধান করলেন, ততদিন ঈশ্বর তাকে সমৃদ্ধিশালী করলেন।—২ বংশা. ২৬:৫.

উষিয়ের বয়স যখন কম ছিল, তখন তিনি নম্র ছিলেন এবং “সত্য ঈশ্বরকে ভয় করতে” শিখেছিলেন। উষিয় ৬৮ বছর বেঁচেছিলেন এবং প্রায় সারাজীবন ধরে যিহোবার আশীর্বাদ তার উপর ছিল। (২ বংশা. ২৬:১-৪) তিনি তার রাজ্যের অনেক শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন এবং জয়ী হয়েছিলেন আর জেরুসালেমকে রক্ষা করার জন্য কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। (২ বংশা. ২৬:৬-১৫) যিহোবার সাহায্যে উষিয় যা-কিছু করতে পেরেছিলেন, সেগুলোর জন্য তিনি নিশ্চয়ই অনেক খুশি হয়েছিলেন। (উপ. ৩:১২, ১৩) রাজা হওয়ার পর উষিয় সবসময় অন্যদের বলতেন, তাদের কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয়। হয়তো এই কারণেই তিনি মনে করেছিলেন, তিনি যা-ইচ্ছা তা-ই করতে পারেন। একদিন তিনি ঈশ্বরের মন্দিরে ঢুকে এমন একটা কাজ করতে চেয়েছিলেন, যেটা করার অধিকার রাজাদের ছিল না। (২ বংশা. ২৬:১৬-১৮) তিনি ধূপবেদির উপর ধূপ জ্বালানোর চেষ্টা করেছিলেন। প্রধান মহাযাজক অসরিয় যখন তাকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন, তখন উষিয় তার উপর খুব রেগে গিয়েছিলেন। যিহোবা উষিয়কে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং তার কুষ্ঠ রোগ হয়ে গিয়েছিল। (২ বংশা. ২৬:১৯-২১) দুঃখের বিষয় হল, উষিয় বিশ্বস্তভাবে যিহোবাকে সেবা করার যে-ভালো নাম অর্জন করেছিলেন, সেই নাম তিনি মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। উষিয় যদি সবসময় নম্র থাকতেন, তা হলে তার জীবন কতই-না ভালো হত! প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ১০ অনু. ৯-১০

শুক্রবার, ১৫ আগস্ট

ছিন্নত্বক ব্যক্তিদের ভয়ে তিনি . . . নিজেকে . . . আলাদা রাখতে শুরু করলেন।—গালা. ২:১২.

পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষিক্ত হওয়ার পরও প্রেরিত পিতর ভুল করেছিলেন। ৩৬ খ্রিস্টাব্দে পিতরকে বলা হয়েছিল, তিনি যেন কর্ণীলিয়ের ঘরে যান, যিনি একজন অছিন্নত্বক ন-যিহুদি ছিলেন। তারপর, পবিত্র শক্তির মাধ্যমে কর্ণীলিয়কে অভিষেক করা হয়েছিল। এটা এই বিষয়ের স্পষ্ট প্রমাণ ছিল যে, “ঈশ্বর পক্ষপাতিত্ব করেন না” আর এখন ন-যিহুদিরাও খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর অংশ হতে পারে। (প্রেরিত ১০:৩৪, ৪৪, ৪৫) এরপর থেকে পিতর ন-যিহুদিদের সঙ্গে ওঠা-বসা করতে শুরু করেছিলেন আর সেইসঙ্গে তাদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করতে শুরু করেছিলেন। তিনি হয়তো জীবনে প্রথম বার এইরকম কিছু করছিলেন। কিন্তু, কিছু যিহুদি খ্রিস্টানের মনে হয়েছিল, তাদের ন-যিহুদিদের সঙ্গে খাবার খাওয়া উচিত নয়। যখন এইরকমই কিছু খ্রিস্টান আন্তিয়খিয়ায় এসেছিল, তখন পিতর ন-যিহুদি ভাইদের সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। পিতরের হয়তো এই ভয় ছিল যে, এমনটা করলে যিহুদি খ্রিস্টানদের খারাপ লাগতে পারে। যখন প্রেরিত পৌল এই ভেদাভেদ দেখেছিলেন, তখন তিনি সবার সামনে পিতরকে তিরস্কার করেছিলেন। (গালা. ২:১৩, ১৪) এই ভুলের পরও পিতর ঈশ্বরের সেবা করে গিয়েছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ২২ অনু. ৮

শনিবার, ১৬ আগস্ট

তিনি তোমাদের . . . শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করাবেন।—১ পিতর ৫:১০.

নিজেকে পরীক্ষা করার মাধ্যমে আপনি হয়তো বুঝতে পারবেন, আপনাকে কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে হবে। তবে, নিরুৎসাহিত হবেন না! ‘প্রভু সদয়’ আর তিনি আপনাকে উন্নতি করতে সাহায্য করবেন। (১ পিতর ২:৩) প্রেরিত পিতর আমাদের এই আশ্বাস দিয়েছেন: “ঈশ্বর নিজে তোমাদের পুরোপুরিভাবে প্রশিক্ষিত করবেন। তিনি তোমাদের দৃঢ় করবেন।” একবার পিতরের মনে হয়েছিল, তিনি ঈশ্বরের পুত্রের সামনে দাঁড়িয়ে থাকার যোগ্য নন। (লূক ৫:৮) কিন্তু, তিনি হাল ছেড়ে দেননি। যিহোবা ও যিশুর সাহায্যে তিনি বিশ্বস্তভাবে সেবা করে গিয়েছিলেন। এইজন্য যিহোবা পিতরকে ‘আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যিশু খ্রিস্টের অনন্তকালীন রাজ্যে সগৌরবে প্রবেশ করার অধিকার দিয়েছেন।’ (২ পিতর ১:১১) যিহোবা তাকে কতই-না বড়ো এক পুরস্কার দিয়েছেন! আপনি যদি হাল ছেড়ে না দেন, পিতরের মতো বিশ্বস্তভাবে সেবা করে চলেন এবং তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নেন, তা হলে তিনি আপনাকেও অনন্তজীবন দেবেন। আপনি ‘আপনার বিশ্বাসের ফলে পরিত্রাণ লাভ করবেন।’—১ পিতর ১:৯. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ৩১ অনু. ১৬-১৭

রবিবার, ১৭ আগস্ট

যিনি আকাশ ও পৃথিবী . . . সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উপাসনা করো।—প্রকা. ১৪:৭.

আবাসে একটা প্রাঙ্গণ ছিল, যেটা চারিদিক থেকে কাপড় দিয়ে ঘেরা ছিল। এই প্রাঙ্গণে যাজকেরা সেবা করত। এখানে হোমবলি উৎসর্গ করার জন্য তামার একটা বড়ো বেদি ছিল। এ ছাড়া, প্রাঙ্গণে তামার একটা বড়ো পাত্র ছিল, যেটাতে জল ভরে রাখা হত। পবিত্র সেবা করার আগে যাজক এই জল দিয়ে নিজের হাত-পা ধুয়ে নিজেকে শুচি করতেন। (যাত্রা. ৩০:১৭-২০; ৪০:৬-৮) অভিষিক্ত ব্যক্তিরা এই পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক মন্দিরের ভিতরের প্রাঙ্গণে বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করছে। প্রাঙ্গণে জলের যে-বড়ো পাত্র ছিল, সেটা তাদের এবং সমস্ত বিশ্বস্ত খ্রিস্টানকে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে করিয়ে দেয়। সেটা হল, আমাদের নৈতিকভাবে এবং উপাসনা করার বিষয়ে শুদ্ধ থাকতে হবে। কিন্তু, “বিরাট জনতা” কোথায় সেবা করছে? প্রেরিত যোহন দর্শনে দেখেছিলেন, তারা ঈশ্বরের ‘সিংহাসনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।’ এর মানে হল, তারা পৃথিবীতে মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণে “দিন-রাত [ঈশ্বরকে] পবিত্র সেবা প্রদান করছে।” (প্রকা. ৭:৯, ১৩-১৫) আমরা কতই-না কৃতজ্ঞ যে, যিহোবা আমাদের সবাইকে তাঁর আধ্যাত্মিক মন্দিরে তাঁকে উপাসনা করার এক বিশেষ সুযোগ দিয়েছেন! প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ২৮ অনু. ১৫-১৬

সোমবার, ১৮ আগস্ট

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস ছিল বলে তিনি . . . বিশ্বাসের মাধ্যমে শক্তিশালী হয়েছিলেন।—রোমীয় ৪:২০.

যিহোবা প্রাচীনদের মাধ্যমে আমাদের সাহস বৃদ্ধি করতে পারেন। (যিশা. ৩২:১, ২) তাই, আপনি যখন চিন্তিত থাকেন, তখন প্রাচীনদের কাছে আপনার চিন্তার বিষয়গুলো বলুন। তারা যখন আপনাকে সাহায্য করেন, তখন ইতস্তত বোধ করবেন না বরং তাদের কাছ থেকে সাহায্য নিন। তাদের মাধ্যমে যিহোবা আপনাকে শক্তিশালী করতে পারেন। বাইবেলে আমরা যে-প্রত্যাশা পেয়েছি—হয় চিরকাল পরমদেশ পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা নতুবা স্বর্গে বেঁচে থাকার প্রত্যাশা—তা থেকে আমরা সাহস অথবা শক্তি লাভ করতে পারি। (রোমীয় ৪:৩, ১৮, ১৯) এই প্রত্যাশা আমাদের কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করতে, প্রচার কাজ চালিয়ে যেতে এবং মণ্ডলীতে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করতে শক্তি দেয়। (১ থিষল. ১:৩) প্রেরিত পৌলও এই প্রত্যাশা থেকে অনেক সাহস লাভ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাকে ‘ঘিরে ধরা’ হচ্ছে, তিনি “বিভ্রান্ত,” তার উপর ‘তাড়না’ করা হচ্ছে এবং তাকে “মাটিতে আছড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।” এমনকী তার জীবনও ঝুঁকির মুখে পড়েছিল। (২ করি. ৪:৮-১০) শক্তি লাভ করার জন্য পৌল তার প্রত্যাশার উপর মনোযোগ দিয়েছিলেন। (২ করি. ৪:১৬-১৮) পৌল সবসময় তার প্রত্যাশা নিয়ে চিন্তা করতেন এবং এর মাধ্যমে তিনি অনেক শক্তি লাভ করতেন। তিনি মনে করেছিলেন, তিনি যেন ‘দিন দিন নতুন হচ্ছেন।’ প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ১৫-১৬ অনু. ১৪-১৭

মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট

যিহোবা তাঁর লোকদের শক্তি দেবেন। যিহোবা তাঁর লোকদের শান্তি দিয়ে আশীর্বাদ করবেন।—গীত. ২৯:১১.

প্রার্থনা করার সময় চিন্তা করতে হবে, যিহোবার দিক থেকে দেখলে আমরা যা পেতে চাই, এটা তা দেওয়ার সঠিক সময় কি না। আমরা হয়তো চিন্তা করি, আমাদের প্রার্থনার উত্তর এখনই চাই। তবে সত্যি বলতে কী, যিহোবা জানেন যে, আমাদের সাহায্য করার সঠিক সময় কখন। (ইব্রীয় ৪:১৬) আমরা যখন সঙ্গেসঙ্গে আমাদের প্রার্থনার উত্তর পাই না, তখন আমরা মনে করতে পারি, যিহোবা যেন আমাদের বলছেন, ‘আমি তোমার প্রার্থনার উত্তর দেব না।’ কিন্তু হতে পারে তিনি এটা বলছেন, ‘আমি তোমার প্রার্থনার উত্তর দেব, কিন্তু এখন নয়।’ এমন এক যুবক ভাইয়ের কথা চিন্তা করুন, যিনি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেন যেন তিনি তাকে সুস্থ করে দেন। কিন্তু তিনি সুস্থ হন না। যিহোবা যদি অলৌকিকভাবে সেই ভাইকে সুস্থ করে দিতেন, তা হলে শয়তান হয়তো তাঁকে টিটকারি দিত যে, যিহোবা তাকে সুস্থ করেছেন বলেই তিনি তাঁর সেবা করছেন। (ইয়োব ১:৯-১১; ২:৪) আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, যিহোবা আগে থেকে একটা সময় স্থির করে রেখেছেন, যখন তিনি সমস্ত ধরনের অসুস্থতা দূর করে দেবেন। (যিশা. ৩৩:২৪; প্রকা. ২১:৩, ৪) কিন্তু, সেই সময় না আসা পর্যন্ত আমরা এটা আশা করতে পারি না যে, তিনি অলৌকিকভাবে আমাদের সুস্থ করে দেবেন। তাই, সেই ভাই যিহোবার কাছে প্রার্থনা করতে পারেন যেন তিনি তাকে অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার জন্য এবং বিশ্বস্তভাবে তাঁর সেবা করার জন্য তাকে শক্তি ও মনের শান্তি দেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ২৪ অনু. ১৩

বুধবার, ২০ আগস্ট

তিনি আমাদের পাপ অনুসারে আমাদের প্রতি আচরণ করেননি কিংবা আমাদের ভুল অনুসারে আমাদের শাস্তি দেননি।—গীত. ১০৩:১০.

শিম্‌শোন একটা বড়ো ভুল করেছিলেন, কিন্তু তিনি হাল ছেড়ে দেননি। তিনি এটা মনে রেখেছিলেন, যিহোবা তাকে পলেষ্টীয়দের সঙ্গে লড়াই করার কাজ দিয়েছেন আর শিম্‌শোন সেটা সম্পন্ন করার জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। (বিচার. ১৬:২৮-৩০) তাই, উৎসবের সময়ে শিম্‌শোন হৃদয় উজাড় করে যিহোবার কাছে বিনতি করেছিলেন, যেন তিনি তাকে শেষ বারের মতো শক্তি দেন আর তিনি “পলেষ্টীয়দের উপর প্রতিশোধ নিতে” পারেন। সত্য ঈশ্বর শিম্‌শোনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন এবং তারপর তিনি তাকে প্রচুর শক্তি দিয়েছিলেন। এর ফলাফল কী হয়েছিল? শিম্‌শোন তার জীবনকালে যত পলেষ্টীয়কে মেরেছিলেন, সেটার চেয়েও অনেক বেশি পলেষ্টীয়কে তিনি এই সুযোগে মেরেছিলেন। যদিও শিম্‌শোনকে তার ভুলের ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল, তারপরও তিনি যিহোবার ইচ্ছা পূরণ করার চেষ্টা করে গিয়েছিলেন। একইভাবে, আমরা যদি কোনো ভুল করে ফেলি আর আমাদের সংশোধন করা হয় কিংবা আমাদের কাছ থেকে যদি কোনো দায়িত্ব নিয়ে নেওয়া হয়, তা হলে আমাদের হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। মনে রাখবেন, যিহোবা আমাদের ক্ষমা করার জন্য প্রস্তুত। তিনি কখনো আমাদের একা ছেড়ে দেন না, তাই আমাদেরও তাঁর সেবা করা কখনো বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। (গীত. ১০৩:৮, ৯) আমাদের দ্বারা ভুল হওয়া সত্ত্বেও যিহোবা আমাদের তাঁর ইচ্ছা পূরণ করার জন্য শক্তি দিতে পারেন, যেমনটা তিনি শিম্‌শোনকে দিয়েছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ৬ অনু. ১৫-১৬

বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট

ধৈর্য আমাদের ঈশ্বরের সামনে অনুমোদন লাভ করতে সাহায্য করে এবং এই অনুমোদন আমাদের আশা প্রদান করে।—রোমীয় ৫:৪.

ধৈর্য ধরলে যিহোবা আমাদের উপর খুশি হন। এর মানে এই নয়, আপনার উপর সমস্যা আসছে বলে যিহোবা খুশি। তিনি এই বিষয়টা দেখে খুশি হন যে, সমস্যা এলেও আপনি ধৈর্য ধরে সেটার সঙ্গে মোকাবিলা করেন এবং বিশ্বস্তভাবে তাঁর সেবা করে চলেন। এটা জেনে আমরা কতই-না উৎসাহিত হই যে, আমরা যখন ধৈর্য ধরি, তখন আমরা যিহোবার হৃদয়কে আনন্দিত করি। (গীত. ৫:১২) অব্রাহামের বিষয়ে একটু চিন্তা করুন। তিনি ধৈর্য ধরে অনেক সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করেছিলেন এবং যিহোবা তার উপর খুশি ছিলেন। যিহোবা তাকে বন্ধু হিসেবে দেখেছিলেন এবং তাকে ধার্মিক বলেছিলেন। (আদি. ১৫:৬; রোমীয় ৪:১৩, ২২) যিহোবা আমাদের দেখেও খুশি হতে পারেন। কিন্তু, তিনি এটা দেখে খুশি হন না যে, আমরা তাঁর জন্য কত কাজ করছি এবং কোন কোন দায়িত্ব পালন করছি। যিহোবা এটা দেখে খুশি হন যে, কীভাবে আমরা ধৈর্য ধরে সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করছি এবং বিশ্বস্তভাবে তাঁর সেবা করে যাচ্ছি। আমাদের বয়স যা-ই হোক না কেন, আমরা যে-পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন অথবা আমাদের যে-দক্ষতাই থাকুক না কেন, আমরা সবাই ধৈর্য ধরতে পারি। আপনি কি বর্তমানে কোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করে চলেছেন? এর উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তা হলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, যিহোবা আপনাকে দেখে খুশি। আর আমরা যখন এটা অনুভব করি, তখন আমাদের আশা আরও দৃঢ় হয়ে যায়। প্রহরীদুর্গ ২৩.১২ ১১ অনু. ১৩-১৪

শুক্রবার, ২২ আগস্ট

পরিণত ব্যক্তি . . . [হও।]—ইফি. ৪:১৩.

একজন ভাইয়ের জন্য ভালোভাবে কথা বলার দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে-ভাইয়ের এই দক্ষতা রয়েছে, তিনি মন দিয়ে অন্যদের কথা শোনেন এবং এটা বোঝার চেষ্টা করেন যে, সেই ব্যক্তি কী চিন্তা করছেন অথবা কেমন অনুভব করছেন। (হিতো. ২০:৫) সেই ব্যক্তির বলার ধরন, তার মুখ এবং তার হাবভাব দেখে ভাই অনেক কিছু বুঝতে পারেন। তোমরা যখন লোকদের সঙ্গে সময় কাটাবে, তখনই তোমরা এমনটা করতে পারবে। তোমরা যদি সবসময় ই-মেইল অথবা ম্যাসেজের মাধ্যমে লোকদের সঙ্গে কথা বল, তা হলে সামনাসামনি গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলা কঠিন বলে মনে হবে। তাই, লোকদের সঙ্গে দেখা করা এবং তাদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলার চেষ্টা করো। (২ যোহন ১২) এ ছাড়া, একজন পরিপক্ব খ্রিস্টানকে নিজের এবং নিজের পরিবারের যত্ন নিতে হবে। (১ তীম. ৫:৮) কোনো না কোনো দক্ষতা অর্জন করলে তুমি চাকরি খুঁজে পাবে। (প্রেরিত ১৮:২, ৩; ২০:৩৪; ইফি. ৪:২৮) তাই, পরিশ্রম করতে শেখো এবং তোমাকে যে-কাজ দেওয়া হয়, তা করতে শেখো। এর ফলে, তুমি এক সুনাম অর্জন করবে। এমনটা করলে তুমি সহজেই একটা চাকরি খুঁজতে পাবে এবং সেটা করে চলতে পারবে। প্রহরীদুর্গ ২৩.১২ ২৭ অনু. ১২-১৩

শনিবার, ২৩ আগস্ট

রাতের বেলায় যেমন চোর আসে, যিহোবার দিনও ঠিক সেভাবে আসবে।—১ থিষল. ৫:২.

বাইবেলে অনেক বার ‘যিহোবার দিন’ সম্বন্ধে বলা হয়েছে। এই দিন সেই সময়কে বোঝায়, যখন যিহোবা তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করেন এবং তাঁর লোকদের রক্ষা করেন। অতীতে, যিহোবা অনেক বার তাঁর শত্রুদের ধ্বংস করেছিলেন। (যিশা. ১৩:১, ৬; যিহি. ১৩:৫; সফ. ১:৮) আমাদের সময়ে ‘যিহোবার দিন’ সেইসময় শুরু হবে, যখন মহতী বাবিলের উপর আক্রমণ করা হবে আর এটা আরমাগিদোন যুদ্ধের মাধ্যমে শেষ হবে। আমরা যদি সেই ‘দিনে’ রক্ষা পেতে চাই, তা হলে আমাদের এখন থেকেই নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। এই দিন সম্বন্ধে যিশুও তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন। লক্ষ করুন, তিনি এটা বলেননি যে, ‘মহাক্লেশের’ জন্য প্রস্তুত হও বরং তিনি বলেছিলেন, এরজন্য “প্রস্তুত থেকো।” এর মানে হল, সেই দিনের জন্য আমাদের সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। (মথি ২৪:২১; লূক ১২:৪০) প্রেরিত পৌল থিষলনীকীর খ্রিস্টানদের যে-প্রথম চিঠি লিখেছিলেন, সেখানে তিনি যিহোবার মহাদিন সম্বন্ধে বলেছিলেন। তিনি অনেক উদাহরণ ব্যবহার করে এটা বুঝতে সাহায্য করেছিলেন, কীভাবে তারা সেই দিনের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারে। পৌল জানতেন, যিহোবার দিন সেইসময় আসবে না। (২ থিষল. ২:১-৩) তারপরও তিনি তার ভাইদের কাছে অনুরোধ করেছিলেন যে, তারা সেই দিনের জন্য এমনভাবে প্রস্তুত থাকে, যেন সেটা কালকেই আসতে যাচ্ছে। তিনি তাদের যা বলেছিলেন, তা থেকে আজ আমরাও অনেক কিছু শিখতে পারি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ৮ অনু. ১-২

রবিবার, ২৪ আগস্ট

হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, তোমরা দৃঢ় থাকো, সুস্থির থাকো।—১ করি. ১৫:৫৮.

উনিশ-শো আটাত্তর সালে জাপানের টোকিও শহরে একটা ৬০-তলা বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। তাই, লোকেরা ভাবছিল, এই বিল্ডিংটা কীভাবে টিকে থাকবে। কিন্তু, সেটা টিকে ছিল। আসলে, এই উঁচু বিল্ডিংটাকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল যেন সেটা মজবুত থাকে এবং সামান্য দুলতেও পারে, যাতে ভূমিকম্প হলে সেটা ভেঙে না পড়ে। বলতে গেলে, খ্রিস্টানেরাও সেই উঁচু বিল্ডিংয়ের মতো। কীভাবে? একজন খ্রিস্টানেরও দৃঢ় এবং মজবুত থাকা উচিত, কিন্তু এর পাশাপাশি মেনে নিতে ইচ্ছুক বা রদবদল করার জন্যও প্রস্তুত থাকা উচিত। যিহোবার আইন মেনে চলার এবং তাঁর মান অনুযায়ী জীবনযাপন করার বিষয়টা যখন আসে, তখন তার এই বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হওয়া উচিত, যেকোনো পরিস্থিতিতে তিনি সেটা করবেন। তাকে যিহোবার “বাধ্য হতে প্রস্তুত” থাকা উচিত এবং কখনোই তাঁর মানের বিরুদ্ধে আপোশ করা উচিত নয়। এর পাশাপাশি, তার একজন “যুক্তিবাদী” ব্যক্তি হওয়া উচিত এবং যখন প্রয়োজন বা সম্ভব, তখন রদবদল করার জন্যও প্রস্তুত থাকা উচিত। (যাকোব ৩:১৭) এইরকম একজন খ্রিস্টান একগুঁয়ে মনোভাব দেখান না, আবার এমনটাও চিন্তা করেন না, ‘আজকাল সব কিছুই চলে।’ প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ১৪ অনু. ১-২

সোমবার, ২৫ আগস্ট

যদিও তোমরা কখনো খ্রিস্টকে দেখনি, তবুও তোমরা তাঁকে ভালোবাস।—১ পিতর ১:৮.

শয়তান যিশুকে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেছিল যেন তিনি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত না থাকেন। (মথি ৪:১-১১) শয়তান স্থির করে নিয়েছিল, সে যিশুকে দিয়ে পাপ করাবেই, যাতে তিনি মুক্তির মূল্য না দিতে পারেন। যিশু যখন পৃথিবীতে তাঁর সেবা শুরু করেছিলেন, তখন তাঁকে আরও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তাঁর শত্রুরা তাঁকে তাড়না করেছিল আর এমনকী তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। (লূক ৪:২৮, ২৯; ১৩:৩১) তাঁর শিষ্যেরা যে-ভুলগুলো করেছিল, সেগুলোর পরিণতি তাঁকেই ভোগ করতে হয়েছিল। (মার্ক ৯:৩৩, ৩৪) আর যখন তাঁর বিচার করা হয়েছিল, তখন লোকেরা তাঁকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করেছিল এবং অনেক কষ্ট দিয়েছিল। তাঁকে একজন অপরাধীর মতো খুবই নিষ্ঠুরভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল। (ইব্রীয় ১২:১-৩) মারা যাওয়ার আগের মুহূর্তগুলোতে তাঁকে যে-কষ্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল, সেগুলো তাঁকে যিহোবার সাহায্য ছাড়াই সহ্য করতে হয়েছিল। (মথি ২৭:৪৬) মুক্তির মূল্য দেওয়ার জন্য যিশুকে কত কিছুই-না সহ্য করতে হয়েছে! আমরা যখন এই বিষয়ে চিন্তা করি, তখন আমাদের হৃদয় তাঁর প্রতি ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে, তাই না? প্রহরীদুর্গ ২৪.০১ ১০-১১ অনু. ৭-৯

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট

যে-সমস্ত ব্যক্তি তাড়াহুড়ো করে, তারা নিশ্চিতভাবেই গরিব হয়ে পড়বে। —হিতো. ২১:৫.

ধৈর্য ধরার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো থাকে। ধৈর্য থাকলে আমরা অন্যদের কথা মন দিয়ে শুনব। (যাকোব ১:১৯) আমাদের মধ্যে শান্তি বজায় থাকবে। আমরা যখন চাপের মধ্যে থাকব, তখন আমরা চিন্তাভাবনা না করেই কিছু করব না আর সেইসঙ্গে কাউকে আঘাত দিয়ে কথাও বলব না। এ ছাড়া, কেউ যদি আমাদের আঘাত দেয়, তা হলে আমরা দ্রুত রেগে যাব না এবং প্রতিশোধ নেওয়ারও চেষ্টা করব না। এর পরিবর্তে, আমরা ‘সবসময় একে অন্যকে সহ্য করব এবং পরস্পরকে পুরোপুরিভাবে ক্ষমা করব।’ (কল. ৩:১২, ১৩) ধৈর্য ধরার মাধ্যমে আমরা সঠিক সিদ্ধান্তও নিতে পারি। আমরা চিন্তাভাবনা না করেই কিংবা তাড়াহুড়ো করে কিছু করি না। এর পরিবর্তে, আমরা সময় নিয়ে একটু গবেষণা করি আর চিন্তা করি যে, কী করলে সবচেয়ে ভালো হবে। উদাহরণ স্বরূপ, আমরা যদি কোনো চাকরির খোঁজে থাকি, তা হলে আমাদের হয়তো ইচ্ছে করবে যে, আমরা প্রথমে যে-চাকরিটা খুঁজে পেয়েছি, সেটাই করতে শুরু করি। তবে, আমরা যদি ধৈর্য ধরি, তা হলে আমরা সময় বের করে একটু চিন্তা করব যে, সেটা আমার পরিবার এবং যিহোবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল, আমরা যদি ধৈর্য ধরি, তা হলে আমরা এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না, যেটার কারণে আমাদের হয়তো পরবর্তী সময়ে আপশোস করতে হবে। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ২২ অনু. ৮-৯

বুধবার, ২৭ আগস্ট

আমি আমার দেহে আরেকটা আইন দেখতে পাই, যা আমার মনের আইনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আমার দেহে পাপের যে-আইন রয়েছে, সেটার কাছে আমাকে বন্দি করে।—রোমীয় ৭:২৩.

আমাদেরও হয়তো নিজেদের আকাঙ্ক্ষাগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন বলে মনে হয় আর কখনো কখনো আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। তবে, আমরা যদি উৎসর্গীকরণের প্রতিজ্ঞার কথা মাথায় রাখি, তা হলে আমাদের সামনে যেকোনো পরীক্ষাই আসুক না কেন, আমরা সেটা মোকাবিলা করতে পারব। কীভাবে? আপনি যখন যিহোবার কাছে নিজের জীবন উৎসর্গ করে দেন, তখন আপনি নিজেকে অস্বীকার করেন অর্থাৎ আপনি আপনার সেইসমস্ত আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করেন, যেগুলো যিহোবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। (মথি ১৬:২৪) তাই যখন কোনো প্রলোভন অথবা সমস্যা আসে, তখন আপনাকে অতিরিক্ত চিন্তা করতে হয় না যে, আপনি কী করবেন বা কী করবেন না। কেন? কারণ আপনি আগে থেকে স্থির করে রেখেছেন, জীবনে যা-ই ঘটুক না কেন, আপনি সবসময় যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবেন। আপনি সেটাই করবেন, যেটা দেখে তিনি খুশি হবেন। এমনটা করার মাধ্যমে আপনি ইয়োবের মতো হতে পারবেন। তার উপর অনেক বড়ো বড়ো সমস্যা এসেছিল, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি বলেছিলেন, “আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন আমার বিশ্বস্ততা পরিত্যাগ করব না!”—ইয়োব ২৭:৫. প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ৯ অনু. ৬-৭

বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট

যিহোবা সেইসমস্ত ব্যক্তির কাছে রয়েছেন, যারা তাঁকে ডাকে, যারা আন্তরিকভাবে তাঁকে ডাকে।—গীত. ১৪৫:১৮.

‘প্রেমের ঈশ্বর’ যিহোবা সবসময় আমাদের সঙ্গে আছেন। (২ করি. ১৩:১১) তিনি আমাদের প্রত্যেকের জন্য চিন্তা করেন। আমরা সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারি, ‘সদাপ্রভুর অটল ভালোবাসা আমাদের ঘিরে রাখে।’ (গীত. ৩২:১০; বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারশন) আমরা যত বেশি এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করব যে, যিহোবা আমাদের কত ভালোবাসেন, তত বেশি তিনি আমাদের কাছে বাস্তব হয়ে উঠবেন এবং আমরা তাঁর নিকটবর্তী হতে পারব। আমরা মন খুলে তাঁর কাছে প্রার্থনা করতে পারব এবং বলতে পারব, তাঁর ভালোবাসা ছাড়া আমরা বেঁচে থাকতে পারি না। আমরা তাঁকে আমাদের মনের সমস্ত চিন্তা এবং আমাদের সমস্যাগুলোর বিষয়ে বলতে পারব আর নিশ্চিত থাকব যে, তিনি আমাদের বোঝেন এবং আমাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। (গীত. ১৪৫:১৯) শীত কালে যদি কোথাও আগুন জ্বলে, তা হলে আমরা সেটার দিকে যাই। একইভাবে, যিহোবার ভালোবাসাও খুব শীতে জ্বলতে থাকা আগুনের মতো, যেটার উষ্ণতা আমাদের তাঁর প্রতি আকর্ষণ করে। এই ভালোবাসা অনেক শক্তিশালী আর একইসঙ্গে অনেক কোমল। সত্যিই, যিহোবা আমাদের খুব ভালোবাসেন। তাই, আমরাও যেন সবাই মন থেকে বলি, ‘যিহোবা, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি।’—গীত. ১১৬:১. প্রহরীদুর্গ ২৪.০১ ৩১ অনু. ১৯-২০

শুক্রবার, ২৯ আগস্ট

আমি তোমার নাম তাদের জানিয়েছি।—যোহন ১৭:২৬.

যিশু লোকদের শুধুমাত্র এটা বলতেন না যে, ঈশ্বরের নাম যিহোবা। তিনি যে-যিহুদিদের শেখাতেন, তারা আগে থেকেই ঈশ্বরের নাম জানত। তারপরও, তিনি উদ্যোগের সঙ্গে তাদের কাছে ‘[তাঁর পিতাকে] প্রকাশ করেছিলেন।’ (যোহন ১:১৭, ১৮) যেমন, ইব্রীয় শাস্ত্রে বলা হয়েছে, যিহোবা স্নেহশীল ও কৃপাময় ঈশ্বর। (যাত্রা. ৩৪:৫-৭) তবে, এই বিষয়টা আরও ভালো করে বোঝানোর জন্য যিশু হারানো ছেলে এবং তার বাবার দৃষ্টান্ত দিয়েছিলেন। বাইবেলে আমরা পড়ি, ছেলে যখন অনুতপ্ত হয়, তখন সে ঘরে তার বাবার কাছে ফিরে আসে। তবে, ‘সে দূরে থাকতেই তার বাবা তাকে দেখতে পান’ এবং তিনি দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন। তিনি মন থেকে তাকে ক্ষমা করে দেন। এখান থেকে আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারি যে, যিহোবা কতটা করুণাময় ঈশ্বর এবং তাঁর হৃদয়ে কতটা সমবেদনা রয়েছে। (লূক ১৫:১১-৩২) সত্যিই, যিশু আমাদের তাঁর পিতার অবিকল প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন। প্রহরীদুর্গ ২৪.০২ ১০ অনু. ৮-৯

শনিবার, ৩০ আগস্ট

আমরা ঈশ্বরের কাছ থেকে যে-সান্ত্বনা পেয়েছি, সেই সান্ত্বনার দ্বারা অন্যদের . . . সান্ত্বনা দিতে পারি।—২ করি. ১:৪.

যিহোবা দুঃখী অথবা হতাশ লোকদের যে-সান্ত্বনা দেন, সেটা থেকে তারা সতেজতা লাভ করে। যিহোবার মতো আমাদের হৃদয়েও লোকদের প্রতি সমবেদনা থাকা উচিত এবং তাদের সান্ত্বনা দেওয়া উচিত। কীভাবে আমরা তা করতে পারি? একটা উপায় হল, আমরা নিজেদের মধ্যে এমন গুণ গড়ে তুলতে পারি, যেগুলোর কারণে আমরা অন্যদের সান্ত্বনা দিতে চাইব। এই গুণগুলোর মধ্যে কয়েকটা গুণ কী? একে অন্যের প্রতি প্রেম দেখানো এবং “সবসময় একে অন্যকে সান্ত্বনা” দেওয়ার জন্য আমাদের কী করতে হবে? (১থিষল. ৪:১৮) আমাদের একে অন্যের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে হবে, ভ্রাতৃপ্রেম দেখাতে হবে এবং দয়া দেখাতে হবে। (কল. ৩:১২; ১পিতর ৩:৮) যখন এই সমস্ত কিছু করা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন ভাই-বোনদের কষ্টে দেখে আমরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারব না, আমরা তাদের সান্ত্বনা দেব। যিশুও বলেছিলেন, “হৃদয় যা দিয়ে পূর্ণ থাকে, মুখ সেটাই বলে। একজন ভালো ব্যক্তি তার ভালো ভাণ্ডার থেকে ভালো জিনিস বের করে।” (মথি ১২:৩৪, ৩৫) যে-ভাই-বোনেরা কষ্টের মধ্যে রয়েছে, তাদের সান্ত্বনা দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে তারা বুঝতে পারবে, আমরা তাদের কত ভালোবাসি। প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ১০ অনু. ১০-১১

রবিবার, ৩১ আগস্ট

কেবল বুদ্ধিমানেরাই বুঝিবে।—দানি. ১২:১০.

আমরা যদি বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী বুঝতে চাই, তা হলে আমাদের কারো সাহায্য নিতে হবে। একটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন। ধরুন, আপনি এমন একটা জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন, যেখানকার বিষয়ে আপনি খুব-একটা জানেন না। কিন্তু, আপনার একজন বন্ধু আপনার সঙ্গে এসেছেন। আপনার বন্ধু সেই জায়গার বিষয়ে খুব ভালোভাবে জানেন। তিনি জানেন, আপনি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছেন এবং কোন রাস্তা কোথায় নিয়ে যাবে। আপনি কতই-না খুশি হবেন যে, আপনার বন্ধু আপনার সঙ্গে এসেছেন! যিহোবাও সেই বন্ধুর মতো। তিনি জানেন, আমরা কোন সময়ে বাস করছি আর আমরা যে-রাস্তায় চলছি, সেটা কোথায় নিয়ে যাবে অর্থাৎ আমাদের ভবিষ্যৎ কেমন হবে। তাই, বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী বোঝার জন্য আমাদের নম্র হয়ে যিহোবার কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবে। (দানি. ২:২৮; ২ পিতর ১:১৯, ২০) সমস্ত বাবা-মা চায়, তাদের সন্তানেরা যেন আনন্দে থাকে এবং তাদের ভবিষ্যৎ ভালো হয়। যিহোবাও তাঁর সমস্ত সন্তানের জন্য ঠিক এটাই চান। (যির. ২৯:১১) বাবা-মায়েরা এটা জানে না যে, পরবর্তী সময়ে তাদের সন্তানদের জীবন কেমন হবে। কিন্তু, যিহোবা জানেন। তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেন, ভবিষ্যতে কী হবে। তাই, তিনি তাঁর বাক্যে ভবিষ্যদ্‌বাণীগুলো লিখিয়েছেন, যেগুলো পড়ার মাধ্যমে আমরা আগে থেকে জানতে পারি, পরবর্তী সময়ে কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে।—যিশা. ৪৬:১০. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৮ ৮-৯ অনু. ৩-৪

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার