ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • es25 পৃষ্ঠা ৮৪-৯৭
  • জুলাই

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • জুলাই
  • প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করা—২০২৫
  • উপশিরোনাম
  • মঙ্গলবার, ১ জুলাই
  • বুধবার, ২ জুলাই
  • বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই
  • শুক্রবার, ৪ জুলাই
  • শনিবার, ৫ জুলাই
  • রবিবার, ৬ জুলাই
  • সোমবার, ৭ জুলাই
  • মঙ্গলবার, ৮ জুলাই
  • বুধবার, ৯ জুলাই
  • বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই
  • শুক্রবার, ১১ জুলাই
  • শনিবার, ১২ জুলাই
  • রবিবার, ১৩ জুলাই
  • সোমবার, ১৪ জুলাই
  • মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই
  • বুধবার, ১৬ জুলাই
  • বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই
  • শুক্রবার, ১৮ জুলাই
  • শনিবার, ১৯ জুলাই
  • রবিবার, ২০ জুলাই
  • সোমবার, ২১ জুলাই
  • মঙ্গলবার, ২২ জুলাই
  • বুধবার, ২৩ জুলাই
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই
  • শুক্রবার, ২৫ জুলাই
  • শনিবার, ২৬ জুলাই
  • রবিবার, ২৭ জুলাই
  • সোমবার, ২৮ জুলাই
  • মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই
  • বুধবার, ৩০ জুলাই
  • বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই
প্রতিদিন শাস্ত্র পরীক্ষা করা—২০২৫
es25 পৃষ্ঠা ৮৪-৯৭

জুলাই

মঙ্গলবার, ১ জুলাই

তিনি সমগ্র অঞ্চলে গিয়ে ভালো ভালো কাজ করতেন এবং . . . তাদের সুস্থ করতেন।—প্রেরিত ১০:৩৮.

যিশু হুবহু তাঁর পিতার মতো। তাই, তিনি যা করেছিলেন বা বলেছিলেন কিংবা যে-অলৌকিক কাজগুলো করেছিলেন, তা থেকে আমরা জানতে পারি যে, যিহোবা কীভাবে চিন্তা করেন এবং অনুভব করেন। (যোহন ১৪:৯) আমরা যিশুর অলৌকিক কাজগুলো থেকে কোন শিক্ষা লাভ করতে পারি? যিশু এবং তাঁর পিতা আমাদের অনেক ভালোবাসেন। যিশু যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তখন তাঁর কাজগুলো থেকে জানা যায় যে, তিনি লোকদের কতটা ভালোবাসেন। ভালোবাসার কারণেই তিনি অলৌকিকভাবে লোকদের কষ্ট দূর করেছিলেন। একবার দু-জন অন্ধ ব্যক্তি সাহায্যের জন্য চিৎকার করে যিশুকে ডাকতে শুরু করে। (মথি ২০:৩০-৩৪) তাদের দেখে যিশুর “গভীর সমবেদনা বোধ” হয় এবং তিনি তাদের সুস্থ করেন। যিশু লোকদের ভালোবাসেন বলেই তাঁর হৃদয়ে লোকদের জন্য এত সমবেদনা রয়েছে। এই সমবেদনার কারণে তিনি লোকদের খাইয়েছিলেন আর একবার তিনি একজন কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করেছিলেন। (মথি ১৫:৩২; মার্ক ১:৪১) এটা থেকে আমরা নিশ্চিত হতে পারি, লোকদের জন্য যিহোবার ‘কোমল সমবেদনা’ রয়েছে এবং তাঁর পুত্র যিশু আমাদের অনেক ভালোবাসেন। আমাদের কষ্টের মধ্যে দেখে তাঁরাও কষ্ট পান। (লূক ১:৭৮; ১ পিতর ৫:৭) যিহোবা ও যিশু অধীর আগ্রহে সেই দিনের জন্য অপেক্ষা করছেন, যখন তাঁরা মানুষের সমস্ত কষ্ট চিরকালের জন্য দূর করে দেবেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৪ ৩ অনু. ৪-৫

বুধবার, ২ জুলাই

তোমরা যারা যিহোবাকে ভালোবাস, মন্দতাকে ঘৃণা করো। তিনি তাঁর অনুগত ব্যক্তিদের জীবন সুরক্ষিত রাখেন, তিনি মন্দ ব্যক্তিদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করেন।—গীত. ৯৭:১০.

আমাদের কঠোর প্রচেষ্টা করতে হবে যেন আমরা এমন আমোদপ্রমোদ বাছাই না করি, যেটার কারণে আমাদের মনে মন্দ বিষয়গুলো ভরে যেতে পারে আর যেগুলো শয়তানের এই জগৎ খারাপ বলে মনে করে না। আমরা আর কী করতে পারি? আমরা বাইবেল পড়তে পারি এবং তা নিয়ে অধ্যয়ন করে আমাদের মনে ভালো বিষয়গুলো ভরতে পারি। সভাগুলোতে যাওয়া এবং প্রচার করার মাধ্যমেও আমাদের মন ভালো বিষয় দিয়ে ভরে যাবে। যিহোবা আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছেন, আমরা যদি তা করি, তা হলে তিনি আমাদের এমন যেকোনো পরীক্ষার মুখে পড়তে দেবেন না, যেটা আমরা সহ্য করতে পারব না। (১ করি. ১০:১২, ১৩) সমস্যায় ভরা এই শেষকালে আমাদের প্রত্যেকের আরও বেশি করে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করার প্রয়োজন রয়েছে। তা হলেই আমরা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারব। যিহোবাও চান যেন আমরা ‘তাঁহারই সম্মুখে আমাদের মনের কথা ভাঙ্গিয়া বলি।’ (গীত. ৬২:৮) তাঁর প্রশংসা করুন এবং তিনি আপনার জন্য যা-কিছু করেছেন, সেগুলোর জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিন। প্রচার করার জন্য তাঁর কাছে সাহস চান। যিহোবার কাছে বিনতি করুন, যেন তিনি সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে এবং মন্দ আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে সাহায্য করেন। এই বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হোন যে, কোনো ব্যক্তি বা কোনো কিছুই যেন আপনাকে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করার ক্ষেত্রে বাধা না দেয়। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ৭ অনু. ১৭-১৮

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই

এসো, আমরা একে অন্যের প্রতি মনোযোগ দিই . . . একে অন্যকে উৎসাহিত করি।—ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫.

আমরা কেন মণ্ডলীর সভাগুলোতে যাই? এর প্রধান কারণ হল, আমরা যিহোবার প্রশংসা করতে পারি। (গীত. ২৬:১২; ১১১:১) আর সভাগুলোতে যাওয়ার আরেকটা কারণ হল, আমরা এই কঠিন সময়ে একে অন্যকে উৎসাহিত করতে পারি। (১ থিষল. ৫:১১) আমরা যখন সভাগুলোতে হাত তুলি এবং উত্তর দিই, তখন আমরা দুটো কাজই একসঙ্গে করি। কিন্তু, যখন উত্তর দেওয়ার বিষয়টা আসে, তখন আমাদের সামনে কিছু প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসতে পারে। আমরা হয়তো উত্তর দিতে ভয় পাই অথবা আমরা হয়তো অনেক উত্তর দিতে চাই, কিন্তু অনেকসময় হতে পারে আমাদের জিজ্ঞেস করা হয় না। কীভাবে আমরা এইরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারি? প্রেরিত পৌল বলেছিলেন, আমাদের ‘একে অন্যকে উৎসাহিত করার’ উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের সংক্ষিপ্ত উত্তর থেকেও ভাই-বোনেরা অনেক উৎসাহ লাভ করতে পারে। আমরা যদি এটা মনে রাখি, তা হলে আমরা উত্তর দেওয়ার জন্য হাত তুলতে ইতস্তত বোধ করব না। আর আমাদের যদি প্রায়ই জিজ্ঞেস করা না হয়, তা হলেও আমরা খুশি হতে পারি যে, অন্য ভাই-বোনেরা উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।—১ পিতর ৩:৮. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৪ ২০ অনু. ১-৩

শুক্রবার, ৪ জুলাই

জেরুসালেমে গিয়ে . . . যিহোবার গৃহ পুনর্নির্মাণ [করো।]—ইষ্রা ১:৩.

ব্যাবিলনে একটা আদেশ জারি করা হয়। যিহুদিরা তাদের নিজেদের দেশ ইজরায়েলে ফিরে যেতে পারে! তারা ৭০ বছর ধরে ব্যাবিলনে বন্দি ছিল। কিন্তু এখন, তারা মুক্ত হয়ে যায়। (ইষ্রা ১:২-৪) এটা যিহোবার কারণেই সম্ভব হয়েছে। কারণ ব্যাবিলনীয়েরা সাধারণত তাদের বন্দিদের মুক্ত করত না। (যিশা. ১৪:৪, ১৭) কিন্তু এখন, ব্যাবিলনের গদি উলটে যায়। এখন সেখানে যিনি রাজা হয়েছেন, তিনি যিহুদিদের বলেন যে, তারা যেতে পারে। তাই, এখন প্রত্যেক যিহুদিকে, বিশেষভাবে পরিবারের মস্তককে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে: তাদের পরিবার কি ব্যাবিলন ছেড়ে ইজরায়েলে চলে যাবে, না কি ব্যাবিলনেই থাকবে? কিন্তু, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়তো তাদের জন্য সহজ ছিল না। অনেক যিহুদির বয়স হয়ে গিয়েছিল। এই কারণে এত দীর্ঘযাত্রা করা তাদের জন্য খুবই কঠিন হত। এ ছাড়া, বেশিরভাগ যিহুদি ব্যাবিলনেই জন্মগ্রহণ করেছিল। যিহুদিরা মনে করত, তাদের সমস্ত কিছু এখানেই রয়েছে, ইজরায়েল তো তাদের পূর্বপুরুষদের দেশ। আর এমনটা মনে করা হয়, কিছু যিহুদি সেখানে অনেক ধনী হয়ে গিয়েছিল এবং আরামে জীবন কাটাচ্ছিল। তাই, তাদের হয়তো মনে হয়েছিল, ‘এখানকার আরাম-আয়েশের জীবন এবং সফল ব্যাবসা ছেড়ে একটা অজানা দেশে গিয়ে বাস করা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে?’ প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ১৪ অনু. ১-২

শনিবার, ৫ জুলাই

সর্বদা প্রস্তুত থেকো।—মথি ২৪:৪৪.

ঈশ্বরের বাক্য আমাদের উৎসাহিত করে, আমরা যেন ধৈর্য ধরি এবং আমাদের হৃদয়ে অন্যদের প্রতি সমবেদনা ও ভালোবাসা বৃদ্ধি করে চলি। যেমন, লূক ২১:১৯ পদে লেখা আছে: “তোমরা শেষ পর্যন্ত ধৈর্য ধরার দ্বারা তোমাদের জীবন রক্ষা করবে।” কলসীয় ৩:১২ পদে লেখা আছে: ‘সমবেদনাকে কাপড়ের মতো পরিধান করো।’ আর ১ থিষলনীকীয় ৪:৯, ১০ পদে লেখা আছে: “একে অন্যকে প্রেম করার বিষয়ে তোমরা তো ঈশ্বরের কাছ থেকেই শিক্ষা পেয়েছ। . . . কিন্তু, হে ভাইয়েরা, আমরা তোমাদের উৎসাহিত করছি, যেন তোমরা আরও বেশি করে প্রেম দেখাও।” এই পদে লেখা কথাগুলো সেই খ্রিস্টানদের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, যারা ইতিমধ্যেই ধৈর্য ধরছিল এবং যাদের হৃদয়ে অন্যদের প্রতি সমবেদনা ও ভালোবাসা ছিল। কিন্তু, তাদের এই গুণগুলো নিজেদের মধ্যে বৃদ্ধি করে চলতে হত। আপনাদেরও এমনটা করতে হবে। লক্ষ করুন, প্রথম শতাব্দীর খ্রিস্টানেরা এই তিনটে গুণ কীভাবে দেখিয়েছিল। তা হলে আপনারা জানতে পারবেন, কীভাবে আপনি তাদের মতো হতে পারেন। এভাবে আপনি মহাক্লেশের জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন। এভাবে আপনি যখন আজ ধৈর্য ধরতে শিখবেন, তখন আপনি মহাক্লেশের সময়ে সমস্যাগুলোর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারবেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ৩ অনু. ৪, ৮

রবিবার, ৬ জুলাই

সেই স্থানে এক রাজপথ হইবে; তাহা পবিত্রতার পথ বলিয়া আখ্যাত হইবে।—যিশা. ৩৫:৮.

আমরা অভিষিক্ত খ্রিস্টান কিংবা “আরও মেষ” যে-ই হই না কেন, আমাদের সবাইকে ক্রমাগত এই ‘পবিত্রতার পথে’ চলতে হবে। এই পথে চলার মাধ্যমে আজ আমরা যিহোবার উপাসনা করতে পারি। আর ভবিষ্যতে যখন ঈশ্বরের রাজ্য পৃথিবীতে শাসন করতে শুরু করবে, তখন আমরা সবাই আরও অনেক আশীর্বাদ পাব। (যোহন ১০:১৬) ১৯১৯ সাল থেকে লক্ষ লক্ষ পুরুষ, নারী এবং সন্তান মহতী বাবিল অর্থাৎ মিথ্যা ধর্মের বিশ্বসাম্রাজ্য ছেড়ে এই পথে চলতে শুরু করেছে। যিহোবা এই বিষয়টা খেয়াল রেখেছিলেন, যে-যিহুদিরা ব্যাবিলন ছেড়ে যাচ্ছিল, তাদের পথ থেকে যেন যেকোনো বাধা সরিয়ে দেওয়া হয়। (যিশা. ৫৭:১৪) বর্তমানে যিহোবা কীভাবে “পবিত্রতার পথ” থেকে প্রতিটা বাধা সরিয়ে দিয়েছেন? ১৯১৯ সালের শত শত বছর আগে এমন অনেক ব্যক্তি ছিল, যারা ঈশ্বরকে খুবই সম্মান করত এবং তাঁকে ভালোবাসত। যিহোবা তাদের মাধ্যমে মহতী বাবিল থেকে বের হয়ে আসার পথ প্রস্তুত করেছিলেন। (তুলনা করুন, যিশাইয় ৪০:৩.) তারা এই পথ প্রস্তুত করার জন্য যে-কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন, সেটার কারণেই পরবর্তী সময়ে সৎহৃদয়ের লোকেরা মহতী বাবিল থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছিল এবং যিহোবার লোকদের সঙ্গে মিলে বিশুদ্ধ উপাসনা করতে পেরেছিল। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ১৫-১৬ অনু. ৮-৯

সোমবার, ৭ জুলাই

আনন্দের সঙ্গে যিহোবার সেবা করো। আনন্দে চিৎকার করতে করতে তাঁর সামনে এসো।—গীত. ১০০:২.

যিহোবা চান যেন আমরা আনন্দের সঙ্গে এবং স্বেচ্ছায় তাঁর সেবা করি। (২ করি. ৯:৭) কিন্তু, লক্ষ্য অর্জন করার জন্য আমাদের যদি ইচ্ছাই না করে, তা হলেও কি আমাদের সেটার জন্য পরিশ্রম করে চলা উচিত? প্রেরিত পৌলের উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন। তিনি বলেছিলেন: “আমি আমার দেহকে কঠোরভাবে শাসন করি এবং সেটাকে দাস করে রাখি।” (১ করি. ৯:২৫-২৭, পাদটীকা) পৌল নিজেকে শাসন করতেন এবং সঠিক কাজ করতেন, এমনকী তখনও, যখন তার এমনটা করতে ইচ্ছা করত না। যিহোবা কি পৌলের সেবায় খুশি ছিলেন? অবশ্যই! যিহোবা তার পরিশ্রমের জন্য তাকে পুরস্কারও দিয়েছিলেন। (২ তীম. ৪:৭, ৮) একইভাবে, আমাদের ইচ্ছা না করলেও আমরা যদি লক্ষ্য অর্জন করার জন্য পরিশ্রম করে চলি, তা হলে যিহোবা আমাদের দেখেও খুশি হবেন। এর কারণ হল যিহোবা জানেন, কখনো কখনো আমাদের হয়তো কোনো কাজ করতে ভালো লাগে না, তা সত্ত্বেও আমরা সেটা করি কারণ আমরা তাঁকে ভালোবাসি। যিহোবা যেমন পৌলকে আশীর্বাদ করেছিলেন, একইভাবে তিনি আমাদের প্রচেষ্টার উপরও আশীর্বাদ করবেন। (গীত. ১২৬:৫) আর আমরা যখন দেখব, যিহোবা আমাদের প্রচেষ্টার উপর আশীর্বাদ করছেন, তখন আমাদের হয়তো লক্ষ্য অর্জন করতে ইচ্ছা করবে। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ২৯ অনু. ৯-১০

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই

যিহোবার দিন . . . [আসছে।]—১ থিষল. ৫:২.

যিহোবার দিনে যে-লোকেরা রক্ষা পাবে না, তাদের তুলনা পৌল সেই লোকদের সঙ্গে করেছিলেন, যারা ঘুমাচ্ছে। যে-লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে, তাদের সময়ের প্রতি কোনো খেয়ালই থাকে না এবং আশেপাশে কী ঘটছে, সেটাও তারা জানে না। তাই, যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে, তখন তারা কিছুই বুঝতে পারে না আর তারা এই বিষয়ে কিছু করতেও পারে না। আজ বেশিরভাগ লোক বলতে গেলে ঘুমিয়ে রয়েছে। (রোমীয় ১১:৮) এই জগতে যা-কিছু ঘটছে, সেগুলো দেখেও তারা বুঝতে পারে না যে, আমরা “শেষকালে” বাস করছি আর মহাক্লেশ খুব শীঘ্রই আসছে। (২ পিতর ৩:৩, ৪) কিন্তু আমরা জানি, এক একটা দিন গড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জন্য এটা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, যেন আমরা বাইবেলে দেওয়া পরামর্শ মেনে চলি এবং জেগে থাকি। (১ থিষল. ৫:৬) তাই আমাদের শান্ত থাকা উচিত এবং একটু থেমে চিন্তা করা উচিত। কেন? যেন আমরা কোনোভাবেই রাজনৈতিক এবং সামাজিক বিষয়গুলোতে জড়িয়ে না পড়ি। যিহোবার দিন যত এগিয়ে আসছে, তত এই বিষয়গুলোতে কারো পক্ষ নেওয়ার চাপ আরও বাড়বে। কিন্তু, সেই সময়ে আমরা কী করব, তা নিয়ে চিন্তা করে আমাদের ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঈশ্বরের পবিত্র শক্তির সাহায্যে আমাদের মন শান্ত থাকবে আর আমরা ভালোভাবে চিন্তা করতে পারব এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব।—লূক ১২:১১, ১২. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ১০ অনু. ৬-৭

বুধবার, ৯ জুলাই

হে নিখিলবিশ্বের প্রভু যিহোবা, দয়া করে আমাকে স্মরণ করো। . . . আমাকে শক্তি দাও।—বিচার. ১৬:২৮.

আপনি যখন শিম্‌শোনের বিষয়ে শোনেন, তখন আপনার মনে কোন চিত্র ভেসে ওঠে? হয়তো একজন বলিষ্ঠ ব্যক্তি, যার অনেক শক্তি ছিল। আর সত্যিই শিম্‌শোন অনেক শক্তিশালী ছিলেন। কিন্তু, তিনি একটা ভুল করেছিলেন, যেটার পরিণতি তাকে ভোগ করতে হয়েছিল। তারপরও, যিহোবা এই বিষয়ের উপর মনোযোগ দিয়েছিলেন যে, শিম্‌শোন সারাজীবন ধরে তাঁর জন্য কত কিছু করেছিলেন আর যিহোবার উপর তার কত বিশ্বাস ছিল। এই কারণে তিনি বাইবেলে শিম্‌শোনের বিষয়ে লিখিয়েছেন, যাতে আমরা তার কাছ থেকে শিখতে পারি। যিহোবা তাঁর বেছে নেওয়া লোক ইজরায়েলীয়দের সাহায্য করার জন্য শিম্‌শোনের মাধ্যমে অনেক বড়ো বড়ো কাজ করেছিলেন। এরপর, শিম্‌শোন মারা যাওয়ার শত শত বছর পর যখন যিহোবা প্রেরিত পৌলের মাধ্যমে এমন ব্যক্তিদের নাম লিখিয়েছিলেন, যাদের অসাধারণ বিশ্বাস ছিল, তখন তিনি শিম্‌শোনের নামও লিখিয়েছিলেন। (ইব্রীয় ১১:৩২-৩৪) শিম্‌শোনের উদাহরণ থেকে আজ আমরাও উৎসাহিত হতে পারি। তিনি অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও যিহোবার উপর নির্ভর করেছিলেন। আমরা শিম্‌শোনের কাছ থেকে উৎসাহ লাভ করতে পারি এবং শিখতে পারি। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ২ অনু. ১-২

বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই

তোমাদের অনুরোধ ঈশ্বরকে জানাও।—ফিলি. ৪:৬.

ধৈর্য ধরার জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যেন আমরা অবিরত যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি এবং আমাদের সমস্ত উদ্‌বিগ্নতার বিষয়ে তাঁর কাছে খুলে বলি। (১ থিষল. ৫:১৭) হতে পারে, আপনি আপাতত কোনো বড়ো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন না। কিন্তু, আপনি যখন উদ্‌বিগ্ন হয়ে পড়েন কিংবা বুঝতে পারেন না, কী করতে হবে, তখনও কি আপনি যিহোবাকে বলেন, তিনি যেন আপনাকে পথ দেখান? আজ আপনি যদি প্রতিদিন ছোটো ছোটো বিষয়ের জন্য যিহোবার কাছ থেকে সাহায্য চান, তা হলে পরবর্তী সময়ে আপনি যখন কোনো বড়ো সমস্যার মুখোমুখি হবেন, তখন আপনি যিহোবার কাছ থেকে সাহায্য চাইতে ইতস্তত বোধ করবেন না। আপনি এই বিষয়েও নিশ্চিত হবেন যে, তিনি জানেন, ঠিক কখন এবং কীভাবে আপনাকে সাহায্য করতে হবে। (গীত. ২৭:১, ৩) আজ আমরা যদি সমস্যার সময়ে ধৈর্য ধরি, তা হলে ভবিষ্যতে মহাক্লেশের সময়েও আমরা ধৈর্য ধরতে পারব। (রোমীয় ৫:৩) কেন আমরা তা বলতে পারি? অনেক ভাই-বোন দেখেছে, কোনো সমস্যার সময়ে তারা যখন ধৈর্য ধরেছিল এবং যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিল, তখন এটা পরবর্তী সময়ে আসা সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করতে তাদের সাহায্য করেছিল। এভাবে ধৈর্য ধরার ফলে তাদের এই বিশ্বাস আরও বেড়ে গিয়েছিল যে, যিহোবা তাদের সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। আর এই বিশ্বাস পরবর্তী সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে এবং ধৈর্য ধরতে তাদের সাহায্য করেছিল।—যাকোব ১:২-৪. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ৩ অনু. ৭-৮

শুক্রবার, ১১ জুলাই

আমি . . . তোমার প্রতি অনুগ্রহ . . . করিব।—আদি. ১৯:২১.

যিহোবা যুক্তিবাদিতা দেখান এবং রদবদল করার জন্য প্রস্তুত থাকেন কারণ তিনি নম্র এবং তাঁর হৃদয়ে লোকদের জন্য সমবেদনা রয়েছে। একটা উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন, যেটা থেকে বোঝা যায়, যিহোবা কতটা নম্র। যিহোবা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন, তিনি সদোমে থাকা দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেবেন। তাঁর স্বর্গদূতদের পাঠিয়ে তিনি তাঁর ধার্মিক উপাসক লোটকে এই নির্দেশনা দিয়েছিলেন যে, তিনি যেন পার্বত্য এলাকায় পালিয়ে যান। কিন্তু, লোট সেখানে যেতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাই, তিনি ঈশ্বরের কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি তার পরিবারকে নিয়ে পাশের ছোট্ট একটা নগর সোয়রে পালিয়ে যেতে পারেন কি না। যিহোবা সোয়রকেও ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন, তাই তিনি লোটকে বলতে পারতেন, তাকে যা বলা হয়েছে, তিনি যেন শুধু সেটাই করেন। তবে, যিহোবা লোটের প্রতি যুক্তিবাদিতা দেখিয়েছিলেন। তিনি লোটের অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন; তিনি সোয়রকে ধ্বংস করেননি। (আদি. ১৯:১৮-২২) এ ছাড়া, শত শত বছর পর যিহোবা নীনবীর লোকদের প্রতি সমবেদনা দেখিয়েছিলেন। কীভাবে? তিনি সেখানে ভাববাদী যোনাকে একটা বার্তা ঘোষণা করার জন্য পাঠিয়েছিলেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি সেই নগর এবং সেখানে থাকা দুষ্ট লোকদের ধ্বংস করে দেবেন। কিন্তু, নীনবীর লোকেরা অনুতপ্ত হয়েছিল। তাই, তাদের উপর যিহোবার মায়া হয়েছিল এবং তিনি সেই নগরকে ধ্বংস করেননি।—যোনা ৩:১, ১০; ৪:১০, ১১. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ২১ অনু. ৫

শনিবার, ১২ জুলাই

তারা [যিহোয়াশকে] . . . মেরে ফেলল। তারা তাকে দায়ূদ-নগরে কবর দিল কিন্তু রাজাদের কবরে নয়।—২ বংশা. ২৪:২৫.

আমরা যিহোয়াশের উদাহরণ থেকে কী শিখতে পারি? যিহোয়াশ এমন একটা গাছের মতো ছিলেন, যেটার মূল দুর্বল ছিল এবং যেটার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। যিহোয়াদা রাজা যিহোয়াশের কাছে এক অর্থে সাহায্যের মতো ছিলেন। যিহোয়াশের যখন সাহায্য ছিল না অর্থাৎ যিহোয়াদা মারা গিয়েছিলেন আর যখন ঝোড়ো বাতাস এসেছিল অর্থাৎ অধ্যক্ষেরা তাকে প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা করেছিল, তখন যিহোয়াশ যেন পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি মিথ্যা উপাসনা করতে শুরু করেছিলেন এবং যিহোবার প্রতি অনুগত ছিলেন না। এখান থেকে আমরা একটা শিক্ষা লাভ করি। আমাদের শুধু এই কারণে ঈশ্বরকে ভয় করা উচিত নয় যে, আমাদের পরিবারের সদস্যেরা কিংবা মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা এমনটা করছে। এর পরিবর্তে, আমাদের নিজেদের ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে এক দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত আর তাঁকে ভয় করা উচিত। এমনটা আমরা তখনই করতে পারব, যখন আমরা ক্রমাগত ঈশ্বরের বাক্য অধ্যয়ন করব, সেটি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করব এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করব। (যির. ১৭:৭, ৮; কল. ২:৬, ৭) যিহোবা আমাদের কাছ থেকে বেশি কিছু চান না। তিনি আমাদের কাছ থেকে যা চান, সেটার সারাংশ উপদেশক ১২:১৩ পদে দেওয়া রয়েছে। সেখানে লেখা আছে, “ঈশ্বরকে ভয় কর, ও তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন কর, কেননা ইহাই সকল মনুষ্যের কর্ত্তব্য।” আমরা যদি ঈশ্বরকে ভয় করি, তা হলে ভবিষ্যতে আমরা যেকোনো সমস্যার মুখোমুখি হই না কেন, আমরা যিহোবার প্রতি অনুগত থাকতে পারব আর কোনো কিছুকেই যিহোবা এবং আমাদের বন্ধুত্বের মাঝে আসতে দেব না। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ১৯ অনু. ১৭-১৯

রবিবার, ১৩ জুলাই

দেখো! আমি সমস্ত কিছু নতুন করছি।—প্রকা. ২১:৫.

ঈশ্বর যে-গ্যারান্টি দিয়েছেন, সেটা এভাবে শুরু হয়: “আর যিনি সিংহাসনে বসে আছেন, সেই ঈশ্বর বললেন।” (প্রকা. ২১:৫ক) প্রকাশিত বাক্য বইয়ে এমন তিনটে ঘটনার বিষয়ে বলা হয়েছে, যেখানে দর্শনে যিহোবা কথা বলছেন। এটা সেগুলোর মধ্যে একটা। এই গ্যারান্টি কোনো শক্তিশালী স্বর্গদূত কিংবা স্বর্গে যাওয়ার পর যিশু দেননি বরং যিহোবা নিজে দিয়েছেন। এর ফলে, এই পদের পরে যা লেখা আছে, সেগুলোর উপর আমরা বিশ্বাস করার আরও উপযুক্ত কারণ পাই। কেন? কারণ যিহোবা “মিথ্যা বলতে পারেন না।” (তীত ১:২) সত্যিই, প্রকাশিত বাক্য ২১:৫, ৬ পদে লেখা কথাগুলো একেবারে বিশ্বাসযোগ্য! “দেখো!” শব্দের উপর মনোযোগ দিই। যে-ইব্রীয় শব্দকে “দেখো!” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটা প্রকাশিত বাক্য বইয়ে অনেক বার এসেছে। তাহলে, ঈশ্বর “দেখো!” বলার পর কী বলেছেন? তিনি বলেছেন: “আমি সমস্ত কিছু নতুন করছি।” যদিও এই প্রতিজ্ঞা ভবিষ্যতে পূরণ হবে, কিন্তু ঈশ্বর জানেন যে, তিনি অবশ্যই তা পূরণ করবেন। তাই তিনি এটা বলেননি, “আমি সমস্ত কিছু নতুন করব,” বরং তিনি বলেছেন, “আমি সমস্ত কিছু নতুন করছি।” এটা এমন যেন এই প্রতিজ্ঞা এখন থেকেই পূরণ হতে শুরু করে দিয়েছে।—যিশা. ৪৬:১০. প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ৩-৪ অনু. ৭-৮

সোমবার, ১৪ জুলাই

তিনি বাইরে চলে গেলেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়লেন।—মথি ২৬:৭৫.

প্রেরিত পিতরের দ্বারা কিছু ভুল হয়ে গিয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে কয়েকটার উপর মনোযোগ দিন। যিশু যখন এটা বোঝাচ্ছিলেন যে, বাইবেলের ভবিষ্যদ্‌বাণী অনুযায়ী তাঁকে কতটা কষ্ট সহ্য করতে হবে এবং তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে, তখন পিতর বলেছিলেন, এমন কিছুই হবে না। (মার্ক ৮:৩১-৩৩) আর বাকি প্রেরিতদের পাশাপাশি পিতরও অনেক বার এই বিষয় নিয়ে তর্ক করেছিলেন যে, তাদের মধ্যে কে শ্রেষ্ঠ। (মার্ক ৯:৩৩, ৩৪) যিশু মারা যাওয়ার এক রাত আগে পিতর একজন ব্যক্তির কান কেটে ফেলেছিলেন। (যোহন ১৮:১০) আর সেই রাতেই পিতর ভয়ের কারণে তার বন্ধু যিশুকে তিন বার অস্বীকার করেছিলেন। (মার্ক ১৪:৬৬-৭২) এই কারণে, পরে পিতর কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। পিতর খুবই দুঃখের মধ্যে ছিলেন, কিন্তু যিশু তাকে একা ছেড়ে দেননি। পুনরুত্থিত হওয়ার পর যিশু পিতরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং পিতরকে তাঁর প্রতি ভালোবাসা দেখানোর সুযোগ দিয়েছিলেন। যিশু পিতরকে বলেছিলেন, তিনি যেন নম্র হয়ে একজন মেষপালকের মতো তাঁর মেষদের দেখাশোনা করেন। (যোহন ২১:১৫-১৭) পিতর এই দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তিনি পঞ্চাশত্তমীর দিনে জেরুসালেমে ছিলেন আর সেইসঙ্গে যে-লোকদের প্রথম বার পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষেক করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ২২ অনু. ৬-৭

মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই

আমার মেষশাবকদের পালন করো।—যোহন ২১:১৬.

প্রেরিত পিতর একজন প্রাচীন ছিলেন এবং তিনি অন্যান্য প্রাচীনকে অনুরোধ করেছিলেন: “ঈশ্বরের যে-পাল আছে, সেই পালের দেখাশোনা করো।” (১ পিতর ৫:১-৪) আপনি যদি একজন প্রাচীন হয়ে থাকেন, তা হলে আমরা জানি যে, আপনি ভাই-বোনদের ভালোবাসেন এবং একজন মেষপালকের মতো তাদের দেখাশোনা করতে চান। কিন্তু অনেকসময় আপনার মনে হতে পারে, আপনার কাছে এত কাজ রয়েছে অথবা আপনি এতটা ক্লান্ত যে, আপনি এই দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। এই ক্ষেত্রে আপনি কী করতে পারেন? আপনার মনে যে-উদ্‌বিগ্নতাগুলো রয়েছে, সেগুলো যিহোবাকে বলুন। পিতর লিখেছিলেন: “যদি কেউ সেবা করে, তা হলে সে ঈশ্বরের দেওয়া শক্তির উপর নির্ভর করেই তা করুক।” (১ পিতর ৪:১১) আপনার ভাই-বোনেরা হয়তো এমন সমস্যাগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে, যেগুলো এই জগতে পুরোপুরিভাবে সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু মনে রাখুন, আপনি ভাই-বোনদের জন্য যতটা করতে পারেন, সেটার চেয়েও অনেক বেশি “প্রধান মেষপালক” যিশু খ্রিস্ট তাদের জন্য করতে পারেন। তিনি বর্তমানে তাদের সাহায্য করতে পারেন এবং ভবিষ্যতে নতুন জগতেও সাহায্য করবেন। আর এও মনে রাখুন, যিহোবা শুধু এটাই চান যেন প্রাচীনেরা ভাই-বোনদের ভালোবাসেন, মেষপালকের মতো তাদের দেখাশোনা করেন এবং “পালের আদর্শ” হন। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৯ ২৯-৩০ অনু. ১৩-১৪

বুধবার, ১৬ জুলাই

যিহোবা জানেন, বিজ্ঞ ব্যক্তিদের যুক্তিতর্ক অসার।—১ করি. ৩:২০.

আমাদের জগতের লোকদের চিন্তাধারা এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা যদি জগতের লোকদের মতো চিন্তা করি, তা হলে আমরা যিহোবার কাছ থেকে দূরে সরে যেতে পারি এবং তাঁর মানগুলো উপেক্ষা করতে পারি। (১ করি. ৩:১৯) “জগতের প্রজ্ঞা” অর্থাৎ জগতের লোকদের চিন্তাধারা হল: ‘ঈশ্বরের কথা শোনার কোনো প্রয়োজন নেই বরং তোমার যা মন চায়, শুধু তা-ই করো!’ অতীতে পর্গাম ও থুয়াতীরার লোকদেরও এইরকম চিন্তাধারা ছিল। সেখানে প্রতিমাপূজা এবং অনৈতিক কাজ করা খুবই সাধারণ বিষয় ছিল। কিছু খ্রিস্টানের উপর সেই লোকদের প্রভাব পড়েছিল আর এর ফলে তারা তাদের মতো করে চিন্তা করতে শুরু করেছিল এবং অনৈতিক কাজগুলোকে প্রশ্রয় দিচ্ছিল। তাই, সেই দুটো মণ্ডলীকে যিশু কড়াভাবে পরামর্শ দিয়েছিলেন। (প্রকা. ২:১৪, ২০) আজ আমাদের উপরও জগতের লোকদের মতো চিন্তা করার চাপ আসে। আমাদের পরিবারের সদস্যেরা অথবা পরিচিত ব্যক্তিরা বলতে পারে, আমরা খুব বেশিই আইনকানুন মেনে চলি, একটু এদিক-ওদিক হলে কোনো সমস্যা নেই। যেমন, তারা হয়তো বলে, ‘নিজের ইচ্ছা বা শখ পূরণ করার মধ্যে ভুল কী? আজ জগৎ সমস্ত দিক দিয়ে কত উন্নত হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তুমি এখনও বাইবেলের নিয়ম ধরেই বসে আছ!’ কখনো কখনো আমাদের মনে হতে পারে, যিহোবা আমাদের যে-নির্দেশনাগুলো দিচ্ছেন, সেগুলো থেকে বোঝা যায় না, কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না। এইরকম সময়ে আমরা হয়তো “যা লেখা রয়েছে, সেটার বাইরে” যাওয়ার কিংবা আরও কিছু নিয়ম তৈরি করার কথা চিন্তা করতে পারি।—১ করি. ৪:৬. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৭ ১৬ অনু. ১০-১১

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই

প্রকৃত বন্ধু সবসময় ভালোবাসা দেখায় আর সে বিপদের সময়ে নিজের ভাই বলে প্রমাণিত হয়।—হিতো. ১৭:১৭.

যিশুর মা, মরিয়মের সাহসের প্রয়োজন ছিল। এখনও পর্যন্ত তার বিয়ে হয়নি। কিন্তু, তিনি গর্ভবতী হতে চলেছেন। সন্তান লালনপালন করার তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু, তাকে এমন এক সন্তানকে বড়ো করে তুলতে হত, যিনি পরবর্তী সময়ে মশীহ হবেন। মরিয়ম এখনও পর্যন্ত কোনো পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেননি। কিন্তু, তারপরও তিনি মা হতে চলেছেন। তিনি যোষেফকে কীভাবে এই সমস্ত কিছু বোঝাবেন, যিনি তার স্বামী হবেন? (লূক ১:২৬-৩৩) মরিয়ম কীভাবে সাহস পেয়েছিলেন? তিনি অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য চেয়েছিলেন। যেমন, তিনি গাব্রিয়েল স্বর্গদূতকে বলেছিলেন, যেন তিনি সেই বিষয়ে তাকে আরও তথ্য দেন। (লূক ১:৩৪) কিছুসময় পর, মরিয়ম এক দীর্ঘ যাত্রা করে যিহূদার “পাহাড়ি অঞ্চলে” তার আত্মীয় ইলীশাবেতের সঙ্গে দেখা করতে যান। ইলীশাবেৎ মরিয়মের অনেক প্রশংসা করেন এবং যিহোবার সাহায্যে তিনি মরিয়মের সন্তানের বিষয়ে এক ভবিষ্যদ্‌বাণী করেন। (লূক ১:৩৯-৪৫) তখন মরিয়ম বলেছিলেন যে, যিহোবা “তাঁর হস্ত দিয়ে পরাক্রমী কাজ করেছেন।” (লূক ১:৪৬-৫১) গাব্রিয়েল স্বর্গদূত ও ইলীশাবেতের মাধ্যমে যিহোবা মরিয়মকে সাহস জুগিয়েছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ১৪-১৫ অনু. ১০-১২

শুক্রবার, ১৮ জুলাই

[তিনি] আমাদের রাজা ও যাজক করেছেন, যেন আমরা তাঁর ঈশ্বর ও পিতার সেবা করি।—প্রকা. ১:৬.

খ্রিস্টের কিছু শিষ্যকে পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষিক্ত করা হয়েছে এবং যিহোবার সঙ্গে তাদের এক বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। এই ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি স্বর্গে যাজক হিসেবে যিশুর সঙ্গে সেবা করবে। (প্রকা. ১৪:১) পৃথিবীতে থাকাকালীন ঈশ্বর তাদের পবিত্র শক্তির মাধ্যমে অভিষিক্ত করে নিজের পুত্র হিসেবে দত্তক নেন। আবাসের পবিত্র স্থান ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের এই বিশেষ সম্পর্ককে চিত্রিত করে। (রোমীয় ৮:১৫-১৭) আবাসের মহাপবিত্র স্থান স্বর্গকে চিত্রিত করে, যেখানে যিহোবা থাকেন। পবিত্র ও মহাপবিত্র স্থানের মাঝে ‘যে-পর্দা’ ছিল, সেটা যিশুর মানব শরীরকে চিত্রিত করে। এই শরীর নিয়ে তিনি স্বর্গে যেতে পারতেন না আর আধ্যাত্মিক মন্দিরে মহান মহাযাজক হিসেবে সেবা করতে পারতেন না। যিশু যখন নিজের শরীর মানুষের জন্য বলি দিয়েছিলেন, তখন সমস্ত অভিষিক্ত ব্যক্তির জন্য স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা খুলে গিয়েছিল। তাদেরও স্বর্গে পুরস্কার পাওয়ার জন্য তাদের মানব শরীর ত্যাগ করতে হবে।—ইব্রীয় ১০:১৯, ২০; ১ করি. ১৫:৫০. প্রহরীদুর্গ ২৩.১০ ২৮ অনু. ১৩

শনিবার, ১৯ জুলাই

আমি যদি গিদিয়োন, . . . এবং অন্যান্য ভাববাদীর কথা বলতে থাকি, তা হলে সময়ে কুলোবে না।—ইব্রীয় ১১:৩২.

ইফ্রয়িমের পুরুষেরা যখন গিদিয়োনের সঙ্গে ঝগড়া করতে এবং তার ভুলগুলো ধরতে শুরু করেছিল, তখন তিনি তাদের উপর রেগে যাননি বরং শান্ত ছিলেন। (বিচার. ৮:১-৩) তিনি মন দিয়ে তাদের কথা শুনেছিলেন এবং সদয়ভাবে উত্তর দিয়েছিলেন। এর ফলে, তাদের রাগ ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। গিদিয়োনের আচরণ থেকে বোঝা যায়, তিনি কতটা নম্র ছিলেন। প্রাচীনেরাও গিদিয়োনের মতো হতে পারেন। কেউ যখন তাদের দুর্বলতার বিষয়ে বলে, তখন তারা মন দিয়ে তা শুনতে পারেন এবং সদয়ভাবে উত্তর দিতে পারেন। (যাকোব ৩:১৩) এর ফলে, মণ্ডলীতে শান্তি বজায় থাকবে। গিদিয়োন যখন মিদিয়নীয়দের পরাজিত করেছিলেন, তখন ইজরায়েলীয়েরা তার প্রশংসা করেছিল। কিন্তু, তিনি সমস্ত কৃতিত্ব যিহোবাকে দিয়েছিলেন। (বিচার. ৮:২২, ২৩) আজ প্রাচীনেরা কীভাবে গিদিয়োনের মতো হতে পারেন? তারা যা-কিছু করেন, সেগুলোর সমস্ত কৃতিত্ব যিহোবাকে দিতে পারেন। (১ করি. ৪:৬, ৭) যেমন, একজন প্রাচীন যদি খুব ভালোভাবে শিক্ষা দেন এবং তাকে সেটার জন্য প্রশংসা করা হয়, তা হলে তিনি বলতে পারেন, তিনি যা-কিছু শিখিয়েছেন, সেগুলো ঈশ্বরের বাক্য থেকে ছিল কিংবা আমরা সবাই যিহোবার সংগঠনের কাছ থেকেই শিখি। সময়ে সময়ে প্রাচীনদের চিন্তা করা উচিত, তারা যেভাবে শেখান, তাতে লোকদের সম্পূর্ণ মনোযোগ তাদের উপর চলে যায় না তো? প্রহরীদুর্গ ২৩.০৬ ৪ অনু. ৭-৮

রবিবার, ২০ জুলাই

আমার সঙ্কল্প সকল ও তোমাদের সঙ্কল্প সকল এক নয়।—যিশা. ৫৫:৮.

আমরা হয়তো কোনো বিষয় নিয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছি এবং যেমনটা আশা করেছিলাম, তেমনটা হয়নি। এইরকম ক্ষেত্রে আমরা নিজেদের জিজ্ঞেস করতে পারি: “আমি কি সঠিক বিষয় নিয়ে প্রার্থনা করছি?” অনেকসময় আমাদের মনে হতে পারে, আমাদের জন্য কোনটা সঠিক, তা আমরা জানি, কিন্তু পরে গিয়ে হয়তো তা থেকে আমাদের কোনো উপকারই আসবে না। আমরা হয়তো যিহোবার কাছে প্রার্থনা করছি যেন তিনি একটা নির্দিষ্ট উপায়ে আমাদের সমস্যার সমাধান করেন। কিন্তু, তিনি হয়তো এর চেয়েও একটা ভালো উপায় ভেবে রেখেছেন। এটাও হতে পারে, আমরা এমন এক বিষয় নিয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করছি, যেটা তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী নয়। (১ যোহন ৫:১৪) আমরা এমন বাবা-মায়ের উদাহরণ লক্ষ করতে পারি, যারা প্রার্থনা করেন যেন তাদের সন্তান যিহোবার সেবা করে চলে। আসলে এই ধরনের প্রার্থনা করা ভুল নয়। কিন্তু, যিহোবা কাউকেই তাঁর সেবা করার জন্য জোর করেন না। তিনি চান যেন আমরা এবং আমাদের সন্তানেরা নিজেদের ইচ্ছায় তাঁর সেবা করি। (দ্বিতীয়. ১০:১২, ১৩; ৩০:১৯, ২০) তাই, সেই বাবা-মা প্রার্থনা করতে পারেন যেন তারা তাদের সন্তানদের হৃদয়ে সত্য গেঁথে দিতে পারেন এবং সেই সন্তান নিজে থেকে যিহোবাকে ভালোবাসতে পারে আর তাঁর বন্ধু হয়ে উঠতে পারে।—হিতো. ২২:৬; ইফি. ৬:৪. প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ২১ অনু. ৫; ২৩ অনু. ১২

সোমবার, ২১ জুলাই

সবসময় একে অন্যকে সান্ত্বনা দাও।—১ থিষল. ৪:১৮.

প্রেম দেখানোর একটা গুরুত্বপূর্ণ উপায় হল, সান্ত্বনা দেওয়া। কেন আমরা তা বলতে পারি? বাইবেলের এই পদ সম্বন্ধে একটা বই এভাবে বলে, যে-শব্দকে “সান্ত্বনা দেওয়া” হিসেবে অনুবাদ করা হয়েছে, সেটার মানে হল, এমন একজন ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে তাকে উৎসাহিত করা, যিনি অনেক কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাই, আমরা যখন কোনো ভাই কিংবা বোনকে সান্ত্বনা দিই, যিনি খুবই হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তখন এটা এমন যেন আমরা তার দিকে আমাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি, যাতে তিনি আবার উঠতে পারেন এবং জীবনের পথে চলতে পারেন। প্রতি বার আমরা যখন কোনো ভাই কিংবা বোনকে তার দুঃখের কথা বলার সুযোগ দিই, যিনি একেবারে ভেঙে পড়েছেন, তখন আসলে আমরা তার প্রতি প্রেম দেখাই। (২ করি. ৭:৬, ৭, ১৩) কাউকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সবার আগে আমাদের হৃদয়ে তার প্রতি সমবেদনা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কেন? কারণ যে-ব্যক্তি কাউকে কষ্টে দেখে নিজেও সেই কষ্ট অনুভব করে অথবা তার হৃদয় সমবেদনায় ভরে যায়, সেই ব্যক্তিই তাকে সাহায্য করার জন্য কিংবা সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসে। এর মানে হল, আমাদের ভাই-বোনেরা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময়ে যে-কষ্ট অনুভব করে, আমরাও যদি তা অনুভব করি অর্থাৎ আমাদের মনে যদি তাদের প্রতি সমবেদনা থাকে, তা হলেই আমরা তাদের সান্ত্বনা দিতে পারব। যিহোবা সম্বন্ধে পৌল এইরকমই কিছু বলেছিলেন, যিহোবা হলেন “করুণাময় পিতা এবং সমস্ত সান্ত্বনার ঈশ্বর।”—২ করি. ১:৩. প্রহরীদুর্গ ২৩.১১ ৯-১০ অনু. ৮-১০

মঙ্গলবার, ২২ জুলাই

ক্লেশের মধ্যেও আনন্দ করি।—রোমীয় ৫:৩.

প্রত্যেক খ্রিস্টানকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হবে। প্রেরিত পৌলও এই বিষয়টা জানতেন, সেইজন্যই তিনি থিষলনীকীর ভাই-বোনদের লিখেছিলেন: “আমরা যখন তোমাদের সঙ্গে ছিলাম, তখন আমরা তোমাদের বার বার বলেছি, আমাদের ক্লেশ ভোগ করতে হবে। আর তোমরা যেমন জান, ঠিক তা-ই ঘটেছে।” (১ থিষল. ৩:৪) আর তিনি করিন্থের ভাই-বোনদেরও লিখেছিলেন, ‘হে ভাইয়েরা, আমরা চাই না, আমরা যে-ক্লেশ ভোগ করেছি, তা তোমাদের অজানা থাকুক। আমাদের উপর এমন চাপ এসেছিল যে, আমরা জীবনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।’ (২ করি. ১:৮; ১১:২৩-২৭) বর্তমানেও প্রত্যেক খ্রিস্টানকে এটা মেনে নিতে হবে যে, তাদের দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হবে। (২ তীম. ৩:১২) হতে পারে, যিশুকে বিশ্বাস করার এবং তাঁর শিক্ষাগুলো মেনে চলার জন্য আপনার বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়স্বজন আপনার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। কিংবা আপনি সবসময় সৎ থাকার কারণে আপনার কাজের জায়গায় লোকেরা সমস্যা সৃষ্টি করেছে। (ইব্রীয় ১৩:১৮) আবার হতে পারে, অন্যদের আপনার আশা সম্বন্ধে বলার কারণে সরকারি আধিকারিকেরা বিরোধিতা করেছে। তবে, আমাদের আনন্দে থাকা উচিত, তা আমাদের উপর যেকোনো দুঃখকষ্টই আসুক না কেন। পৌল এই কথাটাই বলেছিলেন। প্রহরীদুর্গ ২৩.১২ ১০-১১ অনু. ৯-১০

বুধবার, ২৩ জুলাই

তোমরা . . . আমাকে . . . ব্যাকুল করিলে।—আদি. ৩৪:৩০.

যাকোবকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। যাকোবের দুই ছেলে শিমিয়োন ও লেবি তাদের পরিবারের নাম মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল আর যিহোবার নামের উপরও নিন্দা নিয়ে এসেছিল। এ ছাড়া, যাকোবের প্রিয় স্ত্রী রাহেল তাদের দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময়ে মারা গিয়েছিলেন। আর একটা ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কারণে যাকোবকে বৃদ্ধ বয়সে বাধ্য হয়ে মিশরে গিয়ে থাকতে হয়েছিল। (আদি. ৩৫:১৬-১৯; ৩৭:২৮; ৪৫:৯-১১, ২৮) এত কিছু হওয়া সত্ত্বেও, যিহোবা এবং তাঁর প্রতিজ্ঞাগুলোর উপর যাকোবের বিশ্বাস দুর্বল হয়ে যায়নি। আর যিহোবাও তার প্রতিটা পদক্ষেপে তার সঙ্গে ছিলেন। উদাহরণ স্বরূপ, যিহোবা যাকোবের সম্পত্তি বাড়িয়ে যাচ্ছিলেন। আর চিন্তা করুন, সেইসময় যাকোব কতটা আনন্দিত হয়েছিলেন, যখন দীর্ঘসময় পর যোষেফের সঙ্গে তার আবারও দেখা হয়েছিল! তিনি তার ছেলেকে ফিরে পেয়েছিলেন বলে যিহোবাকে নিশ্চয়ই অনেক ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। যাকোবের সঙ্গে যিহোবার খুবই ঘনিষ্ঠ এক সম্পর্ক ছিল। তাই, তিনি এইসমস্ত সমস্যা সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পেরেছিলেন। (আদি. ৩০:৪৩; ৩২:৯, ১০; ৪৬:২৮-৩০) একইভাবে, আমাদেরও যদি যিহোবার সঙ্গে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে, তা হলে আমরাও সেই সমস্ত সমস্যার সঙ্গে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করতে পারব, যেগুলো আমাদের সামনে হঠাৎ করে আসে। প্রহরীদুর্গ ২৩.০৪ ১৫ অনু. ৬-৭

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই

যিহোবা আমার পালক। আমার কিছুরই অভাব হবে না।—গীত. ২৩:১.

এই গীতে দায়ূদ বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত যে, যিহোবা তাকে ভালোবাসেন এবং তার জন্য চিন্তা করেন। যিহোবাকে মেষপালক বলার মাধ্যমে দায়ূদ বুঝিয়েছিলেন যে, তার সঙ্গে যিহোবার সম্পর্ক কতটা ঘনিষ্ঠ। যিহোবার বলা পথে চলার মাধ্যমে দায়ূদ সুরক্ষিত অনুভব করেছিলেন। আর তিনি সবসময় যিহোবার উপর নির্ভর করতেন। দায়ূদ জানতেন, যিহোবা সারাজীবন ধরে তার প্রতি অটল প্রেম দেখাবেন। দায়ূদ কেন এত নিশ্চিত ছিলেন? দায়ূদ অনুভব করেছিলেন, যিহোবা তার যত্ন নেবেন। কেন? কারণ যিহোবা সবসময় তার প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো জুগিয়ে দিয়েছিলেন। দায়ূদ এও জানতেন, যিহোবা হলেন তার বন্ধু এবং তিনি তার উপর খুশি। তাই দায়ূদ পুরোপুরি নিশ্চিত ছিলেন, ভবিষ্যতে যা-ই ঘটুক না কেন, যিহোবা তাকে সামলাবেন। দায়ূদ জানতেন, যিহোবা তাকে এত ভালোবাসেন যে, তিনি সবসময় তার যত্ন নেবেন। তাই, উদ্‌বিগ্নতা থাকা সত্ত্বেও দায়ূদ আনন্দে থাকতে পেরেছিলেন।—গীত. ১৬:১১. প্রহরীদুর্গ ২৪.০১ ২৮-২৯ অনু. ১২-১৩

শুক্রবার, ২৫ জুলাই

এই বিধিব্যবস্থার শেষ সময় পর্যন্ত আমি সবসময় তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি। —মথি ২৮:২০.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে যিহোবার লোকেরা অনেক দেশে শান্তিতে এবং কোনো বিধি-নিষেধ ছাড়াই প্রচার করতে পারছে। ঈশ্বরের লোকেরা সারা পৃথিবীতে থাকা লোকদের সুসমাচার জানাচ্ছে এবং অনেকে যিহোবা সম্বন্ধে জানতে পারছে। পরিচালকগোষ্ঠীর ভাইয়েরা সবসময় এটা জানার চেষ্টা করে, যিশু তাদের কাছ থেকে কী আশা করেন। তারা ভাই-বোনদের এমন নির্দেশনা দিতে চায়, যেটার মাধ্যমে যিহোবা এবং যিশু খ্রিস্টের চিন্তাধারা প্রকাশ পায়। তারা এই নির্দেশনাগুলো সীমা অধ্যক্ষ এবং প্রাচীনদের মাধ্যমে মণ্ডলীগুলোতে পৌঁছে দেয়। সমস্ত অভিষিক্ত প্রাচীন এবং মণ্ডলীর প্রাচীনেরা “খ্রিস্টের ডান হাতে রয়েছে।” (প্রকা. ২:১) যেহেতু কোনো প্রাচীনই নিখুঁত নয়, তাই তারাও ভুল করে ফেলে। এমনকী মোশি, যিহোশূয় এবং প্রেরিতেরাও কখনো কখনো ভুল করে ফেলেছিল। (গণনা. ২০:১২; যিহো. ৯:১৪, ১৫; রোমীয় ৩:২৩) তা সত্ত্বেও, যিশু অনেক ভেবে-চিন্তে বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান দাস এবং প্রাচীনদের পথ দেখাচ্ছেন আর তিনি ক্রমাগত এমনটা করবেন। সেইজন্য, প্রাচীনদের কাছ থেকে পাওয়া নির্দেশনার উপর আমরা সম্পূর্ণ আস্থা রাখতে পারি, যাদের মাধ্যমে আজ যিশু তাঁর লোকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রহরীদুর্গ ২৪.০২ ২৩-২৪ অনু. ১৩-১৪

শনিবার, ২৬ জুলাই

প্রিয় সন্তান হিসেবে তোমরা ঈশ্বরের অনুকারী হও।—ইফি. ৫:১.

বর্তমানে, কীভাবে আমরা যিহোবার হৃদয়কে খুশি করতে পারি? আমরা অন্যদের কাছে তাঁর সম্বন্ধে বলি, যেটা থেকে বোঝা যায় যে, আমরা তাঁকে অনেক ভালোবাসি এবং মন থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। প্রচার করার সময়ে আমরা চেষ্টা করি যেন লোকেরা যিহোবা সম্বন্ধে জানে, তাঁকে ভালবাসে এবং তাঁর নিকটবর্তী হয়। (যাকোব ৪:৮) আমরা বাইবেল থেকে যিহোবার গুণগুলো বলতেও ভালোবাসি, যেমন প্রেম, প্রজ্ঞা, ন্যায়বিচার, শক্তি এবং এইরকম অন্যান্য গুণ। এভাবে, আমরা যিহোবার নামের প্রশংসা করি। এ ছাড়া, আমরা যখন যিহোবার মতো হওয়ার চেষ্টা করি, তখনও আমরা তাঁর নামের প্রশংসা করি এবং তাঁর হৃদয়কে খুশি করি। এগুলো করার সময়ে কেউ কেউ হয়তো লক্ষ করবে যে, আমরা জগতের লোকদের চেয়ে কতটা আলাদা। (মথি ৫:১৪-১৬) প্রতিদিন আমরা যখন বিভিন্ন কাজ করি, তখন আমরা লোকদের বলতে পারি, কেন আমরা জগতের লোকদের চেয়ে আলাদা। এভাবে, সৎহৃদয়ের ব্যক্তিরা তাঁর নিকটবর্তী হতে পারে। এইসমস্ত কিছু করে আমরা যখন যিহোবার প্রশংসা করি, তখন আমরা তাঁর হৃদয়কে খুশি করি।—১ তীম. ২:৩, ৪. প্রহরীদুর্গ ২৪.০২ ১০ অনু. ৭

রবিবার, ২৭ জুলাই

যাতে তিনি . . . অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন এবং . . . তিরস্কারও করতে পারেন।—তীত ১:৯.

পরিপক্ব হতে গেলে তোমাদের কিছু দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যেটা তোমাদের কাজে আসবে। এটার ফলে তোমরা মণ্ডলীর দায়িত্বগুলো ভালোভাবে পালন করতে পারবে। এ ছাড়া, তোমরা এমন কাজ খুঁজে পাবে, যেটার মাধ্যমে তোমরা নিজেদের এবং পরিবারের যত্ন নিতে পারবে আর অন্যদের সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক ভালো থাকবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বাইবেলে বলা হয়েছে, যে-ব্যক্তি প্রতিদিন ঈশ্বরের বাক্য পড়ে এবং তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে, সে আনন্দিত থাকে এবং তার প্রতিটা কাজে সফল হয়। (গীত. ১:১-৩) তাই, প্রতিদিন বাইবেল পড়ো। এভাবে তুমি যিহোবার চিন্তাভাবনা জানতে পারবে। যিহোবার চিন্তাভাবনা জানলে তুমি বুঝতে পারবে, বাইবেলের নীতিগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। (হিতো. ১:৩, ৪) মণ্ডলীতে এমন ভাইদের প্রয়োজন, যারা সবাইকে বাইবেল থেকে শেখাবে এবং ভালো পরামর্শ দেবে। তোমরা যদি ভালো করে লেখাপড়া শেখো, তা হলে তোমরা এমন বক্তৃতা প্রস্তুত করতে পারবে আর এমন উত্তর দিতে পারবে, যেটা থেকে ভাই-বোনেরা অনেক কিছু শিখতে পারবে এবং তাদের বিশ্বাস বাড়বে। তোমরা নোটও নিতে পারবে আর সেটার মাধ্যমে শুধু তোমাদের বিশ্বাসই বাড়বে না, কিন্তু ভাই-বোনেরাও উৎসাহিত হবে। প্রহরীদুর্গ ২৩.১২ ২৬-২৭ অনু. ৯-১১

সোমবার, ২৮ জুলাই

যিনি তোমাদের পক্ষে রয়েছেন, তিনি সেই দিয়াবলের চেয়েও শক্তিশালী, যে জগতের পক্ষে রয়েছে।—১ যোহন ৪:৪.

আপনার যখন ভয় লাগবে, তখন চিন্তা করুন, ভবিষ্যতে যিহোবা আপনার জন্য কী কী করবেন, যখন শয়তানকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। ২০১৪ সালের আঞ্চলিক সম্মেলনে একটা ভিডিও দেখানো হয়েছিল। সেই ভিডিওতে একজন বাবা তার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করছিলেন যে, ২ তীমথিয় ৩:১-৫ পদ যদি পরমদেশের বিষয়ে লেখা হত, তা হলে এটা এমন হত: “নতুন জগতে পরিস্থিতি ভালো থাকবে এবং আমরা নিশ্চিন্তে থাকব। কারণ লোকেরা অন্যদের ভালোবাসবে, সত্যকে ভালোবাসবে, গর্ব করবে না, শান্ত হবে, একে অন্যের প্রশংসা করবে, বাবা-মায়ের বাধ্য হবে, কৃতজ্ঞ হবে, আনুগত্য দেখাবে, স্নেহ দেখাবে, মেনে নিতে ইচ্ছুক হবে, অপবাদ দেবে না, সংযমী হবে, হিংস্র হবে না, সবসময় ভালো কাজ করবে, বিশ্বাসঘাতকতা করবে না, নিজেদের ইচ্ছামতো কাজ করবে না, অহংকারী হবে না, আমোদপ্রমোদকে ভালোবাসবে না বরং ঈশ্বরকে ভালোবাসবে। তারা ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি দেখানোর কাজ করবে। তুমি এইরকম লোকদের কাছে থেকো।” আপনি কি আপনার পরিবারের সদস্য অথবা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলেন যে, পরমদেশে জীবন কেমন হবে? প্রহরীদুর্গ ২৪.০১ ৬ অনু. ১৩-১৪

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই

তোমার উপর আমি খুব সন্তুষ্ট।—লূক ৩:২২.

এটা জেনে আমরা কতই-না স্বস্তি পাই যে, যিহোবা তাঁর সমস্ত উপাসকের উপর খুশি! বাইবেলে লেখা আছে, “সদাপ্রভু আপন প্রজাদিগেতে প্রীত।” (গীত. ১৪৯:৪) কিন্তু, আমরা কখনো কখনো এতটাই হতাশ হয়ে পড়ি যে, আমরা চিন্তা করতে শুরু করি, ‘যিহোবা কি সত্যিই আমার উপর খুশি?’ অতীতেও যিহোবার অনেক বিশ্বস্ত সেবক এইরকমই চিন্তা করেছিল। (১ শমূ. ১:৬-১০; ইয়োব ২৯:২, ৪; গীত. ৫১:১১) বাইবেল থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারি, যারা নিখুঁত নয়, তারাও যিহোবাকে খুশি করতে পারে। কীভাবে আমরা তা করতে পারি? আমাদের যিশু খ্রিস্টের উপর বিশ্বাস করতে হবে এবং বাপ্তিস্ম নিতে হবে। (যোহন ৩:১৬) বাপ্তিস্ম নেওয়ার মাধ্যমে আমরা দেখাই, আমরা আমাদের পাপগুলোর জন্য সত্যিই অনুতপ্ত এবং যিহোবার কাছে এই প্রতিজ্ঞা করি যে, আজ থেকে শুধুমাত্র তাঁর ইচ্ছাই পালন করব। (প্রেরিত ২:৩৮; ৩:১৯) এমনটা করার মাধ্যমে আমরা যিহোবার বন্ধু হই আর তিনি আমাদের উপর খুশি হন। আমরা যখন আমাদের উৎসর্গীকরণের প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী চলার চেষ্টা করব, তখন যিহোবা খুশি হবেন এবং আমাদের বন্ধু হিসেবে দেখবেন।—গীত. ২৫:১৪. প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ২৬ অনু. ১-২

বুধবার, ৩০ জুলাই

আমরা যা দেখেছি ও শুনেছি, তা না বলে থাকতে পারি না।—প্রেরিত ৪:২০.

সরকারি কর্তৃপক্ষেরা যদি আমাদের প্রচার কাজ করতে বারণ করে, তা হলেও আমরা প্রথম শতাব্দীর শিষ্যদের মতো প্রচার করে চলব। আমরাও নিশ্চিত থাকতে পারি, তিনি ভালোভাবে তাঁর সেবা করে চলার জন্য আমাদের সাহায্য করবেন। তাই, সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য সাহায্য চান। আমাদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ রয়েছে অথবা অন্য কোনো কারণে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। হতে পারে, আমাদের কোনো প্রিয়জন মারা গিয়েছে, আমাদের পরিবারের কোনো সদস্য আমাদের বিরোধিতা করছে অথবা আমাদের অন্য কোনো সমস্যা রয়েছে। তার উপর এই অতিমারি এবং যুদ্ধের কারণে এই সমস্যাগুলোর সঙ্গে মোকাবিলা করা আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। সেইজন্য মন খুলে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করুন। ঠিক যেমন, আপনি আপনার কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে আপনার মনের কথা খুলে বলেন, একইভাবে যিহোবাকে মন খুলে বলুন যে, আপনি কোন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন এবং কেমন অনুভব করছেন। এরপর, এই বিষয়ে আস্থা রাখুন, তিনি আপনার হয়ে “কার্য্য সাধন করিবেন।” (গীত. ৩৭:৩, ৫) অবিরত প্রার্থনা করলে আমরা “ক্লেশের সময় ধৈর্য” ধরতে পারব। (রোমীয় ১২:১২) যিহোবা জানেন, তাঁর উপাসকেরা কোন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে এবং ‘তিনি তাদের আর্তনাদ শোনেন।’—গীত. ১৪৫:১৮, ১৯. প্রহরীদুর্গ ২৩.০৫ ৫-৬ অনু. ১২-১৫

বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই

প্রভুর প্রীতিজনক কী, সেই বিষয়ে সবসময় নিশ্চিত হও।—ইফি. ৫:১০.

আমাদের যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়, তখন আমাদের বোঝার চেষ্টা করা উচিত, সেই বিষয়ে “যিহোবার ইচ্ছা কী” আর তারপর আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত। (ইফি. ৫:১৭) এভাবে, আমরা যখন বাইবেলের নীতিগুলো জানার চেষ্টা করব, তখন আমরা জানতে পারব, সেই বিষয়ে যিহোবা কী চিন্তা করেন। আর সেই নীতিগুলো কাজে লাগালে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব। শয়তান খুবই দুষ্ট। সে চায় যেন আমরা জগতের কাজে এত ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে, আমাদের হাতে যিহোবার সেবা করার জন্য সময়ই না বাঁচে। (১ যোহন ৫:১৯) এই কারণে একজন খ্রিস্টান হয়তো টাকাপয়সা কামাতে, পড়াশোনা করতে অথবা একটা ভালো কেরিয়ার তৈরি করতে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন যে, তিনি যিহোবার সেবার চেয়ে এগুলোকে জীবনে প্রথম স্থানে রাখেন। একজন খ্রিস্টানের প্রতি যদি তা হয়, তার মানে জগতের চিন্তাভাবনা তার উপর প্রভাব ফেলছে। যদিও এগুলো ভুল নয়, তবে আমরা যেন এগুলোকে জীবনে প্রথম স্থানে না রাখি। প্রহরীদুর্গ ২৪.০৩ ২৪ অনু. ১৬-১৭

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৫)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার